নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ত্রী কি শ্বশুর-শাশুড়ি থেকে আলাদা থাকতে চাইতে পারে? ইসলাম কি বলে?

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৯


এই সাইটে islamqa স্ত্রীর অধিকার নিয়ে কিছু লেখা পড়লাম। আমি যতটুকু বুঝেছি তা নীচে লিখলাম। আমার বুঝায় কোনও ভুল থাকলে যে কেউ ধরিয়ে দিতে পারেন। চাইলে কিছু যোগ বা বিয়োগ করতে পারেন। লেখাটি মুলত স্ত্রীর পৃথক গৃহের অধিকার সংক্রান্ত। পুরোটা পড়লে আশা করি বুঝতে পারবেন। এটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য হোল যদি স্বামীর সামর্থ্য থাকে তবে স্ত্রীর জন্য স্ত্রীর সামাজিক অবস্থা অনুযায়ী পৃথক গৃহের ব্যবস্থা করা (যেখানে স্বামীর বাবা, মা, ভাই, বোন থাকবে না) আর সামর্থ্য না থাকলে স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী পৃথক গৃহের ব্যবস্থা করবে (যেখানে স্বামীর বাবা, মা, ভাই, বোন থাকবে না)। আর স্বামীর যদি পৃথক বাড়ির সামর্থ্য না থাকে সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য একই বাড়ির এক অংশে কমপক্ষে একটা পৃথক কামরা, রান্না ঘর ও বাথরুমের ব্যবস্থা করা যেটাতে স্বামীর বাবা, মা, ভাই, বোন বা অন্য কারও অধিকার থাকবে না। কারণ এটা স্ত্রীর হকের মধ্যে পরে। স্ত্রীর হক আছে সে যেন নিরিবিলিভাবে সংসার করতে পারে যেখানে তার শ্বশুর বাড়ির কেউ সমস্যা সৃষ্টি করবে না। স্ত্রীর জন্য স্বামীকে একান্ত নিরিবিলি পরিবেশ (privacy) নিশ্চিত করতে হবে। স্ত্রী যেন স্বাধীনভাবে সংসার করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। স্বামীর সামর্থ্য থাকলে স্ত্রী পৃথক বাড়িতে সংসার করার অধিকার রাখে। আর সামর্থ্য না থাকলে উপরে উল্লেখিত উপায়ে নিরিবিলি ও স্বাধীন পরিবেশ পাওয়ার অধিকার তার আছে। স্বামীর বিয়ের আগেই বুঝতে হবে সে এই নুন্নতম সুবিধা স্ত্রীকে দিতে পারবে কি না। সে যদি মনে করে যে সে পারবে না তাহলে তার বিয়ে থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ বিয়ে করার পর এগুলি স্ত্রীর অধিকারে পরিনত হয়। তবে যদি বিয়ের পরবর্তী সময়ে স্বামী কোনও কারণে আর্থিক সমস্যায় পরে সেক্ষেত্রে সে নিরুপায় হয়ে যায়। কাজেই সে ক্ষেত্রে স্বামীকে দোষ দেয়া যাবে না যদি না আর্থিক সমস্যা স্বামী নিজের স্বভাব দোষে ডেকে আনে।তবে স্বামীকে চেষ্টা করতে হবে আর্থিক সমস্যা দূর করার, কারণ সংসারের খরচের দায়িত্ব পুরোটাই স্বামীর উপর। উপরের বর্ণনার একটা ব্যতিক্রম আছে সেটা হোল যে যদি এমন হয় যে স্বামীর সামর্থ্য আছে পৃথক বাসা নেয়ার কিন্তু স্বামীর বাবা, মা অনেক বৃদ্ধ এবং তাদের পক্ষে বৃদ্ধ বয়সের কারণে আলাদা থাকা সম্ভব না (এমন কি পাশের ফ্লাটে) সে ক্ষেত্রে তারা এক বাড়িতে থাকতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য স্ত্রীর সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী এমনভাবে ঐ বাড়ির মধ্যে আলাদা ও স্বাধীন সব কিছুর ( এক বা একাধিক রুম, বাথরুম, রান্নাঘর) ব্যবস্থা করতে হবে যেটা স্ত্রীর সামাজিক অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অথবা স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী। শ্বশুর বাড়ির লোকের অধিকার নেই স্ত্রীর সংসারে নাক গলানোর। শ্বশুর শাশুড়ি স্বামীকে নির্দেশ, উপদেশ সবই দিতে পারবে যদি না সেটা স্ত্রীর হকের পরিপন্থি হয়। শ্বশুর শাশুড়ির হস্তক্ষেপের কারণে স্ত্রীর হক নষ্ট হলে সে জন্য শ্বশুর, শাশুড়ি দায়ী থাকবে। তবে যদি স্ত্রী নিজগুনে একসাথে থাকতে চায় তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ্‌। স্ত্রীর উচিত হবে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে মানবিক আচরণ করা।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: ইসলাম তো খুবই আধুনিক নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে দেখছি।এ ব্যাপারটা নিয়ে ইসলামী দৃষ্টিকোণ এই প্রথম পড়লাম।আমাদের প্রচলিত ইসলামিক ধারণা অনুযায়ী বরং স্ত্রী আলাদা ঘর চাইলে তাকে গালি খেতে হয়।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাই, আসলে ইসলামের অনেক কিছুর এত অপব্যাখ্যা করা হয় যে আসল ইসলাম থেকে আমরা অনেক ক্ষেত্রে অনেক দূরে চলে গেছি। আমাদের ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করে জানতে হবে। এই ইন্টারনেটের যুগে জানাটা আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। প্রথম মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি যা লিখেছেন তা সঠিক। ইসলাম এটাই বলে।
আমি এক আলেমকে জিজ্ঞেস করলাম, স্বামি যদি এক জনের খাবার সংগ্রহ করতে পারে তাহলে মা নাকি স্ত্রী কাকে দিবে।
তিনি উত্তর দিলেন স্ত্রীকে দিবে এবং বুঝাবে যেন দুজনে ভাগ করে খায়। স্ত্রী যদি তা না করে স্বামী তাকে বাধ্য করতে পারবেনা।
স্ত্রীর ভরন পোষণ স্বামীর উপর ফরজ, মাতা পিতার ভরন পোষণ ফরজ নয়, তবে অত্যাধিক সোয়াবের।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্বের জন্য। আসলে ইসলাম সম্পর্কে আমরা জানতে যত না আগ্রহী তার চেয়ে বেশী আগ্রহী বিতর্ক করতে।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যতটুকু শুনি এ্যারাবিক দেশগুলিতে বিয়ের দিন থেকেই তারা বাবামা থেকে আলাদা হয়ে যায়। (সত্য মিথ্যা জানা নাই)। আমদের মত নন এ্যারাবিক ইসলামিক দেশ গুলিতে তা কল্পনাও করা যায় না।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের কিছু সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের সাথে সংঘর্ষ তৈরি করে। সমাজের নিয়ম ঠিক রাখার জন্য অনেক সময় ধর্মের নিয়মকে আমরা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করি। ফলে সমস্যা হয়।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সভ্যতার সাথে ফ্যামিলীর ষ্ট্রাকচার বদলাচ্ছে, ইহা ক্রমাগতভাবে বদলাবে।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামাজিক ব্যবস্থার বিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধর্ম কল্যাণকামী । যা সভ্য মানবিক তাই করা উচিত। কেউ মার জন্য বউকে মারে। আবার উল্টাও আছে।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মা-বাবার অধিকার ইসলামে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। একইভাবে স্ত্রীর অধিকারও বলা আছে। ধর্মের বিধিবিধান মেনে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি কোরান হাদিসের রেফারেন্স দিলে তবেই বলতে পারতেন ইসলামের দৃষ্টিতে।আপনার নিজের কথাকে ইসলামে কথা বলে চালাতে চাইছেন।তবে প্রস্তাবটি ভাল।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি একটা লিঙ্ক দিয়েছি, এটা খুব নির্ভরযোগ্য একটা ইসলামি সাইট। এটা সারা বিশ্বে সমাদৃত। আমি ঐ সাইটের বক্তব্যের আলোকে বলেছি। ওখানে কিছু দলিল আছে। আমি নিজের কথাকে ইসলামের বলে চালাতে চাচ্ছি না। আপনি চাইলে এর প্রতিবাদ করতে পারেন কারণ উল্লেখপূর্বক। আপনি বলেছেন এটা প্রস্তাব। এটা প্রস্তাব না অধিকাংশ বড় আলেমদের দ্বারা স্বীকৃত সিদ্ধান্ত। যেহেতু আমি ঐ সাইটের আলোকে বলেছি তাই আমি যদি কিছু ভুল বলে থাকি আপনি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন দলিল সহ। ভুল সংশোধন করতে আমার কোনও সংকোচ নাই। আলোচনা খোলা রাখা হয়েছে যাতে ভুল ত্রুটি মুক্ত হতে পারি।

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:১৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। তবে পাশাপাশি আমি এটাও জানতে ইচ্ছুক যে, স্ত্রী কি তার মা-বাবা অথবা তার ভাই-বোন -কে স্বামীর অমতে দীর্ঘদিন নিজেদের বাসায় কিংবা স্ত্রী স্বামীর অমতে দীর্ঘদিন বাবা-মা'র বাসায় থাকতে পারে কি না?! ধন্যবাদ।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি পরবর্তী মন্তব্যে আরও বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের ব্যাপারে। সেখানে দলিলসহ বলব ইনশাল্লাহ। প্রথম প্রশ্নের উত্তরে আমার জানা মতে যেহেতু স্ত্রীর মা, বাবা, ভাই, বোনের ব্যাপারে স্বামীর কোনও দায়িত্ব ইসলামে নেই তাই স্ত্রীকে স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। কারণ সংসারের আর্থিক দায় দায়িত্ব একমাত্র স্বামীর। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর বলছি স্ত্রীকে কাছে পাওয়ার অধিকার স্বামীর আছে। যদি এমন হয় যে স্বামী স্ত্রীকে তার মা, বাবার কাছে একদমই যেতে দেয় না। সেই ক্ষেত্রে স্বামী জুলুম করছে। যদি ধরে নেই যে পরিস্থিতিটা এরকম যে স্ত্রীর মা, বাবা এতই দুর্বল ও অসুস্থ যে স্ত্রীকে তাদের কাছে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ দিন। সম্ভবত ইসলামে একটা সময় দেয়া আছে যে পর্যন্ত স্বামী অনুমোদন দিতে বাধ্য মানবিক কারণে। যদি এই সময়ের চেয়েও বেশী স্ত্রী থাকতে চায় সে ক্ষেত্রে স্বামী অনুমোদন না দেয়ার অধিকার রাখে। কারণ অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় স্বামীর অধিকার নষ্ট করবে ও দাম্পত্য সম্পর্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। স্ত্রী যেমন স্বামীর মা বাবার খেদমত করতে বাধ্য না তেমনি স্বামীও স্ত্রীর মা, বাবার খেদমতের জন্য অফুরন্ত সময় দিতে বাধ্য না। মানবিক কারণে যতটুকু দেয়া দরকার অর্থাৎ যতটুকু না দিলে স্ত্রীর প্রতি জুলুম হয় ততটুকু সময় স্বামী দিবে। এর অতিরিক্ত সময়ের অনুমতি দিতে স্বামী বাধ্য না। তবে দাম্পত্য জীবনে উভয়কেই ছাড় দিয়ে চলতে হয়। এগুলো আমার ধারণা থেকে বললাম। আমি ব্যাপারটা আরও ভালোভাবে জেনে আপনাকে জানাবো ইনশাল্লাহ।

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অভিভাবক (পিতা-মাতা) এর অবস্থান পৃথিবীতে কোন বস্তু দিয়ে তুলনা করা যায় না। স্ত্রী - স্ত্রীই আর পিতা-মাতা স্বর্গ। রাসুল স. বলেছেন- “পিতার সন্তুষ্টিই আল্লাহর সন্তুষ্টি।” পিতা-মাতার পায়ের নিচে জান্নাত মর্মে যে প্রচলন আমাদের সমাজে আছে তা নিছক নয়। ইসলাম ব্যক্তি বিশেষের স্ব স্ব অধিকার দিয়ে রেখেছে। স্ত্রীকে ভালবেসে মা-বাবার হক্ব নষ্ট করে এমন সন্তান এই সমাজে কম নয়। আবার মা-বাবার আবদার রক্ষা করতে গিয়ে স্বামীও অনেক সময় স্ত্রীর উপর জুলুম করে বসে। এই সকল কিছু হয়ে থাকে নৈতিক শিক্ষা তথা দ্বীনি শিক্ষার তথা ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে। ধর্মীয় শিক্ষা আতস্থ করার পাশাপাশি তদানুযায়ী ব্যক্তি জীবন পরিচালনা না করা হলে ব্যতয় ঘটবে-এটাই স্বাভাবিক। প্রতেক্যকেই তার নিজের অধিকার কতটুকু শরিয়ত সমর্থিত তা জানতে হবে আগে তারপর মানতে হবে। তা না হলে যে কারো হক্ব নষ্ট করার প্রবল সম্ভবনা থেকে যায়।
আপনার আলোচ্য শিরোনামের মর্মার্থ ২ রকমের হতে পারে।
১) স্বামীকে নিয়ে পৃথক গৃহে (শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে বাদ দিয়ে) অবস্থান করা;
২) একই বাড়ীতে স্বামীকে নিয়ে ভিন্ন গৃহে অবস্থান করা।
প্রথমোক্ত মর্মার্থ মানবিক মূল্যবোধকে সমর্থন করে না বরং সর্ব সমাজে ঘৃণিত হয়ে আসছে।
দ্বিতীয় মর্মার্থটাই সঠিক। সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হলে নিয়মানুযায়ী পৃথক ঘর দিতে হবে-এটা সর্বজনস্বীকৃত, আর স্বামী-স্ত্রীর জন্য পৃথক ঘর সেটা বলাই বাহুল্য।
আমার মনে হয় আপনার লেখার ম্যাসেজটা সেটা কিন্তু মন্তব্যকারীদের অনেকেই হয়তো সেটা বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন না। আর আপনিও সেভাবেই ‍উত্তর দিচ্ছেন।
আচ্ছা, আপনার স্ত্রী যদি এখন বলে, “ তোমার মা-বাবা-ভাই-বোনকে রেখে তুমি আমাকে নিয়ে আলাদা ভাড়া বাসায় গিয়ে সংসার কর।” - আপনি তাহলে কি করবেন? স্ত্রী এই ধরণের দাবী করতে পারে কি? তখন আপনার করনীয় কি হবে?

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার লেখা শুরুতে একটা লিঙ্ক দিয়েছি। এটা একটা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ইসলামি সাইট যেখানে অনেক বড় বড় আলেমরা দলিল প্রমাণ সহ ফতওয়া দিয়ে থাকেন। ওখানে এভাবে বলা আছে দলিল সহ। আমি ঐ লেখার আলোকে বলেছি। আপনি ঐ লিঙ্কে ঢুকে, পড়ার পর আলেমদের বক্তব্বের জবাবে দলিল সহ বলতে পারেন। শ্বশুর-শাশুড়ি যদি একেবারে অচল হয় সে ক্ষেত্রে স্বামী তাদেরকে নিজেদের সাথে রাখবে মানবিক কারণে। কিন্তু যদি শ্বশুর- শাশুড়ি নিজের কাজ নিজেরা করতে পারে সেক্ষেত্রে স্বামী (যদি তার সামর্থ্য থাকে) স্ত্রীর কথায় স্ত্রীকে আলাদা বাসায় রাখবে স্ত্রীর সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী অথবা সামর্থ্য কম হলে স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী। এটা স্ত্রীর হক। স্ত্রীকে এক্ষেত্রে এক বাসায় থাকতে বাধ্য করা যাবে না।বাবা মা কে একই বাসায় রেখে খেদমত করতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কর্মক্ষম বাবা মার সেবা করার কিছু তো নেই। তাদের অর্থের সমস্যা থাকলে ছেলে অর্থ দেবে, তাদের আদেশ, নিষেধ, উপদেশ শুনবে। এর জন্য এক বাসায় থাকার দরকার নাই। এক বাসায় থাকলে কলহ বৃদ্ধি পায়। আমাদের সমাজের চিত্র দেখলেই বুঝতে পারবেন। বাবা মার সন্তানের সংসারে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। বহু লোক দূরে চাকরী করে, বিদেশে চাকরী করে তাহলে তো তাদের এভাবে চাকরী করা সম্ভব হবে না। আমার বিয়ের পর আমি সম্পূর্ণ আলাদা থাকতাম। আমার বাবা মা ( ওনারা সচ্ছল ও সচল ছিলেন) আলাদা বাড়িতে থাকতেন। এতে ওনাদের কোনও অভিযোগ ছিল না। স্বামীর সামর্থ্য থাকলে ও শ্বশুর-শাশুড়ি সবল থাকলে স্ত্রী আলাদা বাড়ি পাওয়ার হকদার স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী। সমাজ আর ইসলামকে মিলিয়ে ফেললে হবে না। আমাদের সমাজে অনেক সংস্কার আছে যা ইসলামের বিরোধী। সমাজ চিন্তা করলে পরিপূর্ণভাবে ইসলাম পালন করতে পারবেন না। আমাদের সমাজে যৌথ পরিবারের কারণে স্ত্রীরা নির্যাতিত হয়। আমি আমার পরিবারের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। বাবা মা যখন শারীরিক বা আর্থিকভাবে দুর্বল থাকেন তখন তাদের আর্থিক সহায়তা করা ও সেবা করা সন্তানের দায়িত্ব। কিন্তু এছাড়া আর্থিকভাবে সচ্ছল, সুস্থ সবল বাবা মার ক্ষেত্রে তাদেরকে স্ত্রীর সাথে এক বাড়িতে রাখতে হবে এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা নাই। যে ক্ষেত্রে স্ত্রীকে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে রাখবে সেক্ষেত্রেও স্বামীকে স্ত্রীর জন্য পৃথক কামরা, রান্না ঘর, বাথরুমের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে স্ত্রী স্বাধীনভাবে ও নিরিবিলিতে সংসার করতে পারে। বাবা মার অধিকার নেই সন্তানের সংসারে নাক গলানোর। আর স্বামীর এই নুন্নতম সামর্থ্য না থাকলে বিয়েই করা উচিত না। কারণ সে স্ত্রীর হক আদায় করার যোগ্যতা রাখে না। আর স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায় এ সব ব্যাপারে রাজি হয় তাহলে তো কোনও সমস্যাই নেই।

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা হলো বর্তমান সময়ে কেউ ইসলাম, কোরআন বা হাদীস এর কথা কেউ মেনে চলছে না। এই না মানার কারনেই আজকে দেশের এই অবস্থা।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

নতুন বলেছেন: @ মোঃ খুরশীদ আলম

''''আচ্ছা, আপনার স্ত্রী যদি এখন বলে, “ তোমার মা-বাবা-ভাই-বোনকে রেখে তুমি আমাকে নিয়ে আলাদা ভাড়া বাসায় গিয়ে সংসার কর।” - আপনি তাহলে কি করবেন? স্ত্রী এই ধরণের দাবী করতে পারে কি? তখন আপনার করনীয় কি হবে?""

স্ত্রী উপরে শশুর শাশুড়ীর দেখাশুনা করা ইসলাম চাপিয়ে দেয় নাই্। যদি স্ত্রী চায় আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে তবে সেটা স্বামীর মানতে হবে।

উপরে গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি যা লিখেছেন তা সঠিক। ইসলাম এটাই বলে।
আমি এক আলেমকে জিজ্ঞেস করলাম, স্বামি যদি এক জনের খাবার সংগ্রহ করতে পারে তাহলে মা নাকি স্ত্রী কাকে দিবে।
তিনি উত্তর দিলেন স্ত্রীকে দিবে এবং বুঝাবে যেন দুজনে ভাগ করে খায়। স্ত্রী যদি তা না করে স্বামী তাকে বাধ্য করতে পারবেনা।
স্ত্রীর ভরন পোষণ স্বামীর উপর ফরজ, মাতা পিতার ভরন পোষণ ফরজ নয়, তবে অত্যাধিক সোয়াবের।


আপনার উপরে আপনার স্ত্রীর ভরন পোষনের দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা ১ নং প্রায়োরিটি তারপরে বাবা মায়ের দেখা শুনা করা। আগে বাবা মা এবং পরে স্ত্রীর ভরন পোষন করা ইসলাম সমথ`ন করার কথা না।

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:



সাচু যে বিষয়ে লিখেছে এটা আমি অনেক আগেই পড়েছিলাম, জানা ছিলো কিন্তু কখনও এটা নিয়ে কাউকে লিখতে দেখিনি । ইউ ডিড ওয়েল ।

জয়েন্ট অর এক্সটেন্টেড ফ্যামিলি ইজ আ সাবকন্টিনেন্টাল ডেমোগ্রাফিক কালচারাল ইস্যু । নাথিং রিলিজিয়াস । আর সেটাই এমনভাবে ইম্পোজ করে মনে হয় যেন রিলিজিয়াসলি বাধ্যবাধকতা । এটাও একধরণের মিস কনসেপ্ট প্রচার করা আবাউট রিলিজন হুইচ ইজ নট রাইট ।

একটা ভালো মেয়ে তার হাসবেন্ডকে যেমন ভালোবাসে, তার বাবা মাকেও ঠিক আপন করেই নিতে পারে । পরিবারে বাবা মা মুরুব্বিরা হচ্ছে ছায়ার মতন একটা আশ্রয় । ইউজালি সমস্যা হবার কথা না । আর যে পারেনা সে দূরে থাকলেও কোনো না কোনো ইস্যুতে ঝামেলা করবেই । পার্সন টু পার্সন ভেরি করে একচুয়ালি ।

বাট এজ উই নো, রিলিজিয়াস অব্লিগেশন নেই বরং এঙ্কারেজ করা হয় আলাদা থেকেই সম্পর্ক সুন্দর রাখতে ইফ পসিবল, সো সেটা করাই বেটার ।

রবার্ট ফ্রস্ট তার কবিতা মেন্ডিং ওয়াল এ বলেছেন ‘গুড ফেন্সেস মেক গুড নেইবার্স’ ।
যেকোনো সম্পর্কের মাঝে সামান্য দূরত্ব সেই সম্পর্ককে মধুর করে তোলে ।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সংস্কৃতির কিছু কাজ/ প্রথা (অপ সংস্কৃতি বলা উচিত) অনেক সময় আমাদের জীবনে সমস্যা তৈরি করে। সমাজ মানতে যেয়ে আমরা অন্যের অধিকার নষ্ট করি। এটাকে ধর্মের মোড়ক দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু যদিও তা ধর্মে নেই। আর অধিকাংশও মেয়েই আসলে শ্বশুর শাশুড়িকে সম্মান করতে চায় ( যেটা আপনিও বলেছেন)। এ কারণে অনেকেই একসাথে থাকে মিলেমিশে থাকে। কিন্তু আপনি শেষ লাইনে একটা ভালো কথা উদ্ধৃতি দিয়েছেন যার সারাংশ হোল যে আমাদের সম্পর্কের একটা দেয়াল আছে ( যেটা মানুষের প্রাইভেসি নিশ্চিত করে)। এই দেয়ালটা যদি নির্দিষ্ট করা থাকে তাহলে একে অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এর পরও যদি সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আলাদা থাকলে বরং সম্পর্কটা আর তিক্ত হয় না এবং সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। আপনার শেষ লাইনটা সুন্দর ' যে কোনও সম্পর্কের মাঝে সামান্য দূরত্ব সেই সম্পর্ককে মধুর করে তোলে'। ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

১২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইসলাম ধর্ম আমাদের ভাল ও কল্যানকর সব দিক নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু আমরা সেটা না মেনে বেহুদা সমস্যার সৃষ্টি করছি। িএ ব্যাপারে অনেকে জানেনা, যারা জানে তারা পালন করতে গেলে পরিবার সমস্যার সৃষ্টি করে।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। ধর্মীয় বিধি বিধান আমাদের ভালো করে জানতে হবে। পরিবারেরও মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে।

১৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৪

আরোগ্য বলেছেন: ২ নং মন্তব্য সম্পর্কে একটু উপদেশ চাই। যদি কোন পুরুষ একজনের আহার জোটাতে পারে তবে তা স্ত্রীর খাতে যাবে। আর যদি পুরুষের পিতা না থাকে, তবে স্বামীহারা মাতার আহার জোটানো কার দায়িত্বে পড়বে?

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেই ক্ষেত্রে ছেলে তার আহারের অংশ মায়ের সাথে ভাগাভাগি করবে। এটা আমার মনে হচ্ছে। তাহলে মায়ের কষ্টও কিছুটা দূর হোল।

১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে চোখ বুলিয়ে গেলাম।

১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেয়েদের খুশি করার জন্য পোস্ট দিয়েছিলাম। কিন্তু মাত্র ১ জন মন্তব্য করেছে। মেয়েদের খুশি করা খুব কঠিন। মনিষীরাই হিমশিম খেয়েছো। রসুল (সাঃ) স্ত্রীদের উপর রাগ করে ২৯ দিন আলাদা ছিলেন। মা আর স্ত্রীর মধ্যে ভারসাম্য রাখা এটা ছেলেদের জন্য বিরাট পরীক্ষা। আর মেয়েদের পরীক্ষা শাশুড়িকে সামলানো। ভাবির ব্যাপারে যত্নবান হবেন।

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ধর্ম সহজ সরল জীবনের দিক নির্দেশনা দেয় কিন্তু আমরাই জীবনকে জটিল বানিয়ে ফেলি। ধর্মে বিষয়টাকে এমন ভাবে রেখেছে যেন সবার অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবার সুযোগ থাকে। কোনকিছু চাপিয়ে দেয়নি।

আর পোস্টে কয়টি মেয়ে মন্তব্য করেছে সেটা জরুরী না। সামুতে এমনিও নারী ব্লগারের সংখ্যা কম পুরুষের তুলনায়, যারা আছেন তারাও সন্তান/সংসার/কাজের চাপে রেগুলার হতে পারেন না। যেকোন পোস্টেই এজন্যে পুরুষদের বেশি দেখা যায়। পোস্টটি মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের দেখা বেশি জরুরী ছিল। অনেক ছেলেই বউকে বিয়ের প্রথমেই বলে দেয়, "আমার মা যাই বলুক তুমি চুপচাপ শুনবে, মারলে হাসিমুখে মার খাবে!" এটা করে তারা ভাবে যে জান্নাতের কাছাকাছি যাচ্ছে, কিন্তু বউয়ের হক নষ্ট করেও জাহান্নামে যেতে হতে পারে, সেটা অনেকের বোঝা দরকার।

ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আমার পোস্টের মর্মার্থ বুঝতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। মেয়েদের পোস্ট পড়ার ব্যাপারটা নিছক মজা করার জন্য। এটাকে এত গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই। তবে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এটা অনেক মেয়েই ভালোভাবে জানে না। ফলে তাদের ভুল বোঝানো হয়। সেইজন্য মেয়েদের এই পোস্ট পড়ার কথা বলেছি। কারণ এই বিধানগুলি স্বামী, স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি সবারই জানা প্রয়োজন। ধর্মের দোহাই দিয়ে মেয়েদের অধিকার হরন করা হয়। শ্বশুর শাশুড়ির কর্তৃত্বের অধীনে স্ত্রীকে থাকতে বাধ্য করা বউ- শাশুড়ির বিরোধের একটা কারণ। তবে আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে এছাড়াও কারণ থাকতে পারে। আমার বোন সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে পৃথক বাসায় তার স্বামীকে নিয়ে থাকত। তা সত্যেও ঝগড়ার কারণে আমার বোন তার শাশুড়ির সাথে কয়েক বছর কথা বলেনি। একই ধরনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি আমার বোনের জা ( স্বামীর ভাইয়ের স্ত্রী) এর ক্ষেত্রে। সেই একই শাশুড়ির সাথে সেই জা এর ঝগড়া এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক প্রায় ছাড়াছাড়ি হবার উপক্রম হয়েছিল। কাজেই এই সামাজিক সমস্যার কারণ এক কথায় বলা সম্ভব না। এই পোস্ট দেয়ার আরেকটা উদ্দেশ্য হোল মানুষ যেন ইসলাম নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়। আমাদের ধর্মের অনেক বিষয় মানুষ ভালোভাবে না জেনে অনেক সময় সমালোচনা করে। ভালো থাকবেন।

১৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



শুকরিয়া ভাই। কালকে আপনাকে নক করবো ইনশাআল্লাহ।

১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মেয়েদের পোস্ট পড়ার ব্যাপারটা নিছক মজা করার জন্য। এটাকে এত গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন নেই।
আই এম সরি, আমি বুঝতে পারিনি মজা। ভেবেছিলাম সিরিয়াসলি বলেছেন। বুঝিয়ে বলার জন্যে ধন্যবাদ।

তবে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে ইসলাম কি বলে এটা অনেক মেয়েই ভালোভাবে জানে না। ফলে তাদের ভুল বোঝানো হয়।
একদম সহমত পোষন করছি।

সুন্দর প্রতিমন্তব্যটির জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার ভাবনা শেয়ার করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.