নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………
একটা নাম, একটা জীবন নিয়ে আমি ত্রিশ বছর পার করে দিয়েছি। ভেবে দেখলাম, আমার এই বয়স অনেক আগেই থেমে যেতে পারত। জীবনে বহুবার এই বয়স থেমে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয় নি।
এটা কোনো গল্প নয়। আমার জীবনের কথা, যে কথায় আছে, আমি ঠিক কতবার মরে যেতে পারতাম কিন্তু ফিরে এসেছি।
আমার ছেলেবেলায় আজাদ নামে এক বন্ধু ছিলো, সৎ মায়ের সংসারে নিয়মিত বাপ ও সৎ মায়ের মারধোর খেত। তাই হয়ত স্বভাবে দুরন্ত ছিলো। মুখের ভাষা খারাপ ছিলো। একবার আমাকে অকারণে গালি দেয়াতে, আমি ঘুষি মেরে ওর নড়তে থাকা এক দাঁত ফেলে দিয়েছিলাম। সে দাঁত কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে আজাদ কাউকে বিচার দেয় নি, বরং সবাইকে দেখিয়ে বলেছিল, আমি ওর নড়তে থাকা দাঁত ফেলে দিয়ে ওর উপকার করেছি।
সেই আজাদের সাথে ছেলেবেলার এক দুপুরে, ঝুম বৃষ্টির মাঝে খেলছিলাম। পাশেই সদ্য খনন করা সেপটিক ট্যাংক খোলা পড়ে ছিল। বর্ষার জলে তা টইটুম্বর। খেলতে খেলতে আমি পা পিছলে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে গেলাম। আশেপাশে কেউ নেই। একে দুপুর, দুই ঝুম বৃষ্টি। আমার চারপাশ ঘোলাটে হয়ে আসে। মনে হয়, আমি তখনই মারা যাচ্ছি। আমি সাঁতার পারি না। কিন্তু আমার বয়সী একটা ছেলে, আমাকে কীভাবে কীভাবে যেন টেনে তুলে নিয়ে আসলো। আমার হাতে থাকা লাঠি ধরে টান দিয়ে, উপরে তুলল। আজাদ। যে আজাদকে আমি ঘুষি মেরে দিন কয়েক আগে দাঁত ফেলে দিয়েছিলাম। আজাদ আমার জীবন বাঁচাল। আজাদের সাথে আমার এখন আর পরিচয় নেই। কোথায় আছে, কেমন আছে, আমি জানি না।
তার বছর দুই পরে, দাদা বাড়িতে আমাকে বাবা নিয়ে গেলেন সাঁতার শিখাবার জন্য। কলা গাছ কেটে তা ভাসিয়ে আমি সাঁতার শেখার চেষ্টা করি। অনেক চেষ্টাতেও আমি শরীর উপরে ভাসাতে পারি না। ভেসে থাকা কলা গাছ ধরে ঝুলে থাকি। এক দুপুরে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে, কলা গাছ নিয়ে ভাসতে ভাসতে বিশাল পুকুরে মাঝখানে চলে যাই। হাত ফসকে কলা গাছ বেরিয়ে যায়। আমি তখনও সাঁতার পারি না। আমার সেই বছর দুই আগের অনুভূতি হয়। আমি ডুবে যাই, ডুবতেই থাকি। বাবা তখন পুকুর পাড়ে, আমার চাচাত ভাইদের গোসল করাচ্ছেন। আশেপাশে আরও অনেক মানুষ, তারা চেয়ে চেয়ে আমাকে ডুবে যেতে দেখছে। তারা জানে না আমি সাঁতার জানি না। গোসল করতে থাকা, আমার এক চাচাত ভাই আমার বাবাকে চিৎকার করে বলেন, আমি ডুবে যাচ্ছি। বাবা সেই বিশাল পুকুরের মাঝে ছুটে আসেন। ডুব দিয়ে খুঁজে খুঁজে আমাকে বের করেন। আমি বেঁচে যাই। আমার সে চাচাত ভাইয়ের সাথে আমার আর তেমন কথা হয় না। আমাকে ফেসবুক থেকেও সে আনফ্রেন্ড করে রেখেছে। কেন রেখেছে জানি না।
তখন ক্লাস টুতে পড়ি বোধহয়। আমার সেজো চাচির বাপের বাড়ি জামালপুর। শুটকি পছন্দ তার প্রচুর। মাছ এনে মোটা জিআই তারে ঝুলিয়ে শুটকি বানাতেন। বড়শির মতন তার গুলোতে মাছ শুকিয়ে শুটকি হত। আমি এক বন্ধুর সাথে লুকোচুরি খেলার সময় দৌড়ে যাচ্ছিলাম। লাফ দিতে গিয়ে ডান চোখের মধ্যে জিআই তারের বড়শি বিধে গেল। ঝুলে রইলাম, তারের সাথে আমি। চোখের মধ্যে বড়শি নিয়ে। গলগল রক্ত পড়ছে, আমি অধিক ব্যথায় ব্যাথার অনুভূতি হারিয়ে ফেললাম। আমার সেজো চাচা ছুটে আসলেন। টান দিয়ে খুলে ফেললেন, বড়শির মোটা তার। ডাক্তারের কাছে নেয়া হলো আমাকে, আমি বেঁচে গেলাম সেবারের মতনও। আমার বাবার সাথে ঝামেলায় সে সেজো চাচি ও চাচার সাথে আমার কদাচিৎ কথা বার্তা হয়। আমি নিজেও বিয়ে করেছি জামালপুরের মেয়েকে। বিয়ের আগে আমার চাচা জামালপুরের মেয়েকে বিয়ে করার ব্যাপারে ভীষণ আপত্তি জানিয়েছিলেন। আমি তার কথা শুনিনি। সে জন্যও হয়ত আমার প্রতি অভিমান জমিয়ে রেখেছেন।
ছোটোবেলায় আমাদের ঘরে, বেড সুইচ নামে এক জিনিস ব্যবহার করা হতো। মশারি গুজে, মশারির ভিতরে বসেই সে সুইচ টিপে বাতি বন্ধ করে দেয়া যেত। আমি কুটকুট করে সে সুইচ টিপতে গিয়ে, ছিঁড়ে ফেললাম। ঠিক করার জন্য চেষ্টায় ভীষণ শক গেলাম বিদ্যুতের। বিছানা থেকে ছিটকে পড়ে গেলাম ফ্লোরে। বেঁচে গেলাম সেবারের মতনও।
তার বছর খানেক পরে, আমি সিক্সে পড়ি। স্কুলে সায়েন্স ফেয়ার হবে। আমার আর আমার বন্ধু ভাস্বরের মাথায় সায়েন্সের কোনো বুদ্ধি আসে টাসে না। আমরা ভাবলাম, একটা মোটর চালিত নৌকা বানাব। লোহা দিয়ে ফ্রেম বানানো হলো নৌকার, পিছনে ঝুড়ে দেয়া হলো মোটর। ভাস্বর সে সায়েন্টিক আবিষ্কার আমার বাসায় রাখতে বলল। আমি বাসায় নিয়ে এসে, ব্যাটারির পরিবর্তে বিদ্যুতে মোটর চালাবার চেষ্টা করলাম। বাম হাতে ফ্রেম ধরে, ডান হাত দিয়ে যেই না মোটরের এক পাশের তার বৈদ্যুতিক সুইচে ভরেছি, অমনি আর পায় কে। মনে হলো, আমার শরীরে তিন চারশ কেজি ভর। পুরো শরীর কিছুক্ষণ ঝাঁকি দিতেই হাত থেকে নৌকার ফ্রেম পড়ে গেল। আমি সেবারও বেঁচে গেলাম। যদিও এত কষ্টে বানানো মোটর চালিত নৌকার মতন সায়েন্টিক আবিষ্কার আমাদের শিক্ষকেরা গুরুত্ব সহকারে নেন নি। বাতিল করে দিয়েছিলেন। সে নৌকার ফ্রেম এখন কোথায় ঠিক জানি না। দেশে কিছু ঝামেলার কারণে ভাস্বর সপরিবারে ভারত চলে গিয়েছে। ভারত যাবার সময় তো অবশ্যই সে নৌকা সাথে করে নিয়ে যায় নি।
আমার সেবার মাত্র ইন্টারের টেস্ট পরীক্ষা শেষ হয়েছে, সামনে ইন্টার পরীক্ষা। এক জুম্মার দিনে, নামাজ পড়ে আসার সময় আমার মাথা ঝিমঝিম করে। বাসায় ফিরে না খেয়েই শুয়ে পড়ি, ঘুমিয়ে যাই। আমার সে ঘুম আর ভাঙে না। আমার বাবা মা ডাকে , আমি উঠি না, মাথায় পানি দেয়, ঘুম ভাঙে না। আমাকে এলাকার হাসপাতালে ভর্তি নেয় না। ঢাকার পাঠিয়ে দেয়। ঢাকার আনার পর, হাসপাতালে আমার জ্ঞান ফিরে ঊনিশ ঘন্টা পর। বাবা মায়ের কান্না, বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের মলিন মুখ আমি দেখি জ্ঞান ফিরে। সাত দিন হাসপাতালে থাকাকালীন। দিনে তিন চার বার করে রক্ত নেয়া হয়। কিছুই ধরা পড়ে না। শেষমেশ এক নিউরো সার্জন আমার রিপোর্ট দেখে, আমাকে রিলিজ দিয়ে দেন। পরে সে ডাক্তারের সাথে দেখা করার পর জানতে পারি, আমার রক্তে TSH (Thyroid-stimulating hormone) এর পরিমাণ অনেক কম। সাধারণত যে রেঞ্জ থাকা দরকার 0.4~4 আমার তা নেমে যায় 0.01 এ। আরেকটুকু কমে গেলে মরে যেতে পারতাম বা পাগল হয়ে। ডাক্তার বলে টেনশন করা যাবে না, মিতভাষী আমাকে বেশি বেশি কথা বলতে হবে, চুপচাপ আমাকে বেশি করে হাসতে হবে, তবেই TSH লেভেল বেড়ে যাবে। আমি সেবার বেঁচে যাই। বেঁচে ফিরে বদলে যাই, বেঁচে থাকার তাগিদেই বদলে যাই।
ভার্সিটি হলে থাকাকালীন একবার কাওরান বাজার থেকে বুটেক্সের হলে ফিরছি রিকশা করে। হঠাৎ গলায় কিছু একটা পেচিয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়। হাত দিয়ে দেখি টেলিফোন বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের তার। সবজি বোঝাই এক ট্রাক, সে ছিঁড়ে, ট্রাকের শরীরে বাধিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমার উলটো দিকে। আমার গলায় ফাঁস পড়ার মতন অবস্থা। আমি চিৎকার করি, ট্রাক থামে না। আরও ফাঁস ঝোরালো হয়। এর মাঝেই কোথা থেকে ট্রাকের সামনে এক প্রাইভেট কার এসে হাজির। জ্যাম বেধে, ট্রাক থামে, আমি বেঁচে যাই। গলির রাস্তায় প্রাইভেট কারের জন্য বাধা জ্যামে তাই, আমি প্রাইভেট কারকে কখনও গালিগালাজ করি না। একবার এক জ্যামে আমার জীবন বাঁচাবার জন্য।
২০২০ এ আমার বিয়ের আগে আগে পরপর দুইদিন আমি দুইবার বাইক এক্সিডেন্ট করি। বাসায় এ ব্যাপারে কিছুই বলি না। কারণ এসব বিষয়কে পরিবারের মুরুব্বিরা ভালো চোখে দেখেন না। প্রথম দিনের এক্সিডেন্ট অত গুরুতর না হলেও, দ্বিতীয় দিন আমার জীবন হারাবার সম্ভাবনা ৯৯ ভাগ ছিলো। কালশির ফাঁকা রাস্তা ধরে ইসিবি পার হবার পর, আমি যে বাইকের পিছনে বসা তার ঠিক সামনে এক সিএনজি ফাঁকা রাস্তার মাঝে হুট করে ব্রেক করে বসে। আমার বাইকওয়ালা প্রচণ্ড স্পিডে সিএনজিতে আঘাত করে বাইক হতে ছিটকে ডিভাইডারের উপর পড়ে। আমি বাইকের পিছনে ধরে থাকাতে, বাইক হতে ছিটকে না গেলেও, বাইক সমেত রাস্তার মাঝে পড়ে যাই। পিছন থেকে দেখি মিলি সেকেন্ডের ব্যবধানে এক বাস সাই করে আমার পাশ থেকে চলে গেল। আরেক বাইকও সাই করে এসে আমার সামনে হার্ড ব্রেক কষে দিলো। আমি কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বেঁচে গেলাম। হাত পা ছিলে যাওয়ার বিনিময়ে সেবারের মতন জীবন ফিরে পেলাম।
তার বছর খানেক পরে, তেজগাঁও রেলগেটের কাছ থেকে হেঁটে যাবার সময় হাত তিনেক সামনে বিশাল বড় এক ইটের টুকরা এসে পড়ে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি, এক বিল্ডিং ভাঙার কাজ চলছে, সেখান থেকেই ছিটে এসেছে। সে ইটের টুকরা আমার মাথায় বা শরীরে পড়লে আমি মরে যেতেই পারতাম। কিংবা অন্য কারও মাথায়! তার বয়সও ওখানেই থেমে যেত।
আমি মাঝে মাঝেই বলি, এ শহরে বেঁচে থাকতে অনেক সমীকরণ কষতে হয়। মরে যাওয়াটা বড্ড সহজ।
কতশত মৃত্যু সমীকরণ মেনে আমরা বেঁচে চলছি।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: না ভাই, আজাদের সাথে শেষ দেখা ২০০১-২০০২ এর দিকে। তখন তো ইন্টারনেটের যুগ ছিলো না, মোবাইল ফোনও এভাইলেবল ছিলো না এত। ফেসবুকে মাঝে মাঝে খুঁজি, পাই না
ধন্যবাদ ভাই।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তখন ক্লাস ফাইভে। নতুন নতুন সাইকেল চালানো শিখেছি। আমাদের গ্রামের বাড়ি শহর থেকে ৫৯ কি:মি দূরে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার রোডের সাথে একেবারেই লাগানো আমার দাদুর বাড়ি।পাড়া থেকে ১/২ কি:মি দূরে গ্রাম্য হাঁট। আমি মেইন রোডে সাইকেল চালিয়ে হাঁটের দিকে যেতে কেবল রাস্তার এপাশ থেকে ওপার যাচ্ছি অমন সময় একটা বাসের সামনে। ড্রাইভার কড়া ব্রেক না ধরলে সেদিন আমি শেষ।
আমি বরাবরই সাহসী ছিলাম। আমি যে কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করছি সেটা ছিল শিবির ক্যাডার দের আস্তানা ও অস্ত্র রাখার ঘাটি। চট্টগ্রামে যে বছর শিবির এইট মার্ডার করছে সে বছর আমি এস এস সি পাশ করছি।এর পর কলেজে যখন ভর্তি হই শিবির তখন শহরে রাজত্ব করছে।তাদের ৩ জন তখন মন্ত্রী।তাদের কথা না শোনলেই আই মিন সমর্থক কর্মী ফর্ম এগুলো যারা পূরণ না করতো তাদের থ্রেড দিত। রাজনীতির শুরু কলেজ থেকে হলে শিবির ক্যাডার দের সাথে প্রথম মারামারি গ্রাজুয়েশন শেষ হওয়ার আগের বছর। একবার ওরা আমাকে মেরে ফেলবে বলে ২ টা ছুরির স্টেপ করেছিল। ঐ যাত্রাইও বেঁচে গেসিলাম।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি সাইকেল চালানোই শিখেছি মাত্র বছর দুই। আগে পারতাম না। আমার এক বন্ধু সাইকেল এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছিল, ট্রাকের চাপায়।
আমি প্রথম ভর্তি হই সিলেটের সাস্টে৷ শিবির আর লীগের তুমুল মারামারির কারণে ভার্সিটি বন্ধ হয়ে যায়, আমিও চলে আসি পরে। পরের বার ভর্তি হই বুটেক্সে।
এক জীবনে আমরা কতবার বেঁচে যাই। ভাবতেই কেমন লাগে।
আপনার মতন সাহসী মানুষের অনেক বছর বেঁচে থাকা দরকার আছে।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০
শেরজা তপন বলেছেন: ত্রিশ বছরে ত্রিশবার বেঁচেছেন নিদেনপক্ষে, এগুলো চাক্ষুষ। ভেবে দেখুন অলক্ষ্যে কতবার মৃত্যু পাশ কেটে গেছে??
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১০
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সেটাই ভাই। হয়ত রাস্তায় শুয়ে থাকা কুকুরের জন্যও বেঁচে গিয়েছি কখনও। আমি রিকশা করে যাই, তার সামনে কুকুর আসাতে রিকশা স্লো হয়ে গেল। একটু আগে গেলেই হয়ত, এক ট্রাক এসে পিষে দিয়ে যেতে পারত।
ভেবে দেখলে পুরো পৃথিবী আমাদের আয়োজন করে বাঁচিয়ে রাখছে।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১
শেরজা তপন বলেছেন: আমার একটা লেখা আছে ' ব্যবধান মাত্র ক'সেকেন্ড ... ' এমন একটা বিষয় নিয়েই।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪০
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: লেখাটা খুঁজে পেলাম না, একদম ২০০৮ পর্যন্ত খুঁজলাম। একটু লিংকটা দিয়েন।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১০
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সুন্দর ও সাবলীল লেখা। চমৎকার লিখেছেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। বেঁচে থাকার সুখ অনুভব করুন।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আবার ফিরে আসার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: ব্যাবধান মাত্র ক'সেকেন্ড
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়তেছি।
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) ,
জীবন ও মৃত্যুর মাঝে ব্যবধান মাত্র কয়েক সেকেন্ডের।
জীবন নাশের অনেক ঘটনার সংস্পর্শে এসে মনে হয় আপনার ফাঁড়া কেটে গেছে! আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবি রাখুন!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আবার হয়ত দেখবেন হুট করে হাজির হয়েছে সামনে, তখন আর রেহাই পাব না।
দোয়া করবেন তাও। ধন্যবাদ।
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার নিকটা বদলায়ে, নতুন নিক নেন, "বিড়াল"।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: হাহা, কেনো ভাই? ঠিক বিড়াল কেন?
আমি বিড়ালের মতন ভীতু তাই? না-কি বিড়াল জীবনে অনেকবার জীবন ফিরে পায়? না-কি লেখা আমার বিড়ালের মতন তাই?
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এভাবে বেঁচে গিয়ে বেঁচে থাকুন আরও অনেক অনেক যুগ। আসলে রাখে আল্লাহ মারে কে ?++++
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সেটাই ভাই, দোয়া করবেন। লেখায় তো জানা ব্যাপারগুলো লিখেছি। অজানাভাবে কতবার বেঁচে গেছি কে জানে?
১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩
নতুন বলেছেন: আপনি সুপারহিরো।
আপনার গার্ডিয়ান এন্জেল খুবই একটিভ এবং ক্ষমতাবান, সে আপনাকে আগলে রাখে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বাহ দারুণ বলছেন। সত্যিকার সুপারহিরো হতে না পারি, অন্তত প্রিয় মানুষ জীবনে যেন সুপার হিরো হতে পারি সে দোয়া করবেন।
১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
বিজন রয় বলেছেন: শুধু কি শহরে বেঁচে তাকতে সমীকরণ করতে হয়?
লেখাটি খুব প্রজ্জ্বল হয়েছে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৯
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সত্যি বলতে দাদা, গ্রাম- শহর-মফস্ফল সব জায়গাতেই বেঁচে থাকতে সমীকরণ কষতে হয়। তবে শহরগুলো কেমন যেন, অদৃশ্য সব মৃত্যু ফাঁদে ভরা। সে মৃত্যু ফাঁদে যে কোনো সময় ফেঁসে যেতে পারি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন দাদা।
১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৪
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ধন্যবাদ, ফিরে আসার জন্য। সময় সু্যোগ পেলে, আবার আসবেন। দাওয়াত রইলো।
১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ঘটনাগুলো ছোটবেলার, এরকম হতে পারে।
বড় হলে দূরত্ব বাড়ে। সম্পর্কও সময়ের সাথে বদলায়।
যে মানুষ জীবন বাঁচিয়েছে, আমি হলে তার সাথে যোগাযোগ রাখতাম। আই মিন যদি বোঝার বয়সে হয়ে থাকে।
এবং অবশ্যই চেষ্টা করতাম কখনও তার কোন বিপদে আমি তাকে কোনভাবে হেল্প করতে পারি কিনা ।
চাচাতো ভাই আর আজাদের বিষয়টা ভিন্ন।
ভাই বাবাকে ডেকে জানিয়েছে যে ডুবে যাচ্ছে আর আজাদ নিজে এগিয়ে গিয়ে সাহায্য করেছে ঝুঁকি নিয়ে।
ঝুলে রইলাম, তারের সাথে আমি। চোখের মধ্যে বড়শি নিয়ে।
ওহ মাই গড!!!
এটাতো ভয়াবহ!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি আজাদকে মাঝে মাঝেই খুঁজি ফেসবুকে, পাই না। এত ছোটোবেলার কথা গায়ের রঙ ছাড়া বাকি সব ভুলে গেছি ওর। দেখলেও হয়ত চিনতে পারব না এখন, আমাকেও চিনবে না ও। সম্ভব হলে অন্তত ওকে আমি একবার ধন্যবাদ বলতাম।
চোখের ঐ এক্সিডেন্টের পর সবাই ভেবেছিলো চোখ আর ঠিক হবে না, বাবা ডাক্তার দেখিয়েছিল, ডাক্তার বলেছিল অপারেশন করতে হবে। আমার বাবার তখন আমাকে অপারেশন করাবার মতন টাকা নেই। এক প্রফেসর পরিচিত ছিলো, আমার পাশের এক দুসম্পর্কের চাচার, তার মাধ্যমে আমার বাবা ওখানে নিয়ে গেলেন। উনি কী যেন একটা ড্রপ আর কিছু ওষুধ দিয়েছিলেন, তাতেই সেরে গেল অমন ক্ষত।
সে সময় আমার মনে একটাই দুঃখ ছিলো, টেলিভিশন দেখতে পারছি না, আলিফ লায়লা দেখা হচ্ছে না, এ দুঃখ আমি অনেক বছর ভুলতে পারিনি।
১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার গলায় ফাঁস পড়ার মতন অবস্থা।
এরকম ঘটনা ঢাকায় আমার সাথে একবার হয়েছিলো। ওড়না গলায় প্যাঁচানো ছিলো।
ওড়নার একপাশ রিকশার চাকায় পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লেগে যাচ্ছিলো।
রিকশাওয়ালা ভাইকে কোনভাবে বলতে পেরেছি, তখন রিকশা থামিয়েছে।
ব্যস্ত রাস্তায় চলমান রিকশায় হঠাৎ করে হয়েছে, বুঝতে পারিনি।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: প্রায় একই রকম ঘটনা মাস তিনেক আগে আমার স্ত্রীর সাথে হলো। আমার স্ত্রী শাড়ি ঠিক করে বসার আগেই রিকশা টান দিলো। শাড়ি প্যাঁচালো রিকশায়। রিকশা হতে একদম মেইন রোডে ছিটকে পড়ল। ভাগ্য ভালো কোনো গাড়ি আসেনি। না হলে, ওখানেই শেষ হয়ে যেত। প্রচণ্ড ব্যথা পেলেও অন্তত জীবনে বেঁচে গিয়েছে। আমার স্ত্রী ঐ ভয় এখনও কাটাতে পারেনি।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আজাদের সাথে আপনার এখন যোগাযোগ আছে?
সুন্দর লিখেছেন। ঝরঝরে লেখা।