নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব-৫) – সুলতানার মা ও তার মৃত্যু-স্বপ্ন

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৫


ইতালি থেকে দেশে ফেরার পর সুলতানা তার মাকে অসুস্থ অবস্থায় বিছানাতে পেল। সুলতানার মা ছিলেন খুব সহজ, সরল ও পরহেজগার একজন মহিলা। সুলতানার মায়ের বয়স যখন মাত্র ৮ বছর তখন সে তার মা ও বাবাকে হারায়। সুলতানার নানা ছিলেন অনেক দয়ালু এবং স্বভাবের দিক থেকে তিনি গড়পড়তা বেদুইনদের মত ছিলেন না। তিনি তার মেয়ে এবং ছেলেদের একই রকম ভালবাসতেন। অন্য বেদুইনরা মেয়ে জন্মগ্রহন করলে যখন মুখ গোমড়া করতো তখন তিনি তাদেরকে বলতেন যে আল্লাহর কাছে শোকর করো, কন্যা সন্তানের কোমল স্পর্শ তোমাদের পরিবার পেয়েছে বলে। সুলতানার মা বলতেন যে তার বাবা বেঁচে থাকলে তাকে এত কম বয়সে বিয়ে দিতেন না।

সুলতানার মা স্বপ্নের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন যে তার এই পৃথিবী থেকে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। প্রথম স্বপ্নটা তিনি দেখেন সারার আত্মহত্যার চেষ্টার ৪ দিন আগে। তিনি দেখেন যে মরুভুমিতে একটা তাবুর ভিতরে আছেন যেমনটা ছোটবেলায় তার পরিবারের সাথে ছিলেন। সেখানে তিনি তার বাবা ও মাকে দেখে খুব আশ্চর্য হলেন। বাইরে তার ভাইদের আওয়াজ তিনি শুনতে পাচ্ছিলেন। তিনি তার বাবা ও মায়ের দিকে ছুটে গেলেন। কিন্তু তারা তাকে দেখতেও পাচ্ছিল না শুনতেও পাচ্ছিল না। এই সময় তার এক ভাই তাবুতে প্রবেশ করলো এবং একটা কাপ থেকে দুধ খেতে লাগলো। তার বাবা কফি বানানোর জন্য বিন চূর্ণ করছিলেন আর এই কবিতাটা আবৃত্তি করছিলেন;

‘নদী বয়ে যাচ্ছে,
গাছেরা ছায়া দিয়ে রোদ আড়াল করছে,
ফলমূল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পায়ের কাছে,
দুধ আর মধুর কোনও কমতি নেই,
নিকটাত্মীয়রা অপেক্ষা করছে
পৃথিবীতে আটকে পড়া আত্মীয়দের জন্য।‘

এই স্বপ্নটাকে তার মা তেমন গুরুত্ব দেননি। সারার বাড়ি ফেরার এক সপ্তাহ পর সুলতানার মা দ্বিতীয় স্বপ্নটা দেখেন। তিনি দেখেন যে একটা পাম গাছের নীচে তার পরিবারের মৃত আত্মীয়রা বসে আছে। তারা রুপার পাত্রে ভালো খাবার খাচ্ছিল। তাকে দেখে তার বাবা স্বাগত জানায়। সে তার মেয়ের হাত ধরে খাবার খাওয়ানোর জন্য বসানোর চেষ্টা করে। সুলতানার মা ভয় পেয়ে যায় ও দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু তার বাবা তার হাত শক্ত করে ধরে রাখে। সে তার বাবাকে বলে যে আমি এখন খেতে পারবো না কারণ আমার বাচ্চাদের দেখাশোনা করতে হবে। তার মা উঠে এসে তার কাঁধে হাত রাখলো এবং বললো ‘ফাদিলা, আল্লাহ তোমার মেয়েদের দেখবে। তাদেরকে আল্লাহর উপর ছেড়ে দেয়ার সময় এসে গেছে।‘ তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো এবং তখনই সে বুঝলো যে পৃথিবীতে তার দিন শেষ হয়ে আসছে।

সুলতানারা মিশর যাওয়ার ২ সপ্তাহ পর তিনি পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা বোধ করতে থাকেন। তিনি বুঝতে পারেন যে তার মৃত্যু নিকটবর্তী। ডাক্তার পরীক্ষা করে জানায় যে তার স্পাইনাল কর্ডে টিউমার হয়েছে। এই সময় তিনি তৃতীয় স্বপ্ন দেখেন। তিনি দেখেন যে তিনি তার মৃত বাবা, মা, দাদা, দাদি, ভাই ও গোত্রীয় ভাইবোনদের সাথে অনেক আনন্দ করে খাচ্ছেন। তিনি ছোট কয়েকটি শিশুকে মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে প্রজাপতি ধরতে দেখে হেসে ফেলেন। তার মা তাকে বলেন ‘ফাদিলা, তুমি তোমার ছোট বাচ্চাগুলিকে খেয়াল করছো না কেন? তুমি কি বুঝতে পারছো না যে এগুলি তোমারই সন্তান?’ হঠাৎ তিনি বুঝতে পারলেন যে এই বাচ্চাগুলি তার সেই ৫ সন্তান যারা অল্প বয়সে মারা গিয়েছিল। তিনি তখন ওদেরকে কোলে নিয়ে আদর করতে লাগলেন।

অবশেষে তার শেষ দিন ঘনিয়ে এলো। অন্তিম মুহূর্তে তার মেয়েরা বিছানার চারদিকে তাকে ঘিরে বসে ছিল। সুলতানার মা একে একে প্রত্যেক মেয়ের দিকে দীর্ঘক্ষণ নিরব দৃষ্টি মেলে অবলোকন করলেন। সুলতানার দিকে তাকিয়ে মুহূর্তের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন তিনি, কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তার এই অনমনীয় মেয়েটার জীবনই সব চেয়ে কঠিন হবে। অবশেষে সামান্য কষ্ট ভোগ করে সুলতানার মা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

প্রয়োজনীয় ধর্মীয় বিধি বিধান মেনে তাকে সমাহিত করার ব্যবস্থা করা হোল। সুলতানা ও তার পরিবারের সদস্যরা কবর দেয়া পর্যন্ত কবরের কাছে ছিল। তার মাকে কবরে শায়িত করার পর প্রথম মাটি কবরে দেয়ার সময় সুলতানা হঠাৎ আঁতকে উঠল। এই মায়ের সব চেয়ে ছোট মেয়ে সে। যাকে সে এত ভালবাসে তার গায়ে যখন মরুভুমির লাল বালু ঢেলে দেয়া হচ্ছিল তখন দার্শনিক খলিল গিব্রানের একটা কবিতার কয়েকটি চরণ হঠাৎ তার মনে আসল;

‘হয়তো মানুষের কাছে যেটা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ফেরেশতাদের কাছে তা বিয়ের ভোজের মত’।

সুলতানা কল্পনায় দেখতে পায় যে তার মা তার নানা, নানী আর শিশু বয়সে মারা যাওয়া তার মৃত ভাইবোনদের মাঝে দাড়িয়ে আছে। ঐ মুহূর্তে সে নিশ্চিত হয়ে গেলো যে একদিন সে আবার তার মায়ের ভালবাসার ছোঁয়া পাবে, তার কান্না থেমে গেলো এবং মনের মধ্যে একটা আনন্দ আর প্রশান্তি সে অনুভব করলো। তার বোনেরা একটু দূরে দাড়িয়ে ছিল। তার এই প্রশান্তি ভরা চেহারা দেখে বোনেরা কিছুটা আশ্চর্য হোল। সুলতানা কবিতার চরণগুলি আর পবিত্র কোরআনের আয়াত তার বোনদের শুনাল যা তার মনকে শান্ত করেছিল। তার বোনেরাও মাথা নেড়ে তাকে সমর্থন দিল। আলীও অনেক কষ্ট পেয়েছিল তার মায়ের জন্য। কিছু সময়ের জন্য সে হত বিহ্বল হয়ে গিয়েছিল। ধু ধু মরুভুমির শূন্যতার মধ্যে প্রানপ্রিয় মাকে রেখে ভাইবোনেরা ফিরে চলল বাড়ির পথে। এই সহজ, সরল, অসহায় মা যিনি আরব সমাজের বিভিন্ন প্রতিকুলতার মাঝেও তার সন্তানদের স্নেহ, ভালোবাসা দিয়ে এতগুলি বছর আগলে রেখেছিলেন তার জন্য হয়তো বড় কোন ধর্মীয় আয়োজন হোল না, এমন কি তার কবরটাকেও কোনও পাথর দিয়ে চিহ্নিত করা হোল না, তার পরও সুলতানা জানে এই মায়ের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে সব চেয়ে বড় উপহার হোল সে তার বাবা, মা, ভাইদের সাথে আবার মিলিত হয়েছে।

মার্কিন লেখিকা জিয়ান সেসন (Jean Sasson) এর বই Princess: A True Story of Life Behind the Veil in Saudi Arabia তে বর্ণিত রাজকন্যা সুলতানার জীবন কাহিনীর সারসংক্ষেপ।

সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব-১)
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব-২)
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব-৩)
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব-৪)

ছবি – ইন্টারনেট


মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সাচু ভাই আপনার এই সিরিজটি আমাকে
দারুনভাবে মোহিত করে। খুব ভালো লাগে।
ধন্যবাদ সিরিজটি কন্টিনিউ করার জন্য।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নুরু ভাই আপনার মন্তব্যে আমি অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। এই কাহিনীটার কিছু কিছু জায়গা খুব মর্মস্পর্শী।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



এর আগের পর্বটিতে '৪র্থ ও শেষ পর্ব' অথবা এই জাতীয় একটা কথা দেখেছিলাম মনে পড়ছে। ঠিক বলতে পারছি না, আমার দেখায় সম্ভবতঃ ভুল ছিল।

পর্বগুলো পড়ার ইচ্ছে। ভালো থাকুন।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সম্ভবত অন্য কোন সিরিজের সাথে মিলিয়ে ফেলেছেন। সময় পেলে পর্বগুলি পড়বেন আশা করি। সৌদি রাজপরিবার সম্পর্কে অনেক অজানা বিষয় জানতে পারবেন।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: প্রতিটি মৃত্যুই মৃত্যুবরনকারীর জন্য হয় আনন্দের নয় পরিতাপের হবে। পূন্য কর্মশীল লোকেরা আপন প্রভু এবং প্রিয়জনদের সাথে মিলিত হবে। আমরা ঐ জগতের সৌন্দর্যের খবর জানলে মৃত ব্যক্তির জন্য এত পেরেশান মনে হয় হোতাম না। জিব্রানের কথা খুব সুন্দর- ‘হয়তো মানুষের কাছে যেটা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ফেরেশতাদের কাছে তা বিয়ের ভোজের মত’।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মৃত ব্যক্তি দাফনের অল্প সময়ের মধ্যেই কবরে তার পরিনতি জেনে যাবে। ভালো হলে খুব ভালো আর খারাপ হলে খুব খারাপ। মুমিন বান্দার জন্য দুনিয়া একটা জেলখানার মতো। সুলতানার মা অনেক পরহেজগার ছিলেন তাই সত্যি স্বপ্ন দেখেছিলেন একাধিকবার। তবে এই পর্বটা লেখার জন্য আমি যখন কয়েকবার বইটার সংশ্লিষ্ট অংশ পড়ি তখন আমি বারবার আবেগ আপ্লুত হয়েছি। আরবে অনেক খারাপের মধ্যে সুলতানার মায়ের মতো বা তার বাবা, মার মত ভালো মানুষও কিছু আছে। তা না হলে একটা সমাজ টিকে থাকতে পারে না।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো অনেকককককক

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার অনেককককককক ভালো লেগেছে মানে সত্যিই ভালো লেগেছে। জাযাকাল্লাহ খাইরান ( ব্লগে অনেকের এটাতে অ্যালার্জি আছে যদিও)। কারো সমালোচনায় উত্তম কথা বলা আমি বন্ধ করতে নারাজ।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিছু মানুষ আছে আজাইরা থাকে, এদের সবকিছুতেই চুলকানি। এসব থাকবেই । আমরা যারা আপনার লেখা পড়ি তাদের জন্যই লিখবেন ভাইয়া।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনাদের সুন্দর মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

করুণাধারা বলেছেন: যতই পড়ছি মুগ্ধ হচ্ছি আপনার ভাবানুবাদের দক্ষতা দেখে। আপনি বলছেন মূল বই সুলতানার জবানীতে, কিন্তু আপনি সম্ভবত কাহিনী সংক্ষেপ করার জন্য সুলতানার জবানীতে না দিয়ে আপনার মতো করে বর্ণনা করে যাচ্ছেন। কাহিনীর গতি কোথাও বদলাচ্ছে না, পুরোটা একই রকম আগ্রহোদ্দীপক! বিশাল লাইক দিলাম।

আমি কিছুদিন আগে ২০০ পৃষ্ঠার বইয়ের একটা অনুবাদ সিরিজ শুরু করেছিলাম, কিন্তু কাহিনী কিছুতেই সংক্ষেপ করতে পারছিলাম না, তাই শেষ পর্যন্ত অনেক কাটছাঁট করে শেষ করেছি। আপনার এই বই কত পৃষ্ঠার? আনুমানিক কত পর্বে শেষ করতে পারবেন?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লাইক পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমার ধারণা আমি পুরো লেখার ৭% থেকে ৮% এর মতো প্রকাশ করছি। আমি সুলতানার বর্ণনাকে নিজের মতো করে লিখছি। শুধু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি উল্লেখ করছি। আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতা মনে হয় মিলে যাচ্ছে। বইটার প্রতিটা প্যারাগ্রাফ এত আগ্রহ সৃষ্টি করে যে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আমি মনে হয় বেশী সংক্ষেপ করছি। মুল বইটা ৩০৭ পৃষ্ঠার। আমার ধারণা ১০ থেকে ১২ পর্বে শেষ করা যাবে।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
সুলতানার মায়ের মৃত্যুতে বেদনাসিক্ত হ'লাম ।
আপনার এই সিরিজের অপেক্ষাতেই ছিলাম এবং ভালো
লাগলো পড়তে ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি পরহেজগার মানুষদের (ছেলে হোক বা মেয়ে হোক) প্রতি একটা আকর্ষণ অনুভব করি। সুলতানার মাকে তো দেখি নাই। কিন্তু বর্বর আরব দেশে ওনার আত্মত্যাগ আর সন্তানদের প্রতি মায়া মমতা আমাকে ভীষণভাবে আলোড়িত করেছে। কবরের কাছে সুলতানা আর তার ভাইবোনদের কথা কল্পনা করে আমার খুব খারাপ লাগছিল। ভদ্র মহিলা সারা জীবন কত অবহেলা আর নির্যাতন সহ্য করেছেন, কেউ বুঝলো না। কেউ সম্মান দিল না। সম্মান তিনি শেষ পর্যন্ত পেলেন (সুলতানা বিশ্বাস করে তাই আমিও বিশ্বাস করি) আল্লাহর কাছে।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুলতানার মা স্বপ্নের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন -------
যদি সত্যিই স্বপ্নের মাধ্যমে জানা যেত! কত না ভালো হতো।
মেয়েদের সাধারনত জকবরস্থানে যেতে দেখি না। মাটি দেওয়া তো দূরের কথা। সাধারনত ছেলেরাই এসব কাজ করে।

মাইলের পর মাইল মরু ভূমি। এসব মরুভূমিকে কোনো কাজে লাগানো গেলো না আজও!!!

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামে ইস্তেখারা বলে একটা এবাদত আছে। জীবনে কোনও জটিল পরিস্থিতিতে যদি সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে কিছু নির্দিষ্ট দোয়া পড়ে ঘুমালে ভোরে স্বপ্নে একটা দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়। আমাদের রসুল (সাঃ) আমাদেরকে এরকম করতে উৎসাহিত করেছেন। সৌদি আরবের মরুভুমিকে এখন বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন কৃষিকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কেয়ামতের আগে এই মরু এলাকা নাকি সবুজ গাছপালায় পূর্ণ হয়ে যাবে।

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

আকন বিডি বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইরান আপনার অনুবাদের জন্য।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন এই কামনা করছি।

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সৌদি রাজ কন্যাদের জীবন কঠোর পর্দা ও নজরদারিতে থাকে এখনো আছে ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা প্রয়োজন। ধর্মের নামে অনেক অধর্ম করছে। ধর্ম মানতে হবে ঠিক আছে। কিন্তু নিপীড়নের জন্য ধর্মকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা অন্যায় কাজ।

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সুলতানার বাবার কোন ভুমিকা দেখছি না এখানে।
তিনি মনে হয় নতুন বিয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।

গল্প ভালো হচ্ছে, আগামী পর্বে দেখা হবে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যা ধারণা করেছেন তাই সামনে হতে যাচ্ছে। সুলতানা আসলে ছোটবেলা থেকেই বাবার স্নেহ, মমতা বঞ্চিত ছিল। ফলে এই বইয়ে তার বাবাকে সে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে। আমার ধারণা সে যদি শুধু তার বাবার ভালোবাসা পেত তাহলে হয়তো এই বই লিখতে উদ্যোগী হতো না। এইসব কারণে হয়তো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় তার বাবার ভূমিকা সে উল্লেখ করেনি অথবা ঐ সময় হয়তো তার বাবা সমাজের প্রথা অনুযায়ী যা করার তাই করেছে তাই সেটা উল্লেখ করার প্রয়োজন সে বোধ করেনি।

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ইস্তেখারার নামাজ।
আমার এক বন্ধু বিয়ের আগে ইস্তেখারা নামাজ পড়েছে। সেই নামাজে সে ইশারা পেয়েছে। এবং বন্ধুর হবু বউও ইস্তেখারা পড়েছে। তারপর তারা বিয়ে করেছে। এখন এক বছর তাদের সংসার জীবন। এখন তারা তালাকের চিন্তা করছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এমন হতে পারে হয়তো শেষ পর্যন্ত তালাক হবে না। এটা আল্লাহর তরফ থেকে ওনাদের উপর পরীক্ষাও হতে পারে। সংসার জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই থাকে বেশীরভাগ মানুষের। স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের রসুল (সাঃ) ২৯ দিন ওনার স্ত্রীদের থেকে দূরে ছিলেন একটা বিষয়ে দ্বন্দ্বের কারণে। রসুলের (সাঃ) সংসার জীবনে যেখানে এরকম অমিল হয়েছে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এরকম ঘটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কাজেই বিয়ে মানেই সব সময় শুধু আনন্দ এরকম না হওয়ার শম্ভবনাই বেশী।

১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ‘নদী বয়ে যাচ্ছে,
গাছেরা ছায়া দিয়ে রোদ আড়াল করছে,
ফলমূল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পায়ের কাছে,
দুধ আর মধুর কোনও কমতি নেই,
নিকটাত্মীয়রা অপেক্ষা করছে
পৃথিবীতে আটকে পড়া আত্মীয়দের জন্য।‘

ভালোলাগা ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতার প্রতি আপনার অনেক টান এটা আপনার মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে। আশা করি বাকি পর্বগুলিও ভালো লাগবে।

১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এমন হতে পারে হয়তো শেষ পর্যন্ত তালাক হবে না। এটা আল্লাহর তরফ থেকে ওনাদের উপর পরীক্ষাও হতে পারে। সংসার জীবনে অনেক চড়াই উৎরাই থাকে বেশীরভাগ মানুষের। স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের রসুল (সাঃ) ২৯ দিন ওনার স্ত্রীদের থেকে দূরে ছিলেন একটা বিষয়ে দ্বন্দ্বের কারণে। রসুলের (সাঃ) সংসার জীবনে যেখানে এরকম অমিল হয়েছে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এরকম ঘটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কাজেই বিয়ে মানেই সব সময় শুধু আনন্দ এরকম না হওয়ার শম্ভবনাই বেশী।


আমার মন্তব্যের খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য আপনার পছন্দ হওয়ার জন্য।

১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: এ আবেগায়িত পর্বে - সুলতানার মায়ের মৃত্যুর দাফনকালীন সময়ে সুলতানার ওপার ওপারের কার্যসমূহ ধরতে/কল্পনা করতে পেরেছেন যার প্রভাব হয়তো পরর্ব্তীতে সুলতানার জীবনে শিক্ষনীয় /বুদ্ধিদীপ্ত কোন ঘটনার উদ্ভব ঘটবে - অনুমেয়!!

--লিখতে থাকুন, পরবো এ অপেক্ষায়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মায়ের মৃত্যুতে মাত্র ১৪ বছর বয়সে সুলতানা যে মানসিক পরিপক্বতা দেখিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তার জীবনে তার মায়ের অনেক প্রভাব ছিল বলে মনে হয়। মায়ের কষ্ট বুঝতে পেরেছিল বলেই সে পরবর্তী জীবনে সৌদি সমাজের নারী বিদ্বেষী মনোভাবের বিপরীতে কথা বলেছে। মায়ের আদর্শ তার জীবনে সঞ্চারিত হয়েছিল।

১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৫

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: সরি টাইপো- পড়বো এ অপেক্ষায় ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ও কে। ধন্যবাদ।

১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মায়ের মত পৃথিবীতে আর কেউ ভাল বাসতে পারেনা। মৃত্যু অনিবার্জ পরিণতি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মায়ের ভালোবাসা নিঃস্বার্থ। মৃত্যু অনিবার্য জেনেও আমরা আমাদের পরিণতির ব্যাপারে উদাসীন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৫

সোহানী বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে সবগুলো পর্ব পড়লাম। বইটি পড়ার খুব আগ্রহ হচ্ছে। ক'দিন আগে কানাডায় এক সৈাদি রাজকন্যা পালিয়ে এসেছিল। তাকে আশ্রয় দিয়েছিল সরকার। তার কিছু কাহিনী পড়েছিলাম এরকম।

অসভ্য একটা দেশ সৈাদি।

চলুক।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই লেখিকার এই ধরনের আরও কয়েকটি বই আছে, যেটা আমি প্রথম পর্বে উল্লেখ করেছি। পালিয়ে যাওয়া রাজকন্যার কথা আমি শুনেছিলাম। এছাড়া অনেক বছর আগে আরেক রাজকন্যাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল এই বিদেশিকে ভালোবেসে দেশ ছাড়ার জন্য। তাকে ধরে এনে কতল করা হয়েছিল।

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: এই পর্ব পড়ে কিছুটা মন খারাপ হলো।
সুলতানার মা সম্ভবত ভাল মহিলা ছিলেন। তবে পরিস্থিতির জন্য অনেক কিছুকেই উনাকে মেনে নিতে হয়েছিল।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার কাছেও মনে হয়েছে যে সুলতানার মা ও তার বাবা মা ভালো মানুষ ছিলেন। ধন্যবাদ।

২০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই পর্বে দেখা যাচ্ছে, দুনিয়ার প্রায় সব মানুষের মনে মূল্যবোধ হারিয়ে যায় নাই।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে প্রতিটা সমাজে কিছু ভালো মানুষ থাকে। আরবে দেশগুলিতে এই ভালো মানুষগুলি এখন সংখ্যালঘু। সুলতানার মা, নানা, নানী খুব ভালো মানুষ ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.