|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সেলিম আনোয়ার
সেলিম আনোয়ার
	[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।
কোভিড নাইনটিন ভীষণ ছোঁয়াচে, তার সাথে ছুয়াছুয়ি খেলা বিপর্যয় ডেকে আনবে এটাই স্বাভাবিক। রুবানা হক ছূয়াছূয়ি নয় জড়াজড়ি খেলার আয়োজন করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক নিয়ে, বি বাড়িয়ায় মৃত হুজুরের জানাজায় শোডাউনে , তুচ্ছ বিষয়ে মারামারি ধস্তাধস্তি করে
সীমিত আকারে ব্যবসাপাতি চালু করে। আবার পঙ্গপালের মত দলে দলে ঈদের ছুটিতে মানুষের ঢল হলে আবারও আরেক দফা আক্রান্তের পথ প্রশস্ত হবে। বাংলাদেশের মানুষ একমাত্র ঘরে আটকে রেখে সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব এই দেশে স্বাস্থ্য বিধি মতে চলার ক্যাপাসিটি ও সচেতনতা শতকরা দশ ভাগ অফিসের ও নেই। হাট বাজার জনসমাগম স্বাস্থ্য বিধি মতে করার সক্ষমতা আমাদের কারোরই নেই। বিজিনেস সেক্টর আর ও নাজুক। সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে ইটালী অভিবাসীদের লকডাউনে বন্দী না করে মুক্ত বিহঙ্গের মতো তাদের কোভিড নাইনটিনের সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপক সুযোগ করে দিয়ে। মানুষের অসচেতনতা অসতর্কতা এই অসুখ
সাদরে আপ্যায়ন করে ঘরে আনা হয়েছে। কাজেই পরিস্থিতি ভয়াবহ। সত্য উপলব্ধি করতে হবে। ভুল করা যাবে না। পুরোপুরি নবীর সুন্নত মতে লকডাউনে থাকতে হবে। কঠোর হতে হবে। শুরু থেকেই সেনাবাহিনী নামিয়ে শক্ত হাতে লকডাউন সুনিশ্চিত না করার খেসারত দিতে হচ্ছে। এমন আলেম ওলামা নেই যারা প্রকৃত দ্বীন ইসলামের কথা বলছেন। তারাও অর্থের উপাসনায় মেতে আছেন। মুফতি ইব্রাহিমের ওয়াজে করোনা ভাইরাস এদেশে আক্রমণ করার যুক্তি এতো ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে এদেশে করোনা আসে কিভাবে এর পিছনে ও অর্থের উপাসনা ই প্রকট ধর্ম ব্যবসা লালসালুর দৌরাত্ম্যে স্রষ্টার অনুমোদন নেই । দেশের মানুষ ধার্মিক হতে পারে কিন্তু রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপ আর ভেজাল ঢুকে গেছে এই দেশে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত লকডাউনে অনেক বেশি কঠোরতা অবলম্বনের সুফল ভোগ করছে। আর আমরা ছুঁয়াছুয়ি খেলছি। এই দেশে ধর্মীয় নেতা যাদের মনে করা হয় তারা মানুষের ঘরে ঘরে আমলের দাওয়াত নিয়ে গেছে এমন দৃষ্টান্ত নেই বললেই চলে। বরঞ্চ ইংরেজি শিক্ষিতরা যখন  তাবলীগের নামে মানুষ দের ঘরে ঘরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিয়েছে কাঠমোল্লাদের আচরণ ছিল গ্রামের সেই সব চেয়ারম্যানের মত যারা শিক্ষা বিস্তার তাদের ক্ষমতার মসনদের জন্য হুমকি মনে করে বাঁধা প্রদান করেছে নস্যাৎ করেছে। কারণ এই দাওয়াতে তাবলীগ লালসালুর জন্য হুমকি। ধর্ম ব্যবসার জন্য হুমকি। তাবলীগের বিনে পয়সায় দ্বীনের মেহনত সহ্য করবে কেন? মওদুদীরাও তাদের বিরুদ্ধে। যারা বলেন সাঈদী হুজুর মুক্তি পেলে করোনা দৌড়ে পালাবে তারা ডাহা মিথ্যে বলছেন। এদের দোয়ায় কচুটাও হবে না।  চরমোনাইয়ের পীর দিয়ে ও হবে না। এরা ক্ষমতার জন্য লালায়িত। ধর্মপ্রচারক নয় ধর্ম ব্যবসায়ী । তারা জানে প্রতি পক্ষকে যে কোন প্রকারে ঘায়েল করে নিজের দল ভারী করা। এখন ভরসা গণহারে আল্লাহর কাছে তওবা করে আত্মশুদ্ধির পথে গিয়ে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করা এই মহামারী থেকে মুক্তি চাওয়া। সর্বস্তরের মানুষ আন্তরিকভাবে যার অবস্থানে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জ্ঞান বিজ্ঞানের সুষ্ঠু প্রয়োগ চিকিৎসা ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা। ঘরে থাকা। গোটা দেশ মহান একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় 
নিয়োজিত হওয়া। যারা ভাবছেন আল্লাহ তায়ালা চাইলে ই তো পারেন করছেন না কেন। আরও কত পাগলের প্রলাপ। তারা কি কখনো ভেবেছেন। আল্লাহর তায়ালার চাওয়া কি ? এতটুকু বলা যায় তিনি ক্বুন ফায়াকুনের মালিক। তিনি চাইলে এখনই কোভিড নাইনটিন ফিনিশ হয়ে যাবে। এখন সময় ঐক্যগড়ার এখন সময় আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মগ্ন হয়ে সমবেত প্রচেষ্টায় কোভিড নাইনটিনকে রুখে দাঁড়াবার। আল্লাহ আমাদের এই ভয়াবহ আপদ হেফাজত করুক গোটা পৃথিবীকে নিরাপদ আবাস করুন এই প্রার্থনা থাকলো।
এবার কবিতা হয়ে যাক
উপলব্ধি !!!!
________
মানুষের অবয়ব আর দেহাকৃতি নিয়ে
আসলে বিকৃত উল্লসিত অনৈতিক সব কাজে
চেহারা আর শরীরে তাদের আছে বিলাসিতা 
তাদের নেই কোন মন যেন বৃথাই মানব ভ্রূণ
তাদের শুধু আছে গজ ফিতা
অনর্থ পরিমাপের,  তাদের দিন কেটে যায় ভোগবিলাসিতায়,
প্রভু নয় প্রকারান্তরে অর্থই আসল প্রভু তাদের উপাসনায়, ত্রাণ বিতরণের নামে তারা
করিতে পারে অর্থ লুট দূ র্যোগের দিনে
 ত্রাণ দানে তারা তাই এমন উৎসুক 
অবয়বে তাদের ব্যথার কপট জলছাপ
জগৎ জুড়ে ব্যবসা তাদের আছে 
বলাতো যায় না কোন সময়ে 
কোনটা যে কাজে লাগে ।
ধর্ম ব্যবসায়ী নাস্তিকতার ফেরিওয়ালা
অসৎ রাজনীতি ভিন্ন ভিন্ন মেরুতে হতে পারে
তাদের বসবাস 
নিয়তির নির্মম পরিহাসে
তারা একই স্বভাবজাত শুধু ভিন্ন তাদের লেবাস
মানুষের জীবনের নেই কোন দাম তাদের কাছে
ওটা তো অসৎ ব্যবসা 
অসহায় মানুষের অধিকার চেটে পুটে। 
সর্বস্ব লুট করে তারা তলাটাও চাটে
মানুষ তাদের ভাবে বড় দাতা 
তারাই যেন প্রিয় মুখ   জনসমাজে
তাদের প্রার্থনার  নেই কোন দাম স্রস্টার দরবারে, জ্ঞানও তাদের ভীষণ সীমিত
মহান আল্লাহর অভিশাপে, আমরা শুধু থাকি বেঁচে করুনাময় আল্লাহর আশীর্বাদে।
 
 ১০ টি
    	১০ টি    	 +১/-০
    	+১/-০২|  ১৪ ই মে, ২০২০  রাত ১২:০৯
১৪ ই মে, ২০২০  রাত ১২:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী কালিমা তায়্যিবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এই কথাই বলে দেয়। তিনি সমস্ত হালতের বা অবস্থার মালিক নিয়ন্ত্রা । অবস্থা হলো সূস্থতা অসুস্থতা ধনী দরিদ্রতা শীত গরম সবকিছু । এই বিশ্বাস ইসলামের মূল ভিত্তি তথা ঈমান।
মহান আল্লাহ অমুখাপেক্ষি । সুরা ইয়াসিনে প্রকাশ্য বলা কুন ফায়াকুনের মালিক। আল্লাহ তায়ালা চাইলে ই এটা ফিনিশ । মানবজাতির উপর এটা পরীক্ষা।
সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার যুক্তরাষ্টের অবস্থা ই প্রমাণ। তারা আমাদের মত এতো অনিয়মের দেশ নয় কিন্তু।
ইসলাম মতে এই বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যু বরণ করলেও তার পুরস্কার জান্নাত মানে বেহেশত।
৩|  ১৪ ই মে, ২০২০  রাত ১২:২২
১৪ ই মে, ২০২০  রাত ১২:২২
চাঁদগাজী বলেছেন: 
আপনি লিখেছেন, "মানবজাতির উপর এটা পরীক্ষা।
সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার যুক্তরাষ্টের অবস্থা ই প্রমাণ। তারা আমাদের মত এতো অনিয়মের দেশ নয় কিন্তু। "
-মহামারী কখনো পরীক্ষা নয়, ইহা মেডিক্যাল অবস্হা।
আমেরিকা, ইুরোপে  করোনা বেশী ছড়ানোর কারণ আপনার কাছে ধাঁ ধাঁ মনে হচ্ছে?
৪|  ১৪ ই মে, ২০২০  রাত ১২:৩১
১৪ ই মে, ২০২০  রাত ১২:৩১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ তুমি ক্ষমা করো । এইবার ইত্তেকাফ করাও কঠিন হবে।
৫|  ১৪ ই মে, ২০২০  রাত ১:১১
১৪ ই মে, ২০২০  রাত ১:১১
নেক্সটডোর বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়ে ভাল লাগল। আমিও কিছু লিখার চেষ্টা করেছি। পড়ে দেখতে পারেন।
৬|  ১৪ ই মে, ২০২০  রাত ২:১১
১৪ ই মে, ২০২০  রাত ২:১১
সোহানী বলেছেন: কবিতার পাশাপাশি গদ্য... । যাহোক, আপনার চিন্তা অমূলক নয় কিন্তু এটাও তো ভাবতে হবে এ দেশর আঠারো কোটি লোক বাস করে। এদের পেটের ভাত জোগাড় হবে কিভাবে? সরকারতো ওদেরকে বসিয়ে খাওয়াবে না!
৭|  ১৪ ই মে, ২০২০  রাত ৩:০২
১৪ ই মে, ২০২০  রাত ৩:০২
রাজীব নুর বলেছেন: জুলাই মাসের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
৮|  ১৪ ই মে, ২০২০  সকাল ৯:৪০
১৪ ই মে, ২০২০  সকাল ৯:৪০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সরকার প্রথমেই কঠোর এবং পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতি আজকের মতো এতোটা দোদুল্যমান হতো না। চোর-পুলিশ খেলে খেলে সরকার এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এখন আর তেমন কিছুই করার নাই ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেয়া ছাড়া, আর সৃষ্টিকর্তার নাম নেয়া ছাড়া।
যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে.......এখন আল্লাহর নাম নেন। আল্লাহ ভরসা।
৯|  ১৫ ই মে, ২০২০  বিকাল ৩:১৩
১৫ ই মে, ২০২০  বিকাল ৩:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চাঁদ গাজী এটা একটা পরীক্ষা মানুষ জাতির সক্ষমতার। যেমন বাংলাদেশ আসলে এই রোগের মোকাবেলায় কতটা সক্ষম। এই দেশের উষ্ণতা আর্দ্রতা আবহাওয়া করোনা বিস্তারের জন্য প্রতি কূল হওয়া সত্ত্বেও এতো করোনা রোগী রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা দৈন্যতাই প্রকাশ করে। কতোটা নির্বোধ নেতৃত্ব আপনি বলেন তো। বেশি করে শাকসবজি কিনলাম সকালে চারিদিকে করোনা র ধূম । টিকে থাকতে হলে বেশি করে শাকসবজি ও ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল খেতে হবে।
১০|  ১৫ ই মে, ২০২০  বিকাল ৩:২২
১৫ ই মে, ২০২০  বিকাল ৩:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নেওয়াজ আলি বাজার করে ফেরার মসজিদ কমিটির লোক তারাবীহ র নামাযের চাঁদা চাইলো। অথচ মসজিদ খুললো মাত্র । আসলে সরকার ও মসজিদ খোলে দেয়ার কারণ এই তাদের পেট ভরানো। নাহলে গদি টিকেনা। কোন একটা পোস্টে ফেবুতে দেখেছিলাম একজন হুজুর কাঁদছেন মসজিদ খুলে দেয়ার জন্য। মাত্র দশজন মুসল্লি অনেকে নামাজ পড়ার সুযোগ না পেয়ে গালিগালাজ করে।আসল কথা হলো তারাবীহর মওসুমে তাদের বিশাল পেট অভূক্ত থাকবে । এই পেটপূজার জন্য মসজিদ খুলে দেয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০২০  রাত ১১:৫৪
১৩ ই মে, ২০২০  রাত ১১:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলছেন যে, আল্লাহ চাইলেই করোনা ভাইরাস ফিনিস হয়ে যেতো, ( গদ্যের শেষ প্যারাগ্রাফে ) সঠিক?