নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিনদেশী গানের সুরের আদলে রবীন্দ্রসঙ্গীত

১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:১১


কৈশোর ও তারুণ্যের মাঝামাঝি বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কয়েক দিন আগের পোস্টে কিছু হিন্দি গানের লিংক দিয়েছিলাম যেগুলির সুর রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে ধার করা ছিল। এই পোস্টে কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীতের সন্ধান দেবো যে গানগুলির সুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাশ্চাত্য সংগীত থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তরুণ বয়সে কিছুকাল বিলেতে ছিলেন। পরবর্তী জীবনেও কয়েকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। রবীন্দ্রনাথের পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠরাও পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সাথে পরিচিত ছিলেন। ফলে অনেক ক্ষেত্রে কোন বিদেশী গান রবীন্দ্রনাথকে আকৃষ্ট করলে তিনি ঐ গানের সুরের আদলে বাংলায় সুর বেঁধেছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে যে কৃষ্ণ করলে হয় লীলা আর সাধারণ মানুষ করলে সেটা হয় সীমালঙ্ঘন। রবীন্দ্রনাথ সাধারণ মানুষ ছিলেন না। আর তাছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদেশী ভাষার সুরে গান বাঁধলেও এই গানগুলিতে রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব মেধার ছাপ ছিল। তাই কেউ দয়া করে কপি রাইট বা plagiarism এর দোহাই দিবেন না। পাশ্চাত্য সংগীত ছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের বিভিন্ন ভাষার লোকজ সংগীত, বাউল গান এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুরকে ব্যবহার করে অনেক বাংলা গান রচনা করেছেন। তবে এই পোস্টে এই ধরণের ভারতীয় ভাষার গান নয় বরং কিছু পাশ্চাত্য গানের উল্লেখ করবো যে গানের সুরগুলিকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাংলা গানে সফলভাবে প্রয়োগ করেছেন দেশীয় ঢঙে।

১। রবীন্দ্রসঙ্গীত এনেছি মোরা এনেছি মোরা
( রবীন্দ্রনাথের 'বাল্মিকি প্রতিভা' নাটকে ব্যবহৃত হয়েছে)

মূল বিদেশী গান For He's a Jolly Good Fellow

( এটা মুলত একটি ফরাসী ভাষার গান। পরবর্তীতে ইংল্যান্ড ও আমেরিকাতে গানটি ইংরেজিতে গাওয়া হয়।)

২। রবীন্দ্রসঙ্গীত আহা আজি এ বসন্তে রবীন্দ্র সংগীত
এবং
ওহে দয়াময় রবীন্দ্র সংগীত

মূল বিদেশী গান Go Where Glory Waits Thee
( এটা একটা আইরিশ গান)

৩। রবীন্দ্রসঙ্গীত পুরানো সেই দিনের কথা

মূল বিদেশী গান Auld Lang Syne
( এটি একটি স্কটিশ গান)

৪। ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে গান

মূল বিদেশী গান Ye Banks and Braes

( এটি একটি স্কটিশ গান)

৫। কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া

মূল বিদেশী গান Drink to me only with thine eyes

(ইংরেজ নাট্যকার বেন জনসন রচিত গান)

আশা করি আপনারা মূল বিদেশী গান এবং রবীন্দ্রসঙ্গীত উভয় গানই উপভোগ করবেন।

কৃতজ্ঞতাঃ আবু বকর সিদ্দিকি - roar media
সতীদেব ঘোষ; রবীন্দ্রসঙ্গীত বিচিত্রা; তৃতীয় অধ্যায়
ছবি - thebetterindia.com

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:



রবীন্দ্রনাথ কি উল্লেখ করেছিলেন যে এই গানগুলো মূল গানের আলোকে করা, ওখান থেকে সুর নিয়েছেন ?
যদি করে থাকেন, তাহলে ঠিক আছে ।


১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনুমতি নিয়েছেন বলে মনে হয় না। তবে উনি ওনার বিভিন্ন লেখায় এই ব্যাপারে লিখেছেন। 'জীবনস্মৃতি' বইয়ে উনি লিখেছেন "যে ইউরোপের সঙ্গীত যেন মানুষের বাস্তব জীবনের সাথে বিচিত্রভাবে জড়িত। তাই দেখিতে পাই সকল রকমেরই ঘটনা ও বর্ণনা আশ্রয় করিয়া ইউরোপের গানের সুর খাটানো চলে।"

২| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




প্রথম মূল গানটা খুবই পপুলার ।
কিন্তু দ্বিতীয়টা আইরিশ গানের সাথে সেভাবে সুরের কোনও মিল নেই ।
তিন স্কটিশটা পুরোই মিল আছে কিন্তু রবি ঠাকুর এই কাজটা অসাধারণ করেছেন । মাচ বেটার দেন স্কটিশ ওয়ান ।
চার স্কটিশটা হুবুহু একই রেখেছে ।
এন্ড ফাইনালি পাঁচ সেটাও বাংলাটা বেশী সুন্দর হয়েছে ।

মূল গানগুলোকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, ওয়েল ডান সাচু !


১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গিনেজ বুক ওফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী প্রথম গানটা (For he's a jolly good fellow) ইংরেজি ভাষার দ্বিতীয় জনপ্রিয় গান। জনপ্রিয়তার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে আছে ' Happy birthday to you' গানটি। দ্বিতীয় গানটাতে ( Go where glory waits thee) মূল গানের সুরের কিছু ছোঁয়া আছে, তবে হুবহু মিল নেই। 'পুরানো সেই দিনের কথা'র মত নস্টালজিক গান খুব কমই আছে ( আরেকটা আছে ' কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই)। মূল ইংরেজি গানটাও (Auld Lang syne) নস্টালজিক এবং খুবই জনপ্রিয়। বিভিন্ন ভাষায় এটার অনুবাদ হয়েছে। 'ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে' এবং মূল ইংরেজি গানটার মধ্যে মিলের পরিমান অনেক বেশী। পঞ্চম গানটা ও তাঁর মূল গান দুইটাই আমার কাছে ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে পোস্ট পড়া, গান শোনা, গান দেখা ও মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তবে, কেউ কেউ আবার নাখোশ হতে পারে। আজকাল মানুষের বোধবুদ্ধি কমে যাচ্ছে!!! B-)

একবার এই অধমও এমন একটা লেখা লিখেছিল। প্রতিক্রিয়া দেখতে পারেন, =p~

বিশ্বকবি রবিঠাকুরের অনুপ্রেরণা বনাম আমজনতার নকল

১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আরও অনেক বেশী গানের উল্লেখ করেছেন। আসলে এই ধরণের রবীন্দ্রনাথের গান বহু আছে। পোস্ট বড় হয়ে যাবে তাই অল্প কিছু গান দিয়েছি। শুধু পাশ্চাত্য সঙ্গীত না, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার লোকগীতি, বাউল গান, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ইত্যাদি থেকেও অনুপ্রাণিত হয়েছেন ও সুর করেছেন।
আজকাল আমাদের মধ্যে শুধুই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। তাই কৃষ্ণ করলে লীলা আর .................. । এই কাজ এই যুগে কোন কবি, সুরকার বা গীতিকার করলে খবর ছিল।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০৫

ঢুকিচেপা বলেছেন: গানগুলো শোনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
গানের রচনাকাল উল্লেখ করতে পারলে ভাল হতো।
গত পর্বের কিছু গান শুনেছি, সবগুলো শুনে ওটাতে মন্তব্য করবো।

তা হঠাৎ ধুতি নিয়ে টানাটানি কেন ? পূর্বের কোন দেনা পাওনা আছে ?

১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবি গুরু যদি আমাকে জানিয়ে সঙ্গীত রচনা করতেন তবে আমার জন্য সঙ্গীতের রচনাকাল উল্লেখ করা সহজ হতো। তবে আপনার প্রস্তাবনা যৌক্তিক তাই গানের রচনাকাল জোগাড় করে পোস্টে সংযুক্ত করে দেব। আগের পোস্টে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম। ব্লগে দুই একদিন আগে ধুতি নিয়ে টানাটানি জনিত জটিলতায় দুইজন সম্মানিত ব্লগার ধুতি হারিয়েছেন। তাই আমি এমন লোকের ধুতি বেঁছে নিয়েছি যার ধুতির ধারে কাছেও কেউ যেতে পারবে না। বাঙালি সবার ধুতি ধরে টানে না। যে ধুতি টান দিলে খুলে যাবে সেটাকেই টানা হয়ে থাকে।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫১

জটিল ভাই বলেছেন:
আমি কোথায় পাবো তারে?
আমার মনের মানুষ যে রে.......

১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো কথা মনে করে দিয়েছেন। বাউল গগন হরকরার গানের সুরেই তো আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ' আমার সোনার বাংলা' রচিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের গানে এই ধরণের অনেক উদাহরণ আছে। গান নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই মূল গানের চেয়ে রবীন্দ্রনাথের এই ধরণের গান অধিক জনপ্রিয় হয়েছে।

৬| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বিদেশি গানগুলিরেও কি পরিচিতো মনে হলো!!

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী প্রথম গানটা ( For he's a jolly good fellow) জনপ্রিয়তার বিচারে ইংরেজি ভাষায় দ্বিতীয়। 'Happy birth day to you' গানটা জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে প্রথম। দ্বিতীয় গানটা ( Go where glory waits thee) বিখ্যাত আইরিশ কবি থমাস মূরের। এই গানটিও অত্যন্ত জনপ্রিয় গান। তৃতীয় গানটাও (Auld Land Syne) অনেক জনপ্রিয় একটা গান ও কবিতা। এই গানটা পুরানো বছরকে বিদায় জানাতে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, শিক্ষা সমাপনি, বিদায় সম্বর্ধনা, স্কাউত জাম্বুরির সমাপনি ইত্যাদি উপলক্ষে গাওয়া হয়ে থাকে। 'Drink to me only with thin eyes' - এই গানটিও অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গান। আমার কাছে For he's a jolly good fellow গানটি আগে থেকেই পরিচিত ছিল।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৪

নতুন নকিব বলেছেন:



মজার বিষয় তো! গান নিয়ে অত কিছু জানি না। এ কারণে এসব তথ্য অজানাই ছিল। ধন্যবাদ।

১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কথা ও সুর যেমন অন্যেরা ব্যবহার করেছে একইভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ভিন্ন ভাষার অনেক গান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাংলায় সুর বেঁধেছেন। আপনি বা আমি এই কাজ করলে নিন্দা হতো। কিন্তু মনিষীদের কথা আলাদা। ওনারা সমালোচনার ঊর্ধ্বে। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এইসব গানে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন এবং নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখেছেন। গানগুলিকে উনি বাঙালি সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে রচনা করেছেন ফলে এই অঞ্চলের শ্রোতারা গানগুলিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। একদেশের সংস্কৃতি অন্য দেশের সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ও সমৃদ্ধ হয় যদি সেটা অপসংস্কৃতি না হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওনার গান ও কবিতা নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন।

৮| ১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো পোস্ট।

১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তিনটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আলাদা আলাদা উত্তর দিচ্ছি।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন:



আপনার জন্য এই গানটি

"Ye Banks & Braes" , a Scottish song also known as "The Banks O' Doon" is written by Robert Burns, inspired Tagore to write the song "Phule Phule" on the same melodic schema.
Ye Banks & Braes is sung by Usha Uthup and the Tagore is sung by Alka Yagnik.




https://www.youtube.com/watch?v=Bv24FO7Wisk

১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুইজনের গানই ভাল লাগলো। ঊষা উত্থুপের কিছু গান ওনাকে না দেখে শুধু শুনলে মনে হয় ছেলে কণ্ঠ। তবে উনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন এবং বিবিধ রকমের গান উনি স্বাচ্ছন্দ্যে গাইতে পারেন। গান গাওয়ার সাথে সাথে ওনার অঙ্গভঙ্গিও দেখার মত। গানে যদি এই ধরনের বিদেশি হাওয়া লাগানো যায় তাহলে কবিতাতেও মনে হয় সম্ভব। কবি হিসাবে আপনি কি বলেন?

১০| ১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন:


আরেকটি গান -
Drink to me only with & কতবার ভেবেছিনু By SwagataLakshmi Dasgupta

This immortal western song " Drink to me only with…” inspired Rabindranath Tagore to compose a song "katobar bhebechhinu apano bhulia" ( “কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া” ) in 1885. It may be noted that this is not a translation of the English one. The song " Drink to me only…” was written by Ben Jonson in his poem "Song to Celia " in 1616.
Both the songs are presented here together, sung by the same artist, none other than SwagataLakshmi Dasgupta, an well known Rabindra Sangeet singer. And with her extra-ordinary rendition, the song “Drink to me only” has turned to be a real music to the ears & soul.
লিঙ্ক-
https://www.youtube.com/watch?v=reBiS3BVfoM

১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী স্বাগতা লক্ষ্মীদাশ গুপ্তের দুই ভাষায় গান ভাল লাগলো। উনি এই ধরনের আরও কিছু গান গেয়েছেন।

১১| ১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: ভাগ্যভাল যে রবীন্দ্রনাথ এই যুগে জন্মান নাই কিংবা ঐ যুগে ইন্টারনেট ছিল না । তাহলে তার খবরই ছিল !
কয়েকদিন আগে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে একটা সাহিত্য গ্রুপে একটা পোস্টে রবীন্দ্রনাথের অনেক গান যে অনুপ্রাণীত এই বিষয়ে একটা পোস্ট এসেছিল । রবীন্দ্র ভক্তরা যে কী ভয়ংকর হয়ে উঠেছিলো সেটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না । পোস্ট টি আর নেই । নয়তো লিংক দিতাম ।
আসলে আমরা আমাদের পছন্দের মানুষের নামে অভিযোগ শুনে অভ্যস্ত নই, এমন কী সেটা সত্য হলেও ।

১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অন্ধভক্তি ভালো না। অস্বীকার করার উপায় নাই যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত আন্তর্জাতিক মানের প্রতিভা বাংলায় জন্মগ্রহণের কারনে বাংলা সাহিত্য তাঁর কাছে ঋণী। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বের দরবারে বাঙ্গালীকে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু সত্যকে অস্বীকার করার চেষ্টা ঠিক না। তাছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উদার মন মানসিকতার ছিলেন। ফলে তিনি ভিন্ন সংস্কৃতির ভালোটাকে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে। এখান থেকে আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু। উনি মুক্ত মনে এই বিদেশী সৃষ্টিকর্মকে দেশীয় রুপ দিয়েছেন। এটার পক্ষে বা বিপক্ষে অনেক কিছু বলা যায়। এই পোস্টের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে বিস্তারিত আলোচনা ও মতামত দেয়া ও নেয়া কঠিন। আমি আশা করি এই ব্যাপারে যারা আরও ভালো জানেন তারা এই বিষয় নিয়ে লিখবেন।

১২| ১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: প্লেজারিজম রবীন্দ্রনাথ করলেও প্লেজারিজম, জনসাধারণ করলেও প্লেজারিজম। মেধাবীদের বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের অভিযোগ নেহাৎ কম নয়, এমনকি বিজ্ঞানের মতো ক্ষেত্রেও: নিউটন-লিবনিটজের ঘটনা তো বিখ্যাত; আইনস্টাইনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ বিস্তর। রবীন্দ্রনাথ যতদূর জানি, গানের সুরের উৎসের / প্রেরণার কথা উল্লেখ করতেন। সে যুগে অনুমতি নেয়া অবশ্য আজকের একটা ইমেইলের মতো এত সহজ ছিল না।

১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গোপনে এই ধরনের কাজ করতেন না। উনি এটাকে খারাপ কিছু মনে করতেন না বরং মনে করতেন যে তার এই শিল্প কর্মের মাদ্ধমে ভারতীয়রা পশ্চিমের কাব্য ও সঙ্গিত সম্পর্কে জানতে পারবে। উনি এটাকে সৃষ্টিশীলতা হিসাবে গণ্য করতেন। ওনার এই জাতীয় কর্ম ভালো না খারাপ এটা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওনার বিভিন্ন লেখায় এই ধরনের প্রচেষ্টার পক্ষে লিখেছেন। যুগও হয়ত একটা ব্যাপার। আপনার সাথে একমত যে আরও অনেক মেধাবী ব্যক্তি এই ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।

১৩| ১৪ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন ভাই, রবিবাবুর করেছেন বলে আমরা কপি করতে গলে গোল বাধবেই। কোথায় উনি আর কোথায় আমরা।

সুন্দর বিষয়বস্তু।+++++++++

১৪ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তারমানে সব কপি কপি না। কে কপি করলো এটাও বিবেচ্য বিষয়। আর কপির মধ্যেও সৃষ্টিশীলতা থাকা চাই। বড়দের সবকিছুকে অনুসরন করার মধ্যে বিপদও আছে। বুঝে শুনে তাদের অনুসরণ করতে হবে।

১৪| ১৪ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:১১

লোনার বলেছেন: "All animals are equal, but some animals are more equal than others." - George Orwell

১৪ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উদ্ধৃতিটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক। আমাদের অনেক আচরণ কপটতাপূর্ণ। আমাদের সমাজের অনেক কিছুর মধ্যে ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড আছে, যেটা হওয়ার কথা না। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ১৪ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানতেন তার এইসকল গানের প্রভাব থাকবে দীর্ঘকাল ব্যাপি। হাজার হাজার মানুষের মুখে মুখে ফিরবে এ গান-
কোন না কোন সময় কেউ না কেউ বের করে ফেলবেই এসব গানের অরিজিনাল সুর। এ নিয়ে তার কোন দ্বীধা ছিল না।
পৃথিবীর সেরা সেরা সুরগুলো তুলে এনে বাংলায় বেঁধেছিলেন- সেই যুগে কেন শুধু এই যুগেও বড় পাওনা সেটা।

ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে আমি একমত। রবীন্দ্রনাথ বিশাল মনের ছিলেন। ফলে বিশ্ব সাহিত্য ও বিশ্ব সঙ্গিতকে তিনি নিজের মধ্যে ধারণ করার যোগ্যতা রাখতেন। আসলে উন্নত মানের শিল্প ও সাহিত্য সর্বজনীন, এটা দেশ, কাল, ভাষা, জাতির বাঁধা মানে না। রবীন্দ্রনাথ যা কিছু ভালো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছেন তা ই ভারতবাসীকে নিজ ভাষায় উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছেন উদার চিত্তে।

কিন্তু সমস্যা হোল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর না হয়ে অন্য কেউ এই কাজ করলে সেই ব্যক্তি ব্যাপক সমালোচিত হতেন। এইটাই মূল প্রশ্ন। রবীন্দ্রনাথের প্রতি যে উদারতা আমরা দেখাতে পারি আর কেউ হলে আমরা তা পারি না।

১৬| ১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরো একটা ভালো পোস্ট।

অন্য ভাষার সুর শুধু রবীন্দ্রনাথই না, সব যুগেই আরো অনেকেই আমদানি/অনুকরণ/অনুবাদ করে থাকবেন। আবার বাংলা সুরও অন্য ভাষায় গেছে। নজরুলের উপর এরকম কোনো গবেষণা আছে কিনা জানা নাই। তবে, নজরুলের গানে অন্য ভাষার সুর সব থেকে বেশি আসার কথা। নজরুল অন্য অনেক ভাষার সুর বাংলার সুরের সাথে মিশিয়ে নতুন একটা সুরের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। দুই একটা গানের সুর হুবহু অন্য ভাষার গান থেকে আনা, যদিও এ মুহূর্তে আমার মনে পড়ে না (সম্ভবত - ত্রিভুবনের প্রিয় মুহম্মদ/শুকনো পাতার নূপুর পায়ে)।

রবীন্দ্রনাথ শুধু বিদেশী ভাষা না, বাংলায় প্রচলিত বিভিন্ন গান, বিশেষ করে বাউল/লোক গানের সুরে নিজের গান সুর করেছেন। রবীন্দ্রনাথ এসব কেন করতেন? আমার মনে হয়, এটা ছিল তার এক্সপেরিমেন্টের একটা অংশ। অন্য ভাষার সুরের সাথে বাংলা সুরের মিশ্রণ ঘটানো। তার গানের সংখ্যা আড়াই হাজারের উপরে। এতগুলো গানের সুর যদি তিনি নিজে করতে পারেন, বাকি গোটা বিশেক গানের সুর করতে পারবেন না, এটা কোনো কথা হতে পারে না। ঐ সুরগুলো হয়ত তাকে আকৃষ্ট করেছিল। বাউল গান, বিশেষ করে লালনের গানে তিনি দারুণ ভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। বেশ কিছু লালন গানের সুরে নিজের গানও করেছেন। অন্যান্য বাউল গান তো আছেই।

আমার অবাক লাগে, আপনার উদ্ধৃত গানগুলোর সুর যে ইংলিশ গানের সুর হতে পারে, তা আমি কখনো ভাবি নি। অর্থাৎ, বোঝাই যায় না যে এ গানের মূল সুর ইংলিশে। কিছু ব্যান্ড ও সিনেমার গান, আধুনিক গানও আছে ইংলিশ সুরে গাওয়া।

আপনার এ ধরনের পোস্টগুলো খুব ভালো লাগছে।









১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পুরো বক্তব্যের সাথেই সহমত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেন। তাছাড়া উনি ভিনদেশি ভালো গানগুলিকে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাইতেন। নজরুলের গানে বিদেশী প্রভাব বেশী থাকার কথা, আমারও তাই মনে হয়।

আপনার দেয়া রোমানিয়া আর তাজাকিস্তানের গান শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। বাংলা, রোমানিয়া আর তাজাকিস্তান এই তিনটার মধ্যে কোনটা আসল? আমার কাছে ধাঁধার মত মনে হচ্ছে।

১৭| ১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৪০

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ও মন্তব্য।

১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গানগুলি দেখা ও শোনার জন্য।

১৮| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:০২

ঢুকিচেপা বলেছেন: রবীন্দ্রসঙ্গীত এমনিতেই কম শোনা হয়।
তবে যে কয়টি দিয়েছেন তার মধ্যে “এনেছি মোরা এনেছি মোরা” ছাড়া সবগুলোই শোনা।
বিদেশীগুলো আগে কখনো শুনি নাই তবে আপনার পোস্টের পরে শুনেছি।

বিদেশী গান ভালো লাগার কারনেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এগুলো সৃষ্টি করেছেন এতে কোন দ্বিমত নেই।

প্রথম গানের ক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধান প্রায় ১৭৩ বৎসর।
বিদেশী গান রচিত হয়েছিল 1709 সালে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরবর্তীতে লিখেছেন ১৮৮২ সালে।

যাইহোক আপনার বহুমুখি প্রতিভায় মুগ্ধ।
তা আপনার ক্যামেরা বানানোর মতো আর কোন যন্ত্র আবিষ্কার করে থাকলে পোস্ট দিয়ে জানায়েন।

২৮ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফর হি ইস আ জলি গুড ফেলো গানটা আমি আগে মুখে মুখে শুনেছিলাম। বাকিগুলি আমার জন্যও নতুন ছিল। আমি যখন ক্লাস ফাইভ এবং সিক্স এ পড়ি তখন আমার বিজ্ঞান নিয়ে প্রচুর আগ্রহ ছিল। তখন ছোটদের উপযোগী বিজ্ঞানের কিছু বই ছিল। আব্দুল্লাহ আল মুতির বইয়ের কথা মনে আছে। আমি এগুলি কিনতাম। আমার একটা ঝোলা ছিল, যেটা আমি বাসার বারান্দার এক কোণায় রাখতাম। এই ঝোলার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান সংক্রান্ত জিনিস থাকতো। যেমন ভাঙ্গা বাল্ব, কপিকল, আয়না, জর্দার কৌটা, কোল্ড ড্রিঙ্ক খাওয়ার স্ট্র, ভাঙ্গা তালা, প্লায়ারস, স্ক্রু ড্রাইভার, বালি, নিউজপ্রিন্ট কাগজ দিয়ে তৈরি কোণাকৃতির ফিল্টার, তারের জালি, টুথপেস্টের কাগজের বাক্স, ঘষা কাচ, চুম্বক, ব্লেড, পেরেক, আতশ কাচ ইত্যাদি।

ঐ সময় একবার একটা পেরিস্কোপ বানিয়েছিলাম। পেরিস্কোপ হোল একটা কৌশল বা যন্ত্র যেটা সাবমেরিনে ব্যবহৃত হয়। সাবমেরিনের ছাদ থেকে একটা নল উপরে উঠে আসে এবং সাবমেরিনের ভিতরে বসেই বাইরের দৃশ দেখা যায়। এটাকে পেরিস্কোপ বলে। এটা মুলত আয়না ও লেন্স দিয়ে তৈরি করা হয়। আমি প্রথমে ছোট আকারে তৈরি করেছিলাম টুথপেস্টের কাগজের বাক্স ও আয়নার সাহায্যে। তবে লেন্স ব্যবহার করিনি। পরে তারের জালি দিয়ে আরও বড় করে বানিয়েছিলাম। বোতলের মুখ দিয়ে কপিকল বানিয়েছিলাম। চুম্বক দিয়ে ঘষে পেরেক বা ব্লেডকে চুম্বকে পরিনত করতাম। আর কিছুদিন এভাবে চালাতে পারলে নোবেল প্রাইজ চাওয়ার দরকার হতো না, আমার বাসায় এসে দিয়ে যেত। হা হা হা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.