নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু হতভাগ্য ভাগ্যবঞ্চিত মেধাবী কর্মকর্তার কথা বলছি

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৬




এস আর এস ও নং ১০৪ -আইন /২০১৬

(ক ) বিসিএস ক্যাডারভুক্ত এবং ৯ম গ্রেডে সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীগনের বেতন জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর নবম গ্রেডে একটি অতিরিক্ত অগ্রিম বেতন বৃদ্ধির সুবিধাসহ নির্ধারিত হবে; অর্থাৎ তাহাদের নির্ধারিত প্রারম্ভিক বেতন হইবে (২২০০০+১১০০=২৩১০০ টাকা ।
এবং
(খ)পদোন্নতির মাধ্যমে ৯ম গ্রেড প্রাপ্ত এবং বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়া কোন ক্যাডার পদে নিয়োগ লাভ করেন নাই কিন্তু বাংলাদেশ কর্মকমিশনের (পিএসসি ) সুপারিশক্রমে নন ক্যাডার পদে নিয়োগ লাভ করিয়াছেন এই সকল কর্মচারীগনের বেতন জাতীয় স্কেল ,২০১৫ এর নবম গ্রেডে নির্ধারিত হইবে ; অর্থাৎ তাহাদের নির্ধারিত বেতন হইবে ২২০০০ টাকা ।


প্রমোটি অফিসার আর বিসিএস নন ক্যাডার দের এককাতারে রাখা হয়েছে ।বিসিএস জেনারেল ক্যাডারে ৬০০ টি পদ থাকলে তার ৫৫% বা ৩৩০টি পদ কোটা থেকে থেকে নেয়া হবে আর মেধায় ২৭০ জন চাকুরী পেয়ে বিসিএস ক্যাডার পাবেন । আর এটিও উল্লেখ করা থাকে যে মেধাক্রমে ৪৫০০তম (আরও বেশি) কোটায় পুলিশ ক্যাডার পেয়েছেন ।এরপর লম্বা একটা বিসিএস পাশ তালিকা থাকবে।সেখানে ২৭১ তম থেকে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীর অবস্থান হবে ।

সর্বসাকুল্যে ২০০-৩০০ লোক ননক্যাডার বিধিমালায় বিসিএস নন ক্যাডার চাকু্রী পাবেন ।১০০০ মার্কের দীর্ঘ সময়ের একটি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ ব্যাক্তিটি বিসিএস নন ক্যাডার হয়ে প্রমোটি অফিসারের সঙ্গে এককাতারে থাকার গৌরব লাভ করবে ।

আর ৯ম গ্রেডে সরাসরি নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীগনের বিসিএস ক্যাডারদের সমানে থেকে একটি এনক্রিমেন্ট লাভ করবেন ।

এরা কারা বা কিভাবে ???
এরা অনেকে ভাইবা দিয়ে সরাসরি নিয়োগ পেয়েছেন কিংবা ১০০ মার্কের এমসিকিও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভাইবা দিয়ে নবম গ্রেডে জব পেয়েছেন এবং তারা বিসিএস ক্যাডারের সমান সম্মানিত ।তারা দেশের কর্তব্যাক্তিদের সরাসরি লবিং এ নিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত।মেধা সেখানে কেঁদে কেটে একাকার!

প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা মৌখিক দিয়ে সরাসরি, ১০০ মার্কের এমসিকিও ও ভাইবা দিয়ে সরাসরি আর বিসিএস নন ক্যাডার ১০০০ মার্কের মহাযজ্ঞ দিয়ে দেয়াদের জন্য সমানভাবে আবশ্যক ।

ননক্যাডারদের এখন দুইভাগে ভাগ করা হয় ।বিসিএস- ননক্যাডার আর নন -বিসিএস- ননক্যাডার ।

অথচ নন ক্যাডার গণ বিসিএস ননক্যাডারদের চেয়ে একটা ইনক্রিমেনট বেশি পাবেন ।

নন ক্যাডারদের অনেকে সারাজীবন পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস প্রিলিতে কোয়ালী করবেন কিনা সন্দেহ আছে !

১০০ মার্কের প্রিলি,৯০০/৮০০ মার্কের লিখিত আর ১০০/২০০ মার্কে ভাইবা এতগুলো পর্যায় পেরিয়ে তার শুরু নবম গ্রেড হলেও একটা ইনক্রিমেন্ট কম নিয়ে ননক্যাডারদের প্রমোটি হিসেবে সহাবস্থান করতে হবে!!!!!!!!

উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ!!!! ওহে ২৭১ তম মেধাবী আপনার প্রতি রাস্তার ফকিরও করুনার দৃষ্টিতে তাকাতে পারে ।অবাক হবেন না । বিসিএস এ মেধা কোটা আছে আর ননবিসিএস এ আছে মামা কোটা । কোটার রাজ্যে মেধা গদ্যময়।

বিসিএস ননক্যাডারদের যথাযোগ্য সম্মান কামনা করা অযৌক্তিক নয় ।কারন বিসিএস পাশ করে বিসিএস ক্যাডার হয় আর বিসিএস পাশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা এই দুই মিলেই বিসিএস ননক্যাডার ।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:১০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমরা সার্টের বোতাম পিঠের দকে লাগাচ্ছি।।

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হঠকারী সিদ্ধান্ত ।চরম খামখেয়ালীপনা । বিসিএস নন ক্যাডারদেরকে ক্যাডারদের সমান সম্মান সম্মানী ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। ভুল সিদ্ধান্ত যত দ্রুত সংশোধন করা যায় ততটাই মঙ্গলজনক ।বিজ্ঞ সরকারের বোধ উদয় হোক এই কামনা থাকলো ।

২| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মগের মুল্লুকে নিয়ম আশা করাই কি বোকামি নয়!

০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখানে যোগ্যতা যাচাই আর তদানুযায়ী সম্মান ও সম্মানীর ব্যপারটি নিশ্চিৎকরণের দাবী অমূলক নয় । ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পূর্ব শর্ত হলো যোগ্যতা সম্পন্ন লোকের যথাযথ মূল্যায়ন আর নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা । বিসিএস নন ক্যাডার বিধিমালায় নিয়োগে দূর্ণীতি হ্রাসে ভূমিকা রাখতে পারে । এক্ষেত্রে কর্তাব্যক্তিদের নিয়োগ বানিজ্যের ব্যাপারটি যদি এসেও যায় তবু বিসিএস পাশ এর পর একটি কাঙ্খিত লেভেলের প্রার্থীদের মধ্য থেকে ব্যাপারটি হবে । এখানে খরচের ব্যাপারটিও এসে যায় ।একটি চাকুরীর বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে নিয়োগ পর্যন্ত ব্যাপক সময় ও খরচের ব্যাপারটি এসে যায় ।অর্থনৈতিক সাশ্রয় এবং মেধা যাচাই দুইব্যাপারই বিসিএস নন ক্যাডার নীতিমালা নিশ্চিৎ করে । সেক্ষেত্রে সরসরি ভাইবা আর ১০০ এমসিকিও পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া বহুদোষে দুষ্ট। নিয়োগ বানিজ্য আত্তীকরণের অর্থ অপচয় ইত্যাদি ইত্যাদি ।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪০

মুসাফির নামা বলেছেন: লেখাটা অবশ্যই চমৎকার।কিন্তু আমরা হলাম এখন গিনিপিগের জাতি,কিছুদিন পরে আবার আরেক রুলস,আবার,আবার......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.