নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকর্ষ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা কি সঠিকভাবে জানেন?

০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩২


(এই পোস্টটা একজন অপদার্থের পদার্থবিজ্ঞানী হওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা মাত্র। তাই সবাই ভুল-ত্রুটি মার্জনা করবেন। যে সব ব্লগার এই বিষয়ে জ্ঞান রাখেন তারা তাদের মূল্যবান মতামত দিয়ে পোস্টটাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন।)

নাসার ( NASA) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আছে যেটার নাম Starchild Star Child (NASA) । এই ওয়েব সাইটে কিশোর- কিশোরীদের বিজ্ঞান সংক্রান্ত জ্ঞান আহরণের জন্য বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়। এই সাইটে মহাকর্ষ সম্পর্কে একটা প্রশ্ন ও তার জবাব ছিল নিম্নরুপ;

Question:
What is gravity?

Answer:
We don't really know. We can define what it is as a field of influence, because we know how it operates in the universe. And some scientists think that it is made up of particles called gravitons which travel at the speed of light. However, if we are to be honest, we do not know what gravity "is" in any fundamental way - we only know how it behaves.

(প্রশ্ন – মহাকর্ষ কি?

উত্তর - প্রকৃতপক্ষে আমরা জানি না। আমরা এটাকে প্রভাব সংক্রান্ত একটা ক্ষেত্র হিসাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি, যেহেতু আমরা জানি কিভাবে এটা মহাবিশ্বে কাজ করে যাচ্ছে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন এটা গ্র্যাভিটন নামক একটি কণা দ্বারা তৈরি যা আলোর গতিতে চলতে পারে। যাই হোক, সত্যি কথা বলতে, মৌলিকভাবে আমরা জানি না মহাকর্ষ কি – আমরা শুধু জানি কিভাবে এটা আচরণ করে।)

ওয়াশিংটন পোস্টের এই লেখাতেও অনেকটা একইভাবে বলা হয়েছে Everything you thought you knew about gravity is wrong

এই লেখার শিরোনাম হোল Everything you thought you knew about gravity is wrong ( এটা আপনার ভুল ধারণা যে আপনি ভেবেছেন মহাকর্ষ সম্পর্কে আপনি সব কিছু জানেন)

লেখার শুরুতেই লেখক, যিনি একজন গবেষক, লিখেছেন যে ‘We don’t know what gravity is.” ( আমরা জানি না মহাকর্ষ কি)
আসলে উপরের দুইটি লেখায় বিজ্ঞানীরা বলতে চাচ্ছেন যে মহাকর্ষকে এখনও আমরা ভালোভাবে বুঝি না এবং মহাকর্ষকে বল বিদ্যার সকল শাখায় একইভাবে প্রয়োগ এবং কি কারণে মহাকর্ষ ঘটে এই ব্যাপারে আমাদের আরও জানার বাকি আছে।

উইকিপিডিয়াতে পদার্থ বিজ্ঞানে অ-সমাধানকৃত সমস্যার একটা বড় তালিকা আছে। List of unsolved problems in physics এই তালিকাতে কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটিরও (কোয়ান্টাম মহাকর্ষ) উল্লেখ আছে। ‘কোয়ান্টাম মহাকর্ষ’ বলবিদ্যার একটি অসম্পূর্ণ উদ্যোগ যার সমাধানের চেষ্টা এখনও চলছে। কোয়ান্টাম বলবিদ্যা নিয়ে যারা কাজ করেন তারা বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোয়ান্টাম বলবিদ্যার আলোকে মহাকর্ষকে সংজ্ঞায়িত করতে ও তা প্রয়োগ করতে। আইনস্টাইন যেভাবে মহাকর্ষকে বর্ণনা করেছেন তার আপেক্ষিকতার থিউরিগুলিতে সেই মহাকর্ষকে বিজ্ঞানীরা কিভাবে কোয়ান্টাম জগতে প্রয়োগ করবেন তা নিয়ে তারা এক ধরণের ধাঁধাঁর মধ্যে আছেন। আইনস্টাইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী মহাকর্ষকে কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় প্রয়োগ করা যাবে কি না এই ব্যাপারেও বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না। তাই তারা ‘কোয়ান্টাম মহাকর্ষ’ নামক একটা নতুন টার্ম তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এটার চরিত্র আইনস্টাইনের মহাকর্ষের মত না ও হতে পারে। এই কোয়ান্টাম মহাকর্ষে বিজ্ঞানীরা একটা কোয়ান্টাম কণার কথা কল্পনা করছেন যার নাম তারা দিয়েছেন গ্র্যাভিটন। যদিও এই কণার বাস্তব অস্তিত্ব এখনও পাওয়া যায় নাই।Graviton

আপেল গাছ থেকে নীচে পড়ে কিংবা গ্রহগুলি সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিন করে, দৈনন্দিন জীবনের এই জাতীয় বহু ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে মহাকর্ষ বলে একটা কিছু আছে। কিন্তু মহাকর্ষের কোন সার্বজনীন সংজ্ঞা বিজ্ঞানীরা এখনও আবিষ্কার করতে পারেন নি। সার্বজনীন বলতে বুঝাচ্ছে যে সংজ্ঞা একইভাবে বস্তুর পারমানবিক কণার ক্ষেত্রে যেমন কাজ করবে আবার আমাদের জীবনের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডেও কাজ করবে ( নিউটনের ল যে পরিবেশকে বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠিত) এমন কি বৃহৎ নক্ষত্র, গালাক্সি, ব্ল্যাক হোলের ক্ষেত্রেও কাজ করবে (আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্রগুলির সাথে মিল রেখে)।

বিজ্ঞানী নিউটনের মতে মহাকর্ষ একটা বল যা যে কোন দুইটা বস্তুর মধ্যে কাজ করে। ফলে একে অন্যকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এই বল বস্তু দুইটার ভরের গুনফলের সমানুপাতিক এবং উভয়ের মধ্যের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক। সুত্রে একটা ধ্রুব সংখ্যা (G) ব্যবহার করা হয় যাকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে। নিউটনের সূত্র স্পেসটাইমকে (স্পেস ও টাইমের সমন্বয়ে একটি টার্ম ) গণনায় আনে না ফলে এই সূত্র শুধু অপেক্ষাকৃত কম গতির (আলোর গতির চেয়ে অনেক অনেক কম গতি যা আমরা দৈনন্দিন জীবনে দেখে থাকি) ও অপেক্ষাকৃত কম ভরের ( বৃহৎ নক্ষত্র, গালাক্সি ইত্যাদি ব্যতীত অন্যান্য অপেক্ষাকৃত ছোট বস্তু) বস্তুর ক্ষেত্রে মহাকর্ষের একটা হিসাব দেয় যা প্রকৃত হিসাবের মোটামুটি কাছাকাছি।

কিন্তু আইনস্টাইন তার বিশেষ আপেক্ষিকতার থিউরিতে মহাকর্ষকে অন্যভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। আইনস্টাইন তার বিশেষ আপেক্ষিকতা থিউরিতে বলেছেন যে মহাকর্ষ কোন বল ( force) না বরং এটি হোল বস্তুর ভরের কারণে সৃষ্ট একটা ঘটনা যা স্পেসটাইমকে (Spacetime) প্রভাবিত করে। স্পেস ও টাইমের সমন্বয়ে ‘স্পেসটাইম’ নামক এই টার্মটা প্রথম প্রচলন করেন আইনস্টাইনের একজন শিক্ষক যার নাম ছিল মিনকোভস্কি। আইনস্টাইন এই টার্মটা তার থিউরিতে ব্যবহার করেন। আইনস্টাইন বলেন যে মহাকর্ষ হোল স্পেসটাইমের জ্যামিতিক ক্ষেত্র সংক্রান্ত ঘটনার বহিঃপ্রকাশ। আইনস্টাইন এই ঘটনাকে স্পেসটাইম জ্যামিতিক ক্ষেত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন।

উনি উদাহরন হিসাবে বলছেন যে একটা বিছানার চাদরে একটা ফুটবল রাখলে চাদরটা দেবে যায়। একইভাবে অতিমাত্রার ভর বিশিষ্ট বস্তুর কারণে তার নিকটস্থ স্পেসটাইমও বক্র হয়ে যায়। একটা মার্বেল যদি এই বলটার কাছে যায় তখন সেটা চাদরের দেবে যাওয়া অংশে চলে যায়। এই ঘটনাই মহাকর্ষের কারণ। গ্রহ নক্ষত্রের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। বোঝা যাচ্ছে যে মহাকর্ষের সাথে স্পেস ও টাইমের সম্পর্ক আছে। এই স্পেসটাইম phenomenon ই বস্তুর মহাকর্ষের জন্য দায়ী।

কিন্তু যারা কোয়ান্টাম বলবিদ্যা নিয়ে কাজ করেন তারা আইনস্টাইনের মহাকর্ষের সংজ্ঞাকে তাদের থিউরিগুলিতে কিভাবে প্রয়োগ করবেন তা নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছেন বহু বছর ধরে। বিজ্ঞানে চারটা মৌলিক ফোরস আছে। পঞ্চম একটা ফোরসের সম্ভবনার কথা বিজ্ঞানীরা অবশ্য এখন বলছেন, যেটার নাম বোসন এক্স দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই চারটা ফোরস হোল মহাকর্ষ বল, তড়িৎ চুম্বকীয় বল, সবল নিউক্লীয় বল এবং দুর্বল নিউক্লীয় বল। এই চারটা বলের মধ্যে মহাকর্ষ ছাড়া বাকি তিনটা ফোরসের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা প্রত্যেকটার জন্য পৃথক পৃথক ক্ষুদ্রতম কণার সন্ধান পেয়েছেন যে কণাগুলির সঞ্চালনের মাধ্যমে এই ফোরসগুলি কাজ করে। এই কণাগুলি মুলত কণার গ্রুপ ‘বোসন’ এরই বিভিন ধরণ বা প্রকৃতি। যেমন সবল নিউক্লীয় বলের কণার নাম গ্লুঅন (Gluon), তড়িৎ চুম্বকীয় বলের কণার নাম ফোটন এবং দুর্বল নিউক্লীয় বলের কণার নাম ডবলু এবং জেড বোসন।

বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষের ক্ষেত্রেও কোয়ান্টাম জগতের জন্য অনুরুপ কণার খোঁজ করছেন যার দ্বারা মহাকর্ষ সঞ্চালিত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এই কণার সন্ধান তারা না পাচ্ছেন তাদের কোয়ান্টাম মহাকর্ষ থিউরিও পূর্ণতা পাচ্ছে না। তাই এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষ সম্পর্কে আসলে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করতে পারেন নি যদিও মহাকর্ষের অস্তিত্ব ও তার প্রভাব আমরা দেখি ও অনুভব করি। মহাকর্ষের কারণ ও কিভাবে তা পদার্থ বিজ্ঞানের সকল শাখায় সমভাবে কাজ করবে এটা জানার জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। কোয়ান্টাম জগতে যখন আমরা মহাকর্ষকে সফলভাবে চিহ্নিত ও প্রয়োগ করতে পারবো তখনই বলা যাবে যে মহাকর্ষের সকল রহস্য আমাদের জানা হয়েছে। আশা করি অচিরেই বিজ্ঞানীরা তাদের এই প্রচেষ্টায় সফল হবেন।

সূত্র -
Greatest Mysteries: What Causes Gravity?
What causes gravity?
What is gravitational force and what is gravity?
Fundamental Forces
What Is Gravity?
The 7 Biggest Unanswered Questions in Physics
bn.wikipedia.org/wiki
bn.vikaspedia.in/education/

ছবি - কোয়ান্টা ম্যাগাজিন

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

সাসুম বলেছেন: অল্প জ্ঞানী কি করে ভয়ংকর হতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হল- বিজ্ঞানী আরিফ আজাদ।

সো আপনি যখন পদার্থ বিজ্ঞানের বেসিক আইডিয়া না নিয়েই লিখালিখি শুরু করবেন বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে তখন আপনার বিজ্ঞানের খুত আর ভুল বের করতে অসুবিধা হবেনা।

বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল- বিজ্ঞান তালগাছ আমার এই থিউরি তে চলে না। আপনি আজকে থার্মোডাইনামিক্স এর একটা নতুন সূত্র প্রমান করে দেন, কাল থেকে আগের গুলা সব বাদ।

বাচ্চাদের সায়েন্স সাইটে কেন গ্রাভিটি কে বুঝানো হয় নি? কারন সহজ ভাবে বুঝানর জন্য বাচ্চাদের ব্রেণ এখনো অতটা ডেভেলপ পর্যায়ে পৌছায় নাই এর ক্রিটিকাল পয়েন্ট গুলা ধরার জন্য। তাই এমন ভাবে বলা হয়েছে যাতে তার মধ্যে আগ্রহ ক্রিয়েট হয় এবং নেক্সট বড় হলে আস্তে আস্তে এটা নিয়ে আরো পড়ালেখা করতে পারে তার বয়স ও জ্ঞানের সাথে সমন্বয় করে।

রিচার্ড এর লিখাঃ বিজ্ঞান যাচাই করতে হয় বিজ্ঞানী দিয়ে, লেখক দিয়ে নয়। যে কারনে আমি বার বার করে বলি, আরিফ আজাদ নামক গু লেখক এর প্যারা মজিদ বই দিয়ে ইভালুশান যাচাই না করে বিজ্ঞানীর বই দিয়ে যাচাই করার জন্য। সেম কথা, এখানেও প্রযোজ্য।

ইউটিউব আর গুগুলিং করে যদি গ্রাভিটির সত্যতা নিরূপণ করা যেত তাহলে লক্ষ লক্ষ বিজ্ঞানীর ভাত মারা যেত।

গ্রাভিটি কে নিউটন তার ফোর্স ও আর দূরত্বের এম ১ ও এম ২ ভরের দুইটা বস্তর মধ্যে দিয়ে কন্সটেন্ট - জি কে দিয়ে যেটা ব্যাখ্যা করেছেন সেটা হল গ্রাভিটির ল। এটা একটা ন্যাচারাল ফেনোমেনন বাট এটা অস্তিত্ব আছে এটা প্রমান করে বাট কিভাবে কাজ করে সেটা ব্যাখ্যা করে না।

আমাদের আপাত দুনিয়ার হিসাবে এই ল ভেলিড কারন আমরা এটা দিয়েই কাজ চালায়ে যাচ্ছি।

অন্যদিকে,
আইন্সটাইন এর থিউরি অফ রিলেটিভিটি এক্সপ্লেইন করে কিভাবে গ্রাভিটি কাজ করে । তার এক্সপ্লেনেশান অনুযায়ী গ্রাভিটি হল ফোর ডাইমেনশানল স্পেস টাইমের এফেক্ট অফ কার্ভেচার।
যেহেতু কোয়ান্টাম ফিল্ডে আমরা এখনো মায়ের পেটে সো এই সূত্র বা প্রমান করতে আরো শত বছর অপেক্ষা করতে লাগ্লেও অবাক হবার কিছু নেই। যদিও আশা করা যায়, আগামি ২ বছরের মধ্যে কোয়ান্টাম কম্পিউটার এর প্রেক্টিকাল প্রয়োগ শুরু হলে আই বি এম ল্যাব এটা নিয়ে তাদের প্রথম কাজ করার ঘোষনা দিয়েছে।

এবার আসা যাক- বলবিদ্যা।

চার টা বেসিক বলের বাইরে অন্য বলের কথা বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, এটা নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চালু আছে। হয়ত একদিন আমরা এই বল গুলারে সমন্বয় করে অন্য আরো একটা বলের সন্ধান পাব। হয়ত এটাই আমাদের গ্রান্ড ইউনিফাইড থিউরি প্রমান করতে সাহায্য করবে। বাট আমরা এখনো সিউর না। এই বলের সন্ধানেই সালাম উইনবার্গ আর গ্লাসগো নোবেল পেয়েছিলেন। যদিও তারা কোন ফিক্সড ও ফাইনাল থিউরি দিতে পারেন নাই।

জেনারেল রিলেটিভিটি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর একীভূত করন হলে একটা থিউরি অব এভ্রিথিং খুঁজে পাবেন বিজ্ঞানীরা এটা ধারনা করা হচ্ছে, বাট সমস্যা হচ্ছে এই ধারনা ফিজিক্সের ফান্ডামেন্টাল থিউরিকে নস্ট করে দেয়।

যার কারনে, এই দুইটা থিউরির ইন-কম্পাবিলিটি পদার্থ বিজ্ঞানের একটা অসম্পূর্ন চিন্তা হিসেবে ধরা হয়।

তবে বিজ্ঞানীরা আইন্সটাইন এর গ্রাভিটিশনাল বল এর পরিবর্তে গ্রাভিটিশনাল ওয়েব খুঁজে পেয়েছেন রিসেন্টলি ২০১৫ সালে। Observation of Gravitational Waves from a Binary Black Hole Merger
এই ব্লাক হোল থেকে আসা ওয়েব যদি সত্যি সত্যি প্রমানিত হয় আরো বিজ্ঞানীদের রিসার্স এবং অথেন্টিকেশান দিয়ে তাহলে হয়ত সেটা আর জাস্ট থিউরি থাকবেনা। প্রমাণিত হবে। একটা প্রজেক্ট চলমান আছে গ্রাভিটিশনাল ওয়েব ডিটেকশান নিয়ে। একটা স্পেসশিপ পাঠানো হয়েছে অলরেডি। লিসা পাথফাইন্ডার মিশন নামে আরেকটা প্রজেক্ট এর কাজ চলছে। সমস্যা হল- এই ওয়েব এতই উইক এটা ডীটেক্ট করতে কি কি লাগবে তাও বুঝতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। হয়ত সামনে আরো অগ্রগগতি হবে।

বাট বিজ্ঞানের কাজ হল, গবেষনা করে যাওয়া। এই বল বা ওয়েব আবিস্কার বা প্রমানিত হলেই যে, সব কিছু বুঝা যাবে এমন না। মিলিয়ন বছর লেগে যাবে আমাদের আবিস্কার আর প্রমানে। কারন এই মহাবিশ্ব কত বড় যেমন আমরা জানিনা এর মাঝে কি কি লুকিয়ে আছে তাও জানিনা। সো জানার কোন শেষ নেই।



বিজ্ঞান কখনোই এটা বলে না- তালগাছ আমার। যদি অন্য কেউ প্রমান করতে পারে তালগাছ তার, তাহলে বিজ্ঞানের কোন আপত্তি নেই তালগাছ হস্তান্তর করতে। তবে আপাতত যেহেতু যা প্রমান আছে তাতে তাল্গাছের মালিকানা বিজ্ঞানের কাছেই।

বিজ্ঞানের ভুল বা সীমাবদ্ধতা তুলে ধরার আপনার এই চেস্টা সুন্দর। ধর্ম যে বিজ্ঞানের চেয়ে অনেক এগিয়ে এবং বিজ্ঞান যে ইন ফিউচারে ভুল হতে পারে ধর্মের আজগুবি গল্প প্রমানে; এটা প্রমান করার জন্য আপনার এই প্রচেষ্টা সোনার অক্ষরে লিখা থাকবে ইতিহাসে।

আরিফ আজাদ এর মত মূর্খ যদি প্যারা মজিদ লিখে ফেলতে পারে এবং দেশের সেরা বিজ্ঞানী হয়ে যেতে পারে, আপনি ও লিখতে পারেন এরকম একটা বই। আশা করি মার্কেট ভাল হবে। কারন সিউডো সাইয়েন্স বা অপবিজ্ঞান এর বাংলাদেশে মার্কেট খুব বেশি।

শুভকামনা

০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাচ্চাদেরকে সত্য কথাটাই বলা হচ্ছে। এটা আপনি মনে হয় বুঝতে পারেন নি। আর কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছেন। লেখার ফোকাস ঠিক রাখেন।

২| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

সাসুম বলেছেন: আপনার পোস্টের সবচেয়ে বড় আজব লিখাটা হল- আপনি হেডিং এ লিখেছেন- একজন অপদার্থের পদার্থ বিজ্ঞানী হবার অপচেস্টা।

এভাবে গুগুল, উইকিপিডিয়া আর ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল থেকে লিখা সম্পাদনা করে যদ্দুর জানি পদার্থ বিজ্ঞানী হওয়া যায়না। বিজ্ঞানী হতে হলে মে বি স্কুল, কলেজ, ইউনি তে গিয়ে থিউরিটিকাল, প্রেক্টিকাল আর রিসার্স করতে হয়। জ্ঞান আহরন করতে হয়। মুক্ত চিন্তা করতে হয়। নিজের কোন মতবাদ কে বাই ডিফল্ট দুনিয়ার সেরা মতবাদ এই চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে চিন্তা করতে হয় আর গবেষণা করে সমস্যার সমাধান বের কর‍তে হয়।

বাট আপনার এসব কিছু না করেই কিভাবে পদার্থবিজ্ঞানী হবেন এটাই আমার কাছে অবাক করা বিষয়। আপনার কাছে- তালগাছ আপনার। আপনার থিউরি আপনার কাছে অনমনীয়। আপনি যেটা বিশ্বাস করেন তার চেয়ে সত্য আর কিছুই নেই।

এই তালগাছ আমার চিন্তা আর গুগুল উইকিপিডিয়া সার্চ নিয়ে যদ্দুর জানি বিজ্ঞানী হওয়া যায়না। তবে আরিফ আজাদ হওয়া যায় ফর সিউর।


আপনার বিজ্ঞানি হবার যাত্রা শুভ হোক। আপনার জন্য সব সময়ের মত শুভকামনা।

০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে বাজে কথা বলেন। যেটা দেশের আইন বলেন আর ব্লগের আইন বলেন উভয় ক্ষেত্রেই অপরাধ। তাই আপনাকে আমি কয়েকবার সতর্ক করবো। যদি সংশোধন না হন তাহলে প্রয়োজনীয় বৈধ ব্যবস্থা নেব ব্লগের নিয়ম অনুযায়ী। পড়ে কান্নাকাটি করবেন না।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাচ্চাদেরকে সত্য কথাটাই বলা হচ্ছে। এটা আপনি মনে হয় বুঝতে পারেন নি। আর কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছেন। লেখার ফোকাস ঠিক রাখেন।[/sb

জীবনে কোনদিন পদার্থ বিজ্ঞান না উল্টিয়ে গুগুল আর উইকি ঘেটে একজন পদার্থ বিজ্ঞানী কে আপনি গ্রাভিটি বুঝাতে আসছেন, তার চিন্তা আর ভাবনার ভূল ধরতে আসছেন- এর চেয়ে বড় আরিফ আজাদ গিরী মনে হয় আর হতে পারেনা।

তবুও আপনার জন্য ভালোবাসা।

০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উল্টাপাল্টা মানুষ আমি পছন্দ করি না। সম্মানের সাথে আপনি চলে গেলে খুশি হব।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১১

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে বাজে কথা বলেন। যেটা দেশের আইন বলেন আর ব্লগের আইন বলেন উভয় ক্ষেত্রেই অপরাধ। তাই আপনাকে আমি কয়েকবার সতর্ক করবো। যদি সংশোধন না হন তাহলে প্রয়োজনীয় বৈধ ব্যবস্থা নেব ব্লগের নিয়ম অনুযায়ী। পড়ে কান্নাকাটি করবেন না।[/sb

আপ্নে পদার্থ বিজ্ঞানের প না জেনে বিজ্ঞানি হতে চেয়েছেন এবং এটা একটা ভুল রাস্তা এটা ধরিয়ে দেয়ার কারনে আপনার মামুনুনুভূতিতে আঘাত লেগেছে?

আপনার এই থ্রেট এ আমি চরম ভয় পেয়ে গেছি। প্যান্ট এর ভেতর আমি প্রস্রাব করে দিয়েছি আপনার হুমকি পেয়ে। আপনি আমাকে আর কয়বার সতর্ক করবেন? একটু যদি বলে দিতেন আর কি। আর আপনার তাল্গাচ্ছ আপনার এই কথা বলার কারনে ঠিক কোন যায়গায় আঘাত লেগেছে সেটা যদি একটু দেখিয়ে দিতেন।
আপনার এই থ্রেট দেয়া একটু অবাক করা কাজ লাগছে। বহুদিন কল্লা ফেলার থ্রেট পাই না

০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ব্লগারদের ছাগল মনে করেন, কাজেই আপনি কি ধরণের ব্লগার সবাই বুঝতে পেড়েছে। গায়ে পড়ে দয়া করে কথা বলতে আসবেন না। ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে আপত্তিকর বাজে কথা বলবেন না ভবিষ্যতে।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২১

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি ব্লগারদের ছাগল মনে করেন, কাজেই আপনি কি ধরণের ব্লগার সবাই বুঝতে পেড়েছে। গায়ে পড়ে দয়া করে কথা বলতে আসবেন না। ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে আপত্তিকর বাজে কথা বলবেন না ভবিষ্যতে।[/sb
আপ্নার থ্রেট এ আমি প্যান্ট নস্ট করে ফেলেছি। এটা নিয়ে চিন্তা আছি বাসায় যাব কিভাবে মেট্রো করে। ক্যাব নিতে হবে। অনেক খরচা।

আমি সবাইকে ছাগল মনে করিনা। ছাগল কে ছাগল মনে করি। আপনি নিজেকে সেই তালিকায় টেনে নিলে সেই দোষ আপনার, আমার না।

০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ক্ষমাও চেয়েছিলেন সম্ভবত। ভুলে গেলে সমস্যা। তারপর কান্নাকাটি করে সব পোস্ট মুছেও দিয়েছিলেন। মনে করার চেষ্টা করেন। পদার্থ বিজ্ঞানীর মেট্রোতে না স্পেসশিপে করে যাওয়ার কথা। আপনি কোথাও ভুল করছেন।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

সাসুম বলেছেন: আমি কান্নাকাটি করি নাই। পোস্ট মডারেটর আপত্তি জানিয়েছেন সবাইকে গনহারে ছাগল বলাতে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম এটা উচিত হয় নাই। একমাত্র ছাগল কেই ছাগল বলা উচিত ছিল। সেটার জন্য সরি ও বলেছি।

পোস্ট মুছেচি এটার কারন এর সাথে কান্নাকাটির কি সম্পর্ক? আপনি ব্লগ আর কম্পিউটার চিনার আগে থেকেই আমি লিখি আর মুছি। এটা নতুন কিছু না।

আপনার জ্ঞান এতদুর চলে এসেছে বিজ্ঞানের যে, স্পেসসুটে করে চলাফেরা করা যায় দুনিয়ায় এটা জানা ছিল না।

০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে বুঝতে হবে যে ব্লগে কাউকেই আপনি ছাগল বলতে পারেন না। এটা না বুঝলে ব্লগের মডারেটরকে জিজ্ঞেস করে নিবেন। আমি ১৯৮৫ সালে কম্পিউটার দেখেছি। ১৯৯২ সালে ব্যবহার করেছি। তখন সম্ভবত আপনি দুধের শিশু। যাই হোক উল্টা পাল্টা কথা লিখলে আপনার কমেন্ট আমি মুছে দেব। আর ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে বাজে কথা বললে আপনাকে চিরতরে ব্লক করে দিব। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নেন আপনি আমার ব্লগে মন্তব্য করবেন কি না। পরে কান্নাকাটি করে সবাইকে বলবেন না যে সাড়ে চুয়াত্তর আমাকে ব্লক করেছে। আকেল মন্দ কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যাঁয়।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

সাসুম বলেছেন: আপনার হুমকি তে আমি প্রচুর ভয় পেয়েছি এম্নিতেই। আরো ভয় লাগাচ্ছেন কেন? তালগাছ আপনার এটা বলে দিলাম তো! আর আপনার পোস্ট হল এন্টারটেইনমেন্ট এর একটা বড় যায়গা আমার জন্য। ব্লক করে দিবেন? প্রচুর কান্নাকাটি করব বলে দিলাম।

আর ছাগলের দেশের ভাষা বুঝিনা আমি। সো আকেল মন্দ না কি বলেছেন এসব বুঝার যোগ্যতা নেই। মাফ করবেন।

আচ্ছা, ঠিক আছে , ছাগল কে আর ছাগল বল্ব না। আরিফ আজাদ বল্ব এখন থেকে। জানিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩১

শিরোনামহীনভক্ত দিহান বলেছেন: আপনি ব্লগকে কুযুক্তি দিয়ে মাদ্রাসা বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মানুষ সচেতন হচ্ছে ধীরে ধীরে। কুযুক্তিবিদেরা একদিন নিপাত যাবে।

০৩ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি লেখা না পড়েই বলছেন। আমি বিজ্ঞানের পক্ষেই বলেছি। শেষ লাইনটা পড়ে দেখেন। আমি কু যুক্তি দিলে আপনি যুক্তি খণ্ডন করেন।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞানীদের এসব জানার কথা না,কারন তারা আসল বিজ্ঞানের বই পবিত্র গ্রন্থ পড়ে না।

০৩ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্ট না পড়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছেন। এগুলি আমার কথা না বিজ্ঞানীদের কথা। পারলে যুক্তি খণ্ডন করেন আর না হলে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। আমি ধর্ম নিয়ে কিছু বলি নাই। আমি বিজ্ঞানের পক্ষেই বলছি। আমার লেখার শেষ লাইন দেখেন।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:৩৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: একসময় মনে করা হতো, ইলেকট্রন একটি সুনির্দিষ্ট পারমাণবিক কণা যার পরিচয় নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই, যা জানার আর বাকি নেই। কোয়ান্টাম তত্ত্ব আসার পর বোঝা গেল, ইলেকট্রন নিজেই বিস্ময়কর এক জগত যার সুনির্দিষ্ট স্বরূপ নেই। মহাকর্ষের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। পারমাণবিক, অতিপারমাণবিক কণাগুলো নিজেরাই একেকটি এখনও অনেক অজানা জগত।

স্পেস-টাইম শব্দটি আইনস্টাইন নন, তাঁর শিক্ষক হারমান মিনকোভস্কি, যিনি আইনস্টাইনকে বলতেন অলস কুকুর :), প্রচলন করেন।

০৩ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে নতুন কিছু জানলাম ইলেকট্রন সম্পর্কে। আসলেই পারমাণবিক, অতিপারমাণবিক কণাগুলি নিজেরাই একেকটি অজানা জগৎ।

স্পেস টাইম সংক্রান্ত কথাগুলি সংশোধন করে দিচ্ছি।

অনেক ধন্যবাদ বিজ্ঞান সংক্রান্ত পোস্টে বিজ্ঞান নিয়ে আলাপ করার জন্য। অনেকে বুঝে বা না বুঝে এই পোস্টটাকে অন্য দিকে নেয়ার চেষ্টা করেছে। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.