নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানের যে সব আবিষ্কার পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে

২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪



মানব সভ্যতার কল্যাণে বিজ্ঞানের ভুমিকা অপরিসীম। প্রাচীনকাল থেকেই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়েছে। তবে বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে অনেক আবিষ্কারের ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান প্রথমেই সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি। দেখা গেছে যে বহু বছর পর্যন্ত বিজ্ঞান ভুল থিউরিকে সঠিক মনে করেছে। পরবর্তীতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিজ্ঞানীরা এই থিউরিগুলিকে ভুল প্রমাণিত করেছেন এবং নতুন থিউরি আবিষ্কার করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে পুরনো থিউরিকে আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে বিজ্ঞানের অনেক বিষয় যুক্তি, তর্ক ও গাণিতিক হিসাব দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত মনে হলেও পরবর্তীতে সেগুলি বাতিল হয়েছে বা সংশোধিত হয়েছে। অতীতে এই ধরণের ঘটনার বহু উদাহরণ আছে। কাজেই বর্তমানে যে আবিষ্কার বা থিউরিগুলি আছে সেগুলির মধ্যে কিছু কিছু যে ভবিষ্যতে বাতিল হবে না বা সংশোধিত হবে না এটা হলফ করে বলা ঠিক হবে না।

এই ধরণের কিছু বৈজ্ঞানিক থিউরি ও আবিষ্কার সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হোল।

বস্তুর দহনের কারণ সম্পর্কে ভুল ব্যাখ্যাঃ

১৬৬৭ খ্রিষ্টাব্দে জোহান জোয়াচিম বেচার নামক একজন জার্মান বিজ্ঞানী বস্তুর দহনের কারণ ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন যে পদার্থের মধ্যে ‘টেরা পিঙ্গুইস’ নামক একটা উপাদানের উপস্থিতির কারণে যে কোন পদার্থ আগুনে পোড়ে। পরবর্তীতে ১৭০৩ সালে জর্জ এরন্সত স্টাহল নামক আরেকজন জার্মান বিজ্ঞানী এই থিউরিকে আরেকটু পরিবর্তন করে বলেন যে ‘ফ্লোগিসটন’ নামক একটা উপাদানের উপস্থিতির কারণে যে কোন পদার্থ আগুনে পোড়ে। আগুনে দহনের সময় পদার্থ থেকে এই ‘ফ্লোগিসটন’ নিঃসৃত হতে থাকে এবং নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে। পদার্থ থেকে নির্গত হওয়া ‘ফ্লোগিসটন’ বাতাসের সাথে মিশ্রিত হয়। উদ্ভিদ বাতাস থেকে এই ‘ফ্লোগিসটন’ শোষণ করে নেয়, যে কারণে বাতাস আগুনে পোড়ে না। এই থিউরি অনুযায়ী বদ্ধ জায়গায় কোন পদার্থকে আগুনে পোড়ানোর সময় কিছুক্ষন পর আগুন নিভে যায় কারণ বাতাসের ‘ফ্লোগিসটন’ গ্রহণের একটা সীমা আছে। পদার্থ থেকে নিঃসৃত ‘ফ্লোগিসটন’ যখন এই সীমার চেয়ে বেশী হয় তখন বাতাস বাড়তি ‘ফ্লোগিসটন’ গ্রহণ করতে পারে না ফলে আগুন নিভে যায়।

১৭৭৪ সালে যখন জোসেফ প্রিসটলি অক্সিজেন আবিষ্কার করেন তখন তিনি অক্সিজেনকে ‘ফ্লোগিসটন’ শুন্য বাতাস মনে করেন। কারণ ঐ সময় বিজ্ঞান বলতো যে বাতাসে ‘ফ্লোগিসটন’ কম থাকলে দহন বেশী হবে এবং বাতাস ‘ফ্লোগিসটন’ দ্বারা পূর্ণ হয়ে গেলে দহন বন্ধ হয়ে যাবে। ১৭৭৫ সালে ফরাসী বিজ্ঞানী এন্টোনি লরেনট ল্যাভইসিয়ার অক্সিজেন সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ করতে সমর্থ হন এবং তারপর থেকে ‘ফ্লোগিসটন’ নামক এই কাল্পনিক বস্তুর ধারণা বিলুপ্ত হয়।

প্রায় ১০৮ বছর ধরে (১৬৬৭ থেকে ১৭৭৫ সাল পর্যন্ত) বিজ্ঞান এইভাবে আমাদেরকে জানিয়েছে, যে কোন বস্তুর মধ্যে থেকে ‘ফ্লোগিসটন’ নামক একটি পদার্থ নিঃসরণের কারণে আগুন জ্বলে। আসলে পরবর্তীতে জানা গেছে যে এই আবিষ্কার সম্পূর্ণ ভুল। আসলে ‘ফ্লোগিসটন’ নামে কোন পদার্থ নাই। প্রকৃতপক্ষে বাতাসে বিদ্যমান অক্সিজেন নামক গ্যাসের সহায়তায় আগুন জ্বলে। অথচ ঐ যুগে এই ভুল ধারণার উপর নির্ভর করে আরও অনেক গবেষণা কর্ম পরিচালিত হয়েছে।

বস্তুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণ সম্পর্কে ভুল ধারণাঃ

উপরে বলেছি যে ১৬৬৭ সালে থেকে ১৭৭৪ সাল পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বলতো যে পদার্থ থেকে ‘ফ্লোগিসটন’ নামক বস্তুর নিঃসরণের কারণে আগুন জ্বলে। তখন এই কথাও বিজ্ঞানীরা বলতো যে বস্তুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণও হোল এই ‘ফ্লোগিসটন’ নামক পদার্থ। কিন্তু আমরা জানি যে পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়েছে যে ‘ফ্লোগিসটন’ নামে কোন বস্তু বা উপাদানের অস্তিত্ব আসলে নেই।

ফরাসী বিজ্ঞানী এন্টোনি লরেনট ল্যাভইসিয়ার ১৭৮৩ সালে তাপের কারণ সম্পর্কে একটি নতুন ধারণা নিয়ে আসেন। তিনি বলেন যে ‘ক্যালরিক’ নামক একটি সূক্ষ্ম তরল পদার্থের কারণে বস্তুর তাপমাত্রা বাড়ে বা কমে। তিনি আরও বলেন যে এই বিশ্বজগতে ক্যালরিকের পরিমান নির্দিষ্ট, অর্থাৎ এটার বৃদ্ধি বা হ্রাস হয় না এবং এই ক্যালরিক গরম বস্তু থেকে ঠাণ্ডা বস্তুতে প্রবাহিত হয়। ১৮৪৩ সালের দিকে নতুন আবিষ্কৃত থারমোডাইনামিক্স থিউরির ভিত্তি যখন মজবুত হয় তখন বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন যে আসলে ক্যালরিক বলে কোন পদার্থের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নাই। বরং তাপ প্রকৃতপক্ষে একটি শক্তি। তাপ হলো পদার্থের অণুগুলোর গতির সাথে সম্পর্কযুক্ত এমন এক প্রকার শক্তি, যা কোনো বস্তু ঠান্ডা না গরম তার অনুভূতি জন্মায়। কোন মাধ্যম ছাড়াও বিকিরণের মাধ্যমেও তাপ প্রবাহিত হতে পারে। সূর্যের তাপ মহাশূন্যের মধ্যে দিয়ে বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে পৌঁছে। তাপ সম্পর্কে এই নতুন আবিষ্কারের পিছনে যেসব বিজ্ঞানীর অবদান আছে তারা হলেন রামফোরড, লাভইসিয়ার এবং জেমস প্রেসকট জুল।

উপরের আলোচনা থেকে এটা বলা যায় যে ১৬৬৭ সাল থেকে ১৮৪৩ সাল পর্যন্ত তাপ ও বস্তুর দহন সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা দুইবার ভুল আবিষ্কার করার পর ১৮৪৩ সালে তাপ সম্পর্কে তাদের আধুনিক থিউরিতে পৌছাতে সমর্থ হন। এই সময়ে দুইটা কাল্পনিক বস্তুকে তারা তাপের কারণ বলে উল্লেখ করেন।

সূত্র - Phlogiston theory
oxygen
তাপ
History of thermodynamics
Caloric theory
Superseded theories in science

ছবি- vox.com

মন্তব্য ৯৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৯৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:১১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রদান করে থাকেন যা পরবর্তী সময়ে ভুল প্রমাণিত হয়। আলোর ব্যাপারেও ইথার নিয়ে একটা তত্ত্ব ছিলো।কিন্তু সেটাও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এগুলো নিয়ে গবেষণা করার কারণেই এসব তত্ত্ব ভুল না সঠিক সেটা প্রমাণিত হয়।

২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইথারও পরবর্তীতে কাল্পনিক বস্তু হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। ভুল প্রমাণিত হওয়ার আগে সেই ভুল আবিষ্কারগুলিই বিজ্ঞানের ভিত্তি হিসাবে গণ্য করা হতো। যুক্তি ও হিসাব নিকাশেরও ভুল হয় এটাই প্রতিয়মান হচ্ছে। ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর তথ্য।

তবে, আমি মনে করি, বিভিন্ন সূত্রের এসব ভুল মানব সভ্যতা বা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য কোনো অন্তরায় না। বরং, বিজ্ঞানের গতি যে থেমে নেই, তাই প্রমাণ করে, যার ফলে এসব ভুল-ভ্রান্তি ধরা পড়ে, কিছু বাতিল হয়, কিছু সংশোধিত হয়। ক্লাস নাইন-টেনে থাকার সময় একবার আমার এক ক্লাসমেট আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো- নিউটনের ৩য় সূত্রে একটা ভুল পাওয়া গেছে। আমি একটুখানি চিন্তা করে বললাম - তাহলে কি এখন বিমান চালানো আর সম্ভব হবে না? :) যদিও পরবর্তীতে এই ৩য় সূত্রের ভুলচুকের ব্যাপারে কোনোকিছু পাই নি।

বিজ্ঞানে আরো অনেক ভুল ধারণার অবসান হয়ে নতুন নতুন ধারণার জন্ম হয়েছে। আশা করি সেগুলোর ব্যাপারেও লিখবেন।

শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানিরাও যে ভুল করে এটাই আমি দেখাতে চেয়েছি। এই ভুলগুলি অনেক সময় বহু বছর পর্যন্ত চলেছে এবং এগুলির উপর ভিত্তি করে নতুন গবেষণা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বিজ্ঞানিদের এই সব কাল্পনিক পদার্থের আবিষ্কার হাস্যকর। কারণ পরবর্তীতে যেগুলি ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।

কোয়ান্টাম মেকানিকস আসার পর নিউটনের থিউরিগুলি কোয়ান্টাম জগতের জন্য অকেজো হয়ে গেছে। এটাই নিউটনের সুত্রগুলির সীমাবদ্ধতা।
ভুল ত্রুটির মাধ্যমেই সত্যকে জানা যাবে। বিজ্ঞানের অনেক থিউরি এখনও কমপ্লিট না। আশা করা যায় ভবিষ্যতে কমপ্লিট হবে।

এই রকম আরও কিছু ভুল ও তার সংশোধন নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে। ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।

৩| ২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২১

জটিল ভাই বলেছেন:
করোনার ব্যাখ্যা সর্বশেষ যে কোথায় গিয়ে গড়ায়.........

২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: করোনা হয়তো বা মানব সৃষ্ট। কিন্তু সত্য কোন দিন জানা যাবে কি না সন্দেহ আছে। ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

শায়মা বলেছেন: ভুল করতে করতেই সবাই শিখে.....

বিজ্ঞানীরাও ....

২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভুল সবই ভুল এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা সে ভুল ........

আইজাক নিউটন মনের ভুলে তার বাগদত্তার আঙ্গুলকে সিগারেট মনে করে আগুন ধড়াতে গিয়েছিল। ফলে সেই প্রেমিকাকে হারাতে হয় তাকে। তাই ভুলের জন্য অনেক খেসারৎ দিতে হয়।

আরেকজন বিজ্ঞানী মনের ভুলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লাঠিটাকে দরজার পাশে রাখার পরিবর্তে নিজে দরজার পাশে দাড়িয়ে কাটিয়ে দিয়েছিলেন সারারাত। আর লাঠিটাকে বিছানায় শুতে দিয়েছিলেন।

টমাস আলভা এডিসন মুরগীর ডিমের উপর বসে বাচ্চা ফোটানোর চেষ্টা করেছিলেন ছেলে বেলায়।

বিজ্ঞানীরা মন ভোলা তাই তাদের ভুল মাঝে মাঝে হয়।

আপনি আশা করি ছবি প্রতিযোগিতার বিচারক হিসাবে ভুল করবেন না। আপনি বিচারক জানলে আমি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম।

৫| ২৫ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নতুন বলেছেন: এটাই বিজ্ঞানের মুল বিষয়।সবাই মিলে আস্তে আস্তে সত্যিটা খুজে বের করা হয়। যদি কখনো কিছূ ভুল প্রমানিত হয় তবে সেটা সবাই মেনে নেয়।

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। তবে অনেক সময় ভুল জিনিস বছরের পর বছর চলে এবং সেটাকেই সেই সময়ের জন্য চূড়ান্ত মনে করা হয়।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

শায়মা বলেছেন: হা হা হা

না না আমি ভুল করিনা তা নহে। তবে আমার যে কোনো কাজে ভুল যেন না হয় তার সর্বোচ্চ চেরেষ্টা করি। তবে আমি ভুল করে ভুল করি মাঝে মাঝে ...... এখনও সময় আছে শিঘ্রী যা খুশি তাই ছবি তুলে দিয়ে দাও দিয়ে দাও।

দেখি আমি ভুল করে ভুল করি আবার ...... হা হা হা

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমস্যা হোল আমার বিড়ালটা রাজি হচ্ছে না ছবি তুলতে।

৭| ২৫ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি বেড়েছে, বেড়েছে উন্নত থেকে উন্নততর যন্ত্র ও প্রযুক্তির সহায়তা তাই আগের ভুলগুলো চেনা গেছে। এখনকার
বৈজ্ঞানিক ভুলগুলোও (যদি থাকে) সামনের দিনগুলোতে আসা আরো আধুনিক প্রযুক্তির কল্যানেই চেনা যাবে।

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি, বিজ্ঞানে ভুল সংশোধন ও নতুন আবিষ্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে আমার মনে হয় বিশ্বের বৈজ্ঞানিকরা মারনাস্ত্র, পদার্থ, রসায়ন, টেকনোলজি এই সব নিয়ে যত গবেষণা করেন তার তুলনায় মানুষের রোগ ব্যাধি নিয়ে গবেষণা অপেক্ষাকৃত কম হচ্ছে। এখনও অনেক রোগের ভালো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি।

৮| ২৫ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জুন বলেছেন: মানুষ মাত্রই যে ভুল হয় সেই ধারনাই প্রমানিত হয় এখান থেকে সাড়ে চুয়াত্তর, সেটা সাধারন মানুষই হোক আর বিজ্ঞানীই হোক ।
তথ্যপুর্ন লেখায় +

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সাথে সহমত। সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং প্লাস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞান একটা চলমান বিষয় এবং বিজ্ঞান মনে করে চরম সত্য বলে কিছু নেই।আজকে যেটা সত্য কালকে সেটা মিথ্যা হতে পারে নতুন কোন সত্য জানার ফলে।কোন ধর্ম গ্রন্থে আমেরিকার কথা লেখা নেই।কারন সেই সময়কার মানুষ জানতো না এমন একটা দেশ আছে।এইতো সেদিন পর্যন্ত মানুষ জানতো না পৃথিবী গোল,এখন সবাই জানে, এমন কি আমাদের মসজিদের মোল্লাও জানে।নতুন জানার ফলে পুরনো জানা মিথ্যা হয়ে যায়।

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা তো ধর্ম নিয়ে পোস্ট না। ধর্ম বিরোধী কথা ছাড়া আপনি মন্তব্য করতে পারেন না। ধর্ম গ্রন্থ কি ভূগোলের বই যে আমেরিকার কথা লেখা থাকবে। দুই আর দুই যোগ করলে চারই হবে। একটা বৃত্তের পরিধি আর ব্যাসের অনুপাত ধ্রুব সংখ্যা। এগুলি চরম বৈজ্ঞানিক সত্য। এগুলি কখনই পরিবর্তন হবে না। পিথাগোরাসের সমকোণী ত্রিভুজ সংক্রান্ত সূত্র কখনও ভুল প্রমাণ করা যাবে না। কিছু বিষয় আছে যেগুলির ব্যাপারে বিজ্ঞান এখনও পুরোপুরি জানতে পারেনি। সেগুলি পরিবর্তন হতে পারে। কোয়ান্টাম মেকানিকস সংক্রান্ত অনেক কিছু জানা বাকি আছে। এই বিষয়ে থিউরিগুলিতে পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে।

১০| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্যতিক্রমী তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা। গল্পের ছলে পড়ে ভালো লাগলো। জানিনা করোনার ভ্যাকসিনের কপালে এই পোস্টের মতো ভবিষ্যৎ আছে কিনা.....

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানীরা দ্রুত আরও কার্যকর ও বিভিন্ন ধরণের করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করুক এই কামনা করছি। সারা বিশ্বের মানুষ চরম বিপদে আছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: করোনা মহামারীতে বিজ্ঞানের সাফল্য এখনো তেমন উল্লেখ করার মত নয

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানীদের এখন মানুষের রোগ ব্যাধির উপর গবেষণা জোরদার করা উচিত। পারমানবিক বোমা, মারনাস্ত্র এই সব বাদ দিয়ে মানুষের জন্য কল্যাণকর বিষয় নিয়ে গবেষণা করা উচিত। চিকিৎসাতে আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন আছে। করোনা মহামারী আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে এই বিষয়ে বিজ্ঞান এখনও পিছিয়ে। টিকা আবিষ্কার হলেও কতদিন কার্যকর থাকবে এটা বোঝা যাচ্ছে না। সব ধরণের করোনার টাইপের ক্ষেত্রে টিকা কার্যকর কি না এটাও দেখার ব্যাপার।

১২| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এইসব ভুল গুলো বিজ্ঞানকে পিছিয়ে দেয়নি বরং এগিয়ে দিয়েছে।

২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি বিজ্ঞান বিরোধী না। আমার বলার উদ্দেশ্য হোল যে বিজ্ঞানের বিভিন্ন থিউরি অনেক সময় অসম্পূর্ণ অবস্থায় থাকে। এখনও হয়তো অনেক থিউরি পূর্ণতা পায়নি। চূড়ান্ত জ্ঞান অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ঐ থিউরিকে বাইবেল মনে করা উচিত না।

১৩| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ৭:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: ৯৯% বিজ্ঞান যে স্বতসিদ্ধ সেটা বাদ দিয়ে আপনি ১% নিয়ে আছেন। কিন্তু ভুলগুলি এই বিজ্ঞান ই আবার সঠিক করেছে...

আপনি হয়ত মনে করেন যে বিজ্ঞান এ ভুল হয়, হয় কিন্তু 'অবিজ্ঞানে' ( কি বলতে চেয়েছি তা আপনি বুঝবেন বলেই মনে হয়) কোন ভুল নাই।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জনাব এইটা কোন ধর্ম সঙ্ক্রান্ত পোস্ট না। আমি বিজ্ঞানকে ভালবাসি ছোটবেলা থেকেই। আপনি অকারণেই প্রতিক্রিয়া দেখালেন। যে কোন বিষয়কে আগেই নেগেটিভভাবে দেখা ঠিক না। বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নাই। কিন্তু অনেকে বিজ্ঞানকে ঈশ্বরের পর্যায়ে নিয়ে গেছে এটাই সমস্যা। অনেক বিজ্ঞানীও আছেন যারা ধর্ম ও বিজ্ঞান একসাথেই চালাচ্ছেন।

১৪| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি একটা কমেন্ট করেছিলাম তাহা কি আপনি নিজ দায়িত্বে আপন মনে ডিলেট করে দিয়েছেন?

আমি কি কোন অন্যায় কথা বলেছি না কি অপ্রাসঙ্গিক কোন আলোচনার উদ্ভব ঘটিয়েছি। B:-)

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আপনার কোন মন্তব্য পাইনি এবং তাই মোছার কোন প্রশ্নই ওঠে না। ব্লগের কোন কারিগরি ত্রুটি বা অন্য কোন অজানা কারণে এমন ঘটতে পারে। আপনি পুনরায় মন্তব্য করলে নিজ দায়িত্বে খুশি হইতাম।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০৬

সাসুম বলেছেন: আপনার এই যে ক্রমাগত বিজ্ঞান বিরোধী পোস্ট আর মনোভাব- এটা কেন সেটা একটা ক্লাস ১ এর বাচ্চাও বুঝতে পারে। আপনি বার বার করে এসব করে প্রমান করতে চাচ্ছেন- বিজ্ঞান যা বলে তা আজ হোক আর কাল হোক সেটা ভুল হতেই হবে। সো বিজ্ঞান কে মানার কোন দরকার নাই।

বিজ্ঞান একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং এটা একদম ক্লিয়ার- এর সাথে ধর্মের আশে পাশের কোন মিল নেই। ধর্ম যেখানে বিজ্ঞান সেখানে নাই। বিজ্ঞান কেন আজকের এই যায়গায় সেটা বুজতে পারছেন? কারন এর ক্রমাগত উন্নতি এবং নিজে এখন যেখানে আছে সেখান থেকে আরো সাম্নের দিকে যাওয়া। এই কারনেই আজকের থিউরি ১০০ বছর পর ভুল হতে পারে এবং বিজ্ঞান সেটা মানবে। আপনার ধর্ম গ্রন্থ মানবে?? নিজেকে সেরা বলে যে তার মত বোকা আর কেউ নেই কারন এটা একটা ভুল জিনিষ।

এপোলো ১১ এর পুরা মিশন এর কম্পিউটার পাওয়ার এর চেয়ে আপনার হাতের মোবাইল টার কম্পিউটার পাওয়ার বেশি। এটা সম্ভব হয়েছে উন্নতির দিকে যাওয়ার কারনে আর পুরানা মিথ কে আকড়ে ধরে না রাখার কারনে। ধরুন হুট করে বিজ্ঞান যদি আজ ঘোষণা দেয়- তাদের সব কিছু আবিস্কার শেষ এবং তারা একটা বই বের করে বল্লো এটাই আগামী মানুষের জন্য বিজ্ঞান গ্রন্থ। এটা বললে আপনি যেমন হাসবেন তেমনি ধর্ম গ্রন্থ ও একটা হাস্যকর জিনিষ। কারন জ্ঞান বা উন্নতি ক্রমাগত হবেই। এটা আটকে রাখার উপায় নেই।

কিন্তু আপনি যে কথাটা লিখেন নাই পোস্টে বাট বুঝাতে চাচ্ছেন সেটা হল-
কোন এক গ্রন্থে যে সব গল্প কাহিনী লেখা আছে সেসব একদম সঠিক এবং পুরোপুরি আইন সম্মত ও নিয়ম সম্মত। অথচ- ধর্ম আর মিথ আমাদের কে টেনে নিয়ে যায় হাজার বছর পেছনে আর জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে যায় সাম্নের দিকে । সময় প্রবাহমান একটা জিনিষ । দুনিয়ার নিয়ম সাম্নের দিকে যাওয়া অথচ ধর্ম টানে পেছন দিকে।

আপনি যদিও লিখতে চান না বা প্রকাশ করতে চান না বাট বার বার করে ধর্ম আর বিজ্ঞান এর মধ্যে ঝগড়া আর তুলনা নিয়ে আসেন। এসব আসলে আপনার মত সিরিয়াস লেখক দের কাছ থেকে হাস্যকর। এগুলা কম শিক্ষিত ফেবু চেলেব্রিটি দের মানায়। আপনাকে না।


আপনার পোস্টে কোন ভুল নেই, আপনার পোস্টের পিছনের কাহিনী তে ভূল।

ভাল থাকুন স্যার

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে। পোস্টগুলি না মুছলেও পারতেন। ওগুলি আপনার ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ছিল যা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। আমি কখনও মনে করি না যে বিজ্ঞানকে মানার দরকার নাই। আমার বলার উদ্দেশ্য হোল যে আমরা বিজ্ঞানের থিউরিগুলির ব্যাপারে আরও সতর্ক হবো। সব থিউরি এখনও কমপ্লিট এটা বলা যাবে না। তাই বিজ্ঞানের এই ধরনের থিউরির উপর ভিত্তি করে যখন আমরা বিতর্ক করবো তখন আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিজ্ঞানের কথা আজ হোক বা কাল হোক ভুল প্রমানিত হবে এমন বিশ্বাস আমি করি না। বিজ্ঞানের অসম্পূর্ণ থিউরিগুলিতে পরিবর্তন আসার সম্ভবনা আছে এটাই আমি বলতে চাই।

আপনিই বলেন আল্লাহ প্রদত্ত কোন বাণী কি ভুল হতে পারে? ইসলামের অনেক ব্যাপার আছে যা আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানের কারণে অবিশ্বাস মনে হয়। কারণ বিজ্ঞান সেই পর্যায়ে এখনও যেতে পারেনি। হয়ত একদিন যাবে।

বিজ্ঞানের ক্রমাগত অগ্রগতির আমি প্রশংসা করি। কিন্তু বিজ্ঞান যে, সব ক্ষেত্রেই নির্ভুল এটা আমি মানি না। বিজ্ঞানের অসম্পূর্ণ থিউরি পরিবর্তন হতে পারে এটাই আমি মনে করি।

বিজ্ঞান বলে যে প্রানের উৎপত্তির জন্য পানি একটা শর্ত। কিন্তু ইসলাম বলে যে আগুনের তৈরি জীবও আছে। আলোর তৈরি জীবও আছে। বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি দিয়ে এদেরকে এখন দেখা যাচ্ছে না। সামনে দেখা যাবে আশা করি। জীনরা জঙ্গলে থাকে বেশী। তাই অকারণে জঙ্গলে যাবেন না। এই ব্লগে জীন নিয়ে অনেক পোস্ট আছে, যারা জীন দেখেছেন বা জীনের কথা শুনেছেন। বিজ্ঞানও হয়ত একদিন এদের অস্তিত্ব মেনে নেবে। আসলে বিজ্ঞান এখনও শিশু।

আমি সিরিয়াস লেখক হলেও হিউমার খুব পছন্দ করি। এই কারণে জীনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলাম। গত বছর এই জীন নিয়ে অনেক তোলপাড় এবং মজা হয়েছিল। আপনি মনে হয় মিস করেছেন। আল্লাহ আপনাকে ইসলামের সহি বুঝ দান করুক এই কামনা করছি। আমিন।

১৬| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: সব ঠিক আছে। তবে বিজ্ঞান ভক্তরা এটা স্বীকার করে না যে বিজ্ঞানের যেইসব আবিষ্কার নিয়ে এরা ধর্মের সাথে কনফ্লীক্ট করে সেগুলি চিরন্তন না। সমস্যাটা এখানেই। এরা ক্ষণস্থায়ী জিনিস নিয়ে বেহুদা তর্ক করতে আসে।
দুইদিন পরেই সেইগুলি ভুল প্রমানিত হতে পারে।
শ্বাশত শুধু সৃষ্টিকর্তার বাণী, বাকি সবই সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল।

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার পোস্টের সারাংশ আপনার মন্তব্য। যদিও আমি ইচ্ছে করেই ধর্মকে এড়িয়ে গেছি। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৭| ২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিজ্ঞান যেহেতু মানুষের আবিষ্কার ও গবেষণার ফসল তাই ভুল হতেই পারে আর ভুল থেকে সংশোধন করতে পারে তাই বলে এ নিয়ে পোস্ট দিলে সে বিজ্ঞান বিরোধী হয়ে যাবে একজন ব্লগার কিভবে এটা ভাবতে পারে আশ্চার্য। সুন্দর পোস্ট +++++++

২৬ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারও একই কথা। বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত এত উপকরণ আমরা ভোগ করছি। তারপরও কিভাবে বিজ্ঞান বিরোধী হওয়া সম্ভব। অনেকে মনে করেন ধর্মকে যারা মানার চেষ্টা করে তারা বিজ্ঞান বিরোধী। প্লাস দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে ধর্ম আর বিজ্ঞানকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না। পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানী আছেন যারা ধর্মে বিশ্বাস রাখেন।

১৮| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। তবে অনেক সময় ভুল জিনিস বছরের পর বছর চলে এবং সেটাকেই সেই সময়ের জন্য চূড়ান্ত মনে করা হয়।

আমাদের বোঝার ভুলের কারনে অনেক সময় মানুষ বিজ্ঞানের ফ্যাক্ট, থিউরি, হাইপোথিসিস এবং ল এর অর্থ না বুঝে গুলিয়ে ফেলে তারা তাদের মতন করে ব্যখ্যা দাড়া করায়। যেটা নিয়ে চায়ের দোকানে বিরাট আলোচনা হয়।

https://www.youtube.com/watch?v=lqk3TKuGNBA



ওয়াজেও তাদের মতন করে ব্যখ্যা করে।

কোন বিজ্ঞানী কিন্তু হাইপোথিসিস কে থিউরি বা ল বলে চালিয়ে দিতে চাইবেনা। সাধারন মানুষ গুলিয়ে ফেলে এবং মনে করে বিজ্ঞান এইগুলিকে থিউরি বা ল হিসেবে দাবি করেছে।

কিন্তু একটু চিন্তা করুন যে ধর্মের বই গুলির কাহিনি সব গুলি সত্য হয় কিভাবে?

গনেশের হাতির মাথা, আঙ্গুলের ইসারায় চাদ টুকরা হওয়া, ইউনুস আ: মাছের পেটে ৪০ দিন থাকা, ইসা আ: এর কুমারী মাতার গর্ভে জন্ম হতে হলে কতগুলি অসম্ভব জিনিস ঐ সময়ের জন্য সম্ভব হতে হবে?

২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বৈজ্ঞানিক 'ল' ও অনেক সময় সীমাবদ্ধতা প্রদর্শন করে। নিউটনের বিখ্যাত তিনটি 'ল' ও অনেক ক্ষেত্রে কাজ করে না। উইকিপিডিয়া থেকে তুলে দিলাম।

These three laws hold to a good approximation for macroscopic objects under everyday conditions. However, Newton's laws (combined with universal gravitation and classical electrodynamics) are inappropriate for use in certain circumstances, most notably at very small scales, at very high speeds, or in very strong gravitational fields. Therefore, the laws cannot be used to explain phenomena such as conduction of electricity in a semiconductor, optical properties of substances, errors in non-relativistically corrected GPS systems and superconductivity. Explanation of these phenomena requires more sophisticated physical theories, including general relativity and quantum field theory.

আগে ধারনা করা হতো যে নিউটনের ল সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ যোগ্য। কিন্তু এখন বিজ্ঞানীর বলছেন যে অতি দ্রুতগতির কোন পদার্থ ( আলোর গতির কাছাকাছি), শক্তিশালী গ্র্যাভিটেশনাল ফিল্ডের ক্ষেত্রে নিউটনের ল কাজ করে না। ফলে সেমি কনডাকটরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন, বস্তুর অপটিকাল বৈশিষ্ট্য, নন-রিলেটিভিটি পদ্ধতির মাদ্ধমে সংশোধিত জিপিএসের ভুল এবং সুপার কনডাকটিভিটির ক্ষেত্রে নিউটনের ল গুলি কাজ করে না। এইগুলির ক্ষেত্রে জেনারেল রিলেটিভিটি এবং কোয়ান্টাম ফিল্ড থিউরির সাহায্য নিতে হয়।

১৯| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

সাসুম বলেছেন: আপনার পোস্টে কমেন্ট করতেই ভয় লাগে। আপনার এই সব ভুল অপবিজ্ঞান মার্কার সহমত ভাইদের কারনে।

যাই হোক- আমার উপরের মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে বলেছেন- পানি ছাড়াও জীবন থাকতে পারে। ইভেন আগুন বা আলোর তৈরি জীবন ও আছে। এই যে একটা ভয়াবহ গালগল্প কে কোন ধরণের যুক্তি বা প্রমান ছাড়া প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছেন এটাই ধর্ম আর যুক্তির মধ্যে প্রধান ঝামেলা তৈরি করে।

এই দেখুন- পানি হল সকল প্রাণের একমাত্র কমন জিনিষ। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে কেন? এটার সাথে জড়িত আছে বায়োলজি আর কেমেস্ট্রি। প্রতিটা প্রাণ বা লাইফ ফর্ম ক্যামিকেল ইন্ডিউজড।

প্রতিটা প্রাণের প্রতিটা লিভিং সেল ফ্লুইড মিডিয়ামে তৈরি। এটাকে সাইটোপ্লাজম বলে। এই সাইটোপ্লাজমে শুধু পানি থাকে না- থাকে প্রোটিন, ডি এন এ, সুগার, সল্ট, ফ্যাটি এসিড ও হরমোনের সমন্বয় । পানি হল- ম্যাট্রিক্স ও সায়েন্স।

মলিকুলার বায়োলজির শুরু থেকে আমরা একটা জিনিষ ই দেখে আসছি - পানি আর পানি। যেদিকে তাকান না কেন- চারদিকে পাবেন প্রোটিন, জীন, যেগুলা আবার পরিপূর্ণ হয়ে আছে নিক্লিক এসিড ভিত্তিক ডি এন এ তে। বাট এই ডিএনএ একটা মাধ্যম মাত্র। প্রকৃত বায়োলজি হল- এই সকল মলিকিউল এর পানির সাথে ইন্টারেকশান। এটাই লাইফ বা প্রাণ বলে আপ্নারা বুঝে থাকেন।

প্রাণ বা জীবনেরর জন্য একটা ক্যামিকেল সল্ভেন্ট মাস্ট লাগবেই। এখন এই ক্যামিকেল সল্ভেন্ট কে আবার সচল বা এক্টিভ হতে হবে, ডাইভার্স হতে হবে এবং ফ্লেক্সিবল রোল পালন করতে পারতে হবে। এখন পর্যন্ত দুনিয়ায় আবিস্কার করা লিকুইড পানির পক্ষেই সম্ভব এই সব ফুলফিল করা সো একমাত্র পানি ছাড়া জীবন অসম্ভব। যার কারনে বিজ্ঞানী দের দুনিয়ায় একটা কথা প্রচলিত আছে- ফলো দা ওয়াটার। ধরেন আপনি কোন এক মরূভূমি তে বা অজানা যায়গায় হারিয়ে গেছেন। কোন খাবার বা বসবাস বা বেঁচে থাকার কিছু নেই। আপনার প্রথম ও একমাত্র কাজ- সার্চ দা ওয়াটার, ফলো দা ওয়াটার। কারন- সকল প্রাণের জন্য পানি একমাত্র কমন অপরিহার্য্ জিনিষ।

দেখবেন- নাসা বা এস্ট্রোনমি তে সবাই অন্য গ্রহে প্রাণ খোজার সময় একটা জিনিষ ই সার্চ করে- পানি বা ওয়াটার। দেখবেন না কেউ খোজ করছে আলো বা আগুন। কারন আলো বা আগুন এর গল্প দিয়ে বিজ্ঞান চলে না। এখন আবার বলতে আইসেন না প্লীজ- বিজ্ঞান এর চেয়ে আপনি বেশি জানেন। আপনি চাইলে পড়তে পারেন- Life's Matrix: A Biography of Water- by Philip Ball

বিজ্ঞানের কিছু জিনিষ আছে- প্রমাণিত সত্য। আপনি সারা জীবন চেস্টা করলেও সে সত্য চেঞ্জ করতে পারবেন না। সো আপনি যখন বলেন- পানি জীবনের একমাত্র সত্য নয় এবং বিজ্ঞান এই বিষয়ে শিশু তখন হাসি আসা ছাড়া আর কি করা যায়??

আপনার মতই শত শত লক্ষ লক্ষ লোক জন প্রতিবছর মহাসমারোহে বিবর্তন বাদ ভূল জিনিষ - এই মতবাদ প্রতিষ্টা করার চেস্টা করে যাচ্ছে। তাতে একমাত্র তারাই অর্গাজম লাভ করছে। তাতে কি বিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান এই হাইপোথিসিস এর কিছু আসে যাচ্ছে? তাতে করে কি বিজ্ঞান পিছিয়ে যাচ্ছে? এই যে অপবিজ্ঞান কে প্রতিষ্ঠা এর চেস্টা এতে করে বিজ্ঞানের ক্ষতি হচ্ছে না, ক্ষতি হচ্ছে তাদের যারা ধর্ম কে বিজ্ঞান এর প্রতিদন্ধী ভাবে এবং এটা নিয়েই আমি গত ১ যুগ ধরে বলে আসছি। এই কারনে মোসলমান রা পিছিয়ে রয়েছে- কারন তারা কিভাবে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করবে যেখানে বিজ্ঞানের সবচেয়ে কমন প্রমানিত সত্য ( পানিময় জীবন) তারা বিলিভ করে না??

আর এই ব্লগে না শুধু- জীন এর গল্প সারা দুনিয়ায় প্রচলিত। মানুষ আজকের এই পর্যায়ে আসার পেছনে- এই গল্প গাঁথা বা মিথ এর একটা কঠিন প্রভাব রয়েছে। সো- যারা জীন দেখেছে বা জীন কে বোতল বন্দি করে খেলাধুলা করে বা এইসব বিলিভ করে তারাও সমাজের একটা বিশাল অংশ। এই সব মিথ বা গল্প গাঁথা ও তাদের ডেইলি এন্টারটেইনের একটা উৎস।

আপনি আমার জন্য কামনা করেছেন আমার যাতে সহীহ বুঝ আসে। এই ধরনীতে সহীহ বুঝ বলতে কিছু নেই। সব কিছু চলে লজিক বা যুক্তি দিয়ে। বায়োলজির এর ডিএনএ এর সিকোয়েন্স থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক বিজ্ঞান এর সবচেয়ে বেসিক কম্পিটিউশনাল ইকোয়েশান বা ইলেক্ট্রনিক্স বাইনারি গেইট- সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় লজিক দিয়ে। লজিক ই জ্ঞানের শেষ কথা। এই কারনে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় আমি সব সময় একটা বিষয় ফলো করি- ফলো দা লজিক।

২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান যেহেতু এখনও আসলে শিশু ফলে বিজ্ঞান আগুন ও আলোর তৈরি প্রানির অস্তিত্ব খুজে পাচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে খুজে পাবে বলে আশা করি। পানি থেকে যে পৃথিবীর জীবের সৃষ্টি এই কথা কোরআনেও আছে। তবে পৃথিবীর বাইরের জীবের ক্ষেত্রে পানি প্রয়োজন না ও হতে পারে। পানি ও জীব সম্পর্কে আপনার দাবিগুলি পৃথিবীর পরিবেশের জন্য উপযোগী।

বিবর্তন কোন হাইপথিসিস না এটা এখন একটা থিউরি। আল্লাহ বিদ্যমান প্রজাতির সাথে মিল রেখেও মানুষকে দুনিয়াতে পাঠাতে পারেন। তাই বিবর্তনবাদ কোন সমস্যা না।

আপনাকে জীনে ধরে নাই তাই আপনি জীন বিশ্বাস করছেন না। ধরলে নিশ্চয়ই বিশ্বাস করতেন। এই ব্লগে অনেকের জীন নিয়ে ভয় ও মজার অভিজ্ঞতা আছে। আপনি চাইলে পড়ে দেখতে পারেন। এতে আপনার জীনে বিশ্বাস বাড়তে পারে এবং আনন্দও পাবেন। তবে জীনকে বোতলে আটকানো ঠিক না। কারণ ওরাও আমাদের মত স্বাধীন জীব।

লজিক দিয়ে বিজ্ঞান চলে বুঝলাম। কিন্তু দুঃখজনক হোল তারপরও বারবার ভুল করে। বিজ্ঞানীরা মন ভোলা, ফলে প্রায়ই ভুল করে।

২০| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

নতুন বলেছেন: লজিক ই জ্ঞানের শেষ কথা। এই কারনে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় আমি সব সময় একটা বিষয় ফলো করি- ফলো দা লজিক।

এই জিনিসটাই মানুষ বুজতে পারেনা। কিছু মানুষ অলৌকিকতার জন্য মুখিয়ে থাকে। যদিও আমাদের চারিপাশে অলৌকিক কিছু ঘটেনা।

আগের দিনে মানুষকে ধোকা দিতো অলৌকিক কিছু দেখিয়ে এখন এমনটা খুবই কম ঘটে আমাদের চারিপাশে। মানুষ ইন্টারনেটের কল্যানে অনেক সচেতন হচ্ছে।

কুসংস্কার দুর হবে আলো আসবেই।

২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুঃখজনক ব্যাপার হোল লজিক আর গানিতিক হিসাব নিকাশ করার পরও বিজ্ঞান অনেক সময় ভুল করে। তবে সামনে আরও অনেক কিছু আবিষ্কার হবে। আগুন ও আলোর তৈরি জীবও হয়ত বিজ্ঞান একদিন আবিষ্কার করবে। মৃত মানুষকে জীবিত করতেও বিজ্ঞান পারবে বলে মনে হয়। ইসলামে এই ব্যাপারে কিছু ইঙ্গিত আছে। ইসা (আঃ) মৃতকে জীবিত করতেন আল্লাহর নির্দেশে।

২১| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:১১

লর্ড ভ্যারিস বলেছেন: বিজ্ঞানে তো কোনখানে বলা নাই যে সবকিছুই ধ্রুব সত্য! বিজ্ঞান ব্যাপারটাই পরিবর্তনশীল। দুনিয়ার সবই পরিবর্তন ধরেই চলে। কোন ব্যাপারে আজকে একটা কথা বললে দুদিন পর সেটার অন্য লজিক আসতেও পারে আবার নাও আসতে পারে৷ এইটাই বিজ্ঞানের নিয়ম। এই পরিবর্তনশীল অবস্থা নিয়েই বিজ্ঞান, এতো অগ্রগতি এই কারণেই। আপনার কথায় মনেহচ্ছে অলৌকিক কথাই একমাত্র অপরিবর্তিত থাকে তাই বিজ্ঞানকে অপশনাল ধরে কিছু ফতোয়া নিয়ে থাকতে হবে!

২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানে সব কিছু পরিবর্তনশীল না। দুই আর দুই চার হয়। এটা ধ্রুব সত্য। একটি বৃত্তের পরিধি আর ব্যাসের অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। পৃথিবী চ্যাপ্টা না এটা ধ্রুব সত্য ( এক সময়ের বিজ্ঞানীরা একে চ্যাপ্টা বলত)। বিজ্ঞানের অধিকাংশ আবিষ্কার আর পরিবর্তন হবে না। বিজ্ঞানের কোন বিষয়ের উপর ১০০% নির্ভর করা যাবে আর কোন বিষয়ের ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নিতে হবে এটা আমাদের বুঝতে হবে। তবে সকল জ্ঞানের উরধে আল্লাহ প্রদত্ত কোরআনের বাণী। এখানে কোন ভুল নেই। বিজ্ঞান অপরিপক্বতার জন্য অনেক বিষয়কে হয়তো ভুল মনে করছে। বিজ্ঞান যখন আরও জ্ঞানী হবে তখন এগুলিকেও মানবে।

২২| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

সাসুম বলেছেন: বিজ্ঞানীরা মনভোলা তাই তারা ভুল করে বার বার আর কোন এক ধর্ম প্রণেতা সব জানে তাই তার ধর্ম গ্রন্থের কোন ভুল নেই। এই বিশ্বাস করে আপনি কি করে বিজ্ঞান কে বিলিভ করেন??? এটা তো আপনার আসল ও আদি বিশ্বাস এর সাথে কনফ্লিক্ট করে।
আপনি কি করে এই বিশ্বাস ধরে রেখে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করবেন?? কারন আপনি যাই করতে চাইবেন তাই তো ভুল বা ভুল হতে পারে!! কারন আপনি জানেন একমাত্র উপরে মিথ বা গল্প আকারে প্রচলিত বিধাতা সঠিক। আপনি যা করতে চাইবেন সব ভুল।

আর আপনি বিবর্তন বাদ মেনে নিলে তো আরেক সমস্যা! কারন আপনার ধর্ম গ্রন্থ বলেন- হুট করে কোন এক আকাশের বেহেশ্ত থেকে এডাম এবং ঈভ মতান্তরে আদম ও হাওয়া কে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে। বিবর্তনবাদ বলে- মানুষ ইভালুশান এর মাধ্যমে এসেছে হুট করে নয়। আপনার বিশ্বাস আর বিবর্তন বাদ এক সাথে যায় না। আপনার আরো পড়ালেখা করা উচিত এই মর্মে এবং দিন শেষে এটা স্বীকার করে নেয়া উচিত আরিফ আজাদ এর মত- বিবর্তন বাদ একটা ভুয়া জিনিষ।

দেখেন- এই কারনে আমি বার বার করে বলেছি ও বলে যাই- ধর্ম কে যতদিন মোসলমান রা আলাদা রাখবে না জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা থেকে ততদিন তারা সারা দুনিয়া ভর মাইর খেয়ে যাবে এবং একদিন এই দুনিয়া থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন হবে। কারন- সারভাইভাল ইজ দা ফিটেস্ট।

আর সাইকোলজি নামে একটা বিষয় আছে। দুনিয়ার সকল সাইকোলজিস্ট একসাথে সুইসাইড করবে জীনে ধরা যদি সঠিক হয়ে যায়। কারন তাদের আর কোন কাজ থাকবে না, কোন জব থাকবে না। তখন সকল সাইকোলজিকাল পেশেন্ট এর একমাত্র গন্তব্য হয়ে যাবে ধর্ম প্রচারক রা। দোয়া দরুদ পড়ে খারাপ জীন গুলাকে তাড়িয়ে দিবে।

আমি খুব করে আশা করি, আমাকে বেশ কিছু জীন ভুতে এসে ধরুক। আমি একটু বিশ্বাস স্থাপন করি। যদ্দুর দেখি- জীন হোক আর ভুত হোক তারা শুধু ধর্মে বিশ্বাসী দের সামনে আসে বাট কোন টেকনোলোজি বা অবিশ্বাসী এর সামনে আসে না। জীন ভুত খালি অন্ধকার আর ছম ছম করা যায়গায় , গ্রামে জংগলে দেখা যায় বাট শহরে বা আলোতে দেখা যায় না। আফসোস


নিউটনের ল ভুল প্রমাণিতঃ আপনার এই উইকি থিউরি পড়ে আর নিউটনের ভুল ধরতে পেরে বিজ্ঞান মহলে সাড়া পড়ে গেছে। সকল দেশের সকল বিজ্ঞানী এই ভুল ধরতে পেরে জ্ঞান বিজ্ঞান সাধনা বাদ দিয়ে দলে দলে ইস্লামের পতাকা তলে চলে আসছে কারন তারা বুঝতে পেরেছে একমাত্র ইসলাম ই আসল ও সত্য। বাকি সব জ্ঞান বিজ্ঞান ভুয়া।

২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানীরা মন ভোলা এটা মজা করে বলেছি। বিজ্ঞানের ছাত্ররা অনেক সময় ফান ধরতে পারে না। কারণ সব কিছুতে তারা লজিক খোঁজে। আল্লাহ অন্য প্রজাতির সাথে মিল রেখেও মানুষকে পৃথিবীতে পাঠাতে পারেন। মানুষকে অন্য প্রজাতি থেকে জৈবিক প্রক্রিয়ায় মানুষ হতে হবে, এমন না ও হতে পারে। বিবর্তনবাদ সত্য তবে বিবর্তনবাদকে এড়িয়ে আল্লাহ মানুষকে অন্য প্রজাতির সাথে মিল রেখে পৃথিবীতে পাঠাতে পারেন। হজরত ইসা (আঃ) পিতা ছাড়া জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাই অনেক কিছুই সম্ভব। বিজ্ঞানের অপরিপক্ক জ্ঞানে এখনই সব কিছু জানা সম্ভব না। ভবিষ্যতে পারবে।

মুসলমানরা অতীতে বিজ্ঞানে ভালো করেছে। মাঝখানে নিজেদের দোষে পিছিয়ে পড়েছে। সামনে আবার ভালো করতে পারে। আমি আশাবাদী।

গ্রামে আমার পরিচিত একটা ছেলেকে জীনে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। কয়েক বছর পর আবার ফেরত দিয়ে গেছে। শহরে অনেক নির্জন বাড়িতে অনেক সময় জীন থাকে। জীন অনেক সময় কুকুর আর সাপের রুপ নিয়ে থাকে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।

নিউটনের ল কে আগে সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ধরা হত। এখন দেখা যাচ্ছে যে অনেক ক্ষেত্র ও পরিস্থিতিতে এই ল কাজ করে না। এই ল সম্পূর্ণ ভুল একথা কেউ বলে না। তবে এর সার্বজনীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

২৩| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪৯

সাসুম বলেছেন: আমি বিলিভ করি হাওয়া থেকে মানুষ জন্ম নিতে পারে। আমি আরো বিলিভ করি বাতাস থেকে গরু ছাগল ও জন্ম নিতে পারে। আমি একটা ধর্মে বিলিভ করি যে ধর্মে বলা আছে- কচু গাছ দিয়ে যুদ্ধ করে যুদ্ধবিমান কে নামিয়ে ফেলা যায়। আমার সেই বায়বীয় ধর্ম গ্রন্থে লেখা আছে- ছাগল দিয়ে হালচাষ করা হয়। আমার ধর্ম গ্রন্থ আমাকে জানিয়েছে- মানুষ বলে কিছু নেই সব ইলুশান বা মোহ। চারদিকে যা দেখছি তা কোন এক এলিয়েন দের সিমুলেশান মাত্র।

আমার উপরের কথা গুলো দিন রাত আমি প্রচার করতে থাকলে এবং সেটাকে সত্য বলে প্রমান করতে চাইলে - আপনি কি আমাকে পাবনা পাগলা গারদে পাঠাবেন নাকি আমার বিলিভ যেহেতু বলে এরকম হতে পারে তাহলে কোন একদিন হতে পারে এরকম আজগুবি কাজ এটা মেনে নিয়ে আমাকে পাগলামি কন্টিনিউ করতে দিবেন??


পিতা ছাড়া জন্মগ্রহনঃ সম্ভব। পার্থোনজেনেসিস এর মাধ্যমে পসিবল। বাট হিউমান এর মত কমপ্লিকেটেড মেরুদণ্ডী না। আর নিজে নিজে তো পসিবল ই না। একটা সাকসেসফুল হিউমান হতে হলে একটা পুরুষ ক্রোমোজোম ও একটা নারীর ক্রোমোজম লাগবেই। এটা সত্য। এটাই লজিক। সো আপনি যদি বিলিভ করেন ভার্জিন মেরি বা মরিয়াম কোন পুরুষ ছাড়া জন্ম দিয়েছে ইসাহ বা জেসাস কে তাহলে আর কিছু বলার নেই কারন এটা আপনার বিলিভ। এখন আপনি এটা আমাকে বিলিভ করাতে চাইলেই জোর করে সমস্যা । কারন তখন আপনাকে ও আমার বিলিভ করা বাতাস থেকে গরু ছাগল জন্ম নেয়া মানতে হবে যেখানে দুইটাই লজিক ছাড়া গালগল্প।

আপনার বাড়িতে যেই ছেলেরে জীনে ধরে নিয়ে গিয়েছিল গালগল্প পারে- সে একটা ঢাহা মিথুক। তারে সকাল বিকাল মান্দার গাছ বা গজারি গাছের ঢাল দিয়ে লুংগি খুলে পিটাইলে সঠিক তথ্য দিবে চুরি করে ধরা খাওয়ার পর কোন এলাকায় পালিয়ে গিয়েছিল বা কোন শহরে রিক্সা চালাইত। গাছের ডাল এইসব গল্পকারীদের জন্য একমাত্র সমাধান।

এইরকম লাল সালু রাই যুগে যুগে আমাদের কে সুপথে নিয়ে যায়।

আর কুকুর আমার বন্ধু , বিশ্বাসী প্রাণি। মানুষের চেয়েও। আমি সাপ ভয় পাই, তাই দূরে থাকি।

২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে সব কুকুরের গায়ের রঙ কালো সেগুলির মধ্যে কোন কোনটা জীন হতে পারে। অন্য রঙের কুকুরের ক্ষেত্রে সমস্যা নাই। জঙ্গলে দূর দিয়ে যাওয়া কোন সাপকে মারা উচিত না। কারণ এটা কোন ক্ষতি করছে না।

বস্তু শক্তিতে রুপান্তরিত হতে পারে। শক্তি বস্তুতে রুপান্তরিত হতে পারে কি না এটা নিয়ে গবেষণা চলছে। অনেক বিজ্ঞানী এটার সম্ভাব্যতার কথা বলছেন। এই লিঙ্কটা দেখেন Click This Link

যদিও চূড়ান্ত ফলাফল পেতে দেরি হতে পারে। তবে অসম্ভব না ও হতে পারে।

বাবা ছাড়া মা হচ্ছে হাঙ্গর - এই লিঙ্কটা দেখেন Click This Link

২৪| ২৬ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

এভো বলেছেন: আপনি কি আমাকে এই ব্যপারে ব্যাখা দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন. .

বিজ্ঞান বলে ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে বিগ ব্যাঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্ঠি হয়েছিল , এর ৮.৭ বিলিয়ন বৎসর পরে সূর্যের সৃষ্ঠি হয় এবং ৯ বিলিয়ন বৎসর পর পৃথিবীর সৃষ্ঠি হয় -- কিন্তু কোরান অনুযায়ী আল্লাহতালা সবার আগে পৃথিবী তারপর আকাশ মন্ডলি নক্ষত্ররাজি সৃষ্ঠি করেছেন , যদি তাই হয় তাহোলে পৃথিবীর জন্ম ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে হওয়ার কথা ।

এই বিষয়ে নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারি নি , কাইন্ডলি একটু সাহায্য করবেন


আল্লাহ পৃথিবী, গাছপালা প্রাণিজগত আগে সৃষ্টি করেছেন, এরপরে সপ্ত আকাশ বা মহাকাশ।

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২

তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
কুরআন ২ঃ২৯

২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে পৃথিবী ও বিশ্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুরাতে যে আয়াতগুলি আছে সেই আয়াতগুলিতে বর্ণিত ঘটনাগুলি একই ক্রমে ঘটেছে এটা বুঝায় না, যদিও অনেক ক্ষেত্রে আয়াতগুলি পরপর আছে। আরেকটা ব্যাপার হোল 'সুম্মা' শব্দ অনেক জায়গায় ব্যবহৃত হয়েছে যেটার অনেকগুলি অর্থ আছে। যেমন তারপর, তদুপরি, এতদ্ভিন্ন। দুইটা শব্দকে যুক্ত করতেও 'সুম্মা' ব্যবহৃত হয়। বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের ক্ষেত্রে এই শব্দটির প্রয়োগ পুরো অর্থ পরিবর্তন করে দিতে পারে।

পৃথিবী বা আসমানের সৃষ্টির ক্রম কোনও আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয় নাই। তাই বিজ্ঞানের সাথে সংঘর্ষ পূর্ণ এটা বলা যাচ্ছে না।

২৫| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৯

সাসুম বলেছেন: আপনার সাথে কথা বলে আরাম পাইনা। কি যে সব অদ্ভুত কথা মাঝে মধ্যে তুলে আনেন। কোন কুকুরের গায়ের রঙ বা লোম কালো হবে নাকি সাদা হবে এটা নির্ভর করে জেনেটিক্স এর উপর। আপনার জ্বিন জাতি বেছে বেছে সেই কালো কুকুর কেই কেন আক্রমণ করবে?

আর আমি আপনার বস্তু শক্তি রুপান্তর এর মেলোড্রামা টা অনেক দিন ধরেই বুঝার চেস্টা করছি। এত এত পড়ালেখা কইরা বুঝতে পারলাম না কি বলতে চাচ্ছেন এটা দিয়ে। আপনি যদি বিলিভ করেন কোন ৪ পেয়ে প্রানী যদি সেকেন্ডের কম সময়ে কোটি মাইল পারি দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে আবার কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ফিরে আস্তে পারে- তাইলে আমার কিছু বলার নেই।

কারন আধুনিক বিজ্ঞান যে কয়টা পর্যবেক্ষণ এর উপর দাঁড়িয়ে আছে তার অন্যতম হলো- আলোর গতি ধ্রুব। এটাকে বেইজ করেই চলছে। ( সান কোলাইডার হাইড্রনে আলোর গতির চেয়ে বেশি গতি পাওয়া একটা অবস্থা পাওয়া গেছে বাট এটা স্টেবল কোন কিছুনা যে এটার জন্য পুরা দুনিয়ার সব চেঞ্জ করে ফেলতে হবে।


আপনি এত দূর তো চিন্তা ভাবনা করলে খেই হারিয়ে ফেলবেন। এসব নিয়ে গবেষণা করার জন্য সেই সেক্টর এর স্পেশালিষ্ট আছে। তাদের কে না হয় কাজ করতে দেই ;)

আপনি আগে কালো কুকুরে কোন সমস্যা নেই, কালো কুকুরে জ্বিন ভুত এর থিউরির অপবিজ্ঞান থেকে মুক্ত হোন।

এসব করে নিজেকে বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনায় খেলো করে ফেলছেন। যদিও, আপনার সাথে কথা বলতে গেলে আমি নিজেই বেকুব বনে যাই। তারপরেও আপ্নার এই যে বিজ্ঞান কে দমিয়ে ধর্ম কে উপরে উঠানোর কঠোর চেস্টা এটাকে সাধুবাদ।

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন ধার্মিক তো তার ধর্মের কথাই বলবে। কালো কুকুরের ব্যাপারে এবং সাপের ব্যাপারে এভাবেই ইসলামে বলা আছে। আপনি যেহেতু বিশ্বাস করেন না তাই আপনার কাছে অস্বাভাবিক লাগছে। পৃথিবীতে এখনও বেশীরভাগ মানুষ ধর্ম বিশ্বাস করে। বিজ্ঞান নিয়ে আমার জানার আগ্রহ আছে তাই এইসব বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করার চেষ্টা করি। নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রকে আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটি ভুল প্রমাণ করেছে। যদিও নিউটনের সূত্র কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া একটা অ্যাপ্রক্সিমেট হিসাব দিতে পারে তাই অনেক ক্ষেত্রেই এটা এখনও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটার মৌলিক ভাবনার সমস্যা এবং ত্রুটি ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা জেনে গেছে। আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটিও ব্ল্যাক হলের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দিতে পারছে না বলে মনে করছে বিজ্ঞানীরা। তারা ধারণা করছেন কয়েক বছরের মধ্যেই আরও কোন নতুন থিউরি আসবে যেটা দিয়ে ব্ল্যাক হোলের সমস্যার সমাধান হবে। আপনি ভালো জানবেন এই ব্যাপারে।

২৬| ২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০১

ফড়িং-অনু বলেছেন: বিজ্ঞান ভুল প্রমানিত হলে তা বিজ্ঞান মেনে নেয়। বিজ্ঞান কখনেই ঘাড় ত্যাড়া করে বলে না সঠিক।

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান ভালো ছেলে। সে ঘাড় ত্যাড়া নয়।

২৭| ২৭ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: এখনো পর্যন্ত পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করে এটা ঠিক আছে।কিন্তু খুব কম সংখ্যক মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে।যেকোন ধর্মে বিশ্বাস করলে যদি আপনার চলে তবে আর কিছু বলার নেই।

২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আস্তিকতা প্রসঙ্গে বলেছি। অন্য ধর্মের মানুষ অন্তত একজন সৃষ্টি কর্তাকে বিশ্বাস করে। ফলে একজন নাস্তিকের চেয়ে তাকে ইসলামের বিধানের ব্যাখ্যা দেয়া সহজ। ইহুদি আর খ্রিস্টান ধর্মের সাথে ইসলামের মিল বেশী। এই কারণে কোরআনেও তাদের কথা আলাদাভাবে বলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। পৃথিবীতে শুধু মাত্র ইসলাম ধর্মই সঠিক ধর্ম। বাকিগুলি ভুল বা বিকৃত। সৃষ্টিকর্তা একজন হলে তার প্রেরিত বিধানও একটাই হবে।

একটা ক্লাসে ভালো ছাত্র কমই থাকে। তাই ইসলামের অনুসারীও কম।

২৮| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৩৮

এভো বলেছেন:
পৃথিবী বা আসমানের সৃষ্টির ক্রম কোনও আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলা হয় নাই। তাই বিজ্ঞানের সাথে সংঘর্ষ পূর্ণ এটা বলা যাচ্ছে না।
ভাই ২৪ নং কমেন্টে ক্রমভাবেই সৃষ্টির বিকাশ উল্লেখ করা হয়েছে , প্রথমে পৃথিবী তার পর গাছপালা জীব যন্তু তারপর নক্ষত্ররাজি । আপনি তফসির দেখতে পারেন । এখানে পরিষ্কারভাবেই বলা হয়েছে ।
আপনি বোলতে পারেন বা দাবি করতে পারেন বিজ্ঞান ভুল এবং এটা হয়তো পরে প্রমাণ হবে , তবে বিজ্ঞান ভুল ।
সর্বপোরি আপনি যে উত্তর দিলেন , সেটা যে কোন নাস্তিক হেসে উড়িয়ে দিবে ।
আমি আপনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম এই আয়াত গুলোর ব্যপারে নাস্তিকদের কথার উত্তর কি হতে পারে জানার জন্য কিন্তু আপনি যে উত্তর দিলেন সেটা আমি নিজেই গ্রহন করি নি , তাই এই কথা নাস্তিকদের কাছে বল্লে গায়ের কাপড় খুলে ফেলবে ।
ধন্যবাদ

২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যের শেষের তিন লাইনে সুরা বাকারার ২৯ নম্বর আয়াতের অর্থ আপনি বিকৃতভাবে লিখেছেন। এটার প্রকৃত অর্থ হবে

তিনি পৃথিবীর সব কিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, (1) তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেন (2) এবং তাকে (আকাশকে) সপ্তাকাশে (3) বিন্যস্ত করেন, তিনি সকল বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। ( সুরা বাকারা- আয়াত ২৯)

আপনি লিখেছেন -

তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
কুরআন ২ঃ২৯

আল্লাহ যখন বলেন যে তারপর তিনি আকাশের দিকে মনঃসংযোগ করেন তারমানে বুঝায় যে আকাশ আগে থেকেই ছিল। অন্যথায় কিভাবে আকাশের দিকে মনঃসংযোগ করলেন। কাজেই এই কথা দ্বারা প্রমানিত হয় না যে আল্লাহ বলছেন যে আকাশের আগে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এখানে আকাশ সৃষ্টির কথা এখানে উল্লেখ নাই বরং বলা হয়েছে যে সপ্তাকাশে বিন্যস্ত করেন। বিন্যস্ত করা আর সৃষ্টি করা নিশ্চয়ই এক জিনিস না। ৯ নং আয়াতে পৃথিবী সৃষ্টির ক্ষেত্রে আল্লাহ 'খালাক' শব্দটি ব্যবহার করেছেন কিন্তু ১২ নং আয়াতে যখন বলেন 'অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন' তখন 'খালাক' শব্দ ব্যবহার করেন নি। সৃষ্টি করা বুঝাতে কোরআনে খালাক শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

আর তাছাড়া 'সুম্মা' শব্দটার অনেকগুলি অর্থ আছে যেমন Then, afterwards, moreover, Furthermore, and again, and once more ইত্যাদি। অনেক সময় দুইটা বাক্যাংশকে যুক্ত করার জন্য And হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। এটার অর্থ 'অতঃপর' কি না এটা নিয়েও বিতর্ক আছে। আরবি শব্দ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়।

সুরা ফুসসিলাতের ১১ নম্বর আয়াতে বলেছেন -
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ। অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।

এখানেও শব্দটার অর্থ যদি অতঃপর ধরি তাহলেও দেখা যাচ্ছে যে আকাশ আগে থাকতেই ছিল ( যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ)। কাজেই এই আয়াত দিয়েও প্রমান করা যায় না যে পৃথিবী আগে সৃষ্টি হয়েছে।

২৯| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩২

এভো বলেছেন: তফসির ইবনে আববাস (২--২৯ )

২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের বিজ্ঞান সঙ্ক্রান্ত আয়াতগুলির তফসিরের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। কোনটা সঠিক এটা নির্ণয় করা কঠিন অনেক সময়। ঐ যুগে যেমন এই ব্যাপারে জ্ঞান কম ছিল এখনও পর্যাপ্ত জ্ঞান আমাদের আছে এটা বলা যাবে না। বিজ্ঞানও চূড়ান্তভাবে অনেক কিছুই এখনও বলতে পারে না। বৈজ্ঞানিক ধারনাগুলিও অনেক সময় পরিবর্তন হয়। তাই এত সহজে আমাদের উপসংহারে আসা ঠিক হবে না।

৩০| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪০

সাসুম বলেছেন: আপনি বিজ্ঞান কে ছোট করার ব্যাপারে এবং ধর্ম কে জ্ঞান বিজ্ঞানের উপরে স্থান দেয়ার জন্য যে পরিমান পরিশ্রম করছেন তাতে আমি খুশি হয়ে আমার সকল পূন্যের বিনিময়ে অর্জিত বেহেশত এবং তদসংশ্লিষ্ট সকল হুর সহ সকল সুবিধাদী আপনাকে স্থানান্তর করার হন্য উপর ওয়ালার নিকট দাবি জানাই।

এতদিন জ্ঞান বিজ্ঞানের জনি সিন্স হিসেবে আরিফ আজাদ কে চিনতাম। এখন জ্বিন ও আলো বিশেষজ্ঞ আপনাকে ও সেই তালিকায় রাখা হল।

মোসল্মান এবং বাংলাদেশ জ্ঞান বিজ্ঞানে কত আগানো এটা নিয়ে গত ১ যুগ ধরে আমি লিখে আসছি এবং ব্লগে আপনাকে দেখে সেটা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারছি।

আশা রাখি, এভাবে আগাতে থাকলে একদিন আমরা ১৪০০ বছর আগের বেদুইন দের কাতারে পৌছে যাব এবং দুনিয়ার শাসক বনে যাব। সারা দুনিয়া আমাদের পদতলে চলে আসবে। আমরা এটম বোম আর বোমারু বিমান এর বিপরীতে ঢিলা কুলুপ আর তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধে যাব আর আবাবিল পাখির আশায় বসে থাকব আকাশের দিকে তাকিয়ে। আমাদের জয় সু নিশ্চিত।

২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানকে আমি ভালবাসি। এই কারনেই বিজ্ঞানের উপর পোস্ট দিচ্ছি। আরও কয়েকটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। বিজ্ঞান একদিন মৃত মানুষকেও হয়ত জীবিত করতে পারবে। আমাদের ধর্মে এই ধরনের কিছু ইঙ্গিত আছে। আমি ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সমন্বয়ে বিশ্বাস করি। আল কোরআনে কোন ভুল তথ্য নেই এই ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।

বেহেশতের হুর নন-নিগোশিয়েবোল। তাই হস্তান্তর যোগ্য না। তবে আপনার বদান্যতার জন্য ধনবাদ না জানিয়ে পারছি না। তবে উপর ওয়ালার নিকট এই দোয়া না করে আপনার উচিত ঘুমানোর আগে দরুদ পড়ে ঘুমানো এবং আল্লাহকে বলা যে আল্লাহ যেন তার অস্তিত্ব সম্পর্কে আপনাকে সঠিক জ্ঞান দান করেন। আপনি এই আমল কয়েকদিন করলেই একটা ভালো ফল পাবেন আশা করা যায়।

কেয়ামতের লক্ষণ হিসাবে বলা আছে যে আরবের রাখালেরা সুউচ্চ অট্টালিকা নির্মাণ করবে। এটা এখন বাস্তবে ঘটছে। কাজেই কেয়ামত নিকটবর্তী এটা বোঝা যাচ্ছে।

মোসলমানদের নেতৃত্ব দিতে আল্লাহতালা ইমাম মেহেদি এবং হজরত ইসা (আ) কে পাঠাবেন। তবে আমার ধারনা ওনারা তলোয়ার না বরং আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন।

আল্লাহতালা আখেরে মুসলমানদেরই জয়ী করবেন তাই আপনি দেরি না করে দলে ভীরে যান। এতে দুনিয়া এবং আখেরাত উভয় জাহানেই আপনার ফায়দা হবে। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন। আমিন।

৩১| ২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:২২

এভো বলেছেন: আমি ইবনে আববাসের তফসিরের যে ফটোসট দিয়েছি সেখানে পাবেন (২-২৯) এর অনুবাদ

তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
কুরআন ২ঃ২৯

আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে অনুবাদটা আমি করেছি ।
আপনি লিখেছেন -- আল্লাহ যখন বলেন যে তারপর তিনি আকাশের দিকে মনঃসংযোগ করেন তারমানে বুঝায় যে আকাশ আগে থেকেই ছিল। অন্যথায় কিভাবে আকাশের দিকে মনঃসংযোগ করলেন
এতে আকাশ আগে থেকে ছিল প্রমাণ করে না , সুরা হা মিম সেজদা ১১ নং আয়াতে বলা হচ্ছে ধুম্রকুঞ্জ ছিল , আকাশ বা নক্ষত্র ছিল না ।

আপনি সুরা হা মিম সেজদার শুধু ১১ নং টা উল্লেখ করলেন কেন আগের আয়াত গুলো কেন এড়িয়ে গলেন
৪১-৯ -- বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
৪১-১০ তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
৪১--১১ অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।

তাহোলে দেখা যাচ্ছে ৫ম দিনে তিনি ধুম্রকুঞ্জ থেকে আকাশ নক্ষত্র সৃষ্ঠি করেছেন ।
এর মানে প্রথমে তিনি পৃথিবী এবং ধুম্রকুঞ্জ সৃষ্ঠি করেছেন । তাহোলে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন বৎসর ।




২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরা বাকারার ২৯ নম্বর আয়াতের ইংরেজি অনুবাদ দেখেন -

He it is Who created for you all that is in the earth, and He directed Himself to the heaven, so He made them complete seven heavens, and He knows all things.

বাংলার সাথে মিলিয়ে দেখেন। এখানেও দেখেন আকাশের ক্ষেত্রে শুধু কমপ্লিট করেছে লিখেছে ক্রিয়েট লেখেনি। আকাশ সৃষ্টি করা বুঝাতে আল্লাহ খালিক শব্দ ব্যবহার করেনি এখানে। তাই বলা যাবে না যে আকাশ পৃথিবীর পরে সৃষ্টি হয়েছে।

সুরা হামিম সিজদায় আকাশের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। যেটা ছিল ধুম্রকুঞ্জ। আকাশ ছিল না এটা বলা হয় নাই।

"তার পর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেছেন যা সেই সময় কেবল ধূয়া ছিল৷" আয়াত ১১ সুরা হামিম সিজদা ( আংশিক)

৯ ও ১০ নং আয়াতের ঘটনা একটার পরে আরেকটা ঘটেছে এরকম বুঝায় না। সেরকমভাবে লেখাও নাই। তাই আপনার পঞ্চম দিনের হিসাব ঠিক নাই। কোনটা আগে কোনটা পরে হয়েছে এই ব্যাপারে কোরআন ৯ ও ১০ নং আয়াতে কিছু বলে নি।

যেটাকে আপনি ধুম্রকুঞ্জ বলছেন সেটাই আকাশের পূর্ব অবস্থা ছিল। কাজেই আকাশ পরে সৃষ্টি হয়েছে এটা প্রমান করা যায় না।


৩২| ২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

এভো বলেছেন: আপনি শুধু শাকির সাহেবের অনুবাদটা দিলেন কেন ? কারন এটা আপনার পক্ষে যায় বলে মনে করেন ?
২--২৯
Sahih International: It is He who created for you all of that which is on the earth. Then He directed Himself to the heaven, [His being above all creation], and made them seven heavens, and He is Knowing of all things.

Pickthall: He it is Who created for you all that is in the earth. Then turned He to the heaven, and fashioned it as seven heavens. And He is knower of all things.

Yusuf Ali: It is He Who hath created for you all things that are on earth; Moreover His design comprehended the heavens, for He gave order and perfection to the seven firmaments; and of all things He hath perfect knowledge.

Shakir: He it is Who created for you all that is in the earth, and He directed Himself to the heaven, so He made them complete seven heavens, and He knows all things.

Muhammad Sarwar: It is He who created everything on earth for you. Then, directing His order towards the realm above, He turned it into seven heavens. He has knowledge of all things.

Mohsin Khan: He it is Who created for you all that is on earth. Then He Istawa (rose over) towards the heaven and made them seven heavens and He is the All-Knower of everything.

Arberry: It is He who created for you all that is in the earth, then He lifted Himself to heaven and levelled them seven heavens; and He has knowledge of everything.

৯ ও ১০ নং আয়াতের ঘটনা একটার পরে আরেকটা ঘটেছে এরকম বুঝায় না। সেরকমভাবে লেখাও নাই

জী সে রকমই বুঝায় , সৃষ্ঠির প্রক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে ।
১০ নং আয়াতের ঘটনা উল্লেখ করার পর ১১ নং আয়াত অত:পর শব্দ দিয়ে শুরু হয়েছে । চতুর্থ দিনের পরে তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন যেটা আনফ্রম ছিল ধুয়া ছিল । সেই হিসাবে ৫ম দিন বলা হয়েছে ।

যেটাকে আপনি ধুম্রকুঞ্জ বলছেন সেটাই আকাশের পূর্ব অবস্থা ছিল। কাজেই আকাশ পরে সৃষ্টি হয়েছে এটা প্রমান করা যায় না।
এই কথাও ধোপে টিকবে না , যদি পৃথিবী এবং আকাশ এক সাথে সৃষ্ঠি করা হয় তাহোলে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা ৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা । সুতরাং ঐ কথা দাবি করেও কোন লাভ হবে না ।

২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আয়াত ৯ ও ১০ এর মদ্ধে অতঃপর নাই।
১০ নং আয়াতের পরে অতঃপর থাকলেও সমস্যা নাই কারণ আল্লাহ বলেছেন যে অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। তারমানে আকাশ আগেই ছিল। আকাশের তখনকার অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলা হয়েছে যে আকাশ ছিল ধুম্রকুঞ্জ।

পৃথিবী ও আকাশ এক সাথে সৃষ্টি করা হলে আকাশের ক্ষেত্রেও ' খালিক' শব্দ ব্যবহার করার কথা। আপনি খালিক শব্দ আকাশের জন্য পাবেন না। দেখেন আকাশের ক্ষেত্রে শুধু কমপ্লিট করেছে লিখেছে ক্রিয়েট লেখেনি, কারণ আকাশ আগেই ছিল।

৩৩| ২৭ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

এভো বলেছেন:
পৃথিবী ও আকাশ এক সাথে সৃষ্টি করা হলে আকাশের ক্ষেত্রেও ' খালিক' শব্দ ব্যবহার করার কথা। আপনি খালিক শব্দ আকাশের জন্য পাবেন না। দেখেন আকাশের ক্ষেত্রে শুধু কমপ্লিট করেছে লিখেছে ক্রিয়েট লেখেনি, কারণ আকাশ আগেই ছিল
-------
তারমানে পৃথিবীর ও আকাশ এক সাথে বানানো হয়েছে কিন্তু আকাশকে কমপ্লিট করা হয়েছে পৃথিবীর পরে। সুর্য নক্ষত্র পরে কমপ্লিট হয়েছে, তার আগে পৃথিবীতে গাছ পালা জীব যন্তুর আবির্ভাব হয়েছে।
ভাই সুর্য না থাকলে দিন রাত কি ভাবে হোল বা চার দিন কোথা থেকে আসলো, গাছ পালা কি করে হোল, বৃষ্টি হোল কি করে?
কারন সুর্য তো ইনকমপ্লিট তখন।
নক্ষত্র থেকে কি গ্রহ গুলো সৃষ্টি হয় নি?

২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ৮:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে তো এতো বিস্তারিত কিছু লেখা নাই। আপনি কিভাবে এতো সহজে উপসংহারে আসছেন। আকাশের কি পরিবর্তন আল্লাহ পরে করেছেন তা তো পরিষ্কারভাবে বলা নাই। তাই এই অল্প তথ্যের উপর ভিত্তি করে কোন কথা বলা ঠিক না। আর পৃথিবীর গাছ পালা জীবজন্তু কখন সৃষ্টি করেছেন সেটার কোন ক্রম কোরআনে নেই। তাই এতো কম তথ্যের উপর আমাদের বিতর্ক করা বোকামি। ধুম্রকুঞ্জ, সাত আসমান এগুলি কি খুব পরিষ্কার কোন তথ্য? সাত আসমানের মানে কি এটা কি কেউ পরিষ্কারভাবে বলতে পারবে? ধুম্রকুঞ্জ বলতে কি বোঝাচ্ছে এটা কি বিজ্ঞান বা আমরা পরিষ্কারভাবে জানি? শব্দগত সমস্যার কথাও বলেছি। তাই এতো সহজে উপসংহারে আসা ঠিক হবে না। বিজ্ঞানের তথ্যও যে পরিবর্তন হবে না এমনটাও বলা যাচ্ছে না। তাই এগুলি নিয়ে বিতর্ক করার কোন মানে দেখি না।

৩৪| ২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০৪

এভো বলেছেন: পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন বৎসর এবং পৃথিবী / আকাশ আগে থেকে তৈরী করে মুখ বন্ধ করা অবস্থায় বন্দি ছিল। ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে সেই মুখ খুলে দেওয়া হয়।
নীচের এই আয়াত কে মমিনরা বিগ ব্যাংগ থিউরির প্রমাণ দাবি করে। কিন্তু বিজ্ঞানিরা প্রমাণ করেছে পৃথিবীর বয়স ৪ বিলিয়ন ১৪ বিলিয়ন নহে। সুর্য হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল কিন্তু নীচের আয়াত অনুযায়ী পৃথক বয়স ১৪ বিলিয়ন।

সুরা আম্বিয়া আয়াত-৩০ অর্থ : কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?

২৮ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনুমান করে কোরআনের আয়াতের সাথে বিজ্ঞানকে মিলাতে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না। যারা এভাবে কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম। এই কথাটা দ্বারা পরিষ্কার কিছু কি বোঝা যায়। যায় না। আকাশ একটা না অনেকগুলি এগুলি আমরা পরিষ্কারভাবে বৈজ্ঞানিকভাবে জানি না। আকাশের মুখ বা পৃথিবীর মুখ বলতে কি বোঝানো হয়েছে তা ও আমরা জানি না। তাই এই সব আয়াতের ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। কোরআনে খুবই সংক্ষেপে বিশ্ব জগতের ব্যাপারে বর্ণনা করা হয়েছে যার বিপরীতে বিজ্ঞানীরা হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ পাতার থিউরির মাদ্ধমে এগুলি নিয়ে লেখালেখি, গবেষণা করছেন। অনেক ক্ষেত্রে থিউরির পরিবর্তন হচ্ছে। কোরআনের এই অতি সংক্ষিপ্ত কথা থেকে আমাদের জন্য উপসংহারে আসা সম্ভব না। বিজ্ঞান নিয়ে যারা কাজ করেন তাদেরও উচিত না কোরআনের এই সংক্ষিপ্ত বর্ণনাকে চ্যালেঞ্জ করা। কারণ কোরআনে বিস্তারিত বর্ণনা নাই। পুরো বিষয় খোলাসা করে কোরআনে যেহেতু নেই তাই কোরআনকে ভুল প্রমান করার চেষ্টা করা উচিত না।

৩৫| ২৮ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫৪

এভো বলেছেন: অনুমান করে কোরআনের আয়াতের সাথে বিজ্ঞানকে মিলাতে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না

তাই নাকি , তাহোলে কি কারনে এই আয়াতটা দিয়ে আপনার মত লোকরা দাবি করেন কোরানে বিগব্যাংগ থিউরির কথা বলা হয়েছে । বিগব্যাগ থিউরিতে বলে ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে একটা পরম বিন্দু বিস্পরিত হয়ে মহা বিশ্ব সৃষ্ঠি হয়েছে এবং এই আয়াতে বলা হচ্ছে পৃথিবী এবং আকাশ এক বিন্দুতে মুখ বন্ধ অবস্থা ছিল যার মুখ খুলে দেওয়া হয়েছে । এই মুখ খুলে দেওয়াটাই হোল বিগব্যাংগ বা মহা বিস্পরন ।

আপনাদের দাবি অনুযায়ি প্রমাণ হয়ে গেল না পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন ।

আপনি ৩২ নং কমেন্টের উত্তরে লিখেছেন -- পৃথিবী ও আকাশ এক সাথে সৃষ্টি করা হলে আকাশের ক্ষেত্রেও ' খালিক' শব্দ ব্যবহার করার কথা। আপনি খালিক শব্দ আকাশের জন্য পাবেন না। দেখেন আকাশের ক্ষেত্রে শুধু কমপ্লিট করেছে লিখেছে ক্রিয়েট লেখেনি, কারণ আকাশ আগেই ছিল।


তার মানে পৃথিবী এবং আকাশকে একসাথে সৃষ্ঠি করা হয়েছে সেটা আপনি মানেন না কিন্তু সুরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াত প্রমাণ করছে -- পৃথিবী এবং আকাশ একত্রে মুখ বন্দি অবস্থায় ছিল এবং এই মুখ খুলে দেওয়া হয় । যেটাকে আপনারাই বিগব্যাংগের ঈংগিত বলে দাবি করছেন । যদি এটা বিগব্যাংগ হয় তাহোলে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন ।
সুরা হা মীম এর ৯,১০, ১১ এবং বাকারার ২৯ আয়াত প্রমাণ করে প্রথমে পৃথিবীকে বাননো হয়েছিল ।

২৮ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি কখনও এই ধরনের দাবি করিনি। তাই আমার নাম নেয়ার দরকার দেখি না। কোরআনের বিজ্ঞান সংক্রান্ত আয়াতগুলির ব্যাপারে আমার দৃষ্টিভঙ্গি হোল যে আমরা যেহেতু বৈজ্ঞানিকভাবেও এখনও অনেক কিছু জানি না আবার কোরআনের আয়াতগুলিও অনেক ক্ষেত্রেই পরিষ্কার না তাই এগুলি নিয়ে অযথা বিতর্ক এড়িয়ে চলি। বিজ্ঞান যে সব ক্ষেত্রে ১০০% সঠিক এটা দাবি করা যায় না, কারণ এই বিষয়ে গবেষণা চলমান। যেমন পৃথিবীর বয়স নিয়ে বিভিন্ন সময় বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়েছেন। সামনে যে আবার মত পরিবর্তন করবেন না এটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আবার কোরআনে অনেক সংক্ষেপে অনেক কিছু বলা হয়েছে যা থেকে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া মুশকিল। তাই আমি এগুলি নিয়ে বাড়াবাড়ি করি না।

পৃথিবী ও আকাশ একত্রে মুখ বন্দি অবস্থায় ছিল এবং এই মুখ খুলে দেওয়া হয়। এই আয়াতের দ্বারা কোন কিছু পরিষ্কার কিছু কি বোঝা যায়। মুখ খুলে দেয়া মানে আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে এটার মানে পৃথিবী বা আকাশের সৃষ্টি। মুখ খুলে দেয়া আর সৃষ্টি কি এক জিনিস। সৃষ্টি বলতে কোরআনে 'খালাক' শব্দ ব্যবহার করা হয়। বিগ ব্যাং এর কথা কোরআনের এই আয়াতগুলিতে বলা হয়েছে এত নিশ্চিত কিভাবে হওয়া যাচ্ছে। আর নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজনটাই বা কি। কোরআনে অন্য বিষয়ের কথাও তো বলতে পারে। এত অল্প ক্লু নিয়ে কোন উপসংহারে মুসলমানদের আসার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। বিজ্ঞানের সাথে প্রতিযোগিতায় নামার কোন প্রয়োজন নাই। সুরা হা মিম ও সুরা বাকারার আয়াতগুলি নিয়ে তো আলাপ করলাম। এগুলির দ্বারা কখনও প্রমান করা যায় না যে পৃথিবী আগে সৃষ্টি হয়েছে। তখন সূর্য ছিল কি ছিল না সেই ব্যাপারে কোরআনে হ্যাঁ বা না কোনটাই বলা নাই। আকাশ একটা বিশেষ অবস্থায় ছিল এটা বলা আছে। আকাশের অবস্থার পরিবর্তন করা হয়েছে এটা বলা হয়েছে। তাই সুরা হা মিমের আয়াত কখনই প্রমান করে না যে পৃথিবী আকাশের আগে সৃষ্টি হয়েছে। আকাশ যে ছিল এটা আয়াতগুলি থেকে বোঝা যায়। তবে কি অবস্থায় ছিল এটা আমরা জানি না এবং তার বর্ণনাও নাই। ঐ সময় পৃথিবী থাকতে পারলে সূর্য থাকতে পারবে না এরকম কোন কথা নাই। সূর্যের ব্যাপারে আসলে পক্ষে বা বিপক্ষে কোন কথাই বলা নাই। তাই এই সংক্ষিপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে আয়াতগুলিকে ভুল বলা ঠিক হবে না। বিজ্ঞান যে এই সব ব্যাপারে একটা কংক্রিট জায়গায় এসেছে সেটাও না। তাই বিতর্ক করার কোন মানে আমি দেখি না। কোরআনে বিগ ব্যাং থিউরির কথা থাকাটা এত জরুরী কেন এটা আমি বুঝতে পারি না।

৩৬| ২৮ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৮

এভো বলেছেন: তাই সুরা হা মিমের আয়াত কখনই প্রমান করে না যে পৃথিবী আকাশের আগে সৃষ্টি হয়েছে। আকাশ যে ছিল এটা আয়াতগুলি থেকে বোঝা যায়

ভাই আপনি একটু রেস্ট নেন এবং ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন ।
মনে করুন ২ দশ তালা বিল্ডিং বানান শুরু হয়েছে ( বিল্ডিং এ এবং বি )
উভয় বিল্ডিং এর ফাউন্ডেশন হওয়ার পর বিল্ডিং এ কে তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলা হোল ২০১৮ মার্চ মাসের ১৪ তারিখে এবং এই কাজ শেষ হওয়ার পর বিল্ডিং বি কে বানানো শুরু হোল কাগজে কলমে ১৫ মার্চ ২০১৮ এবং শেষ হোল বা কমপ্লিট করা হোল ২০১৯ সালের জানুয়ারীর ২০ তারিখে ।
এখন বলুন তো বিল্ডিং এ কে কি বিল্ডিং বি র আগে আগে না পরে বানানো হয়েছিল ? এবার মনে করুন বিল্ডিং এ হোল পৃথিবী এবং বিল্ডিং বি হোল আকাশ ।

২৮ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা সুম্মা শব্দটার একটা অর্থ অতঃপর কেই আয়াতগুলিতে প্রয়োগ করছেন। কিন্তু সুম্মা মানে অধিকন্তু, উপরন্তু, আর হতে পারে। দুইটা বাক্যকে যোগ করতে কনজাংকশন হিসাবে 'এবং' হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। তাই এই আয়াতগুলিতে যে একটার পরে আরেকটা ঘটেছে এমন না ও হতে পারে।

এই শব্দটার কিছু অর্থ ইংরেজিতে দিলাম

moreover, furthermore, besides

৩৭| ২৮ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৯

সাসুম বলেছেন: এভো ভাই, আপনি এত উঠেপড়ে লাগ্লেন কেন ধর্ম গ্রন্থের ভুল ধরতে?? তাও আবার যে ভাইটি দুনিয়ার সকল কিছুর উপরে ধর্ম কে রেখে আগে তারপর কথা শুরু করেন তার সাথেই?

যেহেতু ধর্মে বলা আছে- গোমূত্র বা উঠমূত্র খাওয়া জায়েজ- সো খেয়ে ফেলবেন সোজা আর নিজের রুচি না কুলালে কেউ খেতে দেখলে বাধা দেয়ার দরকার নাই/ আর বাংগালি হলে তো ভুলেও না। যার যার ব্যাপার তার তার।

দুনিয়ার সব জিনিষ পাল্টায়, প্রবাহিত হয়। হোক সেটা সময়, মানুষ, সভ্যতা, সমাজ, গ্রহ, নক্ষত্র, মহাকাশ। কিন্তু বিশ্বাসীর এক্টা জিনিষ কখনো পাল্টাবে না- ধর্ম। এটাকে যতই চেস্টা করেন সেই আদিম যুগে পড়ে থাকবে। সো এত কস্ট করা অর্থহীন।

৭৪.৫০ ভাইঃ আপনি আরো বেশি বেশি করে বিজ্ঞান জ্ঞান নিয়ে পোস্ট দেন। আরিফ আজাদ , আসিফ আদনান, ডাঃ ইব্রাহিম আর রাফান রা আজকাল খালি ফেসবুকে জিহাদ করে। ব্লগে, জিহাদ করার লোকের অভাব।

আপনি আমাদের ব্লগ বাসীকে আলোর পথে নিয়ে যাবেন এই আমাদের আশা।

২৮ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের মধ্যে কোন ভুল নেই। ভুল হতে পারে আমাদের বোঝার বা বিজ্ঞানের থিউরির। বিশ্ব জগতের রহস্য বোঝার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান এখনও শিশুই বলা যায়। তাই অধৈর্য হবেন না। কোরআন এত সংক্ষেপে বিশ্বজগত সম্পর্কে বর্ণনা করেছে যে তা আমাদের মাথায় ঢোকে না।

আমি বিজ্ঞান নিয়ে একটা পোস্ট তৈরি করছি। আপনাদের মত ফিসিসিসটের সহায়তা লাগবে। কারণ আমি বিজ্ঞানের ছাত্র বলা যাবে না। তবে বিজ্ঞান নিয়ে পোস্ট দিলে আপনারা মনে করেন এটা ধর্মীয় পোস্ট এটাই সমস্যা। একই সাথে যে বিজ্ঞান আর ধর্ম চর্চা করা যায় এটা আপনাদের আমি বুঝানোর চেষ্টা করছি। এভো আমার একজন পুরান ভক্ত বলতে পারেন। আমার ধর্ম সংক্রান্ত পোস্টে উনি ওনার অনুসন্ধিৎসু মনের পরিচয় দেন। ওনার যাবতীয় ধর্মীয় এবং বিজ্ঞানের জ্ঞান উনি উগড়ে দেন পোস্টে। ফলে আমাদের জ্ঞান চর্চা জমে ওঠে। উনি কোরআন আর হাদিস নিয়ে যা জানেন অনেক মুমিন বান্দাও জানে না।

আলোর পথে তো নিতে চাই কিন্তু সমস্যা হোল হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। আমরা শুধু বুঝাতে পারি। মানুষ না বুঝলে সেই সমস্যা তার।

৩৮| ২৮ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

সাসুম বলেছেন: আপনার সাথে এভো ভাই এর তর্ক জমতে পারে বাট আমার জমবে না। কারন- আপনি তালগাছ আপনার মেনে নিয়ে কি ঝগড়া বা বিচার কোন টাই করতে পারবেন?? আপনি ধরেই নিয়েছেন- আপনার ধর্মই একমাত্র সত্য ধর্ম এবং ১৪০০ বছর আগে রচিত হওয়া আপনার ধর্ম গ্রন্থই একমাত্র সহীহ এবং সেটাকে যে যেভাবে এক্সপ্লেইন করুক সেটা তার ব্যাপার।

আপনি বিজ্ঞান নিয়ে শুধু পোস্ট কেন পারলে বই ও লিখে ফেলেন। কারন আজকাল বাংলাদেশে অপবিজ্ঞান বা সিউডো সায়েন্স এর মার্কেট খুব ভাল।ইন্টার ফেইল হুজুরে পাক আরিফ আজাদের বই লাখ লাখ পিস সেল হয়, বিজ্ঞানী দেবব্রত দা'র বই সেল হয় না ৫০ পিস। সো, এই দেশে এসব জিনিষ খুব ভাল খায়।

আর জ্ঞান বা ইন্টেলেকচুয়ালিটি একটা ফ্লুইড ব্যাপার। আপনি আপনার মত করে সহজেই ব্যাখ্যা করতে পারবেন। কারন আমাদের মানব সমাজে যে যত গল্প বা মিথ বা ধর্ম কাহিনী সাজাতে পারে ভালোভাবে অলৌকিক ভাবে তার মার্কেট তত ভাল। এটা আজকের কথা না। সেই যখন প্রথম হোমো সেপিয়েন্স রা পা রেখেছিল নিয়ান্ডারথার্ল্ড এর এলাকায় তখন থেকে শুরু।

কিন্তু বিজ্ঞান বা জ্ঞান চর্চার সবচেয়ে বড় কথা হল- রেকমেন্ডেশান বা অথেন্টিকেশান বা যাচাই ব্যবস্থা। আপনি হুট করে বলে বসলেন- আলোর চেয়ে বেশি গতিতে কোন এক চারপেয়ে খচ্চর চলতে পারে। ইভেন এত বেশি গতিতে চলতে পারে যে। সেটা কাল ও সময় কে অতিক্রম করে ন্যানোসেকেন্ড এর মধ্যে কোন অক্সিজেন ছাড়াই কোন এক বায়বীয় বেহেশ্ত থেকে ঘুরে আস্তে পারে। কিংবা আপনি সেই বাহনে করে এই দুনিয়ার মালিক বা অধিকর্তার সাথে দেখা ও করে আস্তে পারেন।

আপনি যখন বিজ্ঞানের পারস্পেক্টিভ থেকে এই গাঁজাখুরি যুক্তি দিবেন, তখন কিন্তু বিজ্ঞান এটাকে উড়িয়ে দিবেনা। আপনাকে এটা প্রমানের জন্য আহবান জানাবে। সূত্র, প্রমান ও যুক্তি দিয়ে আপনাকে প্রমান করতে হবে। আপনার এই প্রমান আবার অন্য বিজ্ঞানীরা মানতে হবে, তারা অথেন্টিকিশান করতে হবে। কিউসি করবে। তার পর সবার যদি মনে হয়- আপনার বক্তব্য সঠিক, তাহলেই মেনে নেয়া হবে যে দুনিয়ার সবচেয়ে দ্রুত গতির বাহন চারপেয়ে খচ্চর।

কিন্তু, ধর্মের সুবিধা হল- আপনি খালি একবার এই গল্প প্রচার করতে পারলেই হল। এটা সত্য, নাকি গল্প নাকি মিথ নাকি আপনার উদ্ভট কল্পনা এটা কেউ প্রশ্ন করার নেই। কারো এখতিয়ার নেই, আপনাকে বলার এটা প্রমান করো কারো ধর্মে তো যুক্তি বা প্রমান বলে কিছু নেই। আপনি যা বলবেন তা আমাকে মেনে নিতেই হবে সেটা যত বড় গাঞ্জাখুড়ি হোক না কেন, নাহলে আমার কল্লা ফেলে দিবেন।

আপনি যখন, এভাবে ধর্মের প্রতি আন্ধা আনুগত্য রাখবেন যুক্তিহীন ভাবে সেখানে আপ্নি কি করে জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে লিখালিখি করবেন বা কি করে জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে চলবেন ( কারন জ্ঞান বিজ্ঞান আর ইন্টেলেকচুয়ালিটি হল যুক্তির আরেক নাম )

আপনি এক সাথে ধর্ম আর জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে চলতে পারেন না বা পারবেন না- কারন ধর্ম হল যুক্তিহীন গালগল্প আর জ্ঞান বিজ্ঞান হল যুক্তিবাদী প্রমানের গল্প। একই সাথে কিভাবে চলবেন?? খালি পায়ে ছুড়ির উপর দিয়ে কেউ হাটতে পারবে? কারন দুইটা তো দুই ধর্মের, একটা আরেক টা কে বাদ করে দিবে।


এই কারনে আপ্নি যখন যুক্তিহীন আর প্রমানহীন ধর্মের বানীতে বিশ্বাসী হয়ে বলেন আপনি যুক্তিবাদি বিজ্ঞানে ও বিশ্বাস করেন- তখন আপনার বিশ্বাস নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। কারন- আপনি নিজেই তো জানেন না , আপনি কিসে বিশ্বাস করেন। হয় আপনি সাদার পথে নয় আপনি কালোর পথে। একসাথে গ্রে এরিইয়া তে থাকার তো সুযোগ নেই।

৩৯| ২৮ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আধ্যাত্মিকতা চর্চা না করলে ধর্মের স্বাদ পাবেন না। আল্লাহকেও অনুভব করতে পারবেন না। যারা ধর্ম পালন করে তারা আল্লাহকে অনুভব করতে পারে। আল্লাহ আমাদের ঘাড়ের রগেরও কাছে আছেন। তাকে সঠিকভাবে ডাকলে তিনি সাড়া দেন। বিশ্বজগতের এই অকল্পনীয় কর্মযজ্ঞের একজন পরিচালক আছেন। নতুবা সব কিছু এত নিয়ম মেনে চলতো না। তার সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকতে হবে। অনু-পরমানু পর্যায়ে পর্যন্ত শৃঙ্খলা আছে।

আমি খাঁটি বিজ্ঞান ( ধর্মীয় কারণ ছাড়া) নিয়ে যে পোস্টটা দিব সেটার শেষে লেখা থাকবে যে "যেহেতু আমি বিজ্ঞান কম জানি, তারপরও সাহস করে পোস্ট দিয়েছি তাই এই পোস্টের বিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিবেন সাসুম সাহেব। উনি বিজ্ঞান ভালো বোঝেন। বাকি সাধারণ ও সহজ প্রশ্নের উত্তর দিব আমি"।

আলোর চেয়ে গতিশীল কিছু পাওয়া গেলে আমি আশ্চর্য হবো না। বিজ্ঞান ধীরে ধীরে অনেক কিছু জানতে পারছে। তাই সম্ভব হতেও পারে। পৃথিবীর বাহন আর বেহেশতের বাহনের গতি তো এক হবে না।

এত অথেনটিকেশন আর কিউসির পরও বিজ্ঞান বারবার ভুল করে। এটা অবশ্য ভালো। নতুন কিছু শেখা হচ্ছে।
অনেক ধার্মিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করছে দেশে-বিদেশে। দুইটার মধ্যে আসলে কোন বিরোধ নাই। ধর্মের অনেক জিনিস বিজ্ঞানের কাছে এখন বিশ্বাসযোগ্য মনে না হলেও ভবিষ্যতে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে। কারণ বিজ্ঞান আসলে জ্ঞানের ক্ষেত্রে এখনও শিশু। তাই সে মানতে চাইছে না। বড় হোলে মানবে।

৪০| ২৮ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

সাসুম বলেছেন: আপনার বেসিক যায়গা তে বড় রকমের সমস্যা আছে ভাইজান। আপনি একই সাথে যুক্তি হীন আর যুক্তিবাদী হতে পারবেন না। এই বেসিক জিনিষ টা নিয়ে কেন এত টানা হেচড়া করছেন? এটা কিন্তু কঠিন কোন জিনিষ না। আপনাকে আগে এই যায়গা ঠিক করতে হবে।

সেকেন্ডলি- আপনার কোন পোস্টে আমাকে মেনশান করবেন না প্লীজ। আপনার যুক্তিহীন পোস্টে আমাকে মেনশান দিলে কেচাল লাগবে। এর চেয়ে সময় পেলে আপনার পোস্টে আমি নিজেই কমেন্ট করে আপনার যুক্তিহীন পোস্ট এর ভুল তুলে ধরব।

আপনি বার বার একটা কথা বলছেন- ধর্ম আর বিজ্ঞানে বিরোধ নেই। বিজ্ঞান হল- বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ। ধর্ম হল- অযৌক্তিক গল্প গাঁথা। দুইটাতে কোন বিরোধ নেই, এটার মত হাস্যকর জিনিষ আর নেই।

এই কারনে, আমি বার বার বলে থাকি, বাংলার মর্দে মোসলমান সহ সকল দেশের সকল জাতির মোসলমান দের উচিত ধর্ম কে এক পাশে রেখে যৌক্তিক জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করার জন্য। কারন এটাই একমাত্র উপায় মুক্তির। আর বার বার, একটা খেলো কথা বলেন- জ্ঞান বিজ্ঞান ধর্মের কাছে একটা শিশু। এই হাস্যকর কথা বলে নিজের লিখার দাম কমানোর কোন মানেই হয় না। বুদ্ধিমত্তার কাছে ধর্ম হল মিছে গল্প। এখানে অযৌক্তিক মিথের সমারোহ। আপনার কাছে যেমন আপনার ধর্ম সেরা, দুনিয়ার হাজার হাজার ধর্মের লোকের কাছে ও ঠিক তাদের অযৌক্তিক ধর্ম সেরা, তাদের আকাশ থেকে পড়া ধর্ম গ্রন্থ সেরা এবং তারা ছাড়া বাকি সবাই জাহান্নামী। সবাই নিজেকে সেরা ভাবে এবং সেটা ই মানে।

কিন্তু জ্ঞান, বিজ্ঞান আর বুদ্ধিমত্তায় সেরার সংজ্ঞা আলাদা। এখানে অযৌক্তিক কোন কিছুকে সেরা ভাবার উপায় নেই। এই দুনিয়া পিউর লজিকে চলে, এখানে রিজনিং ই আসল।

আপ্নাকে একটা সাজেশান দেই- আপনি লিখালিখি বাদ দিয়ে পড়াপড়ি শুরু করেন। কার্ল মাক্স থেকে শুরু করে নোয়া হারারি। হকিং থেকে শুরু করে কার্ল স্যাগান। রিসেন্ট চমস্কি থেকে শুরু করে প্লেটো। আপনার চক্ষু খুলবে। আপনার মাথায় ব্রেণ আছে, পরিশ্রম করতেও জানেন, কাজে লাগান সেটাকে।

পড়লে জ্ঞান বাড়ে। তবে একটা বইকে কখনো জ্ঞান বিজ্ঞান আর দুনিয়ার সব জ্ঞানের বই মনে করা ভুল। এই ভুল পথে না থেকে জ্ঞানের পথে আসুন।

২৯ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানী ধর্ম পালন করেন। জ্ঞান বিজ্ঞান ধর্মের কাছে শিশু বলি নাই। আমি বলেছি বিশ্বজগতের সম্পূর্ণ যে জ্ঞান আছে তার তুলনায় বিজ্ঞান কর্তৃক আবিষ্কৃত জ্ঞানের বিচারে বিজ্ঞান এখনও শিশু। আপনার দেয়া মনিষীদের বইগুলি আমার পড়ার ইচ্ছা আছে। পৃথিবীতে ধার্মিক ও ধর্ম বিরোধীদের মিলে মিশে থাকতে হবে। একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে।

৪১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:২৪

সাসুম বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম আপনার কোন পোস্টে আর কমেন্ট করব না। বাট সিদ্ধান্ত পাল্টেছি। আপনার ধর্ম বিশ্বাস কে সম্মান করা উচিত। আপনার কালা কুকুর থিউরি কিংবা সাপের গায়ে গোস্ট দেখাকেও আমার সম্মান করা উচিত। আপনার বিশ্বাস এর প্রতি আমার সম্মান আছে।


যাই হোক, আপনি আমাকে বার বার করে একটা জিনিষ বুঝাতে চান দুনিয়ার অনেক বিজ্ঞানী ধর্ম্ পালন করতেন বিজ্ঞানি হয়েও।

আচ্ছা, আইন্সটাইন কি এটা বিলিভ করতেন যে খচ্চর এর পিঠে চড়ে আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে ট্রাভেল সম্ভব?

ডারউইন কি এটা বিলিভ করতেবন, আব্রাহামিক ধর্ম মতে মানুষ আকাশ থেকে ধুপ পড়ে পড়েছে ৯০ ফুট লম্বা হয়ে?

গ্যালিলিও কি এটা বিলিভ করতেন, আসলে মহাকাশ বলতে কিছু নেই? যা আছে তা সাত আসমান। সেখানে শাস্তি, মারপিট হয়, হুর গেল্মান দিয়ে ভালোবাসা হয়, বিচার আচার হয়?

আপনার ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখানেই। বিজ্ঞানীরা ধর্ম মানলেও সেটাকে এক পাশে রেখে তাদের কাজ করে গেছেন।

ধর্ম বিশ্বাসী দের প্রধান সমস্যা হল- তারা কনক্লুশানে এসে তারপর তর্ক করতে আসে। তারা উপসংহার এ এসে তারপর সেই উপসংহার কে ডিফেন্ড করা কারন খুজতে বের হয়।
আর বিজ্ঞান আগে কারন খুজে, তারপর যথেষ্ট প্রমান, উপাত্ত আর যুক্তি খুঁজে পেলে সেটাকে একটা থিউরি বা ফ্যাক্ট হিসেবে রায় দেয়। তবে বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল- এর চেয়ে বেটার লজিক দেখাতে পারলে বা এর চেয়ে ভাল প্রমান সামনে এলে তারা আগের যুক্তি কে বাদ দিতে পারে, মডিফাই করতে পারে, কোন অংশ এডিট করতে পারে সর্বোপরি নিজেদের কে কারেকশান করার সুযোগ থাকে।

এখানেই ধর্মের অসারতা। কারন ধর্ম বলে দিয়েছে - সেই সেরা। ৪০,০০০ ধর্মের সবাই নিজেদের সেরা বলে ভাবে। সবাই নিজেদের সেরা মানে। তারা বাদে বাকি সবাই ভুল ভাবে।

এখানেই আপনার সাথে কনফ্লিক্ট । আপনি তাল্গাছ আপনার বলে নিজে নিজে রায় দিয়ে দিয়েছেন। এখন বিচার বসবে কিভাবে? আপনি আগেই তো স্বীকার করে নিয়েছেন আপনার খোদা আর তার গায়েবি মাজেজা সত্য আপার খোদার পাঠানো গ্রন্থ শ্রেষ্ট।

এখানেই আসল সমস্যা। আপনি আগেই সমাধান টেনে বসেছেন। এখানে আপনার সাথে তর্কের অসারতা

৪২| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

এভো বলেছেন: ৪১--১১ অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ,

এই বাক্যের অর্থ হোল পৃথিবী সৃষ্ঠি করার পর তিনি আকাশের দিকে তাকালেন --- সেই আকাশ তখন ছিল ধুম্রকুঞ্জ তার মানে তখন আকাশে নক্ষত্র, সুর্য , তারা চন্দ্র কিছুই ছিল না ছিল শুধু ধুম্রকুঞ্জ এবং এই ধুম্রকুঞ্জকে নক্ষত্ররাজিতে রুপান্তরিত করেন ।

তার মানে পৃথিবীকে আগে সৃষ্ঠ করা হয়েছে ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শব্দগত সমস্যার কথা বলেছি কয়েকবার। তাই এত সহজে নিজের মত করে চিন্তা না করাই উত্তম।

৪৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কার ভুল হতে পারে না, হতে পারে আবিষ্কার কে আপগ্রেড করা হয়েছে, যিনি আপগ্রেড করেছেন তিনি কিন্তু নতুন কোন তথ্য উপাত্ত নিয়ে গবেষনা করেন নাই, পুরানো তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই গবেষনা করেছেন, হয়তো আগের গবেষকের দৃষ্টির আড়ালে ছিলো নতুন তথ্য নতুন গবেষক তা প্রকাশ করেছেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই ধারনার সাথে আমি একমত না। বিজ্ঞানিরাও স্বীকার করেন যে তাদের ভুল হতে পারে। বৈজ্ঞানিক সমাজে ভুল হওয়াটাকে দোষ মনে করা হয় না। ভুলের মাদ্ধমেই বিজ্ঞান ধীরে ধীরে সত্যকে জানতে পারবে এটাই স্বাভাবিক। ভুল করে বিজ্ঞানীরা একটা জিনিস আবিষ্কার করতে গিয়ে অন্য জিনিস আবিষ্কার করেছেন এরকম অনেক ঘটনা আছে। তাই মানুষ মাত্রেই ভুল হয়। বিজ্ঞানীরা যেহেতু মানুষ তাই তাদের ভুল হতেই পারে।

৪৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪

এভো বলেছেন: শব্দগত সমস্যার কথা বলেছি কয়েকবার। তাই এত সহজে নিজের মত করে চিন্তা না করাই উত্তম।

(১১) অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’[1] ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম।’

[1] এই আসা কিভাবে ছিল? আসার ধরন বর্ণনা করা যেতে পারে না। উভয়ে আল্লাহর কাছে ঐভাবেই এসেছে, যেভাবে তিনি চেয়েছেন। কেউ কেউ এর অর্থ করেছেন, আমার নির্দেশের আনুগত্য কর। তারা (আকাশ ও পৃথিবী) বলল, আমরা (তোমার) আনুগত্যের জন্য উপস্থিত আছি। সুতরাং আল্লাহ আকাশকে নির্দেশ দিলেন যে, সূর্য, চাঁদ এবং তারকারাজি বের কর এবং পৃথিবীকে বললেন যে, নদ-নদী প্রবাহিত এবং ফল-মূল উৎপন্ন কর। (ইবনে কাসীর) অথবা অর্থ হল, তোমরা উভয়েই অস্তিত্বে চলে এস।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
Tafsir 41-11

সুতরাং আল্লাহ আকাশকে নির্দেশ দিলেন যে, সূর্য, চাঁদ এবং তারকারাজি বের কর ----- জী তফসিরে বলছে ধুম্রকুঞ্জময় আকাশকে সূর্য চাদ তারাকারাজিকে বের করতে । তার মানে হোল পৃথিবীর পরে সূর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি করা হয়েছে । সব তফসিরে একই কথা বলা হয়েছে ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে যুগে ওনারা তফসির করেছেন সেই যুগে বিজ্ঞান সংক্রান্ত এই বিষয়গুলি নিয়ে ওনাদের জ্ঞান খুব কম ছিল। এমন কি এখনও কম আছে। তাই তফসিরে থাকলেই এটাই যে সঠিক ব্যাখ্যা এমন না ও হতে পারে। ওনারা যেভাবে বুঝেছেন সেভাবে লিখেছেন। আপনার লেখাতেই আপনি তফসিরের দুই ধরনের বর্ণনা দিয়েছেন। তাই কোনটা সঠিক এটা কে বলতে পারে। কোরআনের বিজ্ঞান সংক্রান্ত অনেক আয়াত বোঝার মত জ্ঞান মানুষের এখনও হয় নাই। তাই এগুলি নিয়ে নিজের মত করে উপসংহারে আসা ঠিক হবে না। কোরআনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাকে চ্যালেঞ্জ করা ঠিক হবে না। কারণ কোন কিছু বিস্তারিত বলা না থাকলে অনেক সময় আমরা ব্যাপারটা সঠিকভাবে ধরতে পারি না। এটা যে কোন বিষয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সৃষ্টির রহস্য বিজ্ঞান সব জেনে গেছে এমন দাবি বিজ্ঞানও করে না। অনেক বৈজ্ঞানিক থিউরি হয়তো থাকতে পারে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে যুগে ওনারা তফসির করেছেন সেই যুগে বিজ্ঞান সংক্রান্ত এই বিষয়গুলি নিয়ে ওনাদের জ্ঞান খুব কম ছিল। এমন কি এখনও কম আছে। তাই তফসিরে থাকলেই এটাই যে সঠিক ব্যাখ্যা এমন না ও হতে পারে। ওনারা যেভাবে বুঝেছেন সেভাবে লিখেছেন। আপনার লেখাতেই আপনি তফসিরের দুই ধরনের বর্ণনা দিয়েছেন। তাই কোনটা সঠিক এটা কে বলতে পারে। কোরআনের বিজ্ঞান সংক্রান্ত অনেক আয়াত বোঝার মত জ্ঞান মানুষের এখনও হয় নাই। তাই এগুলি নিয়ে নিজের মত করে উপসংহারে আসা ঠিক হবে না। কোরআনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাকে চ্যালেঞ্জ করা ঠিক হবে না। কারণ কোন কিছু বিস্তারিত বলা না থাকলে অনেক সময় আমরা ব্যাপারটা সঠিকভাবে ধরতে পারি না। এটা যে কোন বিষয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সৃষ্টির রহস্য বিজ্ঞান সব জেনে গেছে এমন দাবি বিজ্ঞানও করে না। অনেক বৈজ্ঞানিক থিউরি হয়তো থাকতে পারে।

৪৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৭

এভো বলেছেন: দেখুন ইবনে কাছিরের তফসিরে ৪১-১১ সম্পর্কে কি লেখা আছে --
এই আয়াতে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তা-আলা তাহার সৃষ্ঠির পরকল্পনার সূচনা করেছেন পৃথিবী সৃষ্ঠি দ্বারা



আরো অন্য তফসিরে বলা হয়েছে , পৃথিবী মহাবিশ্বের ফাউন্ডেসন সরুপ , কোন ফাউন্ডেসন ছাড়া যেমন কোন ভবন দাড়া হতে পারে না , ঠিক তেমনি পৃথিবী হোল মহা বিশ্বের ফাউন্ডেসন ।
এই আয়াতের অর্থ আপনি ছাড়া কেহ জানেন না , এমন ভাব নিয়েন না ।

৪৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৯

আমি সাজিদ বলেছেন: বিজ্ঞান মানেই সেখানে ভুল হবেই, ভুল থেকেই শুদ্ধতা আসবে। স্বাভাবিক বিষয়। এভাবেই মানুষ সেরা হয়েছে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি আপনার সাথে একমত। বিজ্ঞানিরাও মেনে নিয়েছে। কিন্তু কিছু ব্লগার মানতে চাচ্ছে না।

৪৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৩

এভো বলেছেন: যে যুগে ওনারা তফসির করেছেন সেই যুগে বিজ্ঞান সংক্রান্ত এই বিষয়গুলি নিয়ে ওনাদের জ্ঞান খুব কম ছিল।

এই বাক্যের অর্থ বা বাখ্যা কি সেটা বুঝতে কি বিজ্ঞান জানতে হবে ? পৃথিবীকে যখন সৃষ্ঠি করা হয় তখন আকাশ ধুয়ায়িত ছিল - এটা বুঝতে কি রকেট সাইন্স জানা লাগে , ধুয়ায়িত আকাশে পরে সূর্য নক্ষত্র চাদকে সৃষ্ঠি করা হয় । এই বাক্যে শুধু এই কথাই বলা হয়েছে ।
এই বাক্যের অর্থ কি পরিবর্তন হবে যুগে যুগে । যারা তফসির করেছিলেন তাদের কি যোগ্যতা কম ছিল ?

কোরআনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাকে চ্যালেঞ্জ করা ঠিক হবে না।

কে চ্যালেন্জ করলো , এই আয়াতের অর্থটা বর্ণনা করা হয়েছে । শুধু একটা আয়াতে নহে অরেকটা আয়াতেও একই মেসেজ আছে । তফসির কারকরা কিসের ভিত্তিতে দাবি করলেন ,,, পৃথিবী হোল মহাবিশ্বের ফাউন্ডেসন , এই আয়াত গুলোর ভিত্তিতে ।
পৃথিবীকে আগে এবং সূর্য নক্ষত্রকে পরে বানানো হয়েছে এই কথাটা লিখতে কি ১০ পাতার বর্ণনা লাগবে ?

আপনার লেখাতেই আপনি তফসিরের দুই ধরনের বর্ণনা দিয়েছেন

এক তফসিরে লিখা হয়েছে --- ইবনে কাছিরের তফসিরে ৪১-১১ সম্পর্কে কি লেখা আছে --
এই আয়াতে বুঝা যায় যে, আল্লাহ তা-আলা তাহার সৃষ্ঠির পরকল্পনার সূচনা করেছেন পৃথিবী সৃষ্ঠি দ্বারা

আরেকটাতে --সুতরাং আল্লাহ আকাশকে নির্দেশ দিলেন যে, সূর্য, চাঁদ এবং তারকারাজি বের কর
--- এটাতে স্পষ্ঠ দেখা যাচ্ছে পৃথিবীকে সৃষ্ঠির সময়ের ধুম্রকুঞ্জময় আকাশকে সূর্য চাদ তারাকারাজিকে বের করতে । তার মানে হোল পৃথিবীর পরে সূর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি করা হয়েছে।
এই আয়াতের অর্থ এবং তফসির করতে সাইন্স জানার কি কোন দরকার আছে , এখানে কৃষ্টাল ক্লিয়ার বলা হচ্ছে পৃথিকীকে আগে বানানো হয়েছে তখন আকাশকেও বানানো হয়েছিল তবে সেটা ছিল ধুয়ায়িত । বাস এখানেই কনক্লুশন আল্লাহ পৃথিবী এবং ধুয়ায়িত আকাশ এক সাথে সৃষ্ঠি করেছিলেন ---- এই কথা বুঝতে রকেট সাইন্স জানার কোন দরকার নেই ।
তারপর ধুুয়ায়িত আকাশে সূর্য নক্ষত্র চাদকে সৃষ্ঠি করা হয় ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক আয়াত নিয়ে একসঙ্গে আলাপ করছেন ফলে আমার পক্ষে এই বিষয়ে বলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার পোস্ট নিয়ে বলতে পারি। আর এই আয়াতগুলি নিয়ে বলতে গেলে আমাকে আগে এই বিষয়ে জানতে হবে। সব বিষয় সব সময় মাথায় থাকে না। পরে চেষ্টা করবো এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার। আপনারা পোস্টের বিষয় ছেড়ে অন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আসেন ফলে আমার পক্ষে সব বিষয় এক সাথে বলা কঠিন হয়ে যায়। সব সময় চেষ্টা করবেন পোস্টের বিষয়ে আলাপ করতে। অথবা এই বিষয় নিয়ে নিজেই একটা পোস্ট দেন, তখন আলাপ করা যাবে। এক পোস্টে সব কিছুর সংমিশ্রণ ভালো আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করে।

৪৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

আমি সাজিদ বলেছেন: বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায় আর ধর্ম নিজের জায়গায়। তাদের মধ্যে কোনভাবেই তুলনা সম্ভব নয়।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা তুলনা করার চেষ্টা করছে তারা অযথা সময় নষ্ট করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.