নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব: ৬) – মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন বাবা

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮


সুলতানার মা মারা যাওয়ার পর তার বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মাধ্যমে সুলতানাদের বার্তা পাঠালেন যে এখন থেকে তিনি তাদের ভিলাতে নিয়মিত আসবেন না। এক মাসের মধ্যেই ভাই আলীর মাধ্যমে সুলতানা ও তার বোনেরা জানতে পারলো যে তার বাবা পুনরায় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার নাম রান্দা, বয়স ১৫ বছর যে ছিল সুলতানার চেয়ে ১ বছরের বড়। সে রাজপরিবারেরই মেয়ে এবং তার বাবার গোত্রীয় বোন। সুলতানা ছোটবেলায় এই মেয়ের সাথে একত্রে খেলাধুলা করেছে। অবশেষে সুলতানার মায়ের মৃত্যুর ৪ মাস পর সুলতানা তার বাবার বিয়ে খেলো। বিয়ের আগমুহূর্ত পর্যন্ত রান্দার প্রতি তার প্রচণ্ড বিদ্বেষ ছিল। কিন্তু বাসর ঘরে নেয়ার মুহূর্তে রান্দার ভীতসন্ত্রস্ত চেহারা দেখে সে বুঝতে পারলো যে সৌদি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে রান্দাও তাদের মত অসহায় একটি মেয়ে। রান্দার প্রতি তার মনে সহানুভূতি জেগে উঠলো। সৌদি আরবে বিত্তশালী পরিবারের পুরুষ ও গরীব বেদুঈন পুরুষরা একাধিক বিয়েতে বেশী উৎসাহী। কারণ বিত্তশালীদের আর্থিক সামর্থ্য থাকে আর বেদুঈনদের জীবন সাধাসিধা হওয়াতে নতুন স্ত্রীর জন্য তাবু আর সামান্য খরচাপাতি করার সামর্থ্য থাকলেই চলে।

তার বাবা নতুন স্ত্রীকে নিয়ে প্যারিস ও মনটিকারলো ঘুরতে গেলো দীর্ঘ মধুচন্দ্রিমা উদযাপন করার জন্য। সুলতানা রান্দার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছিল এবং তাকে নারী স্বাধীনতার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে বলে মনস্থির করলো। তার মাকে এত সহজে ভুলে যাওয়ার জন্য সুলতানা তার বাবার উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিল। তাই সে চাচ্ছিল রান্দার মনে নারী স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তুলতে যেন রান্দা তার স্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। রান্দা ছিল ভীষণ লাজুক ও ভীতু প্রকৃতির। আর সুলতানা ছিল তার বিপরীত। রান্দার সাথে তার সম্পর্ক ধীরে ধীরে আরও গাঢ় হচ্ছিল। রান্দার ভয় ভাঙ্গানোর জন্য সে একটা বুদ্ধি আঁটল। সুলতানার দুইজন বান্ধবী ছিল যারা ছিল তার চেয়েও বেশী সাহসী। ওদের নাম ছিল নাদিয়া আর ওয়াফা। ওরা রাজপরিবারের না হলেও সৌদি আরবের বিশিষ্ট পরিবারের ছিল। কয়েক দিনের মধ্যে সুলতানা তার এই দুই বান্ধবী আর রান্দাকে নিয়ে একটা ক্লাব গঠন করলো। ক্লাবের নাম দিল ‘প্রাণচঞ্চল ঠোট’। ক্লাবের মূলমন্ত্র ছিল;

(১) নারী অধিকারে বলিয়ান হয়ে সুযোগ পেলেই তারা মুখ খুলবে।
(২) প্রত্যেকে প্রতি মাসে অন্তত ১ জন করে নতুন সদস্য জোগাড় করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
(৩) তাদের প্রথম লক্ষ্য হবে বৃদ্ধদের সাথে কম বয়সী মেয়ের বিয়ে বন্ধ করা।

সুলতানার বান্ধবী নাদিয়ার বয়স ছিল ১৭ বছর। তার বাবা ছিল একজন বড় ঠিকাদার। সে রাজপরিবারের সদস্যদের ঘুষ দিয়ে বড় বড় সরকারী কাজ হাতিয়ে নিত। নাদিয়াকে তার পরিবার ২১ বছর বয়সে বিয়ে দেবে। তাই সে চাইত এই সময়ের মধ্যে জীবনটাকে উপভোগ করে নিতে। সুলতানার আরেক বান্ধবী ওয়াফার বাবা ছিল একজন শীর্ষ মুতাওয়া ( ধর্মীয় বিষয় দেখার জন্য পুলিশের মত বাহিনী)। তার মায়ের ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি ছিল না। ওয়াফাকে ৭ বছর বয়স থেকেই বোরকা পরতে হয়েছে।

বয়ঃসন্ধিতে উপনীত হওয়ার কারণে সুলতানাকে এখন থেকে বোরকা, হিজাব ও নিকাব পরতে হবে ঘরের বাইরে যাওয়ার সময়। জীবনের প্রথম বোরকা, হিজাব ও নিকাব কেনার জন্য এই চার বান্ধবী ( সৎ মা রান্দাও অন্তর্ভুক্ত) মার্কেটে গেলো একদিন। তাদের কেনা কাটা শেষে নাদিয়া আর ওয়াফা নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করছিল। সুলতানা আর রান্দা হাসার কারণ জিজ্ঞেস করলো। ওরা বলল যে ওরা একটা লোকের কথা মনে করে হাসছে যার সাথে কয়েকদিন আগে ওদের এই জায়গাতে দেখা হয়েছে। সুলতানা আর রান্দা শুনে বিস্মিত হোল। রোদের কারণে ওরা আবার মার্কেটের দিকে গেলো। তখন নাদিয়া আর ওয়াফা সুলতানাকে বলল যে তারা একটা মজার খেলার কথা ভাবছে। চাইলে সুলতানা আর রান্দাও এতে শরিক হতে পারে। রান্দা প্রথমে রাজি না হলেও সুলতানার চাপাচাপিতে সেও রাজি হোল।

নাদিয়া আর ওয়াফা ওদের নিয়ে একটা বিল্ডিঙের নীচের পারকিং এর লিফটের কাছে আসলো। হঠাৎ নাদিয়া ও ওয়াফা সেখানে দাড়িয়ে থাকা একটা হ্যান্ডসাম সিরিয়ান লোককে জিজ্ঞেস করলো আপনি কি একটু মজা করতে চান? ঘটনার আকস্মিকতায় মনে হোল লোকটা দৌড়ে পালাবে। লোকটা ডানে, বামে তাকিয়ে লিফটের বোতাম টিপ দিল। পর মুহূর্তে কি ভেবে সে জিজ্ঞেস করলো কি ধরণের মজা? ওয়াফা জিজ্ঞেস করলো তার গাড়ি আছে কি না এবং সে প্রাইভেট এপার্টমেন্টে থাকে কি না। সে হ্যাঁ বলল এবং বলল যে তার সাথে একজন লেবানিজ রুম মেট থাকে। নাদিয়া জিজ্ঞেস করলো তার রুম মেটের মেয়ে বন্ধু প্রয়োজন কি না। লোকটি বলল যে তাদের দুইজনেরই মেয়ে বন্ধু প্রয়োজন। রান্দা আর সুলতানা ওদের কাজ কর্ম দেখে হতভম্ব হয়ে পরেছিল। একটু সম্বিৎ ফিরতেই ঘটনার সম্ভাব্য পরিণতি চিন্তা করে ওরা বোরকা হাত দিয়ে পায়ের কাছে গুটিয়ে নিয়ে ঐ জায়গা ত্যাগ করার জন্য দৌড় শুরু করলো। আতঙ্কের কারণে এক পর্যায়ে একে অন্যের গায়ে ধাক্কা লেগে উভয়েই মাটিতে পরে গেলো। কিছুক্ষন পর নাদিয়া আর ওয়াফা ওদের কাছে আসল এবং ওদের দৌড়ের ঘটনা নিয়ে হাসাহাসি করতে লাগলো। সুলতানা আর রান্দা ওদের অনেক বকাবকি করলো কিন্তু ওরা এগুলি হেসে উড়িয়ে দিল। ওদের কথা হোল যে, বিয়ের পরে এমনিতেও তাদের কঠিন ও নির্মম জীবনে প্রবেশ করতে হবে তাই তারা এই ধরণের ঝুঁকি নিয়ে একটু আনন্দ করতে চায়। যদি ভাগ্য ভালো থাকে এভাবে একজন বিদেশী লোক তারা জীবন সঙ্গী হিসাবে খুঁজে পেতে পারে। কারণ সৌদি পুরুষের চেয়ে যে কোনো লোক উত্তম।

পরে সুলতানা তার বান্ধবীদের কাছে তাদের মজা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলো। এই কাজ তারা আগেও করেছে। তারা এইভাবে বিদেশী (বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অন্য আরব দেশের ) ছেলেদের এপার্টমেন্টে যায় ও মজা করে। তবে ওদের দাবি সব কাপড় খুললেও নিকাব কখনও খুলতো না এবং যৌন মিলন করতো না। প্রথমে তারা লিফটের কাছে কথা বলতো। অনেকে ভয়ে পালাত আবার অনেকে ডেটিং টাইম দিত। তারা ছেলেটিকে পিকআপ জোগাড় করতে বলতো। কারণ প্রাইভেট কারে অপরিচিত ছেলে-মেয়ে এক সাথে দেখলে মুতাওয়ারা রাস্তায় ধরে। নির্দিষ্ট দিনে ওরা শপিঙের নাম করে বাইরে বের হতো এবং পিকআপের পিছনে গোপনে উঠে পড়তো।

এই কাজ ওরা চালিয়ে যাচ্ছিল। সুলতানা ওদের অনেক বার এই কাজ করতে নিষেধ করেছে কিন্তু ওরা শোনে নাই। ওরা আরও একটা পদ্ধতির কথা বলে। ওরা অপরিচিত ফোন নাম্বারে কল করে। যখন কোনও বিদেশী পায় তখন তার সাথে ভাব জমায়। লোকটাকে তার দেহের বর্ণনা দিতে বলে এবং তারাও তাদের দেহের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। এরপর উভয় পক্ষের সম্মতিতে পিকআপে চড়ে ডেটিং এ যায় এবং মজা করে। রান্দা আর সুলতানা বান্ধবীদের এই সব বিষয় নিয়ে আলাপ করার সময় ভয়ে কেঁদে ফেলত।

বছরখানেকের মধ্যে নাদিয়া আর ওয়াফা এই ধরণের ঘটনার কারণে ‘গণ নৈতিকতা কমিটি’ র এক সদস্যের তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার হোল। পিকআপে ওঠার সময় ওদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। আগে থাকতেই গোপন তথ্য মুতাওয়াদের কাছে ছিল। এক সপ্তাহ ধরে ওরা এলাকাটার উপর নজর রাখছিল। কিছুদিন আগে ঐ কমিটির একজন সদস্য আকস্মিকভাবে তার কাছে দাড়িয়ে থাকা এক প্যালেস্টাইনের সাথে দুইজন মহিলার গোপন প্রস্তাবের কথা সে শুনে ফেলে।

নাদিয়া আর ওয়াফাকে ৩ মাসের জেল দেয়া হয় কারণ তাদের হাইমেন অক্ষত পাওয়া গিয়েছিল বলে। তদন্তে পাওয়া যায় যে ১৪ জন লোককে ওরা প্রস্তাব করেছিল। ১৪ জনের কেউই স্বীকার করেনি যে তারা এই কাজে অংশ নিয়েছিলো। ৩ মাস পরে নাদিয়া আর ওয়াফাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

ওয়াফার মুতাওয়া বাবা তাকে এই কাজের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। সে কাঁদতে কাঁদতে বলে যে পরবর্তী জীবনের বন্দি দশা ও হতাশার কারণে সে এই কাজ করেছে। তার বাবা মেয়ের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে। কিন্তু মেয়েকে সে বিয়ে দিয়ে দেয়। পাত্র গ্রামের একজন মুতাওয়া যার বয়স ৫৩ বছর। ওয়াফার বয়স ১৭ বছর এবং সে হবে ঐ লোকের তৃতীয় স্ত্রী।

নাদিয়ার বাবার শাস্তিটা ছিল ভয়ংকর রকমের অমানবিক। সে মেয়ের সাথে কথা বলতে রাজি হোল না এবং তাকে একটা ঘরে আটকে রাখলো যতক্ষণ না চরম সিদ্ধান্ত নেয়া হোল। কয়েকদিন পরে সুলতানার বাবা তার স্ত্রী রান্দা ও সুলতানাকে ডাকলো। তিনি জানালেন যে নাদিয়াকে পরের দিন সকাল ১০ টায় পরিবারের সব সদস্যের উপস্থিতিতে পরিবারের সুইমিং পুলে ডুবিয়ে হত্যা করা হবে। তিনি রান্দা ও সুলতানাকে জিজ্ঞেস করলেন তারাও নাদিয়ার কাজে যুক্ত ছিল কি না। সুলতানা দাড়িয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করলো কিন্তু তার বাবা তাকে জোড় করে বসিয়ে দিলেন। রান্দা কাঁদতে কাঁদতে সেই দিনের ঘটনা বিস্তারিত বর্ণনা করলো। সুলতানার বাবা তাদের ৪ জনের ক্লাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। নাদিয়া এই ক্লাবের কথা মুতাওয়াদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেছিল। রান্দা আর সুলতানা যখন ওনার প্রশ্নের জবাবে নীরব থাকলো তখন তিনি তার ব্যাগ থেকে ক্লাবের কাগজ বের করে ওদের দেখালেন। তথ্য পেয়ে এগুলি তিনি সুলতানার রুম থেকে উদ্ধার করেছিলেন।

কাগজ রেখে উনি রান্দাকে বললেন “এই মুহূর্ত থেকে আমি তোমাকে তালাক দিলাম। তোমার বাবা এক ঘণ্টার মধ্যে তোমার জন্য গাড়ি পাঠাবে। আর তুমি আমার কোনও ছেলে-মেয়ের সাথে কখনও যোগাযোগ করবে না।“ সুলতানাকে বললেন “তুমি আমার মেয়ে। তোমার মা একজন ভালো মহিলা ছিলেন। তারপরও, যদি তুমি এই কাজে জড়িত থাকতে তাহলে আমি তোমাকেও কোরআনের নিয়ম মেনে কবরে পাঠাতাম। তুমি আমার সামনে আসবে না এবং লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে যতক্ষণ না আমি তোমার বিয়ের ব্যবস্থা করি।“ উনি চলে গেলেন। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে রান্দা তার ব্যাগ নিয়ে ঐ বাড়ি থেকে চিরতরে চলে গেল।

মার্কিন লেখিকা জিয়ান সেসন (Jean Sasson) এর বই Princess: A True Story of Life Behind the Veil in Saudi Arabia তে বর্ণিত রাজকন্যা সুলতানার জীবন কাহিনীর সারসংক্ষেপ।
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব- ১)
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব- ২)
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্বে- ৩)
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব- ৪)
সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব- ৫)
ছবি – ইন্টারনেট

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

আকন বিডি বলেছেন: এতো ভয়াবহ অবস্থা।
বন্দী জীবন কি তাদের ডেস্পারেট হওয়ার কারন?
এই রকম কত না জানি ঘটনা ঘটেছে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় এরা বেপরোয়া প্রকৃতির। কোনও কিছুর পরিণতি চিন্তা করে কাজ করে না। এত কঠোর শাস্তির বিধান থাকার পরও কত সাহস ভাবতেই অবাক লাগে।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: রান্দা। বয়স ১৫। এত ছোট মেয়েকে বিবাহ!!
বাঃ হানিমুনে প্যারিস!!!
মুতাওয়া মানে কি? হুজুর?

নারীদের জীবন সুখেন নয়। সেই প্রাচীন কাল থেকেই।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুতাওয়া হোল ধর্মীয় শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের ন্যায় বিশেষ বাহিনী। এদেরকে ক্ষমতাশালী হুজুর বলতে পারেন। কেউ বেপর্দা চললে বা কোনও পুরুষ কোনও মেয়ের সাথে উলটা পাল্টা কিছু করলে এরা গ্রেফতার করে ইসলামি আইনে বিচার করে। এরা সর্বত্র গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর নজরদারি করে।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

আকন বিডি বলেছেন: "কোরানের নিয়ম মেনে কবরে পাঠাতাম"---------কিরকম?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৌদিরা ধর্মের অনেক অপব্যাখ্যাও করে। জেনা করলেও সুলতানার মৃত্যু দণ্ড হতো না কারণ সে অবিবাহিত ছিল। বিবাহিত কেউ জেনা করলে মৃত্যুদণ্ড হয়। সে হয়তো রাগের মাথায় বলেছে। নাদিয়াকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩ মাসের জেল দেয়া হোল। অথচ শাস্তি ভোগের পরেও তার পরিবার তাকে হত্যা করলো যা ইসলামে নেই। কাজেই ওখানে ধর্মের নামে অনেক অনাচার হচ্ছে। পুরুষেরা দেশে বিদেশে গিয়ে আকাজ কুকাজ করছে তাদের বিচার হচ্ছে না। কিন্তু কোনও মেয়ে কিছু করলে এভাবে নিয়মের বাইরেও অনেক শাস্তি দেয়া হচ্ছে। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড যাকে বলে।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সৌদি আরব বিশ্বের পয়সা ওয়ালা বর্বর বলে জানতাম। কিন্তু ওদের বর্বরতা যে এতটা পাশবিক নির্যাতনের তা কল্পনায় ছিল না। আরব যদি মুসলিম বিশ্বের অনুকরণীয় হতো তাহলে বাকি বিশ্বের কাছে মুসলিম সমাজের স্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো ভেবে শিউরে উঠছি। আমরা বিশ্বের মুসলিমরা হজ করতে যাই ওখানে।প্রতিটি পুণ্যার্থীরা থেকে অর্জিত লেভি সৌদি বাদশাহ নিয়ে ফূর্তি করে। বাদশাহ ফাঁদের জেনা প্রসঙ্গে একটা স্টেটমেন্ট ছিল। উনি আকাশে গিয়ে মদ, নারী নিয় ফূর্তি করতেন। ওনার যুক্তিতে আকাশটা পৃথিবীর বাইরে।

আপনার এই সিরিজটা পড়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রিটায়ারমেন্টের পর যা সামান্য টাকা পাবো তাতে মিশর ভ্রমণ করবো। হজে গিয়ে আমার টাকার সামন্য অংশ লম্পটদের ভোগে লাগুক ব্যক্তিগত আমি চাইনা।


১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক ভাই - আপনি আশা করি এখন সুস্থ আছেন। হজ্জ যদি আপনার উপর ফরজ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে হজ্জে যাওয়া উচিত। ওদের সাথে রাগ করে হজ্জ ত্যাগ করবেন না। ওদের বিচার আল্লাহ করবে। আমার মনে ওখানে মেয়েদের অবস্থার কিছু পরিবর্তনের আলামত এখন পাওয়া যাচ্ছে। হয়তো ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে। ভালো থাকবেন।

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: বর্বর সৌদি রাজ পরিবার মানব জাতির কলংক।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের কারণে ইসলাম ধর্মের দুর্নাম হচ্ছে এবং মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। এরা আরব বিশ্ব ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানদের অবজ্ঞা করে।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আচ্ছা এইসব কথার সত্যতা কতটুকু আছে। জাষ্ট প্রশ্ন

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের ঘটনা তো ঐ দেশে ঘটে। ইন্টারনেটে খুজলেও কিছু নমুনা পাবেন। অনার কিল্লিং পাকিস্তানেও হয়। এর আগে এক রাজকুমারিকে অন্য দেশ থেকে ধরে এনে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিলো। আর ব্যভিচার সব দেশেই কম বেশী আছে। সৌদি রাজপুত্রদের চরিত্রও সকলের জানা। তবে বর্ণীত ঘটনা কতটা সত্য এটা যাচাই করার উপায় নেই।

৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০১

রামিসা রোজা বলেছেন:
কি পাশবিকতার নির্মম কাহিনী শোনালেন ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওখানকার সামাজিক ক্রিয়াকর্মের কোন কিছুই আমাদের সাথে মেলে না। অথচ ঐ দেশে আমাদের দেশ থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ লোক গেছে পেটের দায়ে। ওরা আমাদের মিসকিন বলে। ধর্মকে ওরা সুবিধা মতো ব্যবহার করে। ভালো লোক নিশ্চয়ই আছে, তবে সংখ্যায় কম।

৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

ঢুকিচেপা বলেছেন: ওদের কালচার সম্মদ্ধে আগে শোনা কিছু গল্প আর আপনার লেখার ধারাবাহিকতায় গত পর্বে যে মন্তব্য করেছিলাম, এ পর্বে দেখি সেটারই প্রতিফলন। বউ কপালী পুরুষ!!!! আপনি আর মাহা ভাই ইচ্ছা করলে কপালটা ঘষে নিয়ে আসতে পারেন!!!!!

যত পর্ব যাচ্ছে ততই জানতে পারছি। গল্প ভালো লাগছে, পরের পর্বের অপেক্ষায়................

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা বিতর্কিত প্রবাদ আছে - অভাগার মরে গরু আর ভাগ্যবানের মরে জরু। হা হা হা....... । মাহা ভাই আর আমার চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র। আমরা মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকাই না পর্যন্ত। হে হে হে .....।

৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি সাংঘাতিক। পশুর মত জীবন দেখি।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওদের মেয়েদের অবস্থা দেখলে বোঝা যায় যে টাকা আর সম্পদ থাকলেই সুখ-শান্তি সব সময় পাওয়া যায় না। মনের স্বাধীনতা আর শান্তি ছাড়া কোনও সম্পদের কোনও মূল্য নেই।

১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মেয়েগুলোও যেমনই বুনো ওল তেমনি বাঘা তেতুল মনে হচ্ছে।

আসলে জোর করে কিছু চাপিয়ে দিলে এমনি হয়। এমনি হওয়া উচিৎ।

মেয়েরা আড় সম্পদ ভোগ করবে কি ওরা নিজেরাই তো ওদের ভোগ্যপন্য হয়ে থাকে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করা ওদের ঠিক হয়নি। হয়তো ধীরে ধীরে সৌদি আরবে মেয়েদের অবস্থার উন্নতি হবে একদিন। কিছু পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা গেছে।

১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

করুণাধারা বলেছেন: কী ভয়ংকর অবস্থা!!

রাজ পরিবারের মেয়েরা মাঝে মাঝেই বিদ্রোহী হয়ে উঠত, এমন খবর নজরে পড়ত গাড়ি ড্রাইভ করার দায়ে রাজ পরিবারের মেয়ে গ্রেফতার। এরা মনে হয় একঘেয়েমি আর হতাশা কাটাতে এমন বিপজ্জনক খেলায় জড়াত!!

বরাবরের মতই খুব ভালো লাগলো- লাইকড।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বয়সও সম্ভবত একটা কারণ। এদের বেশীরভাগই পিতার স্নেহ বঞ্চিত। আর মায়েরা নিজেরাই অনেকটা বন্দি অবস্থায় থাকে। এই সব কারণে সঠিক দিক নির্দেশনাও এরা পায়নি। তাই এই ধরনের ভয়ংকর কাজে জরিয়ে গেছে।

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

শায়মা বলেছেন: হায়রে রাজকন্যা হয়েও নো স্বাধীনতা।

কবে যে বিদ্রোহ করে কে জানে?

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন কিছু পরিবর্তন মনে হয় হচ্ছে। এই রাজতন্ত্রের অবসান হওয়া প্রয়োজন। রাজতন্ত্রের অবসান না হলে মেয়েদের জন্য ভালো পরিবেশ আসার শম্ভবনা কম।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:১৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: মেয়ের বান্ধবীকে হুমায়নও বিয়ে করেছিলো। সেটা নিয়ে নিন্দা কোথায়?
পশ্চিমে বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সকে কেউ বিবেচনা করে না।সেখানে বলা হয়, Age is jus a number.
মাইকেল ডগলাস-ক্যাশেরিন জেটা জোন্স, ষ্ট্যালোন-জেনিফার ফ্ল্যাভিন, ট্রাম্প-মেলানিয়ার বয়সের পার্থক্য নিজেদের মেয়ের চেয়েও বেশী কিন্ত সেজন্য কি বিয়ে হয়নি?
বয়সের কথা ভাবাটা ভারত-বাংলাদেশের কিছু মেয়ের ক্ষেত মার্কা চিন্তা ।
ইউরোপে-এ্যামেরিকার মেয়েরা এভাবে ভাবে না।
সৌদিদের অন্য অনেক জিনিস খারাপ হলেও বিয়ের বয়স নিয়ে সমালোচনা করা যাচ্ছে না কারণ পশ্চিমেও এরকম অনেক হয়।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ের বয়স নিয়ে আমরা বেশী বাড়াবাড়ি করি। পাত্র পাত্রি ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে কোনও দোষের কিছু না। কাছাকাছি বয়সের হলেই যে বিয়েতে শান্তি হবে এমন কোন কথা নেই। ব্যাপারটা আসলে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। পরকিয়া, ব্যভিচার নিয়ে সবাই চুপ থাকে আর গোপনে চলতে থাকে। কিন্তু একাধিক বিয়ে করতে গেলে তাকে বলা হয় কামুক বা চরিত্রহীন।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

রাশিয়া বলেছেন: সৌদি রাজকন্যাদের কাহিনী একজন মার্কিন লেখিকার কাছ থেকে জানার কি দায় পড়েছে। আমার যা মনে হচ্ছে এর এক বর্ণও সত্যি নয়। রাজবংশের মেয়েরা সাধারণ নারীদের তুলনায় অনেক স্বাধীনতা ভোগ করে। পত্রিকায় প্রকাশিত অনেক খবরে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

কাহিনী বিশ্বাস না হবার আরো কারণ আছে। আর কিছু না হোক মৃত্যু ভয় থাকলেও কোন মানুষ এতটা ডেসপারেট আচরণ করেনা। আধুনিক ধ্যান ধারণার মানুষের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে যে ধরণের ভীতি বা আতঙ্ক আছে - সেটা বাড়িয়ে দিতেই এইসব কাহিনীকে একটা মার্কিন প্রজেক্ট বলে মনে হচ্ছে।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বইয়ের কাহিনীর সত্যতার ব্যাপারে আসলে আমি নিশ্চিত না। সত্যি হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে। তবে ঐ দেশে এই ধরণের ঘটনা অনেক ঘটে। কিছু প্রকাশ পায় কিছু পায় না। রাজপরিবারের মেয়েরা আরাম, আয়েশ, ভ্রমন, কেনাকাটা এই সব ব্যাপারে ভালো আছে হয়তো। তবে জীবনের অনেক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এরা অনেক সময় বাধার সম্মুখীন হয়। রাজপরিবারের যে মেয়েরা ভোগ বিলাস পছন্দ করে এরা ভালো আছে। যারা জীবন নিয়ে অন্য রকম চিন্তা করে তারা অনেক সময় ঝামেলায় পরে। সৌদি আরব সম্পর্কে অন্যান্য অনারব মুসলমান দেশের মানুষের ধারণা ভালো না। এর অনেক যৌক্তিক কারণ আছে। কয়েক লক্ষ বাংলাদেশী সৌদি আরবে আছে। তাই তাদের চরিত্র জানার জন্য এই বইয়ের প্রয়োজন আমাদের নেই। পশ্চিমের দেশের মানুষও এদের সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করে না সঙ্গত কারণে। ইসলাম সম্পর্কে ভীতি ছড়ানোর জন্য এই বই কি না সেটা আমার জানা নেই। হতে পারে তাই। তবে ইসলাম সম্পর্কে ভয় আরও বহুভাবে পশ্চিমে ছড়ানো হচ্ছে।

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মানুষের কাছে মুলত অন্য মানুষ কিছুই না, সব নিজ স্বার্থে!

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক বলেছেন। মানুষ নিজের প্রয়োজন ছাড়া অন্যের প্রতি মনযোগী হয় না।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: মানুষ নিজের প্রয়োজন ছাড়া অন্যের প্রতি মনযোগী হয় না- বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থবোধ এতোই বেশী যে তারা নিজেরা দেশের কথা ভাবে না, যারা ভাবে তাদের কোনো সন্মানও করে না।
তাই তো দেশের এই অবস্থা ।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে আমি এক মত। আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা খুবই নিম্ন মানের। অন্যকে নিয়ম মানতে বলি আর নিজে মানি না। যারা দেশ ও সমাজ নিয়ে ভাবে তারা কোণঠাসা ও হুমকির সম্মুখীন।

১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নতুন পর্ব কবে আসবে ?

২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাঠকেরা যে পর্বের জন্য খোঁজ করবে এটা আমার মাথাতেই ছিল না। আপনার মন্তব্যে লেখার জন্য উৎসাহ পাচ্ছি। আসলে ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম, ফেরার পর শরীরটা সামান্য খারাপ। অতি শীঘ্রই নতুন পর্ব নিয়ে হাজির হব ইনশাল্লাহ। অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার তো মনে হয় আমার মত অনেকেই খোঁজ করছেন!
হ্যাঁ ঢাকার বাইরে, ওয়াইফাই ছাড়া সামু অচল এ একটা বিশাল সমস্যা। নিজের যত্ন নিন, না হয় আরও কিছু সময় অপেক্ষা করলাম ই পাঠক রা। শুভ কামনা আপনার জন্য খুব শীঘ্রই সুস্থ্য হয়ে আমাদের জন্য নতুন পর্ব নিয়ে আসবেন ইনশাআল্লাহ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন একটু সুস্থ বোধ করছি। আশা করি পরের পর্ব শীঘ্রই দিতে পারবো।

১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৬

মা.হাসান বলেছেন: কেমন করে যেন চোখ এড়িয়ে গেছে, অথবা আমি কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছি।

আশির দশকে যারা আরব দেশে চাকরি করেছেন এদের একাধিক লোকের মুখে এই ধরনের ঘটনা শুনেছি, সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েরা ব্যাভিচারের জন্য আহবান করে। সুস্থ জীবনের সুযোগ থাকলে আরব কেনো, কোনো দেশেই মেয়েরা এটা করবে বলে মনে হয় না।

নতুন বিয়ে করার পর পুরাতন স্ত্রীকে এরা আলাদা বাড়ি করে দেয়, বড় অঙ্কের টাকা মাসোহারা দেয়, কিন্তু এর বেশি না। কোনোদিন যেয়ে খোঁজ নেয় না। এটা একাধিক জায়গা থেকে জেনেছি।
সুইমিং পুলে ডুবিয়ে মারার নির্মম আদেশের কথা শুনে শিউরে উঠলাম। এর চেয়ে শিরোচ্ছেদ কম যন্ত্রনার।

পশ্চিমাদেশের অসম বয়সের বিয়ের সাথে আরবদের জঘন্য প্রথা গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। ছেলে-মেয়ে উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হলে তা সুখের হোক দুঃখের হোক কিছু বলার থাকে না। কিন্তু আরব দেশ গুলোতে কোনো বিয়েতেই মেয়ের সম্মতি নেয়া হয় বলে মনে হয় না। এই ধরনের বিয়ে বিয়ে না, ক্ষমতাসীনদের বলাৎকারের লাইসেন্স মাত্র।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৮০ র দশকের শেষের দিকে সাপ্তাহিক পত্রিকায় একজন ইরান/ ইরাক প্রবাসী ডাক্তার লিখেছিলেন যে উনি যখন ঐ দেশে ছিলেন তখন মেয়েরা অপ্রয়োজনে ডাক্তার দেখাতে আসত আর ডাক্তারকে বলত তাদের বিভিন্ন অঙ্গ ছুঁয়ে দেখার জন্য।
ছেলে মেয়ের সম্মতি থাকলে বয়স সমস্যা না। তবে আপনার কথা ঠিক যে আরব দেশগুলিতে মেয়ের সম্মতিকে অগ্রাহ্য করা হয় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিলে অনেক ধরণের সমস্যা হতে পারে।

২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৪

আমি সাজিদ বলেছেন: পঞ্চাশ বছরের লোকের সাথে সতের বছরের মেয়ের বিয়ে, ওরা কি আরও কম বয়সী পুরুষ পেত না? কি একটা অবস্থা। ভালোই হচ্ছে সিরিজটা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ দেশে বিয়ে আর বিবাহ বিচ্ছেদ দুইটাই বেশী। বিয়ে করতেও সময় লাগে না আবার সামান্য কারণে বিচ্ছেদ হতেও সময় লাগে না। তবে তালাকপ্রাপ্তা মেয়েদের বিয়ে হতে খুব সমস্যা হয় না আমাদের দেশের মত। কোনও না কোনও বড় লোকের দ্বিতীয়/তৃতীয়/ চতুর্থ স্ত্রী হয়ে যায়। মেয়ের সম্মতি নেয়ার কথা, কিন্তু সেটা মনে হয় প্রায়শই নেয়া হয় না। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে টাকা থাকলে একাধিক বিয়ে কোনও ব্যাপার না। আর টাকা না থাকলে মেয়ে পেতে সমস্যা হয় ছেলেদের। অনেক বিশাল অর্থের দেনমোহরের জন্য ছেলে, মেয়ে উভয়েরই এখন বিয়ে হচ্ছে দেরিতে। এটা অনেকটা সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সৌদি আরবে।

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২০

মিরোরডডল বলেছেন:




একজন মারা গেলে এক মাসের মধ্যেই আরেকটা বিয়ের কথা মানুষ কি করে ভাবে !
এটা বাংলাদেশেও দেখেছি, বউ মারা যাবার ফিউ মান্থসের মধ্যেই বিয়ে । কোনও ফিলিংস নেই, ফেলে আসা মেমরিজ কি একটুও ভাবায় না ? কেমন করে একজন মানুষ এতো ফাস্ট মভ অন করে :(

ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বিয়ের প্রতিবাদস্বরূপ তাদের ক্লাব গঠন ভালো একটা ইনিশিয়েটিভ নিয়েছিলো । সৌদি পুরুষের চেয়ে যে কোনও লোক উত্তম, সৌদি মেয়েরাই যদি একথা বলে, তারপর তো আর কিছু বলার থাকে না :)

সব জায়গাতেই কিছু রিস্ক টেকার থাকে , এখানেও দেখা যাচ্ছে সেরকম । যাই হোক, ওভারল এই স্টোরি একদমই একটা অসুস্থ পরিবেশ মনে হয় । বর্তমানের একজন সাধারণ মেয়ের জীবনও সেই রাজ পরিবারের মেয়েদের চেয়ে বেটার :|




২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৌদি সমাজে মেয়ে আর ছেলেরা একে অন্যকে বোঝার কোনও সুযোগ পায় না। ফলে বিয়ের পরে সম্পর্কটা হয় মূলত জৈবিক। ফলে প্রকৃত ভালবাসা তৈরি হয় না। ধর্মকে আংশিক মানলে এরকম হয়। রাজপরিবারের ছেলেরা ভাবে টাকা দিয়ে সব কিছুই কেনা যায়, উপভোগ করা যায়। ওরা ইসলামের দোহাই দিয়ে এগুলি করে কিন্তু ইসলামে এইভাবে বলা হয় নাই। সুবিধা মতো ধর্মের অপব্যাখ্যা করে ওরা ভোগ বিলাস করতে চায়। ওদের রাজপরিবারের মেয়েদের সব কিছুই আছে স্বাধীনতা ছাড়া। ওদের সাধারণ মেয়েদের অবস্থাও বেশী ভালো না। তবে কিছু পরিবর্তন হয়তো হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.