নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
করোনায় যে অনেক মানুষ মারা গেছে এবং সামনের দিন গুলিতেও যে আরও মারা যাবে তা মোটামুটি নিশ্চিত। অর্থনীতিও ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসুন আলোচনা করি বাংলাদেশের এখন কি করা উচিত।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ঃ
১) সাধারণ ছুটি আসলে খুব বেশী ফলপ্রসূ হবে না। কারণ কিছু মানুষ এটাকে মানছে না। ফলে রোগের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। পরবর্তী দিন গুলিতে জ্যামিতিক হারে বাড়তে পারে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। বরং এখনই কারফিউ জারি করা উচিত অন্তত ১৫ দিনের জন্য। এই সময় দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছানর ব্যবস্থা করতে হবে পাড়া ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায়। তবে চিকিৎসা বা এই সময়ে অপরিহার্য কোনও পণ্য বা সেবার জন্য ছাড় দেয়া যেতে পারে। কারফিউ বলতে ৭১ সালের মত কারফিউ দরকার। তবে কাউকে জানে মারা যাবে না।
২) ডাক্তারদের সাথে সরকারের ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে হবে। ডাক্তার ও রোগীর সেবায় যারা নিয়োজিত তাদের রোগ থেকে বাচার সুরক্ষা উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমান সরবরাহ করতে হবে।
৩) দেশে PPE উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে ventilation equipment ও ICU বানানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ অন্য দেশ থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা এখন কম।
৪) যে সব সম্ভাব্য ওষুধ করোনায় কাজে লাগতে পারে তা এখন থেকেই উৎপাদন বা সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে।
৫) প্রাইভেট সেক্টরের ডাক্তার ও চিকিৎসাবিদের সরকারের করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত করতে হবে। কে প্রাইভেট আর কে সরকারী এই পার্থক্য আপাতত দূর করতে হবে।
৬) যেসব দেশ অপেক্ষাকিত সফল (চিন ছাড়া- কারণ এদের তথ্য সঠিক নয়) তাদের অনুসরণ করতে হবে। WHO এর পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে হবে।
করোনাকালীন অর্থনৈতিক দুরবস্থা মোকাবেলা ঃ
১) পাড়া পর্যায়ে খাদ্য পৌঁছানোর network তৈরি করতে হবে। সেচ্ছাসেবী সংগঠন, NGO, জনপ্রতিনিধি এদের কাজে লাগাতে হবে। ১/২ মাস খাদ্যের/ টাকার জোগান দেয়া সরকারেরে জন্য বড় কোনও বোঝা হবে না। অন্য দেশের সাহায্য ছাড়াই সরকার তা করতে পারবে।
২) মধ্যবিত্তের জন্য যারা মরলেও হাত পাত তে চায় না তাদের জন্য call center এর মাধ্যমে খাদ্য বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই এভাবে কাজ করছে সীমিত পরিসরে।
৩) ব্যক্তি পর্যায়ের বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দান/ সাহায্য ইত্যাদিকে সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বড় ব্যবসায়ী/ শিল্পপতিদের দানে উৎসাহিত করতে হবে।
করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক দুরবস্থা মোকাবেলাঃ (২ বছরের জন্য)
১) ২ বছর মেয়াদি একটা বিশেষ পরিকল্পনা নিতে হবে। সামনের বাজেটে এর জন্য আংশিক বরাদ্দ রাখতে হবে। অগ্রাধিকার দিতে হবে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের খাদ্য ও চিকিৎসার জন্য।
২) আর্মির তত্ত্বাবধানে খাদ্যের জন্য রেশন চালু করতে হবে শুধু মাত্র মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জন্য।
৩) সরকারের নতুন কোনও মেগা প্রকল্প নেয়া বন্ধ করতে হবে।
৪) বিদেশি দাতাগোষ্ঠীর সাহায্য প্রয়োজনে নিতে হবে। এব্যাপারে দ্বিধা বা সঙ্কোচ করা যাবে না। কারণ অনেক দেশই সাহায্য নিবে।
৫) সরকারের পরিচালন ব্যয় কমাতে হবে। অনেক বাজে খরছ হয় তা বন্ধ করতে হবে।
৬) কৃষিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। অনেক বড় বড় গ্রুপ শয়ে শয়ে একর জায়গা দখল করে আছে কিন্তু ফেলে রেখেছে। এটা বন্ধ করে প্রতিটা ইঞ্চি আবাদি ভুমিকে আবাদের আওতায় আনতে হবে। সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করবে।
৭) বেকার ভাতা চালু করতে হবে।
৮ গ্রাম কেন্দ্রিক অর্থনীতি গড়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
৯) ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার ইতিমধ্যেই প্রণোদনা দিয়েছে। তবে ঋণ খেলাপিদের এর আওতার বাইরে রাখতে হবে।
১০) বিশ্ববিদ্দালয়ের চেয়ে কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে। কারণ প্রচুর পরিমাণ বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশে আছে। এখান থেকে পাশ করা বেকার ছাত্রও অনেক।
১১) ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরির জন্য পৃথক সরকারী বিভাগ চালু করতে হবে ও সহজ প্রক্রিয়ায় ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।
১২) শহরের বস্তিবাসীর জন্য আলাদা পরিকল্পনা ব্যবস্থা নিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়িয়ে এদের খাদ্য ও থাকার জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩) আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। চায়নার মত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশে উদ্যোগ নিতে হবে। গার্মেন্টস সেক্টরের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। যেসব জিনিস আমদানি করা হয় তা এদেশে তৈরি করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে।
১৪) বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে। হুন্ডি ওয়ালাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
১৫) এখন বড়লোকে কম আয়কর দেয় মধ্যবিত্তের চেয়ে। যারা শত কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দেয় তাদের ট্যাক্স নেটে আনতে হবে এবং মধ্যবিত্তের ট্যাক্স কমাতে হবে। অডিট ফার্ম গুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে কারণ এদের সাহায্যে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া হয়। অডিট ফার্ম গুলিকে টাইট দিলে কর্পোরেট সেক্টরে সুশাসন আসবে।
কোনও মতামত থাকলে জানাবেন। চাইলে কিছু যোগ করতে পারেন।
কিছু নতুন তথ্য ও পরামর্শ - ৩১ জুলাই, ২০২১ঃ
ইতিমধ্যে প্রায় ১ বছর ৫ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। আমাদের দেশে বহু মানুষ করোনায় মারা গেছে। আজ পর্যন্ত দাপ্তরিক হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২০৪৬৭ জন। প্রকৃত মৃত্যু আরও অনেক বেশী। সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত ৪২ লাখ ২৪ হাজার ৪২১ জন মারা গেছেন। বর্তমানে যেহেতু গ্রাম পর্যায়ে করোনা পৌঁছে গেছে তাই এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে টিকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। আমাদের সরকারের উচিত হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা যেন এক বছরের মধ্যে অন্তত ৭০% লোককে টিকা দেয়া যায়। দেশের ভিতরে বিদেশী কোম্পানির অনুমতি নিয়ে করোনা উৎপাদন করা যায় কি না এটা নিয়েও ভেবে দেখা দরকার। আমাদের দেশের কোন কোম্পানি যদি টিকা আবিষ্কার বা উৎপাদনে আগ্রহী হয় সেই ক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা।
টিকার পাশাপাশি নিরাপদ দূরত্ব, মাস্ক এবং অন্যান্য করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতি সবাইকে আরও বেশী সজাগ হতে হবে। সরকারকে দেশের অর্থনীতির কথাও মাথায় রাখতে হবে। সতর্কতার নিয়মগুলি মেনে অর্থনীতিকে চালু রাখতে হবে। অর্থনীতির কোন খাতকেই আর বন্ধ রাখা ঠিক হবে না। কারণ সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। আমরা বন্ধ করে রাখলে আমাদের মানুষ ব্যবসা ও চাকরী হারাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া উচিত। টিকা এখন ২৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের মানুষকে দেয়া হচ্ছে। আমার মতে এভাবে না করে বরং আগামী কয়েক মাস ৫০ ঊর্ধ্ব মানুষকে আগে দেয়া উচিত ছিল। তারপর এটা অন্যান্য বয়সীদের জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারতো। দেশব্যাপী লক ডাউন এখন আর ভালো কোন সমাধান বলে মনে হচ্ছে না। তবে কোন এলাকায় পরিস্থিতি বেশী খারাপ হলে এলাকা ভিত্তিক লক ডাউন দেয়া যেতে পারে।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জানতে চাওয়ার জন্য।
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: একটু দ্বিমত করছি। চীনের বক্তব্য কেন সঠিক নয়, জানতে পারি?
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চীনের মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ আছে।
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
সোনালি কাবিন বলেছেন: ভাল প্রস্তাবনা
১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রস্তাবগুলো ভাল। কিন্তু বাস্তবায়ন করা কঠিন আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবাই জানেন যে, একমাত্র আর্মিই এই পরিস্হিতিতে খাবার ও রিলিফ বন্টন করতে পারবে; কিন্তু শেখ হাসিনার মনে ভয়, ওরা শেষ ক্ষমতা দখল করে নেবে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৮| ০৭ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৩৬
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আমিও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে আছি। কিন্ত গ্রামে থাকতে পারলে ভালো হত।
০৮ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ শহুরে আগন্তুক ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। আমাদের মধ্যে দুইটা মিল পাওয়া গেল। আপনার লেখাগুলি আমার ভালো লাগে। ভালো থাকবেন।
৯| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের মতো ৩য় বিশ্বে, যেখানে মানুষ অল্পতে চুরি করে, সেখানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কিভাবে করা সম্ভব?
১০| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমানে দেশে ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আছে যারা দেশের জিডিপিতে ২৫% অবদান রাখছে। জিডিপিতে সব শিল্পের অবদান ৩৫% যার ২৫% ই এই SME খাত থেকে আসছে। দেশের কর্মসংস্থানের একটা বড় অংশ এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে হচ্ছে। আমাদের দেশে কর্পোরেট সেক্টরের কর্মসংস্থানে ভুমিকা উন্নত দেশের চেয়ে অনেক কম। একারনে হাজারে হাজারে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ ছেলে মেয়ে বেকার আছে। তারা সাদা কলার চাকরী চাচ্ছে। দেশের বড় বড় অনেক কর্পোরেট গ্রুপ অবৈধ পথে টাকা বানায় কিন্তু তারা অনেক বড় উদ্যোক্তা এবং দেশের জিডিপিতে তাদের অবদান আছে। তাই চুরি করলে উদ্যোক্তা হওয়া যাবে না এমন না। বরং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চোররাই বড় উদ্যোক্তা এবং তারা লক্ষ্ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান করছে। তারা টাকা গুলি দেশে রাখলে আরও ভালো হত। আমাদের জিডিপির বাইরে প্রায় জিডিপির সমান অংশ আছে যা হয় কাল টাকা বা এমন কোনও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যা জিডিপির মধ্যে আসছে না অথচ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে। এদেশে আইন কানুন দুর্বল তাই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উপর বিধি নিষেধ কম তাই তাদের আইন ফাঁকি দিয়ে সফল হওয়ার সুযোগ বেশী। ইতিমধ্যে এদেশে কিছু কিছু নতুন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ভালো করছে।
১১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: খুবই চমৎকার একটি কর্মপন্থা তৈরী করেছিলেন।
এধরনের প্রস্তাবনা উপর মহলের দৃষ্টিগোচর হয় কিনা জানি না, তবে ভাল ছিল।
আমার না হয় পাসওয়ার্ড সমস্যার কারণে লেখা কম কিন্তু আপনার পোস্ট কম হওয়ার কারণ কি ?
এখান থেকে আপনার পোস্ট পড়া শুরু হলো (রাজনৈতিক+ধর্মীয় বাদ)।
শুভেচ্ছা রইল আপনার বর্তমান প্রথম পোস্টে।
২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে আমি করোনার সময় যে ছুটি ছুটি ভাব তৈরি হয়েছিল তার কারণে কিছু লেখার প্রতি আগ্রহী হই। আমি আসলে রেজিস্ট্রেশনের আগেও ৩ বছর পোস্ট পড়তাম। রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবে। লেখালিখির কোনও ইচ্ছা ছিল না। কারণ আমি মুলত পাঠক। বই পড়তে পছন্দ করি। শুধু মন্তব্য করতাম। পরে মনে হোল শুধু মন্তব্য করি কিছু লেখি না ব্যাপারটা দেখতে খারাপ দেখায়। তাই করোনার অবসরে লেখার চেষ্টা করেছি। তবে গল্প, কবিতা এগুলি ভালো লাগলেও লেখার যোগ্যতা যে নেই তা আমি মোটামুটি নিশ্চিত। তবে আমি রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পোস্ট মনে হয় দেইনি। ধর্ম নিয়ে দিয়েছে বেশ কয়েকটা। তবে ব্লগের পরিবেশ আসলে ধর্ম নিয়ে লেখার অনুকুল না। ধর্মীয় ব্যাপারে অনেক ব্লগার অসহিষ্ণু আচরণ করেন। অনেক বিষয়ে ব্লগাররা জানলেও আমার কাছে মনে হয়েছে ধর্মীয় ব্যাপারে বেশীর ভাগেরই আগ্রহ নেই এবং অনেকেরই জ্ঞানের স্তর অগভীর। ফলে গঠনমূলক সমালোচনা না করে আক্রমণাত্মক কথা লেখেন। আরেকটা শ্রেণী আছে এরা আসলে নাস্তিক। এরা সবচেয়ে বেশী অযৌক্তিক বিরোধিতা করে ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে। তাই এই ব্যাপারে বেশী পোস্ট দেব না ভেবেছি। আর লিখলেও বিতর্ক তৈরি হয় এমন কিছু লিখব না। আপনি আমার পোস্ট গুলি (রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বাদে) পড়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন এ জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। সময় সুযোগ পেলে পড়বেন। কোনও চাপ নেয়ার দরকার নাই। ভালো থাকবেন।
১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: যথাসময়ে একটি যথোপযুক্ত বিষয়ে যথার্থ আলোচনা করেছিলেন। দেরিতে হলেও, আপনার প্রথম পোস্টটাতে এসে আজ তা দেখে গেলাম এবং মুগ্ধ হ'লাম।
এক বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। পোস্টটাকে একটু রিভিউ করবেন কি, আপনার প্রস্তাবনার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে/হয়েছিল, আর কতটুকু অরণ্যে রোদন হয়ে র'য়ে গেল তা জানার জন্য? এ বিষয়ে নতুন কোন প্রস্তাবনা এ মুহূর্তে রাখতে চান?
প্রথম পোস্টে শুভেচ্ছা ও ভাললাগা রেখে গেলাম। ব্লগে বিলম্বিত সুস্বাগতম! + +
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খাইরুল ভাই অনেক ভালো লাগলো যে আপনি আমার প্রথম পোস্টে এসে মন্তব্য করেছেন। আমি আপনার পরামর্শ মত পোস্টটা হাল নাগাদ করবো ইনশাল্লাহ। আপনার এই পুরনো পোস্ট পড়ার অভ্যাসটা আমার ভালো লাগে। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: করোনা ভাইরাস মোকাবেলা:
এতে প্রধান কাজ হল ব্যাপক ভাবে করোনা টেস্টিং সাথে জনগনের র্যান্ডমলি এন্টিবডি টেস্টিং
- কারো ব্লগে কি আপনার প্রশ্ন হলে জানতে চাওয়ার জন্য নাকি 'স্ববিরোধিতা' চোখে আংগুল দিয়ে দেখানোর জন্য????
এইপোস্টে আপনার প্রশ্ন আশা করছি
https://www.somewhereinblog.net/blog/kalabagan1/30294462