নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব – ১)

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮


জিয়ান সেসন ( Jean Sasson) নামক একজন মার্কিন লেখিকা একটি ট্রিলজি (একই বিষয়ের উপর তিনটি ধারাবাহিক নন ফিকশন বা উপন্যাস) লিখেছেন ১৯৯৪ সাল থেকে পরবর্তী কয়েক বছরে। এগুলির নাম হোল ১. Princess: A True Story of Life Behind the Veil in Saudi Arabia ২. Princess Sultana’s Daughters ৩. Princess Sultana’s Circle. প্রথম বইটা ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও আরব, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশের মেয়েদের জীবনের উপর আরও কয়েকটি নন ফিকশন আছে এই লেখিকার, যেগুলি সারা বিশ্বে খুব নাম করেছে। আমি ট্রিলজির প্রথম বইটা (প্রিন্সেস)পড়েছি বেশ কিছুদিন আগে। দ্বিতীয়টাও পড়েছি। প্রথম বইটির ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায় রকমারি ডট কমে। লেখিকা কর্ম সূত্রে কয়েক বছর সৌদি আরবে ছিলেন এবং সৌদি আরবের প্রথম রাজা আব্দুল আজিজের এক নাতনীর ( প্রিন্সেস) সাথে ৯০ এর দশকে তার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয়।

পরবর্তীতে (১৯৯৪ সাল ও পরবর্তী সময়ে) এই রাজকন্যার মুখে শুনে রাজকন্যার জীবনের ঘটনা নিয়ে লেখিকা তার ট্রিলজিটি লেখেন রাজকন্যার জবানীতে। তবে রাজকন্যার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার স্বার্থে তার ছদ্মনাম (সুলতানা) ব্যবহার করেছেন। এছাড়া কিছু জায়গাতে মূল কাহিনী ঠিক রেখে এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যেন রাজকন্যাকে চিহ্নিত করা না যায়। বই তিনটিতে মুলত সৌদি রাজপরিবারের মেয়েদের করুন অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। রাজকন্যা হওয়া সত্যেও এদের অসহায়ত্ব সবাইকে বিস্মিত ও ব্যথিত করবে। এছাড়াও বইগুলিতে সৌদি আরবের রাজবংশের ইতিহাস ও রাজপরিবারের অনেক না জানা কথা আছে। প্রথম বইয়ের (প্রিন্সেস) কিছু কিছু অংশ যা আমাকে বেশী আকৃষ্ট করেছে সেগুলি আমি এই সিরিজ লেখায় সংক্ষেপে উল্লেখ করছি। আশা করি পাঠকদের ভালো লাগবে।

বইয়ে না থাকলেও সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে পটভূমি বলা দরকার। রাজা আব্দুল আজিজ ১৯৩০ সালে আধুনিক (দ্বিতীয়) সৌদি আরব নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা করেন। তবে প্রথম সৌদি রাজ্য ১৭৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এদের পিতৃপুরুষ মুহাম্মাদ ইবনে সউদের দ্বারা এবং ১৮৯১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে সম্প্রসারণ ও সংকোচনের দ্বারা এই রাজ্যটি কোনও রকমে টিকে ছিল। ঐ সময় ধর্মীয় নেতা ও ওয়াহাবি মতবাদের প্রবক্তা আব্দুল ওয়াহাব কর্তৃক সমর্থন প্রাপ্ত হয়ে প্রথম সৌদি রাজ্য গঠিত হয়েছিল। মুহাম্মদ ইবনে সউদের বাবার নাম ছিল সউদ বিন মোহাম্মাদ। বর্তমান সৌদি রাজবংশের সউদ নামক এই আদি বাবার নাম অনুসারেই বর্তমান সৌদি আরব রাষ্ট্রের নামকরণ করা হয়েছে।

রাজকন্যা সুলতানার (ছদ্মনাম) বর্ণনায় দেখা যায় যে ১৮৯১ সালে আল সউদ গোত্র যখন আল রশিদ গোত্রের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয় তখন রাজা আব্দুল আজিজের বয়স মাত্র ১৫ বছর। তাকে ও তার আরেক বোনকে বাঁচানোর জন্য তার পিতা তাদেরকে দুইটা বস্তায় ভরে একটা উটের দুই পাশে ঝুলিয়ে কোনও রকমে প্রানে বাঁচেন। দুই বছর উদ্ভ্রান্তের মত প্রান হাতে নিয়ে ঘোরার পর কুয়েতে এই গোত্র আশ্রয় পায়। এই উদ্বাস্তু জীবনের কষ্ট তরুণ আব্দুল আজিজের মনে জন্মভুমি পুনরুদ্ধারের কঠিন প্রত্যয় সৃষ্টি করে। ১৯০২ সালে তরুণ আব্দুল আজিজ 'রশিদ গোত্র' কে পরাজিত করে তার জন্মভুমি পুনরুদ্ধার করেন। পরবর্তী বছরগুলিতে আব্দুল আজিজ ৩০০ র অধিক বিয়ে করেন বিভিন্ন গোত্রকে তার অনুগত রাখতে। তার পুত্র সন্তান ছিল ৫০ এর অধিক ও কন্যা সন্তান ছিল ৮০ র অধিক। সঠিক সংখ্যা মনে হয় রাজা বা এই রাজকন্যা (সম্পর্কে নাতনী) নিশ্চিতভাবে জানত না।

রাজা আব্দুল আজিজ এই ৩০০ র অধিক স্ত্রীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশী ভালবাসতেন রানী ‘হাসা সুদাইরি’ কে। ঐ সময় এই রানীর পুত্র সন্তানরাই এই রাজ বংশের গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলিতে ছিলেন। বাদশাহ ফাহাদ এই রানীর সন্তান ছিলেন। ১৯৯১ সালে এই বইয়ে উল্লেখিত রাজকন্যা (ছদ্মনাম সুলতানা) বলছেন যে তখন সৌদি রাজবংশে (সম্প্রসারিত) প্রায় ২১,০০০ সদস্য ছিল। এখন সংখ্যাটা হয়ত আরও অনেক বেশী। এই ২১০০০ এর মধ্যে তখনই ১০০০ জন রাজপুত্র ছিল যারা সরাসরি রাজা আব্দুল আজিজের নিজের পরিবারের। এই বইয়ের রাজকন্যাও রাজা আব্দুল আজিজের পরিবারের সরাসরি সদস্য ছিলেন (নাতনী)।

সুলতানা ১৯৪৬ সালের কথা বলছেন যখন বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরবকে গুরুত্ব দেয়া শুরু করেছে তেলের অর্থনীতির কারণে। ব্রিটিশ প্রধান মন্ত্রী চার্চিল রাজা আব্দুল আজিজকে একটি রোলস রয়েজ গাড়ি উপহার দেন ঐ সময়। গাড়িটা দেখে রাজার পছন্দ না হওয়াতে তিনি এটা তার ভাই আব্দুল্লাহকে দিয়ে দেন। আব্দুল্লাহ ছিলেন সুলতানার বাবার চাচা আবার বন্ধুও। তিনি গাড়িটা সুলতানার বাবাকে দেন মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার জন্য। সুলতানার মার ছিল এটাই প্রথম মোটর গাড়ি ভ্রমণ।

সুলতানাদের পরিবারে প্রতি বছর হজের পরে দাস- দাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। কারণ হজের পরে সুদান, নাইজেরিয়ার মত গরীব দেশের হাজিরা তাদের ছেলে-মেয়েদের ধনী সৌদিদের কাছে বিক্রি করে দিতেন দরিদ্রতার কারণে। সুলতানারা এই দাস- দাসিদের সাথে ভালো ব্যবহার করতো। তাদের সাথে খেলত। ১৯৬২ সালে যখন সৌদি সরকার দাসপ্রথা আইন করে বন্ধ করে দেয় তখন তাদের সুদানি দাস পরিবার তাদেরকে ত্যাগ না করার জন্য কান্নাকাটি করে। ফলে তার বাবা তাদেরকে বিতারিত না করে তাদের পরিবারের সাথে থাকার অনুমতি দেয়।

১৯৫৩ সালে রাজা আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর তার ছেলে সউদ রাজা হন। কিন্তু উনার নেতৃত্বগুনের অভাব ছিল এবং দেশের তেল বিক্রির সিংহভাগ আয় উনি রাজপ্রাসাদ, গাড়ি ও স্ত্রীদের বিলাসিতার পিছনে ব্যয় করতেন। ফলে রাজ পরিবারে ও দেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে থাকে। ১৯৬৩ সালে একদিন রাজপরিবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সুলতানাদের প্রাসাদে সভায় মিলিত হয় তৎকালীন রাজা সউদের শাসন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে। এক পর্যায়ে সবাই ক্রাউন প্রিন্স ফয়সালকে ক্ষমতা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করে। জবাবে প্রিন্স ফয়সাল কাঁদতে কাঁদতে বলেন যে তিনি তার বাবা আব্দুল আজিজের কাছে শপথ করেছেন যে কোনও অবস্থাতেই তিনি তার ভাইয়ের শাসনের বিরোধিতা করবেন না। ফলে সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে ফয়সালের ছোট ভাই মোহাম্মদ রাজাকে তাদের উদ্বেগ ও অসন্তোষের কথা জানিয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু এই উদ্যোগ কোনও কাজে লাগে নি। সুলতানার ভাষ্যে দেখা যায় যে তার দৃষ্টিতে প্রিন্স ফয়সাল ছিলেন অনেক আদর্শবাদী ও নীতিবান।

কিছুদিন পর জানা যায় যে রাজা সউদ তার ভাই ফয়সালকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে। কিন্তু আপন ভাইকে এই ধরনের হুমকি ছিল বেদুইনদের নীতি বিরুদ্ধ একটি কাজ। পরবর্তীতে জানা যায় যে রাজা সউদ তার কিছু সমর্থকদের নিয়ে প্রিন্স ফয়সালের সমর্থকদের সাথে একটা বড় ঝামেলা তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু প্রিন্স ফয়সাল ব্যাপারটা ঠাণ্ডা মাথায় সামলান, সহিংসতা পরিহার করেন এবং এই ব্যাপারে অন্যান্য ভাই ও ধর্মীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের উপর নিজেকে ছেড়ে দেন। এই ঘটনার দুই দিন পরে রাজার এক স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে সুলতানাদের প্রাসাদে আসেন এবং জানান যে ধর্মীয় নেতারা রাজার কাছে এসে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বলেছেন। পরবর্তীতে রাজাকে সপরিবারে গ্রীসে নির্বাসনে পাঠানো হয় এবং প্রিন্স ফয়সালকে রাজা ঘোষণা করা হয়।

সুলতানার বাবা তার ১০ মেয়ের পড়াশুনার ব্যাপারে তেমন আগ্রহী ছিলেন না (ছেলেদের ক্ষেত্রে আগ্রহী ছিলেন)। প্রথম ৫ মেয়ে শুধু কোরআন পড়তে পারতো এবং সাধারণ শিক্ষা তাদের ছিল না। কিন্তু রাজা ফয়সালের স্ত্রী ইফফাতের সমর্থন থাকায় সুলতানার মা তার ছোট ৫ মেয়ের শিক্ষা চালিয়ে যেতে সমর্থ হন।

প্রিন্স ফয়সালের বিয়েঃ প্রিন্স ফয়সাল তার তরুণ বয়সে ১৯৩২ সালে একবার তুরস্ক বেড়াতে যান। ইফফাত (পরবর্তীতে ফয়সালের স্ত্রী) ও তার পরিবার ঐ সময় তুরস্কে বাস করতো। ইফফাতের পরিবার আসলে সৌদি ছিল কিন্তু অটোম্যান শাসনের কারণে তারা তুরস্কে চলে যায়। তবে সউদিতে তাদের সম্পত্তি ছিল। তার মৃত বাবার এরকম কিছু জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। তারা যখন জানতে পারে যে প্রিন্স ফয়সাল তুরস্কে এসেছেন তখন ইফফাত ও তার মা এই জমির ব্যাপারে প্রিন্স ফয়সালের সাথে দেখা করে ব্যাপারটা মিটমাট করার জন্য। ইফফাতের আচরণ ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রিন্স ফয়সাল ইফফাত ও তার মাকে জমির ব্যাপারে ফয়সালা করার জন্য সৌদি আরবে আসার দাওয়াত দেন। ইফফাতরা সৌদি আরবে আসার পর প্রিন্স ফয়সাল শুধু তাদের জমি ফিরিয়েই দেন নি বরং ইফফাতকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। পরবর্তীতে প্রিন্স ফয়সাল বলতেন যে এটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত।

রাজা ফয়সালের শাসনকালে রানী ইফফাতের প্রচেষ্টায় মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যথেষ্ট উন্নতি হয়। সুলতানার ধারণা তার প্রচেষ্টা না থাকলে মেয়েরা ঐ সময় স্কুলে আসতে পারতো না। রাজকন্যা সুলতানা ছিলেন এই রানী ইফফাতের একনিষ্ঠ ভক্ত ও তার মত হতে চাইতেন। ইফফাত তার সন্তানদের জন্য ইংলিশ ন্যানি পর্যন্ত রাখার সাহস করেছিলেন ঐ সময়। ফলে রাজপরিবারের সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে তার সন্তানেরা অন্যান্য পরিবারের মত বিগড়ে যায় নি। ( চলবে )

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: কৌতুহলোদ্দীপক কাহিনি।পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৌদি রাজপরিবারের খবর বাইরে আসার সুযোগ খুব কম। লেখিকার এই বইয়ের মাধ্যমে কিছু সত্য কথা মানুষ জানতে পেরেছে। পরের পোস্ট শীঘ্রই আসছে।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লিখুন ট্রিলজি নিয়ে, পড়তে ভালো লাগছে।
আশা করছি দারুণ এক সিরিজ হবে।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা যাদের রাজপরিবার নিয়ে জানার আগ্রহ আছে তারা এটা পড়ে তৃপ্তি পাবেন। তবে বিস্তারিত জানার জন্য মূল বইগুলি পড়াটাই উত্তম। পোস্টে তো সব কথা বলা সম্ভব না। বইগুলির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির জন্য এই পোস্ট। এই লেখিকার এই ট্রিলজি ছাড়াও আরও কয়েকটি ভালো বই আছে আরব, আফগানিস্তান এই সব দেশের মেয়েদের দুরবস্থা নিয়ে। যেমন দা রেইপ অফ কুয়েত, মায়াদা- ডটার অফ ইরাক, লাভ ইন এ টরন ল্যান্ড- এ কুরদিশ ওমেনস স্টোরি, গ্রোইং আপ বিন লাদেন- ওসামাস ওয়াইফ অ্যান্ড সান রিভিল দেয়ার সিক্রেট ওয়ার্ল্ড, ফর দা লাভ অফ এ সান - ওয়ান আফগান ওমেনস কোএসট ফর হার স্তলেন চাইল্ড ইত্যাদি। আশা করি পরের পোস্ট পড়েও তৃপ্তি পাবেন।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: সৌদী আর ইউরোপীয়-এ্যামেরিকার নারীদের মূল অবস্থার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।
আরবরা মেয়েদের ঘরে বন্দী করে অত্যাচার করে। আর পশ্চিমারা করে নারী স্বাধীনতার নামে তাদের বাইরে এনে। কারণ ঘরে আটকে রাখলে তাদের বহুভোগ্যা করা সম্ভব না।
এই ছবিটা অবশ্যই দেখবেন।
এ্যামেরিকার পূজিবাদী জঘণ্য সমাজে নারীদের প্রকৃত অবস্থা দেখানো হয়েছে, যে পথে বাংলাদেশও গেছে কর্পোরেট, সাবান,শ্যাম্পু আর মডেল সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে।
Showe girls

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা আসলে ঠিক। তবে পশ্চিমারা এটা মানতে চায় না। ছবির নাম দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো ছবিটা দেখার।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো চুয়াত্তর ভাই। এ যেন সৌদি আরবের আরেক বেগম রোকেয়া।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকটা ওরকমই বলা যায়। এই রাজকন্যা অনেক মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ছিলেন। ওনার ব্যক্তিত্বের কারণে ওনার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন নি (বহুবিবাহ সৌদিতে বড়লোকদের ক্ষেত্রে খুব সাধারণ ঘটনা)। ওনাদের দাম্পত্য জীবনও বেশ আনন্দময় ছিল। এই রাজকন্যার বর্ণনা পড়ে সৌদি মেয়েদের সম্পর্কে আমার ধারণা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। আগে ভাবতাম এরা সবাই ভোগবাদী প্রকৃতির। পরের পোস্টগুলিতে আরও কিছু আকর্ষণীয় বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করবো। আশা করি সাথে থাকবেন (বিফলে মূল্য ফেরত) হে হে হে।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগলো নুতন একটা পর্বের সুন্দর উপস্থাপনার গুনে।আজ মোটামুটি ধারণা পেলাম রানী ইফফাত সৌদি রাজকুমারীদের আধুনিক শিক্ষার একটা চেষ্টা করবেন।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

শুভেচ্ছা প্রিয় সাড়ে চুয়াত্তর ভাইকে।

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা উৎসাহ দিলে আরও ভালো করে লেখার চেষ্টা করবো। এই ধরনের লেখা পাঠকদের ভালো লাগবে কি না এটা নিয়ে আমার সংশয় ছিল। আপনাদের মত গুনি ব্লগারদের মন্তব্যে মনে হচ্ছে যে আমি ভুল বিষয় বেছে নেই নি। আশা করি পরের পর্বগুলি ধৈর্য ধরে পড়বেন। ধৈর্যচ্যুতি যেন না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব আমার।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:

৩০০ র অধিক বিয়ে ????
সাচু, আমি কি চোখে ঠিক দেখছি ??? B:-)

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি হয়ত ভেবেছেন যে সাচু ভুলে ৩ এর পরে দুইটি শুন্য দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আপনার চোখ ঠিক আছে। রাজা বাদশাদের জন্য ৩০০ বা তার চেয়ে বেশী বিয়ে করা তেমন অস্বাভাবিক না। রাজা সোলাইমানের ৭০০ এর অধিক স্ত্রী ছিল। মোগল সম্রাটদের অনেক পত্নি থাকত। এছাড়া তাদের হারেমে কয়েক হাজার উপপত্নি থাকত। রাজা বাদশাদের জীবন আর সাধারণ মানুষের জীবন এক রকম না। আপনি মনোযোগ দিয়ে পরের পর্বগুলি পড়লে আশা করি আরও কিছু কৌতূহলদ্দিপক তথ্য পাবেন।

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল একটি পোস্ট। ভালো লেগেছে পড়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। :)

০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম এই বিষয়ের উপর পোস্টের পাঠক পাওয়া কঠিন হবে। আপনাদের মত পাঠক পেয়ে আমি লিখতে আরও উৎসাহ পাচ্ছি। আশা করি পরের পর্ব আসতে বেশী দেরী হবে না। ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি রাজ পরিবার “আনজা বিন ওয়াইল” গোত্রের সদস্য বলে দাবী করে আসলে তারা মিথ্যাচার করছে। ১৭৬৫ সালে মুহাম্মদ বিন সৌদ-এর মৃত্যু হলে তার ছেলে আবদুল আজিজ দিরিয়ায় ক্ষমতাসীন হয়। বাদশাহ ফয়সালের বিশাল ব্যক্তিত্ব ও প্রভাবে বাদশাহ আবদুল্লাহর রাজ পরিবারের উত্থান।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে মনে হয় অনেক ষড়যন্ত্র ও রাজনীতি হচ্ছে। কারা সঠিক তা বলা মুশকিল। বাদশাহ ফয়সালের ইমেজ বাকি বাদশাহদের চেয়ে ভালো ছিল।

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:

আমি ভাবলাম, রাত চারটা বাজে, প্রায় ভোর হতে যাচ্ছে, আমি মনে হয় ঘুম ঘুম চোখে ভুল দেখেছি ।
হাউ কুড ইট পসিবল !!!! কেমন করে ম্যানেজ করতো :|

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন করেছেন। এর উত্তর দেয়া কঠিন। আরেকটু গবেষণা করে পরে জানাবো। একটু সময় দেন। আর দেরী না করে ঘুমের জগতে চলে যান। আমাদের কালকে কর্মব্যস্ত দিন আসছে, আপনাদের মনে হয় বন্ধের দিন কালকে।

১০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এক এক সৌদ বংশ পুরুষের শত শত বিবি + দাসি বাঁদি। অবাধ .. যথেচ্ছে যৌনাচার।
মহান আল্লাহ হয়তো এদের কথা ভেবেই স্বর্গেও ৭২ জন ভার্জিন হুড়ের ব্যাবস্থা রেখেছেন ..

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরুষদের মধ্যে বহুগামিতার প্রবনতা মনে হয় বেশী। এই কারনেই হয়ত ইসলামে ৪ বিয়ের অনুমতি দিয়েছে। আল্লাহ ভালো জানেন।

১১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২০

অনল চৌধুরী বলেছেন: আকবরের হেরেমে ৫০০ এর বেশী মেয়ে ছিলো।
লম্পটদের উপর ২০১৩ তে আমার একটা বইয়ে লিখেছি, তার মানে সে সব মেয়ের কাছে যেতে চাইলে ১৩.৬৯ বরের আগে কারো কাছে দ্বিতীয়বার যেতে পারতো না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মোগল হারেমের অন্তরালে নামে একটা বই আছে। এছাড়া আরও কিছু বইয়ে হারেমের যা বর্ণনা পাওয়া যায় তা বিশ্বাস হতে চায় না। কোন এক মোগল সম্রাট একবার তার মেয়ের ঘরে এসে বুঝে ফেলেন যে ঘরে মেয়ের প্রেমিক পাশের গোসল করার গরম পানির চৌবাচ্চার মধ্যে লুকিয়ে আছে। সম্রাট ইচ্ছে করে দেরী করতে থাকেন এবং পানি আরও গরম করার হুকুম দেন। যখন নিশ্চিত হন যে প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছে তখন ঐ কক্ষ ত্যাগ করেন। আরেকটা ঘটনা পড়েছিলাম যে হেরেমের খোজাকে এক মেয়ে বিরক্ত (যৌন হয়রানির মত) করছিল। হঠাৎ সম্রাট তা দেখে ফেলেন এবং তখনই মেয়েটিকে হত্যা করার হুকুম দেন। খোঁজা বাধ্য হয় মেয়েটিকে তখনই তলওয়ার দিয়ে হত্যা করতে। রাজা, বাদশাহ, সম্রাট এদের মধ্যে লাম্পট্যের প্রবনতা অনেক বেশী।

১২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: রাজ পরিবারের লোক নারী বাড়ি গাড়ি আর অর্থ লোভী । বর্তমান পিন্স সব চেয়ে বড় হারামি

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব যুগে সব দেশেই রাজা বাদশাহদের জীবন মানেই হোল ভোগ, বিলাস, মদ, নারী। যত দিন যাচ্ছে সউদি রাজপরিবারের নৈতিক অধঃপতন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫০ বছর আগে নীতি-নৈতিকতা কিছু ছিটেফোঁটা এদের মধ্যে ছিল। বর্তমান প্রিন্স রাজ পরিবারের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। ফলে তার ভাগ্যে কি আছে বলা মুশকিল। সউদির সাধারন জনগন ক্ষমতা বদলে কোনও ভূমিকা রাখে না কিন্তু ধর্মীয় নেতা ও রাজপরিবারের প্রভাবশালী রাজপুত্ররা ক্ষমতা রক্ষা/ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। ইতিহাস তাই বলে।

১৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৩৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: দু:খিত, ৫০০০ লিখতে গিয়ে একটা ০ কমে ৫০০ হয়ে গেছে।
আকবরের হেরেমে ৫০০০ এর বেশী মেয়ে ছিলো।
তার চাটুকার আবুল ফজল আকবরনামা বইয়ে নিজে একথা লিখেছেন।
মানে সে সব মেয়ের কাছে যেতে চাইলে ১৩.৬৯ বছরের আগে আকবর কারো কাছে দ্বিতীয়বার যেতে পারতো না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মোগল হারেমে শুধু উপমহাদেশের না এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ( ইরান, রাশিয়া ইত্যাদি) সুন্দরী মেয়েদের এনে রাখা হতো। মোগল বাদশাহরা নিজেদের বাবা, ভাই, বোনের সাথে যে রকম নিষ্ঠুর আচরণ ও চক্রান্ত করতো তা সব রাজবংশে দেখা যায় না। সউদি আরবের রাজবংশে আগে পরিবারের সদস্যদের সম্মানের ব্যাপারটা ছিল। আরবদের গোত্রপ্রীতি আদিকাল থেকে বিদ্যমান। রাজপরিবারের সমস্যা নিজেরাই তারা আগে মিটিয়ে নিত।এখনকার অবস্থা সম্পর্কে আমার ধারণা নাই।

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রাজ কন্যাদের কথা জানিনা ইচ্ছাও নেই ,তবে টাকার লোভে যারা রাজ পুত্রদের বিয়ে করে তাদের মতো দুঃখী আর কেউ নেই। নিজেই নিজেকে বন্দী করে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সউদি আরবে এই ধরণের ঘটনায় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কন্যার পিতারা মূল অপরাধী। এরা অল্পবয়সী মেয়েকে অর্থের বিনিময়ে বিত্তশালী বৃদ্ধদের সাথে বিয়ে দেয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এটা ঘটে। তাই আমার মনে হয় কোনও মেয়ে বুঝে শুনে এরকম সিদ্ধান্ত নেয় না।

১৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কেনো যেনো মনে হচ্ছে লেখা যতো শেষের দিকে যাবে ততোই মন খারাপ করা পরিবেশ তৈরি হয়ে!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাঝখানে কিছু কষ্টদায়ক ঘটনা আছে। তবে এই রাজকন্যা চূড়ান্তভাবে তার পারিবারিক জীবনে সফল হয়েছেন ও সুখি দাম্পত্য জীবন যাপন করতে সমর্থ হয়েছেন তার ব্যক্তিত্ব ও অন্যান্য মানবিক গুনের কারণে। তার স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক খারাপ হতে যেয়েও শেষমেশ ভালো হয়েছে। ওনার স্বামী একাধিক বিয়ে করতে সমর্থ হননি এই রাজকন্যার চারিত্রিক দৃঢ়তার কারণে।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অজানা ও গোপন ইতিহাস জানা হোক আপনার মাধ্যমে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চেষ্টা করবো এই ইতিহাস আপনাদের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে। আশা করি সাথে থাকবেন।

১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সারা পৃথিবী থেকে রাজতন্ত্র নিপাত যাক।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক।
গণ মানুষের শাসন কায়েম হোক।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে কট্টর রাজতন্ত্র সউদি ছাড়া আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না। বাকি যেগুলি এখনও আছে সেগুলি টিকে আছে অনেকটা অলংকার হিসাবে। এই রাজপরিবারগুলি দেশের শাসন ব্যবস্থায় হাত দেয় না। কয়েক দশকের মধ্যেই এগুলিও বিলিন হয়ে যাবে বলে মনে হয়।

১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এত এত বিয়ে, অথচ সৌদি অনেক যুবক অর্থের অভাবে সঠিক সময়ে বিয়ে করতে পারে না।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওখানে বিয়ের দেনমোহর এত বেশী যে মধ্যবিত্ত পুরুষদের জন্য সেই টাকা জোগাড় করা কঠিন। ফলে সউদি আরবে বেশী বয়সে বিয়ের প্রবণতা ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বাড়ছে। রাজা বাদশাহদের জীবন আর সাধারণ মানুষের জীবনধারা একরকম নয়।

১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি একটা বর্বর রাষ্ট্র।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামান্য কিছু ভালো মানুষ আছে সেখানে।

২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২০

রামিসা রোজা বলেছেন:
ট্রিলজি কাহিনীতে অনেক বর্বরতা উঠে এসেছে ।
আগামীতে পড়ার আগ্রহ রাখছি ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে পড়ার জন্য ও লাইক দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি পরের পর্ব পড়েও ভালো লাগবে।

২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

রাশিয়া বলেছেন: যত্রতত্র যত খুশি বিবাহ করা আর নারীদেরকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা - চরম ইসলামের নীতি বিরোধী কাজ। হারামাইনের খাদেম হয়ে এরা যথেচ্ছ অনৈসলামিক কার্যকলাপে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে কিভাবে? আল্লাহর ভয় নেই?

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য দুই বড় মসজিদের খাদেম হতে হয় এই বাদশাহদের। ধর্মের দোহাই দিয়েই তো এরা টিকে আছে। বাদশাহ ফয়সাল প্রথম এই পদবী গ্রহণ করেন (Custodian of the Two Holy Mosques)। ওনার পর বাদশাহ খালিদ এই পদবী ব্যবহার করেননি। তারপর বাদশাহ ফাহাদ পুনরায় এই পদবী ব্যবহার করা শুরু করেন। এখনও সেভাবেই চলছে। সীমালঙ্ঘন করে বিয়ে করার অনুমতি ইসলামে নাই। আর নারীরা পর্দা বজায় রেখে প্রায় সব কিছুই করতে পারে। তাদের শিক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেয়া শাসকদের দায়িত্বের মধ্যে পরে।

২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



এদের অবস্থা ভাবতে কষ্ট লাগে। রাজ পরিবারের বর্তমান পরিস্থিতিই প্রমান করছে, দিনকে দিন অন্ধকার মনে হচ্ছে ঘনিয়ে আসছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এরা এদের রাজতন্ত্র ও ক্ষমতার স্বার্থে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামি উম্মাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলির একতা বিনষ্ট করছে। এদের অচিরেই বিপদে পতিত হবে।

২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভালো হয়েছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের মতো আগ্রহী পাঠক যখন পাওয়া গেছে তখন পরের পর্ব আসতে বেশী দেরী হবে না।

২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

করুণাধারা বলেছেন: কাহিনী খুব আকর্ষণীয় হবে বলে বোধ হচ্ছে, কিন্তু ততোধিক আকর্ষণীয় আপনার বলার ভঙ্গি। আপনি মূল কাহিনীতে যাবার আগে লেখিকা এবং কাহিনী নিয়ে কিছু বলেছেন, তারপর বলেছেন সৌদি রাজপরিবারের সম্পর্কে যা মূল বইতে নেই। এটা কাহিনী বুঝতে সহায়ক হবে, আমি এর অনেক কিছুই জানতাম না। বাদশাহ ফয়সাল মনে হয় খুব শিক্ষিত ছিলেন, তার সম্পর্কে একটা কাহিনী আছে যে তিনি ইংরেজি ভাষী কারো সাথে কথা বলার সময় ইংরেজী বলতেন না বরং আরবিতে কথা বলতেন আর দোভাষী তা ইংরেজীতে অনুবাদ করে বলত। একবার এমেরিকান প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনা চলাকালে তিনি দোভাষীর ভুল ধরিয়ে দেন... রানী ইফফাত সম্পর্কে কিছু জানিনা। আশাকরি আপনার কাহিনীর সাথে সাথে অনেক কিছু জানতে পারব। প্রথম পর্ব খুব ভালো লাগলো, +++++

মূল বইটা সংগ্রহ করার উপায় আছে কোন?

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সত্যিই আমি অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি। ঐ সময়ের সউদি রাজবংশের অনেকে ইংরেজি জানলেও বলতেন না। পোশাকের ব্যাপারেও ওদের রাজপরিবারের লোকেরা তাদের জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল ঐ সময়। মূল বইটা কিনতে চাইলে আপনি এখানে পাবেন Click This Link । এটি বাংলাদেশের রকমারি ডট কমের সাইট। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: এই লেখার সাথেই আছি। পর্ব ভিত্তিক লেখা চলুক।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমাকে পর্বগুলি লেখাতে অনুপ্রাণিত করবে। ধন্যবাদ।

২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১০

আমি সাজিদ বলেছেন: দারুন লেখা সাচু ভাই, পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরের পর্ব আসতে বেশী দেরী হবে না। অপেক্ষায় থাকার জন্য ধন্যবাদ।

২৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০২

মা.হাসান বলেছেন: ইরান, সৌদি আরব, আফগানিস্তান , মঙ্গোলিয়া, উত্তর কোরিয়া- এই দেশ গুলো সম্পর্কে কম তথ্য জানা যায়। এদের ক্ষমতাসিনদের উপরে আরো কম।

এই বিষয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। মূল বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য আরো ধন্যবাদ।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকবো।
নেতা ভালো থাকলে রাজতন্ত্র বা গনতন্ত্র বড় বিষয় হয়ে দাড়ায় না। রানি ইফফাত শিক্ষিত না হলে পরিবর্তন আনতে পারতেন না। ধর্মের নামে নারি শিক্ষায় কিছু লোক বাধা তৈরি করে। অথচ ঐতিহাসিক বর্ণনা অন্য রকম। অষ্টম শতকে ফাতেমা বিন ইবরাহিম বিন মাহমুদ আল বাতাইয়াহইয়া নামের একজন মনীষির কথা জানা যায় । ঐ সময়ের পুরুষ স্কলাররাও ওনার মজমায় জ্ঞান অর্জনের জন্য আসতো। উনি প্রথম জীবনে দামস্কে দরস দিতেন। বয়স হবার পর মদিনায় চলে আসেন। ঐতিহাসিক বর্ননায় দেখা যায় উনি উনি মসজিদে নববিতে দরস দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে প্রয় নবির কবরে হেলান দিয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার দরস দেয়া শুরু করতেন। কি ধর্ম ছিলো, আর মানুষে কি বানায়ে ফেললো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'নেতা ভালো থাকলে রাজতন্ত্র বা গনতন্ত্র বড় বিষয় হয়ে দাড়ায় না' - আপনার এই কথাটা ঠিক। ইসলামের দোহাই দিয়ে আরব দেশগুলিতে মেয়েদের উপর অনেক অন্যায় করা হচ্ছে। আর নারীরা পর্দা বজায় রেখে প্রায় সব কিছুই করতে পারে। তাদের শিক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেয়া শাসকদের দায়িত্বের মধ্যে পরে।

২৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

স্থিতধী বলেছেন: স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় শত্রু এই বাদশাহ ফয়সাল। সে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম মেনে নেয়নি। পাকিস্তানের গণহত্যা কে সমর্থন দিয়ে গেছে।স্বাধীন বাংলাদেশের স্বীকৃতি দেয়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বংশধরেরা আজ প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে গণহত্যায় লিপ্ত রয়েছে বহু বছর। এই পুরো সৌদ পরিবারটির পাপ ও ভন্ডামী অন্তহীন। বাংলাদেশীদের সে 'বাংলাদেশী মুসলিম' পরিচয় নিয়ে হজ করতে দেয়নি। সে সময় ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় ভারতের বিশেষ ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে বংলাদেশের অল্প কিছু মুসলিম শুধু হজ করার সুযোগ পেয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শেখ মুজিব ১৯৭৩ এর সেপ্টেম্বরে আলজিয়ারস ন্যাম স্মমেলনে মুখোমুখি হন ফয়সালের। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতারের 'চরমপত্রে'র স্রষ্টা এম আর আখতার মুকুল তখন সাংবাদিক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী। তাঁর ভাষ্যে সেই বৈঠকের পুরো কথপোকথন এই লিঙ্কে। আমি চুম্বক কিছু সংলাপ তুলে ধরলাম শুধু;

মুজিব : এক্সিলেন্সি, আপনি জানেন এই দুনিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। তাই আমি জানতে চাচ্ছি, কেন সৌদি আরব আজ পর্যন্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বীকৃতি দিচ্ছে না?

ফয়সাল : আমি পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কারো কাছে জবাবদিহি করি না। তবু আপনি একজন মুসলমান, তাই বলছি—সৌদি স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ করতে হবে

মুজিব : এই শর্তটা কিন্তু অন্তত বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে না। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা মুসলমান হলেও এ দেশে প্রায় এক কোটির মতো অমুসলিম রয়েছে। সবাই একই সঙ্গে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হয় শরিক হয়েছে, না হয় দুর্ভোগ পোহায়েছে। তা ছাড়া এক্সিলেন্সি, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলা তো শুধু আল মুসলেমিন নন—তিনি হচ্ছেন রাব্বুল আলামিন। তিনি শুধু মুসলমানদের আল্লাহ নন, তিনি হচ্ছেন সব কিছুর একমাত্র অধিকর্তা। তিনিই হচ্ছেন সব কিছুর একমাত্র স্রষ্টা। এক্সিলেন্সি, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনাদের দেশের নামও তো ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক সৌদি আরব না। এই মহান দেশের নাম আরব জাহানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী ও রাজনীতিবিদ মরহুম বাদশাহ ইবনে সউদের সম্মানে ‘কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়া’। কই আমরা কেউই তো এ নামে আপত্তি করিনি।

ফয়সাল : এক্সিলেন্সি, এ ছাড়া আমার অন্য একটা শর্ত রয়েছে। অবিলম্বে সমস্ত পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিকে ছেড়ে দিতে হবে

মুজিব : এক্সিলেন্সি, এটা তো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় ব্যাপার। দুটো দেশের মধ্যে এ ধরনের আরো অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েছে। যেমন ধরুন, বাংলাদেশ থেকে কয়েক লাখ পাকিস্তানি নাগরিককে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশের প্রাপ্য অর্থ পরিশোধ—এমন বেশ কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। এসবের মীমাংসা কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই শুধু বিনা শর্তে ৯১ হাজার পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নটি পৃথকভাবে বিবেচনা করা বাঞ্ছনীয় হবে না। আর এ জন্য সৌদি আরবই বা এত উদগ্রীব কেন?

ফয়সাল : এক্সিলেন্সি, শুধু এটুকু জেনে রাখুন, সৌদি আরব আর পাকিস্তান একই কথা। পাকিস্তান আমাদের সবচেয়ে অকৃত্রিম বন্ধু। তাহলে এক্সিলেন্সি, আর তো কথা থাকতে পারে না। তবে আমাদের দুটো শর্তের বিষয় চিন্তা করে দেখবেন। একটা হচ্ছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা। আরেকটা বিনা শর্তে যুদ্ধবন্দির মুক্তি। আশা করি, বাংলাদেশের জন্য সাহায্যের কোনো কমতি হবে না।

আসলেও পরে সাহায্যের আর কমতি হয়নাই। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরপরই স্বীকৃতি প্রদান হয়ে গেলো। টাকা পয়সার দান খয়রাত এতো উদার হস্তে শুরু হইলো যার কারনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাঁর এক বিখ্যাত উক্তি " মানি ইজ নো প্রবলেম!" দিতে সমর্থ হলেন। বদলে তিনি তখনকার মতো সংবিধানে "বিসমিল্লাহ" ঢুকায়ে সৌদি দের খুশি রাখলেন। তাঁর পরবর্তী জোকারটি আরো এক কাঠি সরেস, সে সংবিধানে " রাষ্ট্রধর্মের" উন্মোচন করলো আর শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করলো, ভোলা জনগণ ও খুশি, সৌদি সরকারও খুশি। ঐ সং একনায়কের শাসন আমলে শুরু হয়ে গেলো পাইকারী হারে সৌদি তে কামলা পাঠানো। তাঁর পরের দশকে এই বঙ্গদেশ থেকে কিছু সৌদি ফেরত যুদ্ধ পাগল ইসলামীস্ট গেলো আফগানিস্তানে আরেক সৌদি; লাদেন আর তালেবানদের কাঁধে কাঁধ মিলায়ে জিহাদ করতে, নাসারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সৌদির মিত্র আমেরিকার হয়ে। আবার দেশে ফিরে এরা জিহাদী চেতনা অব্যাহত রাখলো; দেশ উপহার পাইতে থাকলো হরকাতুল জিহাদ, জে এম বি, বাংলা ভাই ইত্যাদি জিহাদীদের বোমা শিল্প।

২০০০ এর দশক শেষ হতে না হতেই আমরা ল্লক্ষ্য করতে লাগলাম বেশ কিছু দেশী শিক্ষিত মুসলিম, চিরচেনা শব্দ 'নামাযের' বদলে "সালাত" বলতে উৎসাহিত করতেছে। "রোযা" কে " সওম" , "সেহরি" কে "সাহরী" বলার জন্য রীতিমতো চাপ প্রয়োগ করতেছে। এ দেশের আবহমান বাঙ্গালী মুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছিলো মূলতঃ ইরানী সুফী সাধক ও ধর্ম প্রচারকদের মাধ্যমে। ইরানের সুন্নী ইমাম আবু হানিফার অনুসারে এ অঞ্চলের সিংহভাগ মুসলিম তাই হানাফি মাজহাবের তরীকায় ইসলাম গ্রহণ করে। স্বাভাবিকভাবেই তাই ফার্সি শব্দ নামায , রোযা এগুলোই তাদের ধর্মীয় শব্দ ভাণ্ডারের অংশ, সেই সাথে কিছু ইরানী সংস্কৃতি। কিন্তু ওই নব্য ওয়াহাবী জিহাদী ও তাদের উত্তরসূরি সালাফি জিহাদীদের এই ইরান প্রীতি পছন্দ নয়, ফলে তারা ফিরে যাইতে বলে ৭০০ খ্রিষ্টাব্দের আরবী শব্দ ভান্ডার গুলোতে এবং সেই সংস্কৃতি তে। এবার আমরা বোমার বদলে চাপাতি চালিয়ে
ধর্মীয় হত্যার নতুন সংস্কৃতি দেখতে থাকি দেশের আনাচে কানাচে। সেই সময় যারা ভাবছিলো, রাজধানী ঢাকা এসব থেকে মুক্ত, ঠিক তখন ১লা জুলাই, ২০১৬, পবিত্র রমযান মাসে জাতি দেখতে পেলো ঢাকার অভিজাত এলাকায় অভিজাত রেস্টরেন্টে ইসলামের নাম নিয়ে কিছু যুবকের হাতের চাপাতির শিল্প। রাতারাতি বাংলাদেশ চলে আসে বিশ্ব মিডিয়ায়। আই এস নামক এই সালাফি জিহাদী দের সারা পৃথিবীতে অনেক কিছু করতে দেখা গেলেও এখন পর্যন্ত ইজরায়েল ও সৌদি তে ঢুকে কিছু করার মতো এলেম দেখা গেলোনা।

অন্যদিকে, সৌদিতে পাঠানো আমাদের নারীরা ফিরে আসে ধর্ষিতা হয়ে। মেরুদন্ডহীণ বাংলাদেশ সরকার থাকে নির্বিকার! ২০১৪ তে সৌদি সরকার সৌদি নাগরিকদের বাংলাদেশী নারী বিবাহের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু জানোয়ারেরা যেহেতু আজো আসলে দাস প্রথায় বিশ্বাসী, তাই তারা আমাদের বাংলাদেশী নারীদের দাসী হিসেবে সেখানে নিয়ে গিয়ে মারধর করে, ধর্ষণ করে কামক্ষুধা মেটায়। আর আমরা ও আমাদের সরকার তবু নির্লিপ্ত, তবু নির্লজ্জ..

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ দীর্ঘ বক্তব্যের জন্য। আপনার সব কথার সাথেই আমি একমত। আসলে সউদি আরবের রাজবংশ তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ইসলামকে ব্যবহার করে। মক্কা ও মদিনার দুইটি প্রধান মসজিদের খাদেম হোল সউদি বাদশাহ। আসলে এগুলি হোল বিশ্বের মুসলিমকে বোকা বানানোর বুদ্ধি। কারণ এরাই আবার ইসরাইল ও অ্যামেরিকার পক্ষে কথা বলছে। আরবের লোকেরা আমাদেরকে বলে মিসকিন। অথচ ভেবে দেখে না যে ১৯৬০ সালের আগেও ওদের সাধারন জনগণের আর্থিক অবস্থা করুণ ছিল। পাকিস্তানিরা যেহেতু উগ্রবাদী তাই তাদের বন্ধু হিসাবে পেয়েছে আরবের বর্বর শাসকদের। পাকিস্তানে যেমন ধর্মের নামে অনাচার চলে তেমনি আরবেও একই জিনিস চলছে। এখন তাদের সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া। ভালো কোনও ইসলামি নেতা না আসার কারণে আরব, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এই সব দেশে তৈরি হয়েছে ইসলামি জঙ্গি। এদের অধিকাংশেরই মস্তিষ্ক বিকৃত এবং এরা বিভ্রান্ত। অনেক ক্ষেত্রে ইসলামকে কলুষিত করার জন্যও পশ্চিমারা এদের পিছনে টাকা ঢালছে। এরা নিজেরাও জানে এরা কিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। ঘটে বুদ্ধি থাকলে এরা শঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আগে আরবের বর্বর শাসকদের ক্ষমতা থেকে নামাত। আমাদের দেশের সরকার কেন যে আমাদের মেয়েদের ঐ দেশে কাজে পাঠানোর অনুমতি দেয় তা আমি বুঝি না। মেয়েরাও বা না জেনে এই রকম দেশে কিভাবে যায়।

২৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সৌদি রাজপরিবারের গুড়াপত্তন জানার কৌতুহল অনেকাংশে মিটল এ পর্বটি পাঠে ।
উপরের ২৮ নং মন্তব্য ও ২৯ নং প্রতিমন্তব্যটি ভাল লাগল । অনেক সত্যি কথা
উঠে এসেছে তাতে ।
একটি ভাল বিষয়ে সিরিজ লেখা ব্লগে দেখতে পাব বলে মনে করি ।
পরবর্তী পর্ব পাঠে চললাম ।
শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৩০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ইতিহাস জানার আগ্রহ সবার থাকা উচিত। ভাল লাগলো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরব দেশ সম্পর্কে জানার সুযোগ কম। তাই এই ধরণের বই পড়লে আরবের অনেক অজানা তথ্য জানা যায়। আমরা অনেক সময় অন্ধের মতো আরবদের অনুসরণ করি। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে ওদের শুধু ভালটা গ্রহণ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.