নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভকামনা , জাগরণিসংশয়

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

শুভকামনা
ঈর্ষা নয় ভালোলাগা হোক
ঘৃণা নয় হোক— অমোঘ ভালোবাসা,
প্রতিশোধ পরায়ণ না হয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি হোক
—অতৃপ্তি ঠেলে দূরে, ছেড়ে সকল লোভ লালসা।
সততার প্রদীপ জ্বেলে কর্মমন্ত্রবলে চলো সুনিশ্চিৎ করি
অপার সম্ভাবনার দ্বার— শান্তিপূর্ণ এক জীবন,
চলো সকলে মিলে সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ গড়ি, তবেই স্বার্থক হবে,
বায়ান্ন
একাত্তর
মুক্তিযুদ্ধ
শত শত আত্নবলিদান ।
সাফল্যের শেকড় থেকে শেখরে পৌছে তবেই হোক তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলা
আত্নশুদ্ধির মন্ত্রযপে চলবে আমাদের অগ্রযাত্রা, পিছপা হবো না আর
এভাবেই চলো সুনিশ্চিৎ করি আমাদের বিজয় অভিযান,
বাঁধ ভাঙার আওয়াজে করিতেছি সেই আহবান
আমাদের হবে জয়— নিশ্চয়
যতক্ষণ এ দেহে প্রাণ আছে জেনে রেখো প্রত্যাশার আলো আছে সমুখে..


বিঃদ্রঃ প্রফেসর কাজি মতিন আহমেদ স্যার ডোগা'র ওয়েব পেজ এ সকল সদস্যদের জন্য নববর্ষ বার্তা দিয়েছেন। সেটা অবলম্বনে কবিতার শুরুটা তারপর কবিতাকে স্বাধীনতা দিলাম যেখান খুশি সেখান যা ....কবিতা অমন হলো । একটু বলে নিই স্যার একজন স্বপ্নবাজ আমাদের স্বপ্ন দেখান অবশ্য স্যারের অবস্থান স্বপ্নের মতই আর্সেনিক নিয়ে কাজ করে তিনি পৃথিবীর সেরা স্বীকৃত ৬ জন লিজেন্ডের একজন । এটা আমার ছাত্র বেলার অবস্থা । কুড়ি বছর বাদে তিনি নিজেকেই ক্রমাগত ছাড়িয়ে গেছেন। স্যারের কল্যাণে অনেক ছাত্রই প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। অথচ স্যার নিজেকে জাহির করতে চান না। কেন যেন নিরবেই কাজ করে যান। স্যারের কয়েক শ মিনারেলের নাম মুখস্ত ব্যাপারটা অবাক করতো আমাদের । স্যারের আবার সব ছাত্রের নাম মুখস্ত কতোটা বিস্ময়কর । ব্যাচ ধরে ধরে নাম বলে দেবেন । অদ্ভুত স্মরণশক্তি স্যারের । স্যার সিংহ হৃদয় মানুষ । স্যারের সাহসী ভূমিকা কিংবদন্তী তুল্য।

জাগরণি
এই যে শীত তা তো ক্ষণিকের
যথা সময়ে ফুরিয়ে বসন্ত আসে,
প্রকৃতি যেন শীতনিদ্রা থেকে জেগে ওঠে
কামনার বসন্ত জড়িয়ে গায়ে;
অদ্ভুত সুন্দর যেন রংধনু রং ছড়িয়ে দু’চোখে,
যেন এক মহেন্দ্র ক্ষণ,
যেন প্রকৃতির উদাত্ত আহবান প্রেমে।
তুমি তো নও জড়ো— অনন্ত নির্জীবিতায়
তাই বলি প্রবাহিত নদী হও অরণ্যে পাহাড়ে
ঘন সবুজের অসমতল বুক চিড়ে
মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে ওঠো মনাকাশে
উড়ে যাও দূরে সরে যাও বন্দী প্রাসাদ ভেঙে দূরন্ত বিপ্লবে।
সুপ্ত চ্যুতির মাঝে শক্তি জমে জমে যেমন
একদিন পুঞ্জিভূত শক্তি প্রচন্ড ভূমিকম্বনে বের হয়ে আসে
তুমিও জানিয়ে দাও ওগো প্রচণ্ড নিনাদে আমাদের দুজনার
মাঝে শাশ্বত প্রেম আছে
কতজনের অনাহারে কেটে গেছে দিন
কতজনে নিদ্রাহীনতায় তাতে সময়ের কী?
তবু সময়তো থেমে থাকেনি
বর্ষ ফুরিয়ে গেছে , সময় নির্মম কঠিন
তবু খেল তামাশায় কতলোকে কাটিয়েছে ক্ষণ
যেন এক আনন্দলোকে
এভাবেই হয়তো সবার অগোচরে অমিত সুখ সম্ভাবনা হয়ে যায় লীন।
উদ্বেগ উৎকন্ঠা তোমাকে না পেয়ে বিষন্ন চাতক মনটা
তবু চলে গেছে ক্ষণ —হতাশা বুকে নিয়ে
অবশেষে এসেছে নববর্ষ নব বার্তা নিয়ে
সম্ভাবনার এক পৃথিবী গড়তে হবে
এই প্রত্যয়ে—সময় ‍ছুটে চলে ক্লান্তিহীন,
তুমি না হয় ভূমিকম্পের মত— হও প্রকাশিত
ঈর্ষাকাতর সব চোখে ধূলি দিয়ে
ভালবাসার বার্তা পৌঁছে দাও ‍ছুটে আসো আমার এই বুকে।
ওগো দূর-নক্ষত্র হয়ে থেকো না আর,
থেকো না আর সর্বংসহা পৃথিবীর মতো নিশ্চুপ।
কিংবদন্তীর প্রেম আহবানে দেখো কত ঈর্ষাকাতর চোখ মিথ্যে ঠোঁট
বিদ্বেষ ছড়িয়ে — তুমি শুধু বলে দাও আমি কী নই
জাগরণি পরশ তোমার যৌবনে— যার পরশে দূরন্ত মানবিকা
তুমি, হয়ে ওঠা রমনী অনন্ত যৌবনে কামিনী। তাই বলি ঝেড়ে ফেল জড়তা
ওগো বিকশিত হও প্রস্ফুটিত ফুল হও মৃগনাভীর সুঘ্রাণে
গেয়ে ওঠো রবীন্দ্র গান ‘‘আমারও পরাণ..” অভিসার সাধনায়।
জেগে ওঠো ওগো লজ্জাবতি লতা এবার বলে দাও
অপার মহানুভবতা লয়ে বুকে পুষ্পরেণু গন্ধ মেখে
ওগো মোর প্রিয়তমা হৃদয় সঁপেছি শুধু তোমারে
পিছপা হয়ো না আর আসুক টর্নেডো ঘূর্ণিঝড়
আমাকে পাশে পাবে দৃঢ়তায় পৃথিবীটা যতই হোক স্বার্থপর
তুমি নিরবতা ভেঙে জেগে ওঠো যেমন শশি জেগে ওঠে পূর্নিমা রাতে
বলে দাও তুমি ওগো ভালোবাসো শুধু আমাকে ।


সংশয়

এ কেমন সূচনা হলো?
অফিসে একবার নয় দুইবার বিদ্যুৎ চলে গেল,
এই হলো বছরের প্রথম দিন
এটা কীসের আলামত কেন শীতে লোড শেডিং
দেশ কী তবে যাবেই রসাতলে
দূর্ভোগ পোহাতে হবে খুব —দেশের সকলে।
তবু মনে মনে করেছি প্রার্থনা
মহান স্রষ্টার তরে নব নব শুভ বার্তায়
সারাটি বছর যেন কাটে হাসি আর গানে
অশুভ সব ধ্বংস হোক শুভর আগমনে ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

ইসিয়াক বলেছেন: অশুভ সব ধ্বংস হোক শুভর আগমনে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ১ম কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।নিরন্তর শুভকামনা ।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর হয়েছে কবিতাগুলো

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।নিরন্তর শুভকামনা

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করে। আমি আছি আমার শত্রুর জন্য অপেক্ষায়।
আশা করি খুব শিঘ্রই তার দেখা পাচ্ছি।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।নিরন্তর শুভকামনা

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: বাস্তবতার নিরিখে সুদূর প্রসারি চেতনায় অনেক পরিশ্রমী লেখা। জাতীয় স্বার্থে কবির প্রত্যাশা পূরণ হোক।
অফুরান ভালো লাগা।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।নিরন্তর শুভকামনা

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৩

নার্গিস জামান বলেছেন: খুব সুন্দর :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।নিরন্তর শুভকামনা

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২১

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: চারদিকে অশুভের তাণ্ডব। শুভও পালিয়ে গেছে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ।নিরন্তর শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.