নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তাপ

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৭



তেসো তফাতেই থাকে। তেসো হলো লজ্জবতী লতা। লাজুক হয়েও খুব একটা লাভ নেই। তেসোর পৃথিবীটা তো অর্কই। তেসোর মনে তৃষ্ণা ওষ্ঠে তৃষ্ণা সবখানে তৃষ্ণা। স্রেফ অর্কের তৃষ্ণা। মাঝে মাঝে মনে হয় অর্ককে ভালোবাসার করিডোরে আজীবন ভরে রাখবে । ছাড়বে না এক মুহুর্তও না। এমন নির্জন জায়গা কি কোথাও নেই? একবার তো স্বপ্নে তেসো আর অর্ক মঙ্গল গ্রহে চলে গিয়েছিল। তারপর কল্পনার মঙ্গল গ্রহে তাদের দুজনার দেখা। তেসো দৃঢ় সংকল্প ঝগড়া করবে। প্রচন্ড ঝগড়া। অর্কের বিরুদ্ধে রাজ্যের অভিযোগ। পারলে গুলি করে মেরে ফেলতো সম্প্রতি সারা দেশে চলা মাদক বিরুধী অভিযানে ক্রসফয়ারের মতো। অর্কতো মাদকের মতই। তার চেয়েও সর্বগ্রাসি। ওকে মারলে তেসোর কোন দোষ হবে না। কিন্তু সেরকম হয়না।

অর্কের চোখে মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে থাকে তেসো। অব্যর্থ শিকারীর চোখ। অর্কের শিকারে পরিণত হয় তেসো। অনেক আগেই অর্কের কবিতা তাকে খুন করে ফেলেছে। অর্কের কবিতায় প্রেম না থাকলে তেসো নিজেকে মৃত মনে করে ব্যর্থ মনে করে। নিজেকে কোন ভাবেই জীবিত ভাবতে পারেনা। নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যর্থ মেয়ে মনে হয় কিংবা জড় পদার্থ স্রেফ ডাস্টবিনের আবর্জনা মনে হয়। সে যাইহোক আজকে যেহেতু অর্ককে কাছে পেয়েছে গলা টিপে হত্যা করে তারপর প্রস্থান তথা পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এভাবে চলতে পারেনা । পিস্তল থাকলে গুলি করে মারতো। অর্কের কবি হওয়ার কবিতা লেখার সাধ জনমের তরে মিটিয়ে দিত। কবিতা তেসোর ভালো লাগেনা তা ঠিক না। কবিতা আবৃত্তি করতে খুব ভালোবাসে তেসো। আর অর্কের কবিতা খুব সহজ সরল মায়ামাখা । বরঞ্চ অর্কের প্রথম কবিতাতেই তেসো ফিদা। অদক্ষ হাতের কবিতা। সেখানে কত ভালোবাসা! তা কেবল তেসোর জন্যই তুলে রাখা।

অর্কের লেখা কবিতা পাঠ করে আরশিতে নিজের চেহারা দেখতো, গুনগুনিয়ে গান গাইতো আর সাজতো। খোঁপা বাঁধতো। খোঁপায় ফুল গুজতো। স্বপ্নে বিভোর হতো। স্বপ্ন শুধু অর্ককে নিয়ে। কিন্তু অর্কের কবিতা দিন দিন প্রখর হতে থাকলো। রবিবাবুর মতো বাঙময় হতে থাকলো। খুনি কবিতা। হ্যা অর্কের খুনি কবিতা মানুষ খেকো বাঘের মতো একে একে নারী খেকো হয়ে গেল। আততায়ীর মতন। তেসোর সেখানেই যতো আপত্তি। অর্কের কবিতার প্রেমে হাজার রমনী। শুধু কি তাই ? হাজার প্রেমিক হৃদয় পুরুষ আশ্রয় খুজে অর্কের কবিতায়; রমনী খুঁজে প্রেম। তেসো মনে মনে বিড়বিড় করে। অর্ক কবিতা আর লিখবিনা। বহুগামী কোথাকার! কত রমনীসঙ্গম তোর করা লাগে? আমাকে দিয়ে হয় না? তু্ইতো একটা গে। হারামী সমকামী কোথাকার? লিখবিনা আর কবিতা। কীসব যে ভাবে তেসো? অর্ক আসলে পুতপবিত্র ফুলে মতো । এমন নিষ্পাপ কেউ নেই । অর্ক কবিতা না লিখলে তেসোর জীবনই বৃথা। নিজেকে তার পাগল পাগল মনে হয়। উন্মাদ মনে হয় বদ্ধ উন্মাদ । মনে মনে নিজেকে ভর্ৎসনা করে। অর্ক কবিতা লিখলে তার কি? আবার বলে অর্ক কবিতা লিখবি না। এটা তো আমাকে নিয়ে লেখা না। কবিতা লিখলে তোর গলা টিপে দেবো । তুই শুধু আমার কবি বুঝলি। তুই অন্য কারো নস। দেশ নিয়ে লিখলেও ঈর্ষাই হয় আমাকে দিয়ে তৃষ্ণা মেটেনা তোর! যদিও সে মুখফুটে প্রকাশ করেনা। সে যাইহোক খুন তাকে করতেই হবে। ব্যাটা বহুগামী কোথাকার গে কোথাকার। অর্কের সামনে দাঁড়িয়ে তেসোর আর ঘৃণা জমেনা। পই পই প্রেম কোত্থেকে ভর করে। আফটার অল সে তো নারি আর অর্ক তার আরাধনা। স্বপ্নের পুরুষ।
অর্ক কবিতা লিখতে থাকে

তেসো,
মোর স্বপ্নের রাণী হয়ে এই হৃদয়ে এসো
আকাশ থেকে যেমন বৃষ্টি নামে অবনীর বুকে
এসোগো পাপিয়া মোর বাহুডোরে-কুহুডাকা এই ভোরে।
সখি সর্বনেশে নয়ন তোমার- করিলো খুন আমায়
তোমায় ভালো না বাসিলে যেন মরবো প্রাণে হায়।
এই চোখে রাখো চোখ পরখ করো আমার এই বুক
বুকের বাঁ পাঁজরে পাবে খুঁজে তোমায় ঘিরে অমর কবিতা
জানোতো কবিতারা অপরাজিতা-সু্প্তোত্থিতা।
এলোকেশিলো তোমার রূপে এলোমেলো আমার বুক,
অতীত ব্যথা ভুলি আঙুলে আঙুলে চলো প্রাণের খেলা খেলি-
ভালোবাসায় যতো অপরাধ মোর কর হে ক্ষমা
কাছে এসে ভালোবেসে জুড়াও তৃষিত এই বুক।
খোঁপার বাঁধন খোলো তোমার মায়ার আঁখি মেলো
প্রিয়তমা খুলগো বসন অযাচিতের মতন কেন রেখেছে ঢেকে
তারে — কোন বাঁধা আর সহিতে পারিবোনা না এখন
তুমি আমি দুজনে মিলে লিখিবো কবিতা সুখের মতন।



ওমা! কবিতা পাঠের সাথে সাথে কবিতার অনুগত তেসো । কবিতার আবদার মেটাতে থাকে। অনুগত বিচারপতির কাছে শেখ হাছিনার আবদারের মত। নির্বাচন কমিশনের কাছে শেখ হাছিনার আবদারের মতন। বেহায়া কবিতার আহবানে নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না তেসো। তোসো অবশ্য আগে থেকেই জানে। এমনটাই হবে। অর্ককে সে যতই বলুক মানুষ হলো তার কাছে খেলার পুতুল। পুতুল খেলা খেলে সে ছুড়ে ফেলে দেয়। অর্কও তার তেমনি একটা পুতুল। অর্ক শুনে আর হাসে। এখন তেসো বুঝে গেছে তেসো হলো অর্কের খেলার পুতুল। যেভাবে খুশি সেভাবে তাকে নিয়ে খেলে। কবিতায় তো তাকে নিয়ে ছেলেখেলা করে। কুমারিত্ব কবেই শেষ। কবিতায় কতোবার যে সঙ্গম হয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। এখন সে নিজেকে অর্কের পুতুলই ভাবে খেলার পুতুল । অন্য পুরুষ তার জন্য ইয়াবার মত নিষিদ্ধ। বিবাহিত নারীর জন্য অন্য পুরুষ যেমন হারাম ঠিক তেমন। যাইহোক তেসো পুতুল খুব ভালোবাসে। অর্ক তাকে কত পুতুল দিত! প্রতিদিন একটা করে! তার ঘরের শোকেস ভরে গেছে পুতুলে! আসেলে অর্ক কোন পুতুল দেয়নি। কিন্তু তেসোর মনে হচ্ছে দিয়েছে। তেসোর প্রতিশোধ স্বপ্নের যবানিকা ঘটে। নির্মম যবানিকা। সামনাসমনি সে অর্কের খুন তো দূরের কথা উল্টো নিজেই ভালাবাসার মরা হয়ে মরে পড়ে থাকে শীতকালে পত্রঝরা বৃক্ষের পাতার মতো—একবারে পথের ধূলোয়। এতো কবিতা মানুষ লিখে কি করে? অর্কের বাড়াবাড়ি আর ভালো লাগেনা। এ যে তার পরিধেয় বস্ত্র খোলার মতন। না না এ অনুচিৎ। বড্ড অনুচিৎ। অর্ক তেসোর সঙ্গে এমনটা করতে পারে না। কখনো না।

সবার চোখে ধূলো দিতে কত কথা বলেছে তেসো। এমন ভাব দেখিয়েছে অর্ককে সে চেনেই না। আর চিনলেও সে তার টাইপ না । ব্লা ব্লা ব্লা। যাই বলুক অর্ক তার কাছে অক্সিজেনের মতো। আরো বললে লাইফ সাপোর্ট। তেসো মুমূর্ষূ রোগী। লাইফ সাপোর্টে আছে বেঁচে। লাইফ সাপোর্ট শেষ হলে তেসো মরে যাবে, না ফেরার দেশে চলে যাবে। তেসোর লাইফ সাপোর্ট হলো অর্কের প্রেম। কথা কথি আর ভালো লাগেনা। অর্কের প্রেম ছাড়া তেসো আর বাঁচবেনা বোধ হয়। অর্কের দোষ দিয়ে লাভ নেই। দোষ তার নিজেরই । এটাই সত্যি। অর্কের মাথায় বুদ্ধি আছে । ভালোবাসায় অগাধ বিশ্বাস আছে। অর্ক জানে ভালোবাসা জিতবেই। বেলজিয়ামের সঙ্গে ব্রাজিল যেমন জিতবে ঠিক তেমন কাসিমেরো না খেললেও জিতবে। নেইমার জেতার পথ বেড় করে জিতবে। যতই অভিনয় মনে হোক নেইমারের আর কী বা করার আছে? যে পরিমান টেকেল তাকে সইতে হয়। প্রতিপক্ষকে ধোকা দিতে ওটুকু না করলেই নয়। দেশের প্রতি নেইমারের ডেডিকেশন প্রবাদের মতো। তেসোর প্রতি অর্কের ভালোবাসাও তেমন। শতভাগ খাঁটি ভালোবাসা। অর্কের কবিতার সবাই সমালোচনা করতো। সেগুলো নিয়ে হাসতো ঠাট্টা তামাশা করতো । তেসোর অর্কের কবিতা ভালো লাগতো। কিন্তু অন্যের ঢালাও সমালোচনায় তেসো বোকা বনে গিয়েছিলো। অর্কের চরিত্রে কলংক লেপন করা হয়েছিলো। তাকে মিথ্যেবাদী সাব্যস্ত করা হয়েছিলো। তেসোর কাছে অর্ককে অযোগ্য বলেছিল। আসলে অর্ক মনের রাজা। যে মনের ঐশ্বর্যের শেষ নেই। আসলে অর্ক হলো ভিনি ভিডি ভিসি। অর্কের ক্যারিসমার নেই কোন সীমা। রূপকথার রাজপুত্রের মত। এর চেয়ে বড়ো কোন ভালোবাসার পুরুষ পৃথিবীতে বাস করে না। সবার কাছে তার কল্পনাতিত গ্রহণযোগ্যতা। এত অল্প বয়সে কেহই অর্কের সমকক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। এতো ভালোবাসে মানুষ তাকে। এতো কোমল মন সাধাসিধা। এমন অর্ক আর কী দ্বিতীয়টি আছে? যার চোখে এতো মায়া। যার মনে এতা ভালোবাসা। সেইতো সবচেয়ে স্নেহশীল পিতা হবে। এমনই হতে হবে তেসোর সন্তানের বাবা। আগে তার ভুল ধারণা ছিল। সে ভাবতো অর্কের সঙ্গে গোপনে প্রেম করা যায় বিয়ে না। অর্ক চরিত্রহীন লম্পট । আর অর্ক যেমন বিয়ে বিয়ে করে। এতো ব্যাকডেটেড কেউ এখনো পৃথিবীতে এক্সিস্ট করে এটা ভাবতেই পারে না তেসো। তবু তেসোর ভালোলাগতো অর্কের ভালোবাসার শক্তি। তেসোর সম্বন্ধে নিন্দুকের সকল নিন্দা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে কবিতায় প্রেম আহবান করতে থাকে অর্ক। তেসোও ভাবে অর্ক ছিলো বলেই সে আজ আকাশলীনা সে আজ হৃদয় মালতী। কতো নারী আছে যাদের নিয়ে কোন কবিতা লেখা হয়না । যাদের নাম কেউ জানে না।

একটা ব্যাপার বেশি খারাপ হয়ে গেছে। কোন কিছু বেশি ঘাটাঘাটি করলে যেমন তেতো হয়ে যায় তেমন। আর হালের প্রশ্নপত্রের ফাঁসের মতন অর্ক আর তেসোর প্রেম জানাজানি হয়ে গেছে। এতটা না হলেও ভাল ছিল। অবশ্য প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও তো ভর্তি বন্ধ হয়না চাকুরিতে নিয়োগ বন্ধ হয়না। বরঞ্চ লক্ষটাকা লেনেদেনে চাকুরী আরো সোনার হরিণ হয়ে ওঠে। চাকুরীর জৌলুসতো কমে না। অর্কের কবিতার কাছে তেসোর মন চৌদ্দ দলের জোটের কাছে বিশ দলের পরাজয়ের মতো সুকৌশলে অগণতান্ত্রিকভাবে হারতে থাকে। এর জন্য দোষ অবশ্য তেসোর বেশি। ইনিবক্সে তেসোর অপ্রতুলতা। তেসোর নিজেকে লুকিয়ে রাখা। আরো কতো? তবে তেসো বুঝে গেছে ধরি মাছ না ছুঁই পানি ধরণের কোন কিছু পৃথিবীতে নেই। মাছ ধরতে হলে পানিতে নামতে হবে। আর হাঁটু পানিতে নেমে ডুবে মরা যাবেনা। সবকিছু সে জটিল করে ফেলেছে। যাদের উপর ভরসা করেছে সবাই তাকে ঠকিয়েছে। তেসো আর অর্কের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছে। দূরে ঠেলে দিয়েছে। এখনও তাই চলছে। অথচ অর্ক ধ্রুবতারার মতন অটল অচল। এখনো তেসো বর্ষার জল। কচুপাতার পানির মতন টলোমল । কচু পাতার জল যতই সুন্দর দেখাক বাস্তব জীবনে তার মূল্য কতটুকু। অর্ক তেসোকে চায় নদীর মতোন ক্রমাগত চলময়তায়। প্রকাশ্য দিবালোকের মতো।

অর্ক হাটে রমনা পার্কের ভেতর দিয়ে। ভেতরে চমৎকার জলাশয়। একবারে গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড় যেন। এসব তার প্রিয়জনকে ভুলে থাকার অবলম্বন। মরার প্রতীক্ষার শেষ হয়না। ভালোবাসার শেষ হয়না। মানুষ তো নিরপেক্ষ হতে পারে না। রমনা পার্কে গাছের তলে বসে বিড়ি টানে মনা পাগলা। মানুষের কাছে হাত পাতে খাবার কাপড় টাকা যাই জুটে তাই নিয়ে সে মহাসুখে। উস্কুখুশকো চুল খালি পা গায়ে বারো তালি জামা। এভাবে অর্কের সঙ্গে মনা পাগলের প্রথম দেখা। মনা পাগলা আসলে তার নাম নয়। নিজের নাম বলতে পারেনা বিধায় মনা পাগলা নাম দিয়েছে অর্ক। আজকের খেলায় কে জিতবে বললে মনা পাগলা চুপ হয়ে থাকে। কারণ মনা পাগলা এসব কিছু জানে না। যে নিজের নাম জানে না সে অন্য দেশের নাম জানবে কি করে? আচ্ছা মনা পাগলা কি নিজোদেশের নাম জানে? অর্ক কখনো মনা পাগলাকে জিজ্ঞাসা করেনি তার দেশের নাম কি? কোথায় তার বাড়ি? সে এখানে কি করে? মনা গাছের নীচে শুয়ে থাকে ঘুমায়। তার বিছানা লাগেনা। মনা পাগলাকে দিয়ে অর্ক টস করে। মনা পাগলা আজকে কোন দল জিতবে। ফ্রান্স নাকি আর্জেন্টিনা? মনা উত্তর দেয় ফ্রান্স। অর্ক খুশি হয়ে মনাকে খাবার কিনে দেয়। আবার অন্যদিন মনাকে জিজ্ঞাসা করে কে সেরা খেলোয়াড় মেসি নাকি নেইমার ? মনা উত্তর দেয় নেইমার। অর্ক অনেক খুশি। একটা পাগল তার মনের মতো উত্তর দিচ্ছে । মন জয় করছে। এটাই বা কম কিসে? এতো অন্ধভক্ত দুষ্ট লোকের মতো না। যারা আর্জেন্টিনার ঘোর সমর্থক। আর্জেন্টিনা বিদায় নিলে ঘাপটি মেরে থাকে আর নেইমার আর ব্রাজিলের দোষ খুজতে থাকে। মনে মনে ব্রাজিলের পরাজয় কামনা করে? ব্রাজিলের জয়ে তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়! নেইমারের গোলের চেয়ে নেইমার ব্যথায় কুকড়ে গেলে যন্ত্রণায় ছটফট করলে তারা বেশি বিরক্ত হয়। নেইমারের পায়ে বুটের পারা দিয়ে দাড়িয়ে থাকা লোকটি যে লালকার্ড পাওয়ার উপযুক্ত এটি একবারও মুখে আনেনা। আর্জেন্টিনা চুরি করে জিতলেও তারা খুশি। হাতদিয়ে গোল করলেও তারা খুশি। বসতে দিলে শুইতে চাওয়ার মতো। নকআউট রাউন্ডে যাওয়ার অযোগ্য দল কোন মতে সেখানে পৌঁছানোর সাথে সাথে বিশ্বকাপের দাবী জেকে বসে মাথায়। চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। ভালো দল নাহোক তাতে কি? ব্রাজিলের আবার খারাপ খেলতে হবে। যত ভালো দলই হোক। মুখে থাকবে সমালোচনা। খেলা বুঝুক আর না বুঝুক হয়তো কোনদিন ফুটবলে লাথি মেরে দেখেনি তাতে কি? পক্ষপাতদুষ্ট মানুষের চেয়ে মনা পাগলাকে অর্কের বেশি পছন্দ কারণ টচ করতে নিপেক্ষ লোক চাই। প্রধান মন্ত্রী হাছিনার মতে পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। অসুস্থ মানুষ যারা তাদের অসুস্থ মানসিকতার উপাসনা করে তারা তো সুস্থ নয়। সজ্জন ব্যক্তি নয়। বিকৃত মস্তিষ্ক তাকে প্রত্যাখ্যান করা উচিৎ। সেটুকু আর হয়ে ওঠে না। বিবেকের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে ফেরে অসুস্থ আত্না। রাজনৈতিক অন্ধভক্তের মতো। কিছু অন্ধ মুক্তিযোদ্ধার মতো। অর্কের মাথায় নানা চিন্তা। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র দখল করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেও যদি কোন মুক্তিযদ্ধার চোখে পাকিস্তানী অনুচরের তকমা পেতে পারে তাহলে কি এটা বুঝা যায়না যে যতো বড়ো মুক্তিযুদ্ধা হোক দেশপ্রেম তার নাও থাকতে পারে। কতটা বেকুব হলে একজন মুক্তিযুদ্ধা এমন বলে। নিজের দাম কমায় । নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে । তার কথায় মুক্তিযুদ্ধা রঙ বদলাতে পারে পাকিস্তানী চর হতে পারে। আবার যে মুক্তিযুদ্ধা বড়ো দূর্নীতিবাজ জেনেও দলকানা হওয়াতে একের পর এক ঢালাওভাবে অবৈধ লোককে সমর্থন করতে থাকে সে কি সম্মান পাওয়ার যোগ্য? যে জানে যে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আছে তার স্তুতি বন্দনায় নিয়োজিত থেকে সে কি নিজেকে আবর্জনা করে তুলছেনা? অর্ক অবাক হয়। কে কবে কি শুরু করেছিল সেই অতীত নিয়ে যারা বর্তমান দোষগুলি চোখে দেখেও দেখে না তার চোখে কে বিশ্ব দেখতে চায়? তাকে কে সম্মান করে? তাহলে কি মুক্তিযদ্ধা রাজাকার হতে পারে। দেশের ছাত্র মেরে অপদস্ত করে আবার অস্বীকার করে কেমন প্রতারক ক্ষমতায় থাকে? প্রতিঘটনা একই ভাবে হচ্ছে। ভিসির বাসায় আক্রমন হলো। ছাত্রলীগ অস্বীকার করলো বিচার চাইলো দোষীর। যারা করেছে তাদের বিচার চাই। তদন্তে আসল তথ্য বেড় হয়ে আসলো। তারাই দোষী। একর পর এক নির্জলা মিথ্যা আর উদোর পিন্ডি ভুদোর ঘাড়ে চাপানো যাদের স্বভাব তাদেরকে কে বিশ্বাস করে? ধর্ষণ কে করছে কারা করছে সে খবরও বেড় হয়ে আসে। কালো বিড়াল মরে ভুত হলো..... অর্ক আর ভাবতে চায় না। এরা পাপিষ্ঠ। এদর পতন হওয়া দরকার। মানুষের বিবেক জেগে ওঠা দরকার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মত । মুক্তিযুদ্ধা কোটাসহ সকল অন্যায্য কোটা বাতিল হওয়া দরকার। যাদের এভাবে চাকুরি হয়েছে তাদের চাকুরিচ্যুত করা দরকার। দেশে মেধাবী নেতৃত্ব দরকার দেশ প্রেমিক নেতৃত্ব দরকার। বিকৃত মস্তিষ্কদের বিতাড়িত করা দরকার। দেশ থেকে খেলার মাঠ থেকে সব খান থেকে। অর্কের আছে সততার শক্তি। অপশক্তির উপাসনা সে করেনা। চেতনার জাগরণ ঘটাতে পারলেই হলো। অর্ক আখেরাতে বিশ্বাস করে সেখানে বিচার হবে। বিচারদিনে ভরসা করে। আর পৃথিবীর ক্ষমতাভোগী দালালদের মন থেকে ঘৃণা করে। অর্ক অপেক্ষায় থাকে কবে মানুষের বিবেকের উত্তরণ হবে। কবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া জেল থেকে মুক্তি পাবে। গণতন্ত্রের জন্য এশিয়ার মেন্দেলাকে অবৈধভাবে জেলে বন্দী করা হয়েছে। তাকে মুক্ত করার জন্য গণজোয়াড় কবে হবে? যে কোনদিন নির্বাচনে পরাজিত হয়নি সেই জনপ্রিয়তম নেত্রী কবে মুক্তি পাবে? যে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনা। যে শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার জন্য তত্ত্বাবাধায়ক সরকারবিধান প্রচলন করে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়। নির্বাচনে তার দল হেরে গেলেও যার গণতণ্ত্রের জন্য শ্রদ্ধা অটুট থাকে। মানুষের ভালোবাসা দেশমাতৃকা গণতন্ত্র এসব নিয়ে যার দিন কাটে। অর্ক ভেবে দিশা পায়না। একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক কোটাসংস্কারের দাবীতে আন্দোলন করলে রাজাকার তকমা গায়ে লাগে। কতটা জঘন্য অবস্থা। আরো কত জঘন্য ঐ ভয়ে আন্দোলন না করা। অর্ক সত্য বলবে। মানুষে উপকার করবে। শয়তানের নয়। অর্ক গাইতে থাকে ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা তোমাতে বিশ্ব মায়ের আচল পাতা। আজকে নিজে এ বিষয়ে একটা কবিতা লেখার প্রচেষ্টা নিলে কেমন হয় । এই মুহুর্তে দেশের কবিতা কেমন হতে পারে?


দেশের লাগি করো কাজ করো ঘৃণা সব দূর্ণীতিবাজ
গণতন্ত্র খেকোদের প্রত্যাখান করো সবে — এখনই
তোমাদের যা আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পরো
ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলো মশালমিছিল নিয়ে
স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে
লুটেরাদের কালো হাত ভেঙে দাও যুবসমাজ
আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে ওঠো আবার হও উদ্ধত
একাত্তরের মতো, বৈষম্যের কালোহাত ভেঙে দাও
গুড়িয়ে দাও। প্রবঞ্চকের বুকে দাও লাথি এঁকে
মরতে হলে মরবে তবু সত্য প্রতিষ্ঠায় লড়বে
এদেশের মাটি আমাদের ভায়ের রক্তে রাঙা
লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা
বৃথা যেতে দেবে না বাংলার বীর জনতা।


কবিতা ভালো হয়নি। সময় নিয়ে লিখতে হবে। অর্ক বাসায় ফিরার জন্য পা বাড়ায়। আকাশের দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে বলতে থাকে। তেসো কেমন আছো? কোথায় আছে? তেসো আই লাভ ইও। তেসো আই লাভ ইও মোর দেন এনিথিং অন আর্থ। আর কিছু বলতে পারবো না। আমি সবসময় তোমার মঙ্গল কামনা করেছি। যাতে তুমি ভালো থাকো মনে মনে তাই চেয়েছি। আমি তোমার কাছে যেতাম যাতে তুমি ভালো থাকো। মনে আছে যখন বুঝতাম তুমি যখন আমাকে অপছন্দ করতে? আমি সরে গেলাম। যাতে তুমি ভালো থাকো। আসলে সেটা ছিল তোমার কপট রাগ। তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসতে। তোমার পাশে কেউ হাঁটলে আমি ঈর্ষান্বিত হতাম। কেন হতাম জানিনা। তুমি অন্য কাউকে কাছে ডাকলে আমি খুব জেলাস ফিল করতাম। আবার তোমার খবর নিতাম তোমার মঙ্গল কামনায় । তোমার জন্য সবই করলাম। তোমার মনে আছে একবার বোধহয় মরেই গেলাম। স্রস্টা আমাকে আবারও জীবন দিলেন। আমি কবিতা লিখতে থাকলাম। তুমি কি পাথর হয়ে গেলে? তুমি কি সব ভুলেই গেলে। কি করে পারলে? ঠিকই তো কাছে এলে। কাছে এসেও দূরে থাকলে। আবার কোথায় হারালে ? এত পাথর কবে হলে? তুমিতো ঠিকই জানতে কোথায় আমার ঠিকানা। আমি তো মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেই। আমার কতটুকু আছে অথবা কি নেই আমার? আমার কতটুকু সম্ভাবনা আছে? আমিতো অহংকার করে কখনো নিজেকে রাজার রাজা বলিনি তোমাকে। তোমাকে আমি বলেছি পূর্ণিমা চাঁদ। থাকো আকাশের উপরে। তেসো তুমি কোথায় গেলে? কি করলে তুমি খুশি হও? আমার কবিতা কি তুমি পড়ো না? মেয়ে তুমি কি কবিতা বুঝো না? তুমি কি আমার কবিতার বৃষ্টিতে ভিজে ওঠো না? রক্তজবার মতো। তাহলে কবিতাই লিখবো।

ওগো প্রিয়া,
কাছে এসো, ওগো আদরিনী
খুব করে ভালোবাসো, শুধু আমায়।
বুকে লেগেছে তিয়াস ভালোবাসার লাগি,
আমারে দেবে কি সখি প্রেম অথৈ গভীরতায়?
জীবনে চলার পথে প্রখরো রৌদ্রে অথবা ঘন বর্ষায়
হবে নাকি মোর আশ্রয় অনন্ত আকাশের বিশালতায়?
প্রেমের অনাসৃষ্টিতে ভিজিবো সখি ভালোবাসার বৃষ্টিতে,
আজীবন তোমারে সাথে লয়ে। জানি জীবন যাচ্ছে কেটে
কর্পূরের মতো ওগো সখি, কেনগো করো কালক্ষেপন ?
চারিদিকে নামিছে যেন হতাশার তিমির আঁধার।
ভালোবেসে আমারে তুমি লও বুকে টেনে সখা ,
আর ক্ষমা করো আমায়। সতত মম প্রাণে
করিতেছি _____এই শুভকামনা,
তোমার লাগি।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন: বাহ :-B কবিতাগুলো বেশি ভাল লাগছে ..।++++

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ম কমেন্টে ও পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন সুপ্রিয় ব্লগার।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৬

প্রামানিক বলেছেন: অনেক বড় লেখা তারপরেও পড়লাম, খুব ভালো লাগল।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমন্টেও ও পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা । নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য সুপ্রিয় প্রামানিক ।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি,

আপনার গদ্য কবিতা অত্যন্ত মনোগ্রাহী হচ্ছে। তেসোকে আমার ভালো লাগা। ফুটবল না বুঝলেও ব্রাজিলের জন্য শুভ কামনা। রমনাপার্কের দৃশ্যপটও বেশ সুন্দর । শেষ কবিতাটি সবকিছুকে ছাঁপিয়ে গেছে।


অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা। নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।


আপনার এত উঁচু মানের লেখায় কেমনে কমেন্ট করবো, ভাবছি। :( ব্রাজিলের জন্য শুভ কামনা রইলো।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটা একটা ছোট গল্প । ভাল লেখার চেষ্টা করেছি। ব্রাজিল জিতলে আমার ভালো লাগে ।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৮

শামচুল হক বলেছেন: অনেক ভালো লেখা। ধন্যবাদ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেস কৃতজ্ঞতা। নিরন্তর শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য ।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:০২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: শুরু থেকে কিছুক্ষণ তেসোর মনে ঘোরাফেরা করে ধীরে অর্কের মনে প্রবেশ করে শেষ অবধি তার মনের নানা অলিগলিতে ঘুরে বহু প্রশ্নের উত্থাপন এবং উত্তর, সিদ্ধান্ত ও অমীমাংসিত সব ভাবনা নিয়ে অর্কের মধ্যে থেকেই শেষ করেছেন। তেসোর অংশটুকু বাদ দিলে এটা আত্মজীবনী ধরণের লেখা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এটা হলো সময়ের প্রতিফলন। ঠিক এই সময়ে প্রেম,দেশের আর্থসামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষপটে লেখা গল্প। প্রশ্নগুলো এ সময়ের প্রেক্ষাপটে ঘুরে ফেরে অনেকের মাথায় বারবার আসছে। উত্তর খুজছে। আর পৃথিবীটা এখন বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮ জ্বরে কাঁপছে। অর্ক আর তেসোর প্রায় অর্ধযুগের অনবদ্য প্রেম নিয়েও কম অলোচনা চলছে না।

কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ ধন্যবাদ চঞ্চল হরিণী । নিরন্তর শুভকামনা। অতপর আসলেন :)

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:১২

সিগন্যাস বলেছেন: এতো বড় লেখা?পড়তে পারলাম না #:-S

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বেশি বড় হয়নি। কমেন্টে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।

পড়ে কমেন্ট করলে বেশি ভালো লাগতো।


ভালো থাকবেন সুপ্রিয় ব্লগার ।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সব বিষয় মিলে মিশে একাকার।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ও নিরন্তর শুভকামনা ।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন আপনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা রইলো।

১০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: কী অনবদ্য উপস্থাপন সেলিম ভাই! নিঁখুত বললেও ভুল বলা হবে।

তেসোর প্রেমিকের প্রতি লেখকের বিশাল ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। লেখকও কি মনে মনে তেসোকে? ;)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সে আর বলতে। ;)

সুন্দর কমেন্টে আর পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।


তেসো মানে তেতুল সোনা ।

১১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: তেসো মানে তেতুল সোনা । -- এ কি শুনালেন কবি, হরি হরি!!! লাজে যে এবার মরি মরি!!! :P

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আরে এমনি বললাম । মনে আসে শফি হুজুরের তেতুল নিয়ে বক্তব্য ব্যাপক আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছিল । সেটা মনে করিয়ে দিলাম আর কি। :)

১২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরে এমনি বললাম । মনে আসে শফি হুজুরের তেতুল নিয়ে বক্তব্য ব্যাপক আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছিল । সেটা মনে করিয়ে দিলাম আর কি। -- তাই তো বলি, তেসোদের প্রতি কবিদের এত এত অাগ্রহ কেন? ;)

তবে যাই বলেন আপনার গল্পের প্রোটাগনিস্ট কিন্তু তেসোদের ভালো পায়। :-P

০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এনামে আর কোন গল্পের নায়িকা ক্যারেক্টার থাকার কথা নয়। সম্পূর্ণ ইউনিক।

গল্পের প্রোটাগনিস্ট তেসোদের ভাল পেলেই হলো।

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রয়াত অভিনেতা ফরীদি কষ্টের মাঝে থেকেও মানুষ দের আনন্দ দিতেন আখেনাটেন তেমনি প্রচেষ্টা। অন‍্য কিছু নয়। গল্প তো গল্পই।

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কবিতাগুলো ভালো লেগেছে ....


০৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবিতায় ভালো লাগায় ও পাঠে অসংখ্য ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.