নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়া দেশগুলি

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৩২

সার্বিকভাবে মুসলমানরা বিজ্ঞান ও গবেষণায় পিছিয়ে আছে এটা আমরা জানি ও মানি এবং তথ্য-উপাত্তও তাই বলে । কিন্তু একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় যে এই পিছিয়ে পড়ার কারণ ধর্মীয় না। বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রতি অনেক মুসলমানের আগ্রহ কম হওয়ার কারণও ধর্মীয় না। আসলে মুসলমান প্রধান দেশগুলিতে বিজ্ঞান ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয় নাই যার কারণ রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের বিচক্ষণতার অভাব, দুর্বল শিক্ষা নীতি, গবেষণার গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পারা এবং আরও অনেক কারণ আছে। আরেকটা কারণ হোল বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্য রাষ্ট্র অনেক কম অর্থ ব্যয় করে থাকে। বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় অন্তরায় হোল গবেষণার বাজেট ও অবকাঠামো।

বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পড়ার মত মেধাবী ছেলেমেয়ে বহু আছে। কিন্তু উপযুক্ত গবেষণার পরিবেশ, গবেষণার উপকরণ ও আর্থিক সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে এরা এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে বিদেশে গিয়ে গবেষণায় ভালো করে। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এদেশের মেধাবিরা গবেষণা ও প্রযুক্তিতে ভালো করতে পারে না। কাজেই ধর্ম এখানে কোন বিষয় না।

আবার দেখা যায় যে অনেক অমুসলিম দেশও বিজ্ঞান ও গবেষণায় পিছিয়ে আছে। দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমী অব সাইন্সেস একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যারা বিজ্ঞান, প্রজুক্তি ও গবেষণায় পিছিয়ে পড়া দেশগুলিকে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরণের আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে থাকে (বিস্তারিত জানতে The World Academy of Sciences (TWAS) )। এই সংস্থাটি বিশ্বের ৬৬ টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে যে দেশগুলি বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতগত সক্ষমতা ও গবেষণায় পিছিয়ে আছে বিজ্ঞানে ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়া ৬৬ টি দেশ । এই তালিকা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে মোট ৬৬ টি দেশের মধ্যে ৪৭ টি দেশই (৭১%) অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ১৯ টি দেশ ( ২৯%) মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। জনসংখ্যার হিসাবে এই দেশগুলির ৬১% জনগণ অমুসলিম এবং ৩৯% জনগণ মুসলিম। বলা হয় যে মুসলমানরা ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে। তাহলে প্রশ্ন আসে যে তাহলে এই অমুসলিম দেশগুলি পিছিয়ে আছে কেন। আসলে যে সব দেশ পিছিয়ে আছে তার মধ্যে মুসলিম প্রধান দেশ যেমন আছে তেমনি অমুসলিম প্রধান দেশও আছে। বরং অমুসলিম প্রধান দেশের সংখ্যা বেশী।

এই পরিসংখ্যান আমাদের জানাচ্ছে যে এই পিছিয়ে থাকার আসল কারণ মুসলমানরা নয় বা তথাকথিত ইসলাম ধর্মের গোঁড়ামি নয়। তাই যদি হতো এই অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলির এই দশা হতো না। এই তালিকা বিশ্লেষণ করলে একটা জিনিস দেখা যাচ্ছে যে অনেক দেশই এক সময় উপনিবেশ ছিল এবং এরা অত্যন্ত দরিদ্র দেশ। আরেকটা কারণ হোল এই তালিকার অনেক দেশেই রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গৃহযুদ্ধ চলমান। তাই যারা বলতে চাচ্ছেন যে ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করার কারণে বা গোঁড়ামির কারণে মুসলমানরা বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে তাদের যুক্তি অসার হয়ে যায়। কারণ এই পিছিয়ে থাকার কারণগুলি মুলত সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক। যার ফলে অমুসলিম অনেক দেশও বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় পিছিয়ে আছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের দূরদর্শিতা এবং রাষ্ট্রের গবেষণার পিছনে খরচ করার সামর্থ্যও বিবেচনা করা প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমান অর্থ গবেষণায় ব্যয় করে তা বাংলাদেশের ৩ বছরের বাজেটের সমান। মালয়েশিয়া ও তুরস্ক ছাড়া আর কোন মুসলিম প্রধান দেশ জিডিপির ১% চেয়ে বেশী গবেষণার জন্য বরাদ্দ করে না। ১% চেয়ে কম অর্থ গবেষণায় ব্যয় করে এরকম অমুসলিম দেশের সংখ্যাও অনেক আছে। তাই ধর্ম এখানে সমস্যা না।

বাংলাদেশও গবেষণা ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে। যদি এটার কারণ হতো ইসলাম তাহলে এই দেশের অমুসলিমদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেরকম কোন কিছু দৃশ্যমান হয় না। যে ৬৬ দেশের কথা আলোচনা করছি সেই দেশগুলিতেও অমুসলিমরা মুসলিমদের চেয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রসর এরকম কোন আলামত পাওয়া যায় না। যদি ভারতকে বিজ্ঞানে অগ্রসর ধরা হয় ( এই তালিকায় ভারত বা পাকিস্তান নেই) তাহলে পাকিস্তানকেও ধরতে হবে। ইসলামী গোঁড়ামির কারণে যদি পিছিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন ওঠে তাহলে পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকার কথা সবার আগে। ইরানেরও পিছিয়ে থাকার কথা। যদিও ভারত বা পাকিস্তান কোন দেশই বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে অনেক অগ্রসর কোন দেশ না তারপরও এরা খুব পিছিয়ে আছে বলা যাবে না।

প্রশ্ন উঠতে পারে যে পৃথিবীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে প্রথম সারীর কোন দেশের মধ্যে কোন ইসলামিক দেশের নাম নাই কেন। আসলে যারা আগে শুরু করেছে তারা এগিয়ে আছে। পশ্চিমের দেশগুলি উনবিংশ শতাব্দীতে যখন গবেষণায় মগ্ন তখন ইসলামিক দেশগুলির বেশীরভাগ এবং অনেক আফ্রিকান দেশ পশ্চিমের উপনিবেশ ছিল। যেসব দেশ অন্য দেশের উপনিবেশ ছিল এই দেশগুলি শোষণের শিকারে পরিনত হয়েছিল। শুধু ভারতীয় উপমহাদেশ না আফ্রিকা ও অন্যান্য অঞ্চলের উপনিবেশগুলি অর্থনীতি, শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে পড়েছিল তাদের শাসকদের কারণে। উপরের যে ৬৬ টি দেশের তালিকা দিয়েছে তার একটা বড় অংশ আফ্রিকান অমুসলিম দেশ। এরা স্বাধীন হওয়ার পর দেখলো যে ইতিমধ্যে তাদের শাসকরা অনেক দূর এগিয়ে গেছে অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা ও গবেষণায়।

এখনও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে গৃহযুদ্ধ বন্ধের জন্য জাতিসংঘ বাহিনী পাঠাতে হয়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উপনিবেশগুলির ক্ষেত্রে এই পশ্চাৎপদ অবস্থা দেখা যায়। পরবর্তীতে কিছু দেশ ভালো করতে সক্ষম হয়েছে ভালো নেতা, ভালো রাজনীতি ও দেশ প্রেম দ্বারা। ধর্মকে এই পিছিয়ে পড়ার সাথে যুক্ত করার কোন কারণ আমি দেখি না। বাংলাদেশের হাজার হাজার ছেলেমেয়ে প্রতি বছর পশ্চিমের দেশগুলিতে যাচ্ছে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করার জন্য এবং এই সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ধর্ম যদি সমস্যা হতো তাহলে আমাদের দেশ থেকে অমুসলিমরা বেশী হারে যেত। মুসলমানদের মধ্যে বিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিদ বা গবেষক হওয়ার আগ্রহ কম এটা বলা যাবে না। আসল কারণ হোল গবেষণার জন্য রাষ্ট্রীয় দুর্বল অবকাঠামো এবং বাজেটের অভাব। উপরে উল্লেখিত ৬৬ টি দেশের কিছু তথ্য নীচে দেয়া হোল।









ছবি - dirjournal.com
দেশগুলির জনসংখ্যা ও ধর্মের তথ্য নেয়া হয়েছে উইকিপিডিয়া থেকে

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:১১

কামাল১৮ বলেছেন: ছাত্র ছাত্রী সহ দেশের সকল মানুষ আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক কেবল সরকার কুসংস্কার আচ্ছন্ন যার জন্য বিজ্ঞান শিক্ষা ও ঘভেষণার জন্য টাকা দেয় না।আপনি কি এটা বলতে চাইছেন।

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ছাত্র ছাত্রী কম দেখছেন? গবেষণার জন্য টাকা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান একদম শেষের দিকে। ভারত বা পাকিস্তানের ধারে কাছে না। বাংলাদেশ সরকারের ৩ বছরের বাজেটের সমান টাকা যুক্তরাষ্ট্র এক বছরে গবেষণায় ব্যয় করে।

২| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:২৬

সাসুম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাই।
জ্ঞান বিজ্ঞানে মুস্লিম দেশ গুলো এত এগিয়ে আছে আর অমুস্লিম দেশ গুলো এত পিছিয়ে আছে ভাবতেই খুব ভাল লাগে।


আর বাংলাদেশের ৯৫% মুস্লিম জনগণ জ্ঞান বিজ্ঞানে চরম আগ্রহী এবং কেবল সরকার শিক্ষা ও ঘভেষণার জন্য টাকা বরাদ্দ দেয় না বলেই আজ আমাদের কে নিয়ে সবাই ট্রল করে আর আমরা দুনিয়ার সব তালিকার নীচে এটা জেনেও ভাল লাগলো।

আর আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর প্রচুর মোসলমান জ্ঞানী ছাত্র ছাত্রী দেশের বাইরে গবেষণা করতে যায়, এটা ভেবেও প্রচুর আনন্দ পাচ্ছি।

মোদ্দা কথা, আপনার এই পোস্ট পড়ার পর নিজেদের কে সিংগাপুরহ হংকং মালেশিয়া সিলিকন ভেলি আমস্টারডাম লন্ডন বেইজিং সিউল তেল আবিব এর বাসিন্দা মনে হচ্ছে।

সুবাহানাল্লাহ!

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক অমুসলিম দেশ যে পিছিয়ে আছে সেটার উপাত্ত দিলাম। কোন দেশের জন্যই ৯৫% বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রীর দরকার নাই। আমাদের দেশের বহু বিজ্ঞানের ছাত্র দেশে সুযোগ না পেয়ে বিদেশ চলে যায়। তাই ঘাটতি দেখি না। অনেকেই বিজ্ঞান শাখার বাইরের বিষয়গুলি মূল্য বুঝতে পারে না। সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর বৈজ্ঞানিক হলে কে হবে সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, কবি, সাহিত্যিক, প্রফেসর, ব্যবসায়ী। আপনার চেনা জানা অনেককে পাবেন যারা বিজ্ঞানের উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিতে পশ্চিমে যাচ্ছে। আপনি দেখতে না পেলে কিছু করার নাই। এই দেশ যে কখনও সিংগাপুর হবে না এমন আমি মনে করি না। ভালো নেতৃত্বের কারণে এক সময়ের জেলে পাড়া সিংগাপুর এখন ধনী রাষ্ট্র যারা প্রায় আমাদের সাথেই স্বাধীন হয়েছিল। এতো হতাশাবাদি হলে সমস্যা। আপনার মুখ থেকে সুবাহানল্লাহ বার করতে পেরেছি এটাই আমার এই পোস্টের সাফল্য বলে মনে করছি। আপনি কোন যুক্তি খণ্ডন না করে মন্তব্য করেছেন।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৩১

রাস্তাফুলিশ বলেছেন: আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করি বেশ কিছু বিষয়ে:
- ইরান বিজ্ঞানে অত্যন্ত উন্নত: Click This Link ইরাক পিছিয়ে থাকলেও খারাপ না। মালয়েশিয়া, তুরস্ক, কাতার, আরব আমিরাত এসব দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রচুর গবেষণা হচ্ছে
- যেসব দেশ বিজ্ঞানে এগিয়ে তারা উন্নত দেশ, বাংলাদেশে মানুষ খাবার পায় না গবেষণা কিভাবে সম্ভব? এই প্রশ্ন বাস্তবিক কারণেই আসে। আমি জানি গবেষণার মাধ্যমে এইটা মিটানো হয়তো সম্ভব কিন্তু ক্ষুধার্থ অবস্থায় পৃথিবী গদ্যময়।

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আসলে আমার পক্ষেই বলেছেন। আপনার পয়েন্টগুলি আমার পোস্টের বিরুদ্ধকারীদের মুখ বন্ধ করতে সাহায্য করবে। আপনি আর আমি একই লাইনে চিন্তা করছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ইরান অনেক অগ্রসর দেশ। মালয়েশিয়া, তুরস্ক, কাতার, আমিরাতে গবেষণার কাজ এখন হচ্ছে। তবে সত্যি কথা হোল পশ্চিমের দেশগুলির চেয়ে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে। আমরা দৌড় শুরু করেছি পরে তাই ওদেরকে অতিক্রম করতে অনেক সময় লাগবে। তবে পিছিয়ে পড়ার কারণ ধর্ম নয় এটাই আমি বলতে চাচ্ছি। অনেকে ধর্মকে কারণ বলছেন। ধর্ম কারণ হলে অনেক খ্রিস্টান দেশ পিছিয়ে আছে কেন। এদেশের অমুসলিমরা কি বিজ্ঞানে আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

৪| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। তবে পরিসংখ্যান-, যুক্তি- ও ভাষা-প্রতিবন্ধী বাঙাল ট্রলদের এ পোস্ট মাথায় ঢুকবে না, তারা ব্যস্ত সরলীকরণে আর পশ্চাৎদেশ দিয়ে পর্বতাপসারণে।

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি দুই লাইনে শক্ত ঠেলা দিয়েছেন। তথ্য, উপাত্ত, পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে গরুর রচনা অনেকের ভালো লাগে। আমি ভুল বললে সেটার বিপরীতে যুক্তি চাই, আমি মেনে নিতে রাজি আছি। আরেকটু সময় নিয়ে লিখলে আরও গুছিয়ে লিখতে পারতাম। একটু তাড়াহুড়া করে পোস্ট দিয়েছি।

৫| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:৫৫

সাসুম বলেছেন: আপনি আমার কমেন্ট এর ধারা সম্পর্কে জেনে গেছেন। এটা বুঝে গেছেন আমি ইউজালি পয়েন্ট বাই পয়েন্ট যুক্তি খন্ডণ করে রিপ্লাই দেই।

আপনার পোস্টের কোন পয়েন্ট এর যুক্তি খন্ডন করে রিপ্লাই দেয়ার মত মানসিক শক্তি আমার অবশিষ্ট নেই।

আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি। মাথা ঘুরাচ্ছে হঠাত করে।

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্টের মাধ্যমে আপনার মাথা ঘুরাতে পারানোটাকে আমি পজিটিভ ভাবেই নিচ্ছি।

৬| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি তথ্য-উপাত্ত দিয়েই তো বিশ্লেষণ করেছেন। উপাত্ত ঠিক থেকে থাকলে আপনার বিশ্লেষণও ঠিক আছে। ৩ নাম্বারে রাস্তাফুলিশের কমেন্টের সাথে একমত। তিনি আপনার পোস্টের সারাংশ করেছেন ২ লাইনে।

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাস্তাফুলিশের কমেন্টের সাথে আমিও একমত। মুসলমান দেশগুলিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে চর্চা কম হয়। কিন্তু সেটার কারণ তো ধর্ম না। আমার পোস্টের উদ্দেশ্য হোল এটাকে প্রতিষ্ঠিত করা। এই দেশের অনেক ছেলেমেয়ে বিদেশে গিয়ে বিজ্ঞান গবেষণায় ভালো করছে। এই দেশে পারছে না কারণ সেই সুযোগ সুবিধা, অবকাঠামো নাই। আমাদের হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল ওনারা নিঃসন্দেহে মেধাবী। মুসলিম মানেই মাথা মোটা এবং বিজ্ঞান বিরোধী এই ধারণা ভুল। এখনও পৃথিবীর অন্তত অর্ধেক বিজ্ঞানী ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। ঈশ্বরে বিশ্বাস তাদের গবেষণার জন্য অন্তরায় হয় নাই।

৭| ১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩১

ঢুকিচেপা বলেছেন: লেখার মূল বিষয়বস্তু খুব ভালভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।

১৮ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ভয় পাচ্ছিলাম তাড়াহুড়ার কারণে কোন ভুল না করে ফেলি। আপনার মন্তব্যে আশ্বস্ত হলাম। ধন্যবাদ ঢুকিচেপা ভাই। ভালো থাকবেন। গান নিয়ে একটা পোস্ট দেন।

৮| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: “গান নিয়ে একটা পোস্ট দেন।”
এটা মিরোরডডল আপুর কাজ, উনি গানের রাণী। বেশ কিছুদিন উনি অনিয়মিত। উনি আসলেই গান পোস্ট চলে আসবে।

১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনিও তো গান ভালো বোঝেন তাই আপনাকে বলেছি। মিরোরডডল আপু মনে হয় চাকরী নিয়ে ব্যস্ত, তাই কিছুটা অনিয়মিত। ভালো থাকবেন।

৯| ১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: ইরান কোন মুসলিম দেশ না।আপনারাই বলেন ওরা মুসলমান না।ওরা আলীকে নবী মানে।সৌদিদেরকেও আপনারা সহী মুসলমান মনে করেন না।আমাদের দেশে বহু পীর,এক পীরের লোকেরা অন্য পীরের লোকদের সঠিক মুসলমান মনে করে না।স্বয়ং আল্লাহ বাহাত্তর ভাগ করে দিয়েছেন,তার ভিতর এক ভাগ সহী মুসলমান।

১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও অনেক দলাদলি। তারপরও সবাই আমরা বাঙালি বা বাংলাদেশী। সব ইরানীই যে ইসলামের বাইরে এমন নাও হতে পারে। কারও মনের খবর আমাদের জানার কথা না। আল্লাহ ৭২ ভাগ না, ৭৩ ভাগের কথা বলেছেন। ৭৩ ভাগ কোনগুলি এটা কেউ জানে না, এটা মানুষকে বলা হয় নাই। তাই মতের মিল না থাকলেই কাফের বলা যাবে না, যদি না প্রকাশ্যে ধর্মের মৌলিক কোন নিয়ম ভঙ্গ করে। যে কোন বড় সংগঠনে দলাদলি হতে পারে।

১০| ১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০৬

সাসুম বলেছেন: আমি অনেক চেস্টা করেও কমেন্ট না করে থাকতে পারছি না। কি এক আজব কস্ট!

আচ্ছা যাই হোক, আপনি কখনো রিসার্স বা ইকোনমিক্স বা স্টাটিস্টিক্স এর ক্ষেত্রে টপ ডাউন বা বটম আপ এই শব্দ দুটো শুনেছেন??

টপ ডাউন হলঃ যেমনঃ বাংলাদেশ জ্ঞান বিজ্ঞানে দুনিয়ার সবার থেকে নীচে অবস্থান করছে । আমাদের নীচে আছে মাত্র ৯ টা দেশ- যেমন সোমালিয়া, নাইজার, বুরুন্ডি, চাঁদ এই ধরণের কয়টা দেশ।

বটম আপ হলঃ বাংলাদেশ জ্ঞান বিজ্ঞানে অন্তত ৯ টা দেশ থেকে এগিয়ে আছে। ঠিক যেমন করে- পত্রিকা গুলো শিরোনাম করে- বাংলাদেশ আরো আগালো পাস্পোর্ট র‍্যাংকিং এ। এখন ৪১ টা দেশে যেতে পারবেন ভিসা ছাড়া। যদিও টপ ডাউন মেথডে দুনিয়ার শেষের দিক থেকে ১ম।

এখন আপনি দুনিয়ার যত ফকির মিস্কিন রে ধরে আনচ্ছেন মুস্লিম বিশ্ব আর বাংলাদেশ যে বটম আপ মেথডে অন্যদের থেকে এগিয়ে সেটা দেখানোর জন্য। আপনি কিন্তু ভুল বা মিথ্যা বলেন নাই একদম। বাট- শিরোনাম আর ডেটা অনেক সময় আসল সমস্যা টা দেখায় না। আপনার যুক্তি টা হল- ১ লিটার পাত্রে ১০ মিলি লিটার পানি আছে । এখন পুরা পাত্র খালি এটা সমস্যা না বাট আপনার সাথে সন্তুষ্টির যায়গা হল- ১০ মিলি পানি।

আমাদের কে পারস্পেক্টিভ চেঞ্জ করতে হবে। এটা না করলে আমরা আমাদের সমস্যা টাই ধরতে পারব না। সমস্যা সমাধানের অন্যতম ১ম উপায় হল- আপনি যে সমস্যার মধ্যে আছেন এটা স্বীকার করা। জ্ঞান বিজ্ঞানের বাংগালি এবং মোসলমান রা শত বছর পিছিয়ে এটা আগে স্বীকার করেন। তারপর সমস্যা সমাধান এর দিকে যেতে পারবেন।।

আপনি একটা যায়গায় দেখিয়েছেন- যারা আগে শুরু করবে তারা এগিয়ে থাকবে। আপনি দেখিয়েছেন ১৯ শতকে নাকি জ্ঞান বিজ্ঞান যাত্রা শুরু করেছে। আপনি কতটা ভুল এই যায়গায় এটা নিজেই বুঝতেছেন না। ১৩০০ শতকের দিকে মুস্লিম জ্ঞান বিজ্ঞানী আর মনীষী রা ছিল জগত বিখ্যত। অটোম্যান রা এসে জ্ঞান বিজ্ঞানের চেয়ে ধর্ম কে গুরুত্ব দিয়ে সালতানাতের স্বপ্নে যখন দুনিয়া জয় করতে লাগল তখন থেকেই পতন শুরু। এর পর আর জ্ঞান বিজ্ঞান ইনোভেশানে মোসলমান রা আগাতে পারে নাই। আমার একটা পোস্ট এ আমি এটা লিখেছিলাম, আপনি যেটাতে মে বি কমেন্ট ও করেছিলেন। বাট এখানে একটা ভুল কথা লিখে দিলেন ১৯ শতক থেকে জ্ঞান বিজ্ঞানে মোসলমান রা আগাতে পারে নাই।

ভারত - পাকিস্তান এর তুলনাঃ মানে সিরিয়াস্লি ভাই?? কোথায় আকাশের তারা আর কোথায় পাছার ফোড়া ! এই মুহুর্তে আইটি , টেক আর বিজনেস ওয়ার্ল্ডে ভারত কে টেক্কা দেয়ার মত দেশ খুব কমই আছে। ভারত এই যায়গায় যদি হয় ইব্রাহিম লোদি পাকিস্তান সেখানে ছাগলের লাদি। শুধু দুনিয়ার টপ ১০০০ কোম্পানির তালিকা দেখেন। তাদের সি ই ও বা টপ এক্সেক বা টপ ইঞ্জিনিয়ার দের তালিকা দেখেন- সেখানে যদি ১০০ ভারতীয় পাওয়া যায় পাবেন ১ টা পাকিস্তানী। এটা আমার মুখের কথা নয়।

তবে হ্যা, ইনোভেশান বা গবেষণায় ভারত বা পাকিস্তান কেউ তেমন আগাতে পারে নাই পশ্চিমা দের মত করে। পাকিদের কথা বলে লাভ নাই। ৭০ -৮০ এর দশকে এটমিক রেভুলেশান এর সময় পরমানু বোমা বানান ছাড়া আর কিছুইতেই কিছু করতে পারে নাই যেটাকে জ্ঞান বিজ্ঞানে আগানো বলা যায়।
আর রিসেন্টলি মানে গত দশক থেকে ভারত গোমূত্র খোর দের দখলে গিয়ে দুনিয়ার বেস্ট গনতান্ত্রিক রাস্ট্র থেকে হিন্দু রাস্ট্র ( ধার্মিকতা মীন করেছি যেটা পতনের কারন ) হয়ে গেছে তাদের পতন আস্তে আস্তে হচ্ছে। ইনশাল্লাহ পাকি আর ভারত দুইটাই জাহান্নামের দিকে যাবে ধর্ম ধর্ম করে।
বাট তাও এই দুইটা দেশ বাঙ্গু ল্যান্ড এর ধার্মিক দের চেয়ে শত গুন ভাল আছে জ্ঞান বিজ্ঞানে এখনো।


এবার আসেন সব চেয়ে হাস্যকর যুক্তিতেঃ আপনার কথা মত বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার ছাত্র যাচ্ছে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য। এখানেও শুভংকর এর ফাকিটা বড়। কতজন যায় আর কতজন ফিরে আসে?? গেলে কি হবে? জ্ঞান বিজ্ঞান আহরণ করে যদি ফিরে না আসে?? ওই যে টপ ডাউন হিসাব না করে বটম আপ হিসেব করছেন। গ্লাস এর তলায় একটু পানি দেখছেন বাট পুরা গ্লাস যে খালি সেটা দেখছেন না।


আপনার পুরা পোস্ট ই কি একদম ভুল দিয়ে ভরা? না

একদম একটা সত্য স্টেটমেন্ট আছেঃ

সেটা হল জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়া রাস্ট্র গুলা সবগুলা উপনিবেশিক রাস্ট্র ছিল। উন্নত রাস্ট্র গুলা জেনোসাইড আর অপ্রেশান এর কারনে সে সব দেশকে পিছিয়ে রেখেছে। হোক সেটা মুস্লিম আর নন মুস্লিম।

উন্নত রাস্ট্র গুলোর লোভ আর অন্যায় এর কারনে এই রাস্ট্র গুলো গরিব আর পেছনে পড়ে আছে। বাট সব উপনিবেশ রাস্ট্র ও কিন্তু একদম পচে যায় নাই আমাদের মত। আম্রিকাও একসময় ব্রিটেন এর আন্ডারে ছিল, অস্ট্রালিয়া নিউজিলেন্ড ও।

ইউরোপের অনেক কান্ট্রি ই কিন্তু অপ্রেশানে ছিল। উত্তরন এর জন্য দরকার সঠিক পরিচালনা, সঠিক সিস্টেম আর মোদ্দা কথা- জ্ঞান বিজ্ঞান আর শিক্ষা কে ধর্মের আগে স্থান দেয়া।

তবে একটা ব্যাতিক্রমঃ ইরান। এই দেশ টা আমার কাছে বিস্ময়। মানুষ একাধারে ধার্মিক আরেক দিকে প্রচুর জ্ঞান বিজ্ঞানে আগানো। আমার বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী কলিগ আছে ইরানের। পি এইচ ডি করা টিচার আছে- খোমেনির অত্যাচারে পালিয়ে এসেছে। সবাই ধার্মিক, মোসলমান কিন্তু ধর্ম কে জ্ঞান এর সাথে যুদ্ধ করায় নাই। দুইটাকে রেখে এগিয়ে গেছে।

যদিও তারা সহীহ মোসলমান না, বরং তারা শিরক কারী মোসলমান আমাদের কাছে। তাদের স্থান কাফের দের ও নীচে দুনিয়ার অন্য মোসলমান দের কাছে।


আর একটা কথাঃ জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষায় মুস্লিম দের পিছিয়ে থাকার কারন ধর্ম বিশ্বাস এবং সেটাতে আকড়ে থাকা। এটা সত্য, এটাই ধ্রুব। আপনি আমি মানি আর না মানি।

কারন আপনি যদি এই মর্মে বিশ্বাস করে বসে থাকেন যে হাতের ইশারায় চাদকে দুই ভাগ করে ফেলা যায় তাহলে আপনি কি করে এস্ট্রোলজি নিয়ে কাজ করবেন?? আপনি শুরু করলেও বেশি দূর আগাতে পারবেন না। কারন আপনার লজিকাল চেরেব্রাল আর সাবকন্সাস মাইন্ডে যুদ্ধ লাগবে। হয় যুক্তি নাইলে বিশ্বাস এই দুই এর যাতাপোড়নে খুব কম ই মুক্তি পায়।

ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি বিশ্বাস না করেন হোমো সেপিয়েন্স রা শুরু হয়েছে সেই এক কোষী আদি প্রাণ থেকে আপনি কি করে জ্ঞান বিজ্ঞান আর ইউনিভার্স এর রহস্য নিয়ে গবেষণা করবেন? কারন আপনি তো জানেন ই এই দুনিয়া ৩ দিনে কুন ইয়া কুন থেকে ক্রিয়েট হয়েছে। আদম আর হাওয়া কে বেহেশ্ত থেকে এই দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে মানুষ হিসেবেই। আপনি এটা মেনে নিয়েই বসে আছেন। আপনার বিশ্বাস তো যুক্তি কে খন্ডন করে দেয়।

একই ভাবে, আপনি কি করে আর কেনই বা দূর গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে প্রাণের সন্ধানে অনুসন্ধান চালাবেন? কারন আপনার বিশ্বাস তো আপনাকে ক্লিয়ারলি বলে দিয়েছে- এই দুনিয়া ছাড়া আর কোথাও প্রাণের সন্ধান নেই।

আপনি কি করে আলো র চেয়ে দ্রুত গতিতে কিছু চলা সম্ভব নয় এটা বিলিভ করবেন কারন আপনার বিশ্বাস তো আপনাকে বলে কোন ধরনের অক্সিজেন ছাড়াই বোরাকে করে ন্যানো সেকেন্ডের কম সময়ে মিলিয়ন মাইল পারি দিয়ে স্রষ্টার সাথে মোলাকাত এবং আরো অনেক ঘটনার পরেও ফিরে আসা যায়।

আপনি যদি বিশ্বাস করেন- নারীর এক্মাত্র কাজ সন্তান জন্ম দেয়া আর ৪ স্ত্রীর একজন হয়ে স্বামীর সেবা করা আপনি কি করে হিউমান রাইটস, জেন্ডার ইকুয়ালিটি তে বিলিভ করবেন? আপনি বিলিভ করেন নারীকে ঋতুবতী হলেও বিয়ে দিয়ে দাও, আপনি কি করে নারীর সাথে মহাবিশ্বের গঠন নিয়ে একই ল্যাব কে গবেষণা করবেন? আপনি বিলিভ করেন- নারীকে হারামে বন্দী করে রাখাই একমাত্র সমাধান, আপনি বিলিভ করেন নারীর স্থান জাহান্নামের সর্ব নিন্ম স্তরে আপনি কি করে মানব সমাজের অন্যতম পার্ট বেটার হাফ কে সাথে নিয়ে আগাবেন?

এই যে বিশ্বাস আর লজিক এর দ্বন্দ্ব এটাই আসল সমস্যা। আমি বার বার বলতে চাই, বিশ্বাস কে বিশ্বাস এর যায়গায় রেখে জ্ঞান বিজ্ঞানে আগান। আসল সমস্যা হল, বিশ্বাস কে আকড়ে ধরে থাকলে আর আগাতে পারে না। এটাই মুস্লিম দের পিছিয়ে পড়ার কারন। এটা শুধু মুস্লিম দের সমস্যা না, সকল ধার্মিক দের সমস্যা। তবে মোসলমান দের মধ্যে প্রকট। আমার গত এক পোস্টে দেখিয়েছিলাম যে দেশে ধার্মিক সব চেয়ে বেশি সে দেশ তত পেছনে।

কাজী নজ্রুলের ভাষায় বলতে হয়-
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে/ বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে।

১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে বলেছি। প্রসঙ্গ ক্রমে বাংলাদেশও এসেছে। বাংলাদেশ সহ অনেক মুসলিম প্রধান দেশই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে এটা আমি লেখার শুরুতেই বলেছি। কিন্তু আমি বলতে চেয়েছি যে এটার কারন ধর্ম না। পৃথিবীর ইতিহাসে বিজ্ঞান সবচেয়ে দ্রুত এগিয়েছে ১৮০০ বা ১৯০০ শতকে। এর আগে গতি ধীর ছিল। মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভারত আর পাকিস্তান কাছাকাছি। প্রজুক্তি আর বিজ্ঞান বলতে শুধু আইটি বুঝায় না। সার্বিক বিবেচনায় পাকিস্তান ভারত থেকে খুব দূরে না। ভারত পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুণ ব্যয় করে গবেষণায় ( জিডিপির % ভিত্তিতে)। সিইও হলে সে বিজ্ঞানের লোক না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। সাধারনত বিজনেস নিয়ে যারা পড়ে এরা সিইও হয়। এখানে বিজনেস নিয়ে আলাপ হচ্ছে না। ভারতীয়দের বেশি সিইও হয়ার কারন বিজ্ঞানের অগ্রসরতা না। ব্যবসা প্রশাশনে যাদের দক্ষতা বেশি থাকে তারাই সিইও হওয়ার জন্য বেশি উপযুক্ত। যেহেতু তাদের সিইও বেশি এই কারনে বহুজাতিক কম্পানিতে ভারতীয়রা সুযোগ পাচ্ছে বেশি।

বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞানের ছাত্ররা যারা বিদেশে যায় তাদের খুব কমই ফিরে আসে। প্রশ্নটা ফিরে আসার না। প্রশ্ন হল মুসলমানরা বিজ্ঞান পড়ছে কি না। পৃথিবীর যে দেশে গিয়েই পড়ুক সে মুসলমান কি না এটাই বিবেচ্ছ বিষয়। সে বাঙালি কি না এটাও দেখার দরকার নাই। আমি বাংলাদেশ না বরং সারা পৃথিবীর মুসলমানদের কথা বলছি। মুসলমানরা এক জাতি।

আমেরিকা, অস্ত্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের উপনিবেশকে এক করলে ভুল করা হবে। আমেরিকাতে যারা দখলদার বহিরাগত তারাই জনসংখ্যার সংখ্যাগুরু ছিল। ফলে সেখানে শোষণ ভারতের মত হয় নাই। রেড ইন্দিয়ানের শতকরা হার কয়জন। ভারতে এর বিপরিত চিত্র ছিল। ফলে শোষণটাই মুখ্য ছিল।

আপনাকে আমি তথ্য উপাত্ত দিতে পারবো যে এখনও প্রায় ৫০% বিজ্ঞানি ঈশ্বর বা অনুরুপ মহাশক্তিতে বিশ্বাস করে। এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। এই বিশ্বাসের কারনে তাদের বিজ্ঞান চর্চা ব্যাহত হয়নি। তারা এই দুইটার মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে নিয়েছে।

সৃষ্টিকর্তা যদি এই মহাবিশ্বের অগণিত গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে তিনি চাঁদকেও দ্বিখণ্ডিত করতে পারে। চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করার কথা কোরআনে আছে। এটা হাদিসেও আছে। জ্যোতির্বিজ্ঞান বলেন আর বিজ্ঞানের অন্য শাঁখাগুলির কথাই বলেন বিজ্ঞানকে আরও বহু রাস্তা জেতে হবে। বিজ্ঞানের বহু থিউরি পরবর্তীতে বাতিল হয়েছে বা সংশোধিত হয়েছে। তাই বিজ্ঞান আজকে একরকম বলার পর কালকে আরেক রকম বলতে পারে।

আল্লাহ চাইলে অন্য প্রজাতির সাথে মিল রেখেও মানুষকে বেহেশত থেকে দুনিয়াতে পাঠাতে পারেন। আল্লাহর সামর্থ্য সম্পর্কে আপনাকে উঁচু ধারনা রাখতে হবে।

এই দুনিয়া ছাড়া কোথাও প্রানের সন্ধান নেই এই কথা কোরআন বা হাদিসে নেই। বরং আল্লাহর ফেরেশতারা আছেন আসমানে। জিনরাও পৃথিবী ও তার বাইরে সহজে বিচরণ করতে পারে। মহাশূন্যে মানুষ চেষ্টা করলে যেতে পারবে এমন কথা কোরআনে আছে।

আলোর গতির উপর এই Click This Link লিঙ্কটা দেখতে পারেন। বিজ্ঞানিরা একটু ভিন্ন রকম সম্ভবনার কথা বলছেন। তারা বলতে চাচ্ছেন যে একটা পারতিকেল ভ্যাকুয়ামে আলোর চেয়ে বেশি গতিশিল হতে পারে না। কিন্তু কোন মাধ্যম থাকলে ব্যতিক্রম হতে পারে। আর এই কথা শুধু পারতিকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বস্তু শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে শক্তিও বস্তুতে রুপান্তরিত হতে পারে। Čerenkov radiation characteristically appears as a blue glow, and gets emitted whenever a charged particle travels faster than light in a particular medium. It's most commonly seen, as above, in the water surrounding nuclear reactors. The reactions inside cause the emission of high-energy particles that move faster than light in water, but substantial amounts of water surround the reactor in order to shield the external environment from the harmful emission of radiation.

মহাশূন্যে মানুষ যদি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে পারে আল্লাহ কেন পারবে না। পুরুশ ও নারীর শারীরিক ও মানসিক গঠন অনুযায়ী আল্লাহ তাদের কাজ ভাগ করে দিয়েছেন। তবে ব্যতিক্রমও আছেন অনেক ক্ষেত্রে। এটা নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলাপ করা যায়। এখানে সম্ভব না। নারীকে কখন বিয়ে দিতে হবে এটা তার অভিভাবকের চেয়ে অন্যদের বেশি বোঝার দরকার নাই। ইসলামে অভিভাবককেই এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নারীকে বন্দি করে রাখতে হবে এমন কোন কথা নাই। আপনি অতি রঞ্জিত করে অনেক কিছু বলছেন। নারি জাহান্নামের সর্ব নিম্ন স্তরে থাকবে এটার কোন দলিল নাই। কাজী নজরুল ইসলাম নিজেই ধর্ম ভাল করে মানতেন না। ধর্মীয় ব্যাপারে তার কথার কোন মূল্য নাই। আপনি কোন ভাল যুক্তি দেখাতে পারেন নাই যার দ্বারা প্রমানিত হয় যে ধর্মের কারনে মুসলমানরা পিছিয়ে আছে। পিছিয়ে থাকার কারনগুলি ধর্ম সংক্রান্ত না। কারনগুলি মধ্যে আছে গবেষণা বাজেট, রাষ্ট্র পরিচালকদের বিজ্ঞানের গুরুত্ত বুঝতে না পারা, বিজ্ঞান চর্চার অবকাঠামোর অভাব ইত্তাদি। প্রথম সারীর না হলেও বহু মুসলমান বিজ্ঞানি আছেন। নোবেল প্রাইজ পাওয়া মুসলমান বিজ্ঞানিও আছেন। ধর্ম যদি কারন হত তাহলে এরা বিজ্ঞানে ভাল করতেন না।

১১| ১৯ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

জলকামান বলেছেন: ইসলাম ধর্ম মসজিদ আর মাদ্রাসা বানাতে উৎসাহ করে। কোরান তিলাওয়াত করতে বলে।
তাহলে মানুষ কেন বিজ্ঞানচর্চা করবে,তারা কোরান থেকে বিজ্ঞান বের করতে আগ্রহী।

১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে প্রিয় নবী (সা.) বর্ণনা করেন, “প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ” ইবনে মাজাহ। বিজ্ঞানের বিষয়ে কোরআনে বহু আয়াত আছে। আয়াতগুলি কি পড়েছেন? বিজ্ঞান চর্চা করতে নিষেধ করা হয় নাই। মাদরাসা মসজিদ দরকার আছে। আরবিতে স্কুলকে মাদরাসা বলে। স্কুলের দরকার নাই এই কথা দয়া করিয়া বলবেন না। বলতে পারেন যে মাদরাসার পাঠ্যসূচির উন্নয়ন প্রয়োজন। মসজিদ না থাকলে আপনার আমার মত মুসুল্লিরা নামাজ কোথায় পড়বেন। কোরআন বিজ্ঞানের মুখাপেক্ষী না। বিজ্ঞানের বহু রাস্তা আরও যাওয়ার বাকি আছে। গেলিলিও কে সবার সামনে বলতে হয়েছিল যে পৃথিবীর চারিদিকে সূর্য ঘোরে কারন তৎকালীন বাইবেল ও সাধারন বিজ্ঞান তাই বিশ্বাস করত। বিজ্ঞানের বহু থিউরি বাতিল হয়েছে বা সংশোধিত হয়েছে।

১২| ১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন। ++++++++

১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি বুঝতে না চাইলে আপনি আমাকে বুঝাতে পারবেন না। ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব থাকলে সব কিছুতেই ইসলামের দোষ খুঁজে পাওয়া যায়।

১৩| ১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:১৬

সাসুম বলেছেন: বিজ্ঞান নিয়ে এমন গাজাখুরি ধারনা ৫ বছর আগে নাহিদ ড্রেইন নামে এক কলা বিজ্ঞানী থেকে দেখেছিলাম বাংলাদেশীজম পেইজ থেকে।

আপনি যদি বিলিভ করেই বসেন সব কিছু উপরয়ালা দিয়েছে তাহলে তো আর কিছু করার নেই।

এই দেখেন মোসলমান দের সাথে বা ধার্মিক দের সাথে জ্ঞান বিজ্ঞানের ঝামেলা টা কই।

আপ্নি আল্লাহ সম্পর্কে অতি উচ্চ ধারনা করতে বলেছেন বাট বিজ্ঞান বলে যুক্তি ছাড়া প্রমান ছাড়া কোন ধারনা করতে নেই। আপনার কথা অনুযায়ী পুরুষ আর নারীর আলাদা আলাদা কাজ আল্লাহ ভাগ করে দিয়েছেন। কিন্তু আসলে কে কি করবে এটা কেউ ভাগ করে দেয় না।

আপনি বলছেন, নারীকে অল্প বয়সে বিয়া দিতে অভিভাবক দের বলা হয়েছে, বাট একজন পুরুষ আর একজন নারী কবে বিয়া করবে বা করবে কিনা আদৌ এটা একমাত্র তার ব্যাপার!

আপনি বার বার বলছেন ধার্মিক প্রচুর বিজ্ঞানী আছে।

আপনি আমাকে বেশ কিছু এস্ট্রোলজিস্ট দেখাইয়েন তো যারা চাদকে হাতের ইশারায় দুই ভাগ করা কিংবা হুট করে বেহেশত থেকে মানুষ এর এই দুনিয়াতে আসা কিংবা যে সব বিজ্ঞানী রা বিলিভ করে পুরুষ নারীর চেয়ে সব দিক থেকে সুপিরিয়র্স।

আমার জানা নেই কোন এরকম এস এল ডি খাওয়া বিজ্ঞানীর সাথে। আপনার থেকে জানতে পারব তাহলে।

বিঃদ্রঃ দয়া করে প্যারাটক্সিকাল মজিদ এর লেখক জ্ঞানের জনি সিন্স আরিফ আজাদ এর বই পড়তে বলবেন না।


বিঃদ্রঃ ২- একজন ফিজিসিস্ট হিসেবে আলোর বেগ এর ব্যাখ্যা আর বস্তু থেকে শক্তির কাজকারবার জেনে গত ১৫ বছরের পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া কে বস্তায় ভরে মারিয়ানা ট্রেঞ্চে ফেলে দিয়ে ৩ চিল্লায় চলে যেতে মন চাইতাছে

১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এখন বিজ্ঞানের ছাত্র না তারপরও ব্লগের জ্ঞানীদের জন্য আলোর বেগের উপর একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে তাদের অনুমতি ছাড়া দেয়া যায় না। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন নিয়েও একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে জ্ঞানী লোকদের জন্য। বিজ্ঞান যুক্তি প্রমান দিয়ে বিশ্বাস করে তারপরও বারবার সংশোধিত হয়। আগে শুনতাম ইথার নামে কি যেন একটা আছে। এখন বিজ্ঞান বলে যে ইথার বলে কিছু নাই। এরকম আরও অনেক উদাহরন আছে।

Ether, also spelled aether, also called luminiferous ether, in physics, a theoretical universal substance believed during the 19th century to act as the medium for transmission of electromagnetic waves (e.g., light and X-rays), much as sound waves are transmitted by elastic media such as air. The ether was assumed to be weightless, transparent, frictionless, undetectable chemically or physically, and literally permeating all matter and space. The theory met with increasing difficulties as the nature of light and the structure of matter became better understood. It was seriously weakened (1887) by the Michelson-Morley experiment, which was designed specifically to detect the motion of Earth through the ether and which showed that there was no such effect. (Ether theories were also used to explain gravity beginning in the 17th century, but they did not have the popularity of those explaining the propagation of light.)

With the formulation of the special theory of relativity by Albert Einstein in 1905 and its acceptance by scientists generally, the ether hypothesis was abandoned as being unnecessary in terms of Einstein’s assumption that the speed of light, or any electromagnetic wave, is a universal constant.

১৪| ১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫০

সাসুম বলেছেন: ইন্টার ফেইল বিজ্ঞানী আরিফ আজাদ জ্ঞান বিজ্ঞানের জনি সিন্স হয়ে দুনিয়ার সকল কিছু নিয়ে ইস্লামিক বই লিখতে পারলে, হিরুইঞ্চি নাহিদ ড্রেইন জীবনে বইএর পাতা না উল্টাইয়া বিং ব্যাং থিউরি নিয়ে ভিডিও বানাইতে পারলে আপনি কেন আলোর বেগ নিয়ে বই / ব্লগ লিখতে পারবেন না??
এবং, আপনার সেই লিখা ব্লগে সুপার হিট ও হবে।

বিঃদ্রঃ চেতনা বিজনেস ম্যান ধান্দাবাজ বেওয়ারিশ আজাদ নাফি একবার কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আর সেটার সাথে মিলিয়ে জিন ভুত এর অস্তিত্ব নিয়ে বই লিখার ঘোষনা দিয়েছিল ফেসবুকে।

১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ইথার প্রসঙ্গ মনে হয় ইচ্ছা করে এড়িয়ে গেলেন। কারণ বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল এবং বিজ্ঞান এখনও শিক্ষানবিশ। দোয়া করেন আমার লেখা যেন সুপার হিট হয়। ফিসিসিস্টরা সোবাহানাল্লাহ যখন বলে দোয়াও করে নিশ্চয়।

১৫| ১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:১১

সাসুম বলেছেন: বিজ্ঞান ভাইরাল আর সুপারহিট লেখা দিয়ে নিজেকে চালায় না। বিজ্ঞান চলে যুক্তি দিয়ে। রিজনিং দিয়ে।

ইথার, ক্যালরি এইসব পুরান হিসাব। এগুলা বিজ্ঞানের সিলি বিষয়। বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল। যখন এসে দেখেছে বা নতুন করে প্রমান পেয়েছে পুরাতন ধারনা ভুল তখন নতুন ধারনা কে গ্রহন করেছে আর পুরাতন কে বাতিল করেছে।

তবে আপনার বিলিভ আর বিজ্ঞানের সাথে পার্থক্য হলো - বিজ্ঞান নতুন ধারনার প্রমান পাওয়ার পর পুরাতন ধারনা কে বাতিল করে। কিন্তু আজগুবি মিথে বিলিভ করেনা। বিজ্ঞানের পুরাতন হোক আর নতুন হোক যে কোন যুক্তির পেছনে রিজনিং আর যুক্তি থাকে।

ধর্ম বা মিথের সমস্যা হল- কোন যুক্তি বা এক্সপ্লেনেশান নেই। হাজার হাজার যুক্তি দিলেও তালগাছ ধার্মিক এর।

যেমন এই মুহুর্তে বিজ্ঞানের থিউরি এর মাঝে সবচেয়ে প্রমানিত থিউরি হল ন্যাচারাল সিলেকশান বা বিবর্তন বাদ।

আপনি প্যারা মজিদ এর এই কথা বলুন। দেখেন কি হয়। তাদের কাছে যুক্তির কোন দাম নেই।


দোয়া বা বদ্দোয়া তে কিছু হয়না। যদি হত মুস্লিম জাহানের সকল মানুষের বদ্দোয়া তে এতদিন আম্রিকা ইহুদি জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যেত।

বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের বদ্দোয়াতে মাফিয়া রাস্ট্রের মাফিয়ারাও জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যেত।

দোয়া এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন কর্ম।

১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তারপরও দোয়া করেন এই কামনা করছি। বিজ্ঞানের অবস্থান যে পরিবর্তন হয় এটা স্বীকার করার জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

এভো বলেছেন: শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় অপইসলাম যত বড় বাধা, অন্য ধর্ম গুলো অতখানি বাধা নহে। জি কিছু অমুসলিম দেশ পিছিয়ে আছে, এর জন্য বাধা ধর্ম নহে অন্য কিছু কিন্তু সব মুসলিম দেশ গুলোকে শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারের জন্য ধর্মের সাথে মাল্য যুদ্ধ করতে হয়।

১৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে জ্ঞান বিজ্ঞান বিস্তারে কোন মৌলবি বাঁধা দিচ্ছে বলে আপনি মনে করেন।

১৭| ১৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

সাসুম বলেছেন: আল্লামা কফি নামের এক ইসলাম প্রচারক ভদ্রলোক সরাসরি নারী শিক্ষার বিরোধিতা করেছেন। ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন ফতোয়া ও হাদিস উল্লেখ করে কর্মজীবী নারীদের কে জেনা কারী বা বেশ্যা মাগী উপাধি দিয়েছেন। মেয়েদের ক্লাস ফাইভ বা পিরিয়ড শুরু মাত্রই পেডোফাইল দের হাতে তুলে দিয়ে বিয়ে দিতে বলেছেন।

সমাজের ৫০% মানুষ নারী। তাদের কে যে ধর্ম এভাবে দমিয়ে রাখে তারা কিভাবে জ্ঞান বিজ্ঞানে সব মুস্লিম কে আগ্রহী করছে বলে মনে করেন?

আর কোন দেশ এভাবে শিক্ষার বিরোধিতা করে? নাইজেরিয়ার বোকো হারাম - স্কুল হোস্টেল থেকে মেয়েদের তুলে নিয়ে যায় সেক্স স্লেভ বা দাসী বান্দী বানানোর জন্য।

আফগানিস্তানের ও বাংগু মোসল্মান দের পবিত্র ভূমি পাকিস্তানে তালেবান রা মেয়েদের গুলি করে ও স্কুলে বোমা মেরে ধর্ম জিহাদ করে।

সোমালিয়াতে মেয়েদের কে তুলে নিয়ে যায়।

সিরিয়ায় আইসিস সেম কাজ করে। মেয়েদের কে তুলে নিয়ে দাসী বানায়।

ডাইরেক্টলি জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষায় বাধা দেয় না হুজুর রা বাট সমাজের এক্টা পার্ট ( ৫০%) কে খুন করে রেপ করে ভয় দেখিয়ে ফতোয়া দিয়ে শিক্ষা জ্ঞান।বিজ্ঞান থেকে দূরে রাখে একমাত্র ইসলাম ধর্মের প্রচারক রাই।

আর বাকি পুরুষ অংশ টাকে ব্রেইনোয়াশ করে প্যারাটিক্সিকাল মজিদ দের দিয়ে।


এবার আমাকে বলুন দুনিয়ার কোন ধর্মে এভাবে শিক্ষা আর জ্ঞান আহরন থেকে তার স্বজাতি কে এভাবে দূরে রাখা হয়??

১৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি নারীদেরকে বাঁধা দেয়ার কথা বলছেন। ধর্মীয় নিয়ম মেনে মেয়েরা বিজ্ঞান বিষয়েও পড়াশুনা করতে পারবে যদি উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। ইসলামী দেশগুলিতেও মেয়েদের লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ নাই। আর অমুসলিম দেশগুলিতে তো থাকার প্রশ্নই ওঠে না। কাজেই মেয়েদেরকে শিক্ষাঙ্গনে পাঠানোর আগে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

১৮| ১৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

আমি নই বলেছেন: আমার ক্যান জানি মনে হয় ঐ ব্যাক্তি মুসলিমও না, বাংলাদেশিও না। কোনো মুসলিম জীবনেও মুসলিম শব্দটিকে "মোসলমান" লিখবেনা আর নিজের দেশের নাম কেউ ব্যঙ্গাত্মক শব্দে লিখবে এটাও পসিবল না। সে ইচ্ছা করেই ক্যাচাল করার জন্যে আক্রমান্তক ভাবে তার পোষ্টগুলো দিচ্ছে। তবে আপনি কুকুরের পায়ে কামর না দিয়ে খুব সুন্দরভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যা খুবই ভালো হয়েছে । ঐ ব্যাক্তির মন্তব্যর প্রতিউত্তর গুলোও সুন্দর হয়েছে।

ভাল থাকবেন।


১৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খোলা মনে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষ মনের মধ্যে থাকলে তাকে বুঝানো কঠিন। পৃথিবীতে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী সব সময়ই ছিল। কিন্তু উভয়ের একে অপরের প্রতি সহনশীল আচরণ করা জরুরী। এখনও পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ আস্তিক। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১৯| ১৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

এভো বলেছেন: বাংলাদেশে জ্ঞান বিজ্ঞান বিস্তারে কোন মৌলবি বাঁধা দিচ্ছে বলে আপনি ম, নে করেন।

---------------
আছে, পাঠ্য পুস্তক থেকে অমুসলিমদের লিখা দিতে বাধ্য করা, ডারউইনের মতবাদ বাদ দেওয়া পাঠ্য হতে। গান বাজনা সহ যে কোন আধুনিক বিষয়কে হারাম ফতুয়া দেওয়া। প্রতিটি বিষয়কে ক্রমাগত বাধা দেওয়া।

১৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাঠ্য পুস্তকে যে কোন ধর্মের কোন বিশ্বাস জনিত কিছু যেন না থাকে এটা নিশ্চিত করা উচিত। কারণ এই দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাস করে। হিন্দু বা ইসলাম কোন ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস সংক্রান্ত কোন কথা বাংলা বা ইংরেজি সাহিত্যের বইয়ে থাকা উচিত না। ধর্ম বই আলাদা করে সেখানে ধর্মীয় বিধিবিধান শেখানো যেতে পারে। বিজ্ঞানে অনেক থিউরিই পরবর্তীতে পরিবর্তন হয়েছে বা বাতিল হয়েছে। ডারউইনের থিউরি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ানো উচিত কারণ অল্প পরিসরে এটাকে বিশ্লেষণ করা সম্ভব না। শিশুদের বিভ্রান্ত করার সম্ভবনা আছে। ধর্মে গান বাজনা হারাম করা হয়েছে বলেই হুজুররা এটার বিরোধিতা করেন। তাদের কাজ তারা তো করবেনই। এই দেশে অনেক ধর্ম বিরোধী কাজ হচ্ছে যেগুলি শুধু ধর্ম বিরোধী না এমনকি নৈতিকতা বিরোধী।

২০| ১৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০১

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @আমি নই-এর সঙ্গে একমত, মুসলিম যে নয়, তা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না। তারপরও শব্দচয়ন ভালো হলে সুস্থ আলোচনা হতে পারে। কিন্তু যাদের মুখ খারাপ (পরীমনি ইস্যুতে প্রমাণিত) আর উল্টাপাল্টা কথা বলে নিজেই নিজের কথিতশিক্ষার লেভেল ও যুক্তিকে হাস্যাস্পদ করে তোলে, তাদের আলোচনার উদ্দেশ্য ভিন্ন, অসৎ।

২১| ১৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

সাসুম বলেছেন: সাড়ে ৭৪, আপনার সাথে কথা বলে কিছুটা আনন্দ পাওয়া যায় কারন আপনি পড়াশুনা করেই কথা বলেন। যদিও একটা যায়গায় গিয়ে যুক্তি আর বিলিভ এ এসে যুক্তি কে বাদ দিয়ে দেন তাও অন্তত সে যায়গা পর্যন্ত যান। যদিও তেব্র ধর্মিয় আদর্শের কারনে অন্য সবার মত জ্ঞান ভার্সাস ধর্ম তে এসে ধর্ম কে অন্ধ ভাবে বেছে নেন, তাও আপনার বড় গুণ হল অন্তত পড়ে দেখেন কি লিখা আছে। মানেন আর না মানেন। এই জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

কিন্তু বাকি ছাগল দের সমস্যা হল, তাদের জ্ঞান জোকার নায়েক আর প্যাড়াটক্সিকাল মজিদ পর্যন্ত। তারা হল ফেসবুকের কমেন্ট বক্সের খানকে মাগে ওরনা কই এর দল।

এই সব ধর্মান্ধ জোকার রা যখন এসে জ্ঞান দেয় আর গালিগালাজ করে তখন আর কথা বলার আগ্রহ থাকেনা।

কিন্তু যেহেতু এই সব ছাগলের দল আপনার ধর্ম কে ডিফেন্ড করে আপ্নিও তাদের কে লাই দেন।

এই সব কারনে বিরক্ত হয়েই আলোচনা বাদ দিতে হয়। কারন ছাগলের সাথে তর্কে যেতে নেই, ছাগল আপনাকে তার লেভেলে নামিয়ে আনবেই।

১৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আশা করবো কেউ আমরা কাউকে আক্রমন করে কিছু বলবো না। আলোচনা হবে যুক্তি নির্ভর। এখানে আমরা কেউ কাউকে চিনি না। তাই অচেনা মানুষের সাথে খারাপ আচরণ কেউ আমরা করবো না। আল্লাহর উপর বিশ্বাসকে পৃথিবীর মানুষের যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা যায় না। তারপরও পৃথিবীতে অনেক আস্তিক যেমন আছে তেমন অনেক নাস্তিক আছে। উভয় দল একে অন্যের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করবে এটাই কামনা করি। আমার একজন এক্স কলিগ ছিলেন যিনি নাস্তিক ছিলেন। ওনার সাথে আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধর্ম ও নাস্তিকতা নিয়ে আড্ডা দিতাম। কিন্তু আমাদের দুইজনের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক ছিল এবং এখনও আছে। এই সব ফিলসফিকাল বিষয় নিয়ে আমি সম্পর্ক নষ্ট করতে চাই না। তবে যুক্তি পূর্ণ আলোচনা করতে কোন সমস্যা নাই। আমাদের কারোরই উগ্রতাপূর্ণ আচরণ করা ঠিক হবে না। বল্গে আসি আনন্দের জন্য ও জ্ঞানার্জনের জন্য। ভালো থাকবেন।

২২| ১৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঈশ্বরকণা বলেছেন: মডারেটর সাহেব,
আপনার মন্তব্য কিন্তু আশা করছি আমি একটা পুনঃআবির্ভুত ব্লগীয় উৎপাত সম্পর্কে। ব্লগে তো আর আমরা আয় উপার্জনের জন্য আসি না, এখানে আসি একটু শখের কারণে ।সেখানে নোংরামি খুব বিরক্ত লাগে । আপনি যদি এব্যাপারে নীরব থাকেন তাহলে বেশ বিপন্ন বোধ করি । আমার ব্যক্তিগত মত হলো আট বছর ব্লগিং করার পরেও কেউ যদি ব্লগিং এটিকেট শিখতে না পারে তাহলে সেই গরু কুরবানী দিয়ে দেয়াই ভালো। আপনি কি ভবছেন সেটা বললে ভালো হয়। তাহলে আমিও একটু বুঝতে পারি আমার ব্লগিং বাদ দেবার সময় হয়েছে কিনা ।

২৩| ১৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

ঈশ্বরকণা বলেছেন: @এস এম মামুন অর রশীদ,
আপনার সাথে আমিও এক মত । কিছু ব্লগারের ভাষা প্রয়োগ দেখে এদের ব্লগীয় নমশূদ্র ভাবাই যায় । এদের সাথে ব্লগিং করতে হয় সেটা ভাবলেও ব্লগিংয়ের ইচ্ছেটা চলে যেতে চায় । আমি আশা করে আছি মডারেটর সাহেব কিছু বলবেন এই ভাষাগত নোংরামি নিয়ে।

২৪| ১৯ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাসুম বলেছেন: ঈশ্বরকণা@

সমস্যা নাই। চইলা যাই। ডাক দেন বল্গ এর মালিক কে।

প্যারাটক্সিকাল মজিদ দের অত্যাচারে সবাই ভাগছে। এখন আছেন খালি আপ্নারা। আপ্নাগো অত্যাচারে কেউ টিকতে পারেনা। পারেনাই। এখন ব্লগে এই কারনে ব্লগার নাই। আছে প্যারা ছাগু রা।

হুট করে কয়দিন আইসা দেখলাম বল্গ ও এখন খানকে মাগে ওড়না কই কমেন্ট কারীদের দখলে।

২৫| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪১

এভো বলেছেন: ভাই অপ ইসলাম চর্চাকারি কাটমোল্লা শ্রেণীর মত শিক্ষা সংস্কৃতি প্রগতি জ্ঞান বিজ্ঞান ইত্যাদিকে বাধা দানকারি চক্রের মত, কোন চক্র, অন্য কোন ধর্মের মানুষের মধ্যে দেখাতে পারবেন ? মধ্য যুগে দেখাতে পারবেন কিন্তু বর্তমান যুগে নহে ।
ধরুন করোনা ভাইরাসের প্রসংগ , এটা একটা মরণ ব্যধি এবং এটাকে প্রতিহত করা জরুরি , তখন মোল্লারা কি বলা শুরু কোরলো
১) চীন মুসলমানদের উপর অত্যাচার করেছে , তাই তাদের উপর আল্লাহর গজব নেমেছে ,
২) করোনায় কোন মুসলমান মারা যাবে না
৩) করোনা অমুসলিমের উপর গজব এবং মুসলমানদের উপর পরীক্ষা
৪) সংক্রমণ ব্যধি বলে কিছু নেই , তাই লকডাউন করার প্রয়োজন নেই ।
৫) মসজিদের নামাজ বন্ধ করা যাবে না, আল্লাহর ঘরে করোনা প্রবেশ করবে না
৬) মাস্ক পোরবেন না , সেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুবেন না ।
৭) মুসলমানদের করোনা হবে না , হলে কোরান মিথ্যা হয়ে যাবে

এই সমস্ত মাওলানাদের লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার এবং এরা সমাজের বড় অংশকে প্রভাবিত করে । এই সব লোক গুলোর কি কোন প্রয়োজন ছিল এই মরণ ব্যাধির বিস্তার প্রতিরোধের রুল গুলোর বিরুদ্ধে দাড়ানোর ?
অন্য কোন ধর্মের মানুষদের দেখাতে পারবেন প্রতিরোধের বিপক্ষে অবস্থান নিতে ?
এই ভাবে কাট শ্রেণী প্রতিটি বিষয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করছে যার কারনে যতই সম্পদ থাকুক না কেন,কোন মুসলিম দেশ আগাতে পারছে না ।
তুরস্কা এবং মালোয়েশিয়ার উদাহরন টেনেছেন । তুরস্কে এরদোগান আসার আগে কাটমোল্লা শ্রেণীরা মাটির নীচে ছিল তাই তারা এগিয়েছে এবং মালোয়েশিয়াতে অর্থনীতি সম্পুর্ণ চাইনিজদের হাতে এবং কাটমোল্লা শ্রেণীর প্রভাব নাই বল্লেই চলে ।

অমুসলিম যে সমস্ত দেশ জ্ঞান বিজ্ঞান শিক্ষা ইত্যাদিতে পিছিয়ে আছে সেগুলোর কারন ধর্মীর পুরহিত শ্রেণীর প্রতিবন্ধকতা নহে । যুদ্ধ বিগ্রহ , সম্পদহীনতা , রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি।
ধন্যবাদ

২০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দেশে মওলানাদের কোন ক্ষমতা নেই। ক্ষমতা থাকলে শাপলা চত্বরে এরা জয়ী হতো। দুই এক মাস আগেও মামুনুলদের এই অবস্থা হতো না। সরকারের কাছে এরা হাতের পুতুল। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নাই। দেশে ইসলাম বিরোধী বহু কিছুই হচ্ছে ( সুদ, মদ, পতিতা বৃত্তি, জুয়া, ঘুষ ইত্যাদি)। মওলানারা এই দেশে যদি প্রভাবশালী হতো তাহলে তারা এগুলি বন্ধ করতে সক্ষম হত। আপনারা ভালো ডাক্তারের পরামর্শ বাদ দিয়ে হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শের দিকে কান দিচ্ছেন বেশী। এই দেশের অনেক স্বল্প শিক্ষিত তথা কথিত আলেম করোনা সম্পর্কে কি বলেছে সেটা শুনছেন কিন্তু মুসলমানদের হেড কোয়ার্টার মক্কার আলেমরা এই ব্যাপারে কি বলছে বা করছে সেটার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেন না। আমাদের দেশের প্রখ্যাত আলেমদের পরামর্শেই মসজিদে নামাজে করোনার জন্য বিশেষ বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এগুলি বাদ দিয়ে কোন আধা মোল্লা কি বলল সেটা আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। এদেশের মাওলানাদের শিক্ষা সংস্কৃতিতে বাঁধা দেয়ার কোন কার্যকরী ক্ষমতা নেই। এরা চেষ্টা করলেও কখনই সফল হয়নি। বাংলাদেশ ইসলামি নিয়ম নীতির ধারে কাছেও নেই। ইসলাম বিরোধী কি এখানে নেই। যেমন সুদ, ঘুষ, মদ, পতিতাবৃত্তি, জুয়া, অশ্লীল সিনেমা, পর্ণগ্রাফি, ব্যভিচার, মাজার পূজা, সমকামিতা, লিভ টুগেদার। আরও অনেক উদাহরন দেয়া যায়। এই দেশ ইসলামি আইনে চলে না। পৃথিবীতে দুই বা একটি দেশ ছাড়া কোন দেশে ইসলামি আইন কার্যকর নাই ( যেখানে আছে সেখানেও নিরপেক্ষভাবে কার্যকর না। অনেক দ্বৈত নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা আছে। ইরানে থাকতে পারে )।

আরেকটা ব্যাপার হোল করোনা নিয়ে অনেক উন্নত দেশের নাগরিকদেরও অবহেলা আছে। ইউরোপ, আমেরিকায় অনেক লোক বিক্ষোভ করেছে যে তারা লক ডাউন চায় না, মাস্ক পড়বে না। তাই করোনা নিয়ে কিছু সমস্যা অনেক দেশেই আছে।

কিছু স্বল্প জ্ঞানী তথা কথিত আলেমকে কিছু সরল ও নির্বোধ মানুষ হয়ত অনুসরণ করছে। মানুষ যদি আসল ছেড়ে নকলকে অনুসরণ করে সেটা সেই মানুষের দোষ, ধর্মের না। আমরা সস্তার চিকিৎসার জন্য হাতুড়ে ডাক্তার যেমন দেখাই তেমনি ধর্মীয় বিষয়ে জানতে ভালো আলেম বাদ দিয়ে খারাপ লোকের কাছে যাই। দোষটা আমাদের। খারাপ লোকগুলির বাণিজ্যিক ওয়াজ শুনতে লোকের ঢল নামে। ফলে এরা হেলিকপ্টারে করে ওয়াজ করতে যায়। এই আশকারা এই তথাকথিত আলেমরা পাচ্ছে আমাদের মত নির্বোধ ও কাণ্ডজ্ঞানহীন মানুষদের জন্য। খাঁটি জিনিস বাদ দিয়ে আমরা দেওয়ানবাগি বা অনুরুপ ভন্দদের শরণাপন্ন হচ্ছি। হৃদয়ের চিকিৎসার জন্য সঠিক ডাক্তার বাছার ক্ষেত্রে আমরা ভুল করছি। ইসলামকে আংশিকভাবে মানলে এটার স্বাদ কেউ পাবে না। সারা বিশ্বে কোথাও প্রকৃত ইসলামিক পরিবেশ নাই। ফলে ইসলামের বিধানের সুফল আমাদের চোখে পড়ছে না। আপনি একদিক দিয়ে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত আদায় করবেন আবার সুদ খাবেন, ঘুষ খাবেন, সমাজে অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দেবেন, জুয়া খেলা, পতিতা বৃত্তির অনুমতি দেবেন, এই সমাজ থেকে ইসলামের সুফল আশা করা যায় না। ইসলামকে পুরোপুরি মানলেই ইসলামের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন। তুরস্ক ও মালয়েশিয়াতেও দেশ চালায় সেকুলার নেতারা। ইসলাম সেখানে যার যার বাড়িতে আবদ্ধ। ওখানকার আলেমরা দেশ চালাতে ভুমিকা রাখতে পারলে অবস্থা সউদি আরবের মত হত। মালয়েশিয়ার অর্থনীতি চাইনিজদের হাতে আর বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মোল্লাদের হাতে? বাংলাদেশের কয়টা শিল্পপতি হুজুর? এই দেশের কর্পোরেট সেক্টরে কয়জন দাড়িওয়ালা হুজুর চাকরি করে?

বাংলাদেশের কোন তথা কথিত আলেমের ক্ষমতা নাই এই দেশে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা বন্ধ করার। যদি থাকতো তাহলে দেশে এত এত বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র ও শিক্ষক থাকতো না। কিন্তু দুঃখ জনক হোল জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা এই জুগে অনেক ব্যয় বহুল কিন্তু আমাদের দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই গবেষণার সেই রকম সুবিধা নাই। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গবেষণার জন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলি আছে সেগুলি তেমন কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারছে না। যে দেশগুলি বিজ্ঞান, গবেষণায় বেশী ব্যয় করে আখেরে তারাই এগিয়ে থাকে। আপনি বলতে পারবেন না যে এদেশের ছেলেমেয়েরা কম মেধাবী। এরাই উন্নত দেশে গেলে অনেক ভালো করে। আমাদের ব্লগার সাসুম সাহেব একজন বিশিষ্ট ফিজিসিসট। উনি এই দেশের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও বিদেশের অনেক বহুজাতিক কোম্পানিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন অনেক বছর ধরে। যদিও ওনার ধর্ম নিয়ে চিন্তা ভাবনায় ভুল আছে। কিন্তু অনেক ধার্মিক বাঙালি আছেন যারা বিদেশে উপযুক্ত পরিবেশে ভালো করছেন।

অমুসলিম দেশগুলি যুদ্ধ বিগ্রহ, সম্পদ হীনতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারনে জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে এটা বলছেন কিন্তু একই কারনে যে ইসলামি রাষ্ট্রগুলিও পিছিয়ে আছে সেটা মানলেন না। বাংলাদেশে কোন মাওলানার সাধ্য নাই বিজ্ঞান গবেষণাকে বাঁধা দেয়ার। কিন্তু বাংলাদেশের সমস্যা হোল গবেষণায় আমরা বেশী টাকা দিতে চাই না, চাইলেও টাকা নাই, রাজনৈতিক নেতৃত্বের আধুনিক জ্ঞানের অভাব, শিক্ষানীতি ইত্যাদি। ধর্ম এখানে কোন বাঁধা না। ভারতের মত টাকাও যদি এই দেশে গবেষণায় দেয়া হয় তাহলেও অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে।

( বি দ্র - আমি এই মন্তব্যে অনেক জায়গায় হুজুর, মোল্লা, কাঠ মোল্লা ইত্যাদি শব্দ ব্যঙ্গ করে ব্যবহার করেছি। এগুলি কোন ভালো আলেম, হুজুর, মাওলানার উদ্দেশ্যে বলি নাই। যারা ধর্ম ব্যবসায়ী তাদের উদ্দেশ্যে বলেছি। )

২৬| ২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪২

এভো বলেছেন: আপনি বলতে চাচ্ছেন কাট মোল্লাদের কোন ক্ষমতা বা প্রভাব সমাজের উপর নেই ।
১) এ পর্যন্ত এই দেশে ধর্ম অবমাননার নামে যত তান্ডব হয়েছে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষনার মাধ্যমে সব গুলোর নেপথ্যে ছিল হুজুররা । এক মাত্র তাদের ডাকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ,জামাতের সমর্থকরা এক হোয়ে সম্প্রদায়িক তান্ডব চালায় ।
২) তারা পাঠ্য পুস্তক হতে অমুসলিমদের লিখা বাদ দিতে সরকারকে বাধ্য করেছে ।
৩) এদের কারনে দেশের মানুষ মলিদ শবে বরাত পালন করা বন্ধ করে দিয়েছে
৪) এদের কারনে মানুষ এখন খোদা হাফেজ বলে না আল্লাহ হাফেজ বলে
৫) আগে সবাই বোলতো স্লামুয়ালাকুম এখন এনাদের কারনে বলে আসলা মুয়ালাইকুম
৬) ২০ বৎসর আগে এদেশের মেয়েরা মাথায় হিজাব পোড়তো না কিন্তু এখন হিজাবের ছড়াছড়ি যদিও এটা অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন ( উল্লেখ্য হাদিসে আছে অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করা হারাম)
৭) এনাদের কারনে লালন মুর্তি , থেমিস দেবির মুর্তি সরাতে হয়েছে

এই যে দেখছেন -- এরা কি ভাবে গোটা দেশের মানুষকে ব্রেন ওয়াশ করছে । এদের প্রভাব সমাজের উপর কতখানি সেটাকে কোন ভাবেই ইগনোর করার উপায় নেই । সরকার বিনা কারনে তাদের ভয় পায় না ।
মোদীর আগমন নিয়ে তারা যে তান্ডব চালিয়েছে সরকারের নাকের ডগায় সেটা কি তাদের শক্তির প্রকাশ নহে । তারা মানুষের মগজকে স্থবির করে রেখেছে তার একটা উদাহরন দিচ্ছি ।
একজন প্রগতিশীল সেকুলার মুসলমানে যিনি নাচ দেখেন , নাটক সিনেমা দেখেন , গান শুনেন কিন্তু তাদের ঘরে কোন নাচ গানের চর্চা নেই বা কেউ করেন না ।
এখানে দেখেন এমন কোন হিন্দু পরিবার নেই যার ঘরের দুই এক জন সদস্য যারা হারমুনিয়াম বাজিয়ে গান করতে পারে না ।

এই রকম হওয়ার মূল কারন হোল যারা প্রগতিশীল সেকুলার তাদের উপর মোল্লাতান্ত্রিক মগজ ধোলাইয়ের আদৃশ টান এখনো থেকে গেছে ।
এই সব মোল্লারা মানুষের মগজকে যে ভাবে প্রভাবিত করে রেখেছে -- সেটা আলটিমেটলি শিক্ষা সংস্কৃতি অগ্রগতির অন্তরায় হয়ে দাড়ায় ।
মসজিদ থেকে যদি আজান দেওয়া হয় তখন দেখা যায় ১০ লোক ও নামাজ পড়তে আসেনা কিন্তু যদি মসজিদের মাইক থেকে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা ঘোষনা দেওয়া হয়, তখন দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ আওয়ামী লীগ , বিএনপি, জামাতের লোকজন দা কুড়াল চাপাতি বল্লম হাতে বেড়িয়ে আসে তান্ডব করার জন্য । এটাই হোল কাট মোল্লাদের শক্তি এবং সরকার ভয় পায় ।

জী ভাই এই সব মোল্লারা ওয়াজ মহফিলের মাধ্যমে সমগ্র দেশের মানুষকে প্রভাবিত করে রেখেছে এবং তাদের এই শক্তিকে সরকার তোয়াজ করে ।
যে সমস্ত মুসলিম দেশ এই মগজ ধোলাই প্রক্রিয়াকে বন্ধ করতে পেরেছে তারা আগাতে পেরেছে যেমন মালোয়েশিয়া , তুরস্ক তবে তুরস্কে এরদোগানের নেতৃত্বে আবার মোল্লাতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতা আবার শুরু হয়েছে এবং এটাকে থামাতে না পারলে তুরস্কের ভবিষতে খারাবি আছে । ধন্যবাদ

২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের কথা বলছেন এটা এত কম যে তা অগ্রাহ্য করার পরে। সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব দেখতে হলে ভারত যেতে হবে অথবা পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলা যায়। যেটা ঘটে সেটা এমন কোন বড় ঘটনা না যার জন্য উদ্বিগ্ন হতে হবে। বাংলাদেশের চেয়ে অন্তত ১০০ গুন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ভারতে হয়। আপনি প্রমান চাইলে দিতে পারবো। পাঠ্য পুস্তক থেকে কিছু বাদ দিলে দেশের বিজ্ঞান চর্চা, ব্যবসা বাণিজ্য এগুলিতে কোন প্রভাব পড়ার কথা না। মওলানাদের ঠাণ্ডা করার জন্য সরকারের এগুলি রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। ৩, ৪ ও ৫ নং পয়েন্টগুলি (মিলাদ, শবে বরাত, আল্লাহ হাফেজ, স্লাম আলিকুম ) এগুলি ধর্মীয় আচার জনিত ইস্যু মাত্র। মুসলমানদের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে অনেক মত বিরোধ আছে। এই কারনে বিভিন্ন মতবাদ আছে। মিলাদ, শবে বরাতের পক্ষেও অনেক হুজুর পাবেন। স্লামআলাইকুম বলে কোন কিছু আরবি ভাষায় নাই। খোদা শব্দটা ফারসি ( নামাজ, রোজার মত)। এগুলির ধর্মীয় মতভেদ। মতভেদ থাকবেই। এটা কোন বড় সমস্যা না। এটার সাথে দেশের অর্থনীতি, বিজ্ঞান চর্চার কোন সম্পর্ক নাই। ইহুদি আলেমরাও মাথায় টুপি পড়ে। মুসলমানরা পড়লে বলা যাবে না যে এটা অন্য ধর্মের অনুসরণ। আব্রাহামিক ধর্মগুলির মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে মিল আছে। অনেক ভালো জিনিস আছে যেগুলি বিভিন্ন ধর্মেই কমন। বাংলাদেশের হিন্দুরাও এক সময় মাথায় ঘোমটা দিত। এগুলি শালীনতা সংক্রান্ত বিষয়। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের পর পুরুষের সামনে চুল ঢাকতে বলা হয়েছে। খ্রিস্টান নানদের পোশাকের সাথে ইসলামের বোরকার মিল থাকতে পারে। এটা কোন সমস্যা না।

মাওলানারা আরও অনেক হারাম জিনিস এই দেশে হচ্ছে সেগুলি দেখতে পাচ্ছেন না মনে হয় ( যেমন সুদ, ঘুষ, ব্যভিচার, জুয়া, পতিতা বৃত্তি ইত্যাদি)। আসলগুলি বাদ দিয়ে ওনারা ছোট বিষয়ে জিততে চাচ্ছেন। সরকারও ওনাদের সান্তনা পুরস্কার দিচ্ছে।

মদিকে নিয়ে আন্দোলন করে হুজুররা কঠিন বিপদে আছে। এটা তাদের চরম পরাজয়।

নাচ, গান শোনা বা না শোনা মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার। চিত্ত বিনোদন কে কিভাবে করবে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। হুজুররা শুনতে না চাইলে আপনি বাধ্য করতে পারেন না।

মসজিদের মাইকে ডাক দিলেই মানুষ ঘর থেকে আক্রমন করতে বের হয় কারণ ল এন্ড অর্ডার পরিস্থিতি খারাপ। প্রশাসন দেরীতে ততপর হয় বলে এগুলি সম্ভব হয়। আমাদের দেশে কোন অপরাধ ঘটার অনেক পরে পুলিশ আসে। এটা প্রশাসনিক দুর্বলতা।

মগজ দুর্বল হলে ধোলাই করা সহজ হয়। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা থেকে অনেকে বঞ্ছিত ফলে ধর্মের নামে উগ্রতা, জঙ্গিবাদ এগুলি প্রশ্রয় পাচ্ছে। রাষ্ট্রের এখানে অনেক কিছু করার আছে। কিন্তু আমাদের দেশের পরিচালকরা এই সব বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান না। ভালো ধর্মীয় নেতার অভাব আছে। ফলে এই রকম ঘটছে। ধার্মিকের দোষ, ধর্মের দোষ না।

২৭| ২১ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

এভো বলেছেন: শুনুন ভাই -- ধর্মীয় অপপ্রচারের প্রভাব আমাদের মানুষের ভিতরে এমন ভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে , মানুষ মুক্তবুদ্ধি প্রকাশ করতে ভয় পায় , মানুষের স্বাধীন চিন্তার বিকাশ বাধা গ্রস্থ হোলে মানুষ সার্টিফিকেটধারি হয়, জ্ঞানী হয় না । আপনি দেশের ভিতরে বিজ্ঞান চর্চার কথা বলেছেন সেটা শুধু বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহন ছাড়া আর কিছুই না , ধর্মীয় অপপ্রচারের মাত্রা এমন কেহ মুক্তচিন্তা করার সাহস করে না এবং বিজ্ঞান পড়ে বিজ্ঞান মনস্ক হয় না ।
যেমন বুয়েটে গিয়ে দেখেন সেটা কি বিজ্ঞান শিক্ষালয় বলে মনে হয়, নাকি মাদ্রাসা বলে মনে হয় ? বুয়েটের ছাত্ররা বিজ্ঞান পড়ে এবং তবলিগ করে । ওনারা বিজ্ঞান মনস্ক হন না এবং মুক্তচিন্তার অধিকারি হন না ।
অপইসলাম চর্চার কারনে মুলমানদের শিক্ষা, তাদের সার্টিফিকেট ধারি করে কিন্তু সুশিক্ষিত করে না , বিজ্ঞান মনস্ক করে না । ধন্যবাদ

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে পৃথিবীতে এখনও ৯৩% মানুষ আল্লাহ/ ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। ৫০% এর অধিক বিজ্ঞানী আস্তিক। কাজেই এই ৭% ঈশ্বর বিরোধী মানুষই সঠিক এটা ধারণা করা বুদ্ধিমানের কাজ না। আইনস্টাইন নিজেকে নাস্তিক বলেননি। যদিও উইকিপিডিয়া অনুসারে
Albert Einstein's religious views have been widely studied and often misunderstood.[1] Albert Einstein stated that he believed in the pantheistic God of Baruch Spinoza.[2] He did not believe in a personal God who concerns himself with fates and actions of human beings, a view which he described as naïve.[3] He clarified however that, "I am not an atheist",[4] preferring to call himself an agnostic,[5] or a "religious nonbeliever."

আরেক জায়গায় বলেন;
“I want to know how God created this world. I am not interested in this or that phenomenon. I want to know His thoughts, the rest are details.”

― Albert Einstein

আরেক জায়গায় বলেন; I believe in Spinoza’s God, who reveals himself in the orderly harmony of what exists.”

আরেক জায়গায় বলেন; He does not play dice with the universe.

ওনার ব্যাপারে সারকথা হোল যে উনি নাস্তিক ছিলেন না। তবে ধর্মে যেভাবে গডকে বিশ্বাস করা হয় সেভাবে তিনি গডকে বিশ্বাস করতেন না। গড সম্পর্কে ওনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। গড বলতে তিনি সম্ভবত কোন মহাশক্তি বা সিস্টেম বুঝতেন।

কাজেই আইন্সটাইন ধর্ম বিরোধী ছিলেন না। অতএব বুয়েটের ইঞ্জিনিয়াররা তবলীগ করলে তারা বিজ্ঞান চর্চা করতে পারবে না এই ধারণা ঠিক না। অনেক মুসলিম বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

ধর্মীয় অপপ্রচার মানুষের জন্য ক্ষতিকর এটা আমি আপনার সাথে একমত। এই দেশে ধর্মের নামে বিভিন্ন ভণ্ডামি করা হয় কিন্তু সরকার এই সব ব্যাপারে নিশ্ছুপ, যদিও অনেক ক্ষেত্রে এগুলি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এটার জন্য রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক প্রতিরোধ প্রয়োজন।

ধর্ম সম্পর্কে আপনার আপত্তি থাকলে সকল আব্রাহামিক ধর্মের উপরই থাকার কথা। কারণ এই তিন ধর্মের মধ্যে বেশ কিছু মিল আছে। আপনি যদি তিনটা ধর্মের উপর পড়াশুনা করেন আপনার দৃষ্টিতে খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মকে আরও গোঁড়া মনে হবে বিভিন্ন ইস্যুতে। কিন্তু আপনি শুধু ইসলামকে টার্গেট করছেন। এটার কারণ হতে পারে অন্য দুইটি ধর্ম সম্পর্কে আপনি কম জানেন তাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.