নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শাহ্ ফখরুল ইসলাম আলোক। পেশায় আই্নজীবী, থাকি মৌলভীবাজারে।

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক

একদিন চলে যাবো অনন্তের পথে ......।

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট একটি বাক্য, যা আপনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে

০১ লা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

কাউকে কুশল জিজ্ঞেস করলেই তিনি বলেন যে, "এই আছি মোটামুটি"অথবা "চলছে এক রকম"। খুব কম সংখ্যক মানুষ বলেন যে, "আলহামদুলিল্লাহ্‌, আমি বেশ ভালো আছি"। এই যে, আমরা প্রতিনিয়ত না শুকরিয়া করে যাচ্ছি, এর ফলাফল কি? ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে আমরা অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দিলাম। অথচ, আমাদের চাইতেও অনেক খারাপ অবস্থায় মানুষ বেঁচে আছে।তাহলে আমরা কেন পরম করুণাময় আল্লাহ্‌-র শুকরিয়া আদায় করবো না?

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে, প্রতিদিন যদি মস্তিস্কে একটি ভালো বাক্য প্রবেশ করে তাহলে মস্তিস্কে নতুন নিউরোণের সৃষ্টি হয়। নতুন নিউরোণ সৃষ্টির ফলে মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। ঠিক তেমনি একটি ভালো বাক্য যেমন, আলহামদুলিল্লাহ্‌ -এই বাক্যটি যদি আমরা আমাদের মস্তিস্কে প্রবেশ করিয়ে দিতে পারি তাহলে মস্তিস্কে নতুন নিউরোণ সৃষ্টি হবে। নিউরনকে যদি একজন মানুষের সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে নিউরনের সেলবডি হল মানুষের দেহ; এক্সন ও ডেনড্রাইট হল মানুষের হাত ও পা । মানুষ যখন গভীরভাবে ভাবে/চিন্তা করে এবং তার মনকে ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে খোরাক যোগায়, তখন এক্সন ও ডেন্ড্রাইটের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায় । ফলে, পরবর্তীতে একই বিষয়ে চিন্তা করা ও সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয় । আলহামদুলিল্লাহ বললে এক্সন ও ডেনড্রাইটের সংখ্যা তখনই বাড়বে, যখন আলহামদুলিল্লাহ বলার সময় সত্যি সত্যিই মনকে আল্লাহর দিকে রুজু করা হবে । অচেতনভাবে বা অন্যমনস্কভাবে আলহামদুলিল্লাহ বললে পার্থিব বা অপার্থিব ফায়দা খুব বেশি হবে না । খুশু খুযুর সাথে মন প্রাণ ঢেলে দিয়ে নামাজ পড়লেও একই উপকার পাওয়া যাবে । মানে, এক্সন ডেনড্রাইটের সংখ্যা বাড়বে, আর এই নামাজ কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির জন্য ঈমানদারীর প্রমাণ দিয়ে জান্নাতে নিয়ে ছাড়বে । ঠিক একইভাবে আলহামদুলিল্লাহ্‌ শব্দটিও তেমনি। কেউ যদি আলহামদুলিল্লাহ্‌ নিয়মিত বলেন, তাহলে মস্তিস্ক কৃতজ্ঞতার অনুরণনে প্লাবিত হবে। ভালো থাকার একটি আকুতি সৃষ্টি হবে। সহজ কথায়, একজন মানুষ ভালো থাকবে। আলহামদুলিল্লাহ্‌- এই বাক্যটি দিনে যতবেশী ব্যবহার করা যায়, ভালো থাকার মাত্রাটাও ততটা বেড়ে যায়।

আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) কে কুশল জিজ্ঞেস করলে তিনি সব সময়েই স্মিত হেসে বলতেন, আলহামদুলিল্লাহ্‌। তিনি এই বাক্যটি অসংখ্যবার বলতেন। আর আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী, আমরা আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) কে অন্ধভাবে অনুসরণ করবো। এই বাক্যটি উচ্চারণের সাথে মহান আল্লাহ্‌র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হচ্ছে। আর আল্লাহ্‌ কৃতজ্ঞতা পছন্দ করেন।

প্রতিদিনই যদি আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলা যায় তাহলে দেখা যাবে যে, ভালো থাকাটা একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আসুন আমরা সবাই ভালো থাকার চেষ্টা করি এবং এই অভ্যাসটা এখন থেকেই শুরু করি। আসুন এখন থেকেই কেউ কুশল জিজ্ঞেস করলেই বলি, "আলহামদুলিল্লাহ্‌, আমি খুব ভালো আছি"।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০০

অভ্র হাসান আবির বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।জাযাকাল্লাহ,ভাই।

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০২

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: ওয়াইয়াকুম। মহান আল্লাহ্ আপনাকে আমাকে আমাদের সবাইকে আলহামদুলিল্লাহ্ বলার মত সক্ষমতা দান করুন।

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২২

বোকামানুষ বলেছেন: হুম চেষ্টা করবো এখনো বলি তবে পরিমানে কম

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: অভ্যাস করলে সবই সহজ। নিশ্চয়ই পারবেন। যত বেশি আলহামদুলিল্লাহ্ বলতে পারবেন, ততই লাভ।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

আজাদ মোল্লা বলেছেন: ভাই আমরা দুবাইতে বলি ।
কিন্তু যখন বাংলাদেশ যাই সব ভুলে যাই ।
আল্লা আমাদের কে মাফ করুন আমিন ।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লা মহান ।

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: ভাই, আরব দেশগুলোতে তো এর প্রচলন ব্যাপক। আমাদের দেশে খুবই কম। ইন শা আল্লাহ্, আস্তে আস্তে আমরাও আল্লাহ্‌র শোকরগোজার বান্দা হিসেবে পরিচিত হবো।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আলহামদুলিল্লা
চমৎকার একটি পোষ্ট
এবার ভেবে দেখুন মশাই এই চার বছরে কতগুলো চমৎকার পোষ্ট হতে পারত?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.