নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মমতাময়ী মা (ছোট গল্প)

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮





সুমিতের শরীরটা ভীষণ রকম অসুস্থ ছিল। জ্বরে গা পোড়ে যাচ্ছিল। শরীরে কেমন শীত শীত অনূভূতি।গ্রীষ্মকালে কম্বল গায়ে শুয়ে আছে। ব্যাপারটা কেমন? সবাই গরমে ভীষণ আস্বস্তিতে।গা দিয়ে ঘাম ঝড়ছে।সেখানে ও কাপছে।তার মা মাথায় পানি ঢেলে দিচ্ছেন। আনারস কেটে রাখা আছে সামনে।মুখে দারুণ অরুচি। অন্য কিছু খাওয়া যাচ্ছে না।খেতে গেলে বিস্বাদ একটা অনুভূতি।বেশ কয়েকবার বমি হওয়াতে শরীরটা আরো দূর্বল লাগছে। তবে বমি আসার সময়টা খুব বিরক্তিকর। হয়ে গেলে প্রশান্তি। অনেকটা টয়লেট সারার মতন।মা লাগাতার সেবা যত্ন করে যাচ্ছেন। দিন নেই রাত নেই।সবসময়। পাশেই ঘুমিয়ে পরছেন বালিশে মাথা রেখে বসা অবস্থায় ।





কপালে পানি পট্টি দেয়া,গা পানি দিয়ে দিয়ে মোছে দেয়া।আরও কতকি?কিছুক্ষণ পর পর জিজ্ঞাসা করছেন।কেমন লাগছে কি খেতে ইচ্ছা করে। বাসা মোটামুটি ফলের স্টল বানিয়ে ফেলেছেন। লালন মরলো জল পিপাসায় থাকতে নদী মেঘনা। এত খাবার থাকলে কি হবে?সুমিত খাচ্ছে শুধু করলার তরকারি সাদা ভাত।আর ফলের মধ্যে আনারস।জ্বর একটু বেড়ে গেলেই মা কেঁদে কেটে একাকার করছেন।আর বাবা মার কথা মত সব কিছু এনে হাজির করছেন।মাঝে মাঝে দোআ দরূদ পড়ে ফু দেয়া চলছে।ওষুধ ও চলছে। তবে সুস্থ করার মালিক আল্লাহ। ডাক্তার বেটার ওষুধের কিছুই করার নাই্ ।



সামনে ঈদ ।সুমিত সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হয় যখন ঈদের মধ্যে জ্বর আসে। হাতে মাত্র চারদিন বাকি এর মধ্যে সুস্থ হওয়া লাগবে।ভাইরাস ফেভার হলে সুস্থ হওয়ার ব্যাপক চান্স। তবে জ্বর চলে যাওয়ার পর আসল খেলা শুরু হয়। মুখটা আরো অস্বাদ হয়ে যায়।ঈদের খাওয়া মাটি মানে বিশাল ক্ষতি। বছরে দুটো ঈদ বিশেষ খাওয়াদাওয়ার প্রগ্রাম সেখানে এই ব্যাঘাত কি প্রাণে সয়!



তাছাড়া বিরাট একটা ক্ষতি তার হয়েই গেছে।আদুরীকে সে প্রতিদিন ফুল গিফট করে। অসুস্থতার কারণে তা করা হচ্ছে না। একেক দিন একেক রকম ফুল। আদুরীর পছন্দ টিউলিপ।আদুরী প্রচন্ড অভিমানি।তার দেয়া সব কিছুকে পচা বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করবে কিন্তু নিভৃতে সেই ফুল গুলো হাতে নিয়ে বসে থাকে। ফুল গুলি তাকে ভাল বাসার অনুভূতি দেয়। অবশ্য ফুল না পেয়েই ইতিমধ্যে সে নিশ্চিৎ হয়েছে সুমিত অসুস্হ।কিন্তু কিছু্ই করার নেই সুমিতের ফোন নম্বর তার কাছে নেই। তারটাও সুমিতের কাছে নেই। ও ফোন নম্বর নেয়না এজন্য যে তাহলে সুমিত প্রতিদিন ওর সঙ্গে দেখা করবে না।সুমিতের সঙ্গে ঝগড়া করাটা তার কাছে ব্যাপক উপভোগ্য।ওটা করার জন্যই সারা জীবন সুমিতের সঙ্গে থাকার চিন্তা ভাবনা। সুমিতের কোন কাজকর্ম তার মোটেই ভাল লাগে না! সুতরাং ঝগড়া করার অনেক সুযোগ থাকায় লাইফপার্টনার হিসেবে তার নাম্বার ওয়ান চয়েস সুমিত।



মাঝে মাঝে অনুপস্থিতি নাকি উপস্থিতির চেয়ে অনেক বেশি অনুভূতির জন্ম দেয়। যাই হোক ওর অনুভূতি বোধ করি এখন তুঙ্গে।কারণ জ্বরের বেশ কয়েকদিন তার সংগে দেখা হয়নি।অনেকগুলো ঝগড়া জমে আছে।সুমিতের কিন্তু ওর জন্য খুব মায়া হচ্ছে মনে হচ্ছে যুগ যুগ ধরে তার সঙ্গে দেখা নেই।সারাক্ষণ দুশ্চিন্তা। কোথায় আছে, কি করছে,খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করছে কিনা?রাস্তা ঘাটের যে অবস্থা তাতে যে কোন ঝুকি নেমে আসতে পারে।তার প্রেমে ফিদা লোকজনের অভাব নেই।তাই সব আশংকার চেয়ে বড় আশংকা হলো ওকে হারানোর আশংকা।





তবে এটা সত্যি তাসফিয়া আর সুমিতের জন্ম হয়েছে ভালবাসবার জন্য।বন্ধুরা অন্তত তাই বলে।সুমিত তাসফিয়াকে আদর করে ডাকে তেসো। যাই হোক সুস্থ হয়ে ঈদের শেষ কার্যদিবস শেষে তেসোর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়।অনেক দিনের জমানো ঝগড়া ।সেগুলো সাফল্যের সঙ্গে করতে হবে। কত দায়িত্ব! তেসো ও সুমিতের জন্য পাগল পারা হয়ে আছে। কয়েকদিনের বিরতীতে তেসো হৃদয়ে ব্যাপক অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছে। রমনায় পড়ন্ত বিকেলে তারা দুজন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনিত হয় । খোলা আকাশের নিচে আর কোন ঝগড়া ঝাটি নয়। ঝগড়া হবে বাসায় বেড রুমে ,খাওয়া টেবিলে মোট কথা একই ছদের তলায়।



রমনায় ঘুটঘুটে অন্ধকার। এর মধ্যে কপোত কপোতি বসে আছেন পরম সুখে।রাজ্যের সুখ ভর করেছে রমনায়।কারো দিকে কারো কোন ভ্রক্ষেপ নাই।মিষ্টি প্রেমের মিষ্টি খেলায় ভাসিয়েছে ভেলা তরুণ তরুনী।এক দল যুবক যুবতি মেতেছে দারুন আড্ডায় । হাতে গীটার । একজন গান ধরেছে কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই।আরো কত গান। অঞ্জন দত্ত বোধ করি তাদের প্রিয় সিঙ্গার। রঞ্জনা আমি আর আসবো না,মেরিয়েন ,বেলাবোস কাঞ্চন জংঘা কাঞ্চন মন ।ছেলে গুলো দারুণ গাছ্ছিল।অঞ্জন দত্ত নচিকেতা ওদের গানে কেমন যেন তারুণ্যের ছোয়া মেশানো। আড্ডার সঙ্গে বেশ য়ায়। যাই হোক সঙ্গীত মুখর সন্ধ্যা রাত্তিরে জীবনের হিসেব নিকেশে ব্যস্ত সুমিত আর তেসো।সিদ্ধান্ত দ্রুত বিয়ে করে ফেলবে তারা।







বাসায় ব্যাপারটা জানাতে হবে। সেখানেই যত বিপত্তি।সুমিতের ফমিলিতে ব্যবসা বাণিজ্য নেই আর তেসোর ফ্যামিলি বনেদি ব্যবসায়ী।দুই ফ্যামিলি তেসো -সুমিতের ব্যাপারে এক হতে পারবে তো।ব্যাপারটি তেসো আর সুমিত দুজনে বেশ আলোচনা করলেও সিদ্ধান্ত হলো তারা বিয়ে করবে। ফ্যামিলি না মানলেও তারা সিদ্ধান্তে অটল। সুমিত জব করে। না খেয়ে মরার চান্স নেই। চলে যাবে ভালবাসাবাসি করে দিন। ভালবাসাই তাদের ব্যবধান ঘুচিয়ে দিবে। লাভ উইল মেক দেম পারফেক্ট ফর ইচ আদার।



ভালবাসা হয়েছে।ঝগড়া হয়েছে। হয়েছে ফুল বিনিময়।

সময় কোথা দিয়ে কেটে গেছে ।মধুর সময় বুঝি এমনই হয়!




সুমিতের কাধে মাথা রেখে গান শুনছে তেসো। তরুণ তরুনীদের মধ্যে কে একজন গান ধরেছে জেমসের ;হতেও পারে এ গানই শেষ গান হতে পারে এ দেখাই শেষ দেখা।ব্যাপারটা দারুন সত্যি ঈদে চুরী ডাকাতি বেড়েছে। বেড়েছে ছিনতাই। অজানা আশংকা কাজ করে।মরে গেলেই এ দেখাই শেষ দেখা ।কিসের এত দুঃখ তোমার বসে বসে কার কথা ভাবছো!



সুমিত তেসোর চোখে কঠিন প্রতিশ্রুতির দৃষ্টি। অনিন্দ্য সুন্দরী তেসোকে পুতুলের মতই লাগছে। অনেক সুন্দর পুতুল আছে তবে কোনটাই তেসোর মতো নয়।হঠাৎ তেসোকে বুকে জড়িয়ে আদর করতে থাকে সুমিত।বিয়ে তারা করবেই। ওরা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে না।



তেসোকে নিরাপদ জায়গায় পৌছে দিয়ে শাহবাগে এসে হাজির হয় সুমিত।গাড়ীর অপ্রতুলতা।ব্যাপক টেনশনে সুমিত। বাসা থেকে মা বাবরবার ফোন করছে। এর মধ্যে দেখলেন এক বৃদ্ধা অসহায় ভাবে দাড়িয়ে আছে। তার হাতে একটা ব্যাগ। জানতে পারলো ঘন্টাখানেক ধরে দাড়িয়ে আছে কিন্তু কিছু কোন গাড়ি পাচ্ছে না। বেচারা পেশারের রুগী। প্রচন্ড টেনশনে আছেন।



প্রচণ্ড জ্যাম। গাড়ি গুলো নড়ছে না।এমন জ্যামে গন্তব্যে পৌছতে সময় লাগবে তিন চার ঘন্টা।ব্যাপারটা আসলেই ভয়ানক। প্রচুর মানুষ গাড়ীর অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে।দেখলে মনে হবে কোন সমাবেশ মিছিলের প্রস্তুতি। বাসে উঠতে হলে মোটামুটি যুদ্ধ করে উঠতে হবে।





বেশি সময় ধরে প্রেম করার জন্য স্রষ্টা প্রদত্ত পানিশমেন্ট।আসলে স্রস্টাকে ভালবাসতে হবে সবচেয়ে বেশি। সেখানে অন্য কেউ এলেই তার ঘাড়ে শাস্তি মাস্ট। এখন সুমিতের ঘাড়ে শাস্তি আসার কারণ তেসোকে বেশি পারিমানে ভালবাসা ।আল্লাহর মার দুনিয়ার বার।দেখা যাবে তেসোকে দিয়ে ই স্রস্টা কঠিন শান্তি দিবেন। তেসো তার অনেক প্রিয়। তেসো তাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়ার যোগ্যতা রাখে।



সুমিতের খুব মায়া হলো বৃদ্ধার জন্য। বৃদ্ধাকে আশ্বস্ত করলো মা আমি আপনাকে বাসায় পৌছে দিব।দুশ্চিন্তা করবেন না। গাড়ীতে বসে অনেক কথা হলো বৃদ্ধার সঙ্গে।তার মেয়েদের কোথায় বিয়ে দিয়েছেন ব্লা ব্লা ব্লা।







তার একমাত্র ছেলে। ছেলেকে বিয়ে দিয়েছেন এক সুন্দরী শিক্ষিতা মেয়ের সঙ্গে। ছেলে তার বউ ছাড়া কারো কথা শুণেনা। তার বউমা ও সব কিছুতে ব্যাপক বাড়াবাড়ি করেন। প্রায়ই তার চাইনিজ রেস্টুরেন্টে যাওয়া লাগে। আজে বাজে খরচ করে প্রচুর। আর নিজের বাবার বাড়ি যা পারে তাই পাঠিয়ে দেয়। বৃদ্ধার দুঃখের শেষ নেই।সুমিতকে পরামর্শ দেয় গরীবের ঘরে বিয়ে করতে নাই।গরীব ঘরের মেয়েরা হয় লোভি । আর প্রচন্ড ক্ষুধার্ত।তাদের খাই খাই শেষ হয় না। এমন মেয়ে বিয়ে করা উচিৎ না। ছেলেটাকে তার শেষ করে দিল।হুকুমের চাকরের মত ছেলেকে দিয়ে সব করায়। আর ছেলেও বউ যা বলে তাই করে। তার ছেলের অনেক কষ্ট।এসব বলতে বলতে বৃদ্ধার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরে।সুমিত কি বলে সান্তনা দিবে ভাষা খুজে পায় না।বৃদ্ধা গাড়ী থেকে নামার আগে বলল ছেলেকে আলাদা করে দিয়েছি। ওই বউয়ের সঙ্গে থাকা যায় না।বৃদ্ধা মা একা ই থাকেন।তার স্বামীও মারা গেছেন বছর হয়ে এল।



সুমিত রিকশা নেয়।দ্রুত বাড়ি পৌছতে হবে। ভাবনার জগতে হারিয়ে যায়। হয় বৃদ্ধাটি তার ছেলের জন্য অনেক মমতাময়ী কিন্তু ছেলের বউয়ের জন্য তেমনটি নয়। হতে পারে তিনিই দজ্জাল শাশুড়ী ।কিংবা বউটি হয়তো শাশুড়ীকে দেখতে পারেন না মোটেই।মায়ের মত দেখলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।নিজের ব্যাপারেও ভাবে সুমিত। সেও একমাত্র ছেলে। তাকে ছেড়ে তার মা আলাদা থাকবে ভাবতেই কেমন গা শিউরে ওঠে।বৃদ্ধার জন্য প্রচন্ড মায়া লাগে। মায়া লাগে বউটির জন্য ও।ছেলেটেরি জন্যও কারণ সে মার মমতা থেকে দূরে থাকছে। মায়ের মমতা তার জুটছেনা। হাও প্যাথেটিক!



যাই হোক ভালবাসা গভীরিকরণ চলছে।তেসো ঠিক মত পৌছেছে জানা থাকলেও সুমিতের ব্যাপারে জানতে পারছে না তেসো। সুমিতের অনুপস্থিতি তেসোর মনে গভীরতর অনুভূতির জন্ম দিচ্ছে।অনুপস্থিতি জনিত ভালবাসার গভীরতা তেসোর মনে সৃষ্টি হলেও সুমিতের মনে আশংকার সৃষ্টি করে।তেসোকে হারানোর আশংকা !তবে বিয়েটা হয়ে গেলে তার এ অযাচিত বেদনা আর আশংকা থেকে মুক্তি মিলবে।





মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

+++++ রইল ভাই।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ম কমেন্টে ও প্লাসে ধন্যবাদ।এখানে নারী নির্যাতনের কিঞ্চিৎ হিন্টস দেয়া হয়েছে।আছে মমতাময়ী মা আছে প্রিয়তমা । কান্ডারী শুভকামনা থাকলো ।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

বাংলার হাসান বলেছেন: +++++ রইল ভাই।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টেআর প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা। গল্পটার মধ্যে এমন কমেডি রস পাবেন।এমনটা সহজে মিলবে না কোন লেখায়। =p~

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । ভাল লেগেছে ।



(অফ টপিক- আমি কিন্তু কখনো বলিনি যে আপনার গল্প আমার ভাল লাগে না । আমি বলেছি আপনার কবিতাগুলো অনেক সুন্দর হয়, অনেক সাবলীল । হয়ত গল্পের চেয়ে কবিতা বেশি লিখেন বলেই কবিতা অধিক সুন্দর হয় ।

আমি এই অপবাদ থেকে মুক্তি পেতে চাই @প্রিয় সেলিম ভাই :) )

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এত সহজে ক্ষমা নাই্ মুক্তি পেতে চাওয়ার ব্যাপারটা আরো সুস্পষ্ট করতে হবে।এই গল্পে কি নাইঅ প্রেম,মায়ামমতা সূক্ষ কমেডি কতসুন্দর নিজেএডিট করা ছবি ।কত সুন্দর দুটো পুতুল। তারপরও গর্প ভাল না লাগার কারণ কি? খুলে বলতে হবে। গল্পটা খুব দ্রুত লিখেছি।

কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা । ভাল থাকবেন সবসময়।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আরজু পনি বলেছেন:

++++

:)

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: :D :D :D :D ধন্যবাদ । শুভকামনা। ভাল থাকবেন সবসময়। ঝগড়া করতে মুন চায়।

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: যেসব পুরুষ বউয়ের আঁচল ধরে থাকে আর মাকে কষ্ট দেয় তারা কাপুরুষ। গল্প ভালো লেগেছে।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা জানবেন। কিন্তু যে মমতাময়ী মা তার পুত্রবধুকে সহ্য করতে পারছে না। গল্পের ওই অংশটি সত্য ঘটনার উপর লিখা। পুরোটা সত্য হয়ে ঘেলে অবাক হবো না।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ। কমেন্টে ও ভাল লাগায়।শুভকামনা থাকলো।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

ইনকগনিটো বলেছেন: এক জায়গায় দেখলাম আদুরী লিখেছেন । তেসোকেই কি আদর করে আদুরী ডাকা হয়েছে?

পড়ার সময় গল্পের গতিপথ বুঝতে পারছিলাম না। পরে কমেন্টে এসে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলো।

শুভেচ্ছা সেলিম ভাই। অনেক ভালো থাকবেন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তেসোই আদুরী। যাক ক্লিয়্র হওয়াতে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো।

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের শিরোনাম যা ইঙ্গিত করে , ভেতরের বর্ণনা তার আংশিক পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে মনে করি অর্থাৎ নামকরণের সার্থকতা নাই এমন আর কি !

শুরু হলো সুমিতের জ্বর দিয়ে হঠাৎ করেই আসলো তেসোর প্রসঙ্গ। শেষও হলো তেসোকে দিয়ে। মাঝে এক বৃদ্ধার আগমনে গল্পে কিছুটা ব্যালেন্স রক্ষার ব্যাপার ঘটেছে নামকরণ নিয়ে।

সবমিলিয়ে এভারেজ লাগলো।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুরু হয়েছে আকজন মমতাময়ী মায়ের মমতা সেবা দিয়ে শেষ হয়েছে এক মমতা ময়ী মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উপলব্ধি করার মধ্যে দিয়ে। একজন মা শাশুড়ি হয়ে সে কি সত্যি মায়ের স্নেহ দিতে ব্যর্থ হলো?

তাই মায়ের প্রাধান্য বিধায় এটি নাম মমতময়ী মা। সেই মাই বোধ করি শাশুড়ী হলে তেমনটি হতে ব্যর্থ হোন। তাই এমন নামকরণ। আপনার দৃষ্টিতে কি নাম হওয়া উচিৎ।

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

টুম্পা মনি বলেছেন: মিষ্টি গল্প। ভালো লাগল।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবসময়।

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের শুরু মায়ের সেবা দিয়ে শুরু হলেও শেষটা তেসোকে দিয়েই শেষ হয়েছে। আর পুরো গল্প জুড়েই সুমিতের আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে তার প্রিয় মানুষ তেসোকে ঘিরে। মা এবং সন্তানের ভালোবাসার গল্প না এটা--- আমার এমন টা মনে হয়েছে বলেই বলেছি।

আপনি যা ফোকাস করতে চেয়েছেন সেটা আমি তাহলে হয়ত বুঝতেই পারছি না। গল্প পড়ার পর যে বোধ আমার এসেছে সেটাই আমি প্রকাশ করেছি। আর আমার নিজের লেখা গল্পের নামকরণের ব্যাপার নিয়ে তো আমার নিজেরই অপারগতা বেশি , হিমশিম খাই। তাই আপনাকে নামের ব্যাপারে সাজেস্ট করতে পারছি না ভাই , দুঃখিত।

শুভ লেখালেখি। ভালো থাকুন।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তেসো ও তো মা হবে। মা শাশুড়ি বউ সিকোয়েন্স কিন্তু খারাপ নয়। তেসো তার ভালবাসা । ভালবাসার জেন্য সব করার যায়। কিন্তুএকটা সন্তান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

আমি ফোকাস করতে চেয়ে নারীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়। সব পরিচয়কে ছাপিয়ে সে কিন্তু মা মমতা ময়ী মা।আপনি এ ব্যাখ্যা না মানলে আমি এর
নামআপনার মুখ থেকে জানতে চাই।একটা লেখাকে কয়েকভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ থাকে। ধন্যবাদ।

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্ট ব্যাপক জমে ওঠেছে।এই গল্পের নাম কি হতে পারে তারএকটা যুক্তি সঙ্গত নাম যুক্তি সহকারে উপস্থিত করার অনুরোধ থাকলো। :)

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৫

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আপনি দেখি অলরাউন্ডার ব্লগার হয়ে যাচ্ছেন।

বেশ ভালো লাগলো :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ।এ গল্পের নাম কি হলে বেটার হবেআপনি মনে করেন?প্রিন্স হেক্টর। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

১৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: সেক্সপিয়র বলেছেন "হোটস ইন এ নেইম?" (রোমিও-জুলিয়েট)

নামে কীইবা আসে যায়? :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। তবে একটা জিনিস কি ব্লগে দেখি নামের দাম বেশি। নামকার কোন ব্লগার সাদামাটা মানের লেখা দিলেও সেটির ওপর হুমরি খেয়ে পরেন পাঠক।

১৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৭

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আসলে পোষ্টের নাম দেখে পোষ্ট পড়া বোকামী। নাম দেখে পোষ্ট সম্পর্কে কোন আইডিয়া করা সম্ভব না।

নামে কয় দিন চলবে? ফাকা কলসী বাজে বেশী। ভাল লেখকদের লেখাও অনেকে পড়ে। অন্তত আমি পড়ার চেষ্টা করি।

:)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সহমত।


একটা কথা ভাল লাগলো ফাকা কলসি বাজে বেশি।

আপনার মত গুণী পাঠককে সাধুবাদ জানাই। সবাই গল্প পাঠ করে মূল্যায়ন করার ব্যাপারটাএপ্রিসিয়েট করি। ধন্যবাদ।

১৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২২

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: সে মার মমতা থেকে দূরে থাকছে। মায়ের মমতা তার জুটছেনা।

কেও যেন মায়ের মমতা থেকে নিজেকে বঞ্চিত না করে।

গল্প ভালো হয়েছে সেলিম ভাই।+++++

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ভাল থাকবেন সবসময়।

১৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৩

ভিয়েনাস বলেছেন: আপাতত প্লাস দিয়ে গেলাম... কাল সময় করে পড়ে যাব :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্লাসে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা। ভাল থাকবেন সবসময়।

১৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

ভিয়েনাস বলেছেন: সন্তানের কাছে মায়ের চাওয়া খুব বেশি থাকেনা । আমার মা আমাকে হাজার বোকাঝোকা করলেও সেটা আমার গায়ে লাগেনা , কারন সে আমার মা, আমার মুরুব্বী, যা করবেন আমার ভালোর জন্যই করবেন এই বোধটা আমার ভেতরে কাজ করে কিন্তু আমি যখন কারো বউমা হয়ে যাই তখন শ্বাশুড়ির জন্য এই বোধটা তেমন ভাবে কাজ করেনা কারণ সে আমার মা না শ্বাশুড়ি।বউ শ্বাশুড়ীর সংঘর্ষ এখানেই। মানিয়ে চলা কঠিন।



১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে ধন্যবাদ। এখানটাই প্রকট আকার ধারণ করলে শুরু হয়ে যায় নারী নির্যাতন। অনেক বিদগ্ধ ব্লগার বোঝার চেষ্টা করেন নাই। এখানে কেন এত প্রেম।প্রেস হলো পাঠকে উপভোগ্য করার জন্য। তবে মা বউ আর শাশুড়ীই কিন্তু এখানে উপজীব্য।

শুভকামনা থাকলো সুপ্রিয় ব্লগার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.