নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
মহাপ্রয়াণ স্মরণে তাঁর..
সুদীর্ঘ কারাবাস তাঁর—দেশকে ভালোবেসে
সে যে দেশের মানুষকে বৈষম্য—পরাধীনতা থেকে
মুক্ত করে— নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে
বজ্র কন্ঠ এক—
“বাংলার মানুষ মুক্তি চায়
বাংলার মানুষ স্বাধীনতা চায়..
তোমাদের হাতে যা কিছু আছে..
মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি
আরও রক্ত দিবো—তবু এদেশের মানুষকে
মুক্ত করে ছাড়বো! ইনশাল্লাহ!”
কী সুতীব্র আকাঙ্ক্ষা! প্রাণের সে কী আকূতি!!
দেশের জন্য— রক্তদানের; জীবন দানের
আরও রক্ত তিনি ঠিকই দিলেন,
পাকহানাদারদের প্রেতাত্নাদের হাতে
স্বাধীন বাংলায়— স্বপরিবারে
বক্ষ বিদীর্ণ হলো তাঁর;
শঠতা আর বুলেট বিস্ফোরণে বিপন্ন মানবতা
কেউ বেঁচে নেই আর—নিষ্পাপ শিশু রাসেলও নয়!
হায়েনার তান্ডবে—সবশেষ
তবু বেঁচেছিলেন পিতাহারা অভাগা এক
দূর পরবাসে—যেন রিক্ত হস্ত; ফেরারি
মৃত্যুদুত যার সঙ্গী সদা—
বাংলার আকাশ মাটি সেদিন
বুকে পাষাণ বেঁধেছিল—
অবণীর বুকে এমন বর্বরতা—ইতিহাস দেখেনি আর
বঙ্গ বন্ধুর রক্তে রঞ্জিত
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অববাহিকা; বত্রিশ নম্বর বাড়ি
মেঝেতে ছুপছাপ রক্ত—যেন সন্তানহারা বাংলার মানচিত্র
রঙতুলিতে আঁকা—সেই ছবি আজও ভাসে
প্রতিটি বাঙালির মানসপটে—ক্রান্তিকালের নির্মম স্বাক্ষ্য যেন
বুকচাপা অভিমানে—লজ্জায়; মানুষ না হয়ে বাঙালি থেকে
বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের সেই দরাজ কন্ঠ—
হায়! রুদ্ধ হয়ে গেছে চিরতরে
যেমন অস্তরবি লালিমা মেখে গায়ে
ডুবে গেল হারিয়ে গেলো পশ্চিমের আকাশে।
তারপর যেন ডুবে গেল স্বদেশ—চারিদিকে হতাশার অদ্ভুত আঁধার
দিনশেষে রাত্রি যেমন আসে—বাঙালি জাতি তাই মহাশোকে
মহাপ্রয়াণ স্মরণে তাঁর..
রূপকথা-কল্পনা—কোন অলীক গল্প না।
আরও একটি নির্ঘুম রাত!
কষ্টের শেকড় গুলো—একে একে উপড়ে ফেলে
একটি ফুল পরম মমতায় বুকে
আগলে রেখে—ধরে নিতে পারো
সেই আগের মতই— তোমার আমার রাতজাগা
শুধু দু’জনার রঙিন স্বপ্নগুলো সাজিয়ে রাখা নেই
ভালোবাসার প্রদীপ জ্বেলে
কারণ এইখানে তুমি নেই—প্রিয়তমা দূর তফাত
বন্দী থেকেই—তোমার বিচরণ;
তুমি চাইতে মুক্ত বিহঙ্গ হতে—
তাই আমি হতাম ডানা কামনার শ্রাদ্ধ করে;
তুমি হতে রূপকথা—আমি কল্পনা।
হ্যা, আরও একটি নির্ঘুম রাত!
সুতীব্র প্রতীক্ষায়!!—করিতেছি তাঁর মঙ্গল কামনা
এইখানে কী তুমি নেই?
এমনতো কথা ছিল না!
তাই বলি তুমিও আছো আমার সাথেই
রূপকথা-কল্পনা—কোন অলীক গল্প না।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: লহো সালাম
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা ।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ।নিরন্তর শুভকামনা।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
হত্যাকারীদের বিচার করেনি বাংলাদেশ মিলিটারী, শাস্তি দেয়নি, উল্টো পুরস্কৃত করেছিলো।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পাপাচারের শাস্তিবিধান করা উচিৎ। সে যে ব্যক্তি হোন না কেন? পাপ পাপকে উৎসাহিত করে। হত্যা হত্যাকান্ড। যেমন ভাবে একের পর এক রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হতে থাকলো। দেশের প্রভুত ক্ষতি সাধন হয়েছিল। অথচ দেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সবাই এক ছাতার নিচে আসা দরকার ছিল। অথচ দেখা গেল তার উল্টোচিত্র।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে কবিতা লিখেছেন একটা স্যলুট আপনাকে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্যবাদ। আমি কবিতাকে বলে দিয়েছি মুক্ত বিহঙ্গ হতে। বিশাল আকাশ যার বিচরণ ক্ষেত্র। কোন ক্ষুদ্রতা যেন তাকে স্পর্শ করতে না পারে। বঙ্গবন্ধুর নামে শ্লোগান দিয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ। তাকে ব্যক্তি বা দলমালিকানা করা মানে তাকে ক্ষুদ্র করা। আমাদের বঙ্গবন্ধু মহান নেতা । তিনি তো মানুষ তাইনা? তার মধ্যে দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা খুঁজে পাই আমি। যতদিন বাংলাদেশ ততদিন বঙ্গবন্ধু। তার নাম মুছে ফেলা যাবে না ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: স্মরণে বঙ্গবন্ধু ।