নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজে অনেক মুসলমানের একটা ভ্রান্ত ধারনা যে আমাদের রসুল (সাঃ) নূরের তৈরি ছিলেন। এই প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্কের সৃস্টি করে বা সমালোচনা করে তারা যে আয়াতের উদাহরন দিয়ে থাকেন সেটি লক্ষ্য করুন; পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এরশাদ করেনঃ ‘তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে নূর এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে। (সূরাহ আল মায়িদাহ আয়াত ১৫ এর শেষাংশ)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় কোনো মুফাসসীরই নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে নুরের সৃষ্টি বলেননি। নিম্নে দুইটি প্রসিদ্ধ তাফসীরের আলোকে দলিল উপস্থাপন করা হল :-
তফসির ১ : আল্লামা ইবনে জারীর আত-তাবারী (রহ) সূরা মায়েদার ১৫ নং আয়াতের তাফসির করেছেন নিম্নরূপ—
অনুবাদ : "হে তাওরাত আর ইঞ্জিল কিতাবের অনুসারী! আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে তোমাদের নিকট একখানা নূর এসেছে। নূর দ্বারা মুহাম্মদ (সা) উদ্দেশ্য। আল্লাহ তায়ালা তাঁর (সাঃ) দ্বারা সত্যকে আলোকিত করেছেন এবং ইসলামকে করেছেন সুস্পষ্ট। আর শিরিককে করেছেন মূলোৎপাটিত। অতএব তিনি তাদের হিসেবেও নূর যারা তাঁর দ্বারা আলোকিত হয়েছে। আর তিনি নিজেই সে আলোকিত সত্যের অন্যতম।” [ সূত্র—তাফসিরে তিবরী, আল্লামা ইবনে জারীর (রহ) ২/২২০]।
একটু খেয়াল করুন, আয়াতটির তাফসীরে রাসূল (সাঃ)-কে নূরের সৃষ্ট না বলে বরং উনাকে নূর নামে আখ্যায়িত করার কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন নূর যদ্দ্বারা আল্লাহ তায়ালা সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন।
তফসির ২ : “তানভীরুল মিক্ববাস মিন তাফসীরি ইবনে আব্বাস” নামক তাফসির কিতাবের রচিতা আল্লামা মাজদুদ্দিন আবু তাহের মুহাম্মদ ইবনে ইয়াকুব আল-ফীরূজ আবাদী (রহ) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন;
অনুবাদঃ 'নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।'
[সূত্র— তানভীরুল মিক্ববাস মিন তাফসীরি ইবনে আব্বাস বা সংক্ষেপে তাফসীরে ইবনে আব্বাস : পৃষ্ঠা ৭২]।
লক্ষণীয় যে, এখানে নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে নুরের সৃষ্টি বলেননি বরং নূর দ্বারা রসুল (সাঃ) কে বুঝান হয়েছে একথাই বলেছেন।
পবিত্র কোরআনে এই আয়াতে নবী (সাঃ) এর গুণ স্বরূপ তাকে নূর বা জ্যোতি বলা হয়েছে, সৃষ্টিগতভাবে তাকে নূরের তৈরী বলা হয়নি। যেমন ধরুন নবী (সাঃ) যখন মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন তখনকার সময়কে বলা হয় আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগ বা অন্ধকারের যুগ। সেই অন্ধকার দুর করেছিলেন কে? মক্কাবাসী তথা সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে আলোর দিশা দেখিয়েছিলেন কে? তিনি হলেন আমাদের শেষ নবী মোহাম্মদ (সাঃ)। সে কারনে প্রিয়নবী (সাঃ) কে ঐ দৃষ্টিতে নূর বা জ্যেতি বলা হয় যে আলোয় আলোকিত হয়েছে সমগ্র সৃষ্টিকুল তথা আসমান ও জমীন। আর কিভাবে তিনি গুণগতভাবে নূর বা জ্যোতি হলেন, তা সাথে সাথে আল্লাহ পরের আয়াতেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন । ''যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে, চায় এর সাহায্যে তিনি তাদের শান্তি ও নিরাপত্তার পথে পরিচালিত করেন এবং তাঁর ইচ্ছানুযায়ী অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখান এবং তাদের সরল পথ প্রদর্শন করেন।'' ( সুরা মায়িদা: ১৬)
এছাড়াও কোরআনের অন্যান্য আয়াতে এসেছে;
‘হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়ক রূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে। (সূরা আল আহযাব: ৪৫-৪৬)। নবী (সাঃ) কে এই আয়াতে (প্রদীপ রূপে) যে মহান আল্লাহ গুণগত দিক থেকে নূর বা জ্যোতি বলেছেন তা অত্র আয়াতেই স্পষ্ট। এছাড়া আবার বলা হয়েছেঃ ‘অতএব তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং অবতীর্ণ নূরের প্রতি ঈমান আনয়ন কর। তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। (সূরাহ আত্ তাগাবুন: ৮)। অন্য সূরায় মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সুতরাং যারা তাঁর (মুহাম্মাদ সাঃ এর) উপর ঈমান এনেছে, তাঁকে সম্মান করেছে, সাহায্য করেছে এবং তার উপর যে নূর অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করেছে তারাই হল প্রকৃত সফলকাম। (সূরা আল আরাফ: ১৫৭)
উপরের আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ কুরআনকেও ‘নূর’ বলেছেন। রসুল (সাঃ) নূরের তৈরি যারা বলে তারা কি বলবে কুরাআনও নূরের সৃষ্টি! অথচ কুরআন মহান আল্লাহর বাণী ইহাই সকল মুসলিমদের বিশ্বাস। অতএব, কুরআনকে নূর বলার পরও যদি নূরের সৃষ্টি না বলা হয়, তবে রাসূলকে (সাঃ) নূরের সৃষ্টি কোন যুক্তিতে বলা হবে?
কেউ কেউ তাদের দাবির পক্ষে এই হাদিসটা বলার চেষ্টা করেনঃ “হে জাবের! সর্বপ্রথম আল্লাহ তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন।“ ( মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১/৯৯, হাদীস ১৮)
একই অর্থে এবং বিভিন্ন শব্দে সুফীদের কিতাবসমূহে সনদ বিহীন এই বানোয়াট হাদীছটি উল্লেখিত হয়েছে। মুসান্নাফে আব্দুরাজ্জাকে হাদীছটি থাকলেও লেখক কোন নির্ভরযোগ্য সনদ উল্লেখ করেননি। এই মর্মে যত হাদীছ বর্ণিত হাদীছ তার সবই বাতিল। মুহাদ্দিছগণ এই হাদীছকে মাওযু (জাল) বলেছেন। ইমাম সুয়ুতী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীছের কোন নির্ভরযোগ্য সনদ নেই। সুতরাং হাদীছটি মুনকার ও বানোয়াট। হাদীছের কোন কিতাবে এর ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। (দেখুনঃ হাভী ১/৩২৫) ইমাম সাগানীও হাদীছটিকে মাওযু বলেছেন। (দেখুনঃ الموضوعات للصغاني ) ইমাম আলবানী (রঃ) বলেন, এটি মানুষের মুখে মুখে প্রসিদ্ধ একটি বাতিল হাদীছ। (দেখুনঃ সিলসিলায়ে সাহীহা, হাদীছ নং- ৪৫৮)। (সূত্র: islamqa)।
এছাড়া রসুল (সাঃ) যে একজন মানুষ ছিলেন এ ব্যাপারেও কোরআনে বিভিন্ন আয়াত আছে। যেমন;
হে রাসূল ! আঁপনি বলুন আঁমি তোমাদের মত একজন বাশার (মানুষ),তবে আঁমার প্রতি ওহী নাযিল হয় !” (কাহাফ-আয়াত ১১০)
তুমি বল, " আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই , ওহীর মাধ্যমে আমাকে প্রত্যাদেশ দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের উপাস্য এক আল্লাহ্। সুতরাং তাঁর দিকে সত্য পথে চল; এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর”। -সূরা হামীম সিজদাহঃ ০৬
(শুধু তুমিই মানুষ যে তা নয়) তোমার পূর্বে যে সব পয়গম্বর আমি প্রেরণ করেছিলাম তারাও ছিলো মানুষ, যাদের জন্য আমি ওহী মঞ্জুর করেছিলাম। যদি তোমরা তা না বুঝে থাক, তবে তাদের জিজ্ঞাসা কর যারা [আল্লাহর] বাণীকে ধারণ করে থাকে ।” - সূরা আম্বিয়াঃ০৭
আল্লাহ আদমকে (আঃ) সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, ফেরেস্তাদের আলো থেকে আর জীনদের আগুন থেকে। রসুল (সাঃ) হজরত আদম (আঃ) এর বংশধর। তাই উনিও (সাঃ) আমাদের মত রক্ত মাংশের মানুষ। কোনও মানুষ আলো (নূর) থেকে সৃষ্টি হয় নাই। রসুল (সাঃ) আর দশজন মানুষের মতই বাবা মার মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছেন। তিনি নারীদের বিবাহ করেছেন, সন্তানের পিতা হয়েছেন, খাদ্য খেয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন। কাজেই উনি নূরের তৈরি ছিলেন না। এরকম দাবীও তিনি (সাঃ) কখনও করেন নি।
আরেকটি ভ্রান্ত বিশ্বাস হোল যে অনেকে মনে করেন রাসূল (সাঃ)-কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সৃষ্টি না করতেন, তাহলে এই সৃষ্টিজগৎ বা মাখলুকাত কিছুই সৃষ্টি করতেন না, এটি একেবারেই মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। এ কথার সত্যিকার অর্থে কোনো ভিত্তিই নেই। এটি শুধু আবেগের কথা, যা মানুষের কাছে প্রচারিত হয়েছে। এরকম একটা জাল হাদিস হোল;
আল্লাহ বলেন; শুধুমাত্র আপনার (রসুল সাঃ) কারনেই আমি এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছি।
আল-শওকানি তার ‘আল-ফাউয়াইদ আল-মাজমুআহ ফিল-আহাদিদ আল- মাউদুয়া’ কিতাবে (পৃষ্ঠা- ৩২৬) এই হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন; আল- সানানি এই হাদিসকে মউদু (জাল/ ভিত্তিহীন) বলেছেন।
আল- আলবানি তার আল- সিলসিলা আল- দাইফা (পৃষ্ঠা -২৮২) কিতাবে এই হাদিসকে মউদু (জাল/ ভিত্তিহীন) বলেছেন।
এ ধরনের আরও কিছু জাল/ ভিত্তিহীন হাদিস আছে যেখানে দাবি করা হয়েছে যে রাসূল (সাঃ)-কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না।
শেষ কথা হোল যে আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে রসুল (সাঃ) নূরের তৈরি ছিলেন না। তিনি (সাঃ) আমাদের মতই মানুষ ছিলেন। আর ওনার কারণে আল্লাহ আসমান, জমিন, বেহেশত, দোজখ সৃষ্টি করেছেন এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।
প্রয়োজনীয় লিঙ্ক;
islamqa1
islamqa 2
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাগার কোনও কারণ নাই। আমি জন্ম সূত্রে মুসলিম। এবার আপনি বাকি আলাপ করেন।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ
জন্মসূত্রে মুসলিম হবার কোন সুযোগ আছে কি?
থাকলে সূত্র জানাবেন।
আমার জানা মতে নাই। যার প্রমাণ কোরআনের সেই আয়াত, সূরা আলে ইমরানের ১০২ নং আয়াত যেখানে বলা হচ্ছে-
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।
যদি জন্মসুত্রে মুসলমানিত্ব গৃহিত হতো তাহলে এই আয়াত বাতিল করতে হয়। যা সম্ভব নয়।
সুতরাং আমাদের মুসলমান হতে হবে। নয় কি?
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোনও শিশু যদি অমুসলিম ঘরেও জন্মে তবে সে মুসলমান থাকে যতক্ষণ না তার পিতা মাতা তাকে ইসলামের বিপরীত কিছু করায়। কারণ শিশুরা নিষ্পাপ। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সকল মানব শিশুরই ফিতরাত (ইসলাম)-এর ওপর জন্ম হয়। তারপর তার পিতা ও মাতা তাকে ইয়াহূদী, নাসারা অথবা অগ্নি উপাসক করে ফেলে। যেমন জানোয়ার পূর্ণ বাচ্চার জন্ম দেয়। তোমরা কি তার মধ্যে কোন ত্রুটি পাও? পরে তিনি এ আয়াত পাঠ করলেন। (আল্লাহর প্রকৃতির অনুসরণ কর) যে প্রকৃতি মুতাবিক তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টিতে কোন পরিবর্তন নেই। এ-ই সরল দ্বীন। বুখারি- হাদিস নং ৪৭৭৫ , মুসলিম- ২৬৫৮। মুসলমান ঘরে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের কালিমা পড়ে মুসলমান হতে হয় না। তারা মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহনের কারনেই মুসলমান হিসাবে স্বীকৃতি পায়। আপনি যে আয়াত উল্লেখ করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে মুসলমান না হয়ে মৃত্যু বরণ করার জন্য। তার মানে এই না যে মুসলমান ঘরের প্রত্যেক শিশুকে কালিমা পড়ে মুসলমান হতে হবে। শিশুরা ফিতরাতের উপরই জন্মগ্রহণ করে তাই পুনরায় কালিমা পড়ে মুসলমান হওয়ার প্রয়োজন নাই।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমরা সবাই জন্মসূত্রে মুসলমান। জন্মগ্রহণের পর বয়ঃপ্রাপ্ত হয়ে আমরা নিজ বিচার বিবেচনায় মুসলিম হলে সেটা একটা কথা ছিল বটে।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার জানা সঠিক। ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আকন বিডি বলেছেন: ফিতরাত অনুযায়ী প্রত্যেকে মুসলিম।যার কারণে নাবালক অবস্থায় কেউ মারা গেলে সে জান্নাতে যাবে।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই ব্যাপারে জ্ঞান পরিষ্কার। ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আকন বিডি বলেছেন: সকল নবজাতক শিশুই স্বভাব-দীন তথা ইসলাম এর উপর জন্মগ্রহন করে। অতপর তার বাবা-মা তাকে ইহুদী , নাসারা, অথবা অগ্নী উপাসক এ পরিনত করে। বুখারী: ১৩৫৮, ৬৫৯৯, মুসলিম: ৬৯২৬।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপানাকে অনেক ধন্যবাদ উপযুক্ত সূত্র উল্লেখ করে সাহায্য করার জন্য।
৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শিশুরা ফিতরাতের উপরই জন্মগ্রহণ করে কথা সত্য। এবং তারা শিশু অবস্থায় ইন্তেকাল করলে জান্নাতিও বটে।
আপনার মতে হিন্দু বা ইহুদী বা খ্রীষ্টান শিশুদের ক্ষেত্রেও তা কি এক?
আর পরের প্রশ্নটা হল সাবালকত্ব অর্জনের পরের।
সূরা আলে ইমরানের ১০২ নং আয়াতটা শিশুদের জন্য নয়। বরং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।
এখন প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পর কি আপনি আত্মসমপর্ণ করেছেন? বা মুসলিম হয়েছেন?
আপনি বলেছেন - মুসলমান ঘরে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের কালিমা পড়ে মুসলমান হতে হয় না। তারা মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহনের কারনেই মুসলমান হিসাবে স্বীকৃতি পায়। এটার ভিত্তি কি? কোরআন? হাদীস? ইজমা? কিয়াস?
লক্ষ্য করুন ইব্রাহিম আ: এর দিকে। তিনি কিন্তু ফিতরাতে মুসলিম। তারপরো যখন তিনি সাবালকত্ব অর্জণ করলেন তিনি সত্য সন্ধানী হলেন এবং অনুসন্ধান শেষে সমর্পণ করলেন পরম সত্যের কাছে এবং নিজেকে ঘোষনা দিলেন মুসলিম হিসেবে।
এবং আল্লাহ কোরআনেও তাগিদ দিলেন এমন তীব্র ভাবে যে মুসলমান না হয়ে মরতে মানা করেছেন। এই তাগিদ কি কোন বিশেষত্ব বহন করে না?
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি নীচের লিঙ্কটা দেখতে পারেন; এখানে এক জায়গায় বলা আছে যে 'When the Muslim child reaches the age of puberty, he is not required to utter the Shahaadatayn again.' এটা একটা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ইসলামি সাইট। পুরা লেখাটা পড়লে আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন। Click This Link
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদি বা যে ধর্মই হোক না কেন ঐ সব পরিবারে জন্ম গ্রহণ করা শিশুরা নাবালক অবস্থায় মারা গেলে এরা মুসলমান হিসাবেই মারা যায়। এটাই অধিকাংশ প্রখ্যাত আলেমের মত। সহি হাদিস আগেই উল্লেখ করেছি।
কোরআনের আয়াত সার্বজনীন। এটা শিশু, বৃদ্ধ, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, ইহুদি, নাস্তিক সবার জন্য সাবধানতার ও আশার বানী। ৭ বছর বয়সে শিশুদের নামাজে আহবান করতে হয়। বয়ঃসন্ধি পার হলে তার উপর নামাজ ফরজ হয়ে যায়। শিশুদের জন্মসূত্রে মুসলমান হওয়ার ব্যাপারে সহি হাদিস দিয়েছি। অন্য নবী বা রসূলের শরিয়া হুবহু আমাদের মত না। তাই আমাদের অনুসরণ করতে হবে আমাদের রসূলের (সাঃ) শরিয়া। আর তাছাড়া ঐ ঘটনা দ্বারা শাহাদা বলার কোনও বিধান প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। একজন মুসলমান সারা জীবন ইমানদার থেকে মৃত্যুর আগে ইমানহারা হয়ে যেতে পারে। তাই সুরা আল ইমরানের ১০২ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত ইমান সহ মৃত্যু বরণ করতে হবে তবেই সাফল্য। আমরা যেমন বলি ' সব ভালো যার শেষ ভালো'। ইমানটা অন্তরের বিশ্বাসের ব্যাপার। এটা গলা ফাটিয়ে না বললেও চলবে। আবার গলা ফাটিয়ে বলার পরেও সে ইমানদার না হতে পারে কারণ তার অন্তরে ইমান নাই। অন্তরেরটাই আসল। রসূলের (সাঃ) জমানায় অনেক মুনাফেক প্রকাশ্যে নিজেদের মুসলমান বলে বেড়াত।
৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন মুসলমান সারা জীবন ইমানদার থেকে মৃত্যুর আগে ইমানহারা হয়ে যেতে পারে। তাই সুরা আল ইমরানের ১০২ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত ইমান সহ মৃত্যু বরণ করতে হবে তবেই সাফল্য। আমরা যেমন বলি ' সব ভালো যার শেষ ভালো'।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৫
একাল-সেকাল বলেছেন:
সুরা আল ইমরান জন্মসুত্রের চাইতে কর্মসুত্রকে প্রাধান্য দিয়েছে কি ?
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক জন্ম সূত্রের মুসলমান নাস্তিকের মত চলে, কাজ করে, কথা বলে। কাজেই জন্মসূত্রে মুসলমান হওয়ার পর বড় হয়ে তাকে ইসলামের পথে চলতে হবে। জীবনের শেষ মুহূর্তে যে মুসলমান থাকবে কাজে, বিশ্বাসে ও কথায় সেই মুসলমান হিসাবে মৃত্যু বরণ করলো। আপনি যেটাকে কর্ম সূত্র বলছেন সেটাকেই ইসলাম বলছে আমল। আমল মানে কর্ম। বিশ্বাস ও কর্মের মাধ্যমে আমাদেরকে আমাদের মুসলমান হওয়ার প্রমান দেখাতে হবে। বিশ্বাস ও কর্ম দুইটাই গুরুত্বপূর্ণ। সুরা আল ইমরানের ১০২ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে জীবনের শেষ মুহূর্তে যেন ইমান নিয়ে মানুষ মারা যায়। একজন মানুষের ইমানের ব্যাপারে শেষ মুহূর্তের অবস্থানটাই তার চূড়ান্ত অবস্থান। অনেকে সারা জীবন ইমানদার থেকে বুড়া বয়সে ইমানহারা হয়ে মারা যায়। এরা হতভাগ্য। এই রকম পরিনতি যেন আমাদের না হয় সে জন্য কোরআনে এভাবে বলা হয়েছে।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একাল সেকাল ভাই,
আয়াতটার অর্থ লক্ষ্য করুন সেখানেইতো বলা আছে -হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক,
এই ভয় করাটা ভয় করার মতো বলছেন, যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে বলছেন। ভয় করাটা কর্মসূত্রেই পড়ে, নয় কি? ভয় আসে জ্ঞান থেকে, জ্ঞান আসে চর্চা, সাধনার মাধ্যমে এবং শেষ করেছেন “এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না”। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন অংশ।
এবং এতটাই গুরুত্বপূর্ণ মরতেও নিষেধ করছেন- মুসলমান না হবার আগে।
এই মুসলমান হ্ওয়াটা কি তবে অতি বিশেষ তাৎপর্যমন্ডিত বিষয় নয়?
১০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহনের কারনেই মুসলমান হিসাবে স্বীকৃতি পায়। এটার ভিত্তি কি? কোরআন? হাদীস? ইজমা? কিয়াস?
এটার উত্তর পাইনি ভায়া!
আর আপনি ৬ এর উত্তরে ইব্রাহিম আঃ প্রসঙ্গে বলেছেন - “ অন্য নবী বা রসূলের শরিয়া হুবহু আমাদের মত না। তাই আমাদের অনুসরণ করতে হবে আমাদের রসূলের (সাঃ) শরিয়া। আর তাছাড়া ঐ ঘটনা দ্বারা শাহাদা বলার কোনও বিধান প্রতিষ্ঠিত করা যায় না “
আপনি সিউর?
অথচ দেখুন কোরআন কি বলছে -
মহান আল্লাহ বলেছেন:
"বল, আল্লাহ সত্য বলেছেন। এখন সবাই ইব্রাহীমের ধর্মের অনুগত হয়ে যাও, যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ ভাবে সত্যধর্মের অনুসারী। তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।"
***সূরা আলে-ইমরান; আয়াত: ৩:৯৫।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
"ইব্রাহীম ইহুদী ছিলেন না এবং নাসারাও ছিলেন না, কিক্তু তিনি ছিলেন ‘হানীফ’ অর্থাৎ, সব মিথ্যা ধর্মের প্রতি বিমুখ এবং আত্নসমর্পণকারী, এবং তিনি মুশরিক ছিলেন না।"
***সূরা আলে-ইমরান; আয়াত: ৩:৬৭।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
"নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন একটি উম্মত এবং আল্লাহর প্রতি অনুগত ও একনিষ্ঠ। আর তিনি কখনোই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ
নিশ্চয় ইব্রাহীম ছিলেন এক সম্প্রদায়ের প্রতীক, সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে এক আল্লাহরই অনুগত এবং তিনি শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।"
***সূরা নাহল; আয়াত: ১৬:১২০।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
"অতঃপর আপনার প্রতি প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছি যে, ইব্রাহীমের দ্বীন অনুসরণ করুন, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন এবং শিরককারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।"
***সূরা নাহল; আয়াত: ১৬:১২৩।
মহান আল্লাহ আরো বলেছেন:
"আপনি বলে দিনঃ আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করেছেন একাগ্রচিত্ত ইব্রাহীমের বিশুদ্ধ ধর্ম। সে অংশীবাদীদের অন্তর্ভূক্ত ছিল না।"
***সূরা আনআম; আয়াত: ৬:১৬১।
আর প্রতি রাকাত সালাতে দরুদে ইব্রাহিমের কথাতো বলাই বাহুল্য।
কেমনে কি ভায়া?
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগের টেকনিকাল কারণে উত্তর দিতে (লিঙ্ক সংযোগে) সমস্যা হচ্ছে। আমাকে কিছু সময় দেন।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ বিদ্রোহী ভৃগু; জন্মগতভাবে মুসলমান হওয়ার প্রমান স্বরূপ নীচের লিঙ্কটা পড়ুন; এখানে প্রথমেই আছে Praise be to Allaah. Firstly: The child who is born to two Muslim parents is ruled to be a Muslim, according to scholarly consensus.
https://islamqa.info/en/answers/130231/a-small-child-follows-the-religion-of-whichever-of-his-parents-is-muslim
সকল নবী ও রসুলের মূল বানী এক। তারা সবাই সম্মানিত। কিন্তু অনেক ব্যাপারে শরিয়া (আইন) তে কিছু পার্থক্য আছে। নীচের লিঙ্কটা দেখুন;
shorturl.at/hkZ78
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০
আকন বিডি বলেছেন: "হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর"
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ্র তাকওয়া অর্জনের হক্ক আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাকওয়ার ঐ স্তর অর্জন কর, যা তাকওয়ার হক। কিন্তু তাকওয়ার হক বা যথার্থ তাকওয়া কি? আব্দুল্লাহ ইবনে মাস’উদ, রবী, কাতাদাহ ও হাসান রাহিমাহুমুল্লাহ বলেন, তাকওয়ার হক হল, প্রত্যেক কাজে আল্লাহ্র আনুগত্য করা, আনুগত্যের বিপরীতে কোন কাজ না করা, আল্লাহকে সর্বদা স্মরণে রাখা- কখনো বিস্মৃত না হওয়া এবং সর্বদা তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা- অকৃতজ্ঞ না হওয়া। [ইবন কাসীর]
"এবং তোমরা মুসলিম (পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণকারী) না হয়ে কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো না "
আয়াতের শেষে মুসলিম না হয়ে যেন কারও মৃত্যু না হয় সেটার উপর জোর দেয়া হয়েছে। দুনিয়াতে ঈমানদারের অবস্থান হবে আশা-নিরাশার মধ্যে। সে একদিকে আল্লাহ্র রহমতের কথা স্মরণ করে নাজাতের আশা করবে, অপরদিকে আল্লাহ্র শাস্তির কথা স্মরণ করে জাহান্নামে যাওয়ার ভয় করবে। কিন্তু মৃত্যুর সময় তাকে আল্লাহ সম্পর্কে সুধারণা নিয়েই মরতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন আল্লাহ সম্পর্কে সু ধারণা না নিয়ে মারা না যায়” [মুসলিম; ২৮৭৭] অর্থাৎ মৃত্যুর সময় তার আশা থাকবে যে, নিশ্চয় আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও তাই বলছি। তবে পোস্টের মূল বিষয় বাদ দিয়ে সবাই অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে।
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন মুসলমান সারা জীবন ইমানদার থেকে মৃত্যুর আগে ইমানহারা হয়ে যেতে পারে। তাই সুরা আল ইমরানের ১০২ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে শেষ পর্যন্ত ইমান সহ মৃত্যু বরণ করতে হবে তবেই সাফল্য। আমরা যেমন বলি ' সব ভালো যার শেষ ভালো'।
এটাকি বললেন। কোরআনের আয়াত তো কোন দ্ব্যার্থতা রাখে নি। খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যা আপনি নিজের মতো ভাবানুভবে বুঝে নিলে কি হবে?
না কোরআন যা বলেছে তা পালন করতে হবে?
ঐ আয়াতে কোন রুপক নাই, উপমা নাই সরাসরি নিদের্শ আছে। এবং খুব সহজ সরল ভাষায়।
তাহলে তাকে নিজের মতো করে ভেবে নেবার সুযোগ আছে কি?
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরা আল- ইমরানের ১০২ নং আয়াতের তফসির;
shorturl.at/buFU3
মুসলমানদের পরিবারের সন্তানদের যে বড় হলে আলাদাভাবে কালিমা পড়তে হবে না তার প্রমান স্বরূপ লিঙ্ক আগেই দিয়েছি। আবার দিলাম। Click This Link
এখানে প্রখ্যাত আলেমরা বলছেন; Secondly: When the Muslim child reaches the age of puberty, he is not required to utter the Shahaadatayn again.
১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৬
আকন বিডি বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই আপনি যে আয়াত গুলো লিখলেন ১০ নং মন্তব্যে সেগুলো নিয়ে অনেক কিছু লেখা যায়। আলাদা পোস্ট দাবী রাখে এর জন্য।
প্রত্যেক নবী ও রাসুল এর দাওয়াত ও দ্বীন একই ছিল। ইসলাম, একত্ববাদ, আত্নসমর্পণকারী , শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না, আনুগত্য একমাত্র আল্লাহর।
ইব্রাহীম আ. মাধ্যমে আমাদের কিছু বিষয় পালনীয় হয়েছে:
১. কোরবানী ২. খতনা ৩. হজ্ব ৪. কাবা ঘর তৈরী ও তাওয়াফ, সাই ইত্যাদি
নবী (স কিন্তু নতুন কিছু পরিচয় করান নাই আকিদ্বার ক্ষেত্রে, শুধু মাত্র শরিয়ার ক্ষেত্রে সংযোজন বিয়োজন করেছেন অহির মাধ্যমে।
আল্লাহু ভাল জানেন
১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমরা জন্মসূত্রে মুসলিম এইটা আমাদের নিজের ধারনা । বয়ঃপ্রান্ত পর্যন্ত প্রত্যেকে শিশু থাকে বলে সবাই পাপ মুক্ত থাকে । এরপর আপনি আপনার কর্ম দিয়ে নিজেকে মুসলিম প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অনেকে আছে নিজকে জন্মসূত্রে মুসলিম বলে আবার ইসলাম ভুল বলে নাস্তিক পরিচয় দেয় । সে কিসের মুসলিম হলো।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপানার নিজের ধারনা সঠিক আছে। এটা ইসলামের বিধানের সাথে মিলে গেছে। ধন্যবাদ।
১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ আলোচনা। পোস্টটা বুকমার্ক করলাম।
রাসূল (সঃ ) যে নূরের তৈরি, এ আলোচনা কখনো সামনে আসে নি। তবে, ব্যাপারটা আজ জেনে রাখলাম।
গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটা আজ জানলাম - কেবল রাসুল (সঃ )-কে সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি - এটা সঠিক না। অথচ এ কথাটা ছোটোবেলা থেকেই জেনে এসেছি।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, কিছু ভুল জিনিস আমরা ছোটকাল থেকে জেনে আসছি। এই কারনেই পোস্ট দিয়েছি। ধন্যবাদ।
১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ বিদ্রোহী ভৃগু; জন্মগতভাবে মুসলমান হওয়ার প্রমান স্বরূপ নীচের লিঙ্কটা পড়ুন; এখানে প্রথমেই আছে Praise be to Allaah. Firstly: The child who is born to two Muslim parents is ruled to be a Muslim, according to scholarly consensus.
https://islamqa.info/en/answers/130231/a-small-child-follows-the-religion-of-whichever-of-his-parents-is-muslim
সকল নবী ও রসুলের মূল বানী এক। তারা সবাই সম্মানিত। কিন্তু অনেক ব্যাপারে শরিয়া (আইন) তে কিছু পার্থক্য আছে। নীচের লিঙ্কটা দেখুন;
shorturl.at/hkZ78
১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯
নগরবালক বলেছেন: ভাই, আল্লাহ বলে কি কেউ আছেন?? থাকলে উনি উনার সৃস্টিকে এত কস্ট দেন কেন। আমার কেন বিদেশের বাথরুমে বাথরুমে গু পরিস্কার করতে হয়। আমি কেন আমির হলাম না।
১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫০
নগরবালক বলেছেন: উনি নূরের তৈরী নাকি মাটির তৈরী তা দিয়ে আমি কি করবো, আমি যে দুই বেলা না খাইয়া থাকি তা কি আল্লাহ দেখেন না।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাই আল্লাহ বিশ্বাস না করলে আলোচনা করে লাভ নেই। এই পোস্ট সেক্ষেত্রে আপনার জন্য না।
১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৪
হাবিব ইমরান বলেছেন:
চমৎকার আলোচনা।
রাসূল সা. নূরের তৈরি নাকি মাটির তৈরি এসব প্রশ্ন অবান্তর। প্রয়োজন কী এ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে দলাদলি করার? এটা কি আকীদার কোন অংশ? এটা নিয়ে ঝগড়া না করলে কি পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়া যাবে না?
জানাবেন।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসুলকে (সাঃ) নূরের মনে করে অনেকে বাড়াবাড়ির চরম করছে। ওনাকে আল্লাহর নূরের অংশ মনে করছেন। অনেকে আল্লাহ আর ওনাকে এক সাথে মিশিয়ে ফেলছেন। এগুলি অবশ্যই ইমান বিধ্বংসী চিন্তা ভাবনা। কাজেই এটাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নাই। আর দলাদলির জন্য লেখা হয় নাই। যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি। সঠিক ইসলামি আকিদা অতি জরুরী। অল্প বিচ্যুতি বড় বিচ্যুতি ডেকে আনে। তাই আগেই সাবধান হতে হবে।
২০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ প্রশ্নটা পুরোনো হতে পারে, তবু বলছি- কোরান অনুযায়ী একজন মুসলমানের সংজ্ঞা কী? রেফারেন্সসহ জানতে চাই।
একটা শিশু মুসলমান হিসাবে জন্মালো। সে রোজা-নামাজ-হজ-যাকাত করলো না, অন্য কোনো গুনাহের কাজ করলো না। সে কি মুসলমান হিসাবে মৃত্যুবরণ করবে? বেহেশত পাওয়ার ব্যাপারে তার কি কোনো যোগ্যতা থাকবে? মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়াও হয়ত এমন কেউ থাকতে পারে, যে নামাজ পড়ে না, রোজা রাখে না। এগুলো ভঙ্গ করার কারণে সে শাস্তি পাবে। তার মুসলমানিত্ব কি চলে যাবে? এর সাথে অমুসলিম ঐ ব্যক্তির পার্থক্য কী, যে কোনোদিন কোনো পাপ কাজ করে নি, সারাজীবন প্রচুর মানবহিতৈশী কাজ করেছে?
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকগুলি প্রশ্ন করেছেন। আমাকে একটু সময় দেন। আমি দলিল সহ উত্তর দেব ইনশাল্লাহ।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসলমান হোল সে যে বিশ্বাস করে যে আল্লাহ ছাড়া কোনও মাবুদ নাই এবং হযরত মুহাম্মদ (সা আল্লাহ তা'আলার বান্দা ও রাসূল। ( কালিমা শাহাদাতের সারমর্ম)। তবে জন্মগতভাবে যারা মুসলমান তাদেরকে বড় হয়ে এই কালিমা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়ার প্রয়োজন নাই। তবে নামাজে প্রতিদিন আমরা বলি আত্তাহিয়াতু বা তাশাহুদ পড়ার সময়;
অর্থ : আমাদের সকল সালাম শ্রদ্ধা, আমাদের সব নামায এবং সকল প্রকার পবিত্রতা একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে। হে নবী, আপনার প্রতি সালাম, আপনার উপর আল্লাহর রহমত এবং অনুগ্রহ বর্ষিত হউক। আমাদের এবং আল্লাহর সকল নেক বান্দাদের উপর আল্লাহ্র রহমত এবং অনুগ্রহ বর্ষিত হউক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনও মাবুদ নাই, আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মাদ সা. আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল। বয়ঃসন্ধির পরে ইসলামের বিধানগুলি আমাদের উপর প্রযোজ্য হয়। এর আগে শিশুরা নিষ্পাপ থাকে। শিশুরা বয়ঃসন্ধি না হওয়া পর্যন্ত ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ইবাদত তাদের উপর প্রযোজ্য হয় না। ফলে কোনও এবাদত না করলেও সে বেহেস্তে যাবে। কোনও মুসলমান ঘরের মানুষ হওয়া ব্যক্তি যদি বলে যে নামাজ ফরজ না (নামাজ অস্বীকার করে) তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে। আর যদি অলসতা করে নামাজ না পড়ে তাহলে সে গুনাহগার হবে। তবে তাকে কাফের বলা যাবে না। তবে অনেক আলেম বলেছেন যে যদি কেউ জীবনেও নামাজ না পড়ে (ফরজ জানার পরও) তাহলে তাকে কাফের বলা হবে। যারা অমুসলিম তাদের কোনও ভালো কাজের প্রতিদান তারা পরকালে পাবে না। তবে ইহকালে পাবে। নীচের লিঙ্কগুলি দেখতে পারেন।
shorturl.at/fBQZ6
shorturl.at/cqLU3
shorturl.at/pqstw
২১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৫
রাশিয়া বলেছেন: কোন একজন পীর রাজারবাগে একটা দরবার শরীফ খুলে নবীজির (সা) নামে এরকম আজেবাজে কাহিনী ছড়াচ্ছে। তার আগে কেউ এরকম দাবী করেনি।
আমরা সবাই জানি রাসূল (স) আবদুল্লাহর ঔরসে আমিনার গর্ভে আর দশটা সাধারণ মানুষের মতই জন্মেছিলেন। তাহলে তাঁকে নূর দিয়ে তৈরি করা হল কখন? সৃষ্টিগত দিক থেকে তিনি যে আর দশটা মানুষের মতই সাধারণ গড়ন ও আকৃতির - সে কথা কুরআনে বেশ কয়েকবার এসেছে।
@নগরবালক, আপনি দাউদ, জাকারিয়া বা আইউব (আ) এর জীবনী পড়ুন। আল্লাহ্ তাদেরকে জীবনভর নানারকম কষ্টের মধ্যে রেখেছেন, তারপরেও তারা এক মূহুর্ত আল্লাহ্র শুকরিয়া আদায় করতে ছাড়েন নি।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু খারাপ পীর এরকম বিশ্বাস ছড়াচ্ছেন। ফলে অনেকে তা বিশ্বাস করছেন। এই ভুল বিশ্বাস ভাঙ্গার জন্যই এই পোস্ট দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
২২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: নবীজি সাঃ কে নিয়ে অসংখ্য বই লেখা হয়েছে। কিন্তু অথেনটিক বই খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
আমি নিজেই এক বইতে পড়েছি। তার জন্মের সময় চারপাশ হঠাত ভিষন আলোকিত হয়ে যায়।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। এই কারণে ওনার সিরাত গ্রন্থগুলির মধ্যে থেকে ভালো গুলি বেছে পড়তে হবে। আর হাদিস কোরআনের আলোকে ঐ বইয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করতে হবে।
২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই সব বিতর্কে যাবার তেমন কোনো যৌক্তিক তাগিদ আমি বোধ করি না। আপনি চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন।
২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে এগুলি খুব পরিষ্কার বিষয় তাই বিতর্কের তেমন সুযোগ দেখি না। আর পোস্টের মূল বিষয় ছেড়ে অন্য বিষয়ে আলাপ হচ্ছে বেশী। ধন্যবাদ।
২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৫
হাবিব ইমরান বলেছেন:
লেখক বলেছেন : রসুলকে (সাঃ) নূরের মনে করে অনেকে বাড়াবাড়ির চরম করছে। ওনাকে আল্লাহর নূরের অংশ মনে করছেন। অনেকে আল্লাহ আর ওনাকে এক সাথে মিশিয়ে ফেলছেন।
______ আরে ভাই, কে কি বলেছে এটা নিয়ে পড়ে থাকতে থাকতে মুসলিমরা আজ তাদের গৌরব, সম্মান, শক্তি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সব হারাতে বসেছে। কে কি বলেছে এটা নিয়ে গবেষণা না করে যদি মুসলিমরা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারতো, তাহলে মুসলিমরা হতো এ পুরো পৃথিবীর শাসনকর্তা।
কিন্তু আফসোস, মুসলিমরা তাদের কর্ম, জ্ঞান, চিন্তাভাবনা সব হারিয়ে রাসূল সা. শারীরিক গঠন নিয়ে গবেষণা করছে, নামাজের পর মুনাজাত দিতে হবে কিনা এটা নিয়ে ঝগড়া করছে, হাত নাভীর উপরে বাঁধা নিয়ে মারামারি, আমীন জোরে বলা নিয়ে মারামারি, তারাবীহ আট রাকাত আর বিশ রাকাত নিয়ে মারামারি নিত্যদিনের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লক্ষ্য করুন।
এক সময়ে মুসলিমরা কি নিয়ে গবেষণা করতো আর এখন কি নিয়ে গবেষণা করে!!!
মূর্খরা আজীবন ফেতনা ছড়াতেই থাকবে। তাদের গুরুত্ব দেয়া ঠিক না। বিজ্ঞান আর ইসলামের সমন্বয়ের চিন্তা করুন। এসব ফালতু বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য অনেকেই আছেন। তাদেরকে তাদের পথে ছেড়ে দিন। জ্ঞান অন্বেষণ করুন যেমনটা আদেশ দেয়া হয়েছে। ‘ত্বলাবুল ইলমী ফারিদাতুন আলা কুল্লি মুসলিম’। ‘ইলম’ বলতে এখানে সঠিক জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে। অহেতুক কাজের গবেষণায় ইলমের হক আদায় হবে না।
২৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৫
আকন বিডি বলেছেন: @ সোনাবীজ
১. বাচ্চা অবস্থায় ফিতরাতের বিষয় প্রযোজ্য, সে সব কিছু থেকে মাফ পাবে।
২. সাবালক অবস্থায় অবশ্যাই রাসুল (স ) যা বলেছেন, করেছেন , নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করতে হবে।
৩. সাবালক অবস্থায় নামাজ, রোজা ইত্যাদি না করাইতো গুনাহর কাজ।
৪. বেহেস্তের মালিক আল্লাহ, তিনি কাকে বেহেস্তে নিবেন তার একচ্ছত্র সিদ্বান্ত।
তিনি বান্দার আমল,একত্ববাদ, আত্নসমর্পণকারী, শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন কি না, আনুগত্য একমাত্র আল্লাহর করেছেন কিনা, তার নির্দেশ মেনে ছিল কিনা এগুলো দেখবেন। আল্লাহর কাছে কোন বান্দার আমল গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য শর্ত হচ্ছে দু'টি বিষয়ঃ এক, ইখলাস তথা বান্দা মনে-প্রাণে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করবে। দুই রাসূলের পরিপূর্ণ অনুসরণ। অর্থাৎ যদি কেউ মনে-প্রাণে আল্লাহ্ তা'আলার আনুগত্যের সংকল্প গ্রহণ করে কিন্তু আনুগত্য ও ইবাদাত নিজের খেয়াল-খুশীমত মনগড়া পন্থায় সম্পাদন করে, তবে তাও জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়, বরং এ ক্ষেত্রেও আনুগত্য ও ইবাদাতের সে পন্থাই অবলম্বন করতে হবে, যা আল্লাহ্ তাআলা রাসূলের মাধ্যমে বর্ণনা ও নির্ধারণ করেছেন।
৫. বেহেস্তে প্রবেশকারী সর্বশেষ ব্যক্তি বিষয়ে "ইসমা’ঈল (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতীগণ জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবেন। পরে আল্লাহ্ তা’আলা (ফিরিশতাদের) বলবেন, যার অন্তরে একটি সরিষা পরিমানও ঈমান রয়েছে, তাকে দোযখ থেকে বের করে নিয়ে আস। তারপর তাদের দোযখ থেকে বের করা হবে এমন অবস্থায় যে, তারা (পুড়ে) কালো হয়ে গেছে। ......বুখারী:২১
৬. অমুসলিম ব্যক্তিতো আল্লাহকে বিশ্বাস করে না। তার ক্ষেত্রে আল্লাহ অবিশ্বাসীকে যা করবেন বলেছেন, তাই প্রযোজ্য।
২৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার প্রশ্ন গুলোর একটারও যথাযথ উত্তর না দি্য়ে কিছু লিংক শেয়ার করেছেন।
দু:খিত যথাযথ উত্তর হলো না।
কোরআন এবং হাদীসের আয়াতের বিপরীতে কোন স্কলারের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ কি? না আয়াতই মূল।
ইব্রাহিম আ: এর বিষয়ে যেখানে সরাসরি আল্লাহ আদেশ করছেন নবীজিকে "অতঃপর আপনার প্রতি প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছি যে, ইব্রাহীমের দ্বীন অনুসরণ করুন, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন এবং শিরককারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।"
***সূরা নাহল; আয়াত: ১৬:১২৩।
এর বিপরীতে অন্য কোন মতের অপশন নাই। তা শরিয়া হোক বা অন্য কিছু।
কারণ এটা কোরআনের সরাসরি হুকুম। কোন অষ্পষ্টতা ছাড়াই বোধগম্য আয়াত।
জন্মসূত্রে মুসলিম হ্ওয়া গ্রহণযোগ্য হলে সকল বিধর্মীতো বিনা হিসেবেই মাফ পাবার দাবী করতেই পারে।
এই যুক্তিতে যে আমার জন্মতো আমার ইচ্ছায় হয়নি। তুমিই আমাকে পাঠিয়েছো ভিন্ন ভিন্ন জাতে। তাই আমি নির্দেোষ!
বিষয়টা তাই কি?
ডাক্তারের ছেলে হলেই যেমন ডাক্তার হওয়া যায় না, শিক্ষকের ছেলে হলেই যেমন শিক্ষক হওয়া যায় না - জ্ঞান, শিক্ষা অর্জন করে নিতে হয়, মুসলমানদেরও তেমনি- প্রত্যেককেই মুসলমান হতে হয়।
নবীজির সময় মুসলমান হতে হতো। বিশ্বাস অর্জন করার পর তারা নবীজির হাতে বায়াত/শপথ/ওথ গ্রহণ করতেন। এবং এরপরই মুসলমান হিসেবে তালিকাভুক্ত হতেন। এরপর চলতো কর্ম এবং জীবন ব্যাপি তার চর্চা বা বাস্তবায়ন।
বর্তমান বিশ্বেও দেখুন যাঁরা ভিন্ন ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করছেন, মুসলিম হচ্ছেন তাদের কাছে প্রচলিত মুসলিমরা মুসলমানিত্বের মিনিমাম ক্রাইটারিয়া্ও পূরণ করতে পারে না, পারছে না। জন্মসূত্রের কারণে বিশ্বাস গ্রহণ বর্জনের বালাই নেই বলে দায়্ও নেই। তাই স্রেফ নাম আর পোষাকটাই রয়ে গেছে- মুসলমানিত্ব নাই। তা যেমন জ্ঞান চর্চায়, তেমনি সততায়, কর্মে, আচরণে।
শুরুতেই গলদ বলে আমাদের বাকীটুকু্ও চরম ও পরম ভুলে ভরা। আমরা দূর্নীতিতে চ্রাম্পিয়ন। মসজিদের শহর ঢাকায় মসজিদে জুতা রাখাও নিরাপদ বোধ করে না, টোকেন দিয়ে রাখতে হয়! আমাদের ঘুষ, দুর্ণীতিতো বাইরের মানুষ করছে না। আবার ৯০ ভাগ মুসলমান দাবীতো আমাদেরেই। এই ধাঁধায় বলেনতো ভায়া- মুসলমান গেল কই?
আর এই চলমান রুপ যদি মুসলমানিত্বের বলে দাবী করেন- তবে তো ইসলামই নাই হয়ে যাবে।
যে কারণে প্রথম প্রশ্নটাই করেছিলাম- আপনি মুসলিম কি না?
একজন মুসলমানের প্রথম বিশ্বাস - কলেমায়।
যার আবশ্যিক অংশ মোহাম্মদ রাসূল আল্লাহ এই স্বীকৃতি।
অবশ্য ইদানিং ইবনে সউদদের কিছু দাসানুদাস দেখছি কলেমাকেও দুই ভাগে ভাগ করতে লেগেছে!
সে ভিন্ন কথা । থাক।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যেমন স্বীকৃতির প্রথম অংশ মোহাম্মদ রাসূল আল্লাহ তেমনি স্বীকৃতির আবশ্যিক অংশ।
এই স্থানেই আসে রাসুল সা: কে চেনার, জানার, মানার প্রশ্ন!
আরবীয় স্থানীয় রাজনীতির ফাঁদ বা আব্বাসীয় উমাইয়া দ্বন্ধ বাদ দিয়ে যদি আপনি সত্য সন্ধানী হয়ে সত্য খোঁজেন অবশ্যই তা পাবার কথা। সেখানে রাসূল বিরোধীতা কিন্তু ইসলামের শুরু থেকে ছিল। উনার ইন্তেকালের পর তা আরও বেগবান হয়।
এবং আপনি অবগত আছেন বোধকরি ইয়াজিদের সময় মদীনায় রাসূল প্রেমিদের কিভাবে হত্য করা হতো! গণ ধর্ষন চালানো হয় মদীনার ঘরে ঘরে! রাসূল প্রেমি সাহাবাদের মৃত্যুৃ বা নির্বাসনে পাঠানো হয়।
সংক্ষেপে এ কথা বলার মানে হলো- আপনি কি আল্লাহ এবং রাসূল প্রেমি? না ইয়াজিদ বা ইবনে সউদের নীতি প্রেমি?
প্রথমটি হলে সত্যের রুপ সন্ধানে আরো গভীরে যান। আর ২য়টি হলে সহজেই চলমান স্রোতধারায় গা ভাসালেই চলে।
আর সত্য বুঝতে হলে যেমন চাই পুথিগত জ্ঞান তেমনি চাই আধ্যাত্ববাদের গভীরে ডুব দেবার সক্ষমতা।
তবেই পাবেন মূল সত্য।
নইলে বাকী সব বৃথাই.। ৭২ কাতারের ৭২ গ্রুপের মতো একে অন্যে কাফির ফতোয়া আর অন্যদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ইসলামের ক্ষতি বৃদ্ধি ছাড়া কোন কাজেই আসবে না।
অসংখ্য হাদীস রেওয়ায়েত থেকে সামান্য কিছু পরের মন্তব্য ঘরে দিচ্ছি।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা প্রখ্যাত সাইট যেখানে বিশ্বের বড় বড় আলেমরা মতামত দেন তাদের সাইটের সূত্র আমি দিয়েছি। আপনি যদি এটা মানতে না চান সেটা আপনার ইচ্ছা। আমি ওনাদের কথাই বলেছি। এগুলি কোনটাই আমার কথা না।
২৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: @আকন বিডি, ধন্যবাদ উত্তর দেয়ার জন্য।
৬. অমুসলিম ব্যক্তিতো আল্লাহকে বিশ্বাস করে না। তার ক্ষেত্রে আল্লাহ অবিশ্বাসীকে যা করবেন বলেছেন, তাই প্রযোজ্য। কথাটা মনে হয় ঠিক হলো না। নাস্তিক হলে তিনি আল্লাহকে বিশ্বাস করবেন না। নাস্তিক হওয়ার জন্য মুসলিম/হিন্দু/খ্রিষ্টান হওয়া কোনো বাঁধা না
২৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৮
আকন বিডি বলেছেন: আপনার কথাটা বুঝি নাই।
নাস্তিক আল্লাহকে বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন না, অমুসলিম সেওতো আল্লাহকে বিশ্বাস করে না।অমুসলিম হয়তো সে অন্য ধর্মের অনুসারী হতে পারেন। কিন্তু আল্লাহকে বিশ্বাসীকেইতো মুসলিম হিসাবে ডাকা হয়।
২৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব নবীর ধর্মের মূল বানী এক। মূল আকিদা এক। ইব্রাহিম (আঃ) একই ধর্মের কথা বলেছেন। তবে সব শারিয়া আইন হয়ত এক ছিল না। আগের নবীদের শরিয়া সম্পর্কে পুরোপুরি জানা যায় না। এটা সব নবীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমাদের নবী (সাঃ) সব নবীর শ্রেষ্ঠ তাই ওনারটাই মানতে হবে। সুরা আল ইমরানে কালিমা পড়ার ব্যাপারে কিছু নাই। কাজেই এটা নিয়ে আমরা কেন আলাপ করছি আমি বুঝতে পারছি না।
৩০| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। এই কারণে ওনার সিরাত গ্রন্থগুলির মধ্যে থেকে ভালো গুলি বেছে পড়তে হবে। আর হাদিস কোরআনের আলোকে ঐ বইয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটা প্রখ্যাত সাইট যেখানে বিশ্বের বড় বড় আলেমরা মতামত দেন তাদের সাইটের সূত্র আমি দিয়েছি। আপনি যদি এটা মানতে না চান সেটা আপনার ইচ্ছা। আমি ওনাদের কথাই বলেছি। এগুলি কোনটাই আমার কথা না।
<< ভাই স্কলারদের সম্মান করি। আবার কোরআন এর স্কলারের তুলনা আসলে কোরআনকে আগে রাখতেই হবে।
যেখানে কোরআনে বলা আছে - মুসলিম হবার তাগিদ, সেখানে আপনি তা এড়িয়ে বারবার স্কলারেদর লিংক দিচ্ছেন।
দেখুন সউদের গ্রান্ড মুফতি যে সব ফতোয়া দিচ্ছে কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে তা মানা দূরে থাক বিশ্বাসে নেয়াই কষ্টের!
এক দলের কাছে তিনি বিরাট স্কলার, গ্রন্ড মুফতি! অথচ তার ফতোয়া যাচ্ছে কোরআন ইসলামের বিপরীতে, আপনি কোনটা মানবেন?
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব নবীর ধর্মের মূল বানী এক। মূল আকিদা এক। ইব্রাহিম (আঃ) একই ধর্মের কথা বলেছেন। তবে সব শারিয়া আইন হয়ত এক ছিল না। আগের নবীদের শরিয়া সম্পর্কে পুরোপুরি জানা যায় না। এটা সব নবীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমাদের নবী (সাঃ) সব নবীর শ্রেষ্ঠ তাই ওনারটাই মানতে হবে। সুরা আল ইমরানে কালিমা পড়ার ব্যাপারে কিছু নাই। কাজেই এটা নিয়ে আমরা কেন আলাপ করছি আমি বুঝতে পারছি না।
<< আপনি ১০ এবং ২৬ নম্বর মন্তব্যের পয়েন্ট টু পয়েন্ট উত্তর দেন নি।
ইব্রািহম আ: এর ধর্ম বা শরিয়া যাই বলেন- তাকে অনুসরন আপনার ইচ্ছা বা অনিচ্ছা বা কোন স্কলারের মতামতের তোয়াক্কা করে না।
আমাদের নবী (সাঃ) সব নবীর শ্রেষ্ঠ তাই ওনারটাই মানতে হবে। অবশ্যই। আর সেই শ্রেষ্ঠ নবীকেই যেখানে আল্লাহ নিজে আদেশ দিচ্ছেন- "অতঃপর আপনার প্রতি প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছি যে, ইব্রাহীমের দ্বীন অনুসরণ করুন, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন এবং শিরককারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।"
***সূরা নাহল; আয়াত: ১৬:১২৩।
সেখানে অন্য কোন ব্যাখ্যা কিভাবে গ্রহনযোগ্য? আপনি কি আল্লাহর আদেশকে মানবেন না?
দরুদে ইব্রাহিম যেখানে নামাজের অংশ সেখানে দ্বি-মতের অপশন নাই।
সুরা আল ইমরানে কালিমা পড়ার ব্যাপারে কিছু নাই। কাজেই এটা নিয়ে আমরা কেন আলাপ করছি আমি বুঝতে পারছি না।
<< কারণ সবার আগে মুসলিম হওয়া কর্তব্য। অমুসলমােনর জন্য ইসলামের বিধি বিধান প্রযোজ্য নয়।
আমরা মুসলমান হইনা বলেই জন্মসূত্রের নাম আর ইসলামের শুধু পোষাকি রুপেই আটকে আছি। গরু খাওয়া মুসলমান চলতি ভাষায় যেমন বলে সেখানেই আটকে আছি। যার ফলে সুস্থ স্বাভাবিক সকলেই ইসলামকে নিয়ে উপহাস করার সুযোগ পায়।
আপনি যদি অর্জত মুসলিম হতেন এর প্রতিটা বাক্য, আদেশ, নিষেধ আপনার জন্য তেমন মান্য হতো যেমন বিশেষায়িত বাহিনীতে কেউ তার শপথ, বিধান ভাংগার কথা স্বপ্নেও ভাবে না। এটা কি ভয়ে? না আনুগত্যে।
একজন মুসলমান হলেই কেবল সে অনুভব করবে কেন সে মুসলিম হবে? কেন হিন্দু নয়, খ্রীষ্টান নয়, বৌদ্ধ নয়, নাস্তিক নয়! কেন সে এই বিশ্বাসকে ধারন করবে? কি বলে এই বিশ্বাসে? তার সত্যাসত্য কি? সৃষ্টির আদিতে কি? অন্তে কি?
কলেমা বা বাক্যাবলীতে সেই ইশারাই সংক্ষেপিত ভাবে উচ্চারিত হয়। যা স্বীকারের মাধ্যমে ইসলামে দাখিল হয়। এবং তারপর তার অনুসন্ধান, পালন এবং চর্চা বাকী জীবন ভর চলার কথা।
এই আলাপ এই জন্যেই হচ্ছে যে দেশে আমরা সাধারন মানের ভাল মানুষই হতে পারছি না, দাড়ি, টুপি আর মসজিদের ভীরেও দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হচ্ছি, এই করোনার মাঝেও চুরি আর ঈমান হারা কাজে মহা সমারোহে ব্যস্ত! কারনটা কি?
ইন্নাস সালাতা তানহা আনিল ফাহসায়ে ওয়াল মুনকার - সালাত অশ্লীলতা ও মন্দ কার্য থেকে দূরে রাখে
তবে মাঝখানের শুন্যতাটা কি? পাচওয়াক্ত মসজিদও ভরছে, কমিটিতে দূর্নিতিবাজ লোকেরা প্রধান্য পাচ্ছে, মুসল্লী্ কম নয়, অথচ ইসলামের বদনামের ভাগী হচ্ছে!
মূল কারণ ঐ জন্মসূত্রে মুসলমানিত্বের দাবী।
ডাক্তারে পোলা ডাক্তারি না শিখা অপারেশন করতে গেল যা হবে, তাই হচ্ছে!
রবী ঠাকুরের ষ্টাইলে যদি এই বিষয়ে বলি- বলতে হবে, আগে চাই মুসলমান হবার শপথ/বায়াত, তারপর ধর্ম নিয়ে গবেষনা।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এগুলি আমার কথা না। প্রখ্যাত আলেমদের কথা। ওনারা কোরআন হাদিস অনেক ভালো জানেন এবং জেনেই ফতোয়া দিয়েছেন।
৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আর আপনার পোষ্টের বিষয়ে আলোচনা করতে নারাজ। কারণ আমি এইসব বিষয়ে দেখলই আমার মনে একটি প্রশ্ন জাগে মুসলমান জাতির মধ্যে কেন এত বিভেদ ? আপনারা কি সারাবছর নবী মাটির তৈরি না নূরের তৈরি, ইসলামে এটি জায়েজ কিনা ঐটি নাজায়েজ কিনা এইসব নিয়ে গবেষণা করবেন ?
ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় তৎকালীন মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে ছিল। মুসলমানদের মধ্যে রয়েছে রসায়ন শাস্ত্রের জনক জাবির ইবনে হাইয়ান, ওষুধ শাস্ত্রের জনক ইবনে সিনার মতো বিজ্ঞানীগণ। বর্তমানে মুসলমানদের অবদান কোথায় ?
বিগত শত শত বছরে আর কোন স্কলার জন্মের বদলে ফেরকা কেন এত বেড়ে যাচ্ছে?
কোন রাজনৈতিক সূত্র ধরে কোন অন্তর্জাতিক চক্রান্তের কারণে আজকে আমাদের মধ্যে এই বিভেদ। ইতিহাস বই পড়ে জেনে নিতে পারেন। আমরা কি পারিনা এই অবস্থা হতে উত্তোরণ পেতে? আজকে আমাদেরকে অন্যন্য জাতি থেকে পিছিয়ে রাখার জন্য বিভেদ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে যাতে আমরা এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকি। এটি কি একধরণের ষড়যন্ত্র বলে আপনাদের মনে হয় না ?
তাহলে আমার কি করা উচিত?
নবী নূরের তৈরি না মাটির তৈরি ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আপনাকে বিভিন্নপক্ষ বিভিন্নভাবে উত্তর দেবে। ওহাবী পক্ষ দেবে মাটির তৈরি, সুন্নী পক্ষ দেবে নূরের তৈরি আবার আরেক পক্ষ এসে আরেকটি উত্তর দেবে। আপনার কোনো কিছুই করতে হবে না। নিজে যা জানেন তা আমল করেন।আল্লাহর ইবাদত করেন। আল্লাহর রাসূলকে সম্মান করবেন ও রাসূলের জীবনাদর্শ মেনে চলুন।
কারণ আমার গুরু কাজী নজরুল ইসলাম (আমি নজরুলকে গুরু হিসেবে মানি ) বলেছেন- রাসূলের অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন , মুসলিম নয় মুনাফেক তুই, রাসূলের দুশমন। তাই আপনাদের এই বাড়াবাড়িতে রাসূলের অপমান হচ্ছে। এই আলোচনায় বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে কমেন্ট করছে। যদিও আমরা এইসব বিষয় নিয়ে অজ্ঞ তারপরও আমরা দ্বিধাবোধ করছি না রাসূল (স) শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের ফলে সৃষ্ঠ বলতে । আপনি যাকে ভালোবাসেন তাকে নির্দেশ করে এই কথাগুলো না বলায় শ্রেয়।
আর আমি আল্লাহর গুণাহগার বান্দা। আল্লাহর রাসূলের সুপারিশ প্রার্থী। কারণ রাসূলের সুপারিশ ব্যাতিত কবর হতে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত কোন ধাপই সহজ হবে না। আল্লাহর রাসূলের অবয়ব আমাদের মত। কিন্তু আপনার আক্কেল জ্ঞান দিয়ে এটিও মনে রাখা দরকার যে, রাসূল (স) আল্লাহর বন্ধু, আল্লাহর প্রেরিত মহান পুরুষ।এরপরও কি তাঁকে আপনি আপনার সমকক্ষ ভাববেন ? যিনি কিয়ামত দিবসে আপনার জন্য মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবেন ? যার সৃষ্ঠি না হলে এই পৃথিবী সৃষ্টি হত না , তাঁকে কি আপনি সাধারণ মনে করছেন ? আল্লাহ নবীগণকে শিক্ষক হিসেবে পাঠিয়েছেন, শিক্ষক হিসেবে তিনি বলতেই পারেন তিনি সাধারণ, কারণ তিনি নিজেকে সাধারণ না বললে সাধারণের সাথে তিনি খাপ খাবেন কি করে ? তিনি অসাধারণ একজন মানুষ হয়ে নিজেকে সাধারণের কাতারে নিয়ে আসা কি রাসূল (স) এর একটি অসাধারণ গুণ নয়?
আর জীবনে একবারও যে স্বপ্নে রাসূল সা: এর দিদার লাভ করে তার জন্য জাহান্নাম হারাম।
সেই রাসূল সা: এর দীদার লাভের প্রার্থনার বদলে আমরা গুনাহগার, কত্ত বড় গুনাহগার আমরা ভাবতে বসি তিনি মাটির তৈরী! তিনিও আমাদের মতোনই! (নাউজুবিল্লাহ)
আপনার অফিসের চেয়ারম্যান আপনাকে সান্তনা দিতে বা খুশি করতে যখন বলেন- আরে আমিওতো তোমাদের মতোই মানুষ! তোমাদের দু:খ কষ্টতো আমারো। তখন কি তিনি আপনার আমার মতো সাধারণ মানুষ হয়ে যান?
তবে কোন সাহসে আমরা উচ্চারন করি কলেমার অংশ যেই নবী সা: তিনার শান মান নিয়ে????
যেই কলেমা পাঠে আমি মুসলিম হই, সেই কলেমার অর্ধাংশ যেই পবিত্র নবীর স্বীকৃতি সেই নবীকে নিয়ে আলোচনার আগে আমাদের ঈমানের শতবার অজু করানো দরকার।
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এগুলি আমার কথা না। প্রখ্যাত আলেমদের কথা। ওনারা কোরআন হাদিস অনেক ভালো জানেন এবং জেনেই ফতোয়া দিয়েছেন।
৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ। এগুলি কোনটাই আমার কথা না। এগুলি প্রখ্যাত আলেমরা বলেছেন মানুষের ভুল ভাঙ্গানোর জন্য। ধর্মের মধ্যে বিভেদ আমিও পছন্দ করিনা। আবারও ধন্যবাদ।
৩৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কেউ তো দাবী করেন নাই যে মহানবী (সঃ) নূরের তৈরী!
হযরত আদম (আঃ) কে মাটি দ্বারা তৈরী করা হয়েছিলো।
তাদেরই বংশধর আমরা। আমরাও মা্টির তৈরী। আমাদের
হেদায়াতের জন্য হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ধরায় আসেন মা
আমিনার গর্ভে। সুতরা তিনিও মাটির তৈরী। তা নিয়ে বিতর্ক
করার কি আছে।
যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস করবে যে, নবী (দ আল্লাহর নূর, মানুষ নন,
তিনি গায়েবের খবর জানেন, সে আল্লাহ্ এবং রাসূলের (দ সাথে
কুফরী করল। সে আল্লাহ্ ও তার রাসূলের দুশমন, বন্ধু নয়। কেননা
তার কথা আল্লাহ্ ও রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। আর যে ব্যক্তি
আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, সে কাফের। কেননা
[রাসূল (স] মাটির তৈরী, কোরআন-হাদীস থেকে দলীল দ্বারা প্রমাণিত!
নবী (সাঃ) বলেনঃ তোমরা সকলেই আদমের সন্তান, আর আদম মাটি থেকে
সৃষ্টি (বায্ যার প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল জামে’ হা/৪৫৬৮)
৩৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কেউ তো দাবী করেন নাই যে মহানবী (সঃ) নূরের তৈরী!
হযরত আদম (আঃ) কে মাটি দ্বারা তৈরী করা হয়েছিলো।
তাদেরই বংশধর আমরা। আমরাও মা্টির তৈরী। আমাদের
হেদায়াতের জন্য হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ধরায় আসেন মা
আমিনার গর্ভে। সুতরা তিনিও মাটির তৈরী। তা নিয়ে বিতর্ক
করার কি আছে।
যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস করবে যে, নবী (সঃ) আল্লাহর নূর, মানুষ নন,
তিনি গায়েবের খবর জানেন, সে আল্লাহ্ এবং রাসূলের (দঃ)সাথে
কুফরী করল। সে আল্লাহ্ ও তার রাসূলের দুশমন, বন্ধু নয়। কেননা
তার কথা আল্লাহ্ ও রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। আর যে ব্যক্তি
আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, সে কাফের। কেননা
রাসূল (সঃ) মাটির তৈরী, কোরআন-হাদীস থেকে দলীল দ্বারা প্রমাণিত!
নবী (সাঃ) বলেনঃ তোমরা সকলেই আদমের সন্তান, আর আদম মাটি থেকে
সৃষ্টি (বায্ যার প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল জামে’ হা/৪৫৬৮)
২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: আমি অবশ্য কোথাও শুনিনি যে কেউ বলছে মহানবী নুরের সৃষ্টি। তবে পোষ্টের থেকে আপনাদের দুজনের মানে আপনার আর ম্যা'ভাইর বাহাস উপভোগ করছি।
আরো লিখুন ভাই। ভালো থাকুন।
২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টেই আপনি বিদ্রোহী ভৃগু এর মন্তব্য পড়লেই বুঝতে পারবেন ওনার মতো অনেকেই বিশ্বাস করে যে রসূল (সাঃ) নূরের তৈরি। উনি বলতে চাচ্ছেন এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যার বিপরীতে আমি লিখেছি। বিশেষত যারা কিছু খারাপ পীরের মুরিদ এরা বেশী বলে। এদের অনেকে বিশ্বাস করে যে রসূল (সাঃ) কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ্ কিছুই সৃষ্টি করতেন না। এই ধারনাটাও ভুল ও রসুলের (সাঃ) এর প্রতি ভালবাসা দেখাতে গিয়ে বাড়াবাড়ি। এই উদ্দেশেই পোস্ট দেয়া। আরও লিখতে বলছেন। এখানে ধর্ম নিয়ে লেখা সবচেয়ে বিপজ্জনক। মানুষ উল্টাপাল্টা বোঝে। তারপরও ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
৩৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
শের শায়রী বলেছেন:
৩৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: পোস্টের চেয়ে আলাদা বিষয় নিয়ে আলোচনা বেশি হয়েছে।
নবী মোহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম কেন এই পৃথিবীর সমস্ত আদম সন্তান মাটির সৃষ্টি। এটা নিয়ে অযথা তর্ক করার অর্থ হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে সত্য গোপন করা।
ভৃগু ভাই, আপনার মন্তব্যগুলি আমি পড়েছি। আমিও আপনার সাথে একমত।
ইসলামের বড় বড় বিষয় বাদ দিয়ে এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই। কিন্তু সহী।হাদিসে আছে, যে কোন ভ্রান্তি দেখলে সেটার প্রতিবাদ করার। এটা প্রায় জিহাদের পর্যায়ে পরে।
সাড়ে ভাই যেই লজিকে লিখেছেন সেটা ঠিল আছে।এলেম গোপণ না করার ব্যপারে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ আছে। উনার পোস্ট ভালো হয়েছে।
ভৃগু ভাই, আমাদের নিজেদের আগে ভাল হতে হবে। ঘুষের টাকা দিয়ে বড় করে কুরবানি দিয়ে গরীব মানুষের মাঝে সব বিতরণ করে দিয়েও কোন লাভ নেই। কারণ আকিদা ঠিক না থাকলে কোন লাভ নেই। এই পোস্ট আকিদা জনিত সমস্যা দেখে লেখা হয়েছে।
শুভ রাত্রী।
০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আমার পোস্টের মূল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছেন। যারা বোঝে নাই তারা ভেবেছে আমি ঝামেলা সৃষ্টির জন্য পোস্ট দিয়েছি। আসলে মানুষের ভুল আকিদা ঠিক করার জন্য পোস্ট দিয়েছি। আকিদা ঠিক না থাকলে এবাদত অর্থহীন হয়ে যাবে। অনেকেই বিশ্বাস করে যে রসুল (সাঃ) নূরের তৈরি। দুঃখজনক ব্যাপার হোল সম্ভবত বিদ্রোহী ভৃগুও বিশ্বাস করেন যে রসুল (সাঃ) নূরের তৈরি। একারনে উনি আক্রমণাত্মকভাবে মন্তব্য করেছেন। উনি ওনার শেষ মন্তব্যের শেষাংশে বলেছেন ;
"সেই রাসূল সা: এর দীদার লাভের প্রার্থনার বদলে আমরা গুনাহগার, কত্ত বড় গুনাহগার আমরা ভাবতে বসি তিনি মাটির তৈরী! তিনিও আমাদের মতোনই! (নাউজুবিল্লাহ)"
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের বাহাত্তর কাতারের সংখ্যা পূরণের প্রতিযোগীতা চলছে মনে হয়!
নতুন নতুন সব ক্যাচাল আর প্রতিষ্ঠিত সত্যেকে নতুন করে প্রশ্নের মূখে দাড় করানো দেখেই মনে হলো।
আচ্ছা ভাইজান একটা প্রশ্ন করতে চাই বিনয়ের সাথে।
আপনি কি মুসলিম?
হলে কিভাবে মুসলমান হয়েছেন?
যদি না রেগে উত্তর দেন তাহলে হয়তো বাকী আলাপ করা যেতে পারে। যদি আগ্রহী হন।