নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বান্ধবী (গল্প)

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫২



(বানোয়াট গল্প কারো বাস্তবতার সঙ্গে মিলে গেলে মু ই কিছুই জানি ন;))

কেন যে সুমনের প্রেমে পড়লাম।সারাজীবনের তপস্যা ছিল একটা ভাল মানুষের সঙ্গে আমার বিয়ে হয় যাতে।ধন দৌলত কিছু্ই চাই নি।চেয়েছিলাম একটা ভাল মানুষ যে আমাকে বুঝবে।সুমনকে তেমনি মনে হয়েছিল।ভেবেছিলাম অনেক সহজ সরল। কেউ কোন প্রশ্ন করলে কেমন বোকার মত হা হয়ে থাকে। কম কথা বলে।সুমন দেখতেও বেশ স্মার্ট।এমন টল ফিগার ছেলে খুব কমই আছে।চুলে সবসময় আর্মি কাট দেয়া ।পরিচয়ের প্রথম দিন থেকেই সুমন আমার প্রতি বেশ সহযোগিতা মূলক মনোভাব দেখিয়েছে।ব্যাপারটা বেশ ভাল লাগে।রাতুল এর আগমন মাসখানেক পরে।রাতুল সহজাত প্রতিভা।পরে এসেও তার মেধাদীপ্ত উপস্থিতি নতুন মাত্রা এনে দেয় পড়ালেখায়।সুমনের দুই বন্ধু রাতুল আর জনি।তারা তিন জন মিলে পুরো ক্লাসটা জমিয়ে রাখতো।মৌ নামের একটা মেয়ে ঢাবির ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্রি।ঢঙ্গি।নকল করার এক্সপার্ট।সবারটা দেখে দেখে টেস্ট এক্সাম গুলোতে সবচেয়ে ভাল করতো।সেটা নিয়ে সবাই তাকে খেপাতো ।একদম ফরসা চেহারা সবার বাক্যবানে লাল হয়ে যেত।সে আবার প্রায় ই মেকাপ নিয়ে কোচিং এ হাজির হতো।তার মেকাপ নেয়ার কারণ সে ছিল একটি চ্যানেলের সংবাদ পাঠিকা।কোচিং শেষ করেই তার সংবাদপাঠ প্রোগ্রাম।মাঝখান থেকে তার রূপের তাজাল্লি দেখার সৌভাগ্য হত।তাকে নিয়ে সবাই বেশ মজাও করতো। বিশেষ করে তার স্বাস্থের বিশেষ অংশের স্ফিতি এবং এক প্রডিউসারের সঙ্গে তারে সম্পর্ক নিয়ে ছেলেরা রসালো আলাপ জুরে দিত।রাতুলের ধমকে সে আলাপ থামত। তার দিকে তাকিয়ে সবাই হাসতো।মৌ বেশ বিব্রত অবস্থায় পরতো।পরে একদিন বলেই ফেলল একজন মেজরের সঙ্গে তার বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত।তবে তার ঝলমলে উপস্থিতি তার ন্যাকামো মেয়েরা ঈর্ষা করতো।



সুমন, রাতুল আর জনি তিনজনে মিলে দারুন ত্রয়ী গঠন করেছিল।জনির কথাবার্তা বেশির ভাগই অশ্লীল।তবে জনির কথার আর্টে অশ্লীলকথাগুলো কেমন শৈল্পিক মনে হত।ওগুলো শুনে মেয়েরা ই হাসিতে লুটোপুটি খেত।ছেলেদের তো কথা ই নেই। মৌকে সরস মন্তব্য করে সে ভাল হিট হয়েছিল। টয়লেট এ যাবে তিনজন একসঙ্গে।শপিং এও তিনজন একসঙ্গে। আবার রেষ্টুরেন্ট সেখানেও একসঙ্গে ।রাতুলের পকেট থেকেই টাকা খসত বেশি।সুমনের পকেটে টাকা থাকেনা বললে ই চলে।সুমন প্রায়ই আমার কাছে থেকে টাকা নিত। আর সুমন আর আমি কোথাও বেড়াতে গেলে তো কথাই নেই। সব খরচ আমার।তারপর সুমনকে তার ভাল লাগতো ।তার সরলতার জন্য।আমি হুমায়ুণ আহমেদের উপন্যাসের দারুণ ভক্ত। সুমনকে আমার প্রিয় হুমায়ূন আহমেদের নাটক উপন্যাসের নায়ক চরিত্র মনে হতো।



সুমন তুমি কোথায়?



আমি এখন চাদপুরে।



বাসায় আসতে পারবে।আগামীকাল হলেও চলবে।



হঠাৎ বাসায় আসতে হবে কেন?



বাবা তোমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে।



কি কথা? কেন?



তোমার আমার বিয়ের কথা।



বল কি আমি মরে গেলেও তার সঙ্গে দেখা করতে পারব না।



তাহলে আমাকে বিয়ে করবে কি ভাবে?



জানি না।



তোমার বড় ভাইয়াকে বল।সে যেন বাবার সঙ্গে দেখা করে।



সেটা আমার পক্ষে জীবনেও সম্ভব না।প্রেমের বিয়ে আমার বাড়িতে নিষিদ্ধ। মেজো ভাইয়ের বউ এখনো বাড়িতে জায়গা পাইনি।আমি তো কুনোব্যাঙ। ওটা করতে গেলে আমাকে বাসা থেকে বেড় করে দিবে।আমি তো কোলাব্যাঙ এর মত পানিতে ভাসতে পারবনা। ঘর থেকে বেড় করে দিলে যাব কোথায়?



তাহলে তোমার আমার বিয়ে কোনদিন্ই হবে না।



সেরকমই মনে হচ্ছে।



তোমার মত কাউয়ার্ড দ্বিতীয়টি নেই।প্রেম করার সাহস আছে বিয়ে করার নেই।তোমার সঙ্গে প্রেম করাই অন্যায় হয়েছে।তুমি একটা ভীতুর ডিম।আর কখনো আমার সঙ্গে কথা বলবে না।



রুমকি ফোন কেটে দেয়।সুমন বারবার ফোন করতে থাকে।পরের দিন জনির নম্বর থেকে কল ।রুমকি রিসিভ করে না।বিকেলে রাতুলের নম্বর থেকে কল। রুমকি ফোন রিসিভ করে।রুমকি জানে রাতুল নিজেই কল করছে সুমনের অনুরোধে।রাতুলে সঙ্গে কথার এক পর্যায়ে সুমন ফোন নিয়ে রুমকি কে ডিনারের দাওয়াত দেয়্ ।ছায়ানীড় এ । অনেকদিন রুমকির সঙ্গে দেখা নাই। তাই রুমকির সঙ্গে দেখা করতে উনমুখ হয়ে আছে সুমন।হায়রে প্রেম যে প্রেমের পরিণতি নেই তা শুধু যন্ত্রণাই বাড়ায়।সুমনের ইদানিং গা ঘেষা স্বভাব হয়েছে।রুমকি হতাশ।ভীতু লোকের সঙ্গে প্রেম করা ঠিক নয়।



জনি কোচিং এ ছেলেদের একটি জোক শুনাচ্ছে।একাজটি সে নিয়মিতই করে।সরস ভাষায় বলছে একটা বাচ্চা ছেলে আর একটা বাচ্চা মেয়ে এক সঙ্গে খেলছে।তাদের গায়ে কোন কাপড় নেই।মেয়েটি ছেলের ইয়ে ধরে টানছে।ছেলেটা ব্যথা পাচ্ছে। ছেলেটার ধারণা মেয়েটার ওটা ধরে টানাটানির বদঅভ্যাসের কারণে নিজেরটা ছিড়ে ফেলেছে ।:P তাই মেয়েটার ওটা নেই ।;)তারটাও ছিড়ে ফেলার চেষ্টা।X((বেশি জোড়ে টানাতে ব্যথায় ছেলেটি বলছে নিজেরটাতো ছিড়ে ফেলেছো এখন আমারটাও ছিড়।X(





সবাই হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। ওটা জনির বলা সবচেয়ে ভদ্র জোকস। মেয়েরাও দূর থেকে শুণে মুখ টিপে হাসছে। জনির জোকস বলার ভঙ্গিটাই এমন যেন দূর থেকে মেয়েরা সব শুনতে পায়।



রাতুলের টিনার সঙ্গে খারাপ সময় যাচ্ছে। সম্পর্ক না টিকার মতন অবস্থা।বদি নামের এক ছেলের সঙ্গে নাকি তার প্রেম হয়েছে।রাতুলের চোখমুখ প্রায়ই শুকনো মলিন থাকে। তার জন্য সুমনেরও খুব মায়া। রাতুল বেশি চিন্তিত এই ভেবে যে বদি মানুষ হিসেবে ভাল নয়। একজন অসৎমানুষ যত সম্পদশালী ই হোক একটা মেয়েকে সুখি করার যোগ্যতা রাখে না। পাপের ধন প্রাশ্চিত্তে যায়্।সেই খারাপের হাত থেকে বাঁচাতে রুমকি সহয়তার হাত বাড়ার রাতুলকে। রাতুলের পক্ষে টিনাকে বুঝানোর চেষ্টা করে।তবে সম্ভাবনা দিনকে দিন ক্ষীনতর হতে থাকে। রাতুলের প্রতি তার প্রচন্ড মায়া হয়। ওর মত শার্প ছেলে মনে কষ্ট পেয়ে ক্যারিয়ারে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।সুমনের প্রতি রুমকির বিরক্তি দিনকে দিন বাড়ছে।যতই রাতুলের সম্পর্কে জানছে তাকে ততই ভাল লাগতে শুরু করছে।রাতুলের তুলনায় সুমনকে অনেক হালকা মনে হয়।সুমন তার জীবনে এক হতাশার নাম।তাতে সুখ সামান্য ই মিলে। অসুখের পরিমান অনেক বেশি।



গল্প হল মিথ্যে মিথ্যে খেলা

মিথ্যে দিয়ে সুযোগ বুঝে সত্য বলে ফেলা।:P

----------------------------------------->চ্যাপটার-৫......

বান্ধবী-৪

বান্ধবী-চ্যাপ্টার-৩

বান্ধবী-চ্যাপ্টার-২

বান্ধবী-চ্যাপ্টার-১

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: লিংক দিলেন ৪ নম্বরের, তার মানে এইটা কি ৫ নাম্বার পার্ট? একটু কিলিয়ার কৈরা দিলে আমাদের মত আদমদের বুঝতে সুবিধা হয়!

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটা ৫ নম্বর পার্ট ।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

মদন বলেছেন: কার মধ্যে কি বুঝতে গিয়ে পোরা প‌্যাচ লাগায়া ফেলছি :(

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার জট থেকে রক্ষা পেতে হলে পূর্ববর্তী ৪ টি চ্যাপ্টার পড়তে হবে।এখানে ৪নম্বর চ্যাপটারের লিংক দেয়া আছে ।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্পটিতে গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো চরিত্রে নিজে হিসেবে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।গত পর্বে বদি।এ পর্বে রুমকি। তাই অনেকে প্যাচে পরতে পারেন।গল্প বর্ণণায় ভিন্নতাআনার চেষ্টা :)

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল চালিয়ে যান
আরও রস চাই গল্পে প্রকৃতির ছুঁয়া আর অজানা রহস্য থাকলে পড়ার
মজা ।
ধন্যবাদ থাকল

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা। জনির চরিত্র বুঝাতে একটু রসের অবতারণা করা হয়েছে। তা শালিনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়নি বলে ই আমার বিশ্বাস।

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: কনফিউসড!!!

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কোথায়? কার ব্যাপারে। কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্পের শেষে সব কনফিউশন দূর হয়ে যাবে

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: জোকসের ব্যাপার আমাদের ফ্রেন্ডদের মাঝেও এরকম হয় যে.... =p~

১৩১ বার পঠিত কিন্তু ১ম প্লাসটা আমিই দিলাম

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সবাই কেমন কনফিউজড প্লাস দিবে কিভাবে?আপনার প্লাস পেয়ে খুব ভাল লাগছে। অবাক হচ্ছি পাঠক আছে ভাল ই ব্লগার ঢু মারছেন কমই।সবাই মনে হয় লগ আউট হয়ে পড়ছেন।

বিদেশে জোকস বলতে ডার্টি জোকস ই বোঝায়।


অনেক অনেক ধন্যবাদ ১ম ভাল লাগায় ।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: গল্পে ভাল লাগা রইল,,,,,,,,,,চালিয়ে যান,,,,,,,,,,শুভকামনা

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ ।নিরন্তর শুভকামনা ।

৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই গল্পের শেষ কোথায় ? অপেক্ষার প্রহর গোনা কি শেষ ?

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেখা যাক কি হয়.....পারিপার্শি্ব কতার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকে তাহলে সুনদর সমাপ্তি সম্ভব হয় না। :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.