নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০


আমাদের হারিয়ে যাওয়া এক ঐতিহ্যবাহী শিল্পের নাম বায়োস্কোপ। আমার ধারণা আমাদের জ্যেষ্ঠ ব্লগাররা অনেকেই বায়স্কোপ নিজের চোখে দেখেছেন। আশা করি মন্তব্যে তারা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন। চার কোনা একটি টিনের বাক্সে গোলাকৃতি ৪ থেকে ৬টি কাচের জানালা। বাঁশি বাজিয়ে আহ্বান জানিয়ে দুলদুল ঘোড়া, মক্কা-মদিনা, আজমির শরীফ, ক্ষুদিরামের ফাঁসির ছবি ইত্যাদি দেখানো হতো বায়স্কোপে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, রাজা বাদশা, জনপ্রিয় নায়ক নায়িকা, বিভিন্ন ধর্মীয় পবিত্র স্থাপনা, মৃত্যুর পরের নানা কাল্পনিক কাহিনীর ৩৫ থেকে ৪০টি ছবি জোড়া দিয়ে লাগানো হতো। বাক্সের মধ্যে দুই পাশে দুটি ঘুড়ির লাটাইয়ের মত জিনিস থাকত যা পেচিয়ে স্থির ছবি চলমান রেখে প্রদর্শন করা হত। বায়স্কোপওয়ালা হাত দিয়ে হাতল ঘুরাতে থাকে আর সুর করে ছবির বর্ণনা দিতে থাকে।

"কী চমৎকার দেখা গেলো
ঢাকা শহর আইয়া পড়লো ....."
মীরজুমলার কামান দেখো।
সদরঘাটের জাহাজ দেখো...."
(সৌজন্যে আহমেদ জি এস ভাই)

বাইরে থেকে স্বচ্ছ কাচের ওপর চোখ রাখলে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে হয় দর্শকদের। হাত দিয়ে প্যাডেল ঘুরিয়ে দর্শনীয় স্থান, কিংবা বিভিন্ন চিত্র কর্মের ছবি দেখানো হতো এই বায়োস্কোপে। গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় সব কাহিনী ও কাল্পনিক চিত্রও দেখানো হতো বায়স্কোপে।


অনেকের কাছে নস্টালজিক, এই বায়স্কোপ নিয়ে বর্তমান সময়েও শিল্পীরা গান গেয়েছেন। দলছুট ব্যান্ডের এই গানটা উপভোগ করুন;
বায়স্কোপ- দলছুট (সৌজন্যে- মিররডল)। বায়স্কোপের ছবি আর সুরেলা কন্ঠের বর্ণনায় জীবন্ত হয়ে উঠতো এক অজানা পৃথিবী। বাংলাদেশে ৭০ এর দশকেও শহরে ও গ্রামে নিয়মিত দেখা যেত বায়স্কোপওয়ালারা কাঁধে বায়স্কোপ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা এটা দেখার জন্য মা-বাবার কাছে আবদার করছে। বাংলার চিরায়ত আদি বিনোদন মাধ্যম ছিল এই বায়োস্কোপ। আধুনিক প্রযুক্তির আগ্রাসনে বর্তমানে বলতে গেলে বিলুপ্ত এক সময়ের বেশ জনপ্রিয় এই শিল্পটি। টিভি, সিনেমা, অন্তরজাল, স্মার্ট ফোন, ডিভিডি, ইউটিউব সহ নানা বিনোদন মাধ্যম মানুষের হাতে আসায় বায়োস্কোপ এখন কেবলই ইতিহাস

আমি নিজে যখন ১৯৯০ সালে খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের কাছে বায়স্কোপ দেখার সুযোগ পাই তখন বায়স্কোপের দিন শেষ। তখন ভিসিআরের যুগ। তার পরও শুধু কৌতূহল মেটানোর জন্য দেখি। আমার বড় বোনের কাছে তার বায়স্কোপ দেখার গল্প শুনেছি। বর্তমানে বায়স্কোপ কদাচিৎ দেখা যায় বিভিন্ন মেলায়। তবে বর্তমানেও দুই একজন বায়স্কোপওয়ালা পুরনো পেশা ধরে রেখেছেন। এদের পরে হয়ত এই বায়স্কোপ আর থাকবে না।

ক্যামব্রিজ ইংরেজি অভিধান অনুযায়ী বায়স্কোপ অর্থ ‘একটি যন্ত্র যার দ্বারা কোন পর্দায় চলমান চিত্র প্রদর্শিত হয়’। সেখানে বলা হয়েছে মুভি ক্যামেরার প্রাচীন নাম হোল বায়স্কোপ। বাংলা চলচ্চিত্র বা বাংলা সিনেমা ১৮৯০ সালে ভারতের কলকাতায় বায়োস্কোপ নামে শুরু হয়েছিল। ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দের কলকাতায় বাঙালিদের মধ্যে প্রথম বায়োস্কোপ কোম্পানি গঠন করেন মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরী গ্রামের হীরালাল সেন (১৮৬৬-১৯১৭)। তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির নাম দ্য রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি। আশা করি উপমহাদেশের সিনেমার ইতিহাস নিয়ে আলাদা পোস্ট দিব। এই বায়স্কোপের সব চেয়ে সরল সংস্করণ হোল গ্রাম বাংলার কাঁধে করে বয়ে নিয়ে বেড়ানো এই ছোট বায়স্কোপের বাক্স। কলকাতা শহরের কিছু বায়স্কোপে ছোট প্রজেক্টরও ব্যবহার করা হতো।

ইউরোপে ১৫ থেকে ১৭ শতাব্দীতে বায়োস্কোপ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৮৯৪ সালের পর এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় বিশ্বব্যাপি এর প্রদর্শনী শুরু হয়। অনেকে বায়োস্কোপকে চলচ্চিত্র আবিস্কারের পূর্ব রুপ বলে ধারণা করেন।

তবে আনন্দের খবর হোল চোখ ধাঁধাঁনো আধুনিকতার এমন সময়েও গ্রামীণ জনপদে বায়োস্কোপ দেখতে মানুষের ভীড় চোখে পড়ে বিভিন্ন মেলায়। তবে এধরনের প্রদর্শনী বিরল।

সূত্র - উইকিপিডিয়া, বৈশাখী অনলাইন, কালি ও কলম, ভোরের কাগজ।

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনার এই পোস্টের কারণে অনেক পুরাতন কথা মনে পড়ে গেল।
ছোট বেলায় বিশেষ করে পূজোর মেলাতে অবশ্যই থাকতো বায়োস্কপ।
সে সময় কত যে ভেবেছি, কিভাবে হয় ?
বাড়ীর কাছে আছেন একজন যিনি এটা চালাতেন সে সময়। প্রযুক্তির কারণে এখন পান-বিড়ির দোকান করতে হচ্ছে, মাঝে কিছুদিন রিক্সাও চালিয়েছেন।

আমার খুব ভাল লাগতো ছবি দেখার সাথে সুর করে বর্ণনা।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মত ব্লগারের অপেক্ষাতেই ছিলাম যে নিজে বায়স্কোপ নিয়মিত দেখত। আমি শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য একবার দেখেছিলাম ১৯৯০ সালে যখন বায়স্কোপের যুগ আসলে শেষ। আপনি বায়স্কোপের আকর্ষণটা ভালো বুঝতে পারবেন। এই পেশার লোকেরা জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছে। আপনাকে কিছুটা নস্টালজিক মনে হয় করতে পেরেছি। এতেই আমি আনন্দিত। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,



অতীত থেকে তুলে আনা বায়োস্কোপের মতো রঙিন লেখা।

ছেলেবেলার বায়োস্কোপওয়ালার সেই এখনও মনে পড়ে --

"কী চমৎকার দেখা গেলো
ঢাকা শহর আইয়া পড়লো ....."
মীরজুমলার কামান দেখো।
সদরঘাটের জাহাজ দেখো...."

ইত্যাদি ইত্যাদি সুর করে গাওয়া হতো।
তবে বাক্সের গায়ে গোল ঘুলঘুলিতে স্বচ্ছ কাচ নয় দুর্বল ম্যাগনিফাইং গ্লাস লাগানো থাকতো।

নষ্টালজিক পোস্ট‍‍‍‍‌ ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই,

আপনি যে ছোটবেলায় বায়স্কোপ প্রায়ই দেখতেন তা আপনার করা বায়স্কোপওয়ালার গানের উদ্ধৃতি থেকেই বোঝা যাচ্ছে। আপনার কথাই ঠিক যে বায়স্কোপে স্বচ্ছ কাছ নয় বরং দুর্বল ক্ষমতার পরিবর্ধক কাঁচ ব্যবহার করা হতো। আপনাকে নস্টালজিক করতে পেরে আমি আনন্দবোধ করছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমি কথা দিতে পারছি না, তবে চেষ্টা করবো ঐ বায়োস্কপ ওয়ালার কাছ থেকে বর্ণনা রেকর্ড করে যেন শোনাতে পারি।
সুরে সুরে বর্ণনা শুনতাম, সত্যিই অসাধারণ।

“আপনাকে কিছুটা নস্টালজিক মনে হয় করতে পেরেছি।” হ্যাঁ আপনি শতভাগ সক্ষম হয়েছেন কারণ এটা যখন পড়ছিলাম তখন অবচেতনে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম।

তবে এমন কিছু হয়তো আমার শেষ পোস্টেও অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্য।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢুকিচেপা ভাই, দ্বিতীয়বার মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ। আপনি যদি বায়স্কোপওয়ালার কাছ থেকে তার সুরেলা বর্ণনা রেকর্ড করে আমাদের ব্লগারদের শুনাতে পারতেন তাহলে খুবই ভালো হতো। ব্লগাররা যে এটা ভীষণ উপভোগ করবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

আপনার শেষ পোস্ট সহ অন্যান্য পোস্টগুলি নিশ্চয়ই পড়বো ইনশাল্লাহ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

মিরোরডডল বলেছেন:



তোমার বাড়ির রঙ্গের মেলায়
দেখেছিলাম বায়স্কোপ
বায়স্কোপের নেশায় আমায় ছাড়েনা

সাচু, গান শুনেছি আর টিভিতে দেখেছি ।

হঠাৎ তোমায় মন দিয়েছি
ফেরৎ চাইনি কোন দিন
মন কি তোমার হাতের নাটাই
তোমার কাছে আমার ঋণ,
মন হারালেও মনের মানুষ হারে না
বায়স্কোপের নেশায় আমায় ছাড়েনা



০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বায়স্কোপ নিয়ে যে এত সুন্দর একটা গান আছে আপনি না জানালে আমি জানতাম না। যদিও দলছুটের গান আমার ভালো লাগে কিন্তু আসলে গান থেকে অনেক দূরে বলে ( এখন কদাচিৎ গান শুনি, নিয়মিত না) ওদের সব গানও আসলে শোনা হয়নি। আপনি অনুমতি দিলে এই গানের লিঙ্কটা আমি লেখায় যোগ করতে চাই। ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বায়োস্কোপ! ষাঁটের দশকে আমরা ১ আনা দিয়ে বায়োস্কোপ দেখতাম। ১ আনার তখন অনেক মূল্য। কেরোসিনের সের ছিলো ৪ আনা ৫ আনা।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের জন্যই মুলত পোস্টটা দেয়া যারা নিজের চোখে বায়স্কোপ দেখেছেন। তাদের কাছে ব্যাপারটা নস্টালজিক। আপনার মত আমার বড় বোন ঐ সময় বায়স্কোপ দেখেছে। আমরা তার মুখে শুনেছি। পরে একবার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৯৯০ সালে যখন আমি একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই দেখেছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:



অবশ্যই যোগ করবে সাচু । এটা আবার জিজ্ঞাসা করতে হয় , পাগল একটা ।
গো ফর ইট । আই লাভ দিজ ওয়ান ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অনুমতি দেয়ার জন্য। অনুমতি নেয়াটা আমি একটা সৌজন্য বলে মনে করেছি তাই নিলাম। আসলে আমি এই গানটা শুনি নাই আগে। আপনি এটা খুঁজে আমাকে দিয়েছেন তাই অনুমতি নিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১২

ঢুকিচেপা বলেছেন: বায়োস্কপ ওয়ালার দোকানে গিয়েছিলাম, বেচারা অসুস্থ্য।
করোনাকালে অসুখ এখন দেখছি সম্ভাবনা ৫০% -৫০%।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক কষ্ট করেছেন। তবে সবার আগে বায়স্কোপওয়ালার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি যেন সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমি মুগ্ধ। ধন্যবাদ।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও ছোট বেলায় বায়োস্কোপ দেখেছি- তখন এই নিয়ে কি যে উন্মাদনা ছিল সেটা বলে বোঝানোর নয়।
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর'কে

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে ছোটবেলায় অতি সাধারণ জিনিস নিয়ে যে আনন্দ হতো তার তুলনায় বড়বেলার অনেক দামি দামি আনন্দ উপকরণ, সুযোগ সুবিধা ও প্রাপ্তিও কিছুই না। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৭

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: বেশ নস্টালজিক পোস্ট, শৈশবের কথা মনে করিয়ে দিলেন । আসলে বিষয়টা হলো- আগে এইসব দেখে শিশুদের মনে একটা কাল্পনিক জগৎ তৈরি হতো, যা বাস্তবের সাথে কোন মিল থাকতোনা । এখনকার শিশুদের কল্পনার জগৎ ভীন্ন । আগের তুলনায় এখনকার শিশুরা বেশ বাস্তববাদী । আরেকটি বিষয় হলো- রংপুর-বগুড়া অঞ্চলে এখনও ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শনীকে বায়োস্কোপ বলা হয় হয়তোবা কোলকাতার প্রথম চলচ্চিত্র থেকেই এটির উদ্ভব হয়েছে । খুব ভালো লাগলো রচনাটি । শুভকামনা জানবেন ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছোটরা যত সহজে আনন্দিত হতে পারে বড়রা তা পারে না। কারণ শৈশব, কৈশোরে মন থাকে রঙিন। এই রঙটা জীবনের অনেক কঠিন বাস্তবতায় ধীরে ধীরে সাদা-কালো হয়ে যায়। ফলে অনেক দামি দামি আনন্দ উপকরণও বড়দের মনে অনেক সময় আনন্দ তৈরি করতে পারে না। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:



সাচু বলেছে দলছুট ব্যান্ডের এই লিংকটা দেখুন ।
লিংকে দেখার কিছু নেই, গানটা শোনার ।
দেখুন বলতেই ওই মুহূর্তে পাঠক বায়স্কোপের ভিডিও দেখবে বলেই ক্লিক করবে আর প্রতারিত হবে । হা হা হা...... :)
সাচু দেখুন শব্দটা বদলে দিলে ভালো হয় ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা একদম ঠিক। তাই সংশোধন করে দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছোটবেলায় মেলায় দেখেছি বায়োস্কোপ অয়ালা । কিন্ত কখনো দেখা হয়নি।অভিভাবকেরা কেন যেন দেখতে দিতেন না

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের অভিভাবকরা অনেক সময় বাচ্চাদের মনের আকাঙ্খা ঠিক মত বুঝতে পারেন না। আমিও অনেক পরে একবার মাত্র দেখেছিলাম। তবে বায়স্কোপ জিনিসটা নিয়ে আমার অনেক কৌতূহল ছিল সবসময়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই, অনেক ধন্যবাদ এক শব্দে আর এক চিহ্নে পোস্টে আপনার ভালোলাগা জানানোর জন্য। ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ল্যাপটপ নষ্ট । অতটুকুই বহু কষ্ট কর

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দোয়া করছি অল্প পয়সায়/ বিনা পয়সায় যেন আপনার ল্যাপটপ ভালো হয়ে যায়। বাসার কোনও জিনিস নষ্ট হলে খুব মেজাজ খারাপ হয় আমার (যদিও নষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক)।

১৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৩

ইসিয়াক বলেছেন:





আআআ...রে, কী চমৎকার দেখা গেল/ নজর করে দেখো ভালো/ গাঁয়ের বধূ নাইওর এল/ তার পরেতে দেখা গেল/ যমুনায় পানি এল/ কী চমৎকার দেখা গেল/ সরকারবাড়ি ভাইসা গেল/ কুতুব মিনার হেলে গেল/ এই বারেতে দেখেন ভালো/ ঢাকা শহর দেখা গেল/ শেখ মুজিবুর আইসা গেল/ একাত্তরের যুদ্ধ হলো...।
আহ! মধুর শৈশব।কোথায় যে হারিয়ে গেলো।তখন জীবন ছিলো সহজ সরল এখনকার মতো জটিল নয়।ফিরে যেতে চাই সেই জীবনে।জানি কোনদিন সম্ভব নয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এত চমৎকারভাবে বায়স্কোপওয়ালাদের সুরেলা বর্ণনা বলে গেলেন!!! আমি খুবই বিস্মিত। আসলেই শৈশবে আনন্দ কত সহজে পাওয়া যেত। এখন বহু কিছু পাওয়ার পরও মনে আনন্দ নেই। আপনি ঠিকই বলেছেন সেই সরল জীবন চাইলেও তা আর ফিরে পাওয়ার নয়। শুধু কিছু স্মৃতি রয়ে গেছে যা আমাদেরকে ক্ষণিকের জন্য ছোটবেলায় নিয়ে যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: বায়স্কোপ দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি।
কিন্তু অনেক নাটক সিনেমা দেখেছি- বায়োস্কোপ কেন্দ্রিক।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ১৯৯০ সালে তালতলা মার্কেটের সামনে একবার মাত্র দেখেছিলাম। তবে ৭০ এর দশক পর্যন্ত বায়স্কোপ দেশের সর্বত্র সহজলভ্য ছিল বলে মনে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বায়োস্কোপ এখনও আছে গ্রামে গঞ্জে এবং শহরের বৈশাখীমেলায়। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়েদের কি আর সেসব টানে?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি, ঠিক বলেছেন বায়স্কোপ এখনও বিভিন্ন মেলায় কদাচিৎ দেখা যায়। তবে অতীতে এটা হরহামেশাই দেখা যেত এবং আমাদের জীবন যাত্রার অংশ ছিল। আসলে শুধু বাচ্চারা না প্রযুক্তি সুলভ হওয়ার কারণে আমার নিজেরও যেন কোনও কিছুতে মনোযোগ দেয়ার ধৈর্য কমে গেছে আগের চেয়ে। কি বোর্ড বা রিমটের সুইচ চাপলেই মুহূর্তেই নতুন কিছু দেখার লোভ সামলাতে পারছি না। বিনোদন বেশী সুলভ হলে আসলে মন বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৫৬

ওমেরা বলেছেন: বায়স্কোপ আমি কখনো দেখেনি তবে শুনেছি আজকে আমার পোষ্ট পড়ে বায়স্কোপ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হল। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মাত্র একবার দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে আমার বড় বোনের কাছে তার অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত এটা খুবই সুলভ ও জনপ্রিয় একটা বিনোদন মাধ্যম ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য। এখন কদাচিৎ মেলাগুলিতে বায়স্কোপ দেখা যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২২

রেজওয়ান করিম বলেছেন: বায়োস্কপের কথা শুধু বাবা-মা’র মুখেই শুনেছি। দেখিনি কখনো।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যাদের জন্ম ১৯৬৫ সাল বা তার আগে তারা বায়স্কোপের দর্শক ছিলেন বলা যায়। তখন এটা একটা সুলভ ও জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল শিশু- কিশোরদের আনন্দের জন্য। এই উপমহাদেশে চলচ্চিত্রের প্রাথমিক ধাপ ছিল বায়স্কোপ। প্রথম দিকের সিনেমা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলির নামের অংশের সাথে বায়স্কোপ শব্দ প্রায়ই থাকত। অনেকে বলেন পৃথিবীতে সিনেমা শিল্পের সূচনা হয়েছে বায়স্কোপের হাত ধরে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

তারেক ফাহিম বলেছেন: বায়স্কোপ দেখার সুযোগ হয়নি।


০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি একবার দেখেছি। আমার পরিবারের বড়দের মুখে অনেক শুনেছি। তবে এখনও অনেক মেলায় বায়স্কোপ প্রদর্শনী হয় কদাচিৎ। সুযোগ পেলে দেখে নিবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: বায়োস্কোপ দেখেছি। নেশায় ধরেনি।
তবে ছবি যতটা না ভাল তার চেয়ে উপস্থাপনাও কম থাকতো না। বাস্তবিক আমাকে কখনোই আকর্ষণ করতো না। কয়েকটি ছবি ঘুড়িয়ে দেখানো। এযুগে কি আর চলে, না চলা উচিৎ?

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ যুগে এটাই অনেক বিনোদন দিত ছোটদের। এই যুগের সাথে তুলনা করে লাভ নেই।

২১| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: বায়েস্কোপ সমন্ধে বিস্তারিত জানতে পারলাম আপনার লেখা পড়ে।আগে নাম ছাড়া তেমন কিছু জানতাম না।সচক্ষে কখনও দেখা হয়নি।

১০ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বায়স্কোপ এখন একটি হারানো ঐতিহ্য। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

২২| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বায়স্কোপ একবার কি দুইবার ছোট বেলায় দেখেছি। সালটা ৮৮-৮৯ হবে সম্ভবত।

তখন এর জনপ্রিয়তা প্রায় শেষের দিকে।

++++

১২ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমিও ১৯৯০ সালে একবার বায়স্কোপ দেখেছি শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। বায়স্কোপ এখন শুধু কদাচিৎ দেখা যায় কিছু মেলায়। ভালো থাকবেন।

২৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বিষয়বস্তু নির্বাচন দারূণ হয়েছে। স্মৃতি ও তথ্য সবই রয়েছে পোস্টটিতে।
চমৎকার ভাবে সাজানো গোছানো পোস্টে +++!

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্ট পড়া ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি আরও লেখার জন্য। যেখানেই থাকেন বা থাকবেন যেন ভালো থাকেন এই কামনা করছি।

২৪| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৮

সোহানাজোহা বলেছেন: বায়স্কোপ আমি সামনা সামনি দেখিনি। তবে বায়স্কোপ নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি। খুব ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি একবার দেখেছি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ১৯৯০ সালে। যদিও তখন আমি কলেজে পড়ি। এখন কদাচিৎ কিছু মেলায় দেখা যায়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নভোনীল গল্পের ১২ তম পর্ব কেউ পোস্ট করেছি কি ? জানলে একটু জানান , আমি পোস্ট করতে চাচ্ছি ?

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নভোনীল - ১২ কেউ পোস্ট করেনি। আপনার করার কথা। আপনি নিশ্চিন্ত মনে পোস্ট দিয়ে দিন।

২৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
নস্টালজিক লেখা ।
ছোটবেলায় গ্রামে দাদা বাড়িতে গিয়ে গ্রামের হাটবারে
বায়োস্কপে আমার দাদার সাথে রঙিন ছবি দেখেছিলাম।
এবং তখন আমরা অন্যান্য কাজিনরা মিলে নাগরদোলায়
ওঠা/দানাদার / বাতাসা ...
আহা!! সেসব স্মৃতিময় দিন আর ফিরে আসবেনা।
আপনার বাইস্কোপ লেখাটা পড়ে পুরোনো দিনে ফিরে
গেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ধৈর্য ধরে আমার লেখাগুলি পড়ছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি বেশ ভালোভাবে ভাব প্রকাশ করতে পারেন আপনার পোস্টে। আপনি লেখা লিখতে থাকুন। ব্লগে আপনার লেখা বোঝার অনেক পাঠক পাবেন।

২৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: আহ! বিজ্ঞান আমাদের কাছ থেকে চিরায়ত কত কিছুই না কেড়ে নিলো..

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বিজ্ঞানের সাহায্যে মানবিকতাকে জাগ্রত করা যায় এমন একটা গেজেট আবিষ্কার করা প্রয়োজন। বিজ্ঞান তো অনেক কিছুই পারছে। এবার মারনাস্ত্র বাদ দিয়ে এগুলির জন্য চেষ্টা করা উচিত।

২৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমার পরিচিত সেই লোকটাকে এখনো পাইনি, মানে দেখা হচ্ছে না। তাই ইউটিউবের একটা ভিডিও দিলাম। যারা একেবারেই দেখেননি তাদের জন্য।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢুকিচেপা ভাই অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ভিডিওটা পোস্টে সংযুক্ত করার জন্য। আপনি পোস্টটি সত্যিই অনেক পছন্দ করেছেন তাই আবার এসে ভিডিও দিয়ে গেলেন। আপনার পরিচিত বায়স্কোপওয়ালার খবর নিয়েন সে ভালো আছে কি না জানার জন্য।

২৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

ঢুকিচেপা বলেছেন:
সেই বায়োস্কপওয়ালা। দীর্ঘ ৬মাস অসুস্থ্য থাকার পর আজ বের হয়েছিল। হার্টের সমস্যা। এখনো বেশ দুর্বল, একটু হাঁটাহঁটি করলেই হাঁপিয়ে উঠে। বর্তমান অবস্থা দেখে গান গাওয়ার কথা বলতে পারিনি।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার জন্য খারাপ লাগছে। আল্লাহ্‌ ওনাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিক এই কামনা করছি। আপনি আপনাকে ধন্যবাদ কষ্ট করে ওনাকে খোঁজার জন্য।

৩০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.