![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। পদ্মা সেতুর তৃতীয় স্প্যান মাওয়ার পথে। ২/১ দিনের মধ্যেই চীনার বিশাল চালান মাওয়ায় পৌঁছাবে। মংলা থেকে সুপার স্ট্রাকচারের তৃতীয় চালানটি রওনা হয়েছে। এর আগে পদ্মা সেতুর আরও দুই স্প্যান সুপার স্ট্রাকচার মাওয়ায় পৌঁছে। এগুলো মাওয়ার কুমারভোগে বিশেষ ওয়ার্কসপে ফিটিং এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
তাই এখন তৃতীয় চালানটি আসছে। এভাবেই চীনে তৈরি সুপার স্ট্রাকচার পর্যায়ক্রমে মাওয়ায় পৌঁছবে। এদিকে ফিটিং করা স্প্যান ক্রেনে করে পিলারের উপর স্থাপন করতে উচ্চক্ষমতার ভাসমান ক্রেন এখন বঙ্গপোসাগরের কাছাকাছি। চার হাজার টন ধারণক্ষমতার ভাসমান এই ক্রেনবাহী মাদার সার্ভেলটি ভারতীয় মহাসাগরে রয়েছে। এটি বৈরী আবহাওয়ার কারণে মালেশিয়ার কাছে সমুদ্রে প্রায় চারদিন নোঙ্গর করেছিল। এটি নভেম্বরের মাঝামাঝি কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছাবে। গত ১২ অক্টোবর চীনের জোহাও থেকে মাদার ভার্সেলে করে রওনা হয়েছে। প্রতিটি স্প্যান (১৫০ মিটার দীর্ঘ সুপার স্ট্রাকচার) সরাসরি পিলারে বাসাতে হবে। এক একটি স্প্যানের ওজন প্রায় ২ হাজার ৯শ’ টন। আর চীন থেকে আসা ভাসমান ক্রেনের ধারণক্ষমতা চার হাজার টন। এদিকে পদ্মা সেতুর সংযোগ সেতুর (ভায়াডাক্টে) কাজ চলছে পুরোদমে। এ পর্যন্ত ১২টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে। সেতুটি জাজিরা প্রান্তে চলছে ভয়াডাক্টের বিশাল কর্মযজ্ঞ। এদিকে পদ্মায় মূল পাইল স্থাপন নিয়েও কর্মব্যবস্থা রয়েছে। নতুন হ্যামার এবং নতুন হ্যামারে ক্রেন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। পদ্মার ৩৮ নম্বর পিলারে এখন পাইল স্থাপনের কাজ চলছে। ৩৭ নম্বর পিলার ইতোমধ্যেই প্রস্তুত রয়েছে। এখন ৩৮ নম্বর পিলার তৈরি সম্পন্ন হলেই হয় তো আগামী ডিসেম্বরে বা জানুয়ারিতে প্রথম সুপার স্ট্রাকচার (স্প্যান) স্থাপন করা হবে। আর প্রথম স্প্যানটি ফিটিং চূড়ান্ত প্রায়। দ্বিতীয় স্প্যানটির ফিটিং প্রায় ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এই দ্বিতীয় স্প্যানটি স্থাপন হবে মাওয়া প্রান্তে ৬ ও ৭ নম্বর পিলারে। এই দুটি পিলারেই ৩টি করে পাইল স্থাপন হয়েছে গত বর্ষার আগেই। তীব্র স্রোতের কারণে মাওয়া প্রান্ত থেকে পাইল স্থাপন কাজ সরিয়ে নেয়া হয়েছিল জাজারি প্রান্তে। মাওয়া প্রান্তে এখন স্রোত কম। তাই এখন শুষ্ক মৌসুমে আবার এখানে কাজ ব্যাপকভাবে শুরু হবে। এভাবেই এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
পানি যেভাবে কম আসছে, সেতুর দরকার হবে না, হয়তো! ২/৪ বছর অপেক্ষা করতে বলেন।