নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই মেঘদূত

আমিই মেঘদূত › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ যেন জনগণের প্রত্যাশিত গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের প্রতিচ্ছবি

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২১


আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলকে ঘিরে সারা দেশে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি আওয়ামী ঘরানার বাইরের সমাজ ও রাজনীতিসচেতন মানুষের ভেতরও এক ধরনের আশাবাদ জাগ্রত হয়েছে। দলের মূল নেতৃত্বকে কাউন্সিলকেন্দ্রিক সাজসাজ রব ও আনন্দ-উল্লাসে তৃপ্তির ঢেঁকুর না তুলে জনগণের আশাবাদকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের মতো দুর্নীতিপ্রবণ একটি দেশে একটানা পৌনে আট বছর ক্ষমতা ভোগকারী একটি দলের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র্র করে দেশব্যাপী উৎসব আয়োজনের আলাদা একটা ‘শানে-নজুল’ও আছে। দল থেকে কড়া নির্দেশবাণী ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, এ উপলক্ষে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি-তোলাবাজি চলবে না। বলা হয়েছে, কাউন্সিলের সব খরচ বহন করবে দল। সে তো কাউন্সিলের দু’দিনের যাবতীয় খরচ। পোস্টার, ব্যানার, প্রচারসামগ্রী, খাবার-দাবার এর মধ্যে পড়বে। এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, গত দু-তিনটি কাউন্সিল থেকে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিল রাজনৈতিক-সাংগঠনিক চরিত্র লাভ করেছে। একটি রাজনৈতিক দলের জাতীয় কাউন্সিল বা সম্মেলন যেসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করে, এবার তার সবগুলোই অনুসরণ করা হচ্ছে। সময় বদলেছে, দেশে মানুষ বেড়েছে- অর্থাৎ ভোটার বেড়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামোর পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজনও দেখা দিয়েছে। এবার দলের সভাপতিমণ্ডলীতে ৪ জন সদস্য বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। প্রস্তাবটি দলীয় সভানেত্রীর। দলীয় সভানেত্রী তার ইচ্ছা অনুযায়ী এই সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেননি, তিনি কাউন্সিলকে প্রস্তাবটি দিয়েছেন। কাউন্সিল এর নির্বাহী কমিটিরা এর সিন্ধান্ত নিবেন। দলীয় সভানেত্রী তার ইচ্ছা অনুযায়ী এই সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেননি, দিলে কোনো অসুবিধা ছিল না। নিশ্চয়ই সবাই মেনে নিত। কিন্তু তা না করে তিনি তার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট উপ-কমিটিতে পাঠিয়েছেন এবং উপ-কমিটি তা গ্রহণ করে খসড়া প্রস্তাবাকারে পেশ করেছে নির্বাহী কমিটির কাছে। তারা অনুমোদন করলে তা কাউন্সিলে পেশ করা হবে এবং পাস হলে তা বাস্তবায়ন হবে। অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয়েও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণই একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এভাবেই একটি দলে গণতন্ত্রের চর্চা ও অনুশীলন বাড়ে। দলের উদ্দেশ্য আগামী ২০২১ ও ২০৪১ সালের রূপকল্প নিয়ে কাজ করা এবং তা হচ্ছে। বিশেষ করে ভিশন ২০৪১ প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তা কাউন্সিলে অনুমোদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০তম এই জাতীয় কাউন্সিল উপর থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তারই প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে তার প্রমান চিত্র। এভাবেই আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশিত গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.