নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………
আফিম জিনিসটা দিয়ে যে নেশা করা যায়, এ ব্যাপারে চাইনিজদের ধারণা খুব একটা ছিলো না। এ জিনিস তারা ব্যবহার করত ছোটো খাটো চিকিৎসার কাজে।
ব্রিটিশরা চামেচুমে শিখাইছিলো চাইনিজদের, এ বড় ভালো নেশার জিনিস।
এর পিছনে কারণ অবশ্য ছিলো। চাইনিজরা সেই বহুকাল আগে থেকেই মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলো। এরা বাণিজ্য করত, ব্রিটিশদের সাথে রূপার বিনিময়ে। তখন না-কি রূপা ছাড়া চাইনিজদের আর কিছুর খুব একটা দরকার ছিলো না।
এই রূপার বিনিময়ে ব্রিটিশরা চাইনিজদের কাছ থেকে চীনামাটির বাসন পত্র, সিল্ক, সর্বোপরি চা খরিদ করত।
রূপা দিতে দিতে যখন রাজ কোষে টান পড়ল ব্রিটিশদের, তখন এক ফন্দি এটে আফিম পাচার শুরু হলো অবৈধভাবে চীনে, রূপার বিনিময়ে। এই আফিম আবার উৎপাদিত হতো ভারতীয় উপমহাদেশে। তখন আবার ব্রিটিশ শাসন চলে এখানে। চীনে বিপুল চাহিদা পাওয়া "মাদক আফিম" থেকে ব্রিটিশরা বিপুল রূপা সংগ্রহ করে, তা দিয়েই আবার চীনের কাছ থেকে মালপত্র কেনা শুরু করলো। ব্যাপারটা চীনের রূপায় চীনকে ভাজার মতন।
এই ভাজাভাজির খবর যখন চীনের রাজা পেলেন, তখন তিনি ব্রিটিশদের সাথে এক যুদ্ধ বাধিয়ে দিলেন। ব্রিটিশদের কাছ থেকে আসা মিলিয়ন কেজির আফিম ধ্বংস করে ঘোষণা দিলেন, আমার দেশে এসব চলবে না। আফিম দিয়ে নেশা পাতি হবে না। ব্রিটিশরাও আর চা পাবে না।
চায়ের কাপে শুরু হওয়া ঝড়ে, ব্রিটিশ আর চাইনিজদের এই যুদ্ধের নাম "আফিম যুদ্ধ", শুরু হয়েছিলো ১৮৩৯ সালে, চলেছিলো তিন বছর। আফিমের নেশায় দুর্বল হওয়া চাইনিজ বাহিনী, ব্রিটিশদের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে সেবার।
এই চাইনিজরাই আবার ঠিক ঠিক ১০০ বছর পরে ১৯৩৯ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার বাহিনীর বিপক্ষে দাঁড়ায় ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে। ইতিহাস কাকে কখন কোথায় নিয়ে দাঁড় করায় বোঝা মুশকিল।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১১
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: পড়লাম এবং জানলাম। ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৫
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: বাসে ট্রেনে যখন পুড়িয়ে মারে তখন আফিম খেতে চাই, নেশায় থাকলে আগুণের তীব্রতা কম অনুুভব হবে
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এ শহরে সবচেয়ে সহজ বোধহয় মরে যাওয়া। জীবন এখানে বড় সস্তা।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২৬
বিজন রয় বলেছেন: আপনি দেখি অনেক জ্ঞানের অধিকারী।
গতকালের পর আজকেও একটি দারুন পোস্ট দিলেন।
কিন্ত আপনি আগে ব্লগারদের সাথে তেমন কথা বলতেন না।
মানে মন্তব্য, প্রতি মন্তব্য ইত্যাদি।
আপনার ব্লগ পরিসংখ্যান তাই বলে।
যাহোক, ইদানিং সময় দিচ্ছেন সেটাই অনেক বড় কথা।
শুভকামনা রইল।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ। টুকটাক যা পড়ি তা নিয়ে লিখতে ইচ্ছা হয়, তবে সময় করতে পারি না
আগে বেশির ভাগ সময় মোবাইলে থাকতাম। মোবাইল থেকে কমেন্ট করাটা বড় ঝামেলার মনে হত।
এ বছর থেকে ঠিক করেছি, ফেসবুকের চেয়ে ব্লগে বেশি সময় দিব। এ পর্যন্ত তা করছিও৷
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আফিম খেলে নাকি বাতের ব্যথা কমে যায়?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: শুধু বাতের ব্যথা না। পৃথিবীতে আফিম বা আফিমজাত মরফিন, হিরোইনের মতন কার্যকর ব্যথানাশক আর নাই।
কিন্তু খাইলে আবার সমস্যা আছে। গবেষণা বলে, পৃথিবীতে যত মানুষ ওষুধ গ্রহণ করে বা খেয়ে মারা যায় তার এক তৃতীয়াংশের বেশি প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি, আফিমজাত ওষুধে মারা যায়।
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ অনেক কিছু জানলাম।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার লেখাগুলো থেকেও নানা রকম অজানা জিনিস জানতে পারি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ৬ জুন, ২০২৩ বিয়ের ৩৯ মাস উপলক্ষে এই লেখা লিখেছিলাম।