নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যখন ক্লাস টুতে পড়ি ১৯৮০ সালে তখন আমরা ৫ পয়সা দিয়ে আইসক্রিম খেয়েছি। আমার চেয়ে বয়সে বেশী ব্লগাররা হয়তো বলবে এই অর্বাচীন বালক আমাদের কি শুনায়। তার পরও এই দেশের আর্থসামাজিক বিবর্তন সম্পর্কে একটু আলোচনা করার জন্য লিখছি। আমি আশা করি আমার চেয়ে বড়রা লিখবেন ১ পয়সার আইসক্রিম খাওয়ার কথা। অথবা কুলফি আইসক্রিমের কথা অথবা আরও অন্য কিছু যা আমরা জানি না। আমাদের সময়ও কুলফি ছিল কিন্তু আমার এখন ভালো করে মনে নাই। আমি কুলফি মনে হয় কমই খেয়েছি। আর ছোটরাও তাদের ছোটবেলার অভিজ্ঞতা লিখবে। বিভিন্ন প্রজন্মের ছোটবেলার কিছু চিত্র হয়তো আমরা পাবো। ফলে একই সাথে সৃতি রোমন্থন এবং সামাজিক বিবর্তনের পাঠ দুইটাই হবে বলে মনে করি। আমার বর্ণনার কিছু মফস্বল শহরের কিছু ঢাকার। তবে গ্রামে থাকার সৌভাগ্য আমার হয় নাই। এই জন্য আমি আমার পিতা মাতাকে সর্বদা দোষ দিতাম। তবে হয়তো জীবনের বাস্তবতার কারণে তাদের পক্ষে আমার আবদার পূরণ করা সম্ভব হয় নাই।
আমি এক পয়সা দেখেছি। তবে তখন এক পয়সা দিয়ে কিছু কেনা যেত না। আগে নাকি ফুটো পয়সা ছিল। বড়দের কাছে শুনেছি তবে দেখি নাই। ৫ পয়সার যে আইসক্রিমের কথা বলেছি সেটা আসলে মূলত একটা রঙ্গিন বরফ খণ্ড যার সাথে কিছু সেকারিন মনে হয় মিশিয়ে দেয়া হত মিষ্টি স্বাদের জন্য। এটা হোল সবচেয়ে সস্তা আইসক্রিম। এর চেয়ে ভালটা ১০ পয়সার। তার চেয়ে ভালটা ২৫ পয়সার। এটাতে মনে হয় কিছুটা নারকেল এবং হালকা দুধ জাতীয় জিনিস থাকত। প্রকৃত আইসক্রিমের কিছুটা স্বাদ এটা থেকে পাওয়া যেত। তবে আমরা সচরাচর ৫ বা দশ পয়সার আইসক্রিম খেতাম। আর এক টাকার আইসক্রিম হল প্রকৃত আইসক্রিম যাকে বলে সেটা। এটা অনেকটা এখনকার ৩০ বা চল্লিশ টাকা দামের আইসক্রিমের মতো। এর চেয়ে ভালো কিছু মনে হয় রাস্তায় ফেরি করে বিক্রি হত না তখন।
রাস্তায় ফেরি করে বিক্রি করা লটারির আইসক্রিম বলে একটা জিনিস ছিল। আইসক্রিম ওয়ালার বাক্সের উপরে একটা কাঠি রাখা থাকত যেটা মুক্তভাবে এর কেন্দ্রের চারপাশে ঘুরতে পারে। অনেকটা কাসিনো স্টাইলে এটাকে ঘুরিয়ে দেয়া যেত। বৃত্তের পরিধি বরাবর ১২ টা সংখ্যা থাকত বিভিন্ন স্থানে। কোথাও ১, কোথাও ২, কোথাও ৩ ইত্যাদি থাকত। তবে ১ বেশী থাকত। বাচ্চারা যত টাকা দামের আইসক্রিম কিনতে চায় সেই টাকা নেয়া হত (১ টা আইসক্রিমের দাম)। তারপর বাচ্চাকে এই কাঠি ঘুরাতে বলা হত। ১ এর ঘরে থামলে ১ টা, ২ এর ঘরে থামলে ২ টা, ৩ এর ঘরে থামলে ৩ টা আইসক্রিম দেয়া হত ঐ দামেই। আমার বলায় হয়তো কিছু ভুল থাকতে পারে। অনেক আগের কথা।
তবে কখনও কখনও মায়ের সাথে ঢাকা নিউ মার্কেট গিয়েছি। সেখানে সেই ১৯৮২ সালের দিকেও সম্ভবত একটা আইসক্রিম পার্লার ছিল। হয়তো আরও আগে থেকেই ছিল। আমি বলছি, যখন থেকে আমি দেখেছি বলে মনে আমার মনে পরছে।এখানের আইসক্রিমের দাম সম্ভবত তখনই ২০ বা ৩০ টাকা ছিল। এটা পরিবেশন করা হত বাটিতে। বিভিন্ন ফ্লেভারের ছিল। এই পার্লারটা সম্ভবত এখনও আছে। আইসক্রিমের এত দাম হতে পারে সেটা নিয়ে ঐ সময়ই খুব বিস্মিত হতাম। কি এমন জিনিস ওর মধ্যে থাকবে যে এত দাম। তবে ওখানে যেতাম কদাচিৎ। অনেকটা কদাচিৎ চাইনিজ খাওয়ার মতো। আমি মনে হয় দুই বা তিন বারের বেশী যাই নাই। আমরা মধ্যবর্তী পরিবারের ছিলাম। তাই বেশী অভাবও দেখি নাই আল্লাহর রহমতে আবার বিলাসিতার সুযোগও ছিল না।
আমার মনে হয় তখন ধনী লোক অনেক কম ছিল। তখন নামী স্কুলের সামনে বড় জোর ৮ বা ১০ টা গাড়ি দেখেছি ১৯৮৫ সালের দিকে। এখন তো কয়েক শ গাড়ি দেখা যায়। তবে স্কুলে পড়ার সময় বুঝেছি ( এখন বুঝেছি আসলে, তখন শুধু দেখতাম ) যে অনেকের আর্থিক অবস্থা বেশী ভালো ছিল না। অনেকে স্পঞ্জের স্যান্ডেল পায়ে স্কুলে আসত। মফঃস্বলে দেখেছি বেশীর ভাগেরই স্কুল ব্যাগ নাই। সবাই বুকের কাছে বইগুলি উন্মুক্তভাবে জড়ো করে হেটে স্কুলে আসত। অনেকে পাটের ঝোলার ব্যাগে (কবিদেরগুলি) বই আনত। বৃষ্টি আসলে অনেককে দেখেছি বই বাঁচানোর জন্য ছেলেরা গায়ের শার্ট খুলে বই আবৃত করতো।
অনেক সময় স্কুলে বৃষ্টির মধ্যে এসে শুনি যে বৃষ্টির কারণে স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়েছে। তখন খুব ভালো লাগতো। স্কুল ইন্সপেক্তর আসার আগের দিন আমাদের ভালো পোশাক, জুতা পড়ার নির্দেশ দিত স্কুল থেকে। ইন্সপেক্টর যাওয়ার পর সাধারণত ছুটি দিত পরের দিন। একদিন স্কুলের জন্য তৈরি হয়ে নীচে নেমে শুনি যে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কারণ জেনারেল এরশাদ সামরিক আইন জারি করেছেন। আমরা খুব খুশি হলাম শুনে।
৫ পয়সায় আচার পাওয়া যেত। ঐ সময় দেখেছি খুব কম ছেলে মেয়েই টিফিন আনত। অনেকে ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা বা ৫০ পয়সা আনত টিফিন টাইমে ( নিয়মিত না ) কিছু কিনে খাওয়ার জন্য। আবার অনেককে দেখেছি যে টিফিনও ও আনত না আবার কিছু কিনেও খেত না। এখন বুঝতে পারি এর কারণটা। তখন বুঝতাম না। শিক্ষকরা অনেকে খুব মারধর করতো। একবার ক্লাস ফোরে থাকতে শুনি যে আমাদের পাসের সেকশনের একটা ছেলেকে মেরে অজ্ঞান করে ফেলেছে শিক্ষক। একটা শীতল আতংক মনের মধ্যে ছেয়ে গিয়েছিল কথাটা শুনে।
১৯৮১ সালে ৩ টাকায় এক হালি দেশী মুরগির ডিম পাওয়া যেত। আমার বাবার সাথে একবার ১৯৭৯ সালে মফঃস্বলে বাজারে গেলাম। ১০ টাকায় পুরা বাজার করা শেষ ( মাছ, মাংস হয়তো ছিল না। মাছ থাকলেও ছোট মাছ হয় তো ছিল)। লাউ এর দাম নিল ১ টাকা।
আমি যখন থ্রি তে পড়ি ( ১৯৮১) তখন মফঃস্বলে আমি আর আমার ছোট ভাই একসাথে একা ( বড় কেউ থাকত না) রিকশায় করে স্কুলে যেতাম। যেতে লাগতো প্রায় ২৫ মিনিট। সেই হিসাবে এখন মনে হয় ভাড়া হওয়া উচিত অন্তত ৫০ টাকা। তখন আমাদের কাছ থেকে নিত ১ টাকা। উদার রিকশাওয়ালা দুই একবার আট আনাও নিয়েছে। প্রাইমারী স্কুলের চাঁদা ছিল মাসে এক টাকা। তখন ঢাকাতেও দেখেছি অনেক নামী স্কুলের মাসিক বেতন ছিল বড়জোর ৭০ টাকা। সাধারন স্কুলে আরও কম।
পোস্ট বেশী বড় হয়ে যাচ্ছে তাই এখানেই থামলাম। সময় সুযোগ হলে আবার লিখব ইনশাল্লাহ। আমি বয়সে ছোট ও বড় ব্লগারদের তাদের অনুরুপ অভিজ্ঞতার বর্ণনা আশা করছি। এখানে যা লিখেছি তা সৃতি থেকে ( কারও সাহায্য ছাড়া)। তাই তথ্যগত ভুল থাকতে পারে। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চার আনা মানে পঁচিশ পয়সায় আইসক্রিম খেতেন। প্রতিদিন মনে হয় খেতেন তাই চার দিনে এক টাকা লাগতো। আইসক্রিম বেশী খেলে দাঁতে পোকা হয় আর টনসিলের সমস্যা হয়। হা হা হা
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহারে আইসক্রিমের লোভ এখনো ছাড়তে পারি না। তাসীনের বাপের সাথে মার্কেটে গেলেই আইসক্রিম খাই, সে ভাজাপোড়া খায়। রিক্সায় বসে খাই আর তারে কই এক কামড় দেন কিছু হবে না হাহাহাহা, কখনো খায় কখনো খায় না। তার ঠান্ডার সমস্যা ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাইয়ার ঠাণ্ডার সমস্যা থাকলেও গ্যাসের সমস্যা নাই বোঝা যাচ্ছে। ওনাকে এখনও নববধূর মতো আপনি বলিবেন না। তুমি বললে সম্পর্ক গাড় হয়। তবে আপনার মনে হয় গ্যাসের সমস্যা আছে কারণ ওনার ভাজা পোড়াতে আপনি ভাগ বসান না বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আপনি আইসক্রিম বেশী খান বলেই আপনার দাঁতের এই অবস্থা।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঠিক কত পয়সায় আইসক্রীম খেয়েছি মনে নেই, তবে ১ টাকায় চটপটি খেতাম স্কুল জীবনে, ২টাকায় প্লেটগুলোতে ডিম অর্ধেকটা দেয়া হতো। অমৃতের মতো মনে হতো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিপদে ফেলে দিলেন আমার হিসাব নিকাশে। কারণ চটপটি স্কুলে কম খেয়েছি। কারণ বেশীর ভাগ সময় মফঃস্বলে ছিলাম। ওখানে আচার, চাটনি, আমড়া, আইসক্রিম, চকলেট ইত্যাদি খেয়েছি। ১ টাকায় বা ২ টাকায় চটপটি মানে অনেকটা শায়েস্তা খানের জমানা মনে হচ্ছে। মনে হয় আপনি আমার কাছাকাছি বয়সের। আপনার হিসাব ঠিক আছে। ঐ সময় ঐ রকমই ছিল। আর স্কুলের সামনে দাম একটু কম রাখে। ভালো থাকবেন।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: যে দিন গেছে সে দিন কি ফিরিয়ে আনা যায়। চার আনার আইসক্রীম খেয়েছি।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম
সে এখন ঘোমটা পরা কাজল বধূ দূরের কোন গাঁয়
পথের মাঝে পথ হারালে আর কি পাওয়া যায়
তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম
বৃষ্টি ঝরা পথের ধারে আম কুড়াতে এসে
ভেজা হাতে ডাকল আমায় বলল ভালবেসে
এখানে আম কুড়োবার ধুম লেগেছে
চল না অন্য কোথাও যাই
পথের মাঝে পথ হারালে আর কি পাওয়া যায়
যেদিন গেছে সেদিন কি আর ফিরিয়ে আনা যায়।। ফরিদা পারভিন
আমাদের সময় সর্বনিম্ন দাম ছিল ৫ পয়সা। তার পর ১০ পয়সা। আর চার আনার আইসক্রিম ছিল অনেক উন্নত মানের। সেটাতে কিছু দুধ আর নারিকেল থাকত। এটা আমরা কদাচিৎ খেতাম। এখন হয়তো দাম হবে ১৫ বা ২০ টাকা। তবে এখনকার আইসক্রিম অনেক উন্নত এটা স্বীকার করতেই হবে।
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এক টাকায় একধরনের বরফ রফ টাইপ আইসক্রি দিতো। খেলেই জিহবায় আইসক্রিমের রং লেগে যেতো।
আমি ফুটো পয়সা এক পয়সা দেখেছি। আমার সংগ্রহে ছিলো। চলতে দেখি নাই।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান যে ফুটো পয়সা দেখেছেন অন্তত। আমি দেখি নাই। যেটা আপনি ১ টাকায় কিনতেন বরফ ধরণের সেটার দাম আমাদের সময় মনে হয় ১০ পয়সা ছিল। এগুলিতে সেকারিন ব্যবহার করা হত চিনির বদলে। আর এক টাকায় অত্যন্ত উন্নত মানের
দুধের আইসক্রিম পাওয়া যেত। যেটার দাম এখন হয়তো ৪০ বা ৫০ টাকা হবে।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধুরু ভাইয়া আমার দাঁত কয়টা জানেন? ৩৪ টা ছিলো কয়েক মাস আগে একটা ফেলে দিতে হইছে। বাকীগুলো ঠিক আছে আলহাদুলিল্লাহ। যদিও একটা ক্যাপ বসাইছি হাহাহা
বদ বেটা আপনি কইরা বইলা অভ্যাস কইরা ফেলছি , তুমি মুখে আসে না আর
ভাজাপোড়া কম খাওয়াই ভালো, যদিও উনি সচেতন
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোনও মানুষের ৩৪ টা দাঁত থাকে এর চেয়ে বড় চাপাবাজি আর হতে পারে না। আক্কেল দাঁত সহ তাহলে মনে হয় ৩৮ টা হবে। ডারউইনের বিবর্তনবাদের মাধ্যমেই কেবল এটা সম্ভব। আপনি কয়েকটা দাঁত ফেলে ৩২ টা বানান আর মানুষের দলে চলে আসেন। ব্লগারদের ৩৩ টা বা ৩৮ টা দাঁত এটা শুনলে আপনার পোস্টে মন্তব্য কমে যেতে পারে। আমাকে বলেছেন আর কাউকে বইলেন না। তবে আপনার দাঁতে সমস্যা বলেই আল্লাহ্ হয়তো কিছু স্পেয়ার দিয়েছেন। ভাইকে কি শুধু আপনি বলেন নাকি নামের আগে জনাবও বলেন? তুমি মুখে না আসলে তুই বলতে পারেন। আমার এক বন্ধু তার বউকে তুই বলে ডাকে।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি নাকি ব্লগারদের বয়স বের করার জন্য এইসব পোস্ট দিচ্ছেন? বিনা উসকানিতে মানুষ অন্যের পোস্টে তো এইসব অভিযোগ করে যাচ্ছে আজ সকাল থেকে। হে সাড়ে ভাই, খেলব না। আসলে ব্লগের বিষয় হতে হবে গুরুগম্ভীর। এই যেমন ধরেন প্রায়োগিক নীতিবিদ্যা নিয়ে বিশ্লেষণ ধরনের কিছু। তুলনামূলক ধর্ম শাস্ত্রের সাথে শিল্প বিপ্লবগুলোর অমিল ও অপ্রাসঙ্গিকতা এইসব। কি সব হালকা পোস্ট দেন। ব্লগে বুদ্ধিবৃত্তিক আলাউদ্দিন মানে আলোচনা করার জন্য ব্লগার কমে গেছে। খালি বয়স আইসক্রিম এইসব ছাতামাথা লেখে হিট খেয়ে অন্যের পোস্টের বারোটা বাজানোর ধান্দা তাই না?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বয়স বার করা শেষ। এখন রেফারেন্স চেক করছি। কে কি রকম পরিবেশ থেকে এসেছে এটা জানার প্রয়োজনবোধ ব্লগের এডমিন না করলেও আমি এটা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। কারণ যে গুরুগম্ভীর আলোচনার কথা বলছেন তার জন্য শিকর সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তবে গুরুগম্ভীর আলোচনার আগে ঠিক করতে হবে কে হবে গুরু। আর সবাই গম্ভির থাকলে আলোচনা কিভাবে হবে। আর ব্লগিং আমার কাছে মনে হচ্ছে সঙ্গীতের মতো একটা গুরুমুখী বিদ্যা। কাজেই আমি অতীত জেনে উপযুক্ত ও যোগ্য গুরু খোঁজার চেষ্টা করছি। বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার আগে বোঝার চেষ্টা করছি ব্লগারদের বুদ্ধি হাঁটুতে না মাথায়। এইগুলি বোঝার জন্য প্রাথমিকভাবে মনস্তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছি। ছোটবেলার মনস্তত্ত্ব বোঝা সহজ কারণ তখন মানুষ ভণ্ডামি করা শেখে না। বাচ্চাদের মধ্যে কৃত্রিমতা পাবেন না। তাদের মনস্তত্ত্ব বড়দের চেয়ে সহজে বোঝা যায়। তাই ব্লগারদের শিশুকাল নিয়ে একটু টানাটানি করছি আর কি। আপনি কয় পয়সায় আইসক্রিম খেয়েছেন বলেন নি। নাকি আপনি পয়সাই দেখেন নি। নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। কারণ আমার চেয়ে মুরুব্বিরা আমাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে পারে। তার জন্য আমি প্রস্তুত। তবে মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণের জন্য তথ্য দিলে সবার উপকার হত। আর আইসক্রিম খাওয়ার তথ্যই তো চাচ্ছি। আমি তো আপনার ছোটবেলার গার্ল ফ্রেন্ডের নাম জিজ্ঞেস করছি না।
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #সাজিদ ভাইয়া , বয়স আর সময় নিরব ঘাতক, এই দুইটারে থামানো যাবে না । বয়স লুকাইয়া লাভ নাই। আমিও বুড়া মানুষ। ছেরে কলেজে পড়ে। তবে মনটা কুড়ি রেখেছি কিন্তু
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৬ বছরে আপনার বিয়ে হলে ( তখন নিষেধাজ্ঞা ছিল না) তাহলে আপনার বয়স বড়জোর ৩৫ হবে। আরও বাড়তি ২ বা ১ বছর যোগ দিলে ৩৭ বছর। কাজেই নিজেকে বুড়ো ভাবার দরকার নাই। আপনি এখনও মধ্য বয়সে পৌঁছান নাই।
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাপরে তুই, সাহসে কুলায় না আমার
তবে আমার দাঁতের ব্যাপারটা বিশ্বাস করলেন না । আমি মিথ্যা বলি না জনাব
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাইজানকে ভয় পান কেন। বডি বিলডার না কি। আর দাঁতের ব্যাপারে কি বলব। ডাক্তাররা আমাকে বলেছে যে আমার না কি কোনও দিনই আক্কেল দাঁত উঠবে না। আমি না কি ডারউইনের বিবর্তনের কারণে আধুনিক মানুষ। এদের নাকি আক্কেল দাঁত ওঠে না। যাই হউক স্পেয়ার দাঁত গুলির খেয়াল রাখবেন। আর দাঁতে ক্যাপ পরালে শোনা দিয়ে ক্যাপ বানাবেন। এতে লস নাই কারণ সোনার দাম সব সময় ঊর্ধ্বমুখী। বিপদে পড়লে দাঁতের ক্যাপ বেচতেও পারবেন। আর দূর থেকে চিক চিক করবে। ২২ কেরটের শোনা ব্যবহার করবেন।
১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
আমি সাজিদ বলেছেন: @ছবি আপু, এইগুলা আমার কথা না। কোন কোন ব্লগার কমেন্ট করছে। করে অন্য ব্লগারদের ছোট করছে। যে ব্লগার করেছে সে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা করতে চাচ্ছে। আমরা বুদ্ধির চর্চা করি না।
১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫২
অপু তানভীর বলেছেন: আমি ২৫ পয়সার আইক্রিম খেয়েছি এটা আমার স্পষ্ট মনে আছে । চার কোন বাক্স সাইকেল কিংবা ভ্যানের উপরে নিয়ে আসতো আইসক্রিম বিক্রেতা । এক টাকায় চারটা করে দিতো ! এটা নানী বাড়ি গেলেই খাওয়া হত ! তবে ১০ পয়সাটার খেয়েছি কিনা সেটা ঠিক মনে করতে পারছি না । একবার মনে হয়েছে খেয়েছি আরেকবার মনে হচ্ছে খাই নি ।
১ টাকার আইসক্রিম খেয়েছি সব চেয়ে বেশি ।
গরম কালে দুপুরের সময়ই ভ্যানে করে কুষ্টিয়ার বিখ্যাত রসমালাই নিয়ে হাজির হত আমাদের এলাকাতে । প্রথমে সেগুলো একটাকা ছিল । পরে সেটা হল দুই টাকা । এখন ৫টাকা আর ১০ টাকা !
এছাড়া আইসক্রিমের ভ্যানে করে আইসক্রিম তো আছেই । সেখানেও দাম ছিল এক টাকা আর দুইটাকা । দুধ মালাই ছিল দুই টাকা অন্য দিকে শক্ত লাল সবুজ আইসক্রিম ছিল দুই টাকা । ওভালটিন আইসক্রিমের দাম ৫ টাকা !
আরেকটা আইসক্রিম ছিল কুলফি মালাই । এটা মাটির বড় কলসি টাইপ পাত্রে নিয়ে আসতো । টিনের কৌটার ভেতরে আইসক্রিম থাকতো । এখানে একটাকা দুই টাকা ৫টাকা আর ১০টাকা দামের আইসক্রিম ছিল । তবে আমরা এক টাকা আর দুই টাকা দামের আইসক্রিমই খেতাম বেশি ।
সেই সব দিন আর নেই ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এবার মন খুলে লিখেছেন। সুন্দর সৃতি রোমন্থন। ধন্যবাদ।
১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
আমি সাজিদ বলেছেন: ওরে বাবা, আপনি দেখি আরেক ধাপ এগিয়ে। একেবারে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। এ আমি কোথায় এসে পড়লাম।
আমি তো পয়সা দেখেছি। কিন্তু তখন পয়সা দিয়ে কিছু কেনা যেত না। কি সর্বনাশ বয়স বলে দিলাম। এরচেয়ে ছোটবেলার বান্ধবীর নাম বলাই বরং ভালো ছিল।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছোট বেলার বান্ধবী যদি ব্লগার না হন তাহলে নাম বলতে অসুবিধা নাই। ব্লগের নিয়ম নীতির বিপরীত কিছুও হবে না। তবে একাধিক গার্ল ফ্রেন্ড থাকলে নাম বলার প্রয়োজন নাই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আইসক্রিম কি দুইজনে এক সাথে খেতেন?
১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
আমি সাজিদ বলেছেন: হ্যাঁ। আলাদা আলাদা ফ্লেভারের আলাদা আলাদা আইসক্রিম কিনে খেতাম৷ বেশ সময় ছিল সেটা।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আইসক্রিম খাওয়ার কারণে ছবি আপার ৩৮ টা দাঁত। আপনার এখন কয়টা আছে। আমাদের সময় আইসক্রিমে চিনির বদলে সেগারিন দেয়া হত। ফলে এরকম অনেকের ৩৮ টা দাঁত উঠেছে। তবে এখন মনে হয় চিনির চেয়ে সেগারিনের দাম বেশী। তাই মনে হয় চিনিই দেয়। আইসক্রিম পছন্দ করে না এমন মানুষ মনে হয় বিরল।
১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ১ টাকা দিয়ে স্যাকারিনের রঙিন আইসক্রিম খেতাম।এগুলোর মধ্যে আবার ৫০ পয়সা, ২৫ পয়সা এগুলো লুকানো থাকতো।সেগুলো চুষে, চেটে সাদা করে ফেলতাম।বড় ক্লাসের মেয়েদের দেখতাম লাল আইসক্রিম খেয়ে ঠোট লাল করতে।পাইপ আইস্ক্রিমের দাম ছিলো ৫০ পয়সা।কেটে ঝাল মশলা দিয়ে দিতো সেগুলোর ভেতরে।মশলার টেস্ট অনেকটা চটপটির টকের মতো ছিলো। লটারি আইসক্রিমে আমার ভাগ্য ভালো ছিলো সবসময়ই।প্রায়ই দুই তিনটা পেতাম।দাম ছিলো এক টাকা।বন্ধুদের সাথে ভাগ করে খেতাম। নারিকেলি আইসক্রিম ছিলো এক টাকা।কুলফি ছিলো দুই টাকা। চকবার খেতাম দোকান থেকে। দাম ছিলো ১২ টাকা। আর ভ্যানিলা ফেভারের কাপ আইস্ক্রিম ছিলো ১০ টাকা।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোঝা গেলো আইসক্রিমের ব্যাপারে আপনার ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে। আপনিও আইসক্রিম খাওয়াটা উপভোগও করেছেন পূর্ণ মাত্রায়। অনেকের লটারি ভাগ্য ভালো থাকে আপনার মতো। ভালো থাকবেন।
১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
পাঁচ পয়সার আইসক্রিম খেয়েছি। সেটা একটা মজার সময় ছিল। বিশ পয়সায় তখন নারিকেল মাখানো এক ধরণের আইসক্রিম পাওয়া যেত। সেগুলো ছিল অতুলনীয় স্বাদের।
দারুণ স্মৃতিচারণ করেছেন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আর আমি মনে হচ্ছে একই সময়ের লোক। ভালো থাকবেন।
১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।আমার লটারির ভাগ্য শুধু আইস্ক্রিমেই সীমাবদ্ধ। ডিমের লটারি ধরতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছি বহুবার।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডিমের লটারি কি জিনিস। এটা কি ফার্মের ডিম নাকি দেশী মুরগির ডিম? আমি কখনও নাম শুনি নাই।
১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ১ ফুটো পয়সায় বরফে রঙ দেওয়া আইসক্রিম খেতাম , দুধ দেওয়া সাদা ১০ পয়সা , মালাই ২৫ পয়সা । আমার মালাই বেশি ভাল লাগতো । মাটির বড় ভাঁড়ে লাল সালু দিয়ে বাধা সেই লোকটি স্বাধীনতার পরেও ছিল । মালাই তখন ১২ আনা । বাবার তীব্র নিষেধ ছিল এসব নোংরা জিনিস না খেতে । আমরা মালাই খেতাম কলা পাতায় । কলা পাতায় লেগে থাকা ঘন দুধ জিহবা দিয়ে চেটে খেতে কিযে ভাল লাগত । হ্যা নিউমার্কেটের ঐ দোকানে আইসক্রিম খেয়েছি অনেকবার । ৭৬ সাল থেকে ঢাকায় শিক্ষা জীবন ছিল পূর্ণ স্বাধীনতায় ঘেরা । ৮২ তে পিকিঙ্গে আরও বৃহত্তর পরিবেশে ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের বয়সের ব্লগারই খুঁজছিলাম। আপনাদের তুলনায় আমরা শিশু। ফুটো পয়সার নাম শুনেছি কিন্তু দেখি নাই। যেটা আপনারা ১ ফুটো পয়সায় খেয়েছেন আমরা খেয়েছি ৫ পয়সায় বাংলাদেশ আমলে। আপনারা সম্ভবত পাকিস্তান আমলে খেয়েছেন। আগের প্রজন্মের আইসক্রিম খাওয়ার বিভিন্ন তরিকা ভালই বর্ণনা করেছেন। আইসক্রিম (মালাই) খেতে কলাপাতা লাগে এটা আমাদের জন্য অবশ্যই বিস্ময়ের ব্যাপার। ঢাকা শহরে কলা তাহলে মনে হয় ছিল। আমিও দেখেছি খিলগাঁও এলাকায় ১৯৭৯ সালের দিকে। ১৯৮০ সালে নিউ মার্কেটে যখন মায়ের সাথে যাই তখন শুনি যে এটা নাকি নিউ মার্কেট তবে হয়েছে আরও অনেক দশক আগে। আমার শিশু মনে প্রশ্ন ছিল তবে এটাকে নিউ মার্কেট বলার দরকারটা কি। ৭৬ সালে নিশ্চয়ই আপনারা বেল বটম প্যান্ট পড়তেন। এখন তো মানুষে দেখলে হাসবে। প্যান্টের নীচের অংশ বেল ( ঘণ্টার) আকৃতির ঢোলা আর থাইয়ের কাছটা স্কিন টাইট। নায়ক ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, রাইসুল আসাদ এরা পড়তো সিনেমাতে। আমার কয়েকজন কাজিনের কাছে শুনেছি আর সিনেমাতেও দেখেছি। পরে পঁচাশিতে আসলো বেগি। বেল বটমের ঠিক উল্টা। অনেকটা চার্লি চ্যাপলিনের প্যান্টের মতো। আমার বড় ভাইয়ের খুব প্রিয় ছিল স্টাইলটা। পিকিং কি নিজের খরছে গিয়েছিলেন না কি বৃত্তি?
১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
শাহ আজিজ বলেছেন: নারকেল পাতা দিয়ে বানানো চামচ দিয়ে মালাই তুলে খেতাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরেকটা বিস্ময় করার মতো তথ্য দিলেন। নারকেল পাতা দিয়ে আবার চামচ বানানো যায় এটা আমাদের কল্পনায় আনা কঠিন। কলা পাতা, নারকেল পাতার, আমের আঁটির বাঁশির (ভেপু) কথা শুনেছি। কিন্তু চামচের কথা শুনলাম এবার। ব্লগারদের উপকার হবে এই সব তথ্যে।
১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এটা একটা লাভজনক ব্যবসা। চারজন একসাথে লটারি ধরতো।প্রতিজন এক টাকা। লটারি যে জিততো সে পেত ফার্মের মুরগির সিদ্ধ সাদা ডিম।তখন ডিমের হালি ছিলো দশ টাকা। এভাবে একটা ডিম চার টাকায় বিক্রি করা হতো। লটারির সিস্টেম ছিলো চারজনের প্রত্যেকের হাতে শাফল করা পাঁচটি করে কার্ড থাকতো যেখানে নাম্বার লেখা থাকতো প্রতি কার্ডে।এরপর লটারির হোস্ট তার বাক্স থেকে না দেখে একটা নম্বর ওঠাতো।যার নাম্বারের সাথে হোস্টের নাম্বার মিলে যেত সে ই হতো বিজয়ী।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুঝেছি এটা হোস্টেল লাইফের একটা মজার অভিজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: অতি মনোরম একটি পোষ্ট।
একদম ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। যে ছেলেবেলার কথা ভুলে গিয়েছিলাম আপনার পোষ্ট তা মনে করিয়ে দিলো।
আমি পড়তাম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। সেখানে স্কুলের সামনে আইসক্রীম বিক্রেতা বা ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে বসতে দেওয়া হতো না।
তবে একজন লোক আমাদের এলাকায় কাঠের বাক্সে করে আইসক্রিম বিক্রি করতো। আটা আনা, আর এক টাকা করে। ইচ্ছে মতোন খেতাম লুকিয়ে লুকিয়ে। ৯০ এর দিকেও আইসক্রীম খেয়েছি এক টাকা দুই টাকা করে। আমার মনে আছে এরপর বের হলো পোলার আইসক্রীম। তারও কিছু পরে বের হলো ইগলু।
সুরভি আইসক্রীম খুব পছন্দ করে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোলার অল্প সময়ে খুব নাম কামিয়েছিল। পরে কোনও কারণে কোম্পানিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার মনে হয় পরে এসেছে। তবে ইগলু কোম্পানি আরও আগের। এরা ১৯৬৪ থেকে ব্যবসা করছে। ভালো থাকবেন। সুরভি ভাবীর ঠাণ্ডার সমস্যা থাকলে বেশী আইসক্রিম খেতে দিবেন না।
২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: প্রিয়তে। কেনো?
পরে এসে বলছি।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো। পরে এসে বলবেন কিন্তু।
২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪
জুন বলেছেন: আপনি যে বরফের আইস্ক্রিম এর কথা বলেছেন স্যাকারিন আর লাল রং দিয়ে বানানো, তা খুব গরমের সময় আট আনা দিয়ে কিনে খেতাম ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়। স্কুল লাইফে মনে হয় চার আনা ছিল। ইউনিভার্সিটি লাইফের পর আর খাইনি।
বয়স বের করার কল বসাইছেন একি আজব কারখানা
+
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখন ঐ আইসক্রিম ছিল ৫ পয়সা। আইসক্রিম আমি এখনও খেতে পছন্দ করি। আমার বয়স নির্ণয়ের কল নির্ভর করে তথ্য, উপাত্তের উপর। আপনারা অনেকে মনে হয় মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন বয়স গোপন করার জন্য। হা হা হা ......
২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সুন্দর একটা পোস্ট। আমরা ছোটো বেলায় মালাই খাইতাম। মালাইওয়ালা ম্যালাই ম্যালাই করে সুর করে হাঁক দিতেন। আমার কেবলই মনে হচ্ছিল চার আনায় মালাই খেয়েছি, কিন্তু পরে অনেকের মতামত দেয়ার পর বুঝতে পারলাম, ৫ বা ১০ পয়সায়ও হয়ত মালাই খেয়েছি। আইসক্রিমকে বলা হতো মালাই বা মালাই আইসক্রিম। 'মালাই' নামটায় এতই অভ্যস্ত ছিলাম যে বয়স অনেক হওয়ার পরও আইসক্রিম দেখে মুখ থেকে 'মালাই' শব্দটাই বের হতো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মালাইয়ে দুধ থাকে তাই এটার দাম একটু বেশী হতে পারে। তবে আপনাদের সময় চার আনার বেশী হওয়ার কথা না। তবে অতি সাধারণ মানের রঙ আর সেগারিন মিশ্রিত বরফ খণ্ড সদৃশ আইসক্রিম আমরাই ৫ থেকে ১০ পয়সায় খেয়েছি শহরে। কারণ ওটার মধ্যে দুধ থাকত না। আমার মনে সব মালাইই আইসক্রিম কিন্তু সব আইসক্রিম মালাই না। মালাইয়ে অবশ্যই দুধ থাকতে হবে। ভালো থাকবেন।
২৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আমি সাজিদ বলেছেন: ও হ্যাঁ। বলতে ভুলে গেছি৷ ছোট বেলায় নানাবাড়িতে গেলে দেখতাম, চারকোনা বাকসো নিয়ে আইসক্রিম আংকেল ( আমি তাই বলতাম তখন) আসতো, একটা পরিমান চাল দিলে আইসক্রিম পাওয়া যেত, নারকেলের৷ এমনভাবে আইসক্রিম কেউ খেয়েছেন? পয়সা নয় চাল দিয়ে?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কাছ থেকে নতুন একটা তথ্য পেলাম যে বারটার সিস্টেমেও ( বদলা বদলি) আইসক্রিম বিক্রি হত। আদি কালে অর্থনীতি বারটার সিস্টেমে চলতো। সেই সিস্টেম আইসক্রিমওয়ালাও ব্যবহার করেছে দেখা যাচ্ছে। আমাদের সময় ভাঙ্গা জিনিস পত্র, কাঁচের বোতল ইত্যাদির বদলে আমরা বাদামটানা ( টাঙ্গাইলে) আর কটকটি (ঢাকায়) খেতাম। বাদামটানা হোল বাদাম মিশ্রিত একধরনের ভঙ্গুর প্রকৃতির রুটির মত ছড়ানো মিষ্টান্ন। চকলেট রঙের ছিল এটা। এটাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বিক্রি করা হত বারটার পদ্ধতিতে। কটকোটি হোল বাচ্চাদের জন্য এক ধরণের মিষ্টান্ন যেটা অনেকটা লোহার মতো শক্ত। এটাকে হাতুরি ও বাটাল দিয়ে ভেঙ্গে পিস পিস করে বিক্রি করা হত। দাঁতে সমস্যা থাকলে এটা খেতে গেলে দাঁত ভাঙ্গার শম্ভবনা ছিল। এটার রঙ হত হলুদ।
২৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
রামিসা রোজা বলেছেন:
আজকেও এই পোষ্ট !!
তাহলে বলি শুনুন আমরা যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম
তখন এক টাকা করে খেয়েছি বরফের আইসক্রিম কমলা
রং দেওয়া থাকতো ,দুই টাকা করে খেয়েছি দুধ আইসক্রিম
এবং ৫ টাকা করে খেয়েছি ওভালটিন আইসক্রিম ।
আর ইগলু আইসক্রিম ছিলো ১০ টাকা ( এটা ছিল ভেরি স্পেশাল খুব কম খাওয়া হতো)।
আজ আমার আইসক্রিম খেতে হবে আপনার এই লেখাপড়া
পরে আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে।
শুভেচ্ছা রইলো সুন্দর পোষ্টের জন্য ।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগারদের বয়সের উপর গবেষণা মোটামুটি শেষ। এবারের পরীক্ষা ব্লগারদের শৈশবকালের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ সংক্রান্ত। আইসক্রিম একটা বাহানা মাত্র। আপনি বুদ্ধিমতী তাই ধরতে পেরেছেন। হা হা হা......। আপনি যেটা ১ টাকায় খেয়েছেন সেটা আমি ৫ থেকে ১০ পয়সায় খেয়েছি। যেটা ২ টাকায় খেয়েছেন সেটা আমি চার আনায় খেয়েছি ( আনা বোঝেন আশা করি। না বুঝলে বলবেন। আপনার জন্য এটা ধাঁধা )। আমাদের সময় ওভালটিন আইসক্রিম ছিল না। তবে আমরা ১ টাকায় যেটা খেতাম সেটার বর্তমান দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ইগলু আইসক্রিম তখনও ছিল। এটার দাম আমার খেয়াল নাই ( কম খেয়েছি তাই)। আইসক্রিম অবশ্যই খাবেন তবে ঠাণ্ডা যেন না লাগে। ভালো থাকবেন।
২৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আমি সাজিদ বলেছেন: বাদামটানা( আমার কাছে এই নামে পরিচিত নয়) ও কটকটি আমিও খেয়েছি বাসি পত্রিকার, আগের খাতা এসবের বিনিময়ে। এভাবে শন পাপড়ি - হাওয়াই মিঠাইও পাওয়া যেত। আইসক্রিম চালের বদলে পাওয়া যেত। একটা নির্দিষ্ট পরিমান চালে বিশটি বা দশটি এমন বোধহয়, আইসক্রিম পাওয়া যেত ঠিক মনে নেই। ভ্যাকেশনে কাজিনরা সবাই নানাবাড়ি গেলে সবার জন্যই আইসক্রিম পাওয়া হয়ে যেত এই বদলা বদলিতে।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আবার দুইটা সুন্দর জিনিসের নাম বলেছেন। একটা হোল শনপাপড়ি আরেকটা হোল হাওয়াই মিঠাই। হাওয়াই মিঠাইয়ের আধুনিক নাম মনে হও ক্যান্ডি ফ্লস। এখনকার ক্যান্ডি ফ্লসের আকৃতি বড়। হাওয়াই মিঠাই কম দেয়া হত। শণপাপড়িও ও মনে হয় নতুন রুপে এখন পাওয়া যায়। বাদামটানা মনে হয় সব জেলায় পাওয়া যেত না। আমি টাঙ্গাইলে দেখেছি। এখন আছে কি না জানি না।
বোঝা গেলো আপনি আনন্দের কৈশোর পার করেছেন খালাত, মামাত, চাচাতো, ফুফাত ভাই ও বোনদের নিয়ে। ভালো থাকবেন। কাজিন বেশী থাকলে শিশুদের মানসিক বিকাশ ভালো হয়। এটা আমার ধারণা।
২৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি ১ আনা ২ আনা দামের আইসক্রিম খেয়েছি। ১ আনা = পাঁচ পয়শার চেয়ে কিছু বেশী হয়। যদিও আমাকে কখনো আইসক্রিম কিনে খেতে হয়নি। আমাদের ছোট একটি বরফ কল ছিলো।
১৯৭১ এর আগেও আনা’র প্রচলন ছিলো।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা চার আনা, আট আনা, বারো আনা, পাঁচ শিকা এভাবে হিসাব করেছি স্বাধীনতার পরে। আপনি কিছু সময় মনে হয় পাকিস্তান আমল পেয়েছেন তাই এক আনা দুই আনা আপনার জানা আছে। এটা আমরা জানলাম আপনার মন্তব্যে। ধন্যবাদ।
২৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! দিলেন তো মনে করিয়ে শৈশবের দিনগুলোকে।
আমিও আইসক্রিম খেয়েছি দশপয়সায়। রসগোল্লা ছিল কুড়ি পয়সার। বারো কিমি দূরে স্কুলে যেতাম বারো পয়সায়। দুই পয়সা খুচরা না থাকলে দিতাম না। কিন্তু কয়েকজন কন্ডাক্টর ছাড়তোনা। কুড়ি পয়সা দিলে পাঁচ পয়সা একটা দুই পয়সা ও একটা এক পয়সা মোট আট পয়সা ফেরত দিত। গরুর মাংসের দাম ছিল কেজি প্রতি বারো টাকা। তবে দারিদ্র্যতা ছিল অসম্ভব রকমের।
আপনার সম্ভবত সাতক্ষীরায় বাসা। আমারও ভুল হতে পারে। তবে যদি তাই হয়, আপনি জানেন কিনা জানিনা।
64 সালে সাতক্ষীরায় মূলত পলাশপোল- ইটাগাছা চত্বরে এক বিঘা জমির দাম জন্য 2000 টাকা। তখন চালমাপা হত 'সের' হিসেবে। এক সের চালের দাম ছিল চার আনা। একজন দর্জি একটি ছায়া বা একটি ব্লাউজ সেলাই করে পেতে চার আনা। একজন পাকা দর্জির দিনে দু টাকা রোজগার করতে হিমশিম খেয়ে যেত। একটা শার্ট এর মজুরি ছিল 12 আনা। প্যান্ট হত সুতির কাপড়ের, যার মজুরি ছিল দুই থেকে আড়াই টাকা।
শুভকামনা জানবেন।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ভাণ্ডার অনেক সমৃদ্ধ। আপনার গ্রামের অনেক সৃতি আছে বোঝা যাচ্ছে। আমার বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে। আপনারা কি সাতক্ষীরা থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে গেছেন? নাকি পশ্চিম বঙ্গেও আরেকটা সাতক্ষীরা আছে? পশ্চিম বঙ্গে আমি ১৯৯৮ সালে একবার গিয়েছি আর ২০১৭ সালে একবার গিয়েছি। প্রথমবার বিড়লাতে বাবার চিকিৎসার জন্য। দ্বিতীয়বার স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে। কলকাতার প্রতি আমি একটা টান অনুভব করি। সুযোগ পেলে আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ওখানে পথে, ঘাটে, মার্কেটে সর্বত্র এই পাড়ের অনেক লোক। ওনারা খুব নস্টালজিক পূর্ববঙ্গ নিয়ে। আমার দাদা মুর্শিদাবাদ, মালদহ ইত্যাদি এলাকায় সরকারি চাকরী করতেন। আমার বাবা ও কয়েকজন চাচা ও ফুফুর জন্মও হয়েছে ওখানে। বাংলাদেশে সম্ভবত ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সেরে চাল ও অন্যান্য জিনিস মাপা হত। তবে ১৯৬৪ তে আমার জন্মও হয় নি। আমার জন্ম ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে। ১৯৮০ দশকের শুরুতে বাংলাদেশে মধ্যম মানের সরকারি কর্মকর্তারা গড়ে ২০০০ বা ৩০০০ টাকা বেতন পেতেন মনে হয়। আপনার স্মরণ শক্তি অনেক প্রখর। সব দাম মনে রেখেছেন। ১৯৭০ সালে মনে হয় মানুষের বেতন হত ১০০০ টাকা সর্বচ্চ। আসলে দরিদ্রতা পশ্চিম আর পূর্ব উভয় অংশেই একই রকমই ছিল বলে আমার মনে হয়। আপনাদের দেশটা অনেক বড়। ভিসা ছাড়াই কত জায়গায় আপনারা অনায়াসে যেতে পারেন। ভালো থাকবেন।
২৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই মালাই বা বরফের আইসক্রিম দিয়ে মনে হয় বয়স বের করা যাবেনা। কারণ গ্রামে গন্জে গেলে এখনও মনে হয় এমন আইসক্রিম পাওয়া যায়।
তবে ২৫. ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০০
রামিসা রোজা বলেছেন:
আজকেও এই পোষ্ট !!
তাহলে বলি শুনুন আমরা যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম
তখন এক টাকা করে খেয়েছি বরফের আইসক্রিম কমলা
রং দেওয়া থাকতো ,দুই টাকা করে খেয়েছি দুধ আইসক্রিম
এবং ৫ টাকা করে খেয়েছি ওভালটিন আইসক্রিম ।
আর ইগলু আইসক্রিম ছিলো ১০ টাকা
রামিসা আপার মত আমারও একই অভিজ্ঞতা।
এই পোস্টে আসতে চেয়েছিলাম এই কারণে আপনার মত আমারও ছেলেবেলাটাই বেশি টানে।
আর একটা আইসক্রিম নিয়ে এমন স্মৃতিমধুর লেখা যা সকলকে নাড়িয়ে দেয় তার লেখককে পা ছুঁয়ে সালাম।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্যে আমি অভিভুত। গ্রামে গঞ্জে এখনও ৫ পয়সায় নিশ্চয়ই মালাই বা বরফের আইসক্রিম পাওয়া যায় না। এখনতো ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, চার আনা, আট আনা এগুলি ঢাকা জাদুঘরে আছে মনে হয়। আর আমি ব্লগারদের শিশুকালের কথা জানতে চেয়েছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা হবে ১৯৯৫ বা তার আগে। সেই সময়ে তারা কয় পয়সায় আইসক্রিম কিনেছে এটা জানলেই মোটামুটি আন্দাজ করা যায় ওনারা কোন দশকের। আশা করি বিষয় পরিষ্কার। ছেলেবেলার প্রতি আপনার টান দেখে আমি মুগ্ধ। ভালো থাকবেন।
৩০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ আরও কথা বলার আছে। লটারী আইসক্রিম দেখিনি কখনও। তবে নিউ মার্কেটের সে দোকানের নাম কি ভেনিসিয়া?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লটারির আইসক্রিম আমি ঢাকাতে দেখেছি ১৯৭৮ বা ১৯৭৯ সালের দিকে। নিউ মার্কেটের দোকানটার নাম সম্ভবত ভেনিসিয়া। এটা মনে হয় এখনও আছে। অনেক দিন ঐ দিকে যাই না তাই বলতে পারছি না। ভালো থাকবেন।
৩১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ফুট এক পয়সা ছিল সেটা দিতেও কিছু কেনা যেত।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জী ফুটা পয়সার কথা শুনেছি। আপনারা হয়তো দেখেছেন পাকিস্তান আমলে। এক পয়সার মাঝখানে একটা ফুটা থাকত। এই এক পয়সা দিয়েও আপনাদের যুগে কিছু কেনা যেত। এক পয়সা দিয়ে কিছু কেনা যেত এটাই একটা বিস্ময় আমাদের জন্য। এখন তো এক পয়সা, ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা এই সবই মনে হয় ঢাকা জাদুঘরে আছে শুধু। ধন্যবাদ।
৩২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮
জগতারন বলেছেন:
আমি ক্লাশ আমাদের গ্রামের স্কুলে 'টু'তে পড়িয়াছিলাম ১৯৬৭ সালে।
তখন আমাদের গ্রামে আইসক্রীম পাওয়া যাইওতো না।
প্রথম আইসক্রীম খাইয়াছিলাম; আমাদের গ্রাম্য হাটে।
দাম ছিল দুই পয়সা, আর সাদাটির দাম ছিল এক আনা, পাকিস্থানি পয়সা।
তখন ৬৪ পাকিস্থানি পয়সায় এক টাকা হইতো।
ভাল চাউলের সের ছিল ৮ আনা।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি একটা মূল্যবান তথ্য দিয়েছেন আনার ব্যাপারে। আমার চাচা, ফুফুদের কাছে শুনেছি যে পাকিস্তান আমলে ৬৪ পয়সাতে ১ টাকা ছিল। একে ১৬ দিয়ে ভাগ করলে ৪ পয়সায় এক আনা হত। ৪ আনা মানে ১৬ পয়সা, আট আনা মানে ৩২ পয়সা, বারো আনা মানে ৪৮ পয়সা আর ১৬ আনা হোল ১ টাকা। আমি কি ঠিক বলেছি? তখন কি ১ আনার বা ২ আনার মুদ্রা ছিল?
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১ টাকা হয়ে গেলো ১০০ পয়সার সমান। সকল আনার হিসাব বাতিল হয়ে গেলো। রইলো শুধু পয়সা। যদিও ২৫ পয়সাকে আমরা চার আনা বলতাম, ৫০ পয়সাকে আট আনা বলতাম, ৭৫ পয়সাকে বারো আনা বলতাম। তবে মুদ্রার গায়ে আনা লেখা থাকত না। লেখা থাকত ২৫ পয়সা বা ৫০ পয়সা। আমার ভুল হলে ঠিক করে দিয়েন। আপনি দুই পয়সাতে আইসক্রিম খেয়েছেন দেখা যাচ্ছে।
১৯৭৮ সালের দিকে চাউলের সের মনে হয় ছিল ৩ বা ৪ টাকা। আমি নিশ্চিত নই।
৩৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধন্যবাদ,মতের অমিল থাকতেই পারে সেই জন্য আলোচনার পথ খোলা আছে।আবারও ধন্যবাদ মুক্ত করার জন্য।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জী আপনি ঠিক বলেছেন। মতের অমিল মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে তাই বলে কথা কেন বন্ধ থাকবে। আপনার সৌহার্দপূর্ণ আচরণের জন্য ধন্যবাদ। আপনি অনেক বয়স্ক মানুষ অনেক ব্যাপারে আমাদের চেয়ে ভালো জানবেন। তাই অবশ্যই আলোচনায় অংশ নেবেন। ভালো থাকবেন।
৩৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২০
অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি ১৯৮২ এ ২ এ পড়েছি সেইসময়ে ঢাকার সবচেয়ে নামকরা বিদ্যালয় বলে বিবেচিত লিটল জুয়েলস এ। সেখানে ৬ বছর পড়েছি।
কিন্ত আইসক্রীম খেতাম কিনা মনে করতে পারছি না ।
কারণ নামকরা প্রতিষ্ঠান হলেও বেশীরভাগ শিক্ষিকার আচরণ ছিলো অত্যন্ত অভদ্রের মতো।
প্রধান শিক্ষিকা মিসেস কবির নিজে ইংল্যান্ড থেকে মন্টেসরি পদ্ধতি শিখে বাংলাদেশে প্রথম চালু করছেন বললেও তিনি নিজে কথায় কথায় এইসব শিশুদের টিসি দেয়ার হুমকি দিতেন।
এটা নিয়ে পরে লিখবো।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার স্কুলটা সম্ভবত ইংলিশ মিডিয়াম বা কিন্ডারগার্টেন প্রকৃতির ছিল। ঐ ধরণের স্কুলে অনেক অপ্রয়োজনীয় নিয়ম থাকে বলে আমার কাছে মনে হয়। পিঙ্ক ফ্লয়েড এর 'অ্যানাদার ব্রিক ইন দা ওয়াল' গানটা শুনলে ও দেখলে বোঝা যায় যে ইংল্যান্ডের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা কি রকম নিষ্ঠুর আর সাইকপাথ ছিলেন।এই গানটার তিনটি পর্ব আছে। গানটা ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক মহল সহ সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি করে। আমরা যারা বাংলা মিডিয়ামে পড়তাম তাদের তেমন নিয়ম কানুনের বালাই ছিল না। ছোট বেলায় মন্টেসরি পদ্ধতির কথা শুনেছি। কিন্তু তেমন কিছু জানি না। অনেক স্কুলের বিজ্ঞাপনে কথাটা মনে হয় ব্যবহার করা হত। তবে আমার বাচ্চাদের স্কুলের শিক্ষকদের যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে যে আমাদের সময় শিক্ষকরা কড়া হলেও অনেক মানবিক ও নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন ছিলেন।
৩৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৫
জগতারন বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর আমার ছোট্ট মন্তব্যটির উত্তর দেওয়ার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি পড়াশুনার জন্য যুক্ত রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ
ছাড়িয়াছিলাম ১৯৮২ সালের আগষ্ট মাসে। তখনও বাংলাদেশী ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সার বেশ ভালই মূল্য ছিল।
মোহাম্মদপুর থেকে সাইন্সল্যাবরেটরীর বাসের ভাড়া ছিল ২০ পয়সা।
আমি বাসে মোহাম্মদপুর টাউওন হল থেকে সাইন্সল্যাবরেটরী নামিয়া ঢাকা
কলেজে প্রানী বিদ্যায় সম্মান শ্রেনীর শেষ বর্ষ পর্যন্ত পড়াশুনা করিয়াছিলাম।
তখন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিল লম্পট এরশাদ।
চাউলের মূল্য ছিল আড়াই টাকা থেকে ৩ টাকা।
সেই সময়ে ডাকা নিঊ মার্কেটে একটি ইগলু আইসক্রীমের দোকান ছিল।
দুই টাকা থেকে ১০ টাকার মধ্যে ভাল আইসক্রীমে পাওয়া যাইত।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সাধু ভাষার ব্যবহারটা আমার ভালো লাগে। নিকটাও বেশ চমৎকার। আমার খেয়াল আছে ১৯৮৫ সালেও মহাখালী থেকে ফার্মগেট বড় মুড়ির টিন বাস গুলিতে ২৫ পয়সায় যাওয়া যেত। আপনার মন্তব্য থেকে আরও কিছু মূল্যবান তথ্য পেলাম। এগুলি ইন্টারনেটেও পাওয়া দুষ্কর। তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন দূর দেশে।
৩৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩২
স্থিতধী বলেছেন: ৯০ দশকে যাদের স্কুল জীবনের শুরু হয়েছে তাঁদের কারোরই অন্তত শহড় অঞ্চলে পয়সা দিয়ে আইসক্রিম বা মালাই বরফ এসব খাওয়ার ভাগ্য হয়েছে বলে মনে হয়না। ওই দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, পঞ্চাস পয়সা এসব চোখে দেখার ভাগ্য হলেও ব্যবহার করার ভাগ্য হয়নি । আর দশকের পরের ভাগে তো ওসব মোটামুটি উঠেই যায়। উপরের তমাল ও সাজিদ ভাই এবং রামিসা ও কবিতা আপুর বর্ণনায় মনে হচ্ছে ওনারা ওনাদের শৈশব / কৈশোর ঐ দশকেই কাটিয়েছেন। এই যে পয়সার চলটা উঠে গেলো এটা আসলে আমাদের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও দুর্নীতির একটা ইফেক্ট। ঊন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এখনো পয়সার চল আছে, কারন ওখানে কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স অনুযায়ী দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা জোরেশোরে হয় সরকারীভাবে। যাহোক, সে আবার আরেক অর্থ নীতির তর্ক।
আমারও যতদূর মনে পড়ে ঐ সময় স্কুলের সামনের ছোট ব্যাবসায়ীরা যে আইসক্রিম অথবা রঙের পাইপ আইসক্রিম বানাতো তা ১-৫ টাকার ভেতরেই থাকতো। দোকানের নানা পদের ব্রান্ডের আইসক্রিমগুলো শুরু হতো ৭ টাকা থেকে। চকবার টাইপের গুলো বেশিরভাগ ১০, ১২ বা ১৫ টাকার মধ্যে থাকতো। টেপ টেনিস দিয়ে ক্রিকেট যারা খেলতো তাঁরা ঐ সময়ের টেনিস বল ও টেপ এর দামের আলোচনাও শুরু করতে পারে! .
বারটার সিস্টেমে কটকটির চল তখনো ছিলো, অন্তত ৯০ দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত তো ছিলোই। আমার মনে হয় এখনো ঢাকার মিরপুরের কিছু এলাকায় এটা থাকলেও থাকতে পারে। মিরপুরবাসীরা ভালো বলতে পারবেন। ঐ সময় কান থেকে পোকা বের করার এক ধরণের বেদে মহিলারাও আসতেন কিছু এলাকায়।
মাঝে মাঝে এই জাতীয় টুকটাক কিছু পোল করার ইচ্ছা আমার ও হয়। সামুর ডেভেলপার রা ফেবুর মতো পোল করার সুবিধা আনতে পারলে ভালোই হতো। কাভা ভাইকে ট্যাগ করার সুবিধা থাকলে তাই করে এখানেই আর্জি টা জানাতাম।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিভিন্ন প্রজন্ম তাদের ছোটবেলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবে এরকম আশা করেই পোস্ট দিয়েছিলাম। আমার আশা পূর্ণ হয়েছে। আপনিও একটা প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসাবে সুন্দরভাবে আপনার ছোটবেলার সকুল জীবনের আইসক্রিম খাওয়ার কথা লিখেছেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৩৫ ডলার। আজ তা ২০০০ ডলার ছাড়িয়েছে। মাথাপিছু আয়ের মধ্যে অবশ্যই শুভঙ্করের কিছু ফাঁকি আছে। তারপরও মানুষের আয় ১৯৮৫ সালের পর থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টর তখন ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তবে ভোগবাদী চিন্তা ধারার ব্যাপক প্রসারও এই সময় থেকেই দেখা যায়। অর্থ মূল্যের কথা না ধরে যদি চিন্তা করি যে ১৯৮০ সালের আগে একটা মধ্যবর্তী পরিবারে কয়টা জিনিস থাকত আর এখন কয়টা জিনিস থাকে। দেখবেন যে আগের চেয়ে অন্তত ৫ গুণ বেশী জিনিস আমাদের ঘরে আছে। কিন্তু মানসিক প্রশান্তি কি ৫ গুণ বেড়েছে। অবশ্যই না। বরং মানসিক অস্থিরতা আগের চেয়ে অনেক বেশী বেড়েছে। আমরা প্রাইমারী স্কুলে বেতন দিতাম ১ টাকা আর এখন দিতে হয় ধরেন প্রায় ৫০০ টাক বা ১০০০ টাকা ( কম পক্ষে)। সমস্যা হোল সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেক বেড়েছে। গিনি ইনডেক্স বলে একটা ইনডেক্স আছে যা থেকে বোঝা যায় সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য কেমন। আমাদের অবস্থা গিনি ইনডেক্সে অনেক খারাপ দেখাচ্ছে। কিছু লোক বৈধ ও অবৈধভাবে অকল্পনীয় সম্পদের মালিক হয়েছে। আবার অনেকে ডাস্টবিন থেকে খাবার তুলে খাচ্ছে। এটা কোনও উন্নয়ন হতে পারে না। চরম দরিদ্রতা দূর না করতে পারলে এই রকম উন্নয়ন অর্থহীন।
৩৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সুরভি ভাবীর ঠাণ্ডার সমস্যা থাকলে বেশী আইসক্রিম খেতে দিবেন না।
কে শূনে কার কথা। সে তো আইসক্রীমের বাটি নিয়ে বসে। আর শেষ না হওয়া পর্যন্ত খেতেই থাকে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বরিশালের মেয়ে তো সমস্যা নাই। সব সহ্য করতে পারবে। আইসক্রিম কোনও ক্ষতি ওনার করতে পারবে না। আইসক্রিমের ক্ষতি হতে পারে তবে ওনার হবে না। পরীকে বেশী আইসক্রিম দিয়েন না। দাঁত নষ্ট হয়ে যাবে। এখানে অনেক ব্লগারের আইসক্রিম খেয়ে ৩৪ বা মতান্তরে ৩৮ টা দাঁত উঠেছে। কাজেই আইসক্রিম বুঝে শুনে খেতে হবে।
৩৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮
মা.হাসান বলেছেন: ব্লগে একজন কিরপিন থাকতে আপনি কম পয়সায় আইসক্রিম খাবেন তা হয় না।
আমি বিনে পয়সায় আইসক্রিম খেতাম।
টিফিনের সময়ে একেকদিন একেকজনকে টার্গেট করতাম। টিফিন পিরিয়ড ছিলো ৪৫ মিনিটের। পুরো সময়টা সাথে লেগে থাকলে ঐ বন্ধু অবশেষে বাধ্য হতো আমার সাথে তার টিফিন শেয়ার করতে। এই ভাবে চানাচুর, বাদাম, আইসক্রিম সবই ফ্রি পেতাম।
ক্যাটকেটে গোলাপি আইসক্রিম- পানি, কাপড়ে ব্যবহার করার রঙ আর স্যাকারিন ছিলো এর উপাদান- এর দাম ছিলো ১০ পয়সা। এটা কখনোই খেতাম না। নিজেরা বহু বার পরীক্ষা করে দেখেছি, এটাতে বড় বড় পোকা থাকতো। কেনো? এটা অনেক পরে বুঝেছি যখন বাসার পাশে একটা আইসক্রিম ফ্যাক্টরি হলো। যেই ছাচে আইসক্রিম বানায়, সেগুলো ঠিক মতো পরিস্কার করা হতো না।
২৫ পয়সার আইসক্রিমের রঙ ছিলো কমলা। এটাও স্যাকারিন আর পানির, তবে কিছু ফ্লেভার মেশাতো।
৫০ পয়সার আইসক্রিম সাদা, কিছুটা নারকেল থাকতো।
১ টাকার নিচের আইসক্রিমে দুধ থাকতো না।
আইসক্রিম ফ্যাক্টরির পাশে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হতো। দুধ পচার। কারন ঐ, সব ঠিক মতো পরিস্কার করা হতো না।
দুই টাকার আইসক্রিম ছিলো খুব ভালো মানের, কলা, আম আর আনারস ফ্লেভারের। তিন টাকায় কাপ পাওয়া যেতো। তবে চলতো না। ঐ সময়ে সাড়ে তিন-চার টাকায় দস্যু বনহুর পাওয়া যেতো। কাজেই দুই টাকা দিয়ে আইসক্রিম কেনার আগ্রহ আমার ছিলো না। কিছু পয়সা জোগাড় করতে পারলে এক বন্ধুকে দিতাম। পাঁচ টাকা হলে সে তার বাসা থেকে দুটা দস্যু বনহুরের বই চুরি করে আমার কাছে বেচে দিতো, ওর সিনেমা দেখা হতো, আমার বই পড়া।
তবে পয়সা ছাড়া, বন্ধুদের স্টকিঙ না করেও আইসক্রিম খাওয়া যেতো। শিশি-বোতল-লোহা-লক্কড়ের বদলে ঐ ১০ পয়সা দামের গোলাপি আইসক্রিম পাওয়া যেতো। এটা অনেক বড় হবার পরের ঘটনা। যখন পাঁচ পয়সার আইসক্রিম পাওয়া যেতো তখন ঐ বস্তুর উপর আমার আগ্রহ ছিলো না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বয়স বাড়িয়ে ৬৫ করেছিলাম। এবার সেটা কমিয়ে আবার ৫০ থেকে ৫৫ এর মধ্যে আনলাম। ৫০ হওয়ার শম্ভবনা বেশী। বয়স কমানোর কারণ হোল আপনি ফুটা পয়সার আইসক্রিম খান নাই এই জন্য। আমার বয়স মাপার যন্ত্র বারবার ভুল করে না। বিনা পয়সায় আইসক্রিম খেয়েছেন ঠাকুর মাহমুদও। তবে ওনাদের নিজেদের নাকি আইসক্রিমের কল ছিল। আমার এক পুরান ঢাকার বন্ধু ছিল স্কুলে। সে খুব উদার আর পয়সাওয়ালা ছিল। আমরা যেখানে নিজেরাই প্রতিদিন টিফিনের পয়সা জোগাড় করতে পারতাম না সেখানে সে আমাদের কয়েকজনকে এক সাথে খাওয়াত। এর কারণ পুরান ঢাকার মানুষের উদারতা আর তার পিতার আর্থিক সচ্ছলতা। সম্ভবত তার বাবা পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ছিল। আমরা প্রায়ই তাকে ধরতাম। আর সে কখনও না করতো না বরং খাওয়াতে পছন্দ করতো। আপনার বন্ধুকে পটানোর যে গুণ তা জীবনের সব ক্ষেত্রে কাজে লাগে। তাই মনে হচ্ছে মেয়েও ভালো পটাতে পারতেন। হা হা হা ... । আমরা শুনেছি যে হাজারীবাগের ড্রেনের পচা পানি নাকি ব্যবহার করা হত আইসক্রিম তৈরিতে। তবে গুজবও হতে পারে। তবে ঐ সব তথ্য বাচ্চাদের আইসক্রিম খাওয়া কমাতে পারে নাই কখনও। যশোরে ১৯৮৭ সালের দিকে আমি পুরানো বই ভাড়ার দোকান থেকে ভাড়া নিয়ে পড়েছি। বেশীর ভাগই সেবা প্রকাশনী বা অনুরুপ। অন্য প্রকাশনীর বইগুলি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য বেশী ছিল। সেগুলির প্রতি আগ্রহ বেশী ছিল তাই ভাড়ায় আনতাম। ১৯৮১ সালের দিকে সেবার কুয়াশার দাম সম্ভবত ৩ টাকা ছিল। আমি কুয়াশা নিয়মিত পড়তাম। বাসাতেই ৩০ টার মতো সিরিজ আগে থাকতেই ছিল। পরে আর নতুন বের হত না তাই একই বই বারবার পড়তাম ( কুয়াশা পরে বন্ধ হয়ে যায়)।
৩৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমি আটআনা দিয়ে আিইক্রিম খেয়েছি, ২৫ পয়সায় লজেন্স। তবে এগুলো বেশিদিন ছিলনা। আস্তে আস্তে তখন বাজার থেকে ৫,১০,২৫,৫০ পয়সা উঠে যাচ্ছিল।
++++
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাবিস্কো লজেন্স ছিল ২৫ পয়সা। এটা অন্যান্য লজেন্সের চেয়ে ভালো ছিল। আরও কম দামে অন্যান্য লজেন্স মনে হয় ছিল। আমি টফি খেয়েছি। এটা মনে হয় এখন নাই। অনেকটা লজেন্সের মতো। ভালো থাকবেন।
৪০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি জন্মের পর থেকেই স্বাস্থ্য সচেতন ছিলাম, তাই বাইরের কোন খাবারই খেতাম না। আইসক্রিম খাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মায়েরা সাধারণত এই ধরণের স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা বলে থাকেন তাদের সন্তানদের প্রতি। কিন্তু দেখা যায় মা বাচ্চার চেয়ে বেশী আইসক্রিম খাচ্ছে। আপনি নিজে খান নাই বুঝলাম। কারণ মনে হয় আপনি মা বাবার অত্যন্ত বাদ্ধগত ছিলেন। অসুবিধা নাই। আপনি আইসক্রিম নামক বস্তুর নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন আশা করি। ছোটবেলায় আপনাকে দেখিয়ে দেখিয়ে আপনার বন্ধুরা কয় পয়সার আইসক্রিম খেত যদি জানাতেন তবে আমার এই প্রজেক্ট সম্পূর্ণ করতে সুবিধা হত। হা হা হা ......
৪১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪
ঢুকিচেপা বলেছেন: এবার দেখি মেশিন চেঞ্জ করে বরফ কল নিয়ে বসেছেন।
পাঁচ পয়সা দিয়ে নরমাল আইসক্রিম এবং ১০ পয়সা দিয়ে মালাই আইসক্রিম খেয়েছি।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এবার ব্লগারদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে হালকা নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করেছি আর কি। আপনি আমার আমি সমবয়সী মনে হচ্ছে। ভালো থাকবেন।
৪২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪০
অনল চৌধুরী বলেছেন: সেই স্কুলের বাংলার প্রচলন খুব কম ছিলো
।প্রতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হতো বিভিন্ন রংয়ের ইংরেজী কার্ডে। এতে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ছাড়াও মনোযোগ, আচার-ব্যবহার, এসব বিষয়ে নাম্বার দেয়া হতো। সবকিছু ইংরেজীতে হওয়ায় অনেকের অভিভাবকদেরই ঘোষণা এবং অন্যান্য বিষয় বুঝতে সমস্যা হতো।
বাংলা বললে বা লিখলে জাত যায় আর অপ্রয়োজনে ইংরেজী ব্যবহার করলে জাতে উঠা যায়-এরকম একটা হীনমন্য মানসিকতা নিয়ে চলেতো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কড়া হলেও অনেক মানবিক ও নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন ছিলেন- মানতে পারলাম না। সেই সময় ২/১ জন ভালো শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন কিন্ত ৭৯-৯০ সালেও দেখেছি তাদের অকারণে বা তুচ্ছ কারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন বা বর্বর আচরণ করতে এবং ঘরে ঘরে ছাত্র পড়াতে ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ বলে গেছেন ' আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন' ।
আপনার স্কুলের পরীক্ষার নিয়মের সাথে শাহিন স্কুলের নিয়মের কিছু মিল পাচ্ছি। অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় নিয়ম আমার ভালো লাগে না।
আমি এই লেখাতেই লিখেছি যে আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি তখন একদিন শুনি যে আমাদের পাশের শাখার একটা ছেলেকে শিক্ষক মেরে অজ্ঞান করে ফেলেছেন। কাজেই এই নিষ্ঠুরতা অবশ্যই ছিল। এখন তো বলতে গেলে নেই। এই নির্যাতন প্রবণতা অবশ্যই খারাপ। তবে অনেক কড়া শিক্ষককে দেখেছি প্রচণ্ড মারলেও শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে কখনও ফাঁকি দিতেন না। পড়া তারা আদায় করে নিতেন। পড়া আদায় করে নেয়াটা তারা তাদের দায়িত্ব মনে করতেন (পদ্ধতি হয়তো ভুল ছিল)। মারা বাদে যদি চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন এই সব শিক্ষকদের সিংহভাগ ছিলেন (ব্যতিক্রম কিছু ছিল ) অত্যন্ত সৎ, রাজনীতি করতেন না, ছলচাতুরী করতেন না, শিক্ষক হিসাবে তার দায়িত্ব পালনে সদা সজাগ। এখনকার শিক্ষকদের যে দোষগুলি থাকে যেমন ফাঁকি দেয়া, বাণিজ্য করা, দলাদলি করা ইত্যাদি এগুলি আগের শিক্ষকদের মধ্যে কম ছিল। আসলে ঐ সময় মনে হয় পড়া না পারলে বা শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য নিষ্ঠুর পদ্ধতি অবলম্বন করাটা একটা সাধারণ সামাজিক রীতি বলে গণ্য হত। অভিভাবকরাও এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিতেন। কাজেই এটা আসলে শিক্ষকদের দোষ না এটা ঐ সময়ের একটা খারাপ চর্চা বলতে পারেন। এটা আগেও ছিল। আমার মা বলেছিলেন যে আমার মামাকে পাঠশালায় শিক্ষক প্রচণ্ড মেরেছিলেন ফলে তার জ্বর এসে গিয়েছিল। পরে আমার নানা গিয়ে পণ্ডিতকে কথা শুনিয়ে এসেছিলেন। এই মারার কালচারটা আসলে খারাপ ছিল। তবে এটাকে অনৈতিক বলব না। কারণ এটা ঐ সময়ের সমাজ স্বীকৃত খারাপ চর্চা যার দ্বারা শিক্ষক সমাজ প্রভাবিত হতেন। আর প্রাইভেট পড়ানোর ব্যাপারটা বা ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেয়া এগুলি অবশ্যই অনৈতিক আচরণ। তবে এই যুগের তুলনাই অনেক কম ছিল। আমাকে একজন শিক্ষক ক্লাস ফাইভে একবার ওনার প্রাইভেট কোচিং গ্রুপে ভর্তির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন। আমি রাজি হই নি (প্রয়োজন বোধ করি নি তাই)। কিন্তু এটার জন্য উনি আমার উপর কখনও রাগ করেন নি। বরং উনি আমাকে ক্লাসের মনিটর বানিয়েছিলেন পরে। এখন হলে ঐ ছাত্রের অবস্থা হত করুণ। অনেক শিক্ষক লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু নৈতিকতার কথা বলতেন যা ভালো লাগতো। মনে আছে ক্লাস ভাইভে থাকতে আমাদের একজন ম্যাডাম প্রায়ই বলতেন যে তোমরা কেউ পারফিউম ব্যবহার করবে না। প্রয়োজন হলে শার্ট বা জামা ধুয়ে পরবে ( বিলাসিতা পরিহারের উদ্দেশ্যে বলতেন)। আরও বেশ কিছু ভালো কথা বলতেন। ওনার এই ধরণের কথায় ঐ বয়সেও ওনার প্রতি আমার অন্য রকম একটা শ্রদ্ধা চলে এসেছিল। মাঝে মাঝে ম্যাডামের কথা মনে পরে যখন আমার বাচ্চাদের শিক্ষকদের অবস্থা দেখি।
৪৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৬
স্থিতধী বলেছেন: লেখক বলেছেন: ১৯৮০ সালের আগে একটা মধ্যবর্তী পরিবারে কয়টা জিনিস থাকত আর এখন কয়টা জিনিস থাকে। দেখবেন যে আগের চেয়ে অন্তত ৫ গুণ বেশী জিনিস আমাদের ঘরে আছে
ওই মধ্যবর্তী বা মধ্যবিত্ত ব্যাক্তি/ পরিবারের একটা বোধগম্য সংজ্ঞা নিরূপণ করাটাই একটা দুরূহ কাজ। ব্রিটিশ লেখক জেমস ব্র্যাডশ যখন প্রথম অষ্টাদশ শতকে এই শব্দটি ব্যবহার করেন তখন তিনি মূলত সমাজে এক শ্রেণীর নতুন ব্যবসায়ীর উল্লেখ করেন যারা আয়ারল্যান্ড থেকে ফ্রান্সে উলের কাপড় রপ্তানী করে নিজেদের অর্থনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তন করছে। এই ছোট ছোট ব্যাবসায়ী শ্রেণীকে ইউরোপে ধীরে ধীরে সামন্তবাদ ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেয়ার অন্যতম হাতিয়ার মানা হয়। অন্যদিকে মার্ক্সবাদীরা এদের পেটি বুর্জোয়া বলে উল্লেখ করতো কারন তাঁদের মতে এরা ধনিক বুর্জোয়া শ্রেণীর সহায়ক শক্তি হয় কেবল। ঊল্লেখ্য সমবায়ের মাধ্যমে তৈরি ইউরোপে সকল ইস্ট ঈন্ডিয়া কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার ও কর্মচারীদের তখন এই মধ্যবিত্ত শ্রেনীতে ফেলা হতো । মধ্যবিত্তের বোধগম্য সংজ্ঞা তৈরিতে তাই অর্থবিত্ত, শিক্ষাদীক্ষা, রুচি ও মূল্যবোধ এর কোনগুলো বেশী প্রাধান্য পাবে এ নিয়ে আজও আলোচনা চলে। তাই ৮০ দশকের মধ্যবিত্ত আর ২০২০ এর মধ্যবিত্ত বলতে আমরা একই গোষ্ঠীকে নির্ণয় করছি কিনা সেটাও একটা জানার বিষয়। মধ্যবিত্তের পরিচয়চিহ্ন বলে সামুতে একটা চমৎকার লেখা আছে এ নিয়ে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নৃবিজ্ঞান নিয়ে ভালো জ্ঞান আছে। এই বিষয়টা আমাকে আকর্ষণ করে। তবে বাংলায় তেমন ভালো বই মনে হয় নাই। ইংরেজিরগুলো আমাদের দেশের সাথে তেমন মেলে না। আপনার কথা ঠিক। আমিও মাঝে মাঝে চিন্তা করি আসলে আমরা এখন যাদের মধ্যবিত্ত বলতে চাচ্ছি তারা সবাই কি আসলে মধ্যবিত্তের দলে যাবে। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে যে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকেও উপ শ্রেণীতে ভাগ না করলে আসলে সঠিক শ্রেণী বিন্যাস হয় না। আর শুধু সম্পদ দিয়েও আসলে এই রকম শ্রেণিবিন্যাস করা ঠিক না। অন্য আরও কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন যা আপনি উল্লেখ করছেন। শুধু সচ্ছল হলেই হবে না কি মধ্যবিত্তকে এই শ্রেণীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষা, রুচি ও মূল্যবোধ অর্জন করতে হবে? এটা নিয়ে পণ্ডিতরাই বিতর্কে লিপ্ত। কাজেই মধ্যবিত্ত বলতে কাদের বোঝাবে সেটা এখনও অমিমাংসিত। আমাদের দেশে মনে হয় মধ্যবিত্ত ভালোভাবে দৃশ্যমান হয়েছে মূলত ১৯৪৭ সালের পর থেকে। এর আগে দেশের সাধারন মানুষের সিংহভাগ গ্রামীণ কৃষকের সন্তান ছিল যাদের মধ্যে লেখাপড়া খুব কম ছিল। রুচি ও মূল্যবোধ অবশ্যই তাদের ছিল কিন্তু সেটাতে মধ্যবিত্তের বৈশিষ্ট্য ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়। এগুলি অনেক গবেষণার বিষয় ও বিশেষায়িত জ্ঞান। আমার সাধারণ জ্ঞান থেকে মন্তব্যটা করলাম। বিশেষজ্ঞরা আরও ভালো বলতে পারবেন। আপনার দেয় লিংকটা আমি পড়বো ইনশাল্লাহ। ভালো থাকবেন।
৪৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৮
স্থিতধী বলেছেন: লেখক বলেছেন: সমস্যা হোল সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেক বেড়েছে। গিনি ইনডেক্স বলে একটা ইনডেক্স আছে যা থেকে বোঝা যায় সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য কেমন। আমাদের অবস্থা গিনি ইনডেক্সে অনেক খারাপ দেখাচ্ছে।
কথা খুবই সত্য। এই গিনি ইনডেক্স ( আয় বৈষম্য) আর মূল্যস্ফীতি এর মাঝেও কিন্তু একটা গভীর সম্পর্ক আছে। অর্থনৈতিক গবেষকরা বলছেন সাধারণত সমাজে যখন আয় বৈষম্য বাড়ে তখন মূল্যস্ফীতি ও বাড়ে। যেমন এই একাডেমিক গবেষণা কাজটি উল্লেখ করছে যে তাঁরা দুনিয়ার ৪৬ টি উন্নয়নশীল দেশের ২০০২ থেকে ২০১২ সালের অর্থনৈতিক তথ্য যেমন গিনি ইনডেক্স, মূল্যস্ফীতি, বেকারত্বের হার, প্রবৃদ্ধি ইতাদি বিশ্লেষণ করে দেখতে পাচ্ছে যে মূল্যস্ফীতি ও আয় বৈষম্যর মাঝে একটি অরৈখিক সম্পর্ক রয়েছে যেখানে মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে বাড়তে ১০৯% হওয়া পর্যন্ত আয় বৈষম্যও সমাজে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে।
সমাজে আয় বৈষম্যর নেতিবাচক প্রভাবটি যাতে ভয়ঙ্কর না হয়ে ওঠে সে জন্যই অনেক পুঁজিবাদী উন্নত দেশগুলো নিদেনপক্ষে নিত্যপ্র্যজনীয় পণ্যের বেলায় মূল্যস্ফীতি যেন প্রকট হতে না পারে তার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স এ ভিত্তিতে সে কারনেই তাঁরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও পলিসি হালনাগাদের কাজগুলো করে।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার অর্থশাস্ত্রের পর্যাপ্ত জ্ঞান আছে। আমি আমার সাধারণ জ্ঞান থেকে লিখেছি। মুদ্রাস্ফীতি একটা পর্যায় পর্যন্ত ইতিবাচক ও প্রয়োজনীয় একটা ব্যাপার। কিন্তু মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে দরিদ্র ও সীমিত আয়ের লোকেরা ( মধ্যবিত্ত সহ) জীবন যাপনে হিমশিম খায়। আর অতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতি অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরিতে সাহায্য করে। সমস্যা হোল আমাদের মতো দেশগুলি কল্যাণকামী অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণে আগ্রহী না। ইউরোপের অনেক দেশে এই ওয়েলফেয়ার ইকোনমিক সিস্টেম আছে। ফলে একটা মানুষ বেকার হউক, ভবঘুরে হোক, প্রতিবন্ধি হোক, বৃদ্ধ হোক, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হোক, নেশাখোর হোক সে কিন্তু মোটামুটি সম্মান নিয়ে বাচার নিশ্চয়তা রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবার মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো দেশগুলিতে কিছু লোক দেখানো সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী আছে যা অতটা কার্যকর না। আমাদের দেশে শুধু চালের দামটা সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এছাড়া অন্য কিছুর ব্যাপারে সরকারের মাথা ব্যথা নাই। এইগুলি আই ওয়াশ। আর আমাদের ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসলে কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপ ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। সরকার এদের কাছে হয় অসহায় বা সরকারের লোকজন এদের কাছ থেকে সুবিধা পায়। কৃষির ক্ষেত্রেও কৃষক কোনও সুরক্ষা আমাদের দেশে পায় না।
৪৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪২
স্থিতধী বলেছেন: লেখক বলেছেন: আর আমাদের ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসলে কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপ ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। সরকার এদের কাছে হয় অসহায় বা সরকারের লোকজন এদের কাছ থেকে সুবিধা পায়। কৃষির ক্ষেত্রেও কৃষক কোনও সুরক্ষা আমাদের দেশে পায় না
আমাদের রাষ্ট্রের এই বাস্তবতাগুলো যে কতখানি কষ্টকর আর হতাশাজনক তা বলে বুঝানোর ভাষা নেই। কল্যাণ রাষ্ট্রের অন্যান্য সুবিধা ও নিশ্চয়তা ওসব বাদ ই নাহয় দিলাম, শুধুমাত্র এই নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যর সঠিক উপায়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ আর বাসা ভাড়ার নীতি নির্ধারণগুলোতেও যদি রাষ্ট্র শক্ত থেকে আন্তরিক হয়ে কাজ করতো এ দেশের কোটি মানুষের জীবনমানের একটা সত্যিকারের উন্নয়ন হতো আর তার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে সমাজ আর অর্থনীতি দুইয়ের জন্যই অনেক বেশী ইতিবাচক হতো। কিন্তু দেশ যেন পুরো জিম্মি ওই সব অসাধু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটদের হাতে আর এদের ওই উপার্জিত অর্থটাও আবার এদেশে থাকেনা, কোটি কোটি টাকা হয়ে যায় পাচার এদেশের বাইরে। যাই হোক, আইস্ক্রিমের স্মৃতিচারণ গল্প টাকে আমি কোথা থেকে কোথায় নিয়ে গেলাম! তাঁর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ। আমি পোস্ট শুধু বিনোদনের জন্য আসলে দেয় নি। আমাদের দেশের আর্থসামাজিক বিবর্তনের গতিপথ সম্পর্কে ধারণা দিতে ও ধারণা পেতে পোস্ট দিয়েছিলাম। তাই আপনার মন্তব্য প্রাসঙ্গিক ছিল ও তথ্যবহুল ছিল। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি দশ পয়সায় আইসক্রিম নামের রঙ্গিন বরফের টুকরা খেয়েছি, আমি তখন ক্লাস ওয়ানে পড়তাম রোকনপুর স্কুলে পুরাণ ঢাকায়। বাসা থেকে চার আনা নিতাম, দশ পয়সার সাদা আইসক্রিম আর বাকি দিয়ে তেঁতুলের গোল্লা। কখনো চালতাম আচার অথবা আমড়া মাখা সরষে দিয়ে। কুলফি খেতে আঁট আনা লাগত সেটা বিশেষ দিনে। মাঝে মাঝে ভাইয়া সম্রাট আইসক্রিম নামে প্লাস্টিকের গ্লাসে বেশ দামি কিছু আইসক্রিম আনত তবে সেটার দাম জানতাম না।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি হাজারিবাগের কাছে একটা স্কুলে পড়েছি ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে। টিফিনের সময় হাজারিবাগ চলে যেতাম আইস্ক্রিম, আচার ইত্যাদি খেতে। কুলফি আমি বেশী খাই নাই। ধন্যবাদ।
৪৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৭
আনমোনা বলেছেন: সব ব্লগারদের মনস্তত্ব আর বয়স ব্লিশেষন করে কোনো পোষ্ট দিবেন কি? তথ্য কিন্তু একটা বিশাল দামী কমুডিটি, আপনি তাই নিয়ে পরেছেন।
একটাকায় বরফ, আর দুই টাকায় দুধ আইসক্রীম, চড়া রোদের মধ্যে কিনে খেতে খেতে বাসায় আসতাম। চারকোনা পাঁচ পয়সা, ঢেউ তোলা দশ পয়সা দেখেছি। তাতে কিছু কিনিনি। তবে একধরনের বিস্কুট পাওয়া যেত, টাকায় বিশটা দিত।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে বয়স বা মনস্তত্ত্ব বার করাটা মূল বিষয় না। আমি মাঝে মাঝে নস্টালজিয়াতে ভুগি। তাই ছোটবেলার কথা স্মরণ করেছি। আমার ধারণা অনেকেই এই সুবাদে তাদের নিজেদের ছোটবেলার সৃতি রোমন্থন করেছেন। কাউকে বিব্রত করার জন্য আসলে পোস্ট দেইনি। আমার ধারণা সবাই আনন্দই পেয়েছে। আমি আশা করবো আমি বা অন্য কেউ এই তথ্য কোন খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে না।
আপনার ছোটবেলার সৃতিও আমি উপভোগ করলাম। ভালো থাকবেন। আপনি অনেক দিন পোস্ট দেন না। একটা পোস্ট দিয়ে ফেলুন আমাদের জন্য।
৪৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচুর শৈশব পড়তে খুবই ভালো লাগলো । এতো কিছু মনে রেখেছে !
টিচার ছাত্রকে মেরে অজ্ঞান করে দিত এটা খুবই ব্রুটাল
কারো সাহায্য ছাড়া লিখেছে মানে কি, নরমালি কি সাহায্য নিয়ে লেখা হয়
জাস্ট কিডিং
আমার ছোটবেলা থেকেই টনসিল ছিল বলে আইসক্রিম কোল্ড ড্রিঙ্কস এগুলো বারণ ছিল ।
বড় হবার পর টনসিল সার্জারি করে ফেলা হয়েছে । মজার বিষয় হচ্ছে ওটি থেকে বের হবার পর, সেন্স ফিরে আসতেই প্রথমেই এক বক্স আইসক্রিম দেয়া হয়েছিলো । সম্ভবত ব্লিডিং বন্ধ হতে হেল্প হবে বলে ।
তখন থেকে আইসক্রিমে আর বাঁধা নেই । এখানেও বাংলা দোকানে কুলফি পাওয়া যায় ।
আমি মাঝে মাঝেই নিয়ে আসি । অনেকই মজার ।
এই লেখা পড়ে এখন এই মাঝরাতে আমার কুলফি খেতে ইচ্ছা করছে
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার স্মরণ শক্তি কম তারপরও এই ঘটনাগুলি ঠিকই মনে আছে। কারও সাহায্য ছাড়া লিখেছি বলতে আমি বুঝাচ্ছি যে আমি যদি আমার বড় ভাই, বোন, ফুফুদের সাথে এই ব্যাপারে আলাপ করতাম তাহলে আরও কিছু বাড়তি তথ্য দিতে পারতাম। এছাড়া আমি আমার লেখায় বলেছি যে আমি অনেক ক্ষেত্রে নিশ্চিত না আমার তথ্যের ব্যাপারে তাই ভুল থাকতে পারে। আমি চাইলে কারও সাথে আলাপ করে নিশ্চিত হতে পারতাম ও নির্ভুলভাবে লিখতে পারতাম। এই কারণে আমি বলেছি যে আমি কারও সাহায্য নেইনি। আমার মেয়েটার (১২ বছর) টনসিল ও এদিনয়েদের সমস্যা আছে। ডাক্তাররা অনেকে বলেছে অপারেশন করতে। আবার অনেক আত্মীয় ডাক্তার বলছে কয়েক বছর দেরী করতে। আরেকটু বড় হলে নিজে নিজে ভালো হতে পারে। ওর ইনফেকশন হয় না, গলা ব্যথা ও কাশি নাই কিন্ত কথা বলায় সমস্যা, রাতে নাক ডাকে, মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। খুব চিন্তায় আছি এটা নিয়ে। দোয়া করবেন। আমার স্ত্রী অপারেশন খুব ভয় পায়। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি অনেক বছর ধরে। ঠাণ্ডায় রক্তক্ষরন বন্ধ হয় এবং আপনাকে শান্ত রাখার জন্য হয়ত আপনার পরিবার আইসক্রিম দিয়েছিল অপারেশনের পরে। এই অপারেশনটা কি বেশী ঝুঁকিপূর্ণ?
৪৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু, মাহা আর ভুমের কমেন্ট পড়ে, আই ক্যান্ট স্টপ লাফিং
মাহা পুরো পোষ্টে পানি ঢেলে দিয়েছে ।
আর কি মজার সব ইনফো । আর লেখার স্টাইল দারুণ !
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগে অনেক রসিক ব্লগার আছে। তার মধ্যে মা হাসান আর ভুয়া মফিজ অন্যতম। ঢাকার রমনা পার্কে আগে হাসার একটা প্রভাতি ক্লাব ছিল। এখানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এসে জগিং করত আর কিছুটা সময় বাধ্যতামূলকভাবে একত্রে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ত কয়েক মিনিট ধরে। এভাবে অট্টহাসি স্বাস্থ্যের জন্য না কি ভালো। আপনি এটা প্র্যাকটিস করতে পারেন আপনার বন্ধুদের নিয়ে। বলবেন এটা বাংলাদেশের পরীক্ষিত একটা পদ্ধতি।
৫০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু সাচিকে বলবে এতে ভয়ের কিছু নেই । সার্জারি করে ফেলতে । ইজি !
টনসিলের আগেই আমার অন্য একটা বড় সার্জারি হয়েছিলো, তাই টনসিল কেটে ফেলা কোনও বিগ ডিল মনে হয়নি । জাস্ট দুদিন ছিলাম ক্লিনিকে । ফুল এনেস্থেসিয়া দিয়েই করেছিলো । আইসক্রিম ফ্যামিলি দেয়নি, ডক্টরই দিয়েছিলো , সবাইকে দেয় রাইট আফটার সার্জারি, ঐযে বললাম ব্লিড বন্ধ করার জন্য হয়তোবা ।
ছোটবেলা থেকেই এটা একটা প্যারা ছিলো, অল্পতেই কিছু হলেই গলা ব্যাথা হবে , ভীষণ ব্যাথা । অথচ কেটে ফেলার পর কি মজা ! বৃষ্টিতে ভিজতে পারি, ঠাণ্ডা খাওয়া, আইসক্রিম কোনকিছুতেই কোনও বাধা নেই । মুক্ত !
অবশ্যই বাবুর টনসিল কেটে ফেলা হোক , the sooner the better.
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। আসলে বিভিন্ন ডাক্তারের বিভিন্ন মত আমাদের দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে। একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে দেরী না করে।
৫১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৪
মা.হাসান বলেছেন: কুয়াশা ১৯৭৭/৭৮ পর্যন্ত বের হয়। শেষ ছিলো কুয়াশা ৭৪। এর পর দীর্ঘদিন বের হয় নি। পরে ১৯৮৪ বা ৮৫তে আবার বের হয়। সম্ভবত আরো চারটা বের হবার পর বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৭৮এর পর বাজারে কুয়াশা খুব কম পাওয়া যেতো, আউট অফ প্রিন্ট ছিলো। তখন দাম ছিলো ৪ টাকা। ১৯৮৪/৮৫তে বের হবার পর দাম এক লাফে দশ টাকা হয়ে গেলো।
টাকায় কুড়িটা যে বিস্কুট ওটার নাম সুপার বিস্কুট। বড় টিনে করে আসতো, প্যাকেট ছিলো না।
এক পয়সা দামের একটা জিনিসই দেখেছি। টিকটিকির ডিম। দশ পয়সায় দশটা। তবে দোকানে এক বা দু পয়সার কয়েন নিতে দেখিনি। পাঁচ পয়সা খুব চলতো। এগুলো একটু বড় হবার পর, যখন নিজে নিজে দোকানে যেতাম তখন। আশি সালে পাঁচ পয়সায় একটা বিড়ি পাওয়া যেতো। ৭৬এ সম্ভবত ২টা।
টনসিল অপারেশন খুব মাইনর অপারেশন। চিন্তার কিছু নাই। তবে কয়দিন আগে শুনলাম এক ডাক্তার অপারেশনের সময় বাচ্চার কিডনি কেটে ফেলেছে। এই জন্য ডাক্তার দেখে করাবেন। অবশ্যই ২০১০ এর ব্যাচের ডাক্তার অ্যাভয়েড করবেন।
ব্লগে ঐ ব্যাচের ডাক্তার থাকলে দুঃখিত। তবে স্বয়ং ডাক্তাররাও ওনাদের কাছ থেকে পানাহ চান।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মা হাসান ভাই আবার এসে স্মৃতিচারণ ও পরামর্শে জন্য ধন্যবাদ। কুয়াশার ব্যাপারে ঠিকই বলেছেন। আমি নিজে কিনে কুয়াশা পড়িনি। ১৯৮০ সালে আমাদের বাসাতে কুয়াশা ৯/১০ থেকে শুরু করে কুয়াশা ৪২/৪৩ ছিল। মাঝখানে দুই একটা বাদে। ওগুলোই বারবার পড়তাম। ১৯৮৪-৮৫ আবার বের হওয়ার খবরটা জানি না ছোট ছিলাম বলে। সুইটবলকে টিকটিকির ডিম বলা হত। ছোট প্যাকেটে ৩০-৪০ টা থাকত। আমিও ১ পয়সার লেনদেন দেখিনি।
ডাক্তারদের এই ধরণের উল্টাপাল্টা কাজের জন্যই অপারেশন করাতে ভয় পাচ্ছি। তবে করে ফেলতে হবে মনে হয়। ২০১০ সালের ডাক্তারদের ব্যাপারটা জানা ছিল না।
৫২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১০
রাজীব নুর বলেছেন: কিচ্ছু মনে থাকে না আমার।
দুপুরে ভাত খেয়ে একটু পর আবার ভাত চাই। মনেই থাকে না। এক সিনেমা ৪/৫ বার দেখি। সুরভি বলে এক সিনেমা কত বার দেখো। অথচ আমার কিচ্ছু মনে নাই।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুঃখের জিনিস ভুলে যাওয়া ভালো আর আনন্দের জিনিস বারবার স্মরণ করার মধ্যেই আনন্দ। আমার বয়স সম্পর্কে আশা করি ধারণা হয়েছে।
৫৩| ২৭ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি দুই পয়সা দিয়ে রঙিন বরফ তথা আইসক্রীম খেয়েছি। তার চেয়ে একটু ভালটার দাম ছিল এক আনা বা চার পয়সা (তখনকার দিনের, পরে ছয় পয়সা)। তারও চেয়ে ভাল, দুধ মেশানো আইসক্রীমের দাম ছিল দুই আনা। স্কুলে দুই পয়সা দিয়ে ছোট প্লেটের চটপটি পাওয়া যেত, তার চেয়ে একটু বড়, মাঝারি আকারের প্লেটের দাম ছিল এক আনা, আর দু'আনায় পাওয়া যেত ফুচকাসহ অপেক্ষাকৃত বড় চটপটির প্লেট।
দু'আনা হালির ডিমও খেয়েছি। নিউ মার্কেটের সেই আইসক্রীম পার্লারের নামটি ছিল নভেল্টী। সংসার শুরু করার পর আমরা দু'জনে প্রায়ই সেখানে যেতাম। দাম বেশি হলেও, মজা ছিল।
২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনার সৃতি রোমন্থনের জন্য। নিউ মার্কেটের আইসক্রিম পার্লারের সঠিক নাম বলার জন্য আবারও ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভ কামনা।
৫৪| ২৭ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৩৫
রানার ব্লগ বলেছেন: এক টাকায় দুইটা মালাই আইসক্রিম খেয়েছি !!!
২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টের বিভিন্ন মন্তব্যে একটা জিনিস বোঝা গেলো যে আইসক্রিম সবার খুব প্রিয় খাবার। আপনার ছোটবেলার সৃতি রোমন্থনের জন্য ধন্যবাদ।
৫৫| ২৭ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "রিক্সায় বসে খাই আর তারে কই এক কামড় দেন কিছু হবে না হাহাহাহা, কখনো খায় কখনো খায় না" - আহা, কি মায়া! বড় ভাল লাগলো।
আমি ফুটো পয়সাও (এক পয়সা) চলতে দেখেছি, তবে তাতে খুব সামান্য কিছুই পাওয়া যেত, যেমন হজমির বড়ি বা এক টুকরো আচাড়। সাধারণতঃ অন্য মুদ্রার সাথে যোগ হয়ে তিন, পাঁচ, সাত, নয় বা এগার পয়সার মত লেনদেনে সেই ফুটো পয়সাটা বেশি ব্যবহার করা হতো।
আনা-পয়সার ব্যাপারটা ঠিকমত বুঝার সুবিধার্থে আমি আমার গতকালের পোস্টে আমার নিজেরই একটা মন্তব্য থেকে কিয়দংশ এখানে তুলে ধরছি, কারণ আশা করছি আমিই আপনার এই পোস্টের শেষ পাঠক নই। আমার পরেও আরো অনেক পাঠক এ পোস্টে আসবেন এবং তাদের শৈশব অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করে যাবেনঃ
"হিসেবটা ছিল এরকমঃ
১৯৬৪ বা ১৯৬২ সালের আগেঃ (সঠিক সালটা মনে নেই)
৪ পয়সায় ১ আনা
৮ পয়সায় ২ আনা
১২ পয়সায় ৩ আনা
১৬ পয়সায় ৪ আনা
এভাবেই,
৩২ পয়সায় ৮ আনা
৪৮ পয়সায় ১২ আনা
৬৪ পয়সায় ১৬ আনা = এক টাকা।
১৯৬৪ বা ১৯৬২ সালের পরেঃ (সঠিক সালটা মনে নেই)
৬ পয়সায় ১ আনা
১২ পয়সায় ২ আনা
১৮ পয়সায় ৩ আনা
২৫ পয়সায় ৪ আনা (এক পয়সা অতিরিক্ত যোগে)
৩১ পয়সায় ৫ আনা
৩৭ পয়সায় ৬ আনা
৪২ পয়সায় ৭ আনা
৫০ পয়সায় ৮ আনা (দুই পয়সা অতিরিক্ত যোগে)
এভাবেই,
৭৫ পয়সায় ১২ আনা
১০০ পয়সায় ১৬ আনা = এক টাকা।"
২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বেশ আগ্রহ নিয়ে এবং অনেক পরিশ্রম করে পয়সা, আনার হিসাব বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। আমার চাচা ফুফুদের মুখে কিছু হাল্কা ধারণা ছিল। এখন ব্যাপারটা পুরোপুরি পরিষ্কার।
আপনি অনেক পুরনো পোস্ট সময় করে পড়েন এবং মন্তব্য করেন। আপনার এই অভ্যাসটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমিও আশা করি আপনার মত আরও কোন ব্লগার এই পোস্ট পড়বে ও মন্তব্য করবে। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শিরোনামের উত্তর দেই আগে , চার আনা দিয়া খাইতাম, এক টাকায় চারদিন চলতো আহা আমার সোনাঝরা দিনগুলো।