নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
অভিশপ্ত মহানগরী
মানুষে মানুষে ঠাসা।
তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
ট্রাফিক জ্যাম বেঁধেছে বাসা।
রাজপথ আর আবাসনে
নেই কোন পরিকল্পনা
মুষলধারে বৃষ্টি হলে _ চলাচলে,
কষ্টের নেই কোন সীমানা।
রাজপথগুলো যেন নদী!
জমবে পানি কোমড় অবধি;
যানবাহন যেন অফুরান
রাজপথে হয়না সংকুলান
থাকে না ঠাঁই তিল পরিমান।
গাড়ি চালকের স্বেচ্ছাচারিতা
অভারটেকিং এ বাড়াবাড়িতা
হর্ণের শব্দে যেন
যাবে ফেটে কানের পর্দা।
যান্ত্রিক নগরে আছে কী
কোন মানবিকতা।
মশার উপদ্রবে জীবন অসহায়
মেয়ররা সব নিদারুন ব্যর্থতায়।
তার উপর দানবের মতন
নেতা নেত্রীর গাড়ীর বহর।
ট্রাফিক জ্যামের বাড়াবে কলেবর
নগর জীবনের মান উন্নয়নে
ব্যর্থ যারা
তাদের চলনে নগর যাতায়াত
হয়ে ওঠে সর্বহারা ;
কোন কারণে দিনে দিনে
বাড়ছে মানুষ এইখানে।
কত মধু মাখা যে!
মানবতার চরম বিপর্যয়
মহানগর ঢাকাতে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গতকাল বাসায় ফিরেছি রাত ১:৩৬ মিনিটে যানজটের খপ্পরে। কোন নেতার আগমনে নাকি এই যানজট লেগেছে?
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শুধু ঢাকাতে নয় সারাদেশেই একই অবস্থা।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মহানগরী চট্টগ্রামে নাকি একই অবস্থা হয়। পানি জমে একাকার ।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪
চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: চরম ভোগান্তি সহ্য করে চরম কবিতা লিখেছেন
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার শিশু সন্তান আমি বাসায় যাওয়ার পর ঘুমিয়েছে............তার কষ্টে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাই ।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুব সুন্দর হয়েছে কবিতা , পাঠে মুগ্ধ ।
কোন কারণে দিনে দিনে
বাড়ছে মানুষ এইখানে।
কত মধু মাখা যে!
মানবতার চরম বিপর্যয়
মহানগর ঢাকাতে।
কবিতাটির কথামালার সুত্র ধরে চলুন একবার অতীত থেকে একটু ঘুরে আসি । ঢাকা মহানগরীর এই দুরাবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয়নি । আমরা সকলেই জানি দেশের ভারসাম্যমুলক উন্নয়নের জন্য প্রশাসনিক বিকেন্ত্রীকরণের কোন বিকল্প নেই । রাজধানী ঢাকার উপর চাপ কমানোর জন্য এটা অবশ্য করনীয় । আর এ কাজটা করা হয়েছিল ১৯৮২ সনে ।
১৯৮২ সালের ৭ই নভেম্বর স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা পুণর্গঠন) অধ্যাদেশ ১৯৮২ বলে প্রথমে উন্নীত থানা পরিষদ গঠন করা হয় এবং থানা পর্যায়ে বিকেন্দ্রীভূত প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। পরবর্তীকালে উন্নীত থানা পরিষদকে উপজেলা পরিষদে রূপান্তরিত করা হয়। এ সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত উপজেলাকে পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক কেন্দ্রে রূপ দেয়া হয়।
এটা করা হয়েছিল হুসেন মোহাস্মদ এরশাদের আমলে । মানলাম সে ছিল স্বৈরাচারী । তার দুষের কোন অন্ত নাই । এর জন্য সে জেলের ঘানিউ টেনেছে । তবে তার প্রবর্তিত উপজেলা পদ্ধতিটি সর্বমহলে ছিল প্রসংসিত এবং এর সুফল দেশবাসী পাচ্ছিল ।
উপজেলা পদ্ধতিতে উপজেলা পর্যায়ের সমস্ত কার্যাবলীকে মূলতঃ সংরক্ষিত ও হস্তান্তরিত এই দুইভাগে ভাগ করা হয়েছিল । সংরক্ষিত দায়িত্বের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিচার, রাজস্ব প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ, বৃহৎ শিল্প, খনন কার্য এবং খনিজ সম্পদের উন্নয়ন ইত্যাদি দায়িত্ব ছিল অন্যতম।
অন্যদিকে হস্তান্তরিত দায়িত্বের মধ্যে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, আন্তঃ উপজেলা সড়ক নির্মাণ ও সংরক্ষণ, কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ ও পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রণয়ন ইত্যাদি কার্যক্রম ছিল অন্তর্ভুক্ত।
এই উপজেলা পদ্ধতির সুফল যখন দেশবাসী পাচ্ছিল তখন এই পদ্ধতিটি ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া কতৃক বাতিল করা হয় সম্পুর্ণভাবে এক তরফা ভাবে । উপজেলা পদ্ধতির আওতায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মানের জন্য দেশের হাজার কোটি টাকা ব্যয়িত হয়েছিল । রাজধানী ঢাকা সহ অন্যান্য বড় বড় জেলা হতে লোকজন উপজেলায় বসবাসের জন্য জায়গা জমি ক্রয় করে বসতি স্থাপনের জন্য প্রয়াসী হয়েছিল । কিন্তু প্রশাসন ও দেশের উন্নয়ন কর্সকান্ডের এ্ই বিকেন্ত্রীকরণকে বন্ধ করে দিয়ে কেন রাজধানী ঢাকা সহ দেশের অন্য সকল বড় বড় শহড়ে আজকের এই ঘনবসতিপুর্ণ অবস্থা তৈরীর ব্যবস্থা নেয়া হলো , কেন তারা এক তরফাভাবে এমন কাজটি করেছিল, তার কি গ্রহণযোগ্য কোন সদুত্তর আছে ! নাকি শুধু বিরোধিতার জন্যই কর্ম করা তাতে দেশের যে দশাই ঘটুক না কেন ।
অবশ্য পরবর্তীকালে ১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদে উপজেলা অধ্যাদেশ ১৯৯৮ পাস করে পুনরায় উপজেলা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ থেকে এই অধ্যাদেশ কার্যকরী হয়। সর্বশেষ ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ আইন সংশোধন হয়। তবে যাই করা হোক না কেন ১১৯৮১ সনে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরনের বুকে যে শেল বিধানো হয়েছিল ১৯৯১সনে তার রেশ জাতি আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরবর্তী কালে। উল্লেখ্য পদ্ধতিটি যারা ১৯৯১ সনে বাতিল করেছিল তারা আবারো ক্ষমতায় এসে এই প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণকে বিবিধভাবে হ্রাস টেনে ধরেছিল বহুবিধ কারণে । এ হেন কর্মকান্ড করা না হলে রাজধানীর উপর এত চাপ পড়ত না বলেই মনে হয় ।
যাহোক, মহানগর ঢাকার বর্তমান যে অবস্থা তার হাত হতে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো ঢাকার বাইরে দেশের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ভারসাম্যমুলক বিস্তার ঘটানো ও সকলকে সচেতন হয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা ।
বিশেষ ধন্যবাদ রইল এই গনমুখী কবিতাটির জন্য ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার কমেন্টে পোস্টটি বেশ তথ্য সমৃদ্ধ হয়ে ওঠলো । এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
পরিকল্পনা মাফিক হলে এত জ্যাম হত না ।
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: কত দিন পর আপনার লেখা পড়লাম
আহা মধু
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও পাঠে ধন্যবাদ অপু দ্যা গ্রেট !! ব্লগে সুস্বাগতম ।
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ১১৯৮১ এটা ১৯৯১ হবে
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার আরও তথ্য থাকলে দিতে পারেন ।
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
আসি আসি করেও আসা হয় না ।
থাকতে না পেরে চলেই এলাম
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যাইহোক অবশেষে আসলেন ।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কবিতা ভালো লাগলো। সুন্দর প্রয়োজনীয় বিষয়ের দিকে নিয়ে গেছেন। মুগ্ধতা লেখনিতে।
৪ নং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রাখতেই হয়, তিনি খুব সুন্দরভাবে কিছু সমস্যা সৃষ্টির কারণ তুলে ধরেছেন।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আরও তথ্যসমৃদ্ধ কমেন্ট আসতে পারে । এ্ই যে এত অভার ব্রিজ ......আরও কত কি? তাতে কি সমাধান আছে?
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বৃষ্টি হলে পানি কিন উঠবে রাজপথে ????
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের।
২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ । উন্নয়নের মহসড়কে নৌকা চলবে
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: এর বুঝি কোন সমাধান নেই সরকারের কাছে? আজব দেশে বসবাস করি আমরা।
শুভ কামনা সেলিম ভাই
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কত মধু মাখা যে!
মানবতার চরম বিপর্যয়
মহানগর ঢাকাতে।
ঢাকা এখন অচল নগরীতে পরিণত হয়েছে। ঢাকার চিত্র সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কাউকে কিছু না পারি বলিতে, না পরি সইতে !! আরো সামনে যে আমাদের ভাগ্যে কি আছে ;কে জানে ।
১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সবার সচেতনতা জরুরী!
১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতীয় প্রশ্রাব দিবসের ছবি দিয়েছেন?
১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:৫৮
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
বসবাসের অযোগ্য এখন ঢাকা নগরী!! যথার্থই লিখেছেন আপিনি।
অনেক ধন্যবাদ ভাই!!
১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩
এম এ কাশেম বলেছেন: যুগোপযোগী।
শুভ কামনা।
১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গাল ভরা বুলি
আর দলীয় হাততালি
আমজনতা!
সে আবার কি? বলি!
নেতারা সব আছে ভাল
ছিল শুন্য- গোয়াল ভরল!
এত বেশী হয়না জায়গা দেশে
সুইচ করে সুইসে গেল অবশেষে!!
পাচার মাত্তর
পাঁচ হাজার ছয়শ কোটি
মালে বলবে -রাবিশ
নয়তো বেশী মোটে কয়টি?
ক্যান শুধু চিল্লাও-
নৌকাতে ভরসা নাও
১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২১
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের।
১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: ঢাকার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ
২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এভাবেই একদিন ডুবে যাবে
২১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জন ভোগান্তি নিয়ে চমৎকার কবিতা।
২২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: শুধু ঢাকা নগরীতেই নয় উন্নয়নের জোয়ার সারা দেশেই চড়িয়ে পড়েছে।
২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
রাতু০১ বলেছেন: মুক্তির উপায় কারো জানা নাই।
২৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিনদিন কড়া জ্বরের ১০৫ডিগ্রী জ্বরের হাত থেকে উঠলাম । তাই কমেন্টের রিপ্লাই দিতে পারি নি । আস্তে আস্তে সবগুলোর জবাব দেবার চেষ্টা করবো ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
সুমন কর বলেছেন: উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে সড়ক..................