নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব-১)
মার্কিন লেখিকা জিয়ান সেসন (Jean Sasson) এর বই Princess: A True Story of Life Behind the Veil in Saudi Arabia তে বর্ণিত রাজকন্যা সুলতানার জীবন কাহিনী অবলম্বনে।
রাজকুমারি সুলতানারা ছিলেন ১০ বোন আর একটা মাত্র ভাই। সুলতানা ছিল সবার ছোট আর তার ভাই ছিল তারচেয়ে ২ বছরের বড়। আমাদের দেশের মত সৌদিতেও অনেকের কাছে ছেলে সন্তানের মূল্য বেশী, মেয়ে সন্তানের চেয়ে। তার বাবার কাছেও সুলতানা ও তার বোনেরা ছিল অবহেলিত অথচ তার ভাই আলী যা চাইত তাই পেত। আলী আর সুলতানার ঝগড়া বিবাদে তার বাবা সব সময় আলীকে সমর্থন করতো। শাস্তি হিসাবে সুলতানার খেলনা আলীকে দিয়ে দিতেন। এমন কি একবার শাস্তি দিলেন যে এখন থেকে সুলতানার খাবার প্লেটে খাবার তুলে দেবে আলী। আর আলীও মজা পেয়ে সুলতানার প্লেটে মাংসের সব চেয়ে ছোট টুকরা তুলে দিত।
এই রকম পরিস্থিতিতে সুলতানার বাবা আরও পুত্র সন্তানের আশায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু এই স্ত্রী পরপর তিনবার মৃত পুত্র সন্তান প্রসব করে। তখন এই স্ত্রীকে সুলতানার বাবা তালাক দিয়ে দেন। সম্পদ বৃদ্ধির সাথে সাথে তার পিতা একে একে চারটি বিয়ে সম্পন্ন করে ফেলেন। শেষের স্ত্রী তাকে অনেকগুলি পুত্র সন্তান দেয়ার পর তাদের পরিবারে পুত্র সন্তানের আধিক্যের জন্য হাহাকার অবশেষে দূর হয়। তবে প্রথম পুত্র সন্তান হিসাবে আলীর মূল্য সর্বদাই ছিল অনেক বেশী।
সুলতানার দৃষ্টিতে পৃথিবীর অন্য সমাজে যুগে যুগে মানুষের মন মানসিকতার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মেয়েদের ব্যাপারে সউদি পুরুষেরা ১০০০ বছর আগে যেমন সঙ্কীর্ণ মনের ছিল এখনও তেমনি আছে বলে সে মনে করে। এই ব্যাপারে সে ইসলাম ধর্মকে দোষ দেয় না কারণ আমাদের রসুল (সাঃ) সব সময় মেয়েদের প্রতি সদয় ও ন্যায্য আচরণ করতে বলেছেন। সৌদি পুরুষরা মনে করে যে সমাজে তার মর্যাদা নির্ভর করে কয়জন মেয়ে তার অধীনে আছে এবং সে কিভাবে এদের উপর খবরদারী করছে। কোনও পুরুষ এভাবে না করলে সমাজে তাকে হেয় করা হয়। ছোট বেলা থেকেই সৌদি ছেলেদের শেখানো হয় যে মেয়েদের মূল্য কম এবং তারা শুধু ছেলেদের আরাম আয়েশের জন্য। মা ও বোনদের সাথে পিতার অবজ্ঞাপূর্ণ আচরণ দেখে দেখে সৌদির ছেলেরা এটাকেই স্বাভাবিক মনে করে, ফলে পরবর্তীতে কোনও মেয়ের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করা এদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাড়ায়। প্রভু আর দাসীর সম্পর্ক এদের মগজে ঢুকে যায় ফলে বিয়ের পরে এরা স্ত্রীকে নিজের সম্পত্তি মনে করে। এইসব কারণে বেশীরভাগ সৌদি পুরুষ বিবাহিত জীবনে অসুখী। এই অসুখী জীবন থেকে মুক্তির জন্য এরা একের পর এক বিয়ে করে ও উপপত্নি খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু এরা বুঝতে চায় না যে, মেয়েদের যথাযোগ্য মর্যাদা না দিলে একটা পরিবারে স্বামী বা স্ত্রী কেউই সুখী হতে পারে না। সৌদি আরবে তখনও মেয়েদের জন্ম ও মৃত্যুর নথিভুক্তিকরণ খুব কম হতো কারণ হাসপাতালের বাইরে নিজ গৃহে অনেক শিশুর জন্ম হতো।
তেলের কারণে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন আরও ভালো হোল তখন সৌদি আরবের সাধারণ পরিবারগুলিও বাড়িতে বিদেশ থেকে আনা চাকর- চাকরানী রাখা শুরু করলো। ফলে কাজ না থাকাতে বাড়ির মেয়েদের জীবন আরও একঘেয়ে ও কর্মহীন হয়ে পড়লো। গরমের কারণে অধিকাংশ রাজপরিবারের সদস্যরা বছরের কয়েক মাস জেদ্দা ও তায়েফে কাটাত। ১৯৬৮ সাল নাগাদ সুলতানার বাবা অঢেল সম্পদের মালিক হয়ে যায়। তার ৪ জন স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য রিয়াদ, জেদ্দা, তায়েফ ও স্পেনে চারটা চারটা করে ১৬ টি হুবহু একই রকম প্রাসাদ তিনি নির্মাণ করেছিলেন। প্রাসাদের ভিতরের কার্পেট ও আসবাবপত্র পর্যন্ত হুবহু একই ছিল। সুলতানার বাবা সুলতানার মাকে সবসময় যে কোনো জিনিস কেনার সময় ৪ টি করে কেনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নিয়ম বাচ্চাদের আন্ডারওয়েরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ছিল। চার জায়গার প্রাসাদে বাচ্চাদের রুমের আলমারিগুলিতে হুবহু একই পোশাক, খেলনা, বই ইত্যাদি থাকত।
এই চারের নিয়ম অনুসরণ করে হঠাৎ তার ভাই আলীর জন্য কেনা হোল একই রকমের ৪ টি লাল দামী পরশে গাড়ি। তখন আলীর বয়স মাত্র ১৪ বছর। এত বাড়াবাড়ি দেখে তার মা বলতে বাধ্য হলেন যে যেখানে পৃথিবীর বহু লোক গরীব সেখানে এরকম কাজ লজ্জা জনক ও অপচয়। যদিও তার কথা গ্রাহ্য করার লোক তার স্বামী নয়। আলী তার ১০ বছর বয়সে স্বর্ণের রলেক্স ঘড়ি পায়। অথচ তখন সুলতানা বাবার কাছে তার জন্য একটা স্বর্ণের ব্রেসলেট চেয়ে পায়নি। এই কষ্ট সুলতানার মনে ছিল। দুই সপ্তাহ পরে সুলতানা সুযোগ পেয়ে গোপনে আলীর রলেক্স ঘড়িটা ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলে। আলীকে তার বাবা এই ক্ষতির জন্য বকা দেয়। কিন্তু এই ঘটনার ২ সপ্তাহ পর তাকে আরেকটি স্বর্ণের রলেক্স ঘড়ি কিনে দেয়। সুলতানা তার বাবার ভালোবাসা পাওয়ার অনেক চেষ্টা করেছে। শেষমেশ কিছু উলটাপালটা কাজ করেছে এই আশায় যে হয়ত তার বাবা তার দিকে দৃষ্টি দিবেন ও তাকে ভালবাসবেন। কিন্তু এতে আসলে কোনও কাজই হয়নি।
তার ভাই আলী ছিল ভীষণ নিষ্ঠুর। সুলতানার কুকুর ছানা সে তার বাবার প্রভাব খাটিয়ে নিয়ে নিয়েছিল। শেষমেশ সে ঐ কুকুর ছানাকে একদিন চলন্ত গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে সুলতানা এই ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার নিজের মত করে প্রতিশোধ নিত। কখনও সে আলীর নতুন মার্সিডিজ গাড়িতে বালি ছিটিয়ে দিত, কখনও তার বাবার মানি ব্যাগ থেকে টাকা সরাত, কখনও আলীর স্বর্ণমুদ্রা বাগানে পুতে ফেলত, কখনও সুইমিং পুলে সে সাপ ছেড়ে দিত যখন আলী গোসল করতো।
সুলতানার বয়স যখন ১৩ তখন তার নয় নম্বর বোন সারার বয়স ১৬ বছর। সারা ছিল অনেক সুন্দরী। সে খুব ভালো ছবি আঁকতে পারতো। তার স্বপ্ন ছিল সে ইতালিতে গিয়ে ছবি আঁকা শিখবে এবং জেদ্দাতে তার আর্ট গ্যালারী খুলবে। তার সব সাধ ধুলায় মিলায় যখন তার বাবা তার বিয়ে ঠিক করে ৬২ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ বড় ব্যবসায়ীর সাথে যার তখনই দুই স্ত্রী ছিল। সারা বিভিন্নভাবে তার বিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করলো। তার মা ছিল এই ব্যাপারে তার বাবার কাছে নিতান্ত অসহায়। সারা প্রতিদিন তার বাবার অফিসে ফোন করে বার্তা পাঠাতো যে সে বিয়েতে রাজি না। এমন কি সে তার হবু বরের অফিসের সেক্রেটারিকেও বার্তা পাঠিয়েছিল। এসব জেনে তার বাবা তাদের বাসার ফোন লাইন কেটে দেয় এবং তাকে একটা রুমে আটকে রাখে।
বিয়ের দিন সকালে সারার খালা, ফুফু ও কাজিনরা তাদের বাসায় আসে। সারার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আত্মীয়ারা তার মাথার চুল আর চোখের ভুরু ছাড়া সমস্ত দেহের পশম তুলে ফেলার ব্যবস্থা করে। চিনি, গোলাপজল ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে চুলায় গরম করে পেস্ট বানানো হয় তার গায়ে দেয়ার জন্য। এই পেস্ট গায়ে দিয়ে শুকানোর পর যখন এটা ধীরে ধীরে তুলে ফেলা হোল তখন তার সাথে দেহের সমস্ত পশম উঠে গেলো। কিন্তু তারা এই সময় সারার ব্যথার দিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ করল না।
সারার বাবা প্রাসাদের একজন পাকিস্তানি ডাক্তারকে দিয়ে সারার দেহে ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করিয়েছিল যেন সে কোনও ঝামেলা না করতে পারে। ডাক্তার সারার স্বামীর কাছে সারার জন্য অনুরুপ ট্যাবলেট দিয়ে দেয়। তবে স্বামীকে বলা হয় যে সারার বিয়ের দুশ্চিন্তাজনিত পেট ব্যথা দূর করার জন্য এই ট্যাবলেট। বিয়ের অনুষ্ঠানে সাধারণ শ্রেণীর সৌদি মহিলারাও দাওয়াত পায়। এরা নেকাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে। অনেকে বলে যে অনেক সময় অনেক পুরুষ, মেয়ে দেখার জন্য নেকাব পরে মেয়েদের এলাকায় প্রবেশ করে। বিয়েতে মদ থাকে না প্রকাশ্যে, তবে অনেক রাজপরিবারের মেয়ে তাদের ব্যাগে মদ রাখে ও খাওয়ার পরে ওয়াশ রুমে গিয়ে অল্প মাত্রায় চেখে দেখে। মিশরের বেলি ড্যান্সার আনা হয়েছিল। সুলতানার এক বয়স্ক খালা এক পর্যায়ে মঞ্চে উঠে বেলি ড্যান্সারদের সাথে নাচতে থাকে। সৌদি বিয়েতে মেয়েরা উলুধ্বনি দেয় ভারতবর্ষের হিন্দুদের মত। বরের বয়স ছিল সুলতানার বাবার চেয়েও বেশী। এভাবে ধুমধাম করে সারার বিয়ে হয়ে গেলো সারার বিষণ্ণ মনকে তোয়াক্কা না করে। পরের পর্ব শুরু হবে এই বিয়ের বিচ্ছেদ দিয়ে। আশা করি পরের পর্বের জন্য আপনারা ধৈর্য ধারণ করবেন। (চলবে)
ছবি - ইন্টারনেট
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সবার আগে মন্তব্যে করেছেন এইটাই বড় কথা। পরে সময় পেলে আবার আসবেন আশা করি। চাঁদগাজী সাহেব কিসে রাগেন আর কিসে উনি খুশি হব এইটা নিয়ে ব্লগাররা চাইলে গবেষণা প্রকল্প নিতে পারে। ওনার কথাকে বেশী গুরুত্ব দিলে ব্লগিং করতে পারবেন না।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৯
একলব্য২১ বলেছেন: সৌদি আরবে মেয়েদের অবস্থান কেমন তো বুঝা গেল। কিন্তু সমগ্র আরব জাহানে মেয়েদের অবস্থাও কি কম বেশী সৌদি আরবের মত।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব রাষ্ট্রের অবস্থা একরকম না। যেমন মেয়েদের ব্যাপারে মিশর, লেবানন, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া এই দেশগুলি অপেক্ষাকৃত উদার অন্যান্য আরব দেশগুলির চেয়ে। সবচেয়ে অনুদার সৌদি আরব। সার্বিকভাবে বলতে গেলে আরব দেশগুলিতে মেয়েদের উপর ধর্মের নামে নিপীড়ন বেশী হয়।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩১
রামিসা রোজা বলেছেন:
ছেলে ও মেয়ের প্রতি আলাদা বৈষম্যমূলক আচরণ খুব
কষ্টদায়ক । সুলতানার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে ।
সারার বিয়ে নিয়ে এমন নিষ্ঠুর আচরণ মানা যায় না ।
আগামী পর্ব আশা রাখি তাড়াতাড়ি দেবেন।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে সাধারণ সউদিরা ১৯৬০ সালেও বেদুঈন প্রকৃতির ছিল। ফলে মেয়েদের ব্যাপারে এদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আসতে অনেক দেরী হবে বলে মনে হয় ( আদৌ না ও হতে পারে)। সারার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাটাও কষ্টদায়ক ( পরের পর্বে আছে)। আপনার যেন ধৈর্যচ্যুতি না ঘটে সেই উদ্যোগ আমি নিচ্ছি।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখনও একজন রাজ কন্যা বন্ধি আছে
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাজকন্যারা অবাধ্য হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বন্দি করা হয়। কখনও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। অনেক আগে এক রাজকুমারিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল সে এক বিদেশিকে ভালবেসে দেশ ছেড়েছিল বলে।
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০২
ঢুকিচেপা বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।
আগামী পর্বের অপেক্ষায়।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগামী পর্ব আসতে বেশী দেরী হবে না আশা করি।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুলতানার চিন্তা ভাবনা উন্নত।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সে অত্যন্ত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন রাজকুমারি। উনি সম্ভবত এখনও জীবিত আছেন। উনার চারিত্রিক দৃঢ়তার কারণে তার স্বামী একাধিক বিয়ে করতে পারে নি।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৭
মা.হাসান বলেছেন: বাংলাদেশেও নারীর প্রতি মনোভাব খুব ভালো এমন না। নিজে দেখেছি, অনেক শিক্ষিত লোকের বাসাতেই, মেয়েরা পরে খেতে বসে। মাছ বা মাংসের বড় টুকরা মেয়েদের দেয়া যাবে না। অথচ নারীরা যেহেতু গর্ভধারণের মতো কাজ করেন, বেশি প্রোটিনের দাবি তাদেরই আগে।
দেখেছি- ছেলে মেয়ে দুজনের লেখা-পড়া চালানো কঠিন-কাজেই সমান মেধার ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে মেয়েকে বাড়ির পাশের কলেজে।
বাপের বাড়ি বা স্বামীর বাড়ি- কোথাও ই মতামত দেবার সুযোগ নেই। কত সহজেই বলে দেয়- তুমি বেশি বোঝো নাকি?
আমেরিকাতে একই কাজের জন্য মেয়েদের আলাদা বেতন।
নারী হয়ে জন্ম নেয়া বড় পাপ।
২য় পর্বের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ৩য় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। পর্দা মেনে মেয়েরাতো অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু আমরা মেয়েদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েরা চূড়ান্তভাবে ভোট দেয়ার অধিকার পায় ১৯২০ সালে। এর আগের ১৪৪ বছর মেয়েরা ভোট দিতে পারতো না। এখনও অ্যামেরিকার রাজনীতিতে মেয়েরা অনেক পিছিয়ে। মেয়েরা বেতন বৈষম্যের শিকার হয় ওখানে।
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যেই আমার বক্তব্য ব্লগার পদাতিক চৌধুরি বলে দিয়েছেন। আমি আর কি বলবো!!
তবে আপনার এই সিরিজ আমার নজরে আছে। সেটা জানাতেই আসলাম। কবে শেষ করবেন?
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নজরদারির জন্য ধন্যবাদ। হে হে হে । আর মনে হয় ৭ টার মতো পর্ব হতে পারে। টিভিতে আগে ধারাবাহিক নাটক দেখাতো। এগুলি কিভাবে দেখতেন?
৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যেই আমলে দেখতাম......তখন না দেখে উপায় ছিল না। ঠেকায় পড়েই দেখতে হতো।
অন্য উপায় হওয়ার পরেই বাদ দিয়েছি।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক বুদ্ধিমান আপনি। হে হে হে।
১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনি যখন বলছেন তখন পরের পর্বের জন্য ধৈর্য্য ধারণ করে অপেক্ষায় থাকলাম...
সারার বিয়ের ঘটনায় খুব অবাক হলাম!! বাবা কী করে পারলেন ১৬ বছরের কিশোরী মেয়েকে ৬২ বছরের বুড়োর সাথে বিয়ে দিতে!! সম্ভবত মোহরানার অর্থ লোভে একাজ করেছেন তিনি। কিন্তু নিজেই তো অনেক অর্থশালী ছিলেন!!!
আপনার বর্ণনা মনোগ্রাহী, ভালো লাগলো পড়তে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লোভী লোকদের লোভের কোনও শেষ নেই। সারার বাবা রাজপরিবারের লোক ও সম্পদশালী। কিন্তু এক প্রজন্ম আগেও এরা অভাব দেখেছে। আর খারাপ লোকের সম্পদের মোহ দিন দিন শুধু বাড়ে। যুগের পর যুগ আরবের পুরুষেরা নারীদের সম্পত্তি হিসাবে গণ্য করে আসছে ফলে বাবার মনেও মেয়ের জন্য বিন্দুমাত্র মায়া মমতা তৈরি হইনি। সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের দেশের গরীব বাবারাও এরকম চিন্তা করে না সাধারণত।
১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৬
আকন বিডি বলেছেন: কত কিছু ভেঙ্গে পরে। সারার বিয়েটাও ভেঙ্গে পরলো। ভেঙ্গেই যদি পরে তবে জুড়লো কেন?
কত বেদনা নিয়ে না জানি মেয়েটি বাসর রাত কাটায়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ের পরের কাহিনী আরও করুণ। বিবাহ বিচ্ছেদ সারার জন্য কল্যাণকর ছিল। পরের পর্বে বিস্তারিত থাকবে।
১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৭
আমি সাজিদ বলেছেন: আরবদের আমরা তো সভ্য ধরি কিছুদিন আগে থেকে, এর অনেক অনেক আগেই পৃথিবীর নানা সভ্যতা উন্নয়নের চরম শেকড়ে পৌঁঁছে গেছিলো।
সুলতানার বাবার জন্য ঘৃণা আর থুথু বের হয়ে আসছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরব উপদ্বীপ ভুগলিক কারণে সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এখানে কোনও প্রাকৃতিক সম্পদও ছিল না। ফলে বহু যুগ এই এলাকা অন্য জাতি থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। আরবদের বড় একটা অংশ এখানকার মরুভুমিতে বেদুঈন হিসাবে ঘুরে বেড়াতো। হত্যা, যুদ্ধ আর লুণ্ঠন এদের বৈশিষ্ট্য। ফলে বাকি পৃথিবী থেকে কিছু শেখার সুযোগ এরা পেয়েছে অনেক পরে।
১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রাজকন্যার বিয়ে বলে মনে মনে পড়ার কৌতুহল ছিল। কিন্তু পড়ে বিষন্ন হলাম। 16 বছরের রাজকন্যার সঙ্গে 62 বছরের বুড়োর বিয়ে কল্পনাও করা যায় না। অথচ সৌদি রাজপরিবারে যা হরহামেশাই চলে। গোটা বিশ্বে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও রাজপরিবার এখনো সেই মধ্যযুগের অন্ধত্বের মধ্যেই আছে।
ভাবা যায়? একজন পুরুষ মানুষ তিনি কত বেশি নারীর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন, কত কত বেশি নারীকে ডমিনেট করতে পারবেন সেটা হবে তা পৌরুষত্ব ছি: যেন পয়সাওয়ালা বর্বরদের জীবন কাহিনী।
যতই কদর্য হোক আপনি লেখা চালিয়ে যান। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা জানবেন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক বিস্ময়কর বা চমকপ্রদ তথ্য এই বইতে আছে বলেই এটার উপর লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরব দেশের ভিতরের খবর বাইরে খুব একটা আসে না। রাজপরিবারের ব্যাপারটা তো আরও গোপন বিষয়। রাজপরিবারের মেয়েদের যখন এই দশা তাহলে সাধারণ মেয়েদের কি অবস্থা হতে পারে কল্পনা করুন। ১৯৬০ সালের আগে সৌদির অধিকাংশ লোক মরুভুমির বেদুঈন ছিল। তবে এরা আজও মানুষ হয়নি। ভালো মানুষের হার খুব নগণ্য।
১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
ছোটবেলা থেকেই সৌদি ছেলেদের শেখানো হয় যে মেয়েদের মূল্য কম এবং তারা শুধু ছেলেদের আরাম আয়েশের জন্য
Unbelievable shocking !!!
বেশীরভাগ সৌদি পুরুষ বিবাহিত জীবনে অসুখী । এই অসুখী জীবন থেকে মুক্তি্র জন্য এরা একের পর এক বিয়ে করে ।
What a joke !! ফাজলামি নাহ ! একাধিক বিয়ে করবে আবার বলবে অসুখী , ওটাকে এক্সকিউজ করে আবার বিয়ে করবে । তারপরও তারা অসুখী । then what about the gals !!! যাদের সাথে এই ব্যাভিচার হচ্ছে তারা কি সুখী ??? অফকোর্স নট ।
বর্তমান সময়ের একজন সাধারণ মেয়ের জীবন সৌদি রাজকন্যার জীবনের চেয়ে থাউজেন্ড টাইম্স বেটার ।
উফ সাচু, এই লেখা পড়ে আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে এতো সাফোকেটেড
১০ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যদি সৌদি আরবের সমাজের বাস্তব চিত্র জানতে চান তাহলে এই বইয়ে অনেক কিছু পাবেন। আমাদের জন্য বিশ্বাস করা কষ্টকর হলেও সৌদি সমাজের ভিতরের অবস্থা অনেকটা এই রকমই। অনেক আগে এক রাজকন্যাকে শিরচ্ছেদ করা হয়েছিলো কারণ সে একজন বিদেশীকে ভালবেসে দেশ ছেড়েছিল বলে। রাজপুত্ররা অনেক উল্টাপাল্টা করে কিন্তু তাদের শাস্তি হয় না।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
পুরোই অনাচার, অবিচার, ব্যাভিচার !
যত চার আছে, সব ওখানে
১০ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিনা শ্রমে অর্থ, বিত্তের মালিক হওয়ার কারণে এই দেশের লোকেরা ধরাকে সরা জ্ঞান করে। এদের মধ্যে মনুষ্যত্ব বোধ সম্পন্ন মানুষ খুব কম।
১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১২
নীল আকাশ বলেছেন: অনেক দেরি করে আবার আপনার এই সিরিজ পড়া শুরু করলাম। সাথেই আছি। অনেক অজানা জিনিস জানা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের সুন্দর মন্তব্য আমাকে লিখতে অনুপ্রাণিত করছে। ধন্যবাদ। রকমারিতে প্রথম বইটার মূল ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদ পাওয়া যাচ্ছে।
১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাল লাগল পাঠে ।
পরের পর্ব দেখার জন্য চললাম ।
হালনাগাদ পর্ব পর্যন্ত গিয়ে
আরো অনেক চমকপ্রদ কাহিনী
জানা যাবে বলে মনে করি ।
শুভেচ্ছা রইল
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগের পর্ব থেকে পড়া শুরু করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি পর্বগুলি ভালো লাগবে।
১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই সব ঘটনার মধ্যে দিয়েই সৌদি সমাজ এগিয়েছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওরা ইসলামি আইন নিয়ে অনেক ডাবল স্ট্যান্ডার্ড করে। অনেক আইনকে বিকৃত করে প্রয়োগ করে। ছেলেদের ক্ষেত্রে আইন শিথিল করে। অনেক কুপ্রথা ইসলামের নামে প্রয়োগ করে যা ইসলামে নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চাঁদগাজী স্যার না পড়ে লাইক করলে রেগে যান। আবার ভূয়া ভাইয়ের মতো অনেকেই ধারাবাহিক পোষ্টে ইঁট দিয়ে বুকিং রেখে অপেক্ষা করেন সিরিজটি কবে শেষ হবে,সব একসাথে পড়ার জন্য। আমি এই মুহূর্তে বাচ্চাকে পড়াতে বসেছি। সময় নিয়ে কমেন্ট করবো।