নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেমানটিক

রাকি২০১১

.................

রাকি২০১১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগ: টিউলিপের বিয়ে আর মুসলমান - যারা জান্নাতের কেন্ডিডেট।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

১।

মহান রাব্বুল আলামীন- আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তিনটি আদালত বসাবেন। ১নং আদালতে ঈমান ও কুফর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। যদি ঈমান থাকে সে, ২নং ও ৩নং আদালতে যাবে। যদি ঈমানদার না হয় তাহলে তার জন্য ২নং ও ৩নং আদালত প্রযোজ্য নয়- সে বিনা হিসাবে জাহান্মামে যাবে চিরদিনের জন্য।



২।

যারা আল্লাহ তায়ালার হারামকে হালাল জানবে অথবা হালালকে হারাম জানবে (বিশ্বাস করবে) সে ঈমান হারাবে- কাফের হবে।



৩।

পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে-

And do not marry polytheistic women until they believe. And a believing slave woman is better than a polytheist, even though she might please you. And do not marry polytheistic men [to your women] until they believe. And a believing slave is better than a polytheist, even though he might please you. Those invite [you] to the Fire, but Allah invites to Paradise and to forgiveness, by His permission. And He makes clear His verses to the people that perhaps they may remember.



আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।(2:221)



এবার প্রসংগ:



শেখ রেহানার মেয়ে-বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিয়ে হল বর - ক্রিশ্চিয়ান পার্সির সাথে। যতটুকু জানি তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। তার সাথে একজন মুমিনার বিয়ে ইসলাম সমর্থন করে না।



তাহলে,

১) এই বিয়ে কি বৈধ (একজন মুসলমানের জন্য), নাকি সারা জীবন বর-কনে ব্যভিচারের গুনাহ নেবেন। সবথেকে বড় কথা হল - তারা যদি এই বিয়েকে বৈধ মনে করেন তাদের ঈমানের কি অবস্থা হবে? [২ নং রেফারেন্স]



২) যে মুসলমান এই বিয়েকে সমর্থন দেন/ বৈধ মনে করেন, তাদের অবস্থান কোথায়? - তাদের কি ঈমান থাকবে? [২ নং রেফারেন্স]

৩) এভাবে মুসলিম অমুসলিম বিয়ে হতে থাকলে সাধারন মুসলিমরা মনে করবে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। আর তারা নিজের অজান্তেই আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক হারামকৃত বি্ষয়কে হালাল জানবে।



তাই মুসলমান ভাই/বোনদের প্রতি অনুরোধ ইসলামকে সঠিকভাবে জানুন আর সঠিক ভাবে মানুন- নিজের পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের এমনকি বিশ্ব উম্মতকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাচানোর চেষ্টা করুন।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

সাইবার ডাঃ ডেভিলস ডুম বলেছেন: টিউলিপের বিয়া নিয়া আপনার চিন্তা কেন, তিউলিপের হাশরের জবাব কি আপনি দিবেন নি ভাই ???

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

রাকি২০১১ বলেছেন: আপনি মুসলিম হলে নিচের কথাগুলো প্রযোজ্য।

১) আপনি দায়িত্ব/কর্তব্য কাকে বলে তা কি জানেন? আপনি যে ঈমান আনছেন তা আপনার নিকট কী দাবী রাখে তার খোজ খবর রাখেন?
আপনি শেষ নবীর উম্মত- সেরা নবীর সেরা উম্মত- কেন সেরা তা কী জানেন। আপনি তো দুনিয়ার অনেক নলেজ রাখেন- কিন্তু আপনার একাউন্টেবিলিটি কি, তা কি জানেন। আপনি শ্রেষ্ঠ উম্মত কেন তা জানেন? সময় শেষ হওয়ার আগে আশা করি জেনে নিবেন। তা না হলে পিছনে ফেরার কোন সুযোগ থাকবে না। তখন আফসোস করতে করতে আংগুল কামড়াবেন- কামড়াতে কামড়াতে হাতের কনুই পর্যন্ত খেয়ে ফেলবেন, টেরই পারবেন না। কিন্তু কোন কাজে আসবেনা। তাই ভাই নিজ দায়ীত্বে সচেতন হোন।



২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

ৈতয়ব খান বলেছেন: ভাই,
আসসালামু আলাইকুম। আপনার পোস্ট তাদের জন্য যারা এর কদর করবে। আপনি যাদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, তারা তো আখিরাতের ভয় করে না। কেননা, সজিব ওয়াজেদ জয় (হাসিনা তনয়) খ্রিষ্টান বে করেছে। টিউলিপ একই কাজ করবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
এসব শ্রেণির লোকের কাছে দুনিয়াটাই আসল, আখিরাত নয়। হতে পারে হাসিনা এ দেশের প্রধান মন্ত্রী। তাতে কি, আল্লাহর কাছে কে প্রধানমন্ত্রী আর কে রাস্তার ভিক্ষুক; এসব দেখার বিষয় নয়। তিনি মানুষের ঈমান দেখেন, টাকা পয়সা, নাম, যশ প্রতিপত্তি নয়।
আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

রাকি২০১১ বলেছেন: কিন্তু ভাই, আমরা আম-জনতার কাছে তাদের রূপটা পরিষ্কার থাকা দরকার। একজন অমুসলিমকে আমরা কি মনে করি- আহারে এই ভাইটা যদি ঈমান আনতো তাহলে জাহান্নামে চিরদিন অগ্নিদগ্ধ হতে হতো না, ভুল-ভ্রান্তি যা হয়, শাস্তি শেষে সকল মুসলমান/ঈমানদার একদিন অবশ্যই জান্নাতে যাবে। কিন্তু ঈমানহীন আদমসন্তান কখনও জান্নাতে যেতে পারবে না। তাই তাদের এই অবস্থান(ধর্মীয়ভাবে) সকল উম্মতের কাছে পরিষ্কার থাকা দরকার।

আর তারা যে ঈমানের পরিপন্থী যে সব কাজ করতেছে তার পরিণতিও সকল উম্মতের কাছে পরিষ্কার থাকা দরকার।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

রাকি২০১১ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

রাকি২০১১ বলেছেন: ভাই, সালাম টা খেয়াল করিনি প্রথমে।
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

হাটহাজারী, চট্ট্রগাম। বলেছেন: আপনার কথা গুলো সত্য ও যুক্তি যুক্ত। এর পরিনাম ও ফল আওয়ামীলীগের উপর পরবে।

কিন্তু একটি কথা
ফালুর সাথে অবৈধ বিবাহ বর্হিভুত সর্ম্পকের জন্য নেত্রীর কি শাস্তি বা কি রকম র্ধমীয় আপরাধ হতেপারে, তা যদি এটু যোগ করতেন। ভাল হতে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

রাকি২০১১ বলেছেন: ভাই, এখানে আওয়ামি লীগ, বি এন পি র কথা হচ্ছে না।

এখানে ঈমান ও কুফরের সীমারেখা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আর একজন মুসলমান হিসেবে ঈমান পরিপন্থী কাজগুলোকে তারা কীভাবে হেন্ডেল করবে তা নিয়ে কথা হচ্চে।

অবশ্য প্রত্যেকে তার নিজ নিজ কর্মফল দেখতে পাবে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

সব খৃষ্টান তো আর দোযখে যাবে না,যেমন আল্লাহতাআলা নিজেই বলেন ......

[69] নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।

সুরা আল মায়েদাহ

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

রাকি২০১১ বলেছেন: তারা আহলে কিতাব।
তাদের কিতাব (তাওরাত/ইনজিল) মুহম্মদ (স) এর নবুওতের পুর্ব পর্যন্ত প্রযোজ্য। এখনকার খ্রিষ্টান/ইহুদিদেরকে অবশ্যই কুরআন অনুসারে চলতে হবে/ বিশ্বাস করতে হবে। তা না হলে তাদের আর অন্যন্য নন-মুসলিমদের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না।

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

রাকি২০১১ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

মেদভেদ বলেছেন: রক্ত এক দিন না এক দিন কথা বলবেই!!!

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

রাকি২০১১ বলেছেন: বুজলাম না।

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

আপনার জন্য আরেকটি আয়াত তুলে দিচ্ছি, ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন আয়াতটি নবুওয়াতের সময়ও খৃষ্টান দের ইঞ্জিল অনুসরন করতে বলা হয়েছে ........

[47] ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

সুরা আল মায়েদাহ

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

রাকি২০১১ বলেছেন:
দেখুন, দুই একটা আয়াত ( পারসিয়াল রেফারেন্স) দিয়ে আপনি বুজতে পারবেন না। এগুলা তো আল্লাহ তায়ালা প্রসংগক্রমে বনি-ঈসরাইলদেরকে কি কি আদেশ করেছিলেন তা নবিজীকে বলতেছেন আর মাঝে মধ্যে নবিজী (স) কে আদেশ দিচ্ছেন কিভাবে তিনি তাদের সাথে বিচার/আচার করবেন।

সুরা সুরা আল মায়েদার কথা বললেন কিনতু ৩ নং আয়াতে কি বলছেন আল্লাহ তায়াল? তা দেখুন

[3] তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।


লক্ষ্য করুন এই অংশটির প্রতি:

" তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম"

আরো দেখুন, (সময়ের অভাবে বাংলায় অনুবাদ করতে পারলাম না।)

১।

ALLAH SAID IN THE QURAAN ; Wamay -yabataghi ghayral Islami dinan falay yuqbala minh,
Ayah 85 of Surat Al Imran means that if one selects a religion other than Islam it will not be accepted from him,
Islam is the only religion that Allah accepts from His slaves It is the religion that Allah has ordered us to follow ;the Prophet of Allah ,sallallahu alayhi wa sallam,said that the most important matters of Islam are five ; Bearing witness that no one is God except Allah and Muhammed is the Messenger of Allah ,performing the Prayer ; paying Zakah; Going to Makkah for Hajj, and fasting Ramdan.[ Related by al-Bukhariyy and Muslim]

২।
"This day have I perfected your religion for you, completed My favour upon you, and have chosen for you Islam as your religion". (Soorah Al-Maa'idah 5:3)

"If anyone desires a religion other than Islam (submission to Allah (God) never will It be accepted of Him" (Soorah Aal'imraan 3:85)

"Abraham was not a Jew nor Christian; but an upright Muslim." (Soorah Aal'imraan 3:67)

He has commanded that you only worship Him; that is the right religion, but most men do not understand ". (Soorah Yoosuf 12:40)

৩।
INNADDINA INDALLAHIL ISLAM-(surah al-imran)
only islam is acceptable to allah.

আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সত্য, সঠিক, তার কাছে গ্রহনযোগ্য, তার মনোনীত ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত করুন। আমীন।

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

উপরে সুর আল মায়েদার ৪৭ নং আয়াতের সাথে নিচের ৪৮ নং আয়াতের অংশটুকু মিলিয়ে বোঝার চেষ্টা করুণ .....

..........আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন।.....।

সুরা আল মায়েদাহ

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

রাকি২০১১ বলেছেন: উপরের এই অংশটা নিয়ে আপনার অভিমত ব্যক্ত করুন।

" তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম"

আপনার কমেন্টের উত্তর পরে দিচ্ছি।

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

লক্ষ্য করুন এই অংশটির প্রতি:

" তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম"
=========================================
এতে সমস্যা কোথায় পেলেন বুঝলাম না!

আল্লাহ আমাদের ইসলামকে আল্লাহ পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন,আমরা ইসলাম ধর্ম পালন করব। খৃষ্টান গণ তাদের ধর্ম পালন করবে এতে সমস্যা কোথায়??

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

রাকি২০১১ বলেছেন: "আল্লাহ আমাদের ইসলামকে আল্লাহ পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন,আমরা ইসলাম ধর্ম পালন করব"

এটা খেয়াল করলেন,

"ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম" - এটা খেয়াল করলেন না?

খ্রিষ্টান ধর্মকে তো দ্বীন হিসেবে পছন্দ করা হয় নাই।

বরং সুরা আল ইমরানে বলা হয়েছে:

নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত। (৩:১৯)

দেখুন এখানে বলা হয়েছে "নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম"।

একমাত্র ইসলাম বলার পর অন্য কোন ধর্ম আল্লাহ তায়ার নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।









০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

রাকি২০১১ বলেছেন: যদি তারা তোমার সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হয় তবে বলে দাও, "আমি এবং আমার অনুসরণকারীগণ আল্লাহর প্রতি আত্নসমর্পণ করেছি।" আর আহলে কিতাবদের এবং নিরক্ষরদের বলে দাও যে, তোমরাও কি আত্নসমর্পণ করেছ? তখন যদি তারা আত্নসমর্পণ করে, তবে সরল পথ প্রাপ্ত হলো, আর যদি মুখ ঘুরিয়ে নেয়, তাহলে তোমার দায়িত্ব হলো শুধু পৌছে দেয়া। আর আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা। (৩:২০)

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রাকি২০১১ বলেছেন: ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই। (২:১২০)

৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মেদভেদ বলেছেন: রক্ত এক দিন না এক দিন কথা বলবেই!!!

সে আর বলতে!!!!

খালি দেবদাসের কথা মনে হয় ;)

১০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

শ।মসীর বলেছেন: মুসলমান হবার জন্য সর্বপ্রথম দরকার ঈমান । আল্লাহতে বিশ্বাস থাকা , আর আদেশে বিশ্বাস থাকা-এখন ঈমান না থাকলে কে কারে কি করল তা দিয়া আমাগো কাম কি....

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

রাকি২০১১ বলেছেন: বিষয়টা ব্যপক।

আপনি বলেছেন: "এখন ঈমান না থাকলে কে কারে কি করল তা দিয়া আমাগো কাম কি"?

- কথাগুলো সত্য যারা মুসলিম না তাদের জন্য। কিন্তু যারা মুসলমান নাম নিয়া- নামাজ পইড়া- মুসলিম কালচারে চইলা -মুসলিম সংস্কৃতির বাহ্যিক রুপে চইলা ঈমান পরিপন্থী কাজ প্রকাশ্যে করে ( তাও আবার ভি আই পি পর্যায়ের- যাদের কার্যক্রম পুরো দেশের মানুষ আলোচনা করে) তা রোধ করা - কিংবা তা যাতে সাধারণ মানুষ অনুকরন না করে কিংবা সাধারণ মুসলমানের বিশ্বাস যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে চেষ্টা করা - একজন মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।

শ্রেষ্ঠ নবীর শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে একজন মুসলমানের দায়িত্ব - নিজে নেক আমল করা, এবং দ্বীনকে (আল্লাহ তায়ালার আদেশ নিষেধ কে) অপরের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়া। আর এজন্যই সে শ্রেষ্ঠ উম্মত।

তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী। (সুরা আল ইমরান- ১১০)

আর একটা কথা:

পাপকাজ যখন মানুষ গোপনে করে তখন সে নিজেই কেবল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর তা যখন প্রকাশ্যে হয়, আর ঐ জাতির ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও বাধা না দেয় তখন পাপের শাস্তিও ব্যপক এবং প্রকাশ্যে হয় (যেমন ঘুর্ণিঝড়, ভুমিকম্প ইত্যাদি)।

১১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

সম্পূর্ণ আল কোরআন আল্লাহতাআলা আমাদের দিয়েছেন। আর তাই সুরা আল মায়েদার "ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম" আয়াতটি পড়ার পাশাপাশি নিচের আয়াত/আয়াতের অংশ বিশেষও স্মরণ রাখা জরুরী.....

[69] নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।

[47] ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

[48] ......যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন।

সুরা আল মায়েদাহ

১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

রাকি২০১১ বলেছেন: অযথা পানি ঘোলা করে লাভ কি?

ইহুদী ও খ্রীষ্টানরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করেন। বলে দিন, যে পথ আল্লাহ প্রদর্শন করেন, তাই হল সরল পথ। যদি আপনি তাদের আকাঙ্খাসমূহের অনুসরণ করেন, ঐ জ্ঞান লাভের পর, যা আপনার কাছে পৌঁছেছে, তবে কেউ আল্লাহর কবল থেকে আপনার উদ্ধারকারী ও সাহায্যকারী নেই। (২:১২০)

ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের মধ্যে যারা ইসলাম গ্রহণ করে তারা তো মুসলিমই হলো, বাকীরা কুরআনকে মানল না।

বরং সুরা আল ইমরানে বলা হয়েছে:

নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত। (৩:১৯)

দেখুন এখানে বলা হয়েছে "নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম"।

একমাত্র ইসলাম বলার পর অন্য কোন ধর্ম আল্লাহ তায়ার নিকট গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।



১২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৫

নাজ_সাদাত বলেছেন: মেদভেদ বলেছেন: রক্ত এক দিন না এক দিন কথা বলবেই!!!ঠিক একদম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.