নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতে ইসলাম ও শেখ হাছিনার গণতন্ত্র বিষয়ক কিছু চিন্তা আপনারা কি ভাবেন?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৩

কোরআন ও আল্লাহর আইন অপরিবর্তনীয়

হুজুররা আছেন বেকায়দায়।কোরআন একমাত্র মৌলিক গ্রন্থ। যেটির সংযোজন বিয়োজন সংস্কার কারু হাতে নাই। আগের সমস্ত আসমানী কিতাব মনগড়া কথাবার্তা সংযোজন করেছে মানুষ। ফলে সেটি বাতিল করে নতুন নবী নতুন কিতাব ছহিফা নাযিল হয়েছে এভাবেই সবর্শেষ আসমানী কিতাব আসলো এবং আল্লাহ তায়ালা নিজে এটি অবিকৃত রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন। এই জন্য যে কিয়ামতের আগপর্যন্ত এই কোরআন মানবমুক্তির আলোকবর্তিকা হিসেবে থাকবে।





এই কিতাব শুধু কাগজে বা কিতাব আকারে নয়..হাফেজ তথা মুমিনের সিনার মধ্যে সংরক্ষিত করেছেন। এটিতে হাত দেয়ার অধিকার কোন আলেমের নাই।আর মুসলমানের জন্য আল্লাহ তায়ালা দিকনির্দেশক হিসেবে চলার জন্য অনুকরণীয় হিসেবে কোরআন আর সুন্নাহ দিয়েছেন।এগুলোর বাইরে নতুন কোন সমস্যার সমাধানের জন্য ইজমা কিয়াস দিয়েছেন। এ টুকুই। ইজমা কিয়াস নির্ধারণের দায়িত্বটি আলেম ওলামাদের হাতে । কোন সরকার প্রধানের হাতে নয়।তাই অলেমরা মনগড়া কথা বলতে পারেনা। কার না ইচ্ছা জাগে সুন্দরী রমনী,মদ ,নেশা আভিজাত্য জুয়া স্বেচ্ছাচারিতা যদি স্রষ্টার নিষেধ না থাকত। কিন্তু ইচ্ছা করলেই আলেমরা তা করতে পারছে না। করার স্বাধীনতা আল্লাহ তাদের দেন নাই।মুসলিম মানে আত্নসমর্পনকারী।আল্লাহর কাছে আত্ন সমর্পনকারী।





এবং কোরআনে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে।তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি কারণ তোমরা মানুষকে সৎকাজে আদেশ দান কর অসৎ কাজে বাধা দান কর।আর আল্লাহর উপর ঈমান এনে থাক।



আরও কোথাও অন্যায় হতে দেখলে সামর্থ থাকলে বাধা প্রদান কর।তা না করতে পারলে মৌখিক ভাবে নিষেধ কর ।আর সেটিও যদি না পার তাহলে তা অন্তর থেকে ঘৃণা কর।হেফাজতে ইসলাম প্রথমটা বেছে নিয়েছে।তাদের নিয়ে কটাক্ষ করে কথা কম বলা হয় নাই।



হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা :নাগরিক অভিমত



প্রথম আলো বিশিষ্ট নাগরিকদের মন্তব্য তুলে ধরেছেন।হেফজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবীর যৌক্তিকতা কতটুকু সেটা নিয়ে।আনিসুজ্জামান স্যার,এম হাফিজ উদ্দিন খান,সালমা খান,সুলতানা কামাল চক্রবরতী এম জাহের তাদের কেউ কি কোরআনের হাফেজ?নাকি বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ?নাকি অনেক বড় আলেম?তারা ১৩ দফার বিপরীতে কি যুক্তি দিয়ে মানুষকে প্রবোধ দিবেন?তারা কি ধর্ম কর্ম পালন করেন?তাদের নিয়ে মতিউর রহমান সাব কি নিজের বিবেচনা শূন্য অবস্থা প্রমান করলেন।ওলামালীগ এর আলেমদের দিয়ে মন্তব্য দিলেও ব্যাপরটা বিবেচিত হত।যদিও ওলামালীগ এর শীর্ষ আলেমকে তসলিমার চেয়ে নিকৃষ্ট বলা হয়েছে। (হেফাজতে ইসলামের ভাষ্যে)।এই সমস্ত বুদ্ধিমানেরা কি কোরআনের আয়াত দিয়ে হেফজতে ইসলামের কোন দফার বিপরীতে বলেছেন?মনগড়া আর খায়েশাত দিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার কোন সুযোগ নাই।



আল্লাহ তায়ালা সীমা লঙ্ঘন কারীদের তো হুশিয়ার করেছেন।তাদের বেরিয়ে যেতে বলেছেন তার সৃষ্ট পৃথিবী থেকে।এবং এও বলে দিয়েছেন যে তারা পারবেন না। তারা ব্যর্থ হবেন।



হেফাজতে ইসলামের সদস্যও নেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ



তার কোর আনের হাফেজ ,(কোরআন সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব)এবং মাসলামাসায়েল সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যপক অধ্যায়ন কারী। এলেমের ব্যাখ্যা এমন ভাবে করা হয়েছে । আল্লাহর হুকুম মানা ও নবীর তরীকা অনুযায়ী আমল করা। তাহলে তারাই সত্যিকারের আলেম আমরা নই। আমরা যারা ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত তারা জাহেল।আমরা চাকরি লাভের জন্য পড়ালেখা করেছি।দ্বীনি শিক্ষা মানুষকে নম্র ও বিনয়ী করে। আর দুনিয়াবী শিক্ষা মানুষকে অহংকারী

করে।





হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। দৃষ্টান্ত দেয়ার মত।অথচ ছাত্রলীগের নেতারা অস্ত্রহাতে রাজপথে।জঙ্গি কে আওয়ামীলীগ নাকি হেফাজেতে ইসলাম।এই পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে বিশ্বজিৎ হয়েছে কয়জন।আর হেফাজতের হাতে কয়জন।তাদের জঙ্গি বলা শাহরিয়ার কবির কি উন্মাদের মত কথা বলেন নাই?



নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন



ইসলাম নারীর অধিকার দিয়েছে।স্বাধীনতা দিয়েছে।তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও আছে।স্রষ্টাই ভাল জানেন একজন নারীর ভাল কিসের মধ্যে।এবং একজন আলেম নিশ্চয় আল্লাহর নির্দেশের বাইরে গিয়ে তাদের অধিকারের বিষয়ে বলবেন না।সেই অধিকার তার নাই।তার হাত পা বাধা।কোরআনের আলোকেই তার বলতে হয়।পৃথিবীর সমস্ত মানুষ মিলে মিছিল আন্দোলন করে সেটা কি ওল্টানো যাবে?এতে আলেমদের দোষ দেয়ার কি মানে?



বরঞ্চ নারীদের যে সমস্ত অধিকার সম্মান নিরাপত্তার হুকুম আল্লাহ দিয়েছেন তার সব গুলো কি আমরা মানি?না মানলে তার জন্য আখেরাতে সবার কৈফিয়ত দেয়া লাগবে।



হেফাজতে ইসলামের ফান্ড?



কোরবানীর ফান্ড কে দেয়?যাকাতের ফান্ড?সারাবিশ্বে তবলীগ জামাতের ধর্ম প্রচারের ফান্ড?হজ্জ করার ফান্ড।এগুলো কে দেয়?কিংবা মাজারের কোটি কোটি টাকা।এমনকি ভন্ড পীরের কোটি কোটি টাকা এগুলোর ফান্ড কে দেয়?মসজিদের ইমামরা যদি একযোগে তাদের আন্দোলনের মাহাত্ব ওয়াজ করতে থাকেন ।তাহলে তাদের ফান্ড কত হতে পারে একবারও অনুমান করেছেন।এটা কি ১লা বেশাখের সাংস্তৃতিক অনুষ্ঠান যে ফান্ড লাগবে।

ফান্ডপ্রেমি লোকজনের এত মাথাব্যথা কেন?কারণ তাদের প্রথম প্রয়োজন ফান্ড।



স্বয়ং শেখহাসিনা জামাতের নিষিদ্ধের ব্যাপারে বলেছেন তারা নিবন্ধন কৃত দল।তাদের নিষিদ্ধ করা যাবে না।শহীদ রুমি স্কোয়াডকে সুকৌশলে এ কে খন্ডকারকে দিয়ে আশ্বস্ত করিয়ে তার পদত্যাগের অবস্থা সৃষ্টি করেছেন।এর ব্যাপারে তার অবস্থানের পক্ষে যুক্তি কি?



জামাতের ব্যাপারে শফি বিরুদ্ধ অবস্থানে সেই শুরু থেকে।জামাতের সঙ্গে আওয়ামীলীগের আতাত নিয়ে কালের কন্ঠে ৮ তারিখের পত্রিকায় সংবাদ পর্যন্ত এসেছে।তারা তো আওয়ামীলীগ বা কোন বামদলের রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলেন নি।কোন দলেরই বলেন নাই।বা তারা কি বলেছেন জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবেনা করলে ব্যাপক আন্দোলন।তারা সেটা বলেন নাই।



বিরুধীদলের সকল নেতা কারাগারে



একমাত্র খালেদাজিয়া বাদে বি এন পির সকল নেতা এখন কারাগারে বন্দী ।এটা কোন সভ্য গণতন্ত্র?শেখ হাসিনা আর তার দল হরতাল বোমা বাজি হত্যা ভাংচুর করে নাই?সরকারী দল হয়েও হরতাল করা একমাত্র দল আওয়ামীলীগ।তাদের সন্ত্রাসী নেতারা প্রকাশ্যে অস্ত্রহাতে মহরা দিয়ে বেড়ায়।এতে কিছু হয় না?গুম হত্যা এগুলোর কোন বিচার নাই?





পত্রিকাগুলো মিডিয়াগুলো তাদের মুখপাত্র হয়েছে।সম্মানিত ব্লগার যারা স্বাধীনচেতা তাদের ওপরও হস্তক্ষেপ করেছে এই সরকার।অতীতে কোন ব্লগার কি তার ব্লগ নিয়ে এই রকম টেনশনে কোন সময় ছিল।সেটারও একাংশ কিনে নিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজে লাগিয়ে ব্লগারদের সমালোচনায় ফেলেছে এই সরকার।বানরের রুটি ভাগের দায়িত্বে শেখহাছিনা।ব্লগারদের এরেস্ট করছেন।আর হেফাজতদের আশ্বাস দিচ্ছেন।আবার অস্ত্র মহরা দিচ্ছেন।



তারা এদেশের মানুষের মততামতকে থোরাই কেয়ার করে বহিরবিশ্ব আর প্রভু রষ্ট্রকে সুবিধা দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করে যে কোন অবস্থায় ক্ষমতায় থাকার মত অগনতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করে নির্লজ্জের মতন মুখে গণতন্ত্র বলছেন।



দেশটা জঙ্গি রাষ্ট্র হলে



দেশটা জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্ণিত হলে দেশের কত ক্ষতি হবে হিসেব আছে্ ।নিরীহ মান্তিফূর্ণ আন্দোলন কারী হেফাজতে ইসলাম কি কোন সন্ত্রাসী কর্যকালপ করেছে?কাবুকে হত্য করেছে?তাহলে মিডিয়া কেন মিথ্যা প্রপাগান্ডায়।হলুদ সাংবাদিকতার পাপের টাকা খেয়ে তারা বর্বর উন্মাদ হয়ে সীমাহীন তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে।জঙ্গি রাষ্ট্র হয়ে অর্থনৈতিক অবরোধ নির্বিচারে মানুষ হত্যা ।আর ধর্মপ্রাণ সরল মানুষ তাদের জীবনকে কঠিন করে তোলার দায়ভার কে নিবে?পাপ ছাড়েনা বাপকেও।



সংলাপ



সম্প্রতি এরশাদ সাবও সংলাপ এর ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন দুই নেত্রিকে।এই ব্যাপারে খালেদা জিয়ার কি আদৌ কোন দোষ আছে?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা আপনাকে সাবেক স্বৈরাচার এরশাদও সংলাপের জন্য চিঠি দিলেন।আপনি এখন তার চেয়েও বড় স্বৈরাচার হতে চান। এতে কি আপনার কোন লজ্জা লাগে না্ই?





মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে রাজনীতি করুন।এইদেশের মানুষ ভোট দিয়ে আপনাকে বিরাট বিজয় উপহার দিয়েছে।ভাল কাজ করলে এদেশের মানুষই আপনাকে ভোট দিবে।এমন লজ্জা জনক পরিস্থিতি করবেন না যাতে আওয়ামীলীগও এর অংগসংগঠনের নেতারা নিজেদের আওয়ামীলীগের লোক বলে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে ।একজন স্বৈরাচার হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিতি চান নাকি গণতন্ত্রের মানস কন্যা হিসেবে?মহাত্মা গান্ধি কিন্তু সরকার প্রধান না হয়ে ও ভারতে সবার চেয়ে সম্মানিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।ক্ষমতায় আরোহন করে অনেকেই শত মানুষের ঘৃণা আর ধিক্কার পেয়েছেন!

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: Age fasto hoia loi...

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ম হযেছেন...এইটা সবার জন্য উন্মুক্ত পোস্ট সবার মনোভাব জানার আগ্রহ নিয়ে লেখা......সবমতাদর্শের লোকের জন্যই।ধন্যবাদ।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

তরুন তুর্কী বলেছেন: ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ সাহসের সাথে আপনার চিন্তা তুলে ধরার জন্য ।
কিন্তু বিনিময়ে আপনি পাবে ছাগু (যদিও আমি এসব ব্যবহার করি না করতে চাইও না, রুচিতে বাঁধে ) টাইপ উপাধি ।
আর কিছু না হোক, সরকার যে এখন ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী আচরন করছে, এটা তো সত্যি ।
কিন্তু বলা যাবে না !!!
কারন, বোবার কোন শত্রু নাই ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি ছাগুদের ব্যান চা্ই...জামাত নিষিদ্ধ হোক এই বাংলার মাটিতে।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০১

Kawsar Siddiqui বলেছেন: ভাল লিখেছেন ! ধন্যবাদ আপনাকে ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।শিপু ভাই এটা পড়ছে কিন্তু কমেন্ট করে নাই।বন্ধুটার একটা কমেন্ট চাইছিলাম।মনে হয় পুরাই ক্ষেপছে।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৮

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ভাই আগের পোষ্টে করা কমেন্ট এর উত্তর দেন নাই আবারও সেই একই কমেন্ট দিলাম ।

তারা মাইকে বলছে আমাদের শইলে মওদুদির রক্ত মওদুদি জামাতের প্রতিষ্ঠাতা ! আপ্নে সেলিম ভাই তাদের সমাবেশ টিভিতে দেখছিলেন ?

দে আর জাস্ট কেম ফর সেভ সাম পলিটিক্যাল ফিগার ।

একটা রেপের বিচার কি ইসলামে ?
একটা খুনের বিচার কি ইসলামে ?
ইসলাম ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বলে কিনা ?

এবার বলেন ৭১ কেয়টা রেপ হইছে ? কয়টা খুন হইছে ? কোথায় ন্যায় বিচারের বানী সেই ১৩ দফার মইদ্যে ?


ভাই ইসলাম এর অনুশাষন আমি নিজেও মানতে পছন্দ করি , এবং কেউ ইসলাম বিষয়ক কথা বললে ভালো লাগে তবে এমন কোন দলের মুখ থেকে নয় যাদের বিসমিল্লাহ এ গলদ আছে ! যদিও এখন হেপাজতের সমালোচনা করলে হাম্বালিগের ট্যাগ পেতে হয় তার পরও আমি তাদের উদ্দেশ্যমুলক ইসলাম হেপাজতে একমত নই ! এবং এখন পর্জন্ত ৩ বার ভোট দিছি একবারও নৌকায় দেইনাই ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হেফাজতে ইসলাম তাদের পেটের ক্ষবর আমি জানি না। রেপের বিচা সঙ্গে সার মানে ঢির মারতে থাকামৃত্যুর আগপর্যন্ত,খুনের বদলা খুন।বলে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে বলে।যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। তাদের হিসাবে আমরা ব্লগারাই তাদের প্রতিপক্ষ..স্বাভাবিক ভাবেই ব্লগাদের দাবী নিয়ে তারা আর যায় নাই।সামনের বার নৌকা ছাড়া আর মার্কা নাও থাকতে পারে।তখন কি করবেন?
নিরন্তর শুভকামনা থাকল।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২১

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: সামনের বার নৌকা ছাড়া আর মার্কা নাও থাকতে পারে।তখন কি করবেন?

হেপাজতে ইসলাম কি অইন্য মার্কা গুলারে সেইফ করবে ? আপ্নার পোষ্টের সকল বিষয়ের সাথে আমার দ্বিমত নাই , শুদু একটা বিষয় নিয়া দ্বিমত সেটা হলো হেপাজতে ইসলাম , তারা বর্তমানে ইসলামের নাম ভাংগাইয়া গুপোন কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইতেছে , যাতে জনগনের কোন লাভ হবে না ।

দেশে অনেক সমস্যা আছে সেগুলা নিয়া শাহাবাগ বা হেপজতে ইসলাম কেউ কোন কথা বলতেছে না ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি একমত..একে তো হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক দল নয়।দুই তারা কসিস্টেনটলি কতটুকু চলতে পারবে কে জানে?মনে হয়না জামাত তাদের কাছে ভাত পাবে।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৮

বইয়ের পোকা বলেছেন: আমার ধারণা হেফাজতে ইসলাম রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবে না।
আপনার লেখার সাথে একমত পোষন করছি। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবীর বিরুদ্ধে যে বিশিষ্টজনেরা মন্তব্য দিয়েছেন, উনারা ধর্মের বিষয়গুলো বাদ দিয়েই উনাদের মতামত দিয়েছেন। এক্ষেত্রে যদি কোনো আলেম বলতে পারতেন যে তাদের দাবীর এই এই অংশগুলো ভুল, তাহলে আমাদের বুজতে সুবিধা হত। এখন আমরা অধিকাংশ মুসলমান হওয়ার পরও যদি মোমবাতি জ্বালানোর মতো হিন্দু সংস্কৃতিকে আপন করে নিতে পারি, তবে একজন মুসলমান কেনো তার প্রতিবাদ করটে পারবে না। আর যখনি ইসলামের কথা বলতে যাবেন, আপনি আমি "জঙ্গী" ট্যাগ পাবো কেনো??? ইসলামের কথা মানেই কি জামাতের কথা??? ইসলামের কথা মানেই কি জিহাদের কথা??

আর বর্তমানে সরকার বিরোধীদলের রাজনীতিকদের গ্রেফতার করে কি দেশ কে আরো সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে না?? এর মধ্য দিয়ে সরকারের জনপ্রিয়তা কমছে বই বাড়ছে না!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত।তার কি জনমতের ধার ধারে?তাদের কি ভোটের দরকার আছে?জরুরী অবস্থা ডাকে কিনা দেখেন।শুভকামনা থাকল।

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটা যাদ জামাতের নেতৃত্বে কোন দল হত অনেক গুলি মানুষ মরত।অন্ত ফান্ড কালেকশনে মারা যেত ! টাকার ভাগাভাগি নিয়ে মারা যেতআর রাস্তায় তাদেরআক্রমনে লোক মারা যেত সংখ্যা লঘু মারাযেতএগুলোর কিছই হয়নি।হেফাজতে ইসলাম সুশৃঙ্খলভাবে লংমার্চ সম্পন্ন করেছে।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: সামনের বার নৌকা ছাড়া আর মার্কা নাও থাকতে পারে।তখন কি করবেন?

হেপাজতে ইসলাম কি অইন্য মার্কা গুলারে সেইফ করবে ? আপ্নার পোষ্টের সকল বিষয়ের সাথে আমার দ্বিমত নাই , শুদু একটা বিষয় নিয়া দ্বিমত সেটা হলো হেপাজতে ইসলাম , তারা বর্তমানে ইসলামের নাম ভাংগাইয়া গুপোন কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইতেছে , যাতে জনগনের কোন লাভ হবে না ।

দেশে অনেক সমস্যা আছে সেগুলা নিয়া শাহাবাগ বা হেপজতে ইসলাম কেউ কোন কথা বলতেছে না ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কান্ডারী ধন্যবাদ.......
শাহবাগের কাউন্টারে কি হেফাজতে ইসলাম হলো নাকি?

আমার বোধ গম্য নয়।

আমার ধারণা শুধুমাত্র ধর্ম নিয়ে ই তাদের বিপ্লব।

তবে এখন অনেক কিছুই অনেকেই জানেন না।বুঝেনও না।

আমার মনে হয় হেফাজত জামাত নিয়ন্ত্রিত বা পরিচালিত নয়।
জামাত সংখ্যায় অনেক কম।হেফাজন অন্য ধর্মকে আঘাত করে নাই।করবেও না।

দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা ও গণতন্ত্র নিশ্চিত করণ ,নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ণ বিষয় প্রাধান্য দিয়ে কর্মসূচী দেয়ি উচিৎ বলে আমি মনে করি।

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: '' এমন লজ্জা জনক পরিস্থিতি করবেন না যাতে আওয়ামীলীগও এর অংগসংগঠনের নেতারা নিজেদের আওয়ামীলীগের লোক বলে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে ।একজন স্বৈরাচার হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিতি চান নাকি গণতন্ত্রের মানস কন্যা হিসেবে? ''

মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের মাধ্যমে উপরের প্রশ্নের ফয়সালা হয়ে গেছে বলে আমি মনে করি ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সবাই কে জেলহাজতে ভরে মুখে গণতন্ত্র।ব্লগারা পর্যন্ত নজরদারীতে তারপরও তাদের পক্ষে চাটুকার আছে।এটা পরাধীন মস্তিষ্ক এবং কালো টাকার প্রভাবেই সম্ভব হয়েছে।আমরা বিক্রি হয়ে যাই।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

নেক্সাস বলেছেন: অন্ধ চোখে বিএনপির সমালোচনা কারী প্রিয় আওয়ামিলীগ ভাইয়েরা,

আওয়ামীলিগের ধর্ম হল নিজেদের প্রয়োজনে ইতিহাস মনে রাখা, নিজেদের প্রয়োজনে ইতিহাস ভূলে যাওয়া আর নিজেদের প্রয়োজনে ইতিহাস বানানো। যাই হোক তাই বলে এদেশের সব মানুষতো আর আওয়ামীলিগের ভাড়াটে দাস নয় যে সত্য কে সত্য বলবেনা।

এদেশে বর্তমান বিএনপি ই একমাত্র এবং শেষ বিরোধীদল নয়। গত ২২ বছরে আওয়ামিলীগ কেও মানুষ বিরোধীদলে দেখেছে। সে সময় কি হয়েছিল? গোল্ডফিস মেমরী যদি না হয় একটু পেছনে ফিরে দেখুনতো। সেসময় আমরা দেখেছি ১৭৩ দিন হরতাল। আমরা দেখেছি এসএসসি, এইচএসসি কত পরিক্ষায় হরতালে ভেসে গেছে। আমরা দেখেছি ব্যাংক বীমা জ্বলতে। ১৯৯৬ সালে আমি দেখেছি চট্রগ্রামন বাংলাদেশ ব্যাংক শাখা জ্বলতে। আমি আওয়ামীলিগ নেতা হাজি সেলিম কে দেখেছি হরতালে নাইন শুটার গান হাতে ছুটে বেড়াতে। পত্রিকায় ইয়া বড় ছবি এসেছে। আমি দেখেছি রিভলভার হাতে রাজপথে নেমে গেছে আওয়ামিলীগ এমপি ডাঃ ইকবাল। পত্রিকায় ছবি এসেছে। আমি দেখেছি অফিসাগামী কর্মচারীকে দিগম্বর করে দিতে, আমি দেখেছি ১৯৯৬ সালে গান পাউডার ডেলে বিআরটিসি বাসে একসাথে ১১ জন কে পুড়িয়ে মারতে। আমি দেখেছি লগি বৈঠা দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় ২১ জন মানুষকে মেরে তাদের লাশের উপর উঠে পৈশাচিক উল্লাস করতে, সর্বোপরী নরসিংদির মেয়ের হত্যার পর সরকারি দলের ডাকা হরতালে ট্রেনে আগুন জ্বলতে দেখেছি। এসব আপনারা ভূলে যান কিভাবে? দল দাসত্ব কি এতই অন্ধ।
কোন দাবিতে আওয়ামীলিগ এসব করেছিল জানেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর এটা নিশ্চয় ভূলে গেছেন যে ১৯৯৬ সালে আওয়ামিলীগ যে নৈরাজ্য চালিয়েছিল তার অন্যতম শরীক বা মিত্র ছিল জামায়াত ইসলাম। সেদিন শিবির ছাত্রলীগ সহোদর ছিল। কিন্তু বলেন তো সেসময় একসাথে আওয়ামিলিগের কয়জন কেন্দ্রীয় নেতাকে ডান্ডা ভেড়ি পরিয়ে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল?

বিএনপির দাবিও তো একটাই। তাহলে কেন এত নির্যাতন।

রাজনীতিতে জেল জুলুম ব্যাপারনা। এটা রাজনীতির অনুসঙ্গ। কিন্তু সেটা হতে হয় বিচ্ছিন্ন। কিন্তু এবার আওয়ামিলীগ যা করেছে তা হল পরিকল্পনা মাফিক। বিরোধীদল কে নিশ্চিন্ন করে দেশে বাকশাল কায়েম করে আবারো হত্যা, লুটতরাজ, রাজনীতি রিষ্টোর করাই আওয়ামিলীগের একমাত্র লক্ষ্য। আর আপনাদের মত মানুষেরা গনতন্ত্র হত্যার এই মহোৎসবে ইয়েল দিয়ে আওয়ামিলীগ কে উৎসাহ দিচ্ছেন। মনে রাখবেন নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায়না।

আচ্ছা ধরুন বিএনপি সব নেতা জেলে খেটে আর রাজনীতি করলোনা। খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গেল। বিএনপি নামে দেশে আর কোন দল থাকলোনা। এতে দেশের কি লাভ হবে? তখন কি দেশের ১০০% মানুষ আওয়ামিলীগ হয়ে যাবে?

কোনদিনই দেশের ১০০% মানুষ আওয়ামিলীগার হবেনা বরং তখন সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ৩৭-৪০% বিএনপি সমর্থক চুপচাপ সুযোগের অপেক্ষায় থাকবে। কারণ বর্তমান নানা সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় ঘাত প্রতিঘাতে সে একবার আওয়ামিলীগ করেছে সে চিরদিন আওয়ামিলীগ যে একবার বিএনপি করেছে সে চিরদিন বিএনপি। এর পর এই সুযোগে চরমভাবে মাথা ছড়া দিয়ে উঠবে হেফাজতে ইসলামের মত চরম প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠি। এই অবস্থায় চরম ক্ষোভ ও অপমানে জর্জরীত বিএনপির মডারেট, উগ্র সব কর্মী সমর্থকেরাও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্টীর ব্যানারে কিছু উগ্র মোল্লা মুজাহিদের ব্যানারে একিভূত হবে। কেননা দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ যেকোনো ভাবে পাল্টা আঘাত আনতে চায়। জামাত শিবিরের ১০-১২% কর্মীদের কথা নাই বা বল্লাম।

অন্যদিকে সংগত কারণে আওয়ামিলীগের কর্মি সমর্থকেরা হয়ে উঠবে ৭২/৭৪ সালের মত চরম স্বেচ্চাচারী। দলে উপদলে ভিবক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে হানাহানি লিপ্ত থাকবে এরা। প্রশাসনে শুরু হবে অস্থীরতা। স্বার্থের দৌঁড়। চরম ভাবে নির্যাতিত হবে সাধারণ মানুষ। আর দিনে দিনে বারবে আওয়ামিলীগ বিরোধী ক্ষোভ। ঠিক এই সময় হুক করবে ফান্ডামেন্টাল মোল্লারা। ধর্ম ও আওয়ামী নির্যাতন দুটোকে ঢাল করে চরমভাবে এরা নাড়া দিবে আওয়ামী সিংহাসনে। তারপর প্রতিক্রিয়াশীলরাই এদেশে ঝেঁকে বসবে। সুযোগ নিবে গনআন্দোলনে গদিচ্যুত আহত সিংহ এরশাদ।

এবার কোথায় গেল দেশ?
ধর্মান্ধ মোল্লা আর স্বৈরাচার এরশাদের যোগফল কি হতে পারে?
তখন কি আওয়ামিলীগ ইতপূর্বে বিলীন হয়ে যাওয়া বিএনপির মত বিলীন হবেনা?

মন্দের ভাল হলেও কি ভাল ছিলাম না বিএনপি আওয়ামিলীগের দ্বৈরথে?

বিচারের ভার সকল বিবেকবান মানুষের।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর কমেন্ট।তাই ধন্যবাদ।বাকশাল হওয়ার পর আওয়ামীলীগ ধ্বংস স্তূপে পরিনত হয়েছিল।তেমন কঠিন পরিণতির ই আশংকা।শুভকামনা থাকলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.