নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী (পর্ব – ৭) – আরবের গৃহকর্মী নির্যাতন

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১০


রান্দা, ওয়াফা আর নাদিয়ার করুণ পরিনতির পর রাজকুমারী সুলতানা একদমই ভেঙ্গে পড়লো। জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে অনেকটা মৃতপ্রায় মানুষের মত সে দিন কাটাতে লাগলো। তাদের বাসার কাজের মেয়েগুলি তার মনের অবস্থা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল, কারণ সুলতানা আর সারা ছিল ওদের প্রতি সব সময় সংবেদনশীল এবং ওদের বিপদে আপদে উদ্বেগ প্রকাশ করতো। ফিলিপিনো কাজের মেয়ে মারসি সুলতানার মনকে শান্ত করার জন্য ওদের দেশের মানুষের গল্প বলা শুরু করলো।

একদিন মারসি বললো যে ওর জীবনের লক্ষ্য হোল টাকা জমিয়ে সে দেশে গিয়ে সেবিকার প্রশিক্ষন নিবে। এরপর আবার সৌদি আরবে এসে সেবিকার চাকরী করবে। ফিলিপাইনের মেয়েদের সারা বিশ্বে সেবিকা হিসাবে অনেক সুনাম আছে এবং এটা ফিলিপিনোদের কাছে একটা সম্মানজনক পেশা। মারসির তখনকার বেতন ছিল মাসে ২০০ ডলার কিন্তু সেবিকা হলে সে কমপক্ষে ১০০০ ডলার পাবে। এই টাকা দিয়ে সে তার পুরো পরিবারের ভরণপোষণ করতে পারবে। মারসির মুখেই সুলতানা প্রথম গৃহ কর্মীর উপর নির্যাতন সম্পর্কে জানতে পারে। মারসির ভাষ্য অনুযায়ী সুলতানাদের বাসাতে কেউ নির্যাতন করে না তবে সুলতানার বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর নির্যাতনের গল্প সে বর্ণনা করে। ঐ মহিলা প্রতিদিন তার কাজের মেয়েদেরকে প্রহার করে। একটা পাকিস্তানি মেয়েকে ঐ মহিলা সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো। ফলে মেয়েটার মাথায় ভিতর গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। সিঁড়ি থেকে পড়ার পরও মহিলা মেয়েটিকে লাত্থি দিতে থাকে। পরে রাজপ্রাসাদের ডাক্তারকে দিয়ে তৈরি মিথ্যা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে মেয়েটি পরে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। অবশেষে তার দুই মাসের বেতন না দিয়ে মাত্র ১৫ ডলার হাতে দিয়ে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মারসি সুলতানাকে বলে যে আপনাদের বাসার কাছেই একটা প্রাসাদে মেয়েদের উপর নির্যাতন হয় যদিও আপনি তা জানেন না।

মারসি তার বাল্যকালের বান্ধবী মেডেলিনের গল্পও বলে। অভাবের তাড়নায় মেডেলিন ১৯ বছর বয়সে ফিলিপাইন থেকে গৃহকর্মী হিসাবে রিয়াদে আসে। তার কয়েক মাস পরে মারসিও রিয়াদে আসে গৃহকর্মী হিসাবে। প্রথমে সে তার বান্ধবীর সাথে ফোনে কথা বলে জানতে পারে যে সে খুব খারাপ অবস্থায় আছে। সৌদি আরবে নির্যাতিত গৃহ কর্মী যদি কোনভাবে পুলিশে অভিযোগ করতে পারে সে ক্ষেত্রেও পুলিশ সাধারণত গৃহকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। পুলিশ সবলের পক্ষ নেয় আর দুর্বল গৃহকর্মীকে গৃহকর্তার ইচ্ছা অনুযায়ী এবং পরিস্থিতি নিজেদের মত বিবেচনা করে হয় জেলে পাঠায় বা দেশে পাঠিয়ে দেয়।

২ মাস পরে মারসি প্রাসাদের এক ড্রাইভার, যাকে সে ভালবাসে, তার সাহায্যে লুকিয়ে মেডেলিনের বাসায় যেতে সমর্থ হয়। মেডিলিন মারসিকে বলে যে ঐ বাসায় আরও দুইজন কাজের মেয়ে ছিল যাদের বয়স ছিল আনুমানিক ২৫ বছর। একজন শ্রীলঙ্কার আর আরেকজন বাংলাদেশের। যখন সে প্রথম আসে তখন ঐ পরিবারের কর্তা, কর্ত্রী আর দুই ছেলে গেছে মক্কাতে ওমরা/ হজের জন্য। একজন বৃদ্ধা (সম্ভবত দাদি) বাসায় ছিলেন। শ্রীলঙ্কার মেয়েটি কাজ কম করে আর বেশীরভাগ সময় সাজগোজ করাতে ব্যয় করে। শ্রীলঙ্কার মেয়েটি মেডেলিনকে বলে যে বাড়ির কর্তা তাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসে। কর্তা তাকে বলেছে যে মক্কা থেকে ফিরে সোনার নেকলেস কিনে দিবে। মেয়েটি মেডিলিনের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গ হাত দিয়ে পরখ করে আর বলে যে কর্তা তাকে পছন্দ করবে না, তবে কর্তার দুই ছেলের পছন্দ হবে। এই পরিবারটি মধ্যবিত্ত অবস্থা থেকে হঠাৎ বড়লোক হয়েছে। বছরে ৪ বার কর্তা আর দুই পুত্র ব্যাংককের পতিতালয়গুলিতে যায়। বৃদ্ধা মহিলা (দাদী) মেডেলিনকে বলে যে তার কাজ হোল দুই টিনেজ নাতির যৌন চাহিদা মেটানো। একদিন অন্তর অন্তর এক এক জনকে সেবা দিতে হবে। কিন্তু পরে ব্যাপারটাতে গৃহকর্তা হস্তক্ষেপ ক'রে তার ছেলেদের বলে যে মেয়েটি তার পছন্দ হয়েছে তাই তার ভোগের চাহিদা শেষ হলে তারা এই মেয়েকে পরবর্তীতে ভোগ করতে পারবে।

এইভাবে প্রতি রাতে নিপীড়ন চলতে লাগলো মেডেলিনের উপর। তার নিপীড়নের অভিযোগ শোনার কেউ নেই। শ্রীলঙ্কার মেয়েটা ঈর্ষার কারণে তাকে সাহায্য করতে নারাজ। বাসার অন্যান্য কর্মচারীরা চাকরীর ভয়ে কিছু বলে না। ঘরের কর্ত্রী, দাদি এরা মনে করে এই মেয়েকে আনাই হয়েছে কর্তা আর তার পুত্রদের যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য। মেডিলিন কয়েকবার পালানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে। সে ছাদ থেকে রাস্তায় চিরকুট নিক্ষেপ করে সাহায্যের চেষ্টা করেছিল। প্রতিবেশী সউদিরা সেটা পেয়ে গৃহকর্তাকে জানালেও কোন কাজ হয় নি। বরং এই কাজের জন্য মেডেলিনকে প্রহার করা হয়।

এইসব কাহিনী শুনে আসার পর মারসি ফিলিপাইন দুতাবাসে ফোন করে সাহায্যের জন্য। তারা জানায় যে এরকম অভিযোগ প্রায়ই তারা পায়। কিন্তু তাদের করার কিছু নেই কারণ ফিলিপাইন রাষ্ট্রটি প্রবাসীদের আয়ের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। মারসিকে অনেকে বলে যে পুলিশে অভিযোগ করলে ফল উলটা হবে। কারণ পুলিশ গৃহকর্তার কথা আমলে নিবে। সে ক্ষেত্রে মেডেলিনের আরও করুণ পরিণতি হতে পারে। মারসি মেডেলিনের মাকে চিঠি লিখে পরিস্থিতি জানায়। মেডেলিনের মা ফিলিপাইনে নিয়োগকারী এজেন্সি ও শহরের মেয়রের কাছে সাহায্যের জন্য যায়। কিন্তু তারা বলে যে তাদের কিছু করার নেই। অবশেষে ২ বছরের চুক্তি পূর্ণ করে মেডেলিন এই নির্যাতন থেকে মুক্তি পায়। পরে ঐ বাড়িতে তার জায়গায় আরও দুই জন মেয়ে নেয়া হয় যাদের বয়স তার চেয়েও কম ছিল। মারসির এতো প্রচেষ্টার পরও মেডেলিন তাকে ভুল বোঝে। সে ভাবে যে মারসি তার জন্য কিছু করে নি। মারসি পরে তাকে চিঠি লিখে সব কিছু জানায়। কিন্তু মেডেলিন তার উত্তর দেয়নি।

মারসির কাছে এই সব কাহিনী শুনে সুলতানা আর সহ্য করতে পারে না। সে মারসিকে যেতে বলে আর নিজে বালিশে মুখ গোঁজে। তার দেশের পুরুষদের এই সব জঘন্য কর্মকাণ্ডের কথা ভেবে ভেবে অনেক দিন পর্যন্ত তার মন ছিল বিষণ্ণ। পরে সে এই ব্যাপারে আরও জানার জন্য তার বান্ধবী ও পরিচিতজনদের কাছে খবর নেয়। আরও কিছু নির্মমতার কাহিনী সে জানতে পারে। শকুন্তলা নামে ভারতের একটা মেয়ের কথা সে জানতে পারে। এক সৌদি পরিবারের কাছে মাত্র ১৭০ ডলারে তাকে চিরদিনের জন্য বিক্রি করে দেয়া হয়, যখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। মেডিলিনের মত তাকে প্রতি রাতে নির্যাতন করা হত। মেডিলিন চুক্তি শেষে মুক্তি পেলেও শকুন্তলার কোন মুক্তি নেই কারণ তাকে দাস হিসাবে কিনে আনা হয়েছে চিরদিনের জন্য।

এক সৌদি মা সুলতানাকে হাসতে হাসতে জানায় যে তার ছেলের যৌন ক্ষুধার জন্য মেয়ে প্রয়োজন তাই তারা থাইল্যান্ডের একটা মেয়েকে ভাড়ার চুক্তিতে এনেছে। সেই মা বলে যে সৌদি মেয়েদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য এইভাবে সৌদি ছেলেদের মেয়ে জোগান দিতে পরিবারগুলি বাধ্য হয়। সে জোড় দিয়ে বলে যে, কার সাথে ঘুমাচ্ছে তা নিয়ে প্রাচ্যের মেয়েরা পরওয়া করে না। সুলতানার কাছে মনে হয় যে সৌদি আরবে মায়েদের কাছে ছেলে হোল রাজার মত। একদিন সুলতানা তার ভাই আলীকে জিজ্ঞেস করে, কেন সে এবং তার বাবা বছরে ৩ বার থাইল্যান্ড আর ফিলিপাইন যায়। আলী বলে যে এটা তোমার জানার দরকার নাই। তবে সুলতানা উত্তরটা জানে কারণ তার বান্ধবীদের ভাই ও বাবারাও অনুরুপ কাজ করে। ঐ দেশগুলিতে গেলে টাকা দিয়ে মেয়ে কেনা যায়।

সুলতানার বাবা তাকে বলেছে যে আর ছয় মাস পর তার বয়স যখন ১৬ হবে তখন তাকে বিয়ে দেয়া হবে। সুলতানা ভাবে আর ৬ মাস পর তার এই স্বাধীন জীবন আর থাকবে না। মাকড়শার জালে আটকা পরা একটা অসহায় পোকার মত নিজের জীবনের পরিণতির জন্য সে অপেক্ষা করতে থাকে যে জাল বুনে চলছে অন্য কেউ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জীবনের কি এক কদর্য রূপ :(

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের না হয় অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়েছে কিন্তু আরবের লোকের তো কোন অভাব নাই। এতো বিত্ত বিভবের মধ্যে থেকে ওরা কেন ভালো কিছু চিন্তা করতে পারে না এটাই আমাকে বিস্মিত করে। তিন বা চার প্রজন্ম আগে ওদের অবস্থা কি ছিল বিশ্ববাসী সেটা ভালো করে জানে।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অঢেল বিত্ত বৈভব আরবের অনেকের নীতি নৈতিকতার কবর দিয়েছে। বাপ ছেলে একই মেয়ের উপরে হামলে পড়ে- এও কি ভাবা যায়! ছি! মানুষরূপী এমন নরপশুদের ধ্বংস অনিবার্য। এরা ধ্বংস হলে পৃথিবী আবর্জনামুক্ত হবে। +

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমানে ওদের অধিকাংশ লোক খারাপ। ভালো লোক কিছু আছে তবে ওরা কিছু করতে পারছে না। ওদের হওয়ার কথা ছিল বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। অর্থ সম্পদের মোহে ওরা উন্মাদ হয়ে গেছে।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: যৌনতা মানুষকে পশুতে রুপান্তরিত করে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লাগামহীন যৌনতা মানুষকে পশুতে রুপান্তরিত করে। যৌনতাকে মানুষ অগ্রাহ্য করতে পারে না। সাধু, সন্ন্যাসীরা অতিরিক্ত সংযমের কারণে অনেকেই বিপথগামী হয়। ইসলাম মধ্যপন্থাকে উৎসাহিত করেছে।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এখন ফ্রাস নিয়ে সৌদি মিউ মিউ করে বিবৃতি দিয়েছে

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সৌদি আরব ফ্রান্সের উপনিবেশ শাসনে ছিল অনেক বছর। সৌদির বহু বয়স্ক লোক ফ্রেঞ্চ জানত এককালে। ১৯৯২ সালে সৌদি টিভিতে ফ্রেঞ্চ ভাষায় প্রতিদিন খবর দেখাতো। ফলে ফ্রান্সের প্রতি ওদের একটা আলাদা টান আছে। আর সৌদি আরব ইসলামের পক্ষে কথা খুব কমই বলে। আগে দেখে ওদের রাজার গদি ঠিক থাকবে কি না পরে ইসলাম।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এতই করুন দশা এই পিচাশ প্রবৃত্তির মানুষের দেশে!

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওরা যে কবে মানুষ হবে আল্লাহই শুধু জানেন। ওরা শুধু সাদা চামড়ার মানুষ দেখলে একেবারে বিনয়ে গদগদ হয়ে যায়। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ অনেক দরিদ্র দেশের মানুষের সাথে ওরা চরম খারাপ ব্যবহার করে। ওরা আরব আর অনারব এই দুই ভাগে মুসলমানদের দেখে থাকে। অনারব মুসলমানদের ওরা নিচু শ্রেণীর মনে করে।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

আকন বিডি বলেছেন: আচ্ছা ওদের এইডস হয় না? যে পরিনাম অসংযত যৌনাচার করে তাতে তো এই রোগে গণ হারে পটল তোলার কথা।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। পতিতালয়ে গেলে হয়তো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয় তাই এইডস কম।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই ভয়াবহ অবস্থা। প্রাগৈতিহাসিক বর্বরদের মতো লাগলো পর্বটা।পেপারে মাঝে মাঝে চোখে পড়ে 70 /80 বছরের সৌদি আমিররা উপমহাদেশের গরিব বাবাদের পনেরো ষোলো বছরের মেয়েকে নিকে করছে।আসলে গরীব মেয়েদের বিয়ের নামে একটু দামী গয়নাগাটি নিয়ে সাজিয়ে নিজের দেশের নিয়ে যৌনখুধা মেটানোই আসল উদ্দেশ্য। হায়দরাবাদেই কয়েক মাস আগে এরকম একটা ঘটনা দেখলাম।
অপেক্ষায় রইলাম বর্বর জাতির রাজকন্যার পরিণতি দেখতে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহজে অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে ওরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। তবে যৌন অনাচার সব দেশেই কম বেশী আছে। ওদের দেশ বাহ্যিকভাবে রক্ষণশীল বলে ঘরের ভিতরে এই অনাচার করে বেড়ায়। অন্যান্য দেশে পতিতালয়ে হয়, ওরা ঘরকেই পতিতালয় বানিয়ে নিয়েছে। আমাদের দেশেও গৃহকর্মীরা প্রায়শই যৌন নির্যাতন ও অন্যান্য শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে হরহামেশা। কয়টা আর পত্র পত্রিকায় আসে। ওরা এইটাকে একটা সামাজিক রীতি বানিয়ে নিয়েছে। অনেকটা ওপেন সিক্রেটের মত। সবাই জানে কিন্তু কেউ মুখ খুলে বলে না। তবে ঘরের গৃহকর্ত্রীর সহযোগিতায় এরকম অনাচার মনে হয় পৃথিবীর কম দেশেই হয়।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমি চুনোপটি রাজা বাদশার পরিবার নিয়ে কিছু বলতে চাই না শুধু পড়ে গেলাম।
লেখাটা কিন্তু ভালো হয়েছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের উৎসাহতে লেখাটা লিখতে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। ভাগ্যিস সৌদি রাজপরিবার নিয়ে কিছু বলেন নাই। বললে ওরা আমাদের উপর রাগ করতো আর সব সৌদি প্রবাসীকে ফেরত পাঠিয়ে দিত।

৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৬

মা.হাসান বলেছেন: সৌদি ধনকুবেররা যে শুধু এশিয়াতেই ফূর্তি করতে আসে এমন না। র‌্যাম্বো সিনেমার স্ট্যালন এর দ্বিতীয় বউ এক মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এক আরব শেখের শয্যাসঙ্গিনি হয়েছিলো। বহু পুরাতন দিনের খবর। সেই সময়ে বেশ কেলেঙ্কারি ছড়িয়েছিলো। এই লিংক দেখতে পারেন-- https://www.spokesman.com/stories/1997/jul/06/a-1-million-sleepover-sounds-like-a-bad-movie/

ফিলিপিন্সের ছেলেদেরও পয়সার বিনিময়ে আরবদের শয্যাসঙ্গি হবার অনেক কিচ্ছা শোনা যায়। যেমনটা বলা হয়েছে, সকালে ছেলে, সন্ধ্যায় ছেলের বাবার আবদার মেটাতে হয় অনেক গৃহকর্মিকে।

সৌদিতে ভালো মানুষ এমপ্লয়ারও অনেক আছে। তবে অমানুষদের কথাই আমরা বেশি শুনি। এর কোনোটাই মিথ্যা বলে মনে হয় না। এরা একশ বছর আগে ভিক্ষা করেছে। সম্ভাবনা বেশি যে পঞ্চাশ বছর পর এদের আবার ভিক্ষা করতে হবে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক রাতে সাড়ে আট কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাব অনেক হলিউড/ বলিউড সুন্দরীই হয়তো গ্রহণ করবে যদি খবরটা চেপে রাখা সম্ভব হয়। কয়টা খবর আর মিডিয়াতে আসে। আসলে যৌনতার ব্যাপারে পৃথিবীর সব জাতিই একই রকম বলে আমার মনে হয়। পশ্চিমে এটা আইনের/ সংস্কৃতির স্বীকৃতির মাধ্যমে হয় আর আরবদেশে বা আমাদের মত দেশে গোপনে গোপনে সবই হয়। তবে নিজের বাড়ির মধ্যে স্ত্রী, সন্তান থাকা অবস্থায় পুরো পরিবারের সদস্যরা একত্রে, মিলেমিশে বাইরে থেকে মেয়ে ভাড়া করে যৌনতা মনে হয় আরবে হয়, আমাদের দেশে হয় না। আরবে সমকামিতা অনেকটা ওপেন সিক্রেট। প্রত্যেক সমাজ ও জাতিতেই কিছু ভালো মানুষ অবশ্যই থাকে। আরবেও অবশ্যই আছে। তবে এশিয়ার ( বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার) মুসলমানদেরকে ওদের সমাজে হীন চোখে দেখা হয়। এটা ওদের জাতির একটা মজ্জাগত রোগ বলতে পারেন। অনারব মুসলমানদের ওরা খুব অবজ্ঞা করে। এটা হয়তো টাকার গরমে। সৌদি আরব তেল পেয়েছে ৮০ বছরের মত হবে। ১৯৬০ এর আগে ওদের সমাজে অনেক দরিদ্র মানুষ ছিল। সেই হিসাবে ৬০ বছর ধরে ওরা বড়লোক। তবে আমার ধারণা ভবিষ্যতে বড় যুদ্ধ না বাধলে ওদের গরীব হওয়ার শম্ভবনা কম।

১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: কি লজ্জার! ওই সমাজ তো কোন সুস্থ সমাজের তালিকায় পড়ে না। বাবা ছেলেকে যেখানে জ্ঞান বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা দিবে সেখানে তারা দুজনেই থাইল্যান্ডে ব্যাভিচার করতে যায়! ৯ নম্বর কমেন্টের সাথে একমত, এদের পাপের কারনে একদিন এদের আবার ভিক্ষা করতে হতে পারে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের ব্যভিচারী বাবারাও চায় না যে তার ছেলে ব্যভিচার করুক। আমাদের দেশেও বহু যৌন অনাচার হয়। কিন্তু এই ধরণের কাজের সামাজিক স্বীকৃতি নেই। আরবে মনে হচ্ছে এগুলি অনেকটা সামাজিকভাবে স্বীকৃত। মানুষ দেখেও না দেখার ভান করে। ফলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এই অভিযোগগুলিকে আমলে নিতে চায় না। পাপ নাকি বাপকেও ছাড়ে না। তবে ওদের উপর কোন রুপে শাস্তি আসবে এটা আল্লাহই ভালো জানেন। ইসলামি রাষ্ট্রগুলির কাণ্ডারি হওয়ার কথা ছিল এই দেশের। কিন্তু আমরা এদের কি রূপ দেখছি।

১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৪৩

সোহানী বলেছেন: সৈাদী রাজ পরিবার নিয়ে একটা গবেষনাধর্মী লিখা পড়েছিলাম। একজন খুনী কিভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল। এবং দেশময় ধর্মকে অধর্মে পরিণত করেছিল।

যাহোক, আমার মনে হয় ওরা কোন মানুষ নয়। ওরা একটা যৈানউন্মাদ একটা পশু। ইসলামের কোথায় এমন ব্যাভিচার, অত্যাচার কে প্রশ্রয় দেয়? না নেই। কিন্তু তারা করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এতো অত্যাচারে জর্জরিত এ মেয়েগুলোর কান্না কি আল্লাহর আরস কাপেঁ না?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যে খুনির কথা বলছেন সে মনে হচ্ছে রাজপরিবারের সদস্য ছিল অথবা হয়তো রাজাই ছিল। কোন সূত্র দিতে পারলে পড়ে দেখতাম। আসলে মক্কার কাবা ঘর, মসজিদ, মদিনায় রসূলের কবর, মসজিদ ওদের দেশে থাকাতে কিছু ব্যাপারে ওরা সুবিধা পেয়েছে আবার কিছু ব্যাপারে একটু অসুবিধায় আছে। মক্কা আর মদিনার কারনে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসলামী রাষ্ট্রগুলির কাছে এদের গুরুত্ব বেড়েছে, রাজা স্বয়ং মসজিদ দুটির খাদেম হয়ে নিজের ও রাজপরিবারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করছে। পক্ষান্তরে এই মক্কা আর মদিনার কারণে ওরা ইচ্ছা থাকা সত্যেও অন্যান্য আরব দেশগুলির মত লাগামহীন ভোগ বিলাসে ডুবতে পারছে না। বলতে গেলে বিনা শ্রম ও প্রচেষ্টায় এবং অতি অল্প সময়ে অকল্পনীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন হওয়াতে এদের মাথা গেছে খারাপ হয়ে। ওরা ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের অপব্যাখ্যা করে এই ধরণের খারাপ কাজগুলিকে জায়েজ করার চেষ্টা করছে। ইসলাম এই ধরণের নিপীড়ন অনুমোদন দেয় না। বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ নিশ্চয়ই সুবিচার করবেন সেটা এই জীবনে হতে পারে অথবা পরের জীবনে। আমার মনে হয় যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না তাদের কাছেও এই অনাচারের বিচারের ব্যাপারে কোন ভালো ব্যাখ্যা নেই।

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সৌদি কতদিন ছিলেন?

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিতার চাকরীর সুবাদে ১৯৮৫ সালে প্রথম সৌদি আরবে বেড়াতে যাই ১ মাসের জন্য। একটানা ছিলাম ১ বছর ১৯৯২ সালে। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৩ বার গিয়েছি ও ওমরা করেছি প্রতিবার। এছাড়া ২০১৭ সালে হজের জন্য গিয়েছিলাম ৪৮ দিনের জন্য।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৯

রামিসা রোজা বলেছেন:

এই সিরিজটি প্রথম থেকে মতোই পড়ছি ততই অবাক
হচ্ছি । এতো অবিচার ওখানকার নারীদের উপর।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একবিংশ শতাব্দীতে এসেও সৌদি আরবে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র চলছে। এটা থেকেই ওদের রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। ইসলামে খলিফার শাসন আছে কিন্তু রাজতন্ত্র নাই। রাজপরিবারে তখনই নাকি ২১০০০ সদস্য ছিল। সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ পদে এই রাজপুত্ররা আছে। দেশের বড় বড় সব দুর্নীতিতে এরা জড়িত। ওদের দেশের দুর্নীতি মুলত ক্ষমতাশীলরাই করে। এদের বিচার হয় না আর সাধারণ মানুষ চুরি করলে হাত কাটা হয়। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বিরাজ করছে ওখানে। বিদেশীরা আর ঐ দেশের মেয়েরা সহজে বিচার পায় না যদি না কোন প্রভাবশালী এতে হস্তক্ষেপ করে। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে মেয়েদের উপর চলছে চরম নির্যাতন আর বৈষম্য পূর্ণ আচরণ। রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য এরা শরণাপন্ন হয় আমেরিকা, ইসরাইল, ব্রিটেন, ফ্রান্স এই সব দেশের। রাজার সিংহাসন টিকাতে এরা সব কিছু করতে পারে। গৃহকর্মীর উপর যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের মত কিছু খারাপ প্রথা টিকিয়ে রাখতে ঐ দেশের মেয়েরাও অনেকাংশে দায়ী। আমাদের দেশেও অনেক পরিবারে গৃহকর্মীদের উপর শারারিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়। আমাদের দেশের মানুষ ও সরকারের এই ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২

আকন বিডি বলেছেন: "ইসলামে খলিফার শাসন আছে কিন্তু রাজতন্ত্র নাই"----------কোন রেফারেন্স দেওয়া যাবে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোনও সূত্র এই মুহূর্তে দিতে পারবো না ( পরে দিতে পারবো)। তবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইসলামী লেখায় পড়েছি। ঐ লেখাগুলিতে যুক্তি প্রমানসহ এই বিষয়ে বলা হয়েছে। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়। রাজতন্ত্রে রাজার ছেলে রাজা হয়। ইসলামে কি এইভাবে শাসক নির্ণয়ের কোন ধারা রসুল (সাঃ) বা তার পরবর্তী খোলাফায়ে রাশেদিনের মধ্যে দেখা গেছে। ওনারাই তো আদর্শ ছিলেন। ওনাদের আদর্শই তো অনুসরণ করার কথা। ইসলামের শাসক হবে জনগণের প্রতিনিধি। রাজা কি জনগণের প্রতিনিধি হয় কখনও। রাজারা তো নিজেকে পুরো দেশের ও দেশের সম্পদের মালিক মনে করে। এই রকম মনে করার কোন সুযোগ কি ইসলামে আছে। সৌদি রাজাদের যে বিলাসবহুল জীবন যাপনের ধারা সেটা কি ইসলামের সাথে মেলে। আগের অনেক নবী রাজা ছিলেন। আমাদের নবী তো রাজা ছিলেন না। তিনি চাইলে হতে পারতেন। এখন মন্দের ভালো হিসাবে মুসলিম দেশগুলিতে রাজতন্ত্র আছে, গণতন্ত্র আছে। নিরুপায় হয়ে মুসলমানদের এর মধ্যে বাস করা ছাড়া কোন উপায় নাই। সৌদি আরবের আলেমরা রাজতন্ত্রের পক্ষে কিছু ফতোয়া দেয়ার চেষ্টা করে। এতদিন ফতওয়া দিয়েছে যে মেয়েরা গাড়ি চালাতে পারবে না। এখন মেয়েরা গাড়ি চালাচ্ছে। এখন নিশ্চয়ই ওনাদের ফতওয়া পাল্টে গেছে। আমি একটা আরব দেশের সাইটে মেয়েদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ফতওয়া আগে দেখেছিলাম। এখন ঐ ফতওয়াটা ঐ সাইটে নাই। কাজেই রাজতন্ত্রকে খুশি করার জন্য আলেম ওখানে আছে। ওখানকার আলেমরা রাজতন্ত্রের বিপরীত কোন ফতওয়া দিলে জানে মারা যাবে। তাই সৌদি আরবের আলেমরা সব সময় বলার চেষ্টা করে যে রাজতন্ত্র ইসলামে নিষেধ করা নাই। সৌদি আরবের বাইরের অনেক আলেম এটার বিরুদ্ধে বলেন।

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ১১ নম্বর মন্তব্যের বিষয়ে আমিও পড়েছিলাম -সম্ভবত এ ব্লগেই অনেক আগে।

বর্তমান বাদশা সৌদ পরিবারের প্রথম পুরুষ, খুন/গুপ্ত হত্যার মাধ্যমেই জাজিরাতুল আরবকে সৌদি আরব নাম পরিবর্তন করেছে। তাদের কাছ থেকে এ রকম জঘন্য অপরাধ/পাপ কার্য স্বাভাবিকতায় দাঁড়িয়েছে। ধর্মীয় লেবাসটাই ওদের রক্ষাকবজ হিসেবে ব্যবহার করছে।

--বর্তমান প্রিন্স-কে নিয়েও হলিউডর অনেকের সাথে গসিপ আছে- সময়েই বলে দিবে কখন প্রকাশ পাবে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম নয় বরং ক্ষমতা আর সিংহাসনটাই আসল ব্যাপার সৌদি আরবে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ধর্মকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার ও সুবিধা মত ব্যবহার করারও দরকার আছে। তবে শুধু রাজবংশের লোকদের দোষ না। ওখানকার অধিকাংশ সাধারণ মানুষ আমাদের মত দেশের লোকদের অবজ্ঞা ও তুচ্ছ তাচ্ছিল করে। সৌদি আরব রাষ্ট্রটা অনেক রক্তপাতের পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই হানাহানি ইসলামের কল্যাণের জন্য তারা করে নাই বরং রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখলের জন্য করেছে। আপনার কথার সাথে একমত যে ধর্মীয় লেবাস ওদের রক্ষাকবচ। চরিত্রের দিক থেকে ওদের বর্তমান ক্রাউন প্রিন্সের বাকিদের মত হওয়ার শম্ভবনাই বেশী।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

করুণাধারা বলেছেন: খুব অবিশ্বাস্য কাহিনী, মানুষ এতটা নিচে নামতে পারে ভাবা যায় না!!

আপনার বর্ণনা চমৎকার হচ্ছে। খুবই ভালো লাগছে পড়তে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য। সত্যিই ওদের সমাজের এই ধরণের কর্মকাণ্ডগুলি বিশ্বাস হতে চায় না। ভালো থাকবেন।

১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই সব এখনো চলছে, তবে কারো সামান্য সাহস নেই এই সব বিষয়ে কিছু লেখার বা বলার!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মনে হচ্ছে আরবে কখনও ছিলেন। আধুনিক দাসত্ব ওখানে চলছে। আপনি সব পর্বগুলি পড়ছেন। এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.