নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শাহ্ ফখরুল ইসলাম আলোক। পেশায় আই্নজীবী, থাকি মৌলভীবাজারে।

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক

একদিন চলে যাবো অনন্তের পথে ......।

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনঃ জীবনের দিশারি

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৭

পবিত্র কোরআন মানবজাতির জন্যে মহান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে একটি শ্রেষ্ঠ উপহার। মানুষের কল্যাণে জীবনকে সুন্দর, মহিমান্বিত ও প্রাচুর্যময় করার জন্যে, মানুষকে সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা দানে কোরআন নাজিল হয়েছে।

কোরআন সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণাঃ
১. কোরআন শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ধর্মের অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের জন্যে।
২. কোরআনের পবিত্রতা রক্ষার্থে গিলাফে মুড়িয়ে ওপরের তাকে তুলে রাখা এবং রমজান মাসে বের করে খতম দেয়া কর্তব্য।
৩. অর্থ না জেনে শুধুমাত্র আরবিতে কোরআন তেলাওয়াতই সওয়াবের এবং এটুকুই যথেষ্ট।

কোরআন সম্পর্কিত এ ভ্রান্ত ধারণাই কোরআন থেকে আমাদের দূরে রাখছে। আরবিতে কোরআন তেলাওয়াত নিঃসন্দেহে সওয়াবের এবং অবশ্য করণীয়। কিন্তু অর্থ না জানার কারণে দৈনন্দিন সমস্যার সমাধানে এর শিক্ষাকে আমরা প্রয়োগ করতে পারছি না। কোরআন থেকে পরিপূর্ণ কল্যাণ লাভ করতে পারছি না। ধরুন, কারো কাছে তার খুব প্রিয়জনের একটি চিঠি এসেছে, কিন্তু চিঠির ভাষা তিনি বোঝেন না। তাই বুঝতেও পারছেন না তাতে কী খবর আছে। আনন্দের খবর, নাকি ভয়াবহ কোনো দুঃসংবাদ। আশার কথা নাকি দুর্ভাগ্যের কথা, নাকি তার করা উচিত এরকম কোনো জরুরি কাজের কথা। তখন তিনি কী করবেন? নিশ্চয়ই সে চিঠির মর্মোদ্ধার করার জন্যে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালাবেন। যিনি সে চিঠি পড়তে পারবেন চিঠিটি পড়ে দেয়ার জন্যে তার কাছে যাবেন। অর্থাৎ প্রিয়জনের বাণীকে বোঝার জন্যে যা যা করা দরকার তা-ই করবেন। তাহলে পবিত্র কোরআনের বেলায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে? এক অর্থে এটিও পরম করুণাময় আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আমাদের কাছে পাঠানো একটি চিঠি বা বার্তা। সুতরাং শুধু আরবি তেলাওয়াত নয়, বরং বাংলা অর্থসহ কোরআন পড়া ও বোঝা হচ্ছে আমাদের জন্যে কর্তব্য।

কোরআনের শিক্ষা সার্বজনীনঃ কোরআন কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো নির্দিষ্ট জাতির জন্যে নয়। জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সমগ্র মানবজাতির জন্যে কোরআন। আর কোরআনের শিক্ষা নতুন কিছু নয়। বরং কোরআনের বাণী শাশ্বত। মহান আল্লাহ্ যুগে যুগে দেশে দেশে যত নবী বা রাসুল পাঠিয়েছেন, তাদের সে বাণীর আধুনিক ও পরিপূর্ণ রূপই হলো কোরআন। তাই প্রতিটি মানুষের অধিকার রয়েছে এ থেকে উপকৃত হবার। নবীজী (সাঃ) তাঁর বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেছিলেন- 'হে মানুষ! আমি তোমাদের কাছে দুটো আলোকবর্তিকা রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা এ দুটোকে অনুসরণ করবে, ততদিন তোমরা সত্য পথে থাকবে। এর একটি হলো আল্লাহ্‌র কিতাব, পবিত্র কোরআন। দ্বিতীয়টি হলো আমার জীবন দৃষ্টান্ত বা হাদীস।' অর্থাৎ কেউ যদি এই সত্যকে আঁকড়ে ধরতে পারে, হৃদয় থেকে গ্রহণ করতে পারে তাহলে নিঃসন্দেহে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ লাভ করবে।

পরম করুণাময় আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে পবিত্র কোরআন হৃদয়ে ধারণ করার ক্ষমতা দান করুন। আমাদের সবার জীবন যেন পবিত্র কোরআনের আলোয় উদ্ভাসিত হয়। আমীন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৫৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: পবিত্র কোর'আন কে এই পাপী হৃদয়ে ধারণ করতে পারিনি কখনই,কিন্তু কোর'আন আমার জীবনে প্রতিবারই মো'জেজা হয়েই এসেছে।
সোবহানআল্লাহ।অবশ্যই এটা সেই গ্রন্থ যাতে কোনো সন্দেহ নেই।
''বাল হুওয়া কোর'আনুম মুবিন''
আরো বেশী বেশী এমন গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট আশা করি।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: এই যে মশাই,পেলুম আপনাকে
কোথায় ছিলেন এতোদিন?
কেমন আছেন?
অনেক খুঁজেছি...........ভালো লাগছে আবার দেখে :)

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

শাহ্‌ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: আবার আসিব ফিরে,
ধানসিঁড়ির তীরে.......।


পাবেন ভাই, আবারো পাবেন।

আসলে ফেসবুক আমাকে আন্ধা করে দিয়েছে। এবার থেকে সামুতে লেখার জন্যে চেষ্টা করবো।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম
গুড টু সি ইউ ব্যাক।
কেমন আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.