নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………
আরও প্রায় বছর ছয় আগে, আমার ৩য় উপন্যাস "মধ্য বৃত্ত" প্রকাশ পেয়েছিল। ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধরণের উপন্যাসটি আমার নিজস্ব পছন্দের একটা লেখা। এই উপন্যাসটি আমাদের হাসান মাহাবুব (হামা) ভাইকে পড়তে দিয়েছিলাম।
তিনি সে উপন্যাস পড়ে, আমাকে উদ্দেশ্যে করে একটা খোলা চিঠি লিখেছিলেন।
সে চিঠিতে তিনি বইয়ের কাহিনী, আমার লেখার ভুল ত্রুটি কিংবা প্রয়োজনীয় বিষয় গুলো নিয়ে সোজা সাপ্টা আলোচনা করেছিলেন।
সমালোচনা ব্যতিরেকে একজন লেখকের সেরা আউটপুট বোধ করি বের করাটা ভীষণ কষ্টসাধ্য। যা নিজের খোলা চোখে আটকায় না, তা একজন বিজ্ঞ পাঠকের চোখে ঠিকই ধরা পড়ে।
হাসান ভাইয়ের চিঠি পেয়ে সে সময় যারপরনাই খুশি হয়েছিলাম। তার বিভিন্ন বই পড়ে লেখা চিঠিগুলো বরাবরই আমার প্রিয়।
হাসান ভাইয়ের লেখা খোলা চিঠিটা:
প্রিয় রিয়াদ
এই যে বই নিয়ে চিঠি লেখছি, লিখতে ভালো লাগছে, এই পরিকল্পনায় কিন্তু তুমি একদমই ছিলে না। তোমার সাথে আমার সেভাবে কখনই কথা হয় নি ব্লগে বা ফেসবুকে। তুমি কী লিখছো, কী ভালোবাসো, কী তোমার ভাবনার জায়গা, তার কিছুই জানা ছিলো না। তাই এবারের বইমেলায় তোমার উপন্যাস ‘মধ্য বৃত্ত’ নিয়ে প্রায়ই পোস্ট দেখলেও সেভাবে আগ্রহ জাগে নি পড়ার। বইমেলার কোন এক সন্ধ্যায় হঠাৎ করে আমাকে মেসেঞ্জারে নক করলে। আশেপাশে ছিলে বলে দেখাও হয়ে গেলো, আমরা সময় কাটালাম কিছুক্ষণ। জানতে পারলাম যে তুমি উদ্ভাসে কোচিং করিয়েছিলে, সোহাগ ভাইকেও চেনো, ব্লগে লিখতে, আগে লিখতে রোমান্টিক ধারায়, এখন লেখার ধারা বদলে সাইকোলজিকাল থ্রিলারের দিকে মন দিয়েছো। বইটিও উপহার দিলে। খুব অল্প সময়েই অন্তরঙ্গ হয়ে উঠলাম।
যে ব্যাপারটি সবচেয়ে ভালো লেগেছিলো তোমার সম্পর্কে, তা হলো তোমার নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে অবগত হয়ে লেখার ধারা বদলানোর চেষ্টা। এই আত্মউপব্ধিটা খুব দরকার। তুমি তোমার নতুন ধারার লেখা সম্পর্কে আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছিলে। আমি থ্রিলার মুভি খুব পছন্দ করলেও বই সেভাবে পড়া হয় না। তাই অনেক হাতড়িয়েও তোমাকে ভালো কোন পরামর্শ দিতে পারি নি। বেশ বিব্রতকর ব্যাপার ছিলো সেটা। যাই হোক, এখন যেহেতু তোমার বইটা পড়া হলো কিছু বলার চেষ্টা করাই যায়!
প্রথমেই একটা ব্যাপার বলি, তুমি উপন্যাসটিকে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বলেছো। আমার কাছে কিন্তু এটাকে পুরোদস্তূর ডিটেকটিভ থ্রিলার মনে হয়েছে। সাইকোলজিকাল থ্রিলার লেখা যদি তোমার মূল উদ্দেশ্য হয়, সেক্ষেত্রে সংলাপের চেয়ে বর্ণনা বেশি প্রয়োজন। বিশেষ করে চরিত্রগুলোর এক মানসিক অবস্থা থেকে আরেক মানসিক অবস্থায় উপনীত হবার ক্রান্তিক্ষণ হতে হবে মসৃণ। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে ঘটনা থাকে কম ভাবনা থাকে বেশি। তোমার এই উপন্যাসে যে পরিমাণ জিজ্ঞাসাবাদ আছে, তাতে এটিকে নিশ্চিতভাবেই ডিটেকটিভ থ্রিলার বলা যায়।
এই চিঠি যারা পড়ছে, তাদের উদ্দেশ্যে উপন্যাসের কাহিনীটা একটু বলে নেই। প্রফেসর সাজিদ এলাহীর একজন ছাত্র নাহিন মারা গেল হঠাৎ হার্ট এ্যাটাক করে। মারা যাবার আগে সে পরীক্ষায় ফেল করার জন্যে প্রফেসর সাহেবকে দোষারোপ করে গেছে। এর ফলে তার বন্ধুদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলো। তারা প্রফেসর সাহেবের বাসায় এসে তাকে সরাসরি এই মৃত্যুর জন্যে দায়ী করতে লাগলো। তার আগে আবার এক ঘটনা ঘটে গেছে। নাহিনের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে নেবার সময় উধাও হয়ে গেলো। তাকে আবার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেতে লাগলো। ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব নিলো প্রাইভেট ডিটেকটিভ অদিত এবং তার সহকারী কায়েস। এর সাথে আবার জুড়ে গেলো প্রফেসরের পরিচিত চিকিৎসক রাদিব। তারা তদন্ত শুরু করার কিছু পরেই প্রফেসর সাহেব তার ঘরে খুন হলেন।
নাহিনের লাশ উধাও আর প্রফেসরের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন, এ নিয়েই কাহিনী এগুতে লাগলো।
তোমার সংলাপ নির্মাণ বেশ প্রাঞ্জল তবে বর্ণনার ক্ষেত্রে যে এখনও অনেক কাজ করার আছে তার চিহ্ন মেলে বইয়ের ৩৫ পৃষ্ঠায়। নতুন অধ্যায়ে প্রফেসর সাজিদ এলাহির মৃত্যুর খবর পাঠক জানছে এভাবে- “এক সমস্যা নিয়ে তদন্তের মাঝেই বড় সড় আর এক সমস্যা এসে হাজির হয়েছে”।
তুমি বইয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বাঁকের সামনে পাঠককে দাঁড় করাচ্ছো। সেক্ষেত্রে প্রফেসরের খুন হয়ে যাওয়াটাকে “আরেকটি সমস্যা” এভাবে ক্যাজুয়ালি উপস্থাপন করে সাসপেন্স তৈরিতে একদমই পরিপক্কতার পরিচয় দিতে পারো নি। তোমার মূল নজর হলো কাহিনীকে এগিয়ে নেয়া, পরিণতির দিকে ছুটে যাওয়া, ঘটনাস্থলের বর্ণনা, এভিডেন্স, এ্যালিবাই ইত্যাদিকে পাকাপোক্ত করা। কিন্তু চরিত্রগুলোর মনের ভেতরে সেভাবে প্রবেশ করো নি। আমরা জানতে পারি নি তারা কী ভাবছে। তবে ভালো দিক হলো, সংলাপের মাধ্যমেও তুমি চরিত্রগুলিকে চরিত্র দিতে পেরেছো। স্বল্প পরিসরের বইয়ে অনেক চরিত্র থাকলেও গুলিয়ে যায় না। আমরা জানি যে আরিফ রগচটা স্বভাবের, দীপ্তর নার্ভ সাংঘাতিক কুল, মিশু নার্ভাস, রাদিব কৌশলী, অদিত অহংকারী। তাদের সংলাপগুলো ঠিক তাদের মতই হয়েছে।
পুরো বইয়ে তুমি অনেকগুলো সূত্র দিয়ে রেখেছো। যেগুলো নিয়ে পাঠক নিজেও মাথা ঘামাতে পারে। সমাপ্তিতে সেগুলো চমৎকার ভাবে গেঁথেছো। পাঠক বেশ অবাক হতে পারে আপাতদৃষ্টিতে চোখ এড়িয়ে যাওয়া বিষয়গুলি নিয়ে জটিল ধাঁধা মেলানো দেখে!
তবে এসবকিছুই বইটির বিশেষত্ব না। বলা যায় বইয়ের ভালো দিক। ভালো, তবে বিশেষ না। বিশেষ হচ্ছে বইয়ের দ্বিতীয় টুইস্ট। যেটার জন্যে পাঠক একেবারেই প্রস্তুত থাকবে না। তুমি ডিটেকটিভ উপন্যাসের একটা সাধারণ ফরমেটে এগিয়ে নিয়েছো উপন্যাসকে। ঘটনা, তদন্ত, জেরা, এবং অবশেষে রহস্য উন্মোচন। রহস্য উন্মোচনের প্রথম পর্যায়, যেখানে বইটি শেষ হলে তা একদমই ভুলে যাওয়ার মত হতো, সেটুকু পড়ে যদি কোনো পাঠক রেখে দেয় এই ভেবে যে যা জানার তা তো জেনেই ফেললাম, তাহলে সে যে কী ভুল করবে! তবে সে যেন সেই ভুল না করে তার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত অবশ্য তুমি আগে থেকেই দিয়েছো। আমি নিজেও খুব আশাহত হতাম যদি ওখানেই বইটা শেষ হতো। রাদিব চরিত্রটির নির্মাণ এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। তার বুদ্ধিমত্তা, প্রচ্ছন্ন শ্লেষ সব মিলিয়ে অনেকদিন মনে রাখার মত একটি চরিত্র। একে পরে অন্য কোন লেখায় আবার আনবে না কি?
রহস্য উপন্যাসের আরেকটি সাধারণ আঙ্গিক হলো, খুনী ধরা পড়বে এবং আইনের লোক তাকে ধরে নিয়ে যাবে। তুমি বেশ সাহসের সাথে এই গঁৎ ভেঙেছো। ফলে পাঠকের মধ্যে এক ধরণের অস্বস্তি কাজ করতে পারে। আমি চাই ভবিষ্যতে তুমি এমন আরো অনেক অস্বস্তি উপহার দেবে। আমাদের নিয়ে যাবে মানব মনের আরো গহীনে। তখন তোমার লেখায় সত্যিকারের অন্ধকার নেমে আসবে, আর আমরা ডুবে যাবো, দীশা হারাবো।
শুভকামনা সহ
হাসান ভাই
০৬-০৫-২০১৮
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কিছুই পূরণ করতে পারিনি। তবে একটা বিষয় হয়েছে, আগের মতন যা মন চায় তা লেখা হয় না। এখন লেখার আগে ভেবেচিন্তে লিখি, এটা ভালো না খারাপ দিক তা ঠিক বলতে পারব না।
এর মাঝে ২০২০ এ আমার শেষ উপন্যাস বের হয়েছে, সেটা মোটামুটি পরীক্ষামূলক লেখা। ক্রাইম থ্রিলার ধরণের উপন্যাস: অভিসন্ধি নন-লিনিয়ার ধাঁচে লেখার একটা পরীক্ষা ছিলো।
গত চার বছরে, বিয়ে, চাকরি, সংসার গুছাবার ঝামেলায় অল্পস্বল্প কয়েকটা গল্প ছাড়া আর কিছু লেখা হয় নি। কিন্তু আমি প্রচণ্ড রকমভাবে অনুভব করি, না লিখে লিখে আমি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমার লেখা দরকার, মাথায় থাকা গল্পগুলোর শব্দ হওয়া প্রয়োজন।
এবছর ঠিক করেই নিয়েছি, নিয়মিত লিখব যাই হোক না কেন।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
এখন লেখার আগে ভেবেচিন্তে লিখি, এটা ভালো না খারাপ দিক তা ঠিক বলতে পারব না।
ভেবেচিন্তে লেখা অবশ্যই ভালো।
কিন্তু আমি প্রচণ্ড রকমভাবে অনুভব করি, না লিখে লিখে আমি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমার লেখা দরকার, মাথায় থাকা গল্পগুলোর শব্দ হওয়া প্রয়োজন।
আবার লেখা শুরু হয়ে যাক।
আমি কয়েকটা লেখা পড়েছি, খুব ভালো লেগেছে।
থ্রিলার, সাসপেন্স, মাইন্ড গেইম এগুলো আমার খুবই পছন্দ।
নতুন লেখার জন্য শুভকামনা থাকলো।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ব্লগে ওভাবে নিয়মিতও ছিলাম না আগে।
লিখছি এবং লিখছি। যেহেতু এখন থেকে ব্লগে রেগুলার থাকব, তাই অবশ্যই লেখাগুলো পাবেন।
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: উনি অভিজ্ঞ চিন্তাশীল ও বিজ্ঞ লেখক ও ভাল মানুষ! ভাল পরামর্শ দিয়েছেন। নিজে যেচে এভাবে খুব কম মানুষ খোলামেলা মন্তব্য ও পরামর্শ দেন। আপনি সৌভাগ্যবান।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অবশ্যই। হাসান ভাইয়ের পরামর্শগুলো আমি সব সময়ই মাথায় রাখি। সবসময় মেনে চলা হয় না, তবে একটা তাড়না ঠিকই কাজ করে। ওনার লেখারও আমি ভক্ত। সে বইমেলার বইমেলার পর থেকে, মোটামুটি নিয়মিত কথা বার্তা হয়।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৫
স্প্যানকড বলেছেন: আমি একবার চেষ্টা করেছিলাম উপন্যাস লিখতে কিন্তু এতো লিখতে হয় সেই ডরে ছেড়ে দিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা সময় হয় না। কবিতায় মনে হয় ঠিক আছি। ভালো থাকবেন সব সময়
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আবার ভাবেন, আমার পক্ষে কবিতা লেখা সম্ভব না। আমার প্রায় ১৫০ এর মতন কবিতা লেখা খাতা আমি ফেলে দিয়েছিলাম, যখন জেনেছিলাম, আমার লেখাগুলো আসলে কবিতা হয় না।
উপন্যাসের বা গল্পের বিষয়গুলো আবার আমার কাছে আলাদা। যতদিন একটা উপন্যাস লিখি, ততদিন একটা জগতে থাকি। ঐ উপন্যাসের জগতে। আশেপাশে টের পাই উপন্যাসের চরিত্রগুলোকে।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২২
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আপনার লেখার মান অনেক ভালোর রহস্য এখন জানলাম...
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ভালো লেখার চেষ্টা করি। তবে সবসময় সফল হই ব্যাপারটা তেমন নয়, বেশিরভাগ সময়ই ব্যর্থ হই।
তবে আমার লেখায় আমি সমালোচনা খুব স্বাভাবিকভাবে নেই। লেখার মন্তব্যকে উপদেশ হিসাবে গ্রহণ করি। সে অনুযায়ী ভুলত্রুটি শুধরে নেয়ার চেষ্টা করি।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: মধ্যবৃত্তের চেয়ে অভিসন্ধি ভালো ছিল। স্মার্ট ছিল এটা আগেরটার চেয়ে। লিখতে গিয়েও লেখা হয় নি।
এলাম যখন, আরেকটা উপদেশ দিয়েই যাই। থ্রিলার যারা লেখে, তারা মূলত কাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে, এবং
ভালো টুইস্ট দিলে সাত খুন মাফ হয়ে যায়। টুইস্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে টুইস্টের জন্যে লেখা না হয়ে যেন লেখার প্রয়োজনে টুইস্ট আসে। এবং টুইস্ট ভালো না হলেও যেন পাঠ করার আনন্দ পাওয়া যায়। চরিত্র, পরিস্থিতি, পরিবেশ উপভোগ করা যায়।
লেখার জন্যে তাড়না অনুভব করছ জেনে ভালো লাগলো। এই একটা অসুস্থতাই তো আমাদের সম্বল!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৫
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই। অভিসন্ধি নিয়ে আপনার ভালো লাগা শুনে আবার খুশি হলাম। অভিসন্ধি পরিক্ষামূলক লেখা ছিলো, আরও বড় পরিসরে লিখতে চেয়েছিলাম, লেখা হয় নি। পরীক্ষামূলকের পরীক্ষা পাশ ভেবে নিলাম।
আমি এখন কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করতেছি, প্রথমত ফাস্ট রাইটিং, বিদেশি অনেক লেখকের লেখা খুব স্মুথ আর ফাস্ট। কাহিনী যাই হোক, তড়তড় করে পড়ে যাওয়া যায়।
দ্বিতীয়ত, ফিকশনের পাশাপাশি বেশি বেশি নন ফিকশন পড়তেছি, লেখার ইলিমেন্টের জন্য। ফেসবুকেও ভাই মোটামুটি টাইম দেয়া বাদ দিয়ে দিছি, ফেসবুকে বিরক্ত লাগে। সে সময়টা লিখতেছি।
টুইস্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে টুইস্টের জন্যে লেখা না হয়ে যেন লেখার প্রয়োজনে টুইস্ট আসে।
এই উপদেশটা মনে ধরেছে ভাই। লেখাতে চরিত্র, পরিবেশ এসব গুরুত্বপূর্ণ, এসবেই বেশি মনযোগ দিব। এসবে যে কোনো লেখা মানুষের মনে থাকে বহুদিন।
লেখার জন্যে তাড়না অনুভব করছ জেনে ভালো লাগলো। এই একটা অসুস্থতাই তো আমাদের সম্বল!
এই অসুস্থতা থেকে মুক্তি দরকার ভাই। ছাইপাশে সময় অপচয় করা তাই বাদ দিয়েছি।
ভালো থাকবেন। মাঝে মধ্যে এক দুইটা উপদেশ দিয়ে যাইয়েন।
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার লেখার মান ভালো, আপনি এগিয়ে যান আমরা আপনার সাথেই আছি।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: চেষ্টা করি। লেখাতে প্রাণখুলে সমালোচনা করবেন, ভালো লাগা, খারাপ লাগা জানাবেন, ভুলত্রুটি শুধরে দিবেন।
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩০
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনি আমার সব লেখায় মন্তব্য করেন। ভালো লাগলে ভালো, খারাপ লাগলে স্পষ্ট ভাষায় খারাপ লাগা জানান। আপনার এ বিষয়টা আমার অনেক পছন্দ।
এরপর হতে খারাপ লাগা লেখায়, মাঝে মধ্যে দু এক লাইন যোগ করে, কীভাবে ভালো করা যায়, তাও জানাবেন। কাজে দিবে আমার।
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
জাহিদ অনিক বলেছেন: এক্সিল্যান্ট চিঠি!!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এমন চিঠি পেয়েও আমি নিজেও এক্সিল্যান্ট অনুভব করেছিলাম।
১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০
বিজন রয় বলেছেন: বাহ! হামা'র সাথে আপনার তো দারুন যোগাযোগ!!
এভাবেই তো ভীত গড়ে ওঠে।
ওটা কন্টিনিউ করুক।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: হামা ভাইয়ের সাথে ঐ বইমেলার পর থেকেই নিয়মিত যোগাযোগ শুরু। লেখালেখিতে ওনার মতামত ভালো একটা প্রভাব ফেলেছিলো।
আপনিও ব্লগের পোস্টে টুকটাক মন্তব্য করেন, ভালো লাগে।
ভুলত্রুটি বা লেখায় উন্নতির জন্য যে কোনো মন্তব্য দাদা অতি অবশ্যই করবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি চাই ভবিষ্যতে তুমি এমন আরো অনেক অস্বস্তি উপহার দেবে। আমাদের নিয়ে যাবে মানব মনের আরো গহীনে। তখন তোমার লেখায় সত্যিকারের অন্ধকার নেমে আসবে, আর আমরা ডুবে যাবো, দীশা হারাবো।
এই চাওয়া কি পূর্ণ হয়েছে গত পাঁচ বছরে?