নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯২০ এর দশকের আরবের বেদুঈন, শহুরে মানুষ ও বাদশাহদের সম্পর্কে জানতে ‘মক্কার পথ’ বইটি পড়ুন

৩০ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১



‘মক্কার পথ (The Road to Mecca)’, ৩৮৬ পৃষ্ঠার এই মূল বইটি ১৯৫৪ সালে ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন মুহাম্মাদ আসাদ। লেখক ১৯০০ সালে অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যে (বর্তমান ইউক্রেনের লিভিভ) এক ইহুদি রাব্বি (ইহুদি ধর্মযাজক) পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ১৯২৬ সালে ইহুদি ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ওনার আগের নাম ছিল ‘লিওপোল্ড ওয়েসিস’। উনি একাধারে ছিলেন একজন ভ্রমণকারী, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বহুভাষী, ঐতিহাসিক এবং ইসলামী পণ্ডিত।

‘মক্কার পথ’ বইটিকে একটা ভ্রমণ কাহিনী বলা যেতে পারে। আবার এটাকে লেখকের প্রথম জীবনের জীবনীও বলা যেতে পারে। বইয়ের প্রথম অংশে লেখকের বাল্যজীবন এবং তরুণ বয়সের ইউরোপীয় জীবনের বর্ণনা আছে। লেখক ১৪ বছর বয়সে সামরিক বাহিনীতে বয়স ফাঁকি দিয়ে ঢুকলেও তার বাবা তাকে নিয়ে আসেন। পরে পুনরায় ১৮ বছর বয়সে সামরিক বাহিনীতে কিছু সময় ছিলেন। সামরিক বাহিনী ছেড়ে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্প ও দর্শনের উপর পড়াশুনা শুরু করেন। মাঝখানে কিছুদিন চলচ্চিত্র নির্মাতার সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন। এরপর সাংবাদিকতার দিকে ঝোঁকেন।

তরুণ বয়সে লেখক মুহাম্মাদ আসাদ

২২ বছর বয়সে তিনি আরব শহর জেরুজালেমে পৌঁছেন জার্মানের ফ্রাঙ্কফুরটার শাইটুম নামক এক জগত বিখ্যাত পত্রিকার সংবাদদাতা হিসাবে। তখন তিনি সফর করেন মিশর, ফিলিস্তিন, লিবিয়া, জর্ডান, ইরাক, ইরান আফগানিস্তান। এই বছরগুলিতে লেখক আরবের মুসলমানদের জীবন পদ্ধতির উপর আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। আরবদের সাথে উটে চড়ে মরুভুমির মধ্যে ভ্রমণ আর অন্তরঙ্গ মেলামশার পর তিনি আবিষ্কার করেন যে আরব মুসলিম সমাজে মন আর ইন্দ্রিয়ের মধ্যে রয়েছে এক সহজাত ভারসাম্য যা ইউরোপ হারিয়ে বসেছে। তিনি তাদের মধ্যে আবিষ্কার করলেন হৃদয়ের নিশ্চয়তা এবং আত্ম অবিশ্বাস থেকে মুক্তি, যে আত্মিক মুক্তি থেকে ইউরোপীয়রা অনেক দূরে। ১৯২৬ সালে ২৬ বছর বয়সে তিনি সস্ত্রীক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

এরপও আরও ৬ বছর কাটিয়ে দেন সৌদি আরব ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলির মরুভুমি, ছোট-বড় শহর আর বেদুঈনদের মাঝে উটে চড়ে ঘুরে ঘুরে। এই সময় তিনি বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ ইবনে সউদের ঘনিষ্ঠতা লাভ করতে সমর্থ হন। বাদশাহ তাকে নিজের ছেলের মত স্নেহ করতেন। বাদশাহর ছেলে ফয়সাল, সউদ ( উভয়ে পরবর্তীতে বাদশাহ হন ) এবং রাজপরিবারের অন্যান্য অনেকের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়।

আরব দেশগুলিতে তেল পাওয়ার আগে উনি ভ্রমণ করেছিলেন। ১৯৫৪ সালে উনি যখন বই লিখেছেন তখন আরব দেশ তেলের অর্থনীতিতে ফুলে ফেপে উঠেছে। বইয়ের শুরুতে তাই তিনি লিখেছেন পরের অধ্যায়ে আরবের যে বর্ণনা করা হয়েছে তা এখন আর নেই। আরবের নির্জনতা আর সংহতি অকস্মাৎ ধ্বসে পড়েছে প্রবল বেগে উৎক্ষিপ্ত তেলের প্রচণ্ড ধাক্কায়। এর মহৎ সরলতা হারিয়ে গেছে এবং তার সঙ্গে হারিয়ে গেছে অনন্য মানবিকতা। এই হারানো মানবতার কষ্ট নিয়ে তিনি তৎকালীন আরবের পূর্বেকার বেদুঈন জীবনের বর্ণনা দিয়েছেন বইয়ের পাতায় পাতায়। ইহুদি ও খৃস্ট ধর্মের সাথে ইসলামের তুলনা করে তার নিজের অনেক দার্শনিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ বর্ণনা করেছেন বিক্ষিপ্তভাবে বইটির বিভিন্ন জায়গায়। বাদশা আব্দুল আজিজের যুদ্ধের অভিযানের কিছু বর্ণনাও আছে বইটিতে।

প্রবীণ বয়সে লেখক মুহাম্মাদ আসাদ

তার এই ভ্রমণ কাহিনীতে বারবার এসেছে বেদুঈনদের সাধাসিধা জীবন, মরুভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আরবের হরিণ, খরগোশ, বাজপাখি, মরুঝড়, মরুভূমির জীন, আরবদের আতিথিয়তা, পারিবারিক জীবন, নর-নারীর সম্পর্ক, আরব ভূখণ্ড নিয়ে ইউরোপের রাজনীতি, আন্তধর্ম তুলনামুলক বিশ্লেষণ, ইসলামের যৌক্তিক শ্রেষ্ঠত্ব, মুসলমানদের আদর্শগত দীনতা ইত্যাদি। এছাড়া আছে মরুভুমিতে পথ হারিয়ে প্রায় নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বেচে যাওয়ার গল্প, বাদশাহ আব্দুল আজিজের জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বাদশাহর পক্ষ হয়ে গোপন অভিযান, বাদশাহর নিজের অতি উচ্চতা নিয়ে হীনমন্যতার গল্প।

পরবর্তী জীবনে লেখক মুহাম্মাদ আসাদ ভারতবর্ষে চলে যান। কবি-দার্শনিক আল্লামা ইকবালের বন্ধুত্ব লাভ করেন। কবি ইকবালের অনুপ্রেরনায় মুহাম্মাদ আসাদ সর্বপ্রথম বুখারি শরীফের ইংরেজি অনুবাদ করেন। অস্ট্রিয়ার পাসপোর্ট থাকার কারণে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পুরোটা সময় (১৯৩৯-১৯৪৫) আসাদকে জেলে থাকতে হয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি পাকিস্তানের প্রথম ব্যক্তি হিসাবে পাসপোর্ট পান এবং জাতিসঙ্ঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন। মুহাম্মাদ আসাদ শেষ জীবন কাটিয়েছেন স্পেনে। উনি ১৯৯২ সালে ইন্তেকাল করেন। ওনার আরও কয়েকটি বিখ্যাত বই আছে। ওনাকে ওনার জীবনী লেখকরা ‘Europe’s gift to Islam’ বলে অভিহিত করেছেন।

অস্ট্রিয়ার চিত্রনির্মাতা Georg Misch মুহাম্মাদ আসাদের উপর একটি ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেন ২০০৮ সালে। এটি বিশ্বের বেশ কয়েকটি ফিল্ম ফেস্টিভালে সকলের নজর কাড়ে। ২০০৮ সালে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র

‘মক্কার পথ’ বইটির মূল ইংরেজি ও বাংলা অনুবাদ ‘রকমারি ডট কমে’ পাওয়া যায়। অনুবাদ করেছেন শাহেদ আলী। রকমারিতে মুহাম্মাদ আসাদের আরও কয়েকটি বই পাওয়া যায়।

১। সংঘাতের মুখে ইসলাম
২। Islam at the Cross Roads
৩। ইসলামে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার মূলনীতি
৪। The Message of the Quran ( কোরানের ইংরেজি অনুবাদ ও তফসির)
৫। Principle of State and Government in Islam
৬। The Spirit of Islam

সূত্র- মক্কার পথ এবং উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সৌদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী বাদ দিয়ে তো দেখি আরো তিনটা পোষ্ট দিয়ে দিলেন। ওটা কি আর কন্টিনিউ করবেন না? এই জন্যই আমি ধারাবাহিক লেখা পড়ি না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো শেষ করার ধৈর্য থাকে না পোষ্টদাতাদের!! :P

আপনি তো মনে হচ্ছে মিডলইষ্ট বিশেষজ্ঞ। ওখানেই থাকেন বুঝি? মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো সম্পর্কে আর কি বলবো। অফুরন্ত টাকা একদিক দিয়ে এসেছে, সাথে সাথে আরেক দিক দিয়ে এদের মনুষ্যত্ব নাই হয়ে গিয়েছে। এদের চেয়ে নব্য মুসলিমরাই ইসলামকে অনেক বেশী ধারন করে।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাজকন্যাদের জীবনের সব কথা বলে দিলে বইটি পড়ার আর আগ্রহ থাকবে না। হে হে হে। এই কারণে ওটাতে ইস্তফা দিয়েছিলাম। আশা করি আগ্রহী পাঠকেরা বইটি কিনে বাকি মজার অংশগুলি প'ড়ে নিবেন। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল আগ্রহ সৃষ্টি করা। আপনার মন্তব্যে মনে হচ্ছে আগ্রহ সৃষ্টিতে আমি সফল হয়েছি। তবে আপনার কথা ঠিক যে এই ধরণের লম্বা লেখার ধৈর্য ব্লগারেরই অনেক সময় থাকে না। আসলে অন্যের লেখা অনুবাদ করে সেটা আবার সংক্ষেপ করা বেশ কষ্টের কাজ। বইটার তিন খণ্ডের ( ট্রিলজি ) একটা শেষ করতেই আমি হাপিয়ে উঠেছিলাম।

আমি পিতার চাকরীর সুত্রে ১৯৮০-৯০ এর দশকে সৌদি আরব ছিলাম। এখন ঢাকাতে থাকি। আরবদের আমি হাড়ে হাড়ে চিনি। অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনটা প্রণিধান যোগ্য। নও মুসলিমদের বিশ্বাসের স্তর অনেক গভীরে। এই পোস্টে যে লেখকের কথা উল্লেখ করেছি তিনি ইসলামকে অনেক প্রশস্ত ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়া উনি বড় হয়েছেন ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে। ফলে একটু ভিন্ন অবস্থান থেকে উনি ইসলামকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। আর উনি অনেক বছর ঘনিষ্ঠভাবে আরবদের সাথে মিশেছেন। তবে ওনার সব পর্যবেক্ষণ যে সঠিক এমন নাও হতে পারে। কারণ ওনার বইয়ে আরবদের সমালোচনা আমি দেখতে পাইনি। অবশ্য তেল পাওয়ার পর আরবদের মনুষ্যত্ব লোপের কিছু ইঙ্গিত লেখক মুহাম্মাদ আসাদ বইটির শুরুতে উল্লেখ করেছেন। আমার ব্যক্তিগত মত হোল যে আল্লাহতালা সবচেয়ে নির্দয় ও রুক্ষ মেজাজের লোকদের উপর তার শেষ বিধান পাঠিয়েছেন যাদের মধ্যে ভনিতা কম। ফলে অন্য জায়গায় এই বিধান আরও ভালো কাজ করবে।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪২

ওমেরা বলেছেন: আপনার রিভিও পড়ে বইটা পড়ার খুব আগ্রহ লাগছে।
পয়সা হলে মানুষের চরিত্র পাল্টে যায়।
ভালো থাকবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বইটা নেটেও আছে ( বাংলা ও ইংরেজিতে)। বইটা অবসরে সময় নিয়ে পড়লে মজা পাবেন। উনি যে দৃষ্টিভঙ্গিতে লিখেছেন সেটাকে বিরল বলা যায়। বইটার বর্ণনার স্টাইল আমার কাছে ভালো লেগেছে এবং এটা গতানুগতিক লেখা থেকে ভিন্ন। আর উনি ইহুদি, খ্রিষ্টধর্ম, তাও মতবাদ এবং আরও কিছু ধর্মের উপর যথেষ্ট পড়াশুনা করে ইসালাম সম্পর্কে ওনার ধারণাগুলিকে তুলে ধরেছেন। আর ১৯২০-৩০ সালের আরব সম্পর্কে নিরপেক্ষ ও নির্মোহ লেখা আসলে খুব কমই আছে। ওনারটা পুরোপুরি নির্মোহ হয়তো না। তারপরও পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলির উপর উনি তুলনামুলক আলোচনা করেছেন বইয়ের বিভিন্ন জায়গায়। আরবের মোল্লাদের সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে উনি অনেক সময় চ্যালেঞ্জ করেছেন। উনার মতে ইসলাম ধর্ম হিসাবে ঠিক আছে নিঃসন্দেহে কিন্তু ইসলামের ওই শতাব্দির ( বিংশ) অনুসারীদের উনি ইসলামের জন্য উপযুক্ত মনে করেননি। কারণ আমরা প্রকৃত ইসলাম থেকে অনেক ক্ষেত্রেই অনেক দূরে এবং ইসলামের মূল ম্যাসেজ আমরা না বুঝে ধর্মটাকে জটিল ক'রে তুলেছি। ইসলাম সম্পর্কে অনেক মিথ্যা প্রচার কয়েক শতাব্দী ধরে ইউরোপীয় পণ্ডিত ব্যক্তিরা করেছে। ওনার এই লেখা পড়লে তাদের অনেক অভিযোগ খণ্ডানো সহজ হয়।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:২১

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: আপনি ভালো বলতে পারবেন। আমার মনে হয় ওনার আরবদের সাথে তিক্ততা ছিল না বা কম ছিল কারণ ওনার সাদা চামড়া।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরবরা সাদা চামড়াদের ব্যাপারে হীনমন্যতায় ভোগে। উপমহাদেশের মানুষদের ওরা নিচু দৃষ্টিতে দেখে এবং সাদা চামড়ার লোকদেরকে তোষামোদ করে চলে। যেটা আমরাও অনেকে করি। তবে এই লেখক মুহাম্মাদ আসাদ আরবদের কাছ থেকে চাইলে অনেক সুবিধা নিতে পারতেন কিন্তু তিনি কখনই কোনও সুযোগ নেননি। উনি খুবই সাদাসিধা জীবন যাপন করতেন। আরবের মরুতে উট নিয়ে ঘুরতে উনি সবচেয়ে বেশী ভালবাসতেন। উনি খুব বন্ধুবৎসল ছিলেন। আরব সংস্কৃতির ভিতরে উনি প্রবেশ করতে চাইতেন এবং সফল হয়েছিলেন। সৌদি আরবের প্রথম বাদশা ওনাকে ছেলের মত স্নেহ করতেন তবুও তিনি কোনও লোভ করেননি। আরবি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তবে একবার ওনার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ/ গুজব উঠেছিল এবং এটা বাদশাহর কান পর্যন্ত গিয়েছিল। কিন্তু বাদশাহ এই কথা বিশ্বাস করেননি। বাদশাহ এই ব্যাপারে লেখকের পক্ষে একটা স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে বইটিতে উল্লেখ আছে। বাদশাহর স্বপ্ন দেখা নিয়ে আরও দুই-একটা ঘটনা বইটিতে আছে। বাদশাহর এক চোখ অন্ধ/ দৃষ্টির সমস্যা নিয়েও একটা কাহিনী বইটিতে আছে।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কত কিছু পড়া হয় নাই!!!

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীবনের সময় সীমিত তাই বেছে বেছে পড়া উচিত।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: মজাদার একটা বইয়ের সন্ধান দিলেন। ধন্যবাদ।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশা করি প'ড়ে আনন্দ পাবেন ও আরবদের সম্বন্ধে জানতে পারবেন।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:০৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে তারা যেমন ছিল চিন্তা চেতনায়,আজকে তারা বাকি মুসলিম বিশ্বকেও তেমন বানিয়ে ফেলেছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রকৃত ইসলামী আদর্শ ও চিন্তা চেতনার ঘাটতি শুরু হয় রসুল (সাঃ) ওফাতের পর থেকে এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের পর ইসলামের নেতৃত্বে ইসলামী আদর্শবাদী নেতা তেমন আর পাওয়া যায় না। রসুল (সাঃ) এর ওফাতের পরেই অনেক দলাদলি শুরু হয়। আজকে যারা মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার চেষ্টা করছে তারা আসলে ইসলামের মূল চেতনা ও আদর্শ থেকে অনেক দূরে। এই নিম্ন মানের নেতৃত্বের জন্যই বিশ্ববাসীর কাছে মুসলমানরা ছোট হচ্ছে এবং মার খাচ্ছে। ইসলামী সমাজকে পরিচালিত করার মত একজন নেতাও এখন দেখা যায় না। লোভী এবং ক্ষমতালিপ্সু মানুষেরা ইসলামী নেতৃত্বে আছে বলেই আপনার মনে হয়তো এই ধরণের চিন্তা আসছে। ইসলামী নেতৃত্ব ছাড়াও দেশের সেকুলার রাজনৈতিক নেতৃত্বেও প্রচণ্ড খরা চলছে। আসলে রাজনীতি এখন দেশে আছে কি না এটা গবেষণার বিষয়। কাজেই ধর্ম মূল সমস্যা না। সেকুলার চিন্তাধারার লোকদের মধ্যেও আদর্শহীনতা দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে এবং অনেক ক্ষেত্রে অন্য অনেক দেশেও।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: আরবদের নিয়ে গবেষণা করে কি হবে?
এর চেয়ে আসেন প্রাচীন বাঙ্গালীর চরিত্র নিয়ে গবেষণা করি, যে নষ্ট বৈশিস্টগুলি অনুসরণ করার কারণে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশটা উন্নত হতে পারেনি। বরং চোর আর ধর্ম ব্যাবসায়ীদের লড়াইয়ের মাঠে পরিণত হয়েছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই লেখক ইসলাম ধর্মকে প্রশংসা করেছেন কিন্তু বিংশ শতাব্দির মুসলমানদের নৈতিক দুর্বলতাকে অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা করেছেন। তেল পাওয়ার আগেও আরবরা যে খুব ভালো ছিল এমন না। তবে এখনকার মত এতো অধঃপতন তখন ছিল না। তবে ওনার লেখায় আরবদের সমালোচনা পাওয়া যায় না এটাই আমাকে বিস্মিত করেছে। আসলে ইসলামকে ভালবাসার কারণে আরবদের অনেক দোষত্রুটি উনি অগ্রাহ্য করেছেন বলে আমার মনে হয়। আর উনি অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করতেন তাই অনেক কিছু হাল্কাভাবে নিয়েছেন।

আমার মনে হয় বাঙালি চরিত্র বোঝা খুব দুষ্কর আরবদের তুলনায়। আরবরা বর্বর হলেও ওদের চরিত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা করা যায়। বাঙ্গালিদের চরিত্র ধোঁয়াশা পূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের এক বছরের মধ্যে কিভাবে মানুষের মধ্যেকার ভালোবাসা, বন্ধন, সহমর্মিতা কর্পূরের মত উবে গেলো এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত। স্বাধীনতার গল্প, কাহিনী পড়লে বিশ্বাস হতে চায় না যে বর্তমানের বাঙালি আর সেই সময়ের বাঙালি একই জাতিভুক্ত। নেতৃত্বে খারাপ লোক আসার পিছনে সাধারণ মানুষেরও ভুমিকা আছে। এখনকার অরাজকতাকেও অনেক সাধারণ মানুষ সাফল্য বলে গর্ব করছে। এটা কি নিরবুদ্ধিতা নাকি নৈতিকতার চরম অধঃপতন বোঝা মুশকিল। বাঙালিরা এককালে প্রতিবাদি ছিল। কিন্তু আপনি এখন রাস্তা ঘাটে কোন অন্যায় দেখে যদি এগিয়ে যান তাহলে আপনার সাথে কাউকে পাবেন না। আমার ধারণা এই ব্যাপারে আপনার সম্যক অভিজ্ঞতা আছে। মিয়ানমারে ইতিমধ্যে কয়েকশো লোক সেনারা হত্যা করেছে। আমাদের দেশে এমন কিছু হলে মানুষ কি মরতে রাজি হতো। সাধারণ মানুষের নৈতিকতার অধঃপতন হলেই সেই সমাজের নেতাদের নৈতিকতারও অধঃপতন হয়। চোর আর ধর্ম ব্যবসায়ী যখন সাধারণ মানুষের সমর্থন পায় তখন আপনি চোর আর ধর্ম ব্যবসায়ীকে দোষ দিবেন, না তাদের সমর্থকদের।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন। বইটি পড়ার ইচ্ছা আছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা অ্যাডভেঞ্চার, দর্শন, নৃতত্ত্ব ও ইতিহাস পছন্দ করেন তাদের বইটা ভালো লাগার কথা। ইসলাম নিয়ে অনেক কিছু বইতে থাকলেও আমার ধারণা অনেক অমুসলিমের কাছেও বইটা ভালো লাগবে। কারণ বইটা দার্শনিক কথা আর অনেক নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক তথ্য দ্বারা সমৃদ্ধ। আরবদের ঐ যুগের অবস্থা নিয়ে এতো বিস্তারিত বর্ণনা খুব একটা দেখা যায় না। এই লেখক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করতেন কিন্তু লোভ লালসা ওনার মধ্যে ছিল না। শারীরিক কষ্ট, অর্থাভাব, অনাহার ওনার যাত্রাকে কখনও বাধাগ্রস্ত করেনি। সমাজের মানুষের সাথে অন্তরঙ্গভাবে মেশার ওনার এক অদ্ভুদ শক্তি ছিল যা ভাষার কারণে বাধাগ্রস্ত হয়নি কখনও।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

মা.হাসান বলেছেন: হায়ার সেকেন্ডারির ছাত্র থাকার সময়ে আমাদের ইংরেজির শিক্ষক বইটি রেকমেন্ড করেছিলেন। ঐ সময়ে যে বাংলা অনুবাদ পাওয়া যেতো তার নাম ছিলো সম্ভবত 'কাবার পথে'। তবে সম্ভব হলে আগ্রহীদের অনুরোধ করবো ইংরেজি বইটিই পড়ার জন্য।

অনেক ক্ষেত্রেই আরবদের সেই অর্থে সমালোচনা তিনি করেন নি - এমনটা আপনি বলেছেন। তবে এক্ষেত্রে আমার দৃষ্টিভঙ্গি এই যে উনি বর্ণনা দিয়েছেন, এটা ভালো ভাবে দেখবো না খারাপ ভাবে দেখবো এটা আমাদের ব্যাপার। কোটি টাকার আতসবাজি ফোটানোকে কেউ পজিটিভলি দেখে, কেউ বা নেগেটিভলি দেখে।

সাংবাদিক হবার কারণে ওনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা অনেক ভালো ছিলো। দর্শন, জিওগ্রাফি, অ্যাডভেঞ্চার , ইতিহাস- অনেক কিছুই এক সাথে পাওয়া যায়। এই সুন্দর বইটি নিয়ে লেখায় অনেক ধন্যবাদ।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও ১৯৯০ সালের দিকে 'কাবার পথে' বইটা দেখেছিলাম আমার এক রুম মেটের কাছে। তখন পড়া হয় নাই। আমি এটাকে কোন উপন্যাস মনে করেছিলাম। তবে একই বই কি না এটা আমি নিশ্চিত না। আপনার কথায় মনে হচ্ছে একই বই। তখন জানলে তখনই পড়ার সুযোগ ছিল। এখন হাজার হাজার লোক ইসলামে ধর্মান্তরিত হয় প্রতি বছর। কিন্তু ঐ সময় ধর্মান্তর অনেক কম হতো।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রকৃত ইসলাম থেকে আমরা বা বর্তমান সময়ের মানুষেরা অনেক পিছিয়ে। সময়ের সাথে সাথে সবই হারিয়ে যাবে, একদিন ধ্বংস হবে পৃথিবী।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আরও আগের জমানায় জন্ম হলে ভালো হতো।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:১৯

জুন বলেছেন: আপনার পোস্টের মাধ্যমে অজানা লেখকের অজানা বইটি সম্পর্কে জানা হলো সাড়ে চুয়াত্তর। সেইসব পুরনো দিন যখন মানুষ পায়ে হেটে বা উট বা ঘোড়ায় চড়ে, কিম্বা নৌযানে একের পর এক অজানা দেশকে দেখতে পেতো, তাদের সেই রোমাঞ্চকর বা বিস্মিত হওয়ার অভিজ্ঞতা এখন কারো আর হয় না। নেটে সার্চ দিয়ে আমরা আগেই সব দেখে ফেলি তাই বুড়ি ছুয়ে ছুয়ে ফিরে আসি এক লহমায়। এই ধরনের ভ্রমণ কাহীনি গুলো সত্যি অসাধারণ যেমন ছোট বেলায় কত শতবার পড়া বিভুতিভুষন এর চাদের পাহাড়। অনেক ভালো লাগা রইলো।+

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কোন জিনিস সুলভ হয়ে গেলে তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যায়। আমার মনে আছে ১৯৮৩/৮৪ সালে ভিসিআর দেখার জন্য আমি বাসায় অনেক রাত জেগেছিলাম আশায় আশায়। কিন্তু জান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সংযোগ দেয়া যাচ্ছিল না। পরে আমি ঘুমের কোলে ঢোলে পড়ি নিজের অজান্তে। এই যুগে কোন কিছুর জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে ইচ্ছা করে না। কারণ বিকল্প আছে। আমার মনে হয় মানুষের মনোযোগ দেয়ার আগ্রহও কমে গেছে। আগে গানের একটা ক্যাসেট খুজতে কত দৌড়াদৌড়ি আর পরিশ্রম করেছি। এখন ইউটিউবে সব পাওয়া যায়। তারপরও শোনা হয় না।

বিভূতিভূষণের 'আরণ্যক' আমি বছরে ২/৩ বার পড়ি। চাঁদের পাহাড়ও ভালো লাগে। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে চাঁদের পাহাড় সিনেমা হয়েছে বাংলায়। কিছুটা দেখেছি। ভালো লেগেছে।

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬

জুন বলেছেন: @মা হাসান কাবার পথে আর মক্কার পথে এক বই না। কাবার পথের লেখক সম্ভবত আল আজিজ আল আমান। আর মক্কার পথের লেখক এর নামতো পোস্টের লেখকই বলে দিয়েছেন

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারও তাই মনে হচ্ছে। তবে আপনারা কে সঠিক আমি বলতে পারি না।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ জুন আপা - আবদুল আযীয আল আমানের লেখা বইটির নাম 'কাবার পথে' কলকাতা থেকে প্রকাশিত। আপনি ঠিক আছেন।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

করুণাধারা বলেছেন: এই বইটি পড়িনি- আপনার লেখার একটা মস্ত গুন এটা যে, আপনি কোন একটা বইয়ের বিষয়বস্তু অল্প কথায় এমনভাবে বলেন যে পাঠক পুরো বই সম্পর্কে ধারণা করতে পারে। আপনার রাজকন্যা সিরিজ পড়ে বুঝেছিলাম আপনি কাহিনীর সারবস্তু পরিবেশনে কতটা পারঙ্গম! আমার ইচ্ছা ছিল লিওন উরিসের লেখা "হাজ" কাহিনী ব্লগে দেবার, কিন্তু আপনার লেখা পড়ার পর সেই ইচ্ছা চলে গেছে। আমার সবিস্তার বর্ণনা বড় একঘেয়ে!

বইয়ের কাহিনীর সাথে লেখক পরিচিতি দেয়াটা আপনার বিশেষত্ব, খুবই ভালো। চমৎকার পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।

একটা কথা, spirit of Islam আমি পড়েছি, কিন্তু লেখক সৈয়দ আমীর আলী। একটু চেক করে নেবেন আশাকরি।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লেখা আমার চেয়ে উন্নত এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। তাই আপনাকে লিওন উরিসের 'হাজ' ব্লগারদের উদ্দেশ্যে পরিবেশন করার আহবান জানাচ্ছি। আশা করি সবাই উপকৃত হবে ও আনন্দ পাবে। Spirit of Islam পড়ব ইনশাল্লাহ। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:২৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনি দেখি সৌদি থেকে বের হতে চাচ্ছেন না। রিভিউ ভালো হয়েছে, পড়ার ইচ্ছা তৈরী করতে পেরেছেন।

ওদিকে রাজকন্যার খবর না পেয়ে দুঃচিন্তায় আছি।

১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢুকিচেপা ভাই, অনেক দিন পরে কথা হচ্ছে। আমি অন্য একটা বিষয়ের উপর লেখার পরিকল্পনা করেছি। রাজকন্যাদের নিয়ে লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। আশা করি ক্লান্তি দূর হলে আবার লিখবো। মাঝখানে আপনি গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন মনে হয়।

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই লেখক বা বই এর নাম শুনিনি।

পড়ে দেখার চেষ্টা করবো।

চুয়াত্তরভাই আপনি কি সৌদী আরাবের বাসিন্দা?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিতার চাকরীর সুত্রে আমি ১৯৮০-৯০ এর দশকে কিছু সময় সৌদি আরব ছিলাম। এখন ঢাকায় থাকি। প্রাইভেট চাকরী করি। যে বইটার কথা লিখেছি সেটা সবার পড়তে ভালো লাগবে না। আপনার ভালো লাগতে পারে যদি মনোযোগ দিয়ে খোলা মনে পড়েন। আন্তধর্মীয় দর্শন আর ইতিহাসের কথা বেশী। ইসলামের পক্ষে জোরালো যুক্তি দেখিয়েছেন লেখক অন্য ধর্মের বিপরীতে।

এর আগে ট্র্যাজেডি নির্ভর উপন্যাস লিখেছেন। এবার একটা মিলনাত্মক কিছু লিখুন। পাঠকের অভাব হবে না। আপনার ব্রান্ড ইমেজ এমনিতেই অনেক ভালো।

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা কোন ব্রান্ডে লিখবো ভাই?

ব্রান্ডের তো শেষ নাই আমার! :P

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব ব্র্যান্ডের লিস্ট পেলে বলতে সুবিধা হতো। তবে আপনি কবিতা পড়ার প্রহর ব্র্যান্ডেই লিখতে পারেন। এটা চমক সৃষ্টি করেছিল নিকট অতীতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.