নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
বিশ্বকাপ ২০০২ । ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ১ম রাউন্ডে বাদ পড়ে গেল। ব্রাজিল দলে তখন এক ঝাঁক তারকা। রোনাল্ডো, রোনাল্দিনহো, রিভালেদো, রবার্টো কার্লোস প্রমুখ নাম করা খেলোয়াড়। তাদের নিয়ে সমর্থকদের ব্যাপক উন্মাদনা। রিভালডো ম্যারাডোনার বিবেচনায় সেই সময়ের সেরা খেলোয়াড়। রোনালদিনহো প্লে মেকার। ফ্রিকিক বিশেষজ্ঞ দু্ইজন। রবার্টো কার্লোস এবং রোনাল্দিনহো। রবাল্টো কার্লোস দূর পাল্লার ফ্রিকিক বিশেষজ্ঞ। কারণ তার পায়ে আছে গোলার মত শট। আর রোনাল্দিনহো ফুটবলমাঠে একজন নিমগ্ন শিল্পী। তার কাছ থেকে বর্তমান ফুটবল তারকা মেসির অনেক কিছুর হাতে খড়ি। ব্রাজিলদলে তারকার মাঝে মহাতারকা ছিলেন রোনাল্ডো দা ফেনোমেনন। তখন কোন শিশু জন্মগ্রহণ করলে তার নাম রাখা হতো রোনাল্ডো। একটুও বাড়িয়ে বলছিনা। আর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় তারকা ছিলেন রোনাল্ডোর গার্লফ্রেন্ড। নাম ছিল মনে হয় সুজানা। ক্যামেরা ম্যানের ক্যামেরা সুজানাকে যতটা খুজেছে অন্য কোন খেলোয়াড়কে এতটা খুঁজেনি। রোনাল্ডো মাথার চুলের স্টাইলে পরিবর্তন এনেছিলেন। মাথার ঠিক সামানের দিকের কয়টা চুলনি অদ্ভুত স্টাইলে ফুরফুরে মেজাজে রোনাল্ডো। সেই বিশ্বকাপে আটটি গোল করে সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন তিনি। ফাইনালে করেছিলেন ২টি গোল। জার্মান গোলকিপার অলিভার কান গোটা বিশ্বকাপে মাত্র দুইটি গোল খান। দুটোই দা ফেনমেননের কাছে। ২য়টি ছিলো বলে কয়ে গোল দেয়ার মতন। এমন জোরালো শট গোলকিপার দেখে শুনে বুঝেও গতির কাছে পরাস্ত। ড্রাইভ দেয়ার আগে বল সরাসরি গোল পোস্টের জালে। কানের মুখে গান বেড় হলে বেড় হতো গোল হয়ে গেল চেয়ে চেয়ে দেখলাম…..আমার করার কিছু ছিলা না গো……….. ।
এবার বিশ্বকাপে বড়োদলগুলো ভাল করতে পারছেনা। ১ম রাউন্ডে বিদায় নিয়েছে জার্মানি। ইটালী হলান্ড কোয়ালিফাই করেনি। স্পেন ২য় রাউন্ডে বাদ পড়েছে। একই রাউন্ডে পর্তুগাল বাদ পড়েছে। রিয়েল মাদ্রিদের সেরা তারকা ক্রিস্টিয়ানা রোনাল্ডো, বার্সেলোনার সেরা তারকা লিওনেল মেসির দল বাদ পড়েছে। তুলনায় দুজনের মধ্যে রোনাল্ডো বেশি ভাল করেছেন। ৪টি গোল করে নিজেকে আবারো প্রমান করেছেন। মেসি ভালো খেলতে পারেননি। ভালো খেলেনি আর্জেন্টিনা। মেসি রোনাল্ডো দুজনই পেনাল্টি মিস করেছেন। মেসিরটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ মিস। মেসি, রোনাল্ডো, নেইমার তিনজনই হলুদ কার্ড খেয়েছেন। মেসি খেয়েছে কালক্ষেপনের জন্য নেইমার খেয়েছেন তাড়াহুড়ো করার জন্য। রিয়েল আর বার্সার তারকার চেয়ে নেইমারের বর্তমান দল ফ্রান্সের পিএসজি ক্লাবের খেলোয়াড় শ্রেয়তর পারফর্মার বিশ্বকাপে। পিএসজির স্ট্রাইকার কাভানি জোড়া গোল করে উরুগুয়েকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে গেছে হারিয়ে দিয়েছে রিয়েল প্রধান তারকা রোনাল্ডোর পর্তগালকে। পিএসজির তারকা এমবেপের ফ্রান্সের কাছে হেরে গেছে বার্সার প্রধান তারকা মেসির আর্জেন্টিনা। এমবেপের জোড়া গোল মনে থাকবে অনেকদিন। তার গতির কাছে পরাস্ত হয় আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ থেকে স্পেন আর বার্সা রিয়েলের প্রধান তারকার বিদায় দিয়ে জিতে গেছে ফ্রান্স আর ফ্রান্স লীগের পিএসজি তারকা কাভানি-এমবেপে। আজ পিএসজি তথা ফ্রেন্সলীগের বর্ষসেরা তারকা খেলোয়াড় নেইমার খেলবেন । বড়ো দলের মধ্যে ফ্রান্সের সঙ্গে ব্রাজিল টিকে আছে। ব্রাজিল টিকে থাক । বিশ্বকাপ যোগ্যদল ব্রাজিলের হাতে যাক ।
বিশ্বকাপের আগে তিতে বলেছিলেন —নেইমারের অন্তত ৫টি ম্যাচ প্রয়োজন দলকে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য। সুস্থ হয়ে ওঠার গাণিতিক কোনো হিসাব না থাকলেও দল থেকেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, নকআউট পর্বে নিজের সেরাটা নিয়ে হাজির হবেন নেইমার।দুটি প্রস্তুটি ম্যাচ ও তিনটি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড ম্যাচ এ্ই মোট পাঁচ ম্যাচ খেলে আজ সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে অন্য এক নেইমারের আবির্ভাব হবে সেই প্রত্যাশা করা যায়।কোটিনহো অসাধারণ খেলছেন।পাউলিনহো,উইলিয়ান, জেসুস এমনকি থিয়েগো গোল করার সক্ষমতা রাখেন।মেক্সিকো জার্মানিকে হারিয়েছে।।সেই বিবেচনায় শক্তিশালী দল।তারা হেরেছে সুইডেনের কাছে । বিশ্বকাঁপে ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের গোল করার রেকর্ড নেই।খেয়েছে এগারো গোল। হেরেছে সবকটি ম্যাচে।এ ম্যাচে ব্রাজিল সুষ্পস্ট ফেভারিট।চমৎকার একটি খেলা হবে তেমনটাই কাম্য।
আপনি কি জানেন হার্ড টেকেলে নেইমার কেন পড়ে যায়?
"TheSun" নামক পত্রিকার একটি প্রতিবেদন থেকে বলছি।
একজন প্লেয়ারের শারীরিক ওজনের সর্বনিম্ন এভারেজ ৭২ কেজি। যেখানে -
#মেসির ওজন ৭০ কেজি।
#রোনালদোর ওজন ৭৫-৭৬ কেজি।
আর #নেইমারের মাত্র ৬৪-৬৫ কেজি।।
তাই হার্ড টেকেলে মেসি রোনালদোর তুলনায় নেইমারের শরিরের প্রতি ব্যালেন্স রাখা কষ্টকর। তার উপর তার শরীরের ৩টি স্থানে ভাংগা। কোমড়ে,ডান পায়ের গোড়ায়, বাম পায়ের রানের গোড়ায়।
শরীরের তিন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনে ডাক্তার বলেছে হার্ড টেকেলে নেইমার যাতে শরীরের উপর অতিরিক্ত প্রেশার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা না করে।
এই কারনেই হার্ড টেকেল করলে নেইমার পড়ে যায়।
আর কিছু কিছু মানুষ তো এইটাকে ট্রল হিসেবে নিয়ে নিয়েছে।
নেইমারকে নিয়ে গর্ব করা উচিৎ যে সে তিনটা ভাংগা নিয়ে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে উপস্থিত হয়েছে।
সর্বশেষ, শুভকামনা নেইমার ও ব্রাজিল দলের জন্য ।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ডিগবাজি খাওয়া তো দোষের কিছু। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় তারকা সবচেয়ে আকর্ষণীয় তারকা ফুটবলে স্টাইল আইকন ১৮টা ডিগবাজি খাওয়া চাট্টিখানি ব্যাপারনা ।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২০
আখেনাটেন বলেছেন: আজকে নেইমার ও কুতিনহোকে ভালোভাবেই চেপে ধরবে মেক্সিকো। আমার কিন্তু উইলিয়ানের খেলা একদম বাজে লাগে।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উইলিয়ান তাদের কোয়ালিটির খেলোয়াড় নন। তারপরও ব্রাজিল দলে প্রত্যেক পজিশনের সেরা খেলোয়াড় আছেন । এটাই বিশ্বকাপের সেরা দল ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উইলিয়ান দারুন খেলেছে সুপ্রিয় ব্লগার।
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪
রাকু হাসান বলেছেন: এটা জানতাম না । তবে পড়া দেখে যা মনে হচ্ছে এ কারণটার সাথে সাথে একটু ভাব নেওয়ার কারণ ও আছে ..
শ্রদ্ধেয় ভাই কথা ছিল কবিতা পড়ে দেখবেন , আপনারা কিছু না বললে ভাল মন্দ বুঝবো কি করে ,,,,
০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পড়লাম কমেন্ট করলাম লাইকও দিলাম ।
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
নাজিম সৌরভ বলেছেন: হলুদ রঙের প্রিয় জার্সিগুলো আজ সফলতায় জ্বলে উঠুক, এই শুভকামনা রইল ।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আজকে ব্রাজল দল আপন মহিমায় চমৎকার ফুটবল খেলে আলোকিত করবে উচ্ছসিত ফুটবল প্রেমিদের এই শুভকামনা থাকলো আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ও নিরন্তর শুভকামনা ।
৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আজ নেইমারের জ্বলে উঠতে হবে, শুভ কামনা ব্রাজিল দলের জন্য।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইস আজকে যদি জার্মানী প্রতিপক্ষ থাকতো। ৭ গোলের প্রতিশোধ নিতে পারতো ।
৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ওরা কারা......
যারা মনে করে আজ ব্রাজিল জিতবে?
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাজীব নুর ভাই আপনারা না
৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
কিশোর মাইনু বলেছেন: ত্রিফলা:নেইমার-কোতিনহো-জেসুস।
ডিফেন্সে থিয়েগো সিলভার মত দেয়াল।মিডে কৌতিনহোর মত সুন্দরের পুজারী।
উইং-ব্যাকে মার্সেলোর মত সেরা প্লেয়ার।উইলিয়ান,ফিরমিনোর মত প্লেয়ার ও আছে।এবারের কাপতো ব্রাজিলের ঘরে যেতেই হবে।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সু্প্রিয় ব্রাজিল ফ্যান মার্সেলো আজকে খেলতে পারেনি । আগামী ম্যচ ঠিকই খেলবে।
আজকের ব্রাজিল নেইমার ময়। নেইমার সেরা খেলোয়াড় । উইলিয়ান দারুন খেলেছেন । আশা করি ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হবে ।
৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আপনার প্রিয় দলটির জন্য শুভ কামনা রইলো। তবে, আজ মেক্সিকোকে হারাতে সেরা খেলাটা খেলতে হবে।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার হারিয়ে দিয়েছে। জয়তু ব্রাজিল ।নেইমার বড় ম্যাচের তারকা । ব্রাজিলের তারকা ।
৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
রাকু হাসান বলেছেন: ভাইয়া প্রতিবেদনটার লিংক হবে কি ?
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কোন প্রতিবেদন??
১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুভকামনা ব্রাজিলের জন্য
+++
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্রাজিল ফুটবল দলের হেক্সা মিশন শুভ হোক ।
১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় সেলিম ভাই,
আপনার পোষ্ট পড়ে উৎসাহিত হয়ে আমিও নেটে হার্ড টেকেল করলে নেইমার কেন পড়ে যায় সেটা গুগল করি।আপনার কথাই ঠিক।আমিতো আগে এটাকে নিয়ে প্রচুর ট্রল করেছি বন্ধুদের সাথে
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নেইমারকে আজকেও ফাউল করা হয়েছে। পায়ের উপর কেউ বুট দিয়ে দাঁড়ায় ??
১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: আমার জন্মের পর প্রথম যেই ফুটবল ওয়ার্ডকাপ হয়, তখন আমার বয়স ১বছরও হয় নি। তাই সেটার খবর জানি না। এরপরেরবার যখন হয়, তখন ৫বছর পূর্ণ হয়নি; সেটার খবরও জানি না। এভাবে তৃতীয়টার কথাও মনে নাই। মনে আছে ১৯৯৮ এর কথা। সবাই দেখে, তাই আমিও দেখলাম। তখন থেকেই ফুটবলের প্রতি ঘৃণা বাড়তে থাকে। কারণ আমরা মাঠে যেটা খেলি, সেটার সাথে টিভিরটার কোন মিল নাই। মাঠে আমরা পড়ি, আবার উঠি, দৌড়াইয়। পড়বারও আসল কারণ থাকে। কিন্তু টিভিতে যেটা দেখলাম, সেটা পুরাই নাটক। এরপর ২০০২ এ যা দেখলাম, তখনতো আরও একটু বড় হয়েছি। তখন মনে হলো ফুটবল হচ্ছে নাকটের অন্যতম নাম। যে দল যত ভালো নাটক পারে, তারা তত বড় দল, তারাই তত বড় কাপ জিতে।
সেই যে মনের মধ্যে গেঁথে গেলো, আর ফুটবল খেলা দেখতে পারি নাই। প্রতিবার ওয়ার্ল্ডকাপ আসলে সেই একই কথাই শোনা যায়, অমুক নাটক করছে, তমুক হুদা কামে পড়ছে....
রেসলিং হচ্ছে দুনিয়ার সবচাইতে বড় নাটক, তবে সেটা হয় ছোট মঞ্চে। আর ফুটবল হচ্ছে রেসলিং এর পরে ২য় নাটক; যেটা হয় বড় বড় মঞ্চে। আর কিছু বলদ বসে বসে সেই নাটক দেখে এবং নাটক নিয়ে ক্যাওম্যাও করে!
১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোটিনহো কোনভাবেই নেইমারকে বল দেবে না।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এই বিশ্বকাপের সেরা তারকা কে? বলবেন, যে দুজনের মধ্যে একজনের হওয়ার কথা ছিল, তাঁরা তো নেই! দুজনেই তো হেরে বাড়ির পথ ধরেছেন। কিন্তু থাকলেও বা কী যায় আসত? অন্তত শেষ ষোলোরই পথটুকু পর্যন্ত। এই পথেই যে মেসি-রোনালদোকে টেক্কা দিয়েছেন নেইমার।
সেটা ব্রাজিল যে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর আর্জেন্টিনা-পর্তুগাল বাড়ির পথ ধরেছে, সে জন্য নয়। এ নিখাদ পরিসংখ্যানের হিসাব। যেখানে নিন্দুকদের চোখে ‘বাতাসের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যাওয়া’ এই ছেলেটিই সেরা। প্রতিপক্ষের রক্ষণে সবচেয়ে বেশি শট (২৩) নেইমারের। এর মধ্যে গোলমুখে সবচেয়ে বেশি শট রাখতে পারা খেলোয়াড়টিও নেইমার। ১২টি শট তার লক্ষ্যে বা অন টার্গেট। কিন্তু এখানেই শেষ নয়!
ব্রাজিলের এই চার ম্যাচে নেইমার খেলেছেন তাঁর দলের জন্য, সতীর্থদের জন্য। প্রমাণ চাই? জেসুস-কুতিনহোদের জন্য সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গোলের সুযোগও (১৬) সৃষ্টি করেছেন এই নেইমার। এসব পরিসংখ্যান নিশ্চয়ই প্রতিপক্ষের ট্যাকলে তাঁর বারবার পড়ে যাওয়ার দৃশ্যকে ভুলিয়ে দেবে। আর বারবার পড়ে যাওয়ার কথা যে উঠছে, পরিসংখ্যান সেখানেও কিন্তু নেইমারের পক্ষে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার ফাউলের (২৩) শিকার হওয়া খেলোয়াড়টিও এই নেইমার। আর তা তিনি যেভাবেই সামলান, প্রতিপক্ষের ধেয়ে আসা খেলোয়াড়টিকে ড্রিবলিংয়ে আচ্ছন্ন করে ফেলার কৃতিত্বটাও তাঁর বেশি। এখন পর্যন্ত এই আসরে ৩৫টি সফল ড্রিবলিং করেছেন নেইমার।
ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড আরেকটি জায়গায় মেসি-রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে। দুটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৬ গোল করলেন নেইমার। এ জন্য প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে তাঁকে ৩৮টি শট নিতে হয়েছে। বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদোদের ৬টি করে গোল করতে যথাক্রমে ৬৭ ও ৭৪টি করে শট নিতে হয়েছে। বিশ্বকাপে নেইমার রেকর্ডের কাছে ম্লান এ সময়ের সেরা দুই খেলোয়াড়। গোলসংখ্যায় মেসিকে তো ধরে ফেললেনই, রোনালদোও বেশি দূরে নয়। আর দুটি গোল করতে পারলে বিশ্বকাপ গোলে ২৬ বছর বয়সী নেইমার পেছনে ফেলে দেবেন দুই মহাতারকাকে। কে জানে, হয়তো এই বিশ্বকাপেই!
বিশ্বের এই অন্যতম সেরা দুই খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি কার্যকর। আর তাতে পুড়ে খাক হলো মেক্সিকো। আজ তো শুধু নেইমারের কাছে হেরেই বিদায় নিল দলটি। বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে এ নিয়ে তাদের বিদায় ঘটল টানা সপ্তমবারের মতো! নেইমারের কৃতিত্ব পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। শেষটা আরও একটি তথ্যে হোক। বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে একটিও গোল করতে না পারাদের তালিকায় মেসি-রোনালদোর সঙ্গে নেইমারও ছিলেন।
গতবার নকআউট পর্বে দুটি ম্যাচ খেললেও গোল পাননি। এর মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনালে তো কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেই আলোচিত চোট পুরো ম্যাচটা শেষ করতে দেয়নি তাঁকে। এবার নকআউট পর্বে প্রথম সুযোগেই গোল করলেন নেইমার। ২-১ গোলে হেরে যাওয়া পর্তুগালের অধিনায়ক কিংবা ৪-৩ গোলে হেরে যাওয়া আর্জেন্টিনার অধিনায়ক ভাবতে পারেন, নিজেদের গত ম্যাচে গোলের খাতা খুলতে পারলে হয়তো দ্বিতীয় রাউন্ডেই থেমে যেতে হতো না তাঁদের!
সূত্র: প্রথম আলো ।
১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ব্রাজিল জিতা গেছে ভাই। আপনার আরেক ব্রাজিল সাপোর্টার কই গেল?
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জানি না। কোথায় হারালো চন্দ্রমুখী।
১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এই বিশ্বকাপে ব্রাজিল নাম্বার ওয়ান।
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমারো তাই মনে হচ্ছে।
১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
শামছুল ইসলাম বলেছেন: অত্যন্ত তথ্য বহুল পোস্ট । যারা নেইমারের পড়ে যাওয়া নিয়ে ট্রল করে, আমার বিশ্বাস তারা নিজেরা কখনো ফুটবল খেলেনি । পায়ে বা অন্য কোথাও গুরুতর আঘাত থাকলে সেটা নিয়ে স্বাভাবিক খেলা উপহার দেওয়া কতটা কঠিন, তা একজন ফুটবল খেলোয়াড়ই বলতে পারবেন । অবশ্য ঈর্ষাকাতরতাও একটা ব্যাপার হতে পারে । প্রিয় দলের প্রিয় খেলোয়াড়দের অকাল প্রস্থানে অনেকেই মুষড়ে পড়েছেন । তারা একটু আবোল-তাবোল বলতেই পারেন । আমরা একটু সহানুভূতির দৃষ্টি দিয়ে দেখলেই সমস্যা মিটে যায় । ধন্যবাদ কবি খেলা বিষয়েও আপনার গভীর জ্ঞানের পরিচয় পেয়ে ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্যথা পেলে নেইমার ব্যথার প্রকাশ করতে পারবে না। দারুন নিষ্ঠুরতা।
কার ব্যথার বহিপ্রকাশ কেমন হবে এটা অন্যে বলার কি আছে?
যে নেইমারে পায়ে দাড়িয়ে কথা বলতে চায় তাকে লাল কার্ড দিয়ে বেড় করে দেয়া উচিৎ ছিলো। চোখে না দেখলে সে খেলোয়াড় খেলার অযোগ্য ।
১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
নিভৃতেনৈঃশব্দে বলেছেন: আপনার লেখায় বিশ্বকাপ উন্মাদনা বন্দি ,
ব্লগ ক্রীড়া কাব্যে আপনি আমাদের মতি নন্দী
গত বছর বার্সিলোনার একটা খেলায় নেইমারকে ফাউল করার পর পেনাল্টি হয়েছিল খুব সম্ভবত রিয়েল মার্দিদের বিরুদ্ধেই I ফক্স স্পোর্টস চ্যানেলে আমেরিকার বিখ্যাত ফুটবলার (৯০-র বিশ্ব কাপ একাদশের জন্য নির্বাচিত সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার) টনি লালাস সেই প্যানাল্টিটা ব্যাখ্যা করেছিলেন হাসতে হাসতে Iসেটা আপনার এই বর্ণনার মত সরল না I লালাসের মতে ওই প্যানেলটি বাগানোর জন্য পরে যাওয়াটা ছিল খানিকটা চিটিং I যদিও প্যানাল্টিটা ঠিকই ছিল কিন্তু ওটা বাগানোর কায়দাটা ছিল লালাসের মতে অসৎ ( আমি কিন্তু বার্সিলোনার ডাইহার্ড সাপোর্টার ) লাইভ খেলা দেখতে দেখতে আমারও সেটাই মনে হয়েছিল I যাক ব্রাজিলের জন্য শুভ কামনা I যদিও বেশি আশাবাদী হবার কারণ দেখছি না I
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
বিষাদ সময় বলেছেন: এই কারনেই হার্ড টেকেল করলে নেইমার পড়ে যায়।
এ কারনে সে পড়ে যেতেই পারে, তাই বলে সে এ কারনে ১৮ টা ডিগবাজিও খায়!!!!!!