নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকে ধর্ম আর ধর্মের নামে উগ্রতার পার্থক্য বোঝে না

২২ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৫


১৫ জন আরব নারী বিজ্ঞানী

15 Remarkable Arab Female Scientists To Know

সৌদি আরবে মেয়েদের পর্দার ব্যাপারে খুব কড়াকড়ি করা হয় এটা আমরা সবাই জানি। আফগানিস্তানের তালেবান ছাড়া আর কোথাও মনে হয় এতো কড়াকড়ি নাই ( এটা একটা জঙ্গি রাষ্ট্র, ইসলামি রাষ্ট্র না)। অনেকে বলেন যে ইসলাম ধর্মের কারণে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে যাচ্ছে মেয়েরা। কিন্তু সেই সৌদি আরবে মেয়েদের শিক্ষার হার শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। ২০১৭ সালে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী সৌদি মেয়েদের শিক্ষার হার ছিল ৯৯.২৮%। একই বয়সী ছেলেদের শিক্ষার হার ছিল ৯৯.৩২% সউদি আরবে শিক্ষার পরিসংখ্যান

গ্রাজুয়েশনের হার পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের বেশী। মোট গ্রাজুয়েটের মধ্যে ৪৮% পুরুষ এবং ৫২% নারী । ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী ৩৫,০০০ মেয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়েছে। যার মধ্যে ৫০% এর বেশী গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে Education: The Key to Women’s Empowerment in Saudi Arabia?

২০১৫ সালে সৌদি গেজেটে এসেছে যে সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়ে বেশী (৫১.৮%)। ঐ বছর ১৬২২১ জন মাস্টার্স করছে এবং ১৭৪৪ জন পি এইচ ডি করছে। ৫৭ টি দেশে সৌদি মেয়েরা পড়তে গিয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৩ সালে ১৫০৩২ জন নারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন, তার মধ্যে ১৩২ জন প্রফেসর। Saudi women constitute 51.8 percent of Saudi university students

২০১৫-১৬ সালে ৫৭% আন্ডার গ্রাজুয়েট ছিল নারী এবং ৪৩% ছিল পুরুষ How Saudi women are getting ahead of men as STEM graduates

অনুরুপ পরিসংখ্যান পাওয়া যায় ইউনাইটেড আরব আমিরাতের মেয়েদের ক্ষেত্রেও। আরব আমিরাতে মেয়েদের শিক্ষার হার ৯৫.৮% এবং ছেলেদের শিক্ষার হার ৯৩.১%। আরব আমিরাতের তিনটির মধ্যে দুইটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮০% থেকে ৯০% শিক্ষার্থীই মেয়ে। দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গনিত নিয়ে পড়ে তাদের ৫৬% মেয়ে। ইউনিভারসিটি গ্রাজুয়েটদের ৭০% ই মেয়ে। হাইস্কুল গ্রাজুয়েশন করার পর ৯৫% মেয়ে পরবর্তী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে। এর বিপরীতে হাইস্কুল গ্রাজুয়েশন করার পর ৮০% ছেলে পরবর্তী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে। ৭৭% মেয়ে সেকেন্ডারি স্কুল শেষ করে। আবু ধাবিতে অবস্থিত Masdar Institute of Science and Technology থেকে গ্রাজুয়েশন করা ৬০% শিক্ষার্থী মেয়ে। Women in the United Arab

UAE Women FAQs

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে ৩৬.৭% মেয়ে ৪ বছরের কলেজ ডিগ্রি সম্পন্ন করেছে। Percentage of the U.S. population who have completed four years of college or more from 1940 to 2020, by gender

এর বিপরীতে সৌদি আরবে নারী গ্রাজুয়েটের হার ৫৫.৮% Share of female graduates in Saudi Arabia from 2010 to 2019

সৌদি আরবের নারীদের এই প্রসঙ্গে ‘আরব নিউসের’ একটা প্রবন্ধ হুবহু অনুবাদ করে দিলাম -

যেভাবে সৌদি মেয়েরা স্টেম (STEM – Science, technology, engineering, mathematics) গ্রাজুয়েট হিসাবে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে
১৯ মার্চ, ২০১৯

দুবাইঃ আগের চেয়ে অনেক বেশী সংখ্যক মেয়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত ( Science, technology, engineering, mathematics – in short STEM) পড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বলেছেন ডঃ ফাতিমা আলাকিল, যিনি একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং রিয়াদের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য।

আলাকিল বলেন “ সৌদি আরবে, STEM সংক্রান্ত চাকরীর সুযোগ বর্তমানে সীমিত, যেহেতু অর্থনীতি মুলত তেল নির্ভর এবং কারিগরি সংশ্লিষ্ট চাকরী খুব কম,“। আলাকিল Confidentiality, Integrity and Availability Group ( CIAG) নামক একটি নন- প্রফিট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। এই প্রতিষ্ঠানটি রিয়াদে তথ্য নিরাপত্তা প্রশিক্ষন ও গবেষণা নিয়ে কাজ করে।

শ্রম বাজারের উপর সরকারের একটা প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৮ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী নারীদের ৩০% এর বেশী নারী কর্মহীন অবস্থায় আছে। তাদের মধ্যে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে (৭০%) এবং ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে (৫৫%) কর্মহীনের হার সব চেয়ে বেশী।

এই প্রতিবেদন অনুসারে ৯,২৩,৫০৪ জন চাকরী প্রার্থী আছে যার মধ্যে ৭,৬৫,৩৭৮ জনই নারী ( ৮২.২%)।
আলাকিল বলেন “ পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় STEM শিক্ষায় আমাদের নারীর সংখ্যা বেশী”। আলাকিল যুক্তরাজ্যের Southampton বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডকটরাল শেষ করেছেন।

সৌদি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটা প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৫-১৬ সালে আন্ডার গ্রাজুয়েট হওয়া শিক্ষার্থীদের ৫৭% ই নারী। একই বছরে জিববিজ্ঞান, আই টি, গনিত, পরিসংখ্যান এবং পদার্থ বিদ্যায় গ্রাজুয়েশনের ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের টপকিয়ে যায়।

কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলাকিল কর্তৃক পরিচালিত এক জরীপ অনুসারে “প্রায় ৮০% সৌদি মেয়ে STEM নিয়ে পড়ার জন্য উদগ্রীব, কিন্তু ডিগ্রি অর্জনের পরে চাকরী জোগাড় করাটা একটা চ্যালেঞ্জ”, আলাকিল বলেন।

২২ বছর বয়সী মাহা আল-তালিব যিনি আইটি নেট ওয়ার্ক ও নিরাপত্তা নিয়ে এই বছরের শুরুতে KSU থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন বলেন “ সৌদি আরবের মেয়েদের জন্য STEM শিক্ষাকে বেঁছে নেয়াটা কমন”। তিনি এখন রিয়াদের একটি সরকারী কোম্পানিতে জুনিয়র information security analyst হিসাবে কাজ করছেন।

তিনি আরও বলেন “ সৌদি মেয়েরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী। আমরা উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করছি এবং সফল কেরিয়ার খুজছি। আমি জানি না কেন বিশ্ববাসী ধারণা করে যে সৌদি মেয়েরা পশ্ছাদপদ ট্রাইবাল প্রজাতি এবং মেয়েদের এই বিষয়গুলি নিয়ে বলার কোন এখতিয়ার নাই। এই ধারণা পুরোপুরি ত্রুটিপূর্ণ।“

আল-তালিব বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করেই চাকরীর প্রস্তাব পেয়েছিল, কিন্তু সে অনুধাবন করে যে সবাই তার মত ভাগ্যবতী না। সে বলে “মেয়েরা চাকরী পেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এটার কারণ এমন নয় যে কোম্পানিগুলি আমাদের নিয়োগ দিতে চায় না বরং সৌদি তরুণ- তরুণীদের জন্য চাকরী পাওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ।“

“ আজকের সৌদি আরবে পিতামাতারা তাদের মেয়েদেরকে শুধু দেশীয় ডিগ্রি না বরং পশ্চিমের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ডিগ্রির জন্য উৎসাহিত করছে। এটা এখন একটা সাধারণ ব্যাপারে পরিনত হয়েছে। পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে। মেয়েরা দেশের উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।“

সব মেয়েরাই এরকম ভাগ্যবতী না। এরকম একজন ২৫ বছর বয়সী আই টি গ্রাজুয়েট রাজান আল- কাথানি বলেন “ অনেক মাস হয়ে গেছে আমি পাস করেছি তারপরও আমি একটা চাকরী পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত এটা আমার জন্য একটা সংগ্রাম”।

“ আমাদের অনেক মেধাবী ও যোগ্য মেয়ে আছে, বিশেষ করে প্রযুক্তিতে, কিন্তু চাকরীর সুযোগ খুব কম। পরিস্থিতি কঠিন কিন্তু আমরা আশাবাদী পরিস্থিতি শীঘ্রই পরিবর্তন হবে।“
আল কাথানি এই ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে দেশের ২০৩০ সংস্কার পরিকল্পনা যোগ্য সৌদিদের জন্য সুযোগ তৈরি করবে।

ভিসন ২০৩০ এর অংশ হিসাবে সরকার মেয়েদের চাকরীতে নিয়োগ বৃদ্ধিতে বদ্ধপরিকর। আলাকিল বলেন যে সরকার এই সমস্যার সমাধানের জন্য জোরেশোরে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই ধরনের চাকরীর সুযোগ সৃষ্টি হওয়াটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন “ভিসন ২০৩০ অনুযায়ী চাকরীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, যার মধ্যে কারিগরি চাকরিও থাকবে। চাকরির সুযোগ যখন বৃদ্ধি পাবে, পরিনামে মেয়েরাও তাদের ন্যায্য হিস্যা পেয়ে যাবে।“ আলাকিলের মতে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নেতৃত্বের ভুমিকায় উত্তরণের ক্ষেত্রে সউদি আরবে অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং তা বর্তমান STEM জবের সুযোগকে প্রভাবিত করতে পারে।

আলাকিল বলেন “ রাজকুমারী রিমা বিন্তে বান্দার আল- সউদকে দেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রদূত হিসাবে দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত। এটা দ্বারা বোঝা যায় যে পরিবর্তন ঘটছে”।

যেভাবে আল-তালিবের বাবা মা তাকে সমর্থন দিয়েছেন তার জন্য সে গর্ব অনুভব করে। তিনি বলেন “আমার বাবা শিক্ষিত নন এবং আমার মার শুধু প্রাথমিক শিক্ষা আছে, তারপরও উভয়ে আমার আকাঙ্খা অনুযায়ী শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। তারা চান তাদের মেয়ে তাদের ছেলেদের মত সফল হউক।“

যে কোন দেশের নারীদের মতই, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে কর্মস্থলে উত্তরন সব সময় সহজ না, এমন কি প্রজুক্তির উপর ডিগ্রিধারী মেয়েদের জন্যও। তারপরও তারা আশা হারাচ্ছেন না।

আল-তালিব বলেন “আমরা বুঝতে পারছি যে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এটা একটা কঠিন সময়, বিশেষত প্রজুক্তি নির্ভর ক্ষেত্রগুলিতে, কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হবে। সউদি মেয়েরা অল্প সময়ের মধ্যেই STEM ফীল্ডে সারা দেশে নেতৃত্ব দেবে”।
- লেখার সমাপ্তি এখানে -

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও দেখবেন যে লেখাপড়ায় অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা ছেলেদেরকে ধরে ফেলেছে। গত বছর এইচ এস সি পরীক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ ৫ বেশী পেয়েছে। দেশ যদি ধর্মের কারণে মেয়েদের শিক্ষার প্রতিকুল হতো তাহলে মেয়েরা পড়ালেখায় এত ভালো করতে পারতো না। গ্রামে খবর নিয়ে দেখবেন যে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বেশী স্কুলে যায়। বাংলাদেশি মেয়েদের মধ্যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, গবেষক অনেক আছে।

দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মুসলমানদের অনেক কর্ম কাণ্ডের কারনে ইসলাম ধর্মকে প্রায়শই সমালোচনার সম্মুখিন হতে হয়। কিন্তু আমরা কখনও চিন্তা করে দেখি না যে মুসলমানদের দ্বারা সঙ্ঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডগুলি আসলে ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। কিন্তু আমরা দোষারোপ করছি ধর্মকে। ইসলাম অনুসরনের নামে কেউ যদি উগ্রতার পথ বেছে নেয় তার জন্য সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায়ী থাকবে। ইসলামকে এই সঙ্ঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী করা যাবে না। আফগানিস্তানের তালেবান, পাকিস্তানের জঙ্গি, নাইজেরিয়ার বোকো হারাম, সিরিয়ার আইসিস, সোমালিয়ার আল শাবাব গ্রুপের অনেক কর্মকাণ্ড আসলে ধর্ম বহির্ভূত উগ্রতা এবং ইসলাম এগুলিকে অন্যায় কাজ বলে মনে করে।পৃথিবীর কোন ইসলামি রাষ্ট্র বা কর্তৃপক্ষ এদের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না। কিন্তু তারপরও অনেকে মনে করে ধর্ম এই কাজের জন্য দায়ী।

সউদি আরব ও আমিরাতের উদাহরন দিয়েছি উপরে। ধর্ম যদি জ্ঞান বিজ্ঞানের অন্তরায় হতো তাহলে সউদি আরবের মেয়েরা প্রজুক্তিগত লেখা পড়ায় সব চেয়ে পিছিয়ে থাকতো। তবে এ কথা স্বীকার করতে হবে যে ঐ আরব দেশগুলিতে এখন ধর্মের অপব্যাখ্যার মাদ্ধমে অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রতি বিরুপ আচরণ করা হয়ে থাকে। অনেক আরব মেয়ে প্রযুক্তিতে ডিগ্রি নিয়েও সুযোগ না থাকায় বেকার আছে। শুধু ইসলামি রাষ্ট্র না উন্নত বিশ্বে পর্যন্ত মেয়েরা বৈষম্যের স্বীকার হয়। অনেক উন্নত দেশে মেয়েরা একই যোগ্যতা নিয়ে ছেলেদের চেয়ে কম বেতন পেয়ে থাকে। আসল কথা হোল ধর্ম নয় বরং ধর্মের নামে উগ্রতার কারণে দেশে ও বিদেশে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা অনেক ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত বাণী কখনই জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চাকে নিরুৎসাহিত করেনি।

সুত্র - http://www.abouther.com
https://countryeconomy.com/
www.mei.edu
english.alarabiya.net
www.arabnews.com
en.wikipedia.org
UAE Gender Balance Council
www.statista.com

ছবি abouther.com

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: খুবই চমৎকার এবং তথ্য।

২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি। ভুল হলে জানাবেন। সউদি আরবের চেয়ে কট্টর ইসলামি সমাজ আর নাই। সেই দেশের মেয়েরা লেখাপড়া, প্রযুক্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। ধর্ম সমস্যা হলে এইদেশের মেয়েরা এত দূর যেতে পারতো না। যদিও ঐ দেশগুলিতে এখনও কিছু বৈষম্য আছে।

২| ২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:১১

ফড়িং-অনু বলেছেন: সব ধর্মই উগ্রতা।

২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। যে যেভাবে ভাবতে পছন্দ করে।

৩| ২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

সাসুম বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে হাসব না কাদব এটাই বুঝতে পারছি না।

সৌদি আরব আর দুবাই দিয়ে দুনিয়া চলে না। সৌদি আরব আর দুবাই ইস্লামিক রাস্ট্র?? গত ৫০ বছরে সৌদি আরব আর দুবাই এক কয়জন মেয়ে বিজ্ঞানী বা স্টেম গবেষক জ্ঞান বিজ্ঞান গবেষণা করে দুনিয়া কাপাই ফেলছে আর কয়জন নাস্তেক নাসারা কাপায় ফেলছে তার তালিকা করেন।

আপনার কথা মত, সৌদি আর দুবাই এর মেয়েরা স্টেম শিক্ষায় এগিয়ে আছে আম্রিকার মেয়েদের চেয়ে?? নিজে পড়ে দেখেন লাইন তা, হাসতে হাসতে হার্টফেল করবেন। মাঝে মাঝে পরিসংখ্যান একটা ডাহা মিথ্যা- এই কথা শুনেছেন কোনদিন?

বাংলাদেশের মেয়েরা জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাচ্ছে, জি পি এ পাইব বাড়তাছে এর সাথে ধর্মের কি সম্পর্ক? আপনার ধর্ম প্রচারক রা তো তাদের কে ৫ পাশ এর পর বিয়ে দিয়ে দিতে বলে। এই যে মেয়েরা ঘর থেকে বের হয়ে পাপ করতাছে, জাহান্নামী হচ্ছে, দেশ বিদেশে ভ্রমনে যাচ্ছে, পড়ালেখার জন্য ঘরের বাইরে যাচ্ছে এটা যে ধর্মে পাপ আর জাহান্নামীর ট্যাগ লাগিয়ে দিচ্ছে তাদের কে সে বাংলাদেশ এর মেয়েদের আগানো তে আপনি ধর্ম কে বাহবা দিবেন কেন? বিঃদ্রঃ মেয়েরা মাহরাম ছাড়া ঘরের বাইরে গেলে তারা পাপী আর জাহান্নামী এই হাদিস দিতে বলবেন না আবার। দরকার পড়লে খুঁজে নেন , গুগুল করলেই পাবেন।

আপনি সৌদি আরব আর দুবাই এর মত সো কল্ড ইস্লামী রাস্ট্র এর উদাহরণ দিলেন যেখানে এক্টা মেয়ে ঘর থেকে একা বের হতে পারে না, একা রাত যাপন করতে পারেনা, এখনো ধর্ষিত হলে ৪ জন পুরুষ সাক্ষীর প্রয়োজন সেটা প্রমান করতে, এখনো একটা মেয়ে একা গাড়ি চালাতে পারেনা ( যদিও এই আইন চেঞ্জ হচ্ছে, তবে পাশের সীটে পুরুষ মাহরাম থাকতে হবে) , মোদ্দাকথা যেই জানোয়ার দের দেশে চুরি করলে হাত কেটে ফেলার মত অমানবিক আইন চলে, যেই দেশের শাসক রা ইয়েমেনে রাত দিন ২৪ ঘন্টা বোমা মেরে জেনোসাইড করতাছে, যে দেশে রাস্ট্রীয় মদদে আমাদের দেশ থেকে গরীরব মেয়েদের নিয়ে গিয়ে যৌণ দাসী হিসেবে ইউজ করে দুই দিন পর পর লাশ পাঠাচ্ছে, যে দেশ দুইটা বর্তমান ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু তাদের কে ইসলাম এর আদর্শ দেশ হিসেবে দেখাইছেন?

মানে হাস্যকর স্যার । আপনার অই দুই দেশ এর সো কল্ড স্টেটেস্টিক্স দিয়ে যতই প্রমান করেন ইসলাম শান্তির ধর্ম- আপনার ইস্লামিক দেশ গুলার নেতা আর মুফতি রাই মেয়েদের শিক্ষার তীব্র বিরোধীতা করে তাদের কে ঋতুবতী হলেই বিয়ে দিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগতে বলেছে।

সৌদি আর আরব আমিরাত এর মত অসভ্য দেশ কে দিয়ে যখন আপনি ইসলাম কে ডিফেন্ড করতে আসবেন তখন সমস্যা।


২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কাছে সউদি আরব আর দুবাই যদি ইসলামি রাষ্ট্র মনে না হয় তাহলে বলতে হয় সেটা আপনার বোঝার সমস্যা, আমার না। বিজ্ঞান গবেষণায় সউদি আরব আমেরিকার আগে আছে এই কথা কেউ বলছে না। এই পোস্টের মুল বিষয় বস্তু হোল ধর্মের কড়া নিয়ম থাকার পরও এই সব আরব দেশে সাধারণ লেখাপড়া এবং প্রজুক্তিগত লেখা পড়ায় মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে আছে। অর্থাৎ ধর্ম এই সব দেশে শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান আহরনে কোন বাঁধা সৃষ্টি করেনি। আমেরিকার লোক সংখ্যা ৩৫ কোটি আর সউদি আরবের লোক সংখ্যা ৩ কোটি। কাজেই সংখ্যা দিয়ে তুলনা করা যাবে না এবং যুক্তিপূর্ণও হবে না। শতকরা হারের হিসাবে আমেরিকার মেয়ে STEM গ্রাজুয়েট এবং সাধারণ গ্র্যাজুয়েট সউদি আরবের চেয়ে কম। বাংলাদেশ ইসলামি শাসন অনুযায়ী চলে না। সউদি আরব চলে। ইসলামি বিধানের কারণে বিজ্ঞানে শিক্ষিত হতে সমস্যা হচ্ছে কি না সেটা বোঝার জন্য বাংলাদেশকে আদর্শ হিসাবে না নিয়ে সউদি আরব বা আমিরাতকে নিতে হবে কারণ ইসলামি বিধিবিধান এই সব দেশেই বেশী মাত্রায় প্রয়োগ হয়। আমাদের দেশে ধর্মের নামে অনেক অনিয়ম আছে। কাজেই সেটাকে ধর্ম বলে চালাতে চেষ্টা করবেন না। পোস্টের শিরোনামেই বলেছি যে অনেকে ধর্ম আর ধর্মের নামে উগ্রতার পার্থক্য বোঝে না। আশা করি আপনি সেই দলের না। আমি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুসলমান নারীদের নিয়ে আলোচনা করছি। আপনি শুধু বাংলাদেশ নিয়ে পড়ে আছেন। ধর্মের নামে অনাচারকে আপনি ধর্মের উপর চালিয়ে দিচ্ছেন।

এই পোস্টের মুল বিষয় মুসলমান মেয়েদের শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চা, আপনি এগুলি ছেড়ে এখন মেয়েদের ড্রাইভিং, একলা চলা, ধর্ষণ, চুরির শাস্তি, ইয়েমেনে বোমা মারা, যৌনদাসী এইসব নিয়ে আলাপ করছেন। এই বিষয়গুলি নিয়ে ভিন্ন পোস্টে আলাপ করা যেতে পারে। একটার সাথে আরেকতা মিশালে চলবে না। আমি শিক্ষার উপর যে পরিসংখ্যান দিয়েছি তা আপনি ভুল প্রমান করার চেষ্টা করেন। গরুর রচনা লিখে কোন লাভ নাই। সউদি আরবে মেয়েদের বিয়ের গড় বয়স কত বলেন দেখি? না জানলে নেটে খোঁজেন।
কোনটা বেশী মাত্রায় ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ না সউদি আরব এটা নিয়ে গবেষণা করেন, জানতে পারবেন। বাংলাদেশ একটি সেকুলার রাষ্ট্র। ইসলামের বিপরীত বহু কিছু এই দেশে সরকারি অনুমোদনে চলছে। কাজেই সউদি আরব ইসলামি রাষ্ট্র না বাংলাদেশ এটা বুঝতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানটাও দেখতে পারেন। অমুসলিমের শতকরা হার সউদি আরবে বেশী না বাংলাদেশে এটা জানার চেষ্টা করেন। যুক্তি খণ্ডন করার চেষ্টা করেন।

৪| ২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৪

এভো বলেছেন: জী ভাই এদের খালি ডিগ্রী আছে কিন্তু মত প্রকাশ করার , মুক্ত চিন্তা করার সব কিছুই আবদ্ধ । এই যে নারী সাইনটিস্টের কথা বললেন , তারা কিন্তু মাহারাম ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারে না , এত দিন গাড়ী চালাবার অনুমুতি ছিল না ।

ভাই খাচায় বন্ধি বাঘ যেমন শিকার করতে পারে না , তেমনি খাচায় বন্ধি পাখী গান করেনা, স্বাধীনভাবে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে না ।
এত জন শিক্ষিত কিন্তু নিজেদের একটা বিশ্ববিদ্যালয় চলানোর যোগ্যতা নাই ।

২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেখেন একটা পোস্টের একটা ফোকাস থাকে। আমি জানি আরবের মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে ধর্মের নামে উগ্রতার স্বীকার। আমার একটা সিরিজ পোস্ট আছে 'সউদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী'। এই পোস্টে এই সব নিপীড়নের কিছু বর্ণনা আছে। এই পোস্টের বিষয় হোল যে ধর্মীয় বিধানের কারণে মুসলিম দেশের মেয়েরা লেখাপড়া ও জ্ঞানবিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে বলে মনে করা হয় এই ধারনাকে ভুল প্রমানিত করা। মেয়েরা ইসলামের বিধানের কারণে জ্ঞানবিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকলে সব চেয়ে পিছিয়ে থাকার কথা সউদি আরবের মেয়েদের। কারণ ইসলামি বিধান ঐ সব দেশে সবচেয়ে কড়াকড়িভাবে প্রয়োগ করা হয়। তাই পোস্টের বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। বহু মেয়ে প্রফেসর হিসাবে ঐ দেশগুলিতে চাকরি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কেউ একা চালায় না। বহু আরবের মেয়ে অ্যামেরিকাতে গিয়ে পড়াশুনা করছে। ওদের দেশের মেয়েদের প্রজুক্তিখাতে উচ্চ শিক্ষার হার ঈর্ষনীয়। অ্যামেরিকাতে শতকরা যতো জন মেয়ে গ্রাজুয়েশন করে আরবে এই হার তারচেয়ে বেশী। পরিসংখ্যান ভুল হলে বলেন। গরুর রচনা লেখার দরকার নাই।

৫| ২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫১

সাসুম বলেছেন: আপনি শুধু ডিগ্রী দিয়ে কি করবেন যদি সে ডিগ্রী কোন কাজে না লাগে ?? ধরুন আপনার কাছে নিউক্লিয়ার বোমা আছে, বিশাল মিসাইল আছে, কিন্তু গাইডেন্স সিস্টেম নেই। এই বোমা কাজে লাগাতে পারবেন?? আপনার কাছে প্রচুর অস্ত্র আছে, বারুদ আছে গোলা আছে কিন্তু গুলি করার বা বোমা ফাটানর অনুমতি নেই। আপনার এই অস্ত্র কি কাজে লাগবে?

সৌদি মেয়েদের স্টেম এডুকেশান এ অনেক আগাইছে, ইভেন নাস্টেক নাসারা দের চেয়ে আগানো। তাদের এই আগানো টা কি কাজে লাগছে?? ঘরের ভেতর থেকে যদি রাত দিন যুদ্ধ করেন সে যুদ্ধ সমাজ পরিবর্তন আর সভ্যতা পরিবর্তনে কি কাজে লাগবে ?

আপনার একটা সৌদি মেয়ে মুক্ত চিন্তা করতে পারে? চিন্তা বা দর্শন বা ক্রিয়েটিভিটি হল জ্ঞান বিজ্ঞান বিকশিত হবার প্রধান উপায়। আপনার সৌদির মেয়ে রা সেটা কতটুকু করতে পারে? দিন শেষে আমাদের দেশের মত জি পি এ পাইভ এর সার্টিফিকেট ধারী ঘরে বসা মেয়ে মানুষ বই অন্য কিছু নয় তারা।

উপরের এভো ভাই সুন্দর বলেছেন- খাচার বন্দী বাঘ আর পাখি যতই বড় হোক না কেন, তারা খাচায় বন্দী। এরা আর মুরগির মাঝে কোন তফাত নেই আসলে

২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বহু মেয়ে প্রযুক্তিতে ডিগ্রি নিয়ে চাকরি করছে। তবে ওদের দেশে চাকরীর সুযোগ ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে অনেক মেয়ে বেকার আছে। ভাববেন না যে সব মেয়েই বেকার হয়ে আছে। আমার লেখায় ডঃ ফাতিমা আলাকিল, যিনি একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং রিয়াদের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য। আলাকিল Confidentiality, Integrity and Availability Group ( CIAG) নামক একটি নন- প্রফিট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। এই প্রতিষ্ঠানটি রিয়াদে তথ্য নিরাপত্তা প্রশিক্ষন ও গবেষণা নিয়ে কাজ করে। উনি নিজে এই প্রতিষ্ঠান চালান। উনি যুক্তরাজ্য থেকে ডক্টরাল করেছেন। ওনার মত আরও বহু মেয়ে চাকরি করছে অনেক ব্যবসা করছে। কাজেই অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারছে না এটা আপনার ভুল ধারনা। তবে সব মেয়ের জন্য সুযোগ তৈরি হতে আরও সময় লাগবে। কারণ ওদের চাকরীর বাজার বাড়তে সময় লাগবে। অ্যামেরিকাতে শতকরা যতো জন মেয়ে গ্রাজুয়েশন করে আরবে এই হার তারচেয়ে বেশী।

৬| ২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৭

সাসুম বলেছেন: এর আগেও আপনার সাথে আমার বেশ কিছু পোস্টে বেশ ভাল রকমের তর্ক হয়েছে।

একটা জিনিষ আগেও বলেছি এখনো বলতে চাই- আপনি শুধু টপ ডাউন থেকে দেখেন। কিন্তু বটম আপ থেকে দেখেন না।

আপনি দুনিয়ার দুইটা অমানবিক ইস্লাম্মের এই মুহুর্তের সব চেয়ে বড় শত্রু সৌদি আর আরব আমিরাত কে দিয়ে ইসলাম যে জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক অনেক এগিয়ে আর এই দুইটা দেশের মেয়েরা যে ইহুদী নাস্তিক নাসারা দের মেয়ে দের চেয়ে স্টেম এডুকেশান আর জ্ঞান বিজ্ঞান রিসার্স এ অনেক অনেক যোজন যোজন এগিয়ে এটা দেখলেন, কিন্তু আরো শত শত মুস্লিম দেশের মেয়েরা যে নির্যাতিত, পাকিস্তান আফগানিস্তান নাইজেরিয়া সোমালিয়া সুদান সিরিয়া তে যে ধর্মের নামে মেয়েদের কে জাস্ট কচুকাটা করা হচ্ছে সেটাকে কেন গোনায় ধরছেন না? আপ্নার পুরো ১ লিটার এর গ্লাসে মাত্র ১০ মিলিলিটার পানি আছে সেটাকেই হাইলাইট করে তুলে ধরবেন আর বাকি পুরা গ্লাস ভর্তি গোবর এটা নিয়ে কিছু বলবেন না তা কেম্নে হয়?

আমাদের কে আগে স্বীকার করতে হবে আমাদের সমস্যা। স্বীকার না করলে সমস্যা সমাধান এ কিভাবে পৌছাবেন? এভাবে যদি বাবল বা ভুল জিনিষ কে হাইলাইট করে তুলে ধরেন আর সেই বাবল নিয়ে হাসি খুশি থেকে জীবন চালান তাহলে সারা জীবন মুস্লিম জাহান এরকম মার খেয়ে যাবে। মেডীটেরিয়ান থেকে ইয়াংজি নদী কিংবা ভ্লাডভস্টক থেকে দজলা ফোরাত- সব দিকে রক্ত গংগা বইয়ে মোসলমান দের। কারন হিউমান স্পিসিস ইভালুশান এর পর থেকে একটা হিংস্র প্রাণী। যারা দুর্বল তাদের কে মেরে সবল রা এগিয়ে যাবে। আর এই মুহুর্তে সবল হবার এক্টাই উপায়- শিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞানে সবার এগিয়ে যাওয়া। তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে। ঠিক যেভাবে পাকিস্তান সব দিক থেকে দুর্বল হবার পরেও শুধুমাত্র এক পারমানবিক শক্তির কারনে ভারত এখনো কথায় কথায় এটাক করে বসে না তাদের কে।

আপনি মানেন আর না মানেন, যতই তথ্য প্রমান এনে হাজির করেন এটাই সত্য। মোসলমান দের উন্নতির জন্য দায়ী তাদের ধার্মিক রা আর ধর্ম। যতদিন ধর্ম আর জ্ঞান বিজ্ঞান কে আলাদা করতে পারবেন না ততদিন উন্নতি সম্ভব না।

২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেখেন একটা পোস্টের একটা ফোকাস থাকে। আমি জানি আরবের মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে ধর্মের নামে উগ্রতার স্বীকার। আমার একটা সিরিজ পোস্ট আছে 'সউদি রাজকন্যার জীবন কাহিনী'। এই পোস্টে এই সব নিপীড়নের কিছু বর্ণনা আছে। এই পোস্টের বিষয় হোল যে ধর্মীয় বিধানের কারণে মুসলিম দেশের মেয়েরা লেখাপড়া ও জ্ঞানবিজ্ঞানে পিছিয়ে আছে বলে মনে করা হয় এই ধারনাকে ভুল প্রমানিত করা। তাই পোস্টের বিষয় নিয়ে লেখেন। অ্যামেরিকাতে শতকরা যতো জন মেয়ে গ্রাজুয়েশন করে আরবে এই হার তারচেয়ে বেশী। সউদি আরবের উদাহরন আবার দিচ্ছি। কারণ আমি কোন নির্দিষ্ট দেশ নিয়ে নয় বরং বিশ্বের মুসলমানদের নিয়ে লিখছি। ধর্মকে আঁকড়ে ধরেই সউদি আরবে প্রজুক্তিগত জ্ঞানে ছেলেমেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। ইসলামিক বিধান সউদি আরব ছাড়া অন্য কোন দেশে কড়াকড়িভাবে মানা হয় না। বাংলাদেশ একটি সেকুলার রাষ্ট্র। আমাদের সংবিধান দেখতে পারেন। যে যুদ্ধ আর রক্তগঙ্গার কথা বলছেন তার জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী যে দেশ সেই দেশটির নাম যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীতে অস্ত্র ব্যবসা আর যুদ্ধ জিয়িয়ে রেখেছে কিছু পশ্চিমা দেশ। মুসলমানরা একতার অভাবের কারণে ভিকটিম। নীচে ঈশ্বরকণার পরিসংখ্যানগুলিও মনোযোগ দিয়ে দেখবেন।

৭| ২২ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৮

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আরব জাহান বলতে আমরা যে এলাকাটা বুঝি প্রিডোমিনেন্টলি মুসলিম দেশ সেখানে দেশ হলো মোট ২২টা । এই দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্য আর নর্দার্ন আফ্রিকা মিলে। দেশগুলো হলো : Algeria, Bahrain, the Comoros Islands, Djibouti, Egypt, Iraq, Jordan, Kuwait, Lebanon, Libya, Morocco, Mauritania, Oman, Palestine, Qatar, Saudi Arabia, Somalia, Sudan, Syria, Tunisia, the United Arab Emirates, and Yemen(এই লিস্ট অনুযায়ী পড়ুন ডেটাগুলো যদি এলোমেলো হয়ে যায় ). এই দেশগুলোর নারী শিক্ষার একটা ধাৰণা পাওয়া যাবে নিচের তথ্য থেকে । এই তথ্যগুলো ইউএনডিপি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের থেকেই নেয়া । সময় মুটামুটি ২০১৪-২০২০-র মধ্যে | আলাদা করে আর বছরগুলো আমি মেনশন করলাম না । এই হলো ব্লগ পন্ডিতদের বলা নারীশিক্ষার বিরুদ্ধে ইসলামী মনোভাবের নমুনা !

% of female literacy
Algeria, 75.32
Bahrain, 94.95
the Comoros Islands 52.96
Djibouti ----
Egypt, 65.51
Iraq, 79.9
Jordan 98.23
Kuwait, 94.91
Lebanon 93.31
Libya 77.80
Morocco 64.59
Mauritania 43.35
Oman 92.69
Palestine 95.74
Qatar 94.71
Saudi Arabiaম92.71
Somalia 25.8
Sudan 56.06
Syria 73.63
Tunisia 72.22 (2014)
United Arab Emirates 95.10
Yemen 54.90

২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনারা তথ্য উপাত্তের চেয়ে গরুর রচনা বেশী পছন্দ করেন এবং অন্য প্রসঙ্গে চলে যেতে চান বারবার। আপনার উপাত্তগুলি গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তা করার শক্তি থাকলে যে কেউ আসল সত্য উপলব্ধি করতে পারবে।

৮| ২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

সাসুম বলেছেন: তার মানে আপনি বলতে চান- জ্ঞান বিজ্ঞানে মুস্লিম রা এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমা দের থেকে সব দিক থেকে?

আপনি বলতে চান- মুস্লিম দের কোন দোষ নেই?

আপনি বলতে চান- সৌদি আর আমিরাত ই সহীহ মোসলমান?

আপ্নি বলতে চান- যেভাবে চলছে মোসলমান রা এটাই সঠিক পথ??

আমার আর কিছু বলার নেই। আমি হার স্বীকার করে নিলাম।

আপনি যা বলেন তাই ঠিক হুজুর। কোন সমস্যা নেই। চারদিকে খালি শান্তির লু হাওয়া বইছে।

২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা দৌড় আগে শুরু করে তারাই সাধারনত এগিয়ে থাকে। আমি কখনই বলিনি যে ইসলামি বিশ্ব জ্ঞান বিজ্ঞানে পশ্চিমাদের চেয়ে এগিয়ে। আমার বক্তব্য হোল যে ইসলামের কোন বিধান জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চাকে বাঁধা দেয় নি। পরিসংখ্যান তুলে ধরেছি তার পক্ষে। মুসলমানদের অনেক দোষ আছে। প্রথম দোষ তারা ধর্মকে প্রায়শই বিকৃত করে মানে। এছাড়া তাদের মধ্যে ভালো রাষ্ট্র নায়ক নাই, একতা নাই, অলসতা আছে, দলাদলি করে সময় নষ্ট করে, নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগাতে পারছে না, রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে বিধর্মীদের সাথে আঁতাত করছে, ধর্মকে লেবাস হিসাবে ব্যবহার করছে ইত্যাদি। আরও অনেক দোষ আছে। দোষ মুসলমানের কিন্তু ধর্মের না। সউদি আরব, আমিরাত মন্দের ভালো। কোথাও ইসলামের প্রকৃত শুদ্ধরুপ পাওয়া এখন দুষ্কর। কিন্তু সউদি আরবকে গালাগালি করে, নিজেদের মধ্যে দলাদলি করে কোন লাভ নাই। এতে বিধর্মীরা লাভবান হবে। ইরান- সউদি সংঘাত মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকর। মুসলমানদের মধ্যে এখন লোভহীন আর মেধাবী নেতা নাই যে সব দেশের মুসলমানকে একত্রিত করবে। মুসলমানের সমালোচনা আমিও করি। কিন্তু ধর্মের সমালোচনা অনেক সময় আমরা না বুঝেই করি।

৯| ২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

এভো বলেছেন: তাহোলে তো আপনি মেনে নিলেন, উগ্র ধর্মীয় বাধা বিধান বিজ্ঞান জ্ঞানীদের কে স্থবির করে রাখে, খাচায় বন্ধি পাখি বাঘের মত। ওই যে সৌদি বিজ্ঞানী মহিলা৷ তিনি একা ঘর থেকে বের হতে পারেন না, ঘরের ভিতর আরো ৩ জন সতিন আছে। নতুন বউ আনার জন্য তিনি পুরান হোলে, তালাক পেয়ে যেতে পারেন।
অপধর্ম যে এদের আনপ্রডাকটিভ করে রেখেছে, সেটা কি প্রমাণ হোল না।
তারা শুধু সন্তান প্রডাক্ট করতে পারে।
আমাদের দেশের শিক্ষিত জ্ঞানী মহিলাদের যত খানি অবদান আছে দেশ সমাজে, তার ধারে কাছে সৌদি মহিলারা নেই কারন তারা সৌদি নারীদের মত ওত খাচায় বন্ধি নহে। যদি ও তারা ও এক রকম খাচায় বন্ধি।
তার মানে এটাই দাঁড়ায় মুসলিম দেশ গুলো ধর্মীয় গোরামির কারনে দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে এবং এদের শিক্ষিতরা খাচায় আবদ্ধ প্রাণীর মত।

২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সউদি আরবের অনেক মেয়ে সতিনকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয়। এটা অনেক ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে। এরা আনপ্রডাকটিভ হলে ডঃ ফাতিমা আলাকিল, যিনি একজন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং রিয়াদের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্য কিভাবে Confidentiality, Integrity and Availability Group ( CIAG) নামক একটি নন- প্রফিট প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও হলেন। এই প্রতিষ্ঠানটি রিয়াদে তথ্য নিরাপত্তা প্রশিক্ষন ও গবেষণা নিয়ে কাজ করে। উনি নিজে এই প্রতিষ্ঠান চালান। উনি যুক্তরাজ্য থেকে ডক্টরাল করেছেন। কিভাবে একজন সউদি নারী রাষ্ট্রদুত হলেন। ওনারা খাঁচায় বন্দি হলে এত হাজার হাজার আরব মেয়ে কিভাবে অ্যামেরিকার মত দেশে পড়তে যায়। মুসলমান দেশ ধর্মের কারণে পিছাচ্ছে না। বাংলাদেশ পিছাচ্ছে এই দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাবের কারণে, দুর্নীতির কারণে, রাজনৈতিক হানাহানির কারণে, শিল্পকারখানায় বিনিয়োগ না হওয়ার কারণে, গার্মেন্টস সেক্টরের বিকল্প কোন সেক্টর তৈরি না করতে পারার কারণে, ধনী দরিদ্রের চরম বৈষম্যের কারণে। আরও অনেক কারণ আছে। এটার জন্য আলাদা পোস্ট দেয়া যেতে পারে। ধর্ম যদি কারণ হতো তাহলে এই দেশের বিধর্মীরা আমাদের উপর নেতৃত্ব করত।

১০| ২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০০

জুন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে একটা মন্তব্য করার মুসাবিদা করছিলাম কিন্ত সাসুম ভাইয়ার মন্তব্য পড়তে পড়তে সব ভুলে গেলাম।
আপনার তথ্যবহুল পোস্টে ভালো লাগা রইলো ।
+

২২ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যদি কিছু মনে না করেন একটা কৌতুক শেয়ার করি (অন্য কোনভাবে নিবেন না দয়া করে) -
এক লোক সব সময় ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকে। একদিন তার স্ত্রী গোমড়া মুখে বলল-
স্ত্রী: তোমার শুধু সব সময় ক্রিকেট আর ক্রিকেট! তুমি তো বোধহয় আমাদের বিয়ের তারিখটাও ভুলে গেছো!
স্বামী: ছি ছি, তুমি আমাকে কী মনে কর! আমি কি এতই পাগল না কি? আমার ঠিকই মনে আছে।
স্ত্রী: তাহলে বলো তো, কবে আমাদের বিয়ে হয়েছিল?
স্বামী: যেবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ইন্ডিয়ার খেলায় টেন্ডুলকার এগারো রানের মাথায় মুত্তিয়া মুরলিধরনের বলে আউট হয়ে গেল। সেদিনই তো আমাদের বিয়ে হলো!

তবে আপনার মন্তব্যটা আমার জন্য হয়ত উপকারি ছিল। যাই হোক যদি মনে পড়ে তবে জানাবেন কষ্ট করে।

১১| ২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: মুসলিম দেশ আছে অনেক। শরিয়া সম্মত ইসলামীক দেশ একটাও নেই।মুসলিম দেশ গুলো সংবিধান মেনে চলে,জাতিসংঘের অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলবে বলে অজ্ঞীকারাবদ্ধ,যেগুলো ইসলামের সাথে সাঘর্ষিক।এই ভাবে চললে অনেক মুসলিম দেশ উন্নত রাষ্ট্রর সমপর্যায়ে চলে যাবে,কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র হবে না।মুসলিম রাষ্ট্র আর ইসলামী রাষ্টের মাঝে বিরাট ফারাক আছে।

২৩ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামী আইন মেনে রাষ্ট্র চলে এরকম দেশ কম আছে (১৫ টার মত)। তারাও সঠিকভাবে সবাই মানে না। সৌদি আরবে সবচেয়ে কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। একটা দেশের উন্নত হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকে। ইসলামী শরিয়া মেনেও উন্নতি হওয়া সম্ভব যদি রাষ্ট্র নায়করা মেধাবী ও সৎ হন। ইসলামী শরিয়ার সাথে দেশের উন্নয়নের কোন সংঘর্ষ নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.