নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র কোরআনের আয়াতের সহি বুঝ - ১

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৯



ব্লগে অনেকে কোরানের আয়াত বুঝতে না পেরে ভিন্ন ব্যাখ্যা করেন অনেক সময়। তাদের বোঝার সুবিধার জন্য এই পোস্ট। এটা চলমান থাকবে ইনশাল্লাহ।

হে ঈমানদারগণ! কাফেরদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করো এবং তারা তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখুক। আর জেনে রাখো, আল্লাহ মুত্তাকিদের সাথে রয়েছেন।" (সুরা তওবা: আয়াত ১২৩)

মদিনায় হিজরতের পর থেকে হুদাইবিয়ার সন্ধি পর্যন্ত মক্কার কাফেরদের সাথে ক্রমাগত বিভিন্ন খণ্ড যুদ্ধ ও বড় যুদ্ধ হয়েছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে বৈরিতা চলমান ছিল।এ কারনে বিভিন্ন আয়াতে মুসলমানদের যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটা যুদ্ধেরই সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল। আর যুদ্ধের সময় তারা যেন দুর্বল চিত্ত না হয়ে কঠোরতা প্রদর্শন করে সে কথাই বলা হয়েছে উপরের আয়াতে। তবে মুসলমানরা যুদ্ধে কখনও কোনও নিরিহ, নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করেনি। নারী, শিশু, বৃদ্ধ, পুরোহিত, শান্তিপ্রিয় মানুষ এরাও যুদ্ধের সহিংসতার বাইরে ছিল। তবে যুদ্ধাপরাধীদের যুদ্ধের পরে শাস্তির উদাহরণ আছে।

হে নবী! মুমিনদেরকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করো৷ তোমাদের মধ্যে বিশজন সবরকারী থাকলে তারা দুশ জনের ওপর বিজয়ী হবে৷ আর যদি এমনি ধরনের একশ জন থাকে তাহলে তারা সত্য অস্বীকারকারীদের মধ্যে থেকে এক হাজার জনের ওপর বিজয়ী হবে৷ কারণ তারা এমন এক ধরনের লোক যাদের বোধশক্তি নেই৷ (সুরা আনফাল, আয়াত ৬৫)

৬৫ নম্বর এই আয়াতে আল্লাহ'তালা তার রাসূলকে বলেছেন, ইসলামের শত্রুরা যদি শান্তি না চায়, তারা যদি শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে তাহলে তুমি কাফেরদের বিরুদ্ধে মুমিন মুসলমানদেরকে জিহাদের জন্য প্রস্তুত কর এবং তাদেরকে বলে দাও সংখ্যায় কম হওয়ার জন্য কিংবা অনুন্নত যুদ্ধাস্ত্রের জন্য মুসলমানরা যেন ভয় না পায়। কারণ এখানে সৃষ্টিকর্তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তিনি সত্যের সৈনিকদেরকে এ ব্যাপারে অভয় দিয়ে বলেছেন, মুমিনরা যদি অসত্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সাথে রুখে দাঁড়ায় তাহলে একজন মুমিন মুসলমানের মুকাবেলায় দশজন কাফেরও টিকতে পারবে না। আর এই শক্তি আসবে ঈমানের আলো থেকে। যেটা ইসলামের শত্রুদের নেই। এমনকি তারা এ জিনিসটি অনুধাবন করতেও অক্ষম।
ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালে অবশ্য এই পবিত্র আয়াতের অনেক বাস্তব দৃষ্টান্ত চোখে পড়বে। দেখা গেছে, যখনই মুসলমানরা অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে খাঁটি নিয়তে রুখে দাঁড়িয়েছে সেখানেই তাদের নজিরবিহীন বিজয় অর্জিত হয়েছে। লোকবল এবং যুদ্ধ সরঞ্জামের দিক দিয়ে মুসলমানরা অত্যন্ত দুর্বল অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও পরাক্রমশালী শত্রু পক্ষকে তারা নাস্তানাবুদ করেছে। বদরের যুদ্ধে এক হাজার শত্রু সেনার বিপরীতে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন, ওহুদ যুদ্ধে ৩০০০ এর বিপরীতে মুসলমানরা ছিলেন মাত্র ৭০০ জন, খন্দক যুদ্ধে দশ হাজার কাফেরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন মাত্র ৩০০০ মুসলমান আর তাবুক যুদ্ধে এক লক্ষ শত্রু সেনার বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে লড়াই করেছেন মাত্র দশ হাজার ঈমানদার মুসলিম। কাজেই এ আয়াতে এটাই বুঝানো হয়েছে, সত্য ও মিথ্যার যুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত হয় ঈমান ও দৃঢ়তার বলে, এখানে উন্নত যুদ্ধাস্ত্র বা লোকবল মুখ্য নয়।

দেখা যাচ্ছে সব যুদ্ধেই মুসলমানদের সংখ্যা অনেক কম ছিল। তাই কম সেনা বাহিনী নিয়ে গায়ে পরে কেউ যুদ্ধ বাধাবে এ কথা গ্রহণযোগ্য নয়। বরং কম সেনা নিয়ে তাদেরকে উদবুদ্ধ করার জন্যেই ৬৫ নং আয়াতটি আল্লাহ নাজিল করেছেন। আল্লাহ আমাদের ইসলামের সহি বুঝ দান করুন।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবে সামন্তবাদের সময় ইসলাম প্রচারিত হয়েছে; তাই, অনেক আয়াত যুদ্ধ ইত্যাদি নিয়ে রচনা করা হয়েছিলো।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। ইসলামের প্রথম শিশু রাষ্ট্র মদিনাকে প্রতিষ্ঠার জন্য ও কাফেরদের আক্রমন থেকে একে রক্ষার জন্য রসুল (সাঃ) এর জীবনের শেষের ১০ টি বছর অনেক গুলি খণ্ড যুদ্ধ ও কয়েকটি বড় যুদ্ধ করতে হয়েছিল। আপনি যুদ্ধ করেছেন তাই যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব ও কৌশল বোঝেন। শুধু বই পড়ে যুদ্ধ সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান হয় না।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৫২

মুক্তা নীল বলেছেন:
সহিহ ভাবে জানার কোন শেষ নাই , আপনার লেখা
থেকেই জানলাম সূরা আনফাল এর ৬৫ নং আয়াত এর
বদর যুদ্ধের এর নাযিলের ইতিহাস।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলেই সহি জানার কোনও শেষ নেই। অর্থাৎ আমাদের জানার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সুরা আনফালের আরেক নাম সুরা 'বদর'। বদর যুদ্ধের ঠিক পরে সুরাটা নাজিল হয়। ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সুরার পর যে ইতিহাস দিয়েছেন সেই ইতিহাসের তথ্য নির্ভর রেফারেন্স দেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরার পরের যে ইতিহাস আমি সংক্ষেপে বলেছি সেটা হিজরত থেকে শুরু করে হুদাইবিয়ার সন্ধি পর্যন্ত। এটা প্রায় ৬ থেকে ৭ বছরের সময়। অনেক গুলি যুদ্ধ হয়েছে। সব গুলি লিখতে গেলে বই লিখতে হবে। আপনি নির্দিষ্ট ভাবে বলেন যে আপনার কাছে আমার কোন কথাটা ভুল মনে হয়েছে। তখন আলাপ করা যেতে পারে।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুবই ইন্টারস্টিং ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: কেউ যদি আয়াত গুলোর সঠিক ভাবে বুঝতে চায় তাহলে সেই ব্যবস্থা আছে। শুধু মাত্র তার ইচ্ছা থাকতে হবে।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আপনাকে আল্লাহ্‌ এর জন্য উত্তম প্রতিদান দান করুন।

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

আহলান বলেছেন: কোরআন হাদিস নিয়ে প্রতিনিয়তই গবেষণা চলছে, সেই যুগেও ছিলো! সহিহ ভাবে ফিকির করলে আল্লাহ ঠিকই সঠিক বুঝ দান করেন ... ! কিন্তু তার জন্যে সঠিক পন্থা, শরিয়ত ও মারিফাতের জ্ঞ্যান সম্পন্ন বিজ্ঞ আলেমগনের সহচার্য্য একান্ত ভাবে প্রয়োজন। শুধু পাতার পর পাতা অনুবাদ ও ব্যাখ্যা দিয়ে এই বুঝ আসে কি না আল্লাহ জানেন ....

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। মনের মধ্যে বক্রতা থাকলে হাজার দলিল প্রমাণও সেই বক্রতা দূর করতে পারে না। বিজ্ঞ আলেমদের সাহচর্য জরুরী।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই আয়তগুলি পরিষ্কার বক্তব্যের। তবে কিছু কিছু আয়াত আছে যেগুলিতে লুকিয়ে আছে ভিন্ন কিছু।
শুভকামনা রইলো।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কয়েক দিন আগে এই আয়াত গুলি নিয়েই অনেক বিতর্ক হয়েছে। বিতর্কের অপর পক্ষের বক্তব্য সম্ভবত এরকম যে ইসলাম অস্ত্রের জোরে কাফেরদের মুসলমান হতে বাধ্য করেছে। তাই অনেক গুলি যুদ্ধ সংক্রান্ত আয়াতের তারা উদ্ধৃতি দিয়েছে। প্রথম আয়াতে যুদ্ধ করতে ও কঠোর হতে বলেছে এটাই সম্ভবত তাদের অভিযোগ। সেই কারণে আমি বলতে চেয়েছি যে হুদাইবিয়ার সন্ধির আগে পর্যন্ত ৬ থেকে ৭ বছর বিভিন্ন কারণে কাফেরদের সাথে অনেক গুলি ছোট ও বড় যুদ্ধ হয়েছে যার প্রত্যেকটির জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল। এছাড়া যুদ্ধে কোনও নিরীহ মানুষ, নারী, শিশু, বৃদ্ধকে হত্যা করা হয় নাই। আর যুদ্ধের সময় নমনীয় না হয়ে কঠোর হবে এটাই তো স্বাভাবিক। পরের আয়াতটিও যুদ্ধ সংক্রান্ত। ওনারা বোঝাতে চেয়েছেন যে মুসলমানরা যুদ্ধ করেছে কাফেরদের উপর নির্যাতনের জন্য তাই কোরানের এত গুলি আয়াত যুদ্ধ নিয়ে। আমি বলতে চেয়েছি যে সবগুলি যুদ্ধেই মুসলমানদের সংখ্যা কাফেরদের চেয়ে অনেক কম ছিল। কাজেই কম সৈন্য ও অস্ত্র নিয়ে কেউ গায়ে পরে যুদ্ধ করবে না। আয়াত গুলি খুব পরিষ্কার। কিন্তু ওনারা এগুলির মধ্যেই সমস্যা দেখছেন। কোরানের অনেক আয়াত আছে যেগুলির সঠিক অর্থ ও প্রাসঙ্গিকতা বোঝার জন্য পড়াশোনার প্রয়োজন আছে।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কোরানুল করীমকে আরবী ভাষায় নাজিল করা হয়েছে যাতে মানুষ সহজে বুঝতে পারে। না বুঝার তো কিছু না্ই।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুঝতে পারলেতো কোনও সমস্যাই নাই।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:১৭

সত্যপীরবাবা বলেছেন: আহলান বলেছেন: তার জন্যে সঠিক পন্থা, শরিয়ত ও মারিফাতের জ্ঞ্যান সম্পন্ন বিজ্ঞ আলেমগনের সহচার্য্য একান্ত ভাবে প্রয়োজন
লেখক বলেছেন: বিজ্ঞ আলেমদের সাহচর্য জরুরী


আলেম বা আলিম শব্দের অর্থ যতদূর জানি জ্ঞানী, পন্ডিত, বিজ্ঞ (scholar/learned/authority)। কাজেই আলিম শব্দের আগে বিজ্ঞ ব্যবহার অপ্রয়োজনীয়।
যাই হোক, আমার আগ্রহ এই আলিমদের পরিচয় জানার। বর্তমান কালের বাংলাদেশের ৫ জন আলিমের নাম জানাবেন অনুগ্রহ করে। সম্ভব হলে তাঁদের you tube লিনক দেবেন। আমি আপনাদের বিবেচনায় আলিম যাঁরা, তাঁদের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১।শাইখ মতিউর রাহমান মাদানী
২। মাওলানা শায়খ আহমাদুল্লাহ মাদানি
৩। মাওলানা আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
৪। ডঃ আবুবকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া
৫। শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ

ইউটিউবের সার্চ অপশনে নাম লিখে খুজলেই পাবেন।

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:২৮

সত্যপীরবাবা বলেছেন: কোরানের বিভিন্ন সুরার নামকরনের বিষয়ে একটা প্রশ্ন আছে। সুরাসমূহের নাম কি আল্লাহ প্রদত্ত নাকি রসুল (স: ) প্রদত্ত? বড় সুরাসমূহ খন্ড খন্ড ভাবে অবতীর্ন হয়েছিল এই রকমই জানি। ষে ক্ষেত্রে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কি এক নামেই অবতীর্ন হয়েছিল? আরো সুস্পষ্ট ভাবে বলি, সুরা অবতীর্ন হও্য়ার সাথে সাথেই কি তার নামকরন করা হয়েছিল?

০৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মের ব্যাপারে রসুলের (সাঃ) কথাই আল্লাহর কথা। উনি কোনও মনগড়া কথা বলেননি। আল্লাহ্‌ ওনাকে যেভাবে বলেছেন উনি সেটাই বলেছেন। সুরার নামকরন আল্লাহর নির্দেশে রসূল করেছিলেন। নামকরন সুরা নাজিলের প্রারম্ভে নাকি পরে হয়েছে এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান নাই। রসূল (সাঃ) স্বয়ং কিছু সুরার একাধিক নাম বলেছেন বিভিন্ন সময়। যেমন সুরা আল- ইসরা এর আরেক নাম সুরা বনি ইসরাইল। এই দুইটা নামই রসূল (সাঃ) বলেছেন। আল্লাহর রসূল (সাঃ) ধর্মের ব্যাপারে যখন কোনও কথা বলতেন সেটা সব সময়ই আল্লাহর আদেশ অনুসারেই বলতেন। তাই একাধিক নামও আল্লাহর আদেশের পরিপন্থি নয়। কোরআনেরও একাধিক নাম আছে। যেমন আল- ফুরকান কোরআনের আরেকটি নাম। আরও নাম পাওয়া যায়। সুরার নামকরনের ব্যাপারে অধিকাংশ আলেমের এই মত। তবে কয়েকজন আলেম বলে থাকেন যে সব সুরার নামই যে রসূল নির্দেশিত এমন নাও হতে পারে। তবে এই মত খুব দুর্বল। এর পক্ষে জোরালো কোনও প্রমাণও নেই। একটা অধ্যায়ের একাধিক নাম থাকা কোনও সমস্যা না। ইসলামের অনেক ব্যাপারে মত পার্থক্য আছে। তবে মূল আকিদায় তার প্রভাব পরে না। বাকিটা আল্লাহ্‌ ভালো জানেন।

১১| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১০

এভো বলেছেন: ভাই নীচের হাদিস গুলোর ব্যাপারে আমি কনফিউজ , একটু বিস্তারিত ভাবে জানাবেন কি ?
-------
গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ [2818]
অধ্যায়ঃ ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৫৬/২২. জান্নাত হল তলোয়ারের ঝলকানির তলে।
মুগীরাহ ইবনু শু‘বা (রাঃ) বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জানিয়েছেন, আমাদেও প্রতিপালকের পয়গাম। আমাদের মধ্যে যে শহীদ হলো সে জান্নাতে পৌঁছে গেল।
‘উমার (রাঃ) নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলেন, আমাদের শহীদগণ জান্নাতবাসী আর তাদের নিহতরা কি জাহান্নামবাসী নয়? আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, হ্যাঁ।
২৮১৮. ‘উমার ইবনু ‘উবায়দুল্লাহ্ (রহ.)-এর আযাদকৃত গোলাম ও তার কাতিব সালিম আবূন নাযর (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) তাঁকে লিখেছিলেন যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমরা জেনে রাখ, তরবারির ছায়া-তলেই জান্নাত।
উয়াইসী (রহ.) ইবনু আবূ যিনাদ (রহ.)-এর মাধ্যমে মূসা ইবনু ‘উকবাহ (রহ.) থেকে হাদীস বর্ণনার ব্যাপারে মু‘আবিয়াহ ইবনু ‘আমর (রহ.) আবূ ইসহাক (রহ.)-এর মাধ্যমে মূসা ইবনু ‘উকবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের অনুসরণ করেছেন। (২৮৩৩, ২৯৬৬, ৩০২৪, ৭২৩৭) (মুসলিম ৩২/৬ হাঃ ১৭৪২, আহমাদ ১৯১৩৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬২০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


গ্রন্থের নামঃ সূনান নাসাঈ (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [3979]
অধ্যায়ঃ ৩৮/ হত্যা অবৈধ হওয়া
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১. মুসলিমকে হত্যা করার অবৈধতা
৩৯৭৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ না বলা পর্যন্ত আমি লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। যদি তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলে, তবে আমার পক্ষ হতে তাদের জানমাল রক্ষা করে নেবে কিন্তু এর হক ব্যতীত। আর তাদের হিসাব আল্লাহর যিম্মায়।
তাহক্বীকঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ যতক্ষণ না মুসলমান হয়, ততক্ষণ কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [35]
অধ্যায়ঃ ১। ঈমান [বিশ্বাস]
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৮.লোকেদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ যতক্ষণ না তারা স্বীকার করে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং সালাত কায়িম করে, যাকাত দেয়, নাবী যে শারীআতের বিধান এনেছেন তার প্রতি ঈমান আনে, যে ব্যক্তি এসব করবে সে তার জান মালের নিরাপত্তা লাভ করবে; তবে শারীআত সম্মত কারণ ব্যতীত, তার অন্তরের খবর আল্লাহর কাছে; যে ব্যক্তি যাকাত দিতে ও ইসলামের অন্যান্য বিধান পালন করতে অস্বীকার করে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার এবং ইসলামের বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইমামের গুরুত্বারোপ করার নির্দেশ।
৩৫-(৩৫/…) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ), আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) ও আবূ সালিহ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। বাকী অংশ আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে ইবনুল মুসাইয়্যাব-এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।
আবূ বাকর ইবনু শাইবাহ ও মুহাম্মাদ ইবনু আল মুসান্না (রহঃ) ….. জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই” এ কথার স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি। “আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই” এ কথা স্বীকার করলে তারা আমার থেকে তাদের জান মালের নিরাপত্তা লাভ করবে; তবে শারী’আত সম্মত কারণ ছাড়া। তাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে। তারপর তিনি আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “আপনি তো একজন উপদেশদাতা। আপনি এদের উপর কর্মনিয়ন্ত্রক নন”- (সূরাহ আল গা-শিয়াহ্ ৮৮ঃ ২১-২২)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩৫-৩৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
হাদিস নম্বরঃ [3929]
অধ্যায়ঃ ৩০/ কলহ-বিপর্যয়
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৩০/১. যে ব্যক্তি ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ’’ বলে, তার উপর হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা
৩/৩৯২৯। আওস (রাঃ) বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি আমাদেরকে (অতীতের) ঘটনাবলী উল্লেখপূর্বক উপদেশ দিচ্ছিলেন। ইত্যবসরে এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে তাঁর সাথে একান্তে কিছু বললো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করো। লোকটি ফিরে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, ‘‘আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই’’? সে বললো, হাঁ। তিনি বলেনঃ যাও, তোমরা তাকে তার পথে ছেড়ে দাও। কারণ লোকেরা ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ না বলা পর্যন্ত আমাকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা তাই করলে তাদের জান-মালে হস্তক্ষেপ আমার জন্য হারাম হয়ে গেলো।
নাসায়ী ৩৯৭৯, ৩৯৮২, ৩৯৮৩, আহমাদ ১৫৭২৭, দারেমী ২৪৪৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ রাতের অতর্কিত আক্রমনে শিশু ও নারী হত্যা
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4399]
অধ্যায়ঃ ৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৯. রাতের অতর্কিত আক্রমনে অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী ও শিশু হত্যায় দোষ নেই
৪৩৯৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, সাঈদ ইবনু মনসুর ও আমর আন নাকিদ (রহঃ) … সা’ব ইবনু জাছছামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মুশরিকদের নারী ও শিশু সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, যখন রাতের আধারে অতর্কিত আক্রমণ করা হয়, তখন তাদের নারী ও শিশুরাও আক্রান্ত হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তারাও তাদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [4442]
অধ্যায়ঃ ৩৩। জিহাদ ও সফর
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি‏
পরিচ্ছদঃ ৯. রাতের আকস্মিক হামলায় অনিচ্ছাকৃতভাবে নারী ও শিশু হত্যায় দোষ নেই
৪৪৪২-(২৭/…) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ….. সা’ব ইবনু জাসসামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা রাতের অন্ধকারে আকস্মিক হামলায় মুশরিকদের শিশুদের উপরও আঘাত করে ফেলি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারাও তাদের (মুশরিক যোদ্ধাদের) মধ্যে গণ্য। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৪০০, ইসলামিক সেন্টার ৪৪০০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ১৮/ জিহাদ
হাদিস নাম্বার: 2839
১/২৮৩৯। সাব‘ ইবনে জাসসামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাতের বেলা মুশরিকদের মহল্লায় অতর্কিত আক্রমণ প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলো, যাতে নারী ও শিশু নিহত হয়। তিনি বলেনঃ তারাও (নারী ও শিশু) তাদের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ ইসলামের দাওয়াত দেয়ার পরে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে আক্রমন বৈধ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [4370]
অধ্যায়ঃ ৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১. যে সকল বিধর্মীর কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেছে, পূর্ব ঘোষণা ব্যতীত তাদের বিরুদ্ধে আক্রমন পরিচালনা বৈধ
৪৩৭০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী (রহঃ) … ইবনু আউন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি নাফি’ (রহঃ) কে এই কথা জানতে চেয়ে পত্র লিখলাম যে, যুদ্ধের পূর্বে বিধর্মীদের প্রতি দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া প্রয়োজন কি না? তিনি বলেন, তখন তিনি আমাকে লিখলেন যে, এ (নিয়ম) ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ মুসতালিকের উপর আক্রমণ করলেন এমতাবস্থায় যে, তারা অপ্রস্তুত ছিল (তা জানতে পারেনি।) তাদের পশুদের পানি পান করানো হচ্ছিল। তখন তিনি তাদের যোদ্ধাদের (পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ) হত্যা করলেন এবং অবশিষ্টদের (নারী শিশুদের) বন্দী করলেন। আর সেই দিনেই তাঁর হস্তগত হয়েছিল। (ইয়াহইয়া বলেন যে, আমার ধারণা হল, তিনি বলেছেন) জুওয়ায়রিয়া অথবা তিনি নিশ্চিতরূপে ইবনাতুল হারিছ (হারিছ কন্যা) বলেছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এই হাদীস আমাকে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। তিনি সেই সেনাদলে ছিলেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

■ আজান শোনা না শোনার ওপর নির্ভর করতো মুহাম্মদের কোন গোত্রের ওপর আক্রমন
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ [733]
অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুস স্বলাত
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ৬. দারুল কুফর বা অমুসলিম দেশে কোন গোত্রে আযানের ধ্বনি শোনা গেলে সেই গোত্রের উপর হামলা করা থেকে বিরত থাকা
৭৩৩। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরে শক্রর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করতেন। আযান শোনার অপেক্ষা করতেন। আযান শুনতে পেলে আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতেন। আযান শুনতে না পেলে আক্রমণ করতেন। একবার তিনি কোন এক ব্যাক্তিকে اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ বলতে শুলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি ফিতরাত (দ্বীন ইসলাম) এর উপর রয়েছ। এর পর সে ব্যাক্তি أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি জাহান্নাম থেকে বেরিয়ে এলে। সাহাবায়ে কিরাম লোকটির প্রতি লক্ষ্য করে দেখতে পেলেন যে, সে ছিল একজন ভেড়ার রাখাল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

১২| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক, আপনার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। বিশেষ করে আলিমদের নাম দেয়ার জন্য। আমি তাঁদের বক্তব্য শোনার চেষ্টা করব।

ধর্মের ব্যাপারে রসুলের (সাঃ ) কথাই আল্লাহর কথা। -- সে ক্ষেত্রে হাদিস আল্লাহের বাণী এবং মর্যাদায় কোরানের সমান সমান। কোরানে যেমন ভুল নেই, হাদিসেও কোনো ভুল নেই। কোনো হাদিস দূর্বল বলা যাবে না -- জাল তো দূরের কথা। শুধু তাই না, কোরানের প্রতিটি শব্দ যেমন অবশ্য মান্য, কোনো সন্দেহ/বিচ্যুতি/উপেক্ষা/বিরোধিতা ব্যক্তি কর্তৃক ঘটলে সেই ব্যক্তি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, হাদিসের ক্ষেত্রেও তাই। সমস্ত হাদিস মানতেই হবে -- জাল/দূর্বল/ ব্যক্তিবিশেষের দ্বারা ইচ্ছাকৃত ভাবে সংযুক্ত/পরিবর্তিত এই জাতীয় কোনো রকম সন্দেহ করা যাবে না কারন এইগুলোও আল্লাহর বাণী, না মানলে ইসলাম থেকে খারিজ।

০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক জাল হাদিস আছে, দুর্বল হাদিস আছে। এগুলি রসুলের কথা না। তাই যেগুলি সহি হাদিস সেগুলি রসুলের কথা। আর রসূল ধর্মের ব্যাপারে নিজের মনগড়া কোনও কথা বলেননি। হাদিসের মাধ্যমে অনেক কিছু ফরজ করা হয়েছে। সহি হাদিস অমান্য করা বা অস্বীকার করা অনেক গুনার কাজ। সহি হাদিস কোনগুলা সেটা জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে জানতে হবে। জাল ও দুর্বল হাদিস মানবেন না।

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো -

আপনি অনেক গুলি হাদিস উল্লেখ করেছেন। আমি সময় নিয়ে একটা একটা করে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব ধাপে ধাপে।

১ম হাদিস ২৮১৮- বুখারি

এটার ব্যাখ্যার আগে আরেকটা হাদিস বলি। সেটা অনেকটা এরকম যে ' মায়ের পায়ের নীচে বেহেশত'। এই কথাটার মানে হোল আক্ষরিক অর্থে মায়ের পায়ের নীচে বেহেশত না বরং মায়ের খেদমত করার মাধ্যমে তোমরা বেহেশত অর্জন কর। একইভাবে ২৮১৮ নং হাদিসে বলা হয়েছে যে বেহেশত হোল তরবারির নীচে। অর্থাৎ তোমরা জিহাদে যোগ দিয়ে বেহেশত অর্জন কর। অনেকে জিহাদে যেতে ভয় পেত বা একে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করত। কিন্তু নতুন ইসলামি রাষ্ট্রের অস্তিত্তের জন্য জিহাদ মুসলমানদের বিভিন্ন সময় করতে হয়েছে। মুসলমানদের জিহাদের গুরুত্ব ও এর প্রতিদান বুঝানোর জন্য রসূল (সাঃ) এভাবে বলেছেন। পরের হাদিস গুলির ব্যাখ্যা ধাপে ধাপে দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৩

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক, আমার পূর্ববর্তী বক্তব্য আমি পরিস্কার ভাবে ব্যক্ত করতে পারি নাই, আমার ব্যর্থতা। আবার চেষ্টা করছি।

আমি পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করছি, আপনি সহমত হলে জানাবেন, আর না হলে কেন সহমত নন সেটা অনুগ্রহ করে জানাবেন:

১)ধর্মের ব্যাপারে রসুলের (সাঃ ) কথাই আল্লাহর কথা। -- সে ক্ষেত্রে হাদিস আল্লাহের বাণী এবং মর্যাদায় কোরানের সমান সমান।
২) আল্লাহর বাণীতে কোন ভুল থাকতে পারে না, তাই কোরানে যেমন ভুল নেই, হাদিসেও কোনো ভুল নেই। কারন দুইটিই আল্লাহর বাণী।
৩)মুসলিম হলে কোরান যেমন পুরোটাই মানতে হবে যেহেতু আল্লাহর বাণী, মুসলিম হলে হাদিসও পুরোটাই মানতে হবে যেহেতু আল্লাহর বাণী।
৪) কোরানের কোন বাক্য যেমন ভুল বা জাল বলার অবকাশ নাই, না মানার উপায় নাই, বাতিল করার এক্তিয়ার নাই মুসলিম হিসেবে, হাদিসের ক্ষেত্রেও তাই (১),(২) এবং (৩) অনুযায়ী।
৫)কোন মুসলিম যদি আল্লাহর বাণীর সত্যতা ( authenticity) সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে তাহলে উক্ত ব্যক্তি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।
৬) পয়েন্ট ৪ এবং ৫ অনুসারে, কোন ব্যক্তি কোন হাদিসকে জাল বা দূর্বল আখ্যায়িত করলে ঐ ব্যক্তি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে।

আপনি ধৈর্য্য ধরে সবার প্রশ্নের উত্তর দেবার চেষ্টা করছেন, আপনার এই ধৈর্য্য প্রশংসার দাবীদার।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১।কোরান আল্লাহর কথা। হাদিস সরাসরি আল্লাহর কথা না। আল্লাহর নির্দেশকে রসুল নিজের ভাষায় বলেছেন। কোরান একটা বই এবং আসমানি গ্রন্থ। হাদিসের বই হওয়া জরুরী না। তবে মানুষ নিজেদের সুবিধার জন্য একে পরবর্তীতে বইয়ের আকার দিয়েছে। কোরান সরাসরি আল্লাহর কথা আর হাদিস হলও আল্লাহর কথাকে/ আদেশকে রসুল নিজের মত করে বলেছেন। আল্লাহর কথা নিশ্চয়ই অধিক মর্যাদার দাবিদার।
২। সহি হাদিস সেগুলিকেই বলে যেগুলি নির্ভুল। জাল হাদিস, দুর্বল হাদিসে ভুল আছে তাই ঐ গুলি অনুসরণ করা যাবে না।
৩। মুসলিম হলে কোরান ও সহি হাদিস সব মানতে হবে। সমস্যা হয় কোরান ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে।
৪। সহি হাদিস অনেক যাচাই, বাছাই করে নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই এগুলি নির্ভুল এবং এগুলি কেউ বাতিল করার এখতিয়ার রাখে না যদি না কোনও বড় মাপের হাদিস বেত্তা এটাকে ভুল প্রমান করেন। কোনও হাদিস বেত্তা উপযুক্ত সূত্র, প্রমান বা যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমান করতে পারে সেক্ষেত্রে সেগুলিকে আর সহি হাদিস বলা হয় না। তবে এ ধরনের ঘটনা খুব কম ঘটে। আলেমদের সর্বসম্মতিক্রমে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। হাদিসের ভুল হওয়ার শম্ভবনা থাকতে পারে। কারণ পুরা কোরানের হাফেজ ছিলও কিন্তু সকল হাদিস একক কোনও ব্যক্তির মুখস্ত ছিল না। ভিন্ন সাহাবীরা ভিন্ন ভিন্ন হাদিস মুখস্ত করেছেন ও বর্ণনা করেছেন।
৫। অনিচ্ছাকৃত বোঝার ভুলের জন্য কেউ কোরানের কোনও আয়াত ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করলে তাকে সঠিকটা জানার পরে সংশোধন হতে হবে। আর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সে অস্বীকার করে তাহলে সে কঠিন গুনাহগার হবে। ইসলাম থেকে খারিজ হবে কি না সেটা আমার জানা নাই। একইভাবে যে হাদিস নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ নাই সেইরকম হাদিস ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকার করা বড় গুনাহ। ইসলাম থেকে খারিজের ব্যাপারটা আমি নিশ্চিত নই।
৬। যে হাদিস গুলি সহি সেগুলি পৃথিবী সব বড় আলেমরা মেনে নিয়েছেন। সেগুলিকে কোনও সাধারণ মুসলমান কোন যুক্তিতে অস্বীকার করবে। সেক্ষেত্রে সারা পৃথিবীর আলেমদের চেয়ে তাকে বেশী জ্ঞানী হতে হবে। হাদিস শাস্ত্রে যে কেউ অল্প সময়ে বিশেষজ্ঞ হতে পারে না। এগুলি নিয়ে কাজ করতে অনেক বছর লাগে, আরবি ভাষায় ভালো দখল থাকতে হয়। আরবি না জানা লোক এই বিষয়ে কখনই বিশেষজ্ঞ হতে পারবে না। ভিন্ন ভাষার অনেক আলেম প্রথমে আরবি ভালভাবে শিখেছেন তারপর তার হাদিসের উপর পড়া লেখা করেছেন।

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৩

সোহানাজোহা বলেছেন: সুন্দর নান্দনিক উপস্থাপনা।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সত্যপীর বাবা - হাদিস বলতে শুধু রসুলের (সাঃ) কথাকে/ আদেশ/ নিষেধকেই বুঝায় না। কোনও সাহাবী একটা কাজ করলো। রসূল (সাঃ) সেটাতে মৌন সম্মতি দিলেন। এটাও হাদিস। আবার রসুলের (সাঃ) কোনও অভ্যাস/কাজ/ পোশাক/ যেটা সাহাবীরা দেখেছেন সেটাও হাদিস। হাদিসের মাধ্যমে অনেক কাজ ফরজ করা হয়েছে, অনেক কাজ ওয়াজিব করা হয়েছে আবার অনেক কাজ ঐচ্ছিক করা হয়েছে। কাজেই সব হাদিসের নির্দেশনা অবশ্যই মানতে হবে এমন নাও হতে পারে। যেমন রসূল (সাঃ) পানি খেতেন বসে। দাড়িয়ে পানি খেতেন না। এটা আমাদের জন্য ফরজ না তবে এভাবে খাওয়া আমাদের জন্য সুন্নত।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো -
হাদিস নং ৩৯৭৯ (সুনান নাসাই)
হাদিস নং ৩৫ (সহি মুসলিম)
হাদিস নং ৩৯২৯ (সুনান ইবনে মাজাহ)

এই তিনটি হাদিস মুলত একই ধরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনটি হাদিস গ্রন্থে বর্ণীত হয়েছে। হাদিস তিনটির মূল বক্তব্য হল;
রসূল বলছেন 'আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এ কথার স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমি আদিষ্ট হয়েছি।' “আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই” এ কথা স্বীকার করলে তারা আমার থেকে তাদের জান মালের নিরাপত্তা লাভ করবে; তবে শারী’আত সম্মত কারণ ছাড়া। তাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে।' তারপর রসূল (সাঃ) আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “আপনি তো একজন উপদেশদাতা। আপনি এদের উপর কর্মনিয়ন্ত্রক নন”

যুদ্ধকালীন সময়ের কথা রসূল বলেছেন। গায়ে পরে কোনও যুদ্ধ মুসলমানরা করেনি। সকল জুদ্ধেই দেখবেন মুসলমানদের সৈন্য ও অস্ত্র কাফেরদের চেয়ে অনেক কম ছিল। রসূল (সাঃ) কাফেরদের ইসলাম গ্রহনে যে জোর করতেন না তার পক্ষে উপরের আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন যে ' আপনি তো কেবল একজন উপদেশ দাতা। এদের কর্মনিওন্ত্রক আপনি নন।' একজন উপদেশ দাতা নিশ্চয়ই জোর করে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করবেন না এটাই স্বাভাবিক। জোর করেই যদি ইসলাম গ্রহণ করানো হত তাহলে জিজিয়া কর নিয়ে তাদের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার ইসলাম দিত না।

যুদ্ধক্ষেত্রে বা যুদ্ধাপরাধী যদি ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে তবে তাকে আঘাত করা যাবে না। যুদ্ধকালীন হত্যা সম্পর্কে এই মর্মে একটা হাদিস নীচে দেয়া হোল;
রসূল (সাঃ) বললেন : ‘ সে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বলার পরও তুমি তাকে হত্যা করলে?’
আমি ( বর্ণনাকারী) : ইয়া রসূল আল্লাহ্ (সাঃ) সে আমাদের অস্ত্রের ভয়ে বলেছে।
রসূল (সাঃ) : সে আন্তরিকভাবে বলেছে কি না তা জানার জন্য তুমি কেন তবে তার হৃদপিণ্ড কেটে দেখলে না ? ( রসূল ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন)
রসূল (সাঃ) একথা বারবার বলতে লাগলেন যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার মনে হল ইশ আমি যদি এখন অমুসলিম থাকতাম তাহলে এরকম পাপ করতাম না। ( সে অনুতপ্ত হয়ে এরকম ভাবছিল)
(রিয়াদ-আস সালিহিন, ১ নং বই, হাদিস ৩৯৩- বুখারি ও মুসলিম উভয় গ্রন্থে আছে)

কাফেররা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করত কারণ তারা রসূল (সাঃ) কে নবী হিসাবে মানত না এবং ইসলামকে তারা তাদের ধর্ম ও সামাজিক প্রতিপত্তি ও নেতৃত্বের প্রতিবন্ধকতা মনে করত। যুদ্ধের কোনও পর্যায়ে কোনও কাফের যখন মুখে আল্লাহ্ ও রসূলকে স্বীকার করে নিত তখন তাকে হত্যা করার কোনও আবশ্যকতা থাকত না। কারণ যে কারণে সে যুদ্ধ করছে সেই অবস্থান থেকে সে ফিরে এসেছে। তাই শুধু মুখের কলেমার কারণেই তাকে আর আঘাত করা যাবে না।

১৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো -
হাদিস নং ৪৩৯৯ – সহি মুসলিম
হাদিস নং ৪৪৪২ – সহি মুসলিম
হাদস নং ২৮৩৯ – সুনানে ইবনে মাজাহ

এই তিনটি হাদিসে একই ধরণের ঘটনার বর্ণনা এসেছে।
এখানে বলা হয়েছে নারী ও শিশুদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। কাফেররা যুদ্ধের সময় নারী ও শিশুদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করত। এই কারণে নারী ও শিশু থাকা অবস্থাতেও রসূল (সাঃ) আক্রমণ পরিচালনার অনুমতি দিয়েছেন।

সেই যুগে এবং বর্তমান সময়েও মানব ঢাল হিসাবে নারী ও শিশুদের ব্যবহার একটি যুদ্ধাপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। কোনও সেনা বাহিনী যদি তাদের বেসামরিক নাগরিক, নারী, শিশুকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তবে এটা একটি অপরাধ। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী মানব ঢাল হিসাবে নারী, শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহারকে যুদ্ধাপরাধ গণ্য করা হয়। কাজেই হাদিসে যা এসেছে সেটা যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ীই হয়েছে। এই নিয়ম এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বের মানুষ মানছে।

১৯| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো -
হাদিস নং ৪৩৭০ – সহি মুসলিম
হাদিস নং ৭৩৩ – সহি মুসলিম

এই দুইটি হাদিসে যুদ্ধের সময় আকস্মিক আক্রমনের অনুমতির ব্যাপারে বর্ণনা এসেছে।

যুদ্ধের অভিযানে শত্রু পক্ষের উপর আকস্মিক আক্রমণ করা যায়। যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষকে সুযোগ না দিয়ে আকস্মিক আক্রমণ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। এটা যুদ্ধের একটা কৌশল।

২০| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

এভো বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ যে , আপনি সময় নিয়ে বুঝে শুনে উত্তর করেছেন , প্রথমে আপনার ১৭ নং কমেন্ট থেকে কোট করছি ,
রসূল (সাঃ) কাফেরদের ইসলাম গ্রহনে যে জোর করতেন না তার পক্ষে উপরের আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন যে ' আপনি তো কেবল একজন উপদেশ দাতা। এদের কর্মনিওন্ত্রক আপনি নন।' একজন উপদেশ দাতা নিশ্চয়ই জোর করে ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করবেন না এটাই স্বাভাবিক। জোর করেই যদি ইসলাম গ্রহণ করানো হত তাহলে জিজিয়া কর নিয়ে তাদের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার ইসলাম দিত না।
খুব সত্য কথা বলেছেন ভাই , তাহোলে এই হাদিসটা কি করে সহি হোল --- যতক্ষণ না মুসলমান হয়, ততক্ষণ কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদের নির্দেশ
গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ [35]
আপনি ১৮ নং কমেন্টে লিখেছেন --- এখানে বলা হয়েছে নারী ও শিশুদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না। কাফেররা যুদ্ধের সময় নারী ও শিশুদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করত। এই কারণে নারী ও শিশু থাকা অবস্থাতেও রসূল (সাঃ) আক্রমণ পরিচালনার অনুমতি দিয়েছেন।

--- নারী শিশুকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার কোরতো - এর পক্ষে কি কোন রেফারেন্স আছে ?
এবার আসি মুল হাদিসের টেক্সটা পড়ে দেখি --
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ১৮/ জিহাদ
হাদিস নাম্বার: 2839
১/২৮৩৯। সাব‘ ইবনে জাসসামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাতের বেলা মুশরিকদের মহল্লায় অতর্কিত আক্রমণ প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলো, যাতে নারী ও শিশু নিহত হয়। তিনি বলেনঃ তারাও (নারী ও শিশু) তাদের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

রাতের বেলা অতর্কিত আক্রমণ মানে হোলে -- ওপর পক্ষ প্রস্তুত নহে এই অবস্থায় আক্রমণ, তারমানে মুশরিকরা আক্রমণকারি নহে এবং নারী শিশুকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে , এমন কিছু এই হাদিসে নেই ।
১৯ নং কমেন্টে লিখেছেন --
যুদ্ধের অভিযানে শত্রু পক্ষের উপর আকস্মিক আক্রমণ করা যায়। যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষকে সুযোগ না দিয়ে আকস্মিক আক্রমণ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। এটা যুদ্ধের একটা কৌশল।
তাহোলে কিসের ভিত্তিতে দাবি করা হয় মুসলমানদের সব যুদ্ধ প্রাথমিক যুগে ছিল রক্ষনাত্বক ? নেট ঘেটে দেখুন প্রথম দিকের যুদ্ধ গুলো ছাড়া বেশির ভাগ যুদ্ধই ছিল আক্রমণাত্বক ।বনু কোরাইজা, বনু মোস্তারিক সহ অনেক যুদ্ধই ছিল আক্রমণাত্বক, বিশেষ করে মদিনার অন্য গোত্র গুলোর বিরুদ্ধে বেশির ভাগ যুদ্ধ গুলো ছিল আক্রমণাত্বক । কুরাইশদের সাথে শেষ যুদ্ধ বাদে সব যুদ্ধই ছিল রক্ষনাত্বক ।
আমার মন্তব্যে ভুল ত্রুটি গুলো উল্লেখ করলে খুশি হবো, ধন্যবাদ

২১| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ এভো -
সহি মুসলিম হাদিস নং ৩৫
এটার ব্যাখ্যা আগেও দিয়েছি। আবার বলছি যে ঐ হাদিসের অর্থ হচ্ছে যুদ্ধের সময় লা ইলাহা বলার পর আর আঘাত করা যাবে না। জোর করে মুসলমান করার জন্য যুদ্ধ না। তাই যদি হত তাহলে মদিনার ইহুদিরা কিভাবে মুসলমানদের সাথে একত্রে বাস করত। তাদের তো মেরে ফেলার কথা বা জোর করে মুসলমান বানানোর কথা। মদিনার বাইরেও অনেক গোত্রের সাথে শান্তি চুক্তি হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ না। প্রত্যেকটা যুদ্ধের কারণ তৈরি করেছে কাফেররা। তবে যুদ্ধ শুরু হলে লা ইলা ইলাহা বলার পর তাকে আঘাত করা যাবে না। যুদ্ধে এক পক্ষ অপর পক্ষকে হত্যা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে যদি লা ইলাহা বলে তবে তাকে মারা অপরাধ যদিও সে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে ছিল।

মুসলমানরা কাফেরদের দ্বারা অনেক সময় অতর্কিতভাবে আক্রান্ত হত। এর জবাবে মুসলমানরাও পাল্টা আক্রমণ করত। ফলে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করত। আবার অনেক সময় কাফেরদের আক্রমনের চক্রান্ত মুসলমানরা আগে থেকে গুপ্তচরের মাধ্যমে জেনে ফেলত। ফলে এ ধরণের আকস্মিক আক্রমণ করা হত তাদেরকে দুর্বল করার জন্য। কারণ এটা না করলে কাফেররা আক্রমণ করে মুসলমানদের জীবন বিপন্ন করে তুলবে। অনেক সময় চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে কোনও অন্যায় করার জন্য আক্রমণ করা হত। বর্তমানে যুদ্ধের সময় কোনও এলাকায় যদি বোমা বর্ষণের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সেখানে নারী, শিশু থাকা সত্ত্বেও আক্রমন করা হয়। এটা যুদ্ধের সাধারণ নীতি বহির্ভূত কিছু না। কামান বা ট্যাঙ্কের গোলা ছোড়ার পর ওটার আঘাতে নারী, শিশু মারা যেতে পারে। এটা স্বীকৃত। একইভাবে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে যেয়ে নারী, শিশু মারা গেলে সেটা যুদ্ধাপরাধ না। তাছাড়া ঐ যুগে কাফেরদের সেনা বাহিনীর সাথে নারী ও শিশু থাকত। নারীরা সেবা যত্ন, উৎসাহ প্রদান ইত্যাদি কাজ করত। শিশুরা মায়েদের সাথে স্বাভাবিকভাবেই থাকত। ফলে মানব বর্ম তৈরি হত। এটা সব সময় ইচ্ছাকৃতভাবে যে হত তা না। যুদ্ধে নারীদের অংশগ্রহন ঐ সময়ের বহুল প্রচলিত প্রথা ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবে মানব বর্ম তৈরি হত ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। আক্রমণ করতে গেলে নারী শিশুরাও আক্রান্ত হত। নারীরা সেনা বাহিনীর সাথে থাকত বলেই এরা যুদ্ধে হেরে গেলে বন্দি হতেন। নারী বন্দির ঘটনা আপনি আমি সবাই জানি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের মুক্তি যোদ্ধারা কি রাতের বেলা পাকিস্তানি সেনাদের জানিয়ে আক্রমন করত? এটা মূলত যুদ্ধ কৌশল। যুদ্ধ অভিযান শুরু হয়ে গেলে যুদ্ধের কৌশল মত কাজ করতে হবে। এই আয়াতগুলির আগের প্রেক্ষাপট আপনি আমি কেউ জানি না। তাই বিতর্ক করার মত পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের কাছে নেই। যতটুকু বর্ণনায় এসেছে তাই নিয়ে আলাপ করলাম।

কাফেরদের সাথে পাল্টাপাল্টি ছোট ছোট যুদ্ধ অভিযান অনেক হয়েছে। কাফেরদের অন্যায়ের শুরু হয়েছে মুসলমানদের নির্যাতন ও হত্যার মাধ্যমে মক্কা ত্যাগের পরিস্থিতি তৈরি করার মধ্য দিয়ে। পরিণামে মুসলমানরা মক্কা ত্যাগে বাধ্য হয়। রসুলকে (সাঃ) তারা হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় হিজরতের প্রাক্কালে। মুসলমানদের মদিনায় হিজরতের পরও মুসলমানদের মক্কার সম্পত্তি কাফেররা জবর দখল করে রাখে। এছাড়া মক্কা প্রবেশে ও কাবা ঘর জেয়ারতে কাফেররা বাঁধা দিয়েছে। মদিনায় ইহুদিদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তারা জানিয়েছে যে মুহম্মাদ (সাঃ) কে আশ্রয় দেবার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মক্কার কাফেররা ব্যবস্থা নেবে। কাফেররা ছোট ছোট দলে মুসলমানদের উপর ঝটিকা আক্রমণ করেছে বিভিন্ন সময় বদর যুদ্ধের আগে। রসূল (সাঃ) তার নিরাপত্তার জন্য লোক নিয়োগ করতে বাধ্য হন মক্কার কাফেরদের এই সব যুদ্ধ অভিজানের কারণে। কাফেরদের ঝটিকা আক্রমনের জবাবে মুসলমানরাও একই কাজ করেছে। কারণ মুসলমানদের প্রতিশোধ গ্রহণের অনুমতি আল্লাহ্তালা দিয়েছেন।

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: যিকর ও ফিকর, এ দুয়ের সমন্বয়ে কোরআনের আয়াতের সহি বুঝ অর্জন করা সম্ভব, তবে অবশ্যই "বিজ্ঞ আলেমদের সাহচর্য জরুরী"

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঠিক কথাই বলেছেন। যিকর করলে আল্লাহর সাথে যোগাযোগ বাড়ে। আর কঠিন কাজে ফিকর থাকতে হয়, তবেই সাফল্য আসে। সাথে বিজ্ঞ আলেমের সাহচর্য অবশ্যই জরুরী। তাই জিকর আর ফিকরের সমন্বয়ে চেষ্টা করলে এবং বিজ্ঞ আলেমের সাহায্য নিলে আল্লাহ আমাদেরকে কোরআনের সহি বুঝ দিয়ে দেন। খায়রুল আহসান ভাইকে অনেক ধন্যবাদ আমার পুরনো পোস্টগুলি কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.