নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'জুতা আবিষ্কার' কবিতার ছায়া অবলম্বনে একটি রম্য কবিতা
রাজামশাই কহিলেন শোন কান খুলিয়া,
মন্ত্রী উজির বুদ্ধি বাহির কর সকলে মিলিয়া।
বর্ষার বারি আর প্রখর রোদ লাগিবে কেন গায়,
বৃষ্টি আর রোদে প্রাসাদ হইতে বাহির হওয়া দায়।
তোমরা আরাম, আয়েশ নিয়ে মহাব্যস্ত,
গোগ্রাসে গিলিতেছ কাবাব, কোরমা আস্ত আস্ত।
প্রতিকার খোঁজো নয়তো কারও হবে না কো নিস্তার,
বৃষ্টির ধারা আর রবির কিরণের হয় না যেন বিস্তার।
উজির নাজির সভাসদ মহাচিন্তায় পরিল,
এই বুঝি রাজামশাই সাধের প্রাণটাই হরিল।
বৃষ্টি আর রোদ প্রকৃতির উপহারের তুল্য,
রাজা-বাদশার কাছে বুঝি নেই তার মূল্য।
শলা-পরামর্শ করিয়া সভাসদ কাটাইল দুইদিন,
উপায় খুজিতে তারা লাগিলে যাইবে চীন।
প্রধান উজির কহিলেন ঢাকিতে হইবে আকাশ,
যেভাবেই হউক রুধিতে হইবে বৃষ্টি আর রদ্দুরের প্রকাশ।
সকলে কহিয়া উঠিল উজিরের বুদ্ধিটা মন্দনা,
সেই সাথে প্রান বাঁচাইতে চলিল ভগবানের বন্দনা।
রাজ্য জুড়িয়া টাঙানো হইল বিশাল চামড়ার শামীয়ানা,
সূর্যের আলো আর বৃষ্টির ধারার প্রবেশ একদম মানা।
কয়দিন চলিল এই পন্থায়,
উদ্ভিদকূল কহিল হায় হায়।
আলোর অভাব আর বারিহীন খরায়,
গাছ-গাছালীর জীবন বুঝি এই যায় যায়।
অবশেষে এই পন্থার অসারতা বুঝিল সকলে,
নতুন বুদ্ধি বাহির না করিলে কি করিয়া চলে।
রাজপুরোহিত কহে রোদ-বৃষ্টি দেয় ভগবান,
রোদ-বৃষ্টি তবেই থামিবে ভগবান যদি চান।
দিনভর শুরু হইল ভগবানের জয়গান,
একটাই চাওয়া সবার রোদ-বৃষ্টির অবসান।
রাজমন্দির ভরিয়া গেলো হাজার পূজারীর পুণ্যতে,
পুজার অবসান হইল যখন দেখিল প্রাপ্তির খাতা শুন্যতে।
কি করা যায়,
কেহ ভাবিয়া না পায়।
অবশেষে এক বোকা চাষা,
মাথায় মাথাল সহ লাগিতেছে খাসা।
সেই চাষা সাহস করিয়া আসিল রাজার দরবারে
কহিল মহারাজ একটা কথা বলিতে চাই বলিব কাহারে।
রাজামশাই ভাবে সামান্য চাষা
বুঝি বা সাহায্য চাইতে দরবারে আসা।
কহিলেন বলে ফেল যা আছে তোর বলার,
রাজার ভাণ্ডার থেকে মিলবে নানান ফলার।
মহারাজ আমার কিছুই চাই না কহিল বোকা চাষা
তবে রোদ-বৃষ্টির উপায় নিয়ে বুদ্ধি পেয়েছি খাসা।
রাজা কহেন খাসা বুদ্ধি জলদি বল
ব্যর্থ হলে যাইতে হইবে সাগরতল।
মহারাজ এই মাথাল রোদে বাঁচায় আমায়,
রদ্দুর আড়াল করে যদিও মাথা কিছুটা ঘামায়।
মহারাজের মাথার উপর মাথালের চেয়ে বড়
যদি একখানা ছাউনি রাখা যেত বড়সড়।
রাজা কহেন চাষা ব্যাটার বুদ্ধিটা মন্দ নয়
বৃষ্টি আর রদ্দুরের ঝামেলাটা যদি দূর হয়।
রাজ্যের দর্জি, কারিগর আর যত জ্ঞানী মাথা
সকলে মিলিয়া বানাইল এক রাজকীয় ছাতা।
সভাসদ হাফ ছাড়িল প্রাণ যায় নাই বলিয়া
রাজা মশাই মহা খুশি ছাতার জাদুতে মজিয়া।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চাইনিজরা ৪০০০ বছর আগে ছাতা আবিষ্কার করে। তাই সম্ভবত কোনও চাইনিজ রাজার হুকুমে ছাতা তৈরি হয়।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা.........তাহলে ছাতা এভাবেই মাথায় উঠেছিল..........।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার তাই মনে হয়। সঠিক ইতিহাস বলতে পারি না। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: এই ছড়া কি সা চু'র । চমৎকার হয়েছে ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি শাহ আজিজ ভাই। আমি বিকাল ৫ টা থেকে শুরু করে ৯ টায় শেষ করেছি। মাঝখানে ১ ঘণ্টা বিরতি ছিল। ভাবলাম মহামানবদের আইডিয়া থেকে ধার করলে ওনাদের কোন ক্ষতি হবে না। তাই এই দুঃসাহস দেখালাম। ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জানা হলো ছাতা আবিষ্কারের কাহিনী । মাথার উপর এইভাবে ছাতা উঠলো।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি। কবিগুরু লিখেছেন জুতা নিয়ে। ছাতা নিয়ে লেখার সময় পান নাই। তাই ভাবলাম লিখে ফেলি। ওনাদের লেখা চুরি করলেও মাইন্ড করবেন না।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৫
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ছাতা ছড়া ভালো লাগল।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমারো যে ছিলো তা মনেতে
চাষার বেটা তা পারিলো কেমনে জানতে
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নুরু ভাই আপনি কবিগুরুর কবিতার চমৎকার উদ্ধৃতি দিয়েছেন আপনার সৃতি থেকে। ধন্যবাদ।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
উম্মে সায়মা বলেছেন: বাহ বেশ বেশ!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর, যেমন গল্প, তার চাইতেও আকর্ষণীয় হয়েছে রচনাশৈলী। আপনার কোনো পদ্যরচনা আগে পড়েছি বলে মনে পড়ে না, কিন্তু কবিতা রচনায়ও যে আপনি সমান ভাবে দক্ষ এবং সিদ্ধহস্ত, এ কবিতা তার প্রমাণ। কবিতায় বর্ণিত প্রতিটা সিকোয়েন্সের চিত্রকল্প স্পষ্ট হয়ে চোখে ভেসে উঠেছে। চরিত্রগুলোও পূর্ণাঙ্গ ছিল।
সুযোগ থাকলে একটু অ্যাড করতে পারেন। জুতা আবিষ্কারে জনৈক মন্ত্রী বলেন - 'আমারও ছিল মনে!' আপনার রম্যকবিতায় এ কথাটা রাজা নিজেই বলতে পারে- উনি এটা আগেই প্ল্যান করে রাখছিলেন, কেউ এই সমাধান নিয়ে আসতে পারে কিনা তা দেখে নিলেন আর কী
অনেক অনেক শুভ কামনা।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে যখন এই কবিতা/ ছড়াটার প্রথম ১ বা ২ লাইন লিখতে শুরু করি তখন 'জুতা আবিষ্কার' কবিতাটা পূর্ণ অনুসরণ করবো ভেবেছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম যে এভাবে আমার দ্বারা হবে না। তাই শুধু মূলভাবটা মুলত ধার করেছি। বাকি অংশ আমার মনে যা এসেছে সেভাবেই লিখেছি। আর এটা আসলে বলতে পারেন আমার জীবনের প্রথম সফল ছড়া/ কবিতা। প্রাইমারি স্কুল জীবনে ১ টা বা আধটা লেখার চেষ্টা করেছি কিন্তু আমার নিজের কাছেই ভালো লাগেনি। যদিও বড়রা সান্ত্বনা দেয়ার জন্য 'ভালো হয়েছে' বলেছে। আপনার কথাগুলি আমাকে উৎসাহিত করবে নিঃসন্দেহে। ভালো থাকবেন।
৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ছাতা নিয়ে মাতামাতি ভালই হয়েছে।সুন্দর পেরডি
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন প্রতিভাবান মানুষ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লজ্জা দিবেন না। ব্লগে অনেক প্রতিভাশালী ব্লগার আছে। তাদের মধ্যে থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১
মাস্টারদা বলেছেন: কবিতায় সাড়ে চুয়াত্তর ভালোবাসা
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাস্টারদা।
১২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! কি দারুণ রম্য হয়েছে। রীতিমতো উপভোগ্য।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা প্রিয় সাচু ভাইকে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পদাতিক দা। উপভোগ করেছেন বলে ভালো লাগলো।
১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ছাতা কথন বেশ হয়েছে। এটা পড়ার পরে জানা গেল, আপনি গদ্য পদ্য উভয় রীতিতে দক্ষ। চমৎকার! লিখতে থাকুন ইনশাআল্লাহ। +
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতুন নকিব ভাই উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৯
রামিসা রোজা বলেছেন:
ছাতার কবিতা অত্যন্ত মনমুগ্ধকর এবং মজার। আমি আগে অনেক ছাতা হারাতাম।
এখন আর হারাই না ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতা ভালো লেগেছে শুনে আমি আনন্দিত।
১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শেষতক এক ব্যাটা চাষা' র খাসা বুদ্ধিতে এলো ছাতা !!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা,
দেশ মাতারই মুক্তিকামী, দেশের সে যে আশা।
কবিতার নাম - চাষি
কবি - রাজিয়া খাতুন চৌধুরানী
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: লজ্জা দিবেন না। ব্লগে অনেক প্রতিভাশালী ব্লগার আছে। তাদের মধ্যে থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।
প্রতিভাবান ব্যাক্তিদের বিনয়টাও অসাধারন হয়!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক বই পড়েন। এটা একটা অনেক বড় গুণ। সবাই এটা পারে না।
১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: চাষার ছাতা
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোকা চাষার বুদ্ধিতেই শেষ পর্যন্ত রাজার মাথায় ছাতা উঠলো। ভালো থাকবেন।
১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: কবিতা তো বেশ পছন্দ হলো। দারুন ছন্দে লিখেছেন। অভিনন্দন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আমাকে অনুপ্রাণিত করবে নিঃসন্দেহে। ভালো থাকবেন।
১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি অনেক বই পড়েন। এটা একটা অনেক বড় গুণ। সবাই এটা পারে না।
কোনো কামকাজ নাই। হাতে অনেক সময়। তাই মানুষের কাছ থেকে চেয়ে এনে বই পড়ি। অথবা মুভি দেখি।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক পড়ুয়া লোককে চেনেন। তাই সহজে বই পান। আপনার জীবনের আগামী দুই বছরের পরিকল্পনা কি?
২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩
নাসরিন ইসলাম বলেছেন: রসে টইটম্বুর।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জুন বলেছেন: ছাতা আবিস্কারের কাহিনী জেনে যেমন অবাক হোলাম সাথে চমকৃত তো বটেই
একেই বলে সাড়ে চুয়াত্তরি বুদ্ধি
দারুন দারুন +
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগাই আমার প্রেরনা। দারুন দারুন মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০
ঢুকিচেপা বলেছেন: আমার কাছে এতটাই ভাল লেগেছে যে বিশেষণ খুঁজে পাচ্ছি না।
এর আগে আপনার কোন কবিতা পাইনি, তবে এটা পড়ে যা বলতে চাচ্ছি, এমনটা চালিয়ে যান।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে এটাই আমার প্রথম কবিতা। আপনার অনেক ভালো লেগেছে এটা আমি বুঝতে পেরেছি। লিখতে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ছাতা হয়ত এভাবেই আবিষ্কার হয়েছিলো। কে জানে?
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কে জানে মানে? আমি জানি ছাতা এভাবেই আবিষ্কার হয়েছিল। চীনের এক রাজা এভাবেই ছাতা আবিষ্কার করেছিল।
২৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
শায়মা বলেছেন: জুতা আবিষ্কারের মতন এখন আমি এই ছাতা আবিষ্কারের গল্পটাও আমার বেবিদেরকে শুনাবো ভাইয়া।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুনে খুব ভালো লাগলো। এই ধরণের কবিতা/ ছড়া বাচ্চারা পছন্দ করবে। আমি যখন ক্লাস থ্রি তে পড়ি তখন আমার মা এই কবিতা আমাদের পড়ে শুনাতেন গিতাঞ্জলি থেকে এবং বুঝিয়ে দিতেন। তখন ঐ কিশোর বয়সেই খুব মজা পেয়েছিলাম। আমার মায়ের কারণে গিতাঞ্জলির কিছু সহজ কবিতা ( পুরাতন ভৃত্য, দুই বিঘা জমি, হিং টিং ছট, জুতা আবিষ্কার, তালগাছ, চলন্ত কলিকাতা ইত্যাদি) ঐ সময় পড়ার ও বোঝার সুযোগ পেয়েছিলাম। বারবার আমার মাকে এই কবিতাগুলি পড়ে শুনাতে বলতাম। আমার মায়ের অভ্যাস ছিল আন্ডার লাইন করে পড়ার। এই অভ্যাসটা আমার এখনও আছে। আমি গুরুত্বপূর্ণ কিছু পড়লে আন্ডার লাইন করে রাখি। কবিতা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
২৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমার রবীন্দ্রপ্রীতি বা রবিঠাকুর কিংবা নজরুল কিংবা সুকুমার কিংবা শিবরাম। সকল কিছুর সাথে পরিচিতির জন্যই আমার মা একমাত্র কারণ ছিলেন। সত্যি বলতে আমার শিল্পসত্বা বোধ জাগ্রত করার পিছে আমার পরিবারের অবদান আছে।
মা যে আমায় গান শুনাতো দোলনা ঠেলে ঠেলে ..........
লাইনটা মনে পড়ে গেলো।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরিবারে শিল্প সাহিত্যের পরিবেশ থাকলে পরবর্তীতে বাচ্চারাও শিল্প সাহিত্য অনুরাগী হয়। শিল্প সাহিত্যের প্রতি ভালবাসা মানুষকে তার রিপু থেকে বেচে থাকতে সাহায্য করে। সমাজ ও মানুষকে ভালবাসতে উৎসাহিত করে ও সব ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচিয়ে রাখে। মানুষ আত্মকেন্দ্রিকতা পরিহার করে সমাজকে নিয়ে ভাবতে শেখে। আপনার শিল্প ও সাহিত্য প্রীতি প্রশংসার দাবিদার। ভালো থাকবেন।
২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ শায়মা আপু - আমি ভুলে সঞ্চয়িতাকে গিতাঞ্জলি বলেছি উপরে আপনাকে প্রতিমন্তব্য করার সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আহা জুতার পরে ছাতা আবিষ্কারের গল্পটাও জানলাম!
বেশ বেশ - আপনার রঙ্গ রসে ভরা কবিতাটার (নাকি ছড়া) জুড়ি নেই