নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব : ৩) – রাজকুমার আলীর পর্ণ আসক্তি

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২০


সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব-১)
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব-২)
মার্কিন লেখিকা জিয়ান সেসন (Jean Sasson) এর বই Princess: A True Story of Life Behind the Veil in Saudi Arabia তে বর্ণিত রাজকন্যা সুলতানার জীবন কাহিনী অবলম্বনে।

সারার বিয়ের পর তার বাবা ৩ মাসের জন্য সুলতানা ও তার বোনদের সারার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেন। তার বাবার বক্তব্য হোল সারা যেন ঐ পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে এই জন্যই এমন নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু সারার মা ও বোনদের ৩ মাস দেরী করার দরকার হোল না। বিয়ের পঞ্চম সপ্তায় সারা তার শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলো। একদিন সুলতানাদের গাড়িচালক ওমর হন্তদন্ত হয়ে এসে জানালো যে সারা বাসী মাংস খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং তাকে জেদ্দার একটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরবের লোকেরা মৃত্যু বা কঠিন অসুখের সংবাদ সরাসরি দেয় না। সংবাদবাহকের মুখ থেকে সত্যি কথা বার করতে অনেক সময় চলে যায়। কারও ব্যাপারে দুঃসংবাদ বলতে গিয়ে সাধারণত প্রথমে বলে সে ভালো বোধ করছে না। তারপর বলে তাকে ডাক্তার দেখানো দরকার। আরও চাপ দিলে বলে সে হাসপাতালে ভর্তি আছে, তারপর বলে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। একদম শেষে বলবে যে ডাক্তারের কাছ থেকে কোন খারাপ খবরের জন্য প্রস্তুত থাকতে। তবুও মৃত্যু হয়েছে একথা বলবে না।

সুলতানা ও তার মা তৎক্ষণাৎ প্রাইভেট প্লেনে জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। সুলতানা তার সাথে করে সারার রুম থেকে তার প্রিয় ছবির বইটি নিয়ে যায় সারাকে দেবে বলে। হাসপাতালে পৌঁছে ওরা জানলো যে সারা গ্যাসের চুলার উপর মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। হাসপাতালে সারার স্বামী ছিল না কিন্তু তার শাশুড়ি ছিল। শাশুড়ি সারাকে বকতে বকতে বলল কেন সে তার পরিবারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। সারার মা ওনাকে থামিয়ে দেন এবং উচ্চস্বরে জিজ্ঞেস করেন সারার স্বামী কী করেছিল যে কারণে সারা এই কাজ করতে গেল এবং শাশুড়িকে রুম থেকে বের করে দিলেন। সারার কাছ থেকে তারা জানতে পারলো যে তার স্বামী একজন ধর্ষকামী পুরুষ।

৩ দিন পরে সারার স্বামী হাসপাতালে আসে। সারার বাবাও হাসপাতালে চলে আসে। মেয়ের কষ্টে সেও অস্বস্তি বোধ করে কিন্তু কিছুক্ষন পরেই সারার স্বামী যখন তাকে আশ্বাস দেয় যে সারার সাথে তার সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে তখন সে ব্যাপারটা মেনে নিতে চায়। কিন্তু সারা কান্নাকাটি শুরু করে। সারার মা এর তীব্র প্রতিবাদ করে এবং তার স্বামীকে বলে যে সারা আর কখনও তার শ্বশুরবাড়িতে ফেরত যাবে না এবং সে প্রয়োজনে ব্যাপারটা বাদশাহ ও ধর্মীয় নেতাদের জানাবে। সুলতানার বাবা তার মাকে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। সুলতানার মা বলেন যে সে তালাকের পরওয়া করে না। সুলতানার বাবা শেষমেশ তার মায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নেয় ও সারার স্বামীকে তালাক দিতে বলে। সারার স্বামী সম্ভবত সারার বাবার সাথে তার ব্যবসায়ীক স্বার্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এটা মাথায় রেখে তালাক দিতে রাজি হয়। ২ জনকে সাক্ষী রেখে সে ৩ বার তালাক বলে এবং সারা তার কাছ থেকে অবশেষে মুক্তি পায়।

ঐ সময়ে সৌদি আরবে ছেলে বা মেয়ে কেউ কাউকে না দেখে বিয়েতে সম্মতি দিত। ছেলের মা ও বোনেরা মেয়ে দেখত। বড়জোর ফটো আদান প্রদান হতো। তবে সৌদি আরবে অনেক পিতা মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারটা মেয়ের মায়ের উপর ছেড়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে মায়েরাও মেয়েকে বিয়েতে জোরাজুরি করে। তাদের যুক্তি হোল যে অপরিচিত জায়গায় বিয়ের চেয়ে চেনা জানা পরিবারে বিয়ে হলে মেয়ের জন্য ভালো হবে। তারা মেয়েকে বুঝায় যে স্বামীর ভালোবাসা চিরদিন নাও থাকতে পারে তাই চেনা পরিবারে বিয়ে হলে বিপদ কম। আবার সুলতানার বাবার মত বাবাও আছে যারা আর্থিক লাভের জন্য মেয়েকে বিয়েতে বাধ্য করে। সারার এই ঘটনার পর থেকে সুলতানার মনোজগতে সৌদি মেয়েদের অধিকারের বিষয়টা জায়গা করে নেয়।

সারার গৃহে প্রত্যাবর্তনের কয়েক মাস পরে সুলতার সবার বড় বোন নুরা তার বাবাকে বলে যে সুলতানা আর সারাকে সৌদি আরবের বাইরে কোথাও ঘুরতে নেয়া উচিত। যেহেতু সারা তার মানসিক আঘাত ভুলতে পারছিল না তাই হয়তো তার বাবা এতে সম্মতি দেয়। রাজকুমারী নুরাকে তার বাবা পছন্দ করতো কারণ সে ছিল শান্ত প্রকৃতির এবং তাকে যা বলা হতো তাই করতো। নুরা পরিবারের অপরিচিত একজনকে বিয়ে করে সুখে আছে এই কথা তার বাবা সব মেয়েকে বলতেন উদাহরণ হিসাবে। যদিও সুলতানার মতে নুরার স্বামী ছিল সুবিবেচক ও ভদ্র এই কারনেই আসলে নুরা সুখী ছিল বলে সে মনে করতো।

সৌদি আরবে স্ত্রী বা মেয়ের অশোভন আচরণের কারণে স্বামী বা পিতা কর্তৃক হত্যার ঘটনাও ঘটে। এটাকে প্রশংসা করে সংবাদপত্রে খবর ছাপা হয়। সামান্য চুম্বনের সন্দেহের কারনেও একটা মেয়ের জীবন চলে যেতে পারে সৌদি আরবে।

অবশেষে স্থির হোল যে নুরা ও তার স্বামীর সাথে সুলতানা ও তার ভাই আলী ইতালি বেড়াতে যাবে। পথে তারা মিশরও দেখবে। আলীর সাথে সুলতানার সম্পর্ক ছিল সব সময়ই সাপে নেউলে। তাই সুলতানা যখন শুনল যে আলীও তাদের সাথে যাবে সে রেগেমেগে আলীর ঘুটরা ( আরবের ছেলেরা মাথায় যে কাপড় পরে) মাথা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে সারা ঘরে দৌড়াতে লাগলো। অবশেষে সুলতানা বাথরুমে ঢুকে জোরে দরজা লাগিয়ে দিল। আলী তাকে ধরার জন্য আসছিল এবং এক পর্যায়ে বাথরুমের দরজার কাছে পরে গিয়ে পায়ের একটা আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলল। সুলতানা আলীর মাথার ঘুটরা কমোডে ফ্ল্যাশ করে দিল। বাথরুমের বাইরে আলীর সাথে তার আবার যুদ্ধ হোল। সুলতানা আলীর ভাঙ্গা আঙ্গুলে ব্যথা দিয়ে আলীকে দুর্বল করে ফেলল। অবশেষে তাদের মা ঘটনাস্থলে এসে আলীকে হাসপাতালে নিয়ে গেল।

এই সুযোগে রাজকুমারি সুলতানা আলীর রুমে ঢুকে আলীর আলমারি থেকে অনেকগুলি পর্ণ ম্যাগাজিন, ফিল্ম স্লাইড ( ছোট ভিউ মাস্টারে দেখার উপযোগী গোলাকৃতির ফিল্ম স্লাইড ) ও মদের ছোট বোতল উদ্ধার করলো। সুলতানা জানে আলীর পায়ের আঙ্গুল ভাঙ্গার কারণে তাকে বকা খেতে হবে তাই সে একটা বুদ্ধি বের করলো। দুপুর দুইটার দিকে বাসার কাছের মসজিদে মুসুল্লি থাকে না সে এটা জানে। সুলতানার তখনও নিকাব পরার বয়সও হয়নি ( ১৩ বছর বয়স)। সে আলীর পর্ণ পত্রিকা, ফিল্ম স্লাইড আর মদের বোতল একটা ব্যাগে নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলো। সে আগেই ঠিক করে রেখেছে যে কেউ দেখলে সে বলবে যে সে তার বিড়াল খুজতে এসেছে। সৌভাগ্যক্রমে কেউ ছিল না এবং সে আলীর পর্ণ পত্রিকা, ফিল্ম স্লাইড আর মদের বোতল মসজিদের সিঁড়ির কাছে এক জায়গায় রেখে চুপিসারে বাড়ি ফিরে আসল।

রাতে ৩ জন মুতাওয়া (ধর্মীয় ক্ষমতা প্রাপ্ত পুলিশের মত বাহিনী ) তাদের বাসায় এলো। সুলতানাদের এক চাকরানীকে পোশাকের কারণে ২ সপ্তাহ আগে ঘরের বাইরে মুতাওয়া লাঠি দিয়ে মেরেছিল এবং তার পায়ের অনাবৃত অংশে লাল রঙ স্প্রে করে দিয়েছিল। তাদের বাবা তখনও বাসায় ফেরেনি। মুতাওয়ারা আলীর পর্ণ পত্রিকা, ফিল্ম স্লাইড ও মদের বোতলের একটা করে নমুনা তাদের ড্রাইভার ওমারের কাছে দিয়ে ঘটনা বর্ণনা করলো এবং বলল যে তারা পরে আবার আসবে। এগুলি দেখে আলীর তো অবস্থা সঙ্গিন। তবে ওমার যখন বলল যে আলীকে গ্রেফতারের জন্য মুতাওয়ারা পুলিশ ডাকতে গেছে তখন আলী হুঙ্কার দিয়ে বলল যে “আমি একজন রাজকুমার, ওরা আমাকে গ্রেফতার করতে পারবে না। এই ধর্মান্ধগুলি আমার কাছে পায়ের আঙ্গুলে কামড়ানো মশার মত”।

সুলতানার বাবা বাসায় এসে সব শুনল এবং পর্ণ পত্রিকা, ফিল্ম স্লাইড ও মদের বোতল নিজের চোখে দেখল। রেগেমেগে সে সুলতানা ও তার মাকে অন্য কক্ষে যেতে বলে আলীকে ভালো করে উত্তম মধ্যম দিল। সুলতানা না দেখলেও আওয়াজে বুঝল যে আলীর পিঠের উপর ভালোই পড়েছে। মুতাওয়ারা কয়েক ঘণ্টা পরে আসলো। তাদের সাথে অনেকক্ষণ ধরে দেন দরবার চলল। মুতাওয়াদের সব কিছু মানানো গেলেও একটা স্লাইডে এক মেয়ের সাথে একটা পশুর যৌন মিলনের দৃশ্য মুতাওয়ারা কিছুতেই সহজভাবে নিতে পারছিল না। যাই হোক অবশেষে আলীর জন্য একটা অপেক্ষাকৃত হাল্কা শাস্তির ব্যবস্থা করা হোল। আলী রাজপুত্র বলে আদালতের মাধ্যমে শাস্তি থেকে সে অব্যাহতি পেল ( রাজার অনুমতি প্রয়োজন হয় )। অন্য কেউ হলে কয়েক বছর জেল খাটতে হতো এবং প্রতি সপ্তায় ১০ টা করে চাবুকের দোররা খেতে হতো। এক ফিলিপিনো ড্রাইভারের ভাগ্যে তাই ঘটেছিল। আলীর উপর শাস্তি ধার্য হোল যে আলীর বাবা ঐ মসজিদে একটা মোটা অঙ্ক দান করবে এবং আলীকে আগামী ১২ মাস ৫ ওয়াক্ত নামাজ ঐ মসজিদে গিয়ে পড়তে হবে এবং মসজিদের মোতাওয়াদের যে প্রধান তার সাথে দেখা করতে হবে। এছাড়া তাকে কাগজে ১০০০ বার লিখতে হবে ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং আমি ঈশ্বর বিহীন পশ্চিমা দেশের অনৈতিক কাজ অনুসরণ করে আল্লাহকে নাখোশ করেছি'। এছাড়া আলীকে বলতে হবে কে তাকে এই পর্ণ পত্রিকা ও ফিল্ম স্লাইড দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আলী পত্রিকাগুলি বিদেশ থেকে এনেছিল যখন সে বেড়াতে গিয়েছিল (রাজপরিবারের সদস্যদের শুল্ক পরীক্ষা হয় না বললেই চলে)। কিন্তু সে ফিল্ম স্লাইডগুলি কিনেছিল সৌদিতে কর্মরত একজন পশ্চিমা লোকের কাছ থেকে যার সাথে আলীর এক পার্টিতে পরিচয় হয়েছিল। আলী খুশি মনে ঐ লোকের নাম ও ঠিকানা বলে দিল নিজে বাঁচার জন্য।

সুলতানা পুরো ঘটনায় বিচলিত হয়ে পড়লো। পরিবারের এভাবে মানহানি হবে সে তা বুঝতে পারেনি। সে ধরা পরে যাবে এই ভয়েও সে আতঙ্কিত ছিল। মুতাওয়ারা যাওয়ার পরে আলীর সাথে সুলতানার চোখাচোখি হোল। সুলতানা বুঝতে পারলো যে আলী বুঝে ফেলেছে কে কাজটা করেছে। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হোল আলীর দৃষ্টিতে রাগের বদলে বেদনা খুঁজে পেল সুলতানা। সুলতানা তার কুকর্মের কথা চিন্তা করে কেঁদে ফেলল। তার বাবা ভাবল যে পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে সুলতানা কাঁদছে এবং এজন্য সে আলীকে ধরে ঝাঁকানি দিয়ে আবারও উচ্চস্বরে তিরস্কার করলো। এই প্রথম তার বাবা সুলতানাকে বুকে টেনে নিলেন ও দুশ্চিন্তা না করতে বললেন। সুলতানার অবস্থা এবার সত্যিই সঙ্গিন হোল। পিতার স্নেহের উষ্ণতা পাওয়ার আজীবন লালিত বাসনা ও তা পাওয়ার যে আনন্দ সুলতানা সব সময় কল্পনা করতো তা মাটি হয়ে গেল এরকম একটা খারাপ কাজের অসিলায় তা অর্জিত হওয়ার জন্য। আলীর পায়ের আঙ্গুল ভাঙ্গা ও তার মাথার ঘুটরা টয়লেটে ফ্ল্যাশের মত কুকর্মগুলো আর প্রকাশ পেল না আলীর এই ঘটনার কারণে।

পরের পর্বে থাকবে নুরা ও সুলতানাদের ইতালি ও মিশর ভ্রমনের কাহিনী। (চলবে)

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

আমিন রবিন বলেছেন: চলতে থাকুক। ভালো লাগছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ। চলতে থাকবে। আপনারাও পড়তে থাকুন।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: আলীর চরিত্র তো সত্যিকারের প্রিন্সের মতো B-))
মদের বোতল? ঐ বয়সে?

যাই হোক প্র্যাকটিস মেকস এ ম্যান পারফেক্ট । সুলতানা না থাকলে আলী আরো ভালো ভাবে প্র্যাকটিস চালাতে পারতো।

যদিও ধর্ম মেয়েদেরকে বিয়ের সময়ে হা -না বলার ক্ষমতা দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে এটা মনে হয় অনুপস্থিত্। শুধু তাই না, আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক হানাফি ফিকহ অনুসরন করেন। হানাফি মতে বালেগ মহিলা নিজ পছন্দে বিয়ে করতে পারে, ওলি লাগে না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলিতে অন্য মাজহাব অনুসরন করে, মেয়েরা অভিভাবক ছাড়া নিজেরা বিয়ে করতে পারে না। মানুষ নিজেদের মেয়েদের ব্যাপারে এত নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করতে পারে বিশ্বাস করা কষ্টকর।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাজকুমার আলীর এর চেয়েও অধিক কিছু চমকপ্রদ ও ভয়ঙ্কর ঘটনা পরের পর্বে থাকবে। আরবের বাচ্চাদের সাহস মনে হয় বেশী। সুলতানার সাহসও আমাকে বিস্মিত করেছে। বিয়ের ব্যাপারী অভিভাবকের ভূমিকা সংক্রান্ত আপনার মন্তব্য ঠিক আছে। আরবের মানুষের মন খুব রুক্ষ। ছেলে হোক, মেয়ে হোক, মা হোক, বাবা হোক। এটা আমার ধারণা। আমাদের সমাজের সাথে ওদের অনেক ব্যবধান।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: সৌদী শাসক জানোয়ারগুলি ধর্ম বা নৈতিকতা কোনোটাই মানেনা।Lindsay Lohan is 'getting close' to Saudi Crown Prince Mohammad bin Salman

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৌদি রাজপুত্রদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র। ধর্মকে এরা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে। তবে লিনডসে লোহান এটাকে তার অর্থকরী সুযোগ বলেই মনে করে মনে হয়। তার পিছনে কোনও রাজপুত্র টাকা উড়াতে চাইলে তার তো আপত্তি থাকার কথা না। পশ্চিমে তো মিলেমিশে করলে সব কিছুই ওকে।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৩

শায়মা বলেছেন: হায়রে আলী তো ভালোই বিপদে পড়লো সুলতানাকে খেপিয়ে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপুমনি আলী ক্ষণিকের জন্য বিপদে পরলেও এর চেয়ে জঘন্য কাজ সে সামনে করবে। কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। একটু অপেক্ষায় থাকুন।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: লোহান তো পেশাদার পতিতা, সালমানের মতো ধর্মের বিরাট রক্ষক না !!!!
সুতরাং সে অধম বলিয়া সালমান উত্তম হইবে না কেনো ?

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লোহান যদি পেশাদার পতিতা হয় তাহলে রাজপুত্র সালমান হোল পতিতার রাজকীয় খদ্দের। নারীঘটিত ব্যাপারে রাজা বাদশাদের চরিত্রে ইতিহাস ঘাঁটলে ভালো কিছু পাওয়া যায় না। তাই সালমান তার বাবা, চাচাদের কাছ থেকে যা শিখেছে তাই সে করছে। অথচ অনেক বছর আগে এক সৌদি রাজকন্যার গর্দান নেয়া হয়েছিল একজন বিদেশিকে ভালবেসে দেশ ছাড়ার জন্য।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: কোন একটা বইতে পড়েছিলাম, একবার নাকি সৌদি বাদশা আমাদের এরশাদ সাহেবকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। এরশাদ কয়েকজনকে নিয়ে সেই দাওয়াতে গিয়েছিলেন! প্লেন থেকে শুরু করে চারিদিকে নাকি হুর দিয়ে ভরা ছিলো।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৌদির প্লেনে সৌদি আরবের মেয়েরা কাজ করে না। এখানে অন্যান্য আরব দেশের, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মেয়েরা কাজ করে। প্লেনে হুর থাকা স্বাভাবিক কিন্তু অন্যান্য জায়গায় মনে হয় মেয়ে ছিল না। সৌদি আরবের যে কোনও শহরে বোরকা বাধ্যতামূলক।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখন যারা বন্ধি আছে তাদের নিয়ে লিখতে পারেন

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাদের ব্যাপারে সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্য থাকলে লেখা যায়। সাধারনত এদের খবর গোপন করা হয়।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫০

রামিসা রোজা বলেছেন:
সারা'র জীবনে এক কঠিন অধ্যায় ঘটে গেলো ।
সুলতানা ও আলী'র ভাই বোনের দ্বন্দ্ব মনেহচ্ছে সামনে
মিটে যাবে কিন্তু সুলতানা বিবেকের সাথে লড়ছেন ।
একেই হয়তো বলে ভাই আর বোনের সম্পর্ক ।
ভালো লাগলো পড়তে ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ে এবং বিবাহ বিচ্ছেদ একটা মেয়ের জীবনে বিরাট বড় বিপর্যয়। আমার মনে হয়েছে সুলতানা ও আলী উভয়েই বাড়াবাড়ি করেছে।

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই পর্বে সারার পুনর্জন্ম হলো।আর সুলতানা ও আলীর বিরোধটা খুব বাজে আকারে শেষ হলো। আশঙ্কায় আছি, রাজপুত্তুর আবার না কৌশল নিয়ে সুলতানাকে আঘাত করে।‌আলীর পর্ণ আসক্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক মনে হয়নি। সম্ভবত প্রথম পর্বে দেখেছি, সৌদিতে যে যতবেশি নারীকে ঘোরাতে পারবে সে ততবেশি প্রভাবশালী। আলী ছোট থেকেই পূর্বপুরুষের কালচার দেখে অভ্যস্ত। নারী যে মানুষ সেই বোধশক্তি যেহেতু ওদের নেই। সুতরাং টিনেজার বয়সেই রাজপুত্তুর সন্তান উৎপাদনকারী মানব যন্ত্রকে নিজের কাম শক্তির নিরসনে ব্যবহার করবে এ আর আশ্চর্যের কি।

আপাতত পরবর্তী পর্বে ইতালি ও মিশর ভ্রমণ অপেক্ষায় রইলাম। একটা কথা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বড় বোন নুরার সঙ্গে ছোটবোন সুলতানার বয়সের ডিফারেন্স কতটা?


০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে পর্ণ আসক্তি বয়সের দোষ। তাই আলীকে আমি খুব একটা দোষ দেই না। বরং সুলতানার আলীকে বিপদে ফেলার জন্য মসজিদে গিয়ে পর্ণ সামগ্রী রেখে আসাকে আমার মনে হয়েছে বাড়াবাড়ি ও অতি সাহসিকতা। তবে এক্ষেত্রেও সুলতানার বয়সের কারণে (১৩ বছর ) তাকে মাফ করে দেয়া যায়। তবে আমার কাছে আরব ছেলে মেয়েদের অতিরিক্ত সাহসী ও বেপরোয়া মনে হয়েছে। নুরার বয়স বলা নাই। তবে ১১ ভাই-বোনের মধ্যে সে সবার বড় আর সুলতানা সবার ছোট যার বয়স ১৩ বছর। আরবে ঐ সময় বছর বছর সন্তান হতো বলে মনে হচ্ছে। তাই সুলতানার চেয়ে সে হয়তো ১২ থেকে ১৪ বছরের বড় হবে। তার বয়স হয়তো ২৬/২৭ বছরের মত হবে। এটা আমার অনুমান মাত্র কারণ বয়স দেয়া নাই। মিশরে আলী আরও ভয়নক কাণ্ড করবে। অপেক্ষায় থাকুন।

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

করুণাধারা বলেছেন: প্রিন্সেসের পর এবার প্রিন্সের সাথেও পরিচিত হলাম। আরব প্রিন্সের চরিত্র খারাপ তাহলে নতুন কিছু না!! এরা মনে হয় প্রকাশ সম্পর্কে ভাবেই না!!

প্রিন্সের শাস্তি খুব অভিনব, বিশেষ করে ১০০০ বার লেখার বিষয়টি।

পরের পর্বে ভ্রমণ কাহিনীর জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরবে প্রিন্সদের অনেক মূল্য। আর প্রিন্সেসদের কোনও স্বাধীনতা নেই যদিও যে কোনো বিলাস বহুল সামগ্রী এরা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে চাইলেই পেতে পারে। তবে মানসিকভাবে এরা অনেক অশান্তিতে থাকে। আসলে স্বাধীনতা ছাড়া শান্তি হয় না। আলীর ব্যাপারটাকে আমি খুব গুরুতর অপরাধ মনে করি না তার বয়সের কারণে। তবে আলী মিশরে আরও ভয়ংকর কিছু করবে পরের পর্বে।

১১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: তাদের কালচার সম্পর্কে জানা হলো।
এই পর্বটা ভালো হয়েছে।

১০ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরও জানার জন্য পরের পর্ব পড়বেন আশা করি। মিশরে আলী কিছু উলটাপালটা কাজ করবে।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: এটাও পড়লাম। লেখা ঝড়ঝড়ে হয়েছে। একটানে পড়ার মতো।
সৌদি রাজপুত্রদের চরিত্র নাকি এইরকমই।
পরের পর্ব পড়তে গেলাম।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কষ্ট করে পুরনো লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আরব দেশের বর্তমান যুগের মানুষগুলির সাথে আমাদের বিস্তর ফারাক।

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পরের পর্বে যাচ্ছি।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব পর্ব পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনি এই সব দেশে গিয়েছেন তাই আপনার কাছে আরও ভালো লাগবে। আমিও এক সময় পিতার কর্মসূত্রে সৌদি আরবে ছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.