নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
ঈদ আসন্ন।চাদের পালকি চড়ে ঈদ আসবে ঘরে ।ঈদ মোবারক ঈদ ।যারা রমযানে রোজা রাখবে রাতে তারাবি পড়বে।ঈদের রাতে প্রার্থনা করবে।ঈদের নামায শেষে ঘরে ফিরবে নিষ্পাপ শিশুটির মতন এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে ।তারপরও ঈদ অর্কের কাছে ভীতিজাগানিয়া একটা ব্যাপার ।অর্ক ওরফে আক্কেল আলী সরকারী কর্মকর্তা।ঈদবোনাস তার কাছে যতটা আনন্দের তার চেয়েও বেশি ভীতির কারণ।ঈদ সন্নিকটে এলে চারিদিকে যে শব্দটি ব্যাপক ব্যবহার হয় সেটি হলো ঈদ বোনাস ।সম্প্রতি বখশিশের পরিবর্তেও বোনাস শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে ।ঈদের ঠিক কত দিন আগে ঈদবোনাসের দৌরাত্ন শুরু তার কোন সাংবিধানিক রুলস নেই।তবে বোনাস কত প্রকারও কি কি অর্ক এবার বেশ ভাল করে উপলব্ধি করতে পারছে । এবারের ঈদবোনাস আতঙ্কের শুরু সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম ভাবে ।এই তো সেদিন সরকারী কোয়ার্টারের এক দারোয়ান বিনয়ের সঙ্গে বললো স্যার আমি খুব অসুস্থ।চিকিৎসা করতে টাকা লাগবে।ব্যাস এই ঈদে সেই প্রথম ঈদবোনাস দেয়া ।তারপর থেকে অফিসের কয়েক প্রকার কর্মচারীর ঈদবোনাস তথা বকশিস পঞ্চাশ বা একশ টাকায় কেউ সন্তুষ্ট নয় ।গুমরা মুখে আর হতাশ হয়ে সবাই ঈদবোনাস নিচ্ছে।সিএনজি ড্রাইভাররা ঈদ উপলক্ষ্যে তাদের মিটার খুলে রেখেছেন বেশ আগে ।রমনা থেকে বসুন্ধরা শপিংমল ।ড্রাইভারের অযৌক্তিক যুক্তি প্রচন্ড ভীড় অনক ঘুরে সেখানে যেতে হবে তাই মিটারে পোষাবে না ।মিটারে তো যত বেশি ঘুরা ততবেশি টাকা তাহলে সমস্যা কোথায়? তার উত্তর হলো আড়াইশো টাকা দিলে যাবো নইলে যাবোনা ।ঈদের পরেও ঈদবোনাস বহাল। ঈদের পরের দিন বউসমেত শ্বশুড়বাড়ি মধুর হাড়ি ভ্রমন সেখানেও তার দৌরাত্ব।বাস টিকেট আনতে গিয়ে সিএনজিতে বাসস্টেশন গাবতলীর কাছাকাছি ।সেখানেও ড্রাইভারকে দিতে হবে ভাড়া তিনশত টাকা । একটাই জবাব ঈদের সময় স্যার ।বাস কাউন্টার টিকেটের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ।তারপরও টিকেট সোনার হরিণ। তার যথাযথ মূল্যায়ন না করতে পারলে সোনার হরিণ হাত ফসকে বেড়িয়ে যাবে ।সেলুনে বোনাস মসজিদে রাস্তায় ঘরে সব জায়গায় বোনাসের দৌরাত্ব ।বউয়ের মন অসাধ্য রতন সেইটা গোপন থাক এখন । পত্রিকায় লেখালেখি সরকারী কর্মচরীদের বেতনেই চলে যায় মোটা অংকের টাকা ।সেই টাকা যে চাহিদার তুলনায় অসহায় কে বলবে সেই কথা ।তবে অর্ক অবাক হয়ে যান যখন লনড্রিও ঈদ বোনাস চেয়ে বসেন।দাম চুকাতে গেলে বলে ওঠেন নরমাল রেট দিলে হবে না । ঈদ বোনাস দিতে হবে ।সেই ঈদবোনাস দিতে দিতে বাড়িতে ঢোকার মুহূর্তে বাড়ির দারোয়ান বলে ওঠলেন স্যার বোনাসের টাকা কোথায় ? বোনাস দিবেন না?ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে এখন বোনাস উড়ছে ।রিকশায় ওঠেন আর বাসেই ওঠেন সব জায়গায় বোনাসের জয়জয়কার ।এদিক দিয়ে চাকুরীতে ক্লাস প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে এখন গ্রেডই মুখ্য ।বেশিদিন চাকুরী করার কারনে নিম্নশ্রেনীর অনেকে উচ্চশ্রেনীর গ্রেডে আছে ।সমতা রক্ষা হয়েছে । কর্মচারীরা মাসের বেতন ঈদের আগে পেয়েছেন আর অর্ক সহ কর্মকর্তারা মাসিকবেতন পরে পাবেন ।আর এই পরে বেতন পাওয়তেই অর্ক উন্নত প্রজাতির চাকুরীজীবী ।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:১৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাস্তবতা।।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: এত কিছুর মধ্যেও ভাল কাটুক ঈদ এই কামনায়