নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
আজ ২৯মে তারিখে প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদির জন্মদিন ।তার একদিন হঠাৎ (৮৬)নাটক দেখে ফ্যান হয়ে গেলাম ।মহুয়ার মন (৮৬) নাটকে তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম ।নাটক দুটি দেখেছিলাম ১৯৯০ এর দিকে ।তারপর একটা সময় তার অভিনয়ের সামনে অন্যদের অভিনয় পানসে মনে হতে থাকলো ।কান কাটা রমজান চরিত্রটিই বোধ হয় তার সবচেয়ে সেরা কাজ । তাকে নিয়েই এই কবিতা । জন্ম একটি আনন্দ দায়ক ঘটনা ।নবজাত শিশুটিই কেবল কেঁদে ওঠে আর সবাই আনন্দের জোয়াারে ভাসতে থাকে । এমনই এক আনন্দময় পরিবেশে ১৯৫২ সালের ২৯মে প্রয়াত কিংবদন্তীর অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি ঢাকা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। প্রয়াত মানুষের জন্মদিন ঘিরে আজকের কবিতা প্রচেষ্টা । তাই হয়তো কবিতায় বিষাদের ছায়া সুস্পষ্ট ।
হুমায়ূন ফরীদি , মায়ার পৃথিবী ছেড়ে —অসময়ে চলে গেলে
বড্ড অসময়ে!!
চলে গেলে দূর নক্ষত্রের দেশে ।
আর স্মৃতির বনে রেখে গেলে শূন্যতা ঢের;
তুমি করলে জয়, অগনিত মানব হৃদয়,
তাই আজও থেকে গেলে অক্ষয়,
স্মৃতির ললাটে পরালে অবিনাশি টিপ
ব্যর্থতা চাপালে প্রাণসংহারি মরণের প্রয়াশে ।
রূপোলী পর্দার আলোয়
কাঁদালে,
হাসালে,
আনন্দে ভাসালে,
এভাবেই আকস্মাৎ হলো শেষ
তব জীবনের অবশেষ ।
আর থেকে গেলে সাফল্যের শিখরে
মরণেরও পরে।
চলার পথে আলোকবর্তিকা জ্বেলে
হয়ে গেলে বরণীয়—যাদুর পাখা মেলে ।
হুমায়ূন ফরীদি,
তুমি ‘চন্দ্রগ্রস্ত’ তুমি ‘সংশপ্তক’
তুমি ‘মহুয়া’র সাজে কিংবদন্তী সাজা;
তুমি ‘তিনি একজন’ এর বিলাসী আল্পনা
‘কোথাও কেউ নেই’য়ের ধূর্ত উকিল
‘শ্যামল ছায়া’র ছায়া
তুমি ‘সমুদ্রে গাঙচিল’
তুমি ‘বিশ্বপ্রেমিক’...
‘ভূমিকা’র বিরহী চরিত্র
‘সন্ত্রাস’ এর রামরাজত্ব সাজা
লজিং মাস্টার চরিত্রে অনবদ্য...
তুমি মঞ্চনাটকে অতুলনীয় — অভিনয় জগতের রাজা!
চলে গেলে না ফেরার দেশে
দু’চোখের আড়ালে ।
তবু অভিনয়ে অভিনয়ে মুগ্ধতা মেখে দিলে চোখে!
কখনো বেদনা দিলে এঁকে বুকে
আনন্দ বেদনার বেনাজল ঢেলে—অগণিত মানুষের দু’চোখ ভরালে,
হৃদয় জুড়ালে;
এই দিনে — তুমি এলে
স্মৃতিঘেরা ঊনিশ’বায়ান্নে,
আসা যাওয়ার রংমহলে ;
এলে সবুজ শ্যামল বাংলা মায়ের কোলে।
প্রথম যৌবনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলে
অতঃপর বিচিত্র সব চরিত্রের অসাধারণ রূপায়ন করলে রঙিন পর্দায়!
মন্ত্রমুগ্ধ করলে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।
আহা!!
সবটুকু জৌলুস সুধা নিয়ে
মায়ার পৃথিবী ছেড়ে বড্ড অসময়ে চলে গেলে !!
২৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সাত আসমানের সিঁড়িতে ফরীদির দূর্দান্ত অভিনয় অগনিত মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটেছে । নাটকটিও ছিল অসাধারন ।একজন টগবগে তরুণ একজন মুক্তিযোদ্ধা অবেশেষে একজন পরাজিত মানুষ । দারুন চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন ফরীদি ।
২| ২৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: হুমায়ূন ফরীদির জন্মদিনে তাঁর প্রতি আপনার শ্রদ্ধা নিবেদনটা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।
তাঁর অভিনয় দেখে আপনার কাছে অন্যদের অভিনয় পানসে মনে হতো, খুব সত্য একটা কথা।
তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টাও আমার কাছে অনেক বড়।
আর মানুষ হিসেবে দূর থেকে যেটুকু জেনেছি, অসম্ভব রসিক এবং ভাল মানুষ ছিলেন।
কবিতাটা অনবদ্য হয়েছে।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার মতে তিনি এই উপমহাদেশের সেরা অভিনেতা ।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন:
কি বোলব ভাষা খুজে পাচ্ছি না। অনেক কথা মাথায় আসে, কিন্তু তার জন্য কোন শব্দ মালা যে যথেষ্ট এটাই বুঝতে পারছি না। এক কথায় তিনি ছিলেন অনবদ্য। জন্মদিনে তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করছি।
আর কি পাবো তারে
আর কি পাবো তারে
যারে হারিয়েছি, এই ভব সংসারে।
২৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আইপিএল জমে ওঠেছে ।সানরাইজ হায়দারাবাদ পর পর দুম্যাচ হেরে গেল ।এর প্রথমটি একেবারে বিস্ময়করভাবে শেষ দুবলে দু বাউন্ডারী হাকিয়ে সানরাইজের পরাজয় নিশ্চিত করা হলো।ক্রিকেট বিশ্বের নতুন তারকা মোস্তাফিজ উনিশতম ওভারে দূর্দান্ত বোলিং করে মাচটি সানরাইজ হায়দারাবাদের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুললেও শেষ ওভার করতে এসে অনেকগুলি রান দিয়ে তীরে এস তরী ডুবানোর কাজটা করলো স্রেন।আর ২য়টিতে দুটো বল ছাড়া মোস্তাফিজের কোন বল সচ্ছন্দে খেলতে পারেনি প্রতিপক্ষ।তারপরও তার চার ওভার থেকে রান আসলো ৩২।স্লিপ ঘেষে ক্যাচমত বল চলে গেল সীমানার বাইরে।বল অনেক উচুতে ওঠে গেলেও সেটির পেছনে তাড়া করতে দেখা গেলনা কাউকে।সহজতম একটি ক্যাচও মিস হলো ।মোস্তাফিজ ফিল্ডারদের কাছ থেকে ষোল আনা সাপোর্ট পাচ্ছে না!সঠিক পরিচর্যা পেলে মোস্তফিজ ক্রিকেট বিশ্বকে মাতিয়ে রাখবে অনেক দিন । সত্যি মোস্তাফিজের প্রখর আলোয় অন্যরা ম্লান হয়েছেন ।বল হাতে ক্রিকেটবিশ্রে রাজা হয়ে ওঠুক এই তরুন তুর্কি।তিন জন কর্মকর্তা মিলে ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারা স্তুতি চলছিল ।এর মধ্যে হঠাৎ করে তুলনা চলে আসলো আমাদের প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি আর বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।আলোচনায় অমিতাভ এগিয়ে থাকলেন উচ্চতায় আর ভারতের বিশাল বাজারে ।অমিতাভ একশন মুভিতে দারুন সফল।আর বাদ বাকী ব্যাপারগুলিতে ফরীদিকে পেছনে ফেলতে পারেনি অমিতাভ বচ্চন ।ভিলেইন রোলে ফরীদি শতযোজন এগিয়ে। কমেডিতে ফরীদিকে পেছনে ফেলে সাধ্য কার ।ট্রজেডিতে ফরীদির অভিনয়ের যে লেভেল সেটি অতিক্রম করা অসাধ্যপ্রায় ।রোমান্টিক ডায়লগ ফরীদির মত করে কেউ কি পেরেছেন? তার কন্ঠস্বর একে বারেই ব্যতিক্রম।অমিতাভও এ ব্যাপারে সমীহ জাগানো অবস্থানে ।ফরীদির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেন সপ্রতিভ অভিনেতা ।তার হাত হাতের আঙুল এমনকি পিঠটাও অভিনয় করে ওঠতো ।আর তার অট্টহাসি!!তেমনটি আর কেউ পেরে ওঠেনি । দেশপ্রেমিক ফরীদি !তাকে শ্রদ্ধা জানাতে হয়।তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তার মুখ থেকে কথাটি্ কখনো বেড় হয়েছে বলে মনে পরছেনা ।ফরীদি ক্যারিয়ারের লোভে, অর্থ আর খ্যাতির লোভে দেশ ছাড়েননি।ফরীদির বিত্তের অভাব হয়নি ।কিন্তু মধ্যবিত্তের মতই ছিলো তার বেশ ভুশা ।ফরীদি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ অভিনেতা ।একজন ভার্সেটাইল জিনিয়াস।তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পরতে দেখিনি বরঞ্চ চোখের দুপাতায় অশ্রু আটকিয়ে রেখে এমন আবেদনের সৃষ্টি করতেন তা দেখে দর্শকরা চোখের পানি আটকে রাখতে পারেনি । এমন একজন ফরীদি শত বছরেও জন্মায় না শুধু স্রস্টা চাইলেই জন্মাতে পারে । এখন ফরীদি বেঁচে থাকেন তার অভীনিত নাটক সিনেমার মধ্য দিয়ে ।বাংলা চলচ্চিত্রের খল চরিত্রকে তিনি সম্মানিত করেছেন ।দর্শক একজন খলনায়কের পক্ষ সমর্থন করছেন এমন নজির ফরীদিই সৃষ্টি করছেন । ক্রিকেট নিয়েও তার উন্মাদনা ছিল । তিনি বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপস্থাপনা করেছেন এক্ষেত্রেও সফল ।ফরীদি ছিলেন সুপার এক্টর দর্শক কাঁদিয়েছেন হাসিয়েছেন। আমাদের আনন্দে ভাসিয়েছেন । ভিলেইন চরিত্রকে নায়কের চরিত্রের জনপ্রিয়তা দেয়ার মত দুঃসাধ্য কাজ তার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে ।
৪| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
অদৃশ্য বলেছেন:
ফিরিদীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি...
২৯ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ফরীদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি.
৫| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: বাংলার রূপালিতে
তিনি আসিলেন যখন
বাকিসবের অভিনয়
পানষেটে তখন ।
নজর কাড়িলেন তিনি
হলাম মুগ্ধময়
ইনি সেই ফরিদী
কারো কেহ নয় ।
অভিনীত নাটকগুলো
হতো ব্রগবাস্টার
মঞ্চের নাটকেতে
তিনিই সবার মাস্টার
ছায়াছবির জগতেতে
তিনি সদা ভিলেন
এই চরিত্রটিকে তিনি
নয়া রূপ দিলেন
দেখালেন ছায়াছবির
হিরোই সব নয়
ভিলেন হয়েই তিনি
করলেন লাখো হৃদয় জয় ।
আজকে প্রয়াত সেই ফরিদীর
শুভ জন্মদিন
হে গুরু ,আপনার তরেতে
লাখো সালাম নিন ।
======
সেলিম ভাইর কবিতায়
হাজার হাজার লাইক
হৃদয়ের ভালবাসা জানাতে
লাগেনাকো মাইক ।
২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:১৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন লিখেছেন । ভা ল লাগা দিলাম । ফরীদি কে লাখো ছালাম ।
৬| ২৯ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
কাবিল বলেছেন: তাঁহার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
কবিতায় ভাল লাগা রইল।
৭| ৩১ শে মে, ২০১৬ ভোর ৪:১৪
সোহানী বলেছেন: হুম এরকম অভিনেতা বার বার জন্মে না। কিছুটা নাট্য জগতের সাথে যোগাযোগ ছিল, সেখানে দেখেছি কি মায়ার বন্ধন সবার সাথে ছিল তার, সব কিছুতেই তাঁর অপরিসীম ভালোবাসা। তবে আমি দুই হুমায়ুনকেই তাদের মৃত্যুর জন্য জীবনের একটি একই রকম ভুলকে দায়ী করি। যাহোক সেটা আমার ভাবনা। ভালো থাকেন।
৮| ০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৭:০৯
দিয়া আলম বলেছেন: কবিতা অনেক সুন্দর হয়েছে,
ফেইসবুকে আপনার বউকে দেখেছি,উনি অনেক সুন্দর
ভালো থাকবেন
৯| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারণ এক অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদি । আমারও খুব প্রিয় । তাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । ভাল থাকা হোক হে কবি । কে জানে কার দিন কবে ফুঁড়িয়ে যায় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫০
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ভাই। হুমায়ুন ফরিদির মতো এতো ভালো অভিনেতা আর একজন ও নেই। "সংসপ্তক" নাটকে কান কাটা রমজান চরিত্রটি অসাধারণ! অনবদ্য! বলতে গেলে বাংলা নাটক আর চলচ্চিত্রে এক নতুন ধারার খল চরিত্রের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন। যার তুলনা দ্বিতীয় আর নেই। আমিও অন্য অনেকের মতো প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদির একজন ভক্ত। তবে উনার একটা নাটক দেখেছিলাম সেটা সম্ভবত ১৯৯৪/৯৫ সালের দিকের বা আরো আগের হবে ঠিক মনে নেই সেই নাটকের নাম ছিলো-"সাত আসমানের সিঁড়ি" ঐ নাটকে যে অভিনয় করেছিলেন তা আমার মনে এখনো দাগ কেটে রয়েছে।
অবশেষে প্রিয় ফরিদির জন্য আপনার প্রয়াসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকুন। আমাদের প্রিয় ফরিদিও পরজগতে ভালো থাকুন,এই প্রার্থনা করি।