নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি কবিতাআমার চোখে বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ ব্রাজিল-সার্বিয়া

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৬


একটি কবিতা
তিমির আঁধার নিধূয়া পাথার বাতায়ন ব্যথার বহিতেছে যে ক্ষণে ক্ষণে,
সুবাস ছড়াইতেছো শুধু, বারবার পথ ভুলাবার লাগি বাতাবি নেবুর বনে।
ওগো ফুল ভালোবাসিবার , জানিনা তুমি কোন সে বাগিচার!
সখি চাহিতেছি তোমারে ভালোবাসিবার তরে
আছো তুমি কোন সে সুদূরে ! মনে হয় গড়েছো আবাস ঐ মেঘের উপারে।
তোমার দেখা নাহি পাই-কেবল একেলা নিশি জাগি
অতন্দ্র প্রহরীর মতন! সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থাকি।
কতদিন কতরাত সয়েছিগো শুধু কাঁটার আঘাত
ফুলের কোমল ছুঁয়া নাহি পাই- আমার অন্তরায় ।
কাটার আঘাত দিবে শুধু সুবাস দেবেনা ফুল,
এ কেমন নিষ্ঠুর রীতি তব ভাবিয়া পাইনা কূল।
আজি এসেছে মহেন্দ্র ক্ষণ-- মুর হৃদয়ের রক্তক্ষরণ করো হে প্রশমন
সুন্দরো হে সুন্দরো ! কামনার অশ্রুজলে মোর আঁখি যেন ছলো ছলো ।
এতদিন কেবল সয়েছি কাঁটার আঘাত এবার ফুলের সুঘ্রাণ লহিবার চাই




দূর্ঘটনার রাতে ব্রাজিল দলের দূর্ঘটনা হলো মর্সেলোর মাঠ থেকে বেড় হয়ে যাওয়া । বেড় হয়ে যাওয়ার সময় সে কাঁদছে। প্রিয় দলের তথা প্রিয় দেশের হয়ে তার খেলা হচ্ছেনা। এর চেয়ে ব্যথার কি হতে পারে? দর্শকদের জন্যও এটি দূর্ঘটনা। খেলার শুরুতেই এমন অবস্থা। তার পরিবর্তে খেলতে নামলেন শীর্ণদেহের লম্বা এক খেলোয়াড়। জার্সি নম্বর ছয়। রবোর্টো কার্লোসের জার্সি নম্বর ছিল ৬। যে কার্লোসের পায়ে ছিল গোলার মত শট। প্রায় মাঝমাঠ থেকে ফ্রিকিক করে সরাসরি গোল করার অনন্য রেকর্ড যার ঝুলিতে। বুলেটের গতিতে দৌড়াতেন। এসব এখন কেবলই স্মৃতি ।

প্রতিপক্ষ সার্বিয়া শক্তিশালী দল । তাদের সঙ্গে ড্র করলে চলবে। ধীরলয়ে খেলা শুরু হলো। বল দখলের লড়াইয়ে তখন ব্যস্ত ব্রাজিল আর সার্বিয়া। আস্তে আস্তে খেলায় ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলো। সময় গড়াতে থাকলো একসময় মনে হলো ব্রাজিল সার্বিয়ার খেলোয়াড়দের বালকদের দল বানিয়ে বিভিন্ন কসরত দেখিয়ে চলছে। হ্যা ব্রাজিল দলের খেলেয়াড়রা হেঁটে হেঁটে বা দাঁড়িয়ে খেলছে। এ যেন খেলার মাঠে অসম প্রতিযোগিতা। ব্রাজিল দল তাদের ফ্যানদের বুঝিয়ে দিল আমরাই এবারের বিশ্বকাপে সেরা দল। সার্বিয়া কিছুটা চাপে ছিল এজন্য যে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য খেলায় তাদের জিততেই হতো । আর প্রতিপক্ষ হতো শক্তশালী ব্রাজিল। ফলে তারা আর সুবিধা করে ওঠতে পারেনি । আর ব্রাজিল দল ম্যাচ ড্র করলেই পরবর্তী রাউন্ডে। মোদ্দাকথা ব্রাজিল বেশ চাপমুক্ত স্বচ্ছন্দ । আর খেলাও হলো তাই দারুন শৈল্পিক।

প্রথমার্ধে পাউলিনহো গোল করলেন কোটিনহোর পাস থেকে বলের পিছনে দৌড়ে পা দিয়ে আলতো ছোয়ায় গোলরক্ষকের উপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে নিজেও ভারসাম্য হারিয়ে ডিবক্সে পড়ে গেলেন । গোল তো হলো। গোল হবার পর ব্রাজিলের খেলা আরো ভালো হতে থাকলো। নেইমার যেন প্রজাপতির মতো বল নিয়ে এদিক ওদিক ছুটলেন। তার পা দুটি যে পা নয় হাত। সেই হাত দিয়ে বল নিয়ে নানা ক্যারি কেচি দেখালেন। এদিন দারুন খেললেও গোল কিন্তু করতে পারেননি নেইমার। একাধিক সুযোগ নষ্ট করলেন। তবে দ্বিতীয় গোলটি হলো তার করা কর্ণার থেকে। আর কর্ণার থেকে হেড দিয়ে গোল করলেন থিয়েগো। থিয়েগো সিলভা, গত খেলার পর যার সঙ্গে নেইমারে বিবাদ নিয়ে খবর এসেছিল।

সেই থিয়েগো গোল উদযাপন করলেন সতীর্থ নেইমারের দিকে ফ্লায়িঙ কিস উড়িয়ে দিয়ে। নেইমারও কম যাননি। তিনি ফ্লায়িঙ কিস গ্রহণ করে আরেকটি ফ্লায়িঙ কিস ছুড়ে দিলেন থিয়েগোর দিকে। যাক বাবা তাদের ঘিরে বিবাদের ইতি ঘটেছে । দেশের হয়ে খেলতে নেমে নেইমার থিয়েগো দারুন একতাবদ্ধ। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য এটি খুব দরকার।

পাউলিনহো ভালো খেলেছেন, কোটিনহো ভালো খেলেছেন, উইলিয়ান ভালো খেলেছেন । কাসেমিরো ভাল খেলেছেন। জেসুস সারা মাঠ খেলেছেন। মোদ্দাকথা ব্রাজিলের অনবদ্য খেলা মুগ্ধ করলো সমর্থকদের। খেলায় ২-০ গোলে জিতে গেলো তিতের স্যালেসাওরা ।আর সেই ৬ নম্বর জার্সিধারি শীর্ণ দীর্ঘদেহী খেলোযাড় ফিলিপ লুইস দারুন খেললেন। গোলমুখে প্রচন্ড এক শটও নিয়েছিলেন যেটি অসামান্য দক্ষতায় গোলকিপার থামিয়ে দিলেন। নাহলে ওটি গোল হয়ে যেত। সবকিছু ছাপিয়ে খেলার সেরা খেলেয়াড় সেই নেইমার। ব্রাজিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর সুইজারল্যান্ড রানার আপ।

এদিনে অতিরিক্ত সময়ের জোড়াগোলে গোল দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইঁদুর দৌড় থেকে সরিয়ে দিল। খেলায় জার্মানি ছিল প্রচন্ড চাপে। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে তাদের ম্যাচটি অবশ্যই জিততে হতো । আর জিতে গ্রুপ রানার আপ হয়ে ২য় রাউন্ডে গেলেও খেলতে হতো ইয়েলো পেরিল ব্রাজিলের সাথে। এ ব্রাজিলের সঙ্গে খেলা মানে নিশ্চিত পরাজয়। তাই হয়তো জার্মানি আর পেরে উঠলো না ।

অপর খেলায় সুইডেন ভালো খেলে শ্রেয়তরো দল হিসেবে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দিল। সুইডেন হলো গ্রপচ্যাম্পিয়ন, রানারআপ মেক্সিকো আর সবার শেষে অর্থাৎ চারে পড়ে থাকলো জার্মানি।সবচেয়ে বাজে অবস্থান নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী তথা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫১

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: বর্তমান ব্রাজিল দলের আমার প্রিয় খেলোয়ার হল- মার্সেলো। জানিনা ইনজুরি কি রকম। কতদিন বাহিরে থাকতে হবে।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তাকে হাসপাতালে যাওয়া লেগেছে । আশা করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠবেন । ব্রাজিলে রক্ষণভাগ সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে আক্রমন রচনায় তার ভূমিকা অসামান্য।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১২

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আমি যেহেতু রিয়ালের সার্পোটার তাই তাঁর খেলা প্রায় দেখা হয়। সিআরসেভেন মনে হয় কখনও তাঁকে ভুলতে পারবে না কারণ তাঁর অধিকাংশ গোলের প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয় মার্সেলোর কাছ থেকে।

ব্রাজিল সাউডে উঁকি দিচ্ছি দেখি আমার প্রিয় খেলোয়ারের কি অবস্থা।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিনি গোল তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি কুটিনহোর সাপোর্টার। মার্সেলোকে ভাল লাগে না, ভাল লাগে দানি আলভেজকে। ইনজুরির জন্য দানি আলভেজ বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি। মার্সেলোর পরিবর্তে নামা ফিলিপো লুইজ কিন্তু বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার; পাশাপাশি সে উইং দিয়ে দ্রুত বল নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিনি বেশ ভালো খেলেছেন। কোটিনহো ব্রাজিলের সঙ্গে অন‍্যদলের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে।কাসেমিরু ভালো খেলেছে।

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষে খেলোয়াড়দের র‌্যাংকিং প্রকাশিত হয়েছে। এতে শীর্ষে যথারীতি পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পাওয়ার র‌্যাংকিংয়ের ২ এ আছেন ব্রাজিলের সারা জাগানো ফুটবলার ফিলিপ কুটিনহো। নেইমার নাম্বার থ্রীতে।

শুক্রবার স্কাই স্পোর্টস বিশ্বকাপ রাশিয়া ২০১৮ এর প্রকাশিত ৫০ জনের ওই পাওয়ার র‌্যাংকিংয়ে লিওনেল মেসিকে খুঁজে বের করতে বেশ কষ্ট পেতে হবে। টপ ফাইভ তো দুরে থাক, টপ টেনেও নেই তিনি। এবার মেসির যে পারফরমেন্স তাতে তাকে নিয়ে গেছে ১৯ এ। চার নাম্বারে বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার লুকাকু। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন আছেন ৫ এ। কলম্বিয়ার ইয়ারি মিনা আছেন ৬ এ। তারকা ফুটবলারদের অন্যান্যদের মধ্যে লুইস সুয়ারেজ আছেন ১১ তে। স্পেনের থিয়াগো কস্তা ১৬ তে। তবে পয়েন্ট প্রাপ্তিতে রোনালদো সবার ধরাছোয়ার বাইরে থেকেই শীর্ষে রয়েছেন। তার প্রাপ্ত পয়েন্ট ১০৮১০। ২ নাম্বারে থাকা কুটিনহোর পয়েন্ট ৯১৮৪। নেইমারের ৮৯৩০। হ্যারি কেনের ৮১০২। লিওনেল মেসির পয়েন্ট ৬২৮৬।

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৫০

শামচুল হক বলেছেন: দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আশা করছি ব্রাজিল ভালো খেলবে।

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

সিগন্যাস বলেছেন: যখন বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাবে তখন কি নিয়ে লিখবেন? :)

২৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কি নিয়ে যে লিখি।

৬| ২৯ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বিশ্বকাপ নিয়ে সবচেয়ে নিরপেক্ষ। আর্জেন্টিনার জয় চেয়েছি, ব্রাজিলেরও। দ্বিতীয় রাউন্ডে রাশিয়া, জাপানের জয় চাই। হয়ত কেউ জিতবে না।

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্রাজিল ভালো করার সম্ভাবনা আছে। উরুগুয়ে , ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এরা মোটামুটি দল , মেক্সিকোর ভাগ্য খারাপ। যেই দল ব্রাজিলের সামনে পড়বে তারা হারবে ।

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষে খেলোয়াড়দের র‌্যাংকিং প্রকাশিত হয়েছে। এতে শীর্ষে যথারীতি পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পাওয়ার র‌্যাংকিংয়ের ২ এ আছেন ব্রাজিলের সারা জাগানো ফুটবলার ফিলিপ কুটিনহো। নেইমার নাম্বার থ্রীতে।

শুক্রবার স্কাই স্পোর্টস বিশ্বকাপ রাশিয়া ২০১৮ এর প্রকাশিত ৫০ জনের ওই পাওয়ার র‌্যাংকিংয়ে লিওনেল মেসিকে খুঁজে বের করতে বেশ কষ্ট পেতে হবে। টপ ফাইভ তো দুরে থাক, টপ টেনেও নেই তিনি। এবার মেসির যে পারফরমেন্স তাতে তাকে নিয়ে গেছে ১৯ এ। চার নাম্বারে বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার লুকাকু। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন আছেন ৫ এ। কলম্বিয়ার ইয়ারি মিনা আছেন ৬ এ। তারকা ফুটবলারদের অন্যান্যদের মধ্যে লুইস সুয়ারেজ আছেন ১১ তে। স্পেনের থিয়াগো কস্তা ১৬ তে। তবে পয়েন্ট প্রাপ্তিতে রোনালদো সবার ধরাছোয়ার বাইরে থেকেই শীর্ষে রয়েছেন। তার প্রাপ্ত পয়েন্ট ১০৮১০। ২ নাম্বারে থাকা কুটিনহোর পয়েন্ট ৯১৮৪। নেইমারের ৮৯৩০। হ্যারি কেনের ৮১০২। লিওনেল মেসির পয়েন্ট ৬২৮৬।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.