নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের কয়েকজন বিখ্যাত আস্তিক বিজ্ঞানী

১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭



ব্লগে অনেকে বলে থাকেন যে ধর্ম বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করলে বিজ্ঞানচর্চা বৃথা। তারা বলতে চান যে আস্তিক মানুষের মন মানসিকতা বিজ্ঞানচর্চার অনুকুল না। তারা বিজ্ঞানে ভালো করতে পারেন না তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে। কিন্তু আমরা যদি পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের ধর্ম বিশ্বাস বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখব যে এখনও অন্তত ৫০% বিজ্ঞানী সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন। আসলে বিজ্ঞানী বলে কথা না, বর্তমান যুগে সাধারণ মানুষও অধিক মাত্রায় নাস্তিকতার দিকে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের নাস্তিকতাও আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই এটার কারণ হিসাবে শুধু বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে দায়ী করা যাবে না। আরও অনেক কারণ আছে।

বিজ্ঞান চর্চা ও ধর্ম চর্চা দুইটাই যে একসাথে করা যায় এটা প্রমান করার জন্য আমি এই পোস্টে বিশ্বের কয়েকজন বিখ্যাত বিজ্ঞানীকে নিয়ে আলোচনা করেছি যারা একই সাথে বিজ্ঞান ও ধর্ম চর্চা করেছেন।

১। ফ্রান্সিস কলিন্স ( ১৯৫০- এখনও জীবিত)

একজন অ্যামেরিকান জীনতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ এবং ডাক্তার। তিনি অনেক রোগের সাথে সংশ্লিষ্ট জীন আবিষ্কার করেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের হিউম্যান জেনম প্রজেক্টের প্রধান ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের National Institute of Health (NIH) এর ডাইরেক্টর। উনি জিন শিকারি হিসাবে বিখ্যাত। তিনি প্রেসিডেন্ট মেডাল অব ফ্রিডম এবং ন্যাশনাল মেডাল অব সাইন্স পদক পেয়েছেন। তিনি বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র ও ধর্মের উপর অনেক বই লিখেছেন। তার একটা বিখ্যাত নিউইয়র্ক টাইম বেস্ট সেলার বইয়ের নাম হোল The Language of God: A Scientist Presents Evidence of Belief। ভ্যাটিকান সিটির বিজ্ঞান একাডেমীর তিনি একজন সদস্য। তিনি ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে সেতুবন্ধনে বিশ্বাসী।

স্কুলে পড়ার সময় তিনি একজন নাস্তিক ছিলেন। হাসপাতালের একজন রোগীর অনুপ্রেরনায় তিনি ধর্ম নিয়ে চিন্তা শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন ধর্ম এবং সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন এবং অবশেষে খৃস্টধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে মানুষ শুধু যুক্তি ও তর্ক- বিতর্কের দ্বারা ধর্মের দিকে ঝুকতে পারে না বরং তার জন্য প্রয়োজন বিশ্বাস। তিনি নিজেকে একজন নিষ্ঠাবান খ্রিস্টান মনে করেন। তিনি তার বই The Language of God: A Scientist Presents Evidence of Belief বইয়ে বলেন যে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলি মানুষের জন্য প্রার্থনার সুযোগ তৈরি করে দেয়। তিনি মনে করেন যে শরীরের ডিএনএ হোল একটা নির্দেশনাপত্র অথবা একটা সফটওয়্যার যা কোষের নিউক্লিয়াসে অবস্থিত। এই বই লেখার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন যে অধিকাংশ মানুষ ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে একটা সমন্বয় খোঁজে কিন্তু এই সমন্বয়ের সমর্থনে আলোচনা কম হয়। এই বইয়ে তিনি সমন্বয়ের চেষ্টা করেছেন।

২। ওয়ারনার হেইজেনবার্গ ( ১৯০১- ১৯৭৬)

একজন জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী, কোয়ান্টাম বলবিদ্যায় যার উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। ১৯৩২ সালে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার উপর গুরুত্বপূর্ণ ও সফল গবেষণার জন্য পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান। হেইজেনবার্গ একজন সর্বজন স্বীকৃত এবং প্রভাবশালী বিজ্ঞানী যিনি নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ্যা, কণা পদার্থবিদ্যা এবং কোয়ান্টাম ফিল্ড থিউরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূচনাপর্বে ওনার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল।

হেইজেনবার্গ একজন নিবেদিতপ্রাণ খৃস্টান ছিলেন। আলবার্ট আইনস্টাইনকে লেখা তার শেষ চিঠিতে হেইজেনবার্গ লেখেন যে “ আমরা সান্ত্বনা পেতে পারি এই কারণে যে, প্রভু ঈশ্বর সাব-এটমিক কণাগুলির অবস্থান জানেন, যার মাধ্যমে ঈশ্বর Causality Principle (যে নীতি অনুসারে প্রত্যেক ঘটনার অবশ্যই একটা কারণ আছে) এর গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করবেন”।

৩। আরনেস্ট ওয়ালটন ( ১৯০৩ – ১৯৯৫)

উনি একজন আইরিশ পদার্থবিজ্ঞানী যিনি ১৯৫১ সালে নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। উনি সর্ব প্রথম ‘High energy’ particle accelerator তৈরি করেন। এই আবিষ্কার আইনস্টাইনের E = mc^ সুত্রের ভর ও শক্তির সাম্যকে (Equivalence) সমর্থন করেছে। ওয়ালটন একজন নিবেদিতপ্রাণ মেথডিস্ট খৃস্টান ছিলেন।

৪। স্যার রোনালড ফিশার (১৮৯০ – ১৯৬২)

একজন ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ, জীনতত্ত্ব গবেষক এবং শিক্ষাবিদ। ওনাকে একজন প্রতিভা হিসাবে গণ্য করা হয় যিনি বলতে গেলে একাই আধুনিক পরিসংখ্যানবিদ্যার ভিত্তি নির্মাণ করেছেন। তিনি গানিতিক মডেল ব্যবহার করে ম্যানডেলিয়ান জীনেটিক্স এবং ডারউইনের ন্যাচারাল সিলেকশনের মধ্যে সমন্বয় করেন। ফলশ্রুতিতে বিংশ শতাব্দিতে ডারউইনের বিবর্তনবাদের পুনরুজ্জীবন ঘটে এবং আধুনিক সিনথেসিসের জন্ম হয়। পপুলেশন জীনেটিক্সের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ব্রিটিশ রয়াল সোসাইটির ( বিজ্ঞান চর্চার একটি কেন্দ্র যা বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিল) সদস্য ছিলেন এবং ১৯৫২ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে নাইট খেতাব প্রদান করেন।

তিনি একজন নিবেদিতপ্রান অ্যাংগলিকান খ্রিস্টান ছিলেন এবং চার্চের জন্য প্রবন্ধ লিখতেন।

৫। জর্জ লেমাইত্রি (১৮৯৪- ১৯৬৬)

তিনি একজন বেলজিয়ান ক্যাথলিক ধর্মযাজক, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ এবং ক্যাথলিক ইউনিভারসিটি অফ লভেনের পদার্থবিজ্ঞানের প্রফেসর ছিলেন। ১৯২৭ সালে আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার সুত্র নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের ধারণা উনিই প্রথম প্রকাশ করেন যা পরবর্তীতে এডউইন হাবল নিশ্চিত করেন। ফলে তার এবং হাবলের নামে ‘হাবল-লেমাইত্রি ল’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যা মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের কারণ ও প্রকৃতি ব্যাখ্যা করে। জর্জ লেমাইত্রি প্রথম বিগ ব্যাং থিউরিরও ধারণা দেন। ১৯৩৪ সালে তিনি ফ্রাঙ্কুইজ পুরস্কারে ভূষিত হন যা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বেলজিয়ামের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার।

৬। চার্লস হার্ড টওনেস (১৯১৫-২০১৫)

একজন অ্যামেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ও তার সহকর্মীরা ১৯৫৩ সালে Maser নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যার সাহায্যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ সৃষ্টি করা যায়। ১৯৬৪ সালে তিনি যৌথভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি ১৯৪৫ সালে থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ছিলেন। ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রু ম্যান থেকে শুরু করে বিল ক্লিনটন পর্যন্ত সকল ইউ এস প্রেসিডেন্টের সাথে ওনার পরিচয় ছিল। চাঁদে প্রথম মানুষের পদার্পণ হয় অ্যাপলো লুনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে। উনি এই প্রোগ্রামের জন্য গঠিত রাষ্ট্রীয় কমিটির ডাইরেক্টর ছিলেন। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোল উনিই প্রথম আবিষ্কার করেন।

চার্লস হার্ড টওনেস একজন ধার্মিক খ্রিস্টান ছিলেন। উনি মনে করতেন যে বিজ্ঞান ও ধর্ম, মহাবিশ্বের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য জানার ক্ষেত্রে এক বিন্দুতে মিলিত হয়ে কাজ করছে। তিনি ইউনাইটেড চার্চ অব ক্রাইস্টের সদস্য ছিলেন। তিনি বলেন “ বিজ্ঞান এবং ধর্ম অনেকটাই সমান্তরালভাবে চলছে এবং অনেক মিল এই দুইয়ের মধ্যে আছে যদিও অধিকাংশ মানুষ এই ব্যাপারে বিপরীত মত পোষণ করে। একসময় বিজ্ঞান ও ধর্ম এক বিন্দুতে মিলিত হবে।“

বারকেলির প্রফেসর রেইনহার্ড গেনজেল ওনার সম্পর্কে বলেন “ ওনার শক্তি ছিল ওনার অনুসন্ধিৎসা এবং দৃঢ় আশা যার ভিত্তি ছিল খ্রিস্টবাদে ওনার গভীর আধ্যাত্মিকতা।“

সারাংশ হোল যে ধর্ম পালন করে এবং সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেও বিজ্ঞানচর্চা করা যায় যা উপরের বিজ্ঞানীরা তাদের কর্মের মাধ্যমে দেখিয়ে গেছেন। মুসলমানরা বিভিন্ন কারণে বিজ্ঞানে পিছিয়ে এটা আমরা সবাই জানি। তারপরও অনেক মুসলমান বিজ্ঞানী আছেন এবং অনেকে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন। এই ব্যাপারে আলাদা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে।

সুত্র -
Werner Heisenberg
ফ্রান্সিস কলিন্স - উইকিপিডিয়া
Ronald Fisher
Georges Lemaître
Charles H. Townes
Ernest Walton

ছবি- huffpost.com

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৬

নতুন বলেছেন: ড: আবদুস সালাম নোবেল লোরিয়েট এর কথা ভুলে গেলেন?
https://en.wikipedia.org/wiki/Abdus_Salam

১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এরকম অনেক বিজ্ঞানী আছেন। সবার সম্পর্কে এক পোস্টে লেখা সম্ভব না। বিজ্ঞানী মানেই নাস্তিক না এটাই পোস্টের মুল বক্তব্য। কোন বিশেষ ধর্মকে হাইলাইট করেও লেখি নাই। মুলত আস্তিক আর নাস্তিকের বিজ্ঞান নিয়ে বিতর্ক।

২| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৬

নতুন বলেছেন: ১। ফ্রান্সিস কলিন্স ( ১৯৫০- এখনও জীবিত) <<<<<<<<<<<< স্কুলে পড়ার সময় তিনি একজন নাস্তিক ছিলেন। হাসপাতালের একজন রোগীর অনুপ্রেরনায় তিনি ধর্ম নিয়ে চিন্তা শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন ধর্ম এবং সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন এবং অবশেষে খৃস্টধর্মে বিশ্বাস স্থাপন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে মানুষ শুধু যুক্তি ও তর্ক- বিতর্কের দ্বারা ধর্মের দিকে ঝুকতে পারে না বরং তার জন্য প্রয়োজন বিশ্বাস। তিনি নিজেকে একজন নিষ্ঠাবান খ্রিস্টান মনে করেন।

উপরের সকল খৃস্টিয়ান ধামির্ক যারা ধর্ম নিয়ে চিন্তা করে ভুল ধর্ম বেছে নিয়েছেন এবং তারা যেহেতু ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী না তারা ভুল পথে আছে তারা অবশ্যই দোজখে যাবেন।

তারা যদি একটা ভুল করতে পারেন তবে তাদের এই আস্তিকতার সিদ্ধান্তও তো ভুল তাই না? B-))

আসলে দুনিয়ার সকল আস্তিকও কিন্তু ৯৯% ধর্ম বিশ্বাসকে ভুল মনে করে এবং মনে করে তার ধর্ম বিশ্বাসই ঠিক।

শুধু কিছু মানুষ ঐ বাকি ১% ভাগ ধর্মের প্রতিও প্রশ্ন করে এই যা।

১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন রাস্তায় সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে এটা পোস্টের বিষয় না। পোস্টের বিষয় হোল সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করলে বিজ্ঞান চর্চা ভালোভাবে করা যায় কি না। নাস্তিকদের কাছে সব ধর্ম বিশ্বাসই পরিত্যাজ্য। ইস্যু হোল নাস্তিক বনাম আস্তিক। একজন বিধর্মীকে আল্লাহ সম্পর্কে বোঝানো সহজ একজন নাস্তিকের চেয়ে, কারণ সে আল্লাহর অস্তিত্তেই বিশ্বাস করে না। এই কারণে নাস্তিকরা খুব কমই ইসলামের দিকে আসে।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আধুনিক কালে অনেকেই নিজেকে নাস্তিক প্রমাণ করতে চায় যতটা না ধর্মকে না মেনে বা এড়িয়ে চলার চেষ্টায় তার চেয়ে বেশী অভিপ্রায় বা উদ্দেশ্য থাকে নিজেকে লাইম লাইটে রাখার তথা নিজেকে কিছু একটা (বিখ্যাত) প্রমাণ করার।

কারন, ধর্মের বিরোধীতা করে যত দ্রুত বিখ্যাত হওয়া যায় (উদাহরন - তসলিমা নাসরিন,সালমান রুশদি) তত দ্রুত আর অন্যকোন ভাবে হওয়া যায়না।আর এই বিরোধীতায় তারা তাদের বিবেক ব্যবহার করেনা ,তারা ব্যবহার অন্য মানুষের আবেগ।

আস্তিক কিংবা নাস্তিক যেই হউক না কেন যদি সে নিজের বিবেকের কথা শুনে এবং সবকিছু বিবেক দিয়ে, যুক্তি দিয়ে বিচার করার চেষ্টা করেন তবে কেউ ধর্মকে অস্বীকার করতে পারবেন না।তারা এটা দেখতে পাবেন বা উপলব্ধি করতে পারেন যে,ধর্ম সভ্যতার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে বাধা প্রতিবন্ধক নয় বরং ধর্ম সভ্যতার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথপ্রর্দশক ও দিকনির্দেশক।

পোস্টে +++ এবং তাদের জন্য এক কৌটা খুজলি মলম যাদের এলার্জি আছে ধর্মে।

১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাস্তিকদের বেশীরভাগই ধর্ম সম্পর্কে কম জ্ঞান রাখেন বা ধর্মের নামে যেসব ভুল বা বিকৃত তথ্য বাজারে প্রচলিত আছে সেগুলি জানেন। তারা একজন বড় মাপের ইসলামি বিদ্বান ব্যক্তির কথার গুরুত্ব না দিয়ে অর্ধ শিক্ষিত ও ধর্ম ব্যবসায়ীদের কথার গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আবার যে সমস্ত নাস্তিক ইসলাম সম্পর্কে ভালো জানেন তাদের নিয়ত থাকে কিভাবে ইসলামের ভুল খুঁজে বার করবে তার উপর। খোলা মন এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এরা ধর্মকে বুঝতে চায় না। ধর্ম বিরোধিতা করা এখন একটা ফ্যাশনের মত হয়ে গেছে। আরেকটা সমস্যা হোল অন্য দেশে নাস্তিকরা নিজেদের মত চলে, ধর্ম নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা থাকে না। কিন্তু আমাদের দেশের নাস্তিকরা ইসলাম ও আমাদের রসুলকে (সা) নিয়ে আজে বাজে কথা বলাটাকে এক ধরনের স্মার্টনেস মনে করে। আজে বাজে ও অসভ্য কথা বললে মানুষ তার চরিত্র সম্পর্কে কি ভাবে এটা ওনাদের মাথায় কাজ করে না। আর আমাদের দেশের নাস্তিকরা বেশীরভাগই মুসলমান ঘরের সন্তান। সমাজে প্রয়োজন হোলে নিজেকে মুসলমান বলে পরিচয় দেয়। লোক লজ্জার ভয়ে ধর্মীয় আচারও কিছু কিছু পালন করে মানুষকে দেখানোর জন্য। আর ব্লগে বেনামে ইসলাম ও তার রসুলকে (সা) গালি দেয়।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক লোকের ধারনা বিজ্ঞানী হতে হলে প্রথমেই তাকে নাস্তিক হতে হবে। আপনার এই পোস্ট তাদের জন্য চিন্তার খোড়াক যোগাবে।

পোস্টে প্রথম +

১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনাদের ধারণা নাস্তিক না হোলে বিজ্ঞান চর্চা করা যায় না। এই পোস্ট ওনাদের চিন্তার খোরাক জোগাবে না বরং গাত্রদাহ হবে ওনাদের। ওনারা ওনাদের আলোচনা শুরু করেন ইসলাম আর ইসলামের নবীকে ( সা) গালি দিয়ে। আলোচনার চেয়ে গালি গালাজ ওনারা পছন্দ করেন। প্লাস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অন্যের আস্তিকতা বা নাস্তিকতায় কিছু যায়-আসে না।
নিজের ভিতরে আস্তিকতার জোড় যেনো দিনদিন মজবুত হয়।
নিজের ভিতরে ইমানের জোড় যেনো দিনদিন মজবুত হয়।

১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক সময় যায় আসে। নাস্তিকরা যখন আপনার আর আমার রসুলকে ( সা) নিয়ে বাজে কথা বলে তখন চুপ থাকা যায় না। আপনার পরিবেশ যদি নাস্তিকতা দিয়ে পূর্ণ হয় সেই ক্ষেত্রে আপনি নিজের আস্তিকতার জোর বাড়াতে হিমশিম খাবেন। দিন দিন নাস্তিকদের প্রভাব বৃদ্ধি আপনার ধর্ম পালনের পরিবেশ নষ্ট করবে। ধর্ম শুধু মশজিদে সীমাবদ্ধ না। আপনি ব্লগে দুইটা ধর্মীয় ভালো উপদেশ দিতে পারবেন না। তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। ইসলাম ধর্মের অনেক বিষয় আছে একান্ত বান্দার আর আল্লাহর মধ্যে সীমাবদ্ধ। আবার কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলি সমাজের সমষ্টিগত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যেমন অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। প্রতিবাদের সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে অন্তত মন থেকে ঘৃণা করা। ইসলাম আত্মকেন্দ্রিক ধর্ম না।

এই পোস্ট হোল একটা সুস্থ বিতর্ক মাত্র। কিন্তু সুস্থ সব সময় থাকে না।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫১

নতুন বলেছেন: মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আধুনিক কালে অনেকেই নিজেকে নাস্তিক প্রমাণ করতে চায় যতটা না ধর্মকে না মেনে বা এড়িয়ে চলার চেষ্টায় তার চেয়ে বেশী অভিপ্রায় বা উদ্দেশ্য থাকে নিজেকে লাইম লাইটে রাখার তথা নিজেকে কিছু একটা (বিখ্যাত) প্রমাণ করার।

এরা ধর্ম বিদ্বেষী। এরা নিজেদের সার্থে ধর্মের পেছনে লাগে এবং জনপ্রিয় হতে যায়। এটার সাথে সাধারন মানুষ যারা ধর্মে বিশ্বাস করেনা তাদের মেলানোর কারনো নাই। ধর্ম বিদ্বেসীরা এক প্রকারের সার্থবাদী মাত্র। এরা জঙ্গী ধামিকের মতন।

এই জামানায় এখন বেশির ভাগ মানুষ নামে ধর্ম পালন করে। কিন্তু আসলে ধর্মে বিশ্বাস দূর্বল হয়েগেছে। কিছু মানুষ যারা সাহসী তারা প্রশ্ন করে ধর্ম বিশ্বাসে তাদের কট্টর ধামিকরা নাস্তিক বলে উপহাস করে।

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাস্তিক হওয়া যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ধর্ম বিদ্বেষী হওয়াকে সমর্থন করা যায় না। কারণ এরা সুস্থ ও স্বাভাবিক সহঅবস্থান না করে ধর্মের উপর আক্রমন চালাতে চায়। ধর্মের সাথে এদের ক্ষোভটা কি এটা আমার মাথায় আসে না।

অনেকে বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মধ্যে দোদুল্যমান অবস্থায় থাকে। এদেরকে বিদ্রুপ বা উপহাস না করে বোঝানোর চেষ্টা করা উচিত।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

নতুন বলেছেন: নতুন নকিব বলেছেন: অনেক লোকের ধারনা বিজ্ঞানী হতে হলে প্রথমেই তাকে নাস্তিক হতে হবে। আপনার এই পোস্ট তাদের জন্য চিন্তার খোড়াক যোগাবে। পোস্টে প্রথম +

এটা অনেক বড় একটা ভুল ধারনা। তারা আসলে বোঝাতে চায় যে ধর্ম বিশ্বাস বিজ্ঞান ভিক্তিক চিন্তা করতে উতসাহিত করেনা। যারা ধামিক কিন্তু বিজ্ঞানী তারা ধর্মকে অতটা সিরিয়াসলি নেয় না। তারা হয়তো নামে ধর্মের সাথে থাকে কিন্তু কট্টর ধামিক না।

কিন্তু পূর্ন ধর্ম বিশ্বাসীরা বিজ্ঞান চর্চা কিভাবে করবে?

খৃস্টান বিশ্বাস ৬০০০ বছর আগে পৃথিবি সৃস্টি হয়েছে। যেখানে বিশ্বে লক্ষ বছরের আগের প্রমানই আছে।
ধর্ম বলে মানুষ সৃস্টিকতার বানিয়েছেন। বিজ্ঞান প্রমান দিচ্ছে বির্বতনের ফলে মানুষ এসেছে।
পদার্থবিজ্ঞান যারা জানে বোঝে তারা কিভাবে আঙ্গুলের ইসারাতে চাদ দুইটুকরা হয়ে আবার জোড়া লাগে বিশ্বাস করে?

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম কোন হাল্কা জিনিস না। এটাকে যারা বিশ্বাস করে না তাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু যারা বিশ্বাস করে তাদের এটাকে হাল্কাভাবে না নিয়ে সিরিয়াসভাবে নিতে হবে। তাদেরকে কট্টর ধার্মিকতা আর প্রকৃত ধার্মিকতার পার্থক্য বুঝতে হবে। কট্টর ধার্মিক বলতে বুঝায় যে ধর্মকে ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে বাড়াবাড়ি করে।

আঙ্গুলের ইশারাতে চাঁদ দুইভাগ হওয়ার কথা কোরআনে বলা আছে। কেউ এটা বিশ্বাস না করলে তার ইমান আছে কি না এটা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। সৃষ্টিকর্তা এত বড় মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে পারলে চাঁদকে কেন দুই ভাগ করতে পারবে না। আমাদের রসুলতো (সা) দুই ভাগ করেন নি। এটা করেছেন আল্লাহ নিজে। তাই আল্লাহর ক্ষমতায় বিশ্বাস থাকলে এটা বিশ্বাস করা কোন সমস্যা না। কোয়ান্টাম বল বিদ্যার অনেক বিষয় আছে যেখানে একই সময়ে একটা কণা দুই জায়গায় থাকতে পারে। এটা আমাদের সাধারণ বুদ্ধি ও যুক্তির বিপরীত। কিন্তু যেহেতু বিজ্ঞান বলছে তাই আমরা এটাকে বিশ্বাস করছি। কোয়ান্টামের অনেক বিষয় আছে যুক্তি নির্ভর নয় বরং সম্ভবনা নির্ভর, যেটা বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে মেলে না। তাই যুক্তিও অনেক সময় সব জায়গায় এক রকম হয় না। বিজ্ঞানের অনেক থিউরি এখনও পরিবর্তন হচ্ছে। তাই চূড়ান্ত ফলাফল জানতে আরও দেরি হবে। বিজ্ঞান নিজে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না।

৮| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নাস্তিক হওয়া যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ধর্ম বিদ্বেষী হওয়াকে সমর্থন করা যায় না। কারণ এরা সুস্থ ও স্বাভাবিক সহঅবস্থান না করে ধর্মের উপর আক্রমন চালাতে চায়। ধর্মের সাথে এদের ক্ষোভটা কি এটা আমার মাথায় আসে না।

অনেকে বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের মধ্যে দোদুল্যমান অবস্থায় থাকে। এদেরকে বিদ্রুপ বা উপহাস না করে বোঝানোর চেষ্টা করা উচিত।


ধর্ম বিদ্বেষী আর জঙ্গী ধামিক একই জিনিস শুধু দুই পক্ষে দুইজন।
নিজেদের মানুষিক সমস্যা এরা অন্য ভাবে প্রকাশ করে মাত্র। এদের অবশ্যই সমস্যা আছে।

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত পোষণ করছি। অন্য মানুষের ফিলসফির প্রতি এদের সম্মান নাই।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২৬

শায়মা বলেছেন: বাহ!

জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপুমনি আপনি তো মাঝে মাঝে ভুলে ভুল করে ফেলেন। একজনের পোস্ট ভেবে অন্যজনের পোস্টে মন্তব্য করেন। এই মন্তব্য আশা করি জেনে ভুঝেই করেছেন। কিছুক্ষন পর আবার যেন বলবেন না যে ভুলে ভুল জায়গায় মন্তব্য করে ফেলেছি, মুছে দেন। হা হা হা । আপনাকে এই ধর্ম, আস্তিক আর নাস্তিকের পোস্টে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। কিন্তু আপনি নিরাপদ দূরত্বে থাকুন কারণ এই ধরনের পোস্টে অনেক সময় পরিবেশ ঠিক থাকে না।

আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান ..........

১০| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

শায়মা বলেছেন: হা হা না জেনে বুঝেই করেছি। তবে তা শুধু জানার জন্যেই। কিন্তু হ্যাঁ জানার মাঝে কেউ বাগড়া দিলে আমি কি আর রক্ষা রাখবো!!!!!


ভয় পেয়োনা ভাইয়ামনি!! আমি কি অবলা নারী??? কাজেই ...... :P

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জানি মা দুর্গার মত আপনার দশ হাত একসাথে চলে। প্রথম হাতে কবিতা, দ্বিতীয় হাতে গান, তৃতীয় হাতে ছবি আঁকা, চতুর্থ হাতে ঘর সাজানো, পঞ্চম হাতে গল্প, ষষ্ঠ হাতে নৃত্য, সপ্তম হাতে ফটোগ্রাফি, অষ্টম হাতে পুতুল নাচ, নবম হাতে স্মৃতি রোমন্থন আর দশম হাতে যারা ক্যাচাল করে তাদের শায়েস্তা করা। আরও হাত থাকলে জানাবেন।

আপনাকে ঘাটায় কার সাধ্যি!! হা হা হা

১১| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

শায়মা বলেছেন: আরও আছে। লুকানো!!!!!!!

দরকার হইলেই বাহির হয় ভাইয়ু! :)

চোখও আছে অনেকগুলা...... আপাতত বর্তমানে একজনকে অগ্নিচক্ষুতে রাখিয়াছি।

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাকিগুলি সময় মত বাহির করিবেন। সমস্যা নাই। তবে হুমায়ুন আহমেদ বলিয়াছেন যে সব মেয়েরই না কি মাথার পিছনেও এক জোড়া শক্তিশালী চক্ষু থাকে। তবে চক্ষু হইতে অগ্নি ঝরার কথা অবশ্য উনি বলেন নাই। ইহা প্রথম শুনিলাম।

১২| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২২

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লাইক দেয়ার জন্য ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ পড়াশুনা করছেন বোঝা যায়। ধর্ম আর আস্তিকতা নিয়ে সিংহভাগ ধার্মিকেরা গোয়ার্তুমী করে!
আপনি তাদের মধ্যে নন। অনেকেই অনেক কিছু বলবে-দমে না গিয়ে এগিয়ে যান।
আমার কাছে যেটা ভাল লাগবে ভাল বলব- খারাপ লাগলে এড়িয়ে যাব।

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। খারাপ লাগলে মন্তব্য না করে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। আস্তিকতা বা নাস্তিকতা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু অনেক নাস্তিক ধর্ম বিদ্বেষী হয়ে ধর্ম নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে যেটা আমার কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়। শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান কাম্য।

ধার্মিকরাও ধর্ম ঠিকভাবে মানে না অনেক ক্ষেত্রে। ফলে নাস্তিকরা এই দুর্বলতাগুলির সুযোগ নেয়। নাস্তিকদের বিশ্বাস নিয়ে আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু ওরা যখন গায়ে পড়ে ঝগড়া করে তখন খারাপ লাগে।

১৪| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আস্তিকতা বিজ্ঞানও গবেষনায় বাধা নয় । অনেক ক্ষেত্রে সহযোগী্ ইসলাম পূর্ব যুগের ধর্মগ্রন্থিতে মানুষের মন গড়া কথা ঢুকে যাওয়ায় সেগুলো বিজ্ঞান সম্মত নাও হতে পারে। কুরআন কিন্তু বিজ্ঞান সম্মত। কিংবা বিজ্ঞান কুরআনের অনুগত। আমরা যারা গবেষণা করি তাদের কাজের ক্ষেত্রে বাধা নেই কুরআনে। কিছু অজ্ঞ আছেন যারা নাস্তিকতাকে মহা জ্ঞান মনে করে থাকেন্ । অথচ পড়াশুনাও বিজ্ঞান বিষয়েও নয়। দারুন পোস্ট আপনার । সুন্দর শেয়ারে ধন্যবাদ ।

১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেলিম ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ধর্মের নামে অনেক কিছু ইসলামে অনেক সময় ঢুকানো হয়। এগুলি আমাদের জন্য ক্ষতিকর। কোরআন আল্লাহর কথা তাই এই গ্রন্থে কোন ভুল নাই। বিজ্ঞানকে সামনে আরও বহু দূর যেতে হবে। কাজেই এখনই বিজ্ঞানের অগভীর জ্ঞানের আলোকে ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করা ঠিক না।

১৫| ১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

শেরজা তপন বলেছেন:
হাসান -আমার খুব কাছের একজন বন্ধু। পুরোপুরি নাস্তিক! কিন্তু মানুষ হিসেবে অনন্যসাধারন! নিউজিল্যান্ড ম্যাসি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। তার বাসাতেই অল্প বয়সে প্রথম কারো বাসায় ব্যক্তিগত লাইব্রেরি দেখা। চরম সহিষ্ণু মানুষ। কখনোই রাগে না। উচ্চস্বরে কথা বলে না- নিজেকে নিয়ে বাগাম্বর করে না। কেউ ধর্মপালন করলে তাকে নিয়ে কোন কটুক্তি করে না।
তবে সে মোটেই রাশভারি লোক নয়। প্রথমে বোঝা যায় না কিন্তু রসে টইটুম্বর একজন মানুষ। বন্ধুদের যে কোন সমস্যায় ঝাপিয়ে পড়ে সে সবার আগে।
-আহারে আমাদের ব্লগে আস্তিক নাস্তিক সবাই যদি এমন হোত। যার মতে তাকে চলতে দেয়া উচিত। সমালোচনা করা যায় তবে তা অবশ্যই সহনশীল মাত্রায়- কাউকে আঘাত দিয়ে নয়।

১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মত আমিও বলি যে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান না করে আমরা কেন একে অন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বো। আমি এর আগেও কয়েকবার বলেছি আমার এক নাস্তিক এক্স কলিগের কথা যার সাথে আমার খুব চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। কিন্তু আমরা ধর্ম নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিতর্কমূলক আড্ডা চালাতাম। কিন্তু এতে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ব্লগে এই ধরণের পরিবেশ আমিও কামনা করি।

১৬| ১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধর্মের ব্যপারটা পুরোটাই বিশ্বাষের। যুক্তি তর্কের কোন অবকাশ সেখানে নাই। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তেমন জানাশোনা না থাকার কারনে কিছু অতি উৎসাহী বেকুব পাবলিক বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে প্রমান করার চেষ্টা করে আবার উল্টোদিকে ইসলাম বিদ্বেশীরাও স্বল্প জ্ঞান নিয়ে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে লাইম্লাইটে আসতে চায় ব্যক্তিগত ধান্দায়। মুল সত্য হচ্ছে ইসলাম সম্পর্কে জানতে গিয়ে এর সৌন্দর্যে মুগদ্ধ হয়ে অনেক জ্ঞানী গুনি অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে। এটা ইসলামের প্রতি ভালবাসা, এর সাথে আসলে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নাই।

১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সাথে একমত যে ধর্মের মূল হোল বিশ্বাস। ধার্মিকদের বিজ্ঞানের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে বিজ্ঞানের সাহায্যে ধর্মকে প্রমাণ করার দরকার নাই। একইভাবে যারা ধর্মে বিশ্বাস করে না তাদেরও উচিত না ধর্ম নিয়ে কটু মন্তব্য করা। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো এদের ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ থাকতে পারে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে অতীতকাল থেকেই অনেক অপপ্রচার চলে আসছে। এমন কি আমাদের রসূল (সা) সম্পর্কেও পশ্চিমের অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি এক সময় অনেক নেতিবাচক ও আপত্তিকর কথা বলতো। এখনও হয়তো বলে। তবে আমার ধারণা কেউ যদি আন্তরিকতা নিয়ে ইসলামকে বিশ্লেষণ করে তাহলে ইসলামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে।

১৭| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: বিশ্বাস অবিশ্বাস সম্পুর্ন ব্যক্তিগত বিষয়।বিজ্ঞান প্রমানের বিষয়।বিজ্ঞানী কখনো প্রমান করতে যায় না ঈশ্বর আছে কি নেই।অতয়েব সে আস্তিক হলেও বিজ্ঞানী হবার জন্য কোন অসুবিধা নাই,নান্তিক হলেও না।তার কাজ হলো পরীক্ষা নিরিক্ষা করা ধর্ম প্রচার না।
৫০% বিজ্ঞানী আস্তিক এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?

১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লেখার প্রথম অংশের সাথে একমত। Click This Link এই লিংকটা দেখতে পারেন। ৩৩% সরাসরি গড বিশ্বাস করে আর ১৮% গডের মত একটা পাওয়ার আছে এটা বিশ্বাস করে। Click This Link এই লিংকটাও দেখতে পারেন। যুক্তরাজ্যে ৪৫% বিজ্ঞানী ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না। অর্থাৎ ৫৫% ঈশ্বরে বিশ্বাস করে।

১৮| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: পোস্টের মূল বিষয়বস্তুর সাথে একমত।
যারা অধিক জ্ঞানী তাদের জানার কারণেই বিশ্বাস সরে যায়, সেটা হতে পারে আস্তিকতার দিকে অথবা নাস্তিকতার দিকে।

দুইটি উক্তি ভালো লেগেছে...
“অধিকাংশ মানুষ ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মধ্যে একটা সমন্বয় খোঁজে কিন্তু এই সমন্বয়ের সমর্থনে আলোচনা কম হয়।”- ফ্রান্সিস কলিন্স
“বিজ্ঞান এবং ধর্ম অনেকটাই সমান্তরালভাবে চলছে এবং অনেক মিল এই দুইয়ের মধ্যে আছে যদিও অধিকাংশ মানুষ এই ব্যাপারে বিপরীত মত পোষণ করে। একসময় বিজ্ঞান ও ধর্ম এক বিন্দুতে মিলিত হবে।”- চার্লস হার্ড টওনেস

মুসলিম বিজ্ঞানীদের নিয়ে লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানীরা যারা নিজেদের অধিক জ্ঞানী মনে করে নাস্তিকতার রাস্তায় যান তারা আসলে জানেন না যে তারা বেশী কিছু জানেন না। কারণ স্বয়ং বিজ্ঞানই বর্তমানে যতটুকু জানে সেটা বিশ্বের পূর্ণ জ্ঞানের তুলনায় কিছুই না। ওনারা মনে করেন যে মোটামুটি সব কিছু জেনে গেছেন। কিন্তু কত কিছু যে জানা বাকি সেটা অনেক বিজ্ঞানীই অকপটে স্বীকার করেন।

সামান্য বস্তুর ভর নিয়েই ক্লাসিক্যাল পদার্থ বিজ্ঞান, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সূত্র আর কোয়ান্টাম বলবিদ্যা বিভিন্ন রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছে। আগে বলতো ভর হোল বস্তুর মধ্যে পদার্থের পরিমান। এখন বলছে ভরের কারণ শক্তি। যাহা শক্তি তাহাই ভর এরকম কথাও বলা হচ্ছে। অনেক বিজ্ঞানি অকপটে বলেন যে ভর সম্পর্কে বিজ্ঞানের এখনও অনেক কিছু জানার বাকি আছে।

ধর্ম আর বিজ্ঞান নিয়ে পরের পোস্ট দেয়ার আগে আমার কানে তুলো আর পিঠে কুলো বাঁধতে হবে। কারণ অনেকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না আমার লেখা। তাই আমাকেও একটু সময় সুযোগ বুঝে লিখতে হবে। তবে আপনার মত গায়ক কাম পাঠক থাকলে চিন্তা করি না।

১৯| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: সব বিজ্ঞানী যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে না।

১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রে এবং যুক্তরাজ্যে নাস্তিক বেশী থাকার সম্ভবনা বেশী। তাই অন্য জায়গায় নাস্তিক বিজ্ঞানী আরও কম থাকার কথা। প্রিথিবীর বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশ এই দুইটা দেশেই আছে। ইউ কে, জার্মানি ও ফ্রান্সেও অধিকাংশ বিজ্ঞানী আস্তিক। প্রমাণ স্বরূপ এই লিংকটা দেখতে পারেন Click This Link

সারা বিশ্বের সকল বিজ্ঞানীর উপর কোন জরিপ পাওয়া যায় না। তাই রাফলি বলা যায় যে ৫০% বিজ্ঞানী আস্তিক এবং ৫০% নাস্তিক।

২০| ১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ২:০০

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের বিস্তার প্রায় পাঁচ হাজার বছর আর নাস্তিকতার প্রচার বিশ পঁচিশ বছরের বেশি না,তাতেই ফিফটি ফিফটি।
বিজ্ঞানের প্রসার যত বাড়ছে, ঈশ্বরের লুকানোর যায়গা তত কমছে।অনেকটা কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে ঈশ্বর।

১১ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ বা পঞ্চম শতাব্দীতেও নাস্তিকতা ছিল। এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন - Click This Link

In the East, a contemplative life not centered on the idea of deities began in the sixth century BCE with the rise of Indian religions such as Jainism, Buddhism, and various sects of Hinduism in ancient India, and of Taoism in ancient China. Within the astika ("orthodox";) schools of Hindu philosophy, the Samkhya and the early Mimamsa school did not accept a creator deity in their respective systems.[8]

Philosophical atheist thought began to appear in Europe and Asia in the sixth or fifth century BCE.In the East, a contemplative life not centered on the idea of deities began in the sixth century BCE with the rise of Indian religions such as Jainism, Buddhism, and various sects of Hinduism in ancient India, and of Taoism in ancient China. Within the astika ("orthodox";) schools of Hindu philosophy, the Samkhya and the early Mimamsa school did not accept a creator deity in their respective systems.[8]

Philosophical atheist thought began to appear in Europe and Asia in the sixth or fifth century BCE.

২১| ১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ২:৩০

সোহানী বলেছেন: ধর্ম হলো বিশ্বাস, সে কে বিশ্বাস করলো না করলো না সেটা একান্ত তার নিজস্ব ব্যাপার। তার সাথে বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীদেরকে টনাটানি কখনোই করতে চাই না।

১১ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম একান্ত নিজস্ব বিশ্বাসের ব্যাপার হলেও অনেকে গায়ে পড়ে অন্যের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে খারাপ কথা বলে। তারা তাদের মত চললে সমস্যা ছিল না। আপনি আপনার বিশ্বাসের কথা লিখলে আরেকজন তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটাই সমস্যা। আর ইসলাম ধর্ম শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না। অনেক কিছু আছে যেটা সমষ্টিগতভাবে করতে হয় এবং সমাজের মানুষের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। ইসলাম শুধু মসজিদ কেন্দ্রিক ধর্ম না। শুধু নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত এই পর্যন্তই ইসলামের গণ্ডি না। জীবনের সকল পর্যায়ে ইসলামের বিধান আছে এবং তা মানতে হবে একজন মুসলমানকে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও ইসলামের বিধানের মধ্যে পড়ে।

বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীদেরকে টানাটানি আপনি না করতে চাইলেও অনেকে করেন এবং বলেন যে যারা ধর্ম পালন করে তারা বিজ্ঞান গবেষণায় ভালো করে না, তাদের ধর্মীয় চিন্তা ধারার জন্য। তাদের সাথে বিতর্ক করার জন্য এই পোস্ট।

২২| ১১ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় মানুষ নিজের প্রস্রাব নিজে গলাধঃকরণ করে। নিজের প্রস্রাবের মধ্যেই তার ফুসফুসের গঠন হয়। আধুনিক বিজ্ঞান মানুষের নিজের প্রস্রাব যা কিনা যে গলাধঃকরণ করে মায়ের জরায়ুতে তার নাম দিয়েছে এমনিওটিক ফ্লুইড।

কতোটা নোংরা পরিবেশ থেকে মানুষ সৃষ্টি ও গঠিত হয়েছে ভাবা যায়? মানুষ তো স্টেরাইল কোন পরিবেশ থেকেও গঠিত হতে পারতো, হলো না কেন? আমার মেন্টর এর উত্তরে বলেন, আল্লাহ মানুষকে দেখিয়েছেন যে মানুষের কোন অহংকার থাকতে নাই।

বিজ্ঞানীর আস্তিক বা নাস্তিক হওয়ার সাথে ধর্মের কিছু যায় আসে না। দুইটার ভিন্ন বিষয়, বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল কিন্তু ধর্ম বিশ্বাস পরিবর্তনশীল নয়, স্থায়ী।

আবার আমার মনে হয় ধর্মে বিশ্বাসও ডায়নামিক, এটার যত্ন করতে হয়। যেকোন সময়ই তা ডানে বা বামে যেতে পারে, একজন বিশ্বাসীর ক্ষেত্রেও। যেমন দেখুন না মামুনুল সামলাতে না পেরে মানবিক বিয়ের গল্প জুড়ে দিলো।

১১ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মেনটর ভালো কথা বলেছেন। আমার তো মনে হয় বিজ্ঞানিরা গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক বিস্ময়কর জিনিস অনেক সময় প্রত্যক্ষ করেন যার দ্বারা বোঝা যায় যে এই মহাবিশ্ব একটা কোন মহাশক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অনেক বিজ্ঞানী এই ধরনের মনোভাব পোষণ করেন। তাই বিজ্ঞানীদের তো আরও বেশী স্রষ্টাকে খোঁজা উচিত।

জন্মসূত্রে মুসলমান হওয়াই যথেষ্ট না। ধর্ম বিশ্বাস যেন অটুট থাকে সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

২৩| ১১ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০১

আমি সাজিদ বলেছেন: আমার মন্তব্য যেন স্ববিরোধী না হয় এই জন্য আবার আসলাম -

বলতে চেয়েছি বিজ্ঞানের তুলনায় ধর্ম স্থায়ী, পরিবর্তনশীল নয়।
আবার বিশ্বাসী মানুষের বিশ্বাস সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল, হয় ডানে নাহয় বামে।

১১ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান সদা গতিশীল। সে নতুন নতুন জিনিস জানছে। প্রয়োজনে অতিতের ভুলকে সংশোধন করছে।

সঠিক ধর্মীয় মৌলিক বিশ্বাস কোনটা এটা বুঝে ধর্মে বিশ্বাস আনতে হবে যেন পরে মৌলিক বিশ্বাসে পরিবর্তনের প্রয়োজন না হয়। মুল বিশ্বাস পরিবর্তন না হলেও ধর্মীয় জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে আমাদের অনেক ভুল ধারণা আমরা সংশোধন করতে পারি। আমাদের সবারই উচিত ধর্ম নিয়ে জানার চেষ্টা করা। কারণ আমরা মনে করি ধর্মীয় ব্যাপারে আমরা অনেক কিছু জানি। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় আমরা আসলে ভুলটা জানি। কার কাছ থেকে ও কোন উৎস থেকে জানছি এটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃত ধর্মীয় বিদ্বান ব্যক্তির কাছে থেকে শিখতে হবে। অর্ধ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত লোকের কাছ থেকে ধর্ম শেখা যাবে না। এই ইন্টারনেটের যুগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ আছে। আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।

২৪| ১১ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: িবজ্ঞান ও বিজ্ঞানী মানেই নাস্তিকতায় ঝুকতে হবে এটা পুরোপুরি ভুল।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। বর্তমান যুগে সাধারণ মানুষও নাস্তিকতার দিকে যাচ্ছে আগের চেয়ে বেশী হারে যেটা সত্যিই কাম্য না। এখন মানুষের অভাব কমছে আর মানুষ আল্লাহকে ভুলে যাচ্ছে একই হারে। অভাব কমিয়ে দেয়ার জন্য শুকরিয়া আদায় না করে আমরা আল্লাহকে ভুলে যাচ্ছি।

২৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৩:২৬

এভো বলেছেন: Please ignore the previous comment 25

দুটি বিষয়
১) স্টিফেন হকিনং বলেছেন " গড নামক কোন সত্তা থাকলেও থাকতে পারেন, তবে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির পিছনে তার কোন হাত নাই

২) আপনি যে সমস্ত বিজ্ঞানিদের উদাহরন দিলেন, তারা যাচাই বাছাই করে, ইসলাম ধর্ম বা অন্য কোন ধর্ম গ্রহন না করে খ্রিস্টান ধর্মকে গ্রহণ করলেন, এতে কি প্রমাণ হয় খ্রিস্টান ধর্মটাই সবচেয়ে বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম এবং দুনিয়াতে যত কিছু আবিষ্কার হয়েছে সব কিছু বিজ্ঞানীরা বাইবেল পড়ে আবিষ্কার করেছে এবং ভবিষতের সব আবিষ্কার গুলো বাইবেল গবেষনা করে আবিষ্কার হবে।
এত জন বিজ্ঞানী যেহেতু খ্রিস্টান ধর্মকে গ্রহণ করেছে তার মানে খ্রিস্টান ধর্ম বিজ্ঞান সম্মত একমাত্র ধর্ম।
ধন্যবাদ

১২ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১) পৃথিবীর ৫০% বিজ্ঞানী এখনও সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে। নাস্তিক বিজ্ঞানীও অনেক আছেন।
২) কোন ধর্ম ভালো আর কোন ধর্ম খারাপ এটা আলোচনা করছি না। যারা বিশ্বের প্রধান কয়েকটি ধর্মের অনুসারী তারা সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী। এখানে দুইটা পক্ষ। আস্তিক আর নাস্তিক। সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে কি না এটাই বড় কথা। সেই কারণে খ্রিষ্টান বিজ্ঞানীদের নাম দিলাম। বিশ্বে খ্রিস্টানরা সংখ্যায় অনেক এবং বিজ্ঞান গবেষণায়ও এগিয়ে এই কারণে খ্রিস্টান বিজ্ঞানীদের আধিক্য। নাস্তিকদের কাছে খ্রিস্টান ধর্ম আর ইসলাম ধর্ম উভয়ই বাতিল এবং প্রতিপক্ষ। আস্তিক আর নাস্তিকতার প্রশ্নে সকল ধর্মের অনুসারীরাই নাস্তিকদের বিরোধিতা করে এবং নাস্তিকরাও সকল ধর্মের বিরোধী। তারমানে এই না যে আমি খ্রিস্টান ধর্মকে সঠিক বলছি। এটা বিজ্ঞান সম্মত সেটাও বলছি না। খ্রিস্টান ধর্মের অনেক কিছু ভুল থাকলেও সৃষ্টিকর্তায় তারা বিশ্বাস করে। একমাত্র ইসলাম ধর্মই সঠিক বাকি ধর্ম বাতিল ও বিকৃত।

উপরের বিজ্ঞানীরা কেউ বলেন নি যে তারা বাইবেল থেকে বিজ্ঞান শিখেছেন। তারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেও বিজ্ঞান নিয়ে ভালো করছেন এটাই তারা বলতে চাচ্ছেন। মুসলমানরা বিজ্ঞানে পিছিয়ে তাই বড় মাপের বিজ্ঞানী কম পাওয়া যায়। তারপরও কয়েকজন মুসলমান বিজ্ঞানী পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। নোবেল ছাড়াও অনেক মুসলমান বিজ্ঞানী বিজ্ঞান গবেষণায় নাম করেছেন। যদিও সার্বিকভাবে মুসলমান বিজ্ঞানী বা গবেষকের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম।

২৬| ১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

এভো বলেছেন: খ্রিস্টান ধর্মের অনেক কিছু ভুল থাকলেও সৃষ্টিকর্তায় তারা বিশ্বাস করে।

উপরে মন্তব্যটি ধর্ম অবমাননার পর্যায়ে পড়ে !!!!!!!! খ্রিষ্ঠান ধর্মে অনেক কিছু ভুল আছে ,, এই কথা বলার ধৃষ্ঠতা কোথায় পেলেন । এই ধরনের মন্তব্য যদি কেউ করে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে, তখন জাত গেল ধর্ম গেল বলে কল্লা কাটতে আপনারা ছুটেন , এখন খ্রিষ্ঠান ধর্মকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য কি করে কোরলেন ?
হু ইউ আর টু সে ---- খ্রিস্টান ধর্মের অনেক কিছু ভুল আছে !!!!!!!!!!!!!!!
আপনি নিজে একবার চিন্তা করেন তো এই মন্তব্য ইসলাম ধর্মকে নিয়ে প্রকাশ্য পাবলিক মিডিয়াতে কেহ কোরলে আপনি বা আপনারা কি করতেন ?
আপনি যেমন দাবি করেন --- একমাত্র ইসলাম ধর্মই সঠিক বাকি ধর্ম বাতিল ও বিকৃত।
একই ভাবে খ্রিষ্ঠান রা দাবি করে --- একমাত্র খ্রিষ্ঠান ধর্মই ।

প্রকাশ্য পাবলিক পেজে অন্য ধর্মকে অবমাননা করে বাতিল এবং বিকৃত বলার কোন অধিকার আপনার নাই । আপনি বাকি সব ধর্ম বিশ্বাষকে অপমান করছেন এবং বাকি ধর্মের মানুষদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করছেন ।

হু ইউ আর টু সে --- বাকি ধর্ম বাতিল ও বিকৃত।

এই ধৃষ্ঠতা দেখাবার সাহস আপনি কোথায় পেয়েছেন ?

আপনি কি প্রকৃত মুসলমান ? ইসলাম কি এই ধরনের বিদ্বেষ শিক্ষা দেয় ।

আপনি নিজের ধর্ম মানেন সত্য , তাই বলে অন্য ধর্মের অনুভুতিতে আঘাত করতে পারেন না ।
আপনার কোন অধিকার নাই অন্য কোন ধর্মকে ভুল , বাতিল , বিকৃত বলার ।

১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বুঝতে পারছেন না যে, কোন মুসলমান কখনও বলবে না যে অন্য ধর্ম সঠিক। খ্রিষ্টান ধর্ম ঠিক থাকলে আমাদের খ্রিস্টান হয়ে যাওয়া উচিত। প্রত্যেকটা ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের বিশ্বাসকে ভুল বলে। ধর্ম অবমাননা বলতে বুঝায় আমি মুসলমান হয়ে যদি ইসলামের নিয়ম অস্বীকার করি তাহলে আমাকে বলা হবে ধর্ম অবমাননাকারী। ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বলার অধিকার সবার আছে কিন্তু তার মানে এই না কেউ ইসলামের নবীকে ( সা) গালি দেবে বা ইসলাম সম্পর্কে অশ্লীল ও বাজে কথা বলবে। যে কোন ধর্মের সমালোচনা করা যায় ভদ্র ভাষায়। এটা কোন সমস্যা না। আপনি কি ভাষায় সমালোচনা করছেন এইটাই মুল বিষয়। ইসলামের সমালোচনা বিধর্মীরা অতীতেও করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। খ্রিস্টান কোন ব্যক্তি বলবে ইসলাম ভুল এবং এটাই স্বাভাবিক। সে যদি জানে যে ইসলাম ঠিক আছে তাহলে তার উচিত ইসলাম গ্রহণ করা। ধর্মের সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে, তবে তার ভাষা হতে হবে শালীন। আপনারা প্রতিনিয়ত পাবলিক মিডিয়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলছেন অনেকে গালিও দিচ্ছে। গালি ছাড়া ইসলামের বিরুদ্ধ আচরণের জন্য কেউ কিছু মাইন্ড করে না। সবাইতো প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। কিছুই তো হচ্ছে না।

অন্য ধর্মকে সমালোচনা করার অধিকার সবার আছে। আপনারা তাই ই করছেন (আপনাদের আদৌ কোন ধর্ম বিশ্বাস আছে কি না এটাও অবশ্য একটা প্রশ্ন)। কিন্তু আমার ব্যাপারে আপত্তি তুলছেন। এটা করার অধিকার আমার এবং আপনার সবার আছে। এই অধিকার কারো কাছ থেকে নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আপনি না বুঝে বলছেন। এই দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা ই বেশী বলা হয়। সবাই বলে যাচ্ছে। কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাই খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে বললেও কোন সমস্যা নাই। শুধু বলার ভাষা শালীন হতে হবে। প্রকৃত মুসলমান কি জিনিস এইটা যদি আপনি বুঝতেন তাহলে আমার সাথে এই ধরনের বিতর্কে আসতেন না। আপনি ইসলামকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন নি বলেই ইসলামের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন। আমি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। অন্য ধর্মকে ভুল বলা এটাই স্বাভাবিক। এটা কোন অন্যায় না। হিন্দু ও বৌদ্ধরাও বলবে যে ইসলাম ভুল। তাতে কোন সমস্যা আমি দেখি না। আপনার সমস্যা হোলে আমার কিছু করার নাই। অন্য ধর্ম ভুল বাতিল বলেই তো সঠিক ধর্ম পালন করছি। একজন খাঁটি হিন্দুকে জিজ্ঞেস করলে সেও বলবে যে হিন্দু ধর্ম ঠিক এবং ইসলাম ধর্ম ভুল, এই কারনেই আমি হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করি। কাজেই এই সব ব্যাপারে আপনার বোঝার ঘাটতি আছে। মাথা গরম না করে বোঝার চেষ্টা করেন। একই সাথে একাধিক ধর্ম সঠিক হতে পারে না। কারণ আল্লাহ মানুষের জন্য অবশ্যই একাধিক বিধান পাঠান নাই।

২৭| ১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

এভো বলেছেন: আপনি কোন সমস্যা দেখেন না যদি অন্য ধর্মের লোকেরা প্রকাশ্যে পাবলিক মিডিয়ায় ইসলাম ধর্মকে বাতিল নিকৃত এবং ভুল বলে।
---- জী এই কথা আপনি এখন ঠেলায় পড়ে বলেছেন কিন্তু বাস্তব সত্য হোল এই কথা যদি অমুসলিম দেশে ও কেউ বলে সে খুন হয়ে যায় এবং মুসলিম দেশে তো কথা নেই।

আপনার কি এই কথা গুলো বলার খুব দরকার ছিল এবং এই শব্দ গুলো বাধ দিয়ে জবাব দেওয়া যেত না, কিন্তু আপনি ইচ্ছা করে ব্লাসফেমি ক্রাইম করেছেন কারন আপনি জানেন অমুসলিমরা কিছু বলে না তাই।

প্রকাশ্যে পাবলিক মিডিয়াতে এই ধরনের শব্দ এবং বাক্য ধর্ম অবমাননার সামিল।
আপনারা অন্য ধর্মকে যা ইচ্ছা তাই বলবেন কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষ ইসলাম বিরুধি কথা বল্লেই তার কল্লা ফেলে দিবেন -- এই ধরনের মামুর বাড়ির আবদারগীরি ব্লগে দেখাতে আসবেন না।
সাহস কত আপনার, যে অন্য ধর্ম গুলোকে পাবলিক মিডিয়ায় এসে ভুল বাতিল বিকৃত দাবি করেন।

অন্য কেহ ইসলাম সম্পর্কে কিছু লিখলেই, তার আই ডি বাতিল করা হোক বলে আপনারাই ব্লগের ভিতর মাতন শুরু করেন।
অথচ আপনাদের আই ডি কখনো বাতিল হয় না, যত অন্য ধর্ম গুলোরে গালাগালি করেন।

আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য অন্য ধর্ম ভুল বাতিল বিকৃত এই সব শব্দ দিয়ে বাক্য বানাবার কোন প্রয়োজন ছিল না কিন্তু তবুও লিখেছেন, মনে করছেন কিছুই হবে না, আমরা যত খুশি অন্য ধর্মকে গালি দি।
অথচ ৫০% বিজ্ঞানী আস্তিক, প্রমাণ করার জন্য ভুল বাতিল বিকৃত ধর্মের বিজ্ঞানিদের হাজির করেছেন, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করার জন্য।
আপনার দাবি পুরনের জন্য মুসলমান ধর্মের বিজ্ঞানিদের বাদ দিয়ে ভুল বাতিল বিকৃত ধর্মের বিজ্ঞানিদের নিয়ে হাজির হয়েছেন।
আপনি একজন ধর্ম অবমাননাকারি, ধর্ম অবমাননার কারনে কেন আপনার শাস্তি হবে না জানতে চাই।


১২ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি কারো ঠেলায় পড়ে বলি নাই। ঠেলায় পড়ার কোন কারণ দেখি না। প্রতিদিন আপনাদের মত লোকেরা বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় ইসলামকে গালি দিয়ে যাচ্ছেন। খুন হতে তো দেখি না। অতীতে কিছু হতে পারে, যেটার বিচারও চলছে। ব্লাশফেমি আইন বাংলাদেশে নাই। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এই আইন চালু আছে। আর কোন ধর্মকে ভুল বললে সেটা ব্লাশফেমি না। ব্লাশফেমি বলতে বুঝায় ১। the act of insulting or showing contempt or lack of reverence for God ২। the act of claiming the attributes of a deity ৩। irreverence toward something considered sacred or inviolable

যুগে যুগে ইসলাম ও ইসলামের রসুল বিরোধী হাজার হাজার বই লেখা হয়েছে। বইগুলি এখনও আছে। কিন্তু তার জন্য কেউই ব্লাশফেমি আইনে শাস্তি পান নাই। কারণ যে কোন ধর্মের সমালোচনা করা যায়। আপনি সমালোচনা আর ব্লাশফেমির পার্থক্য বুঝেন নাই।

ব্লাশফেমি আইন এই দেশে থাকলে আপনাদের মত অনেক লোককে জেলে থাকতে হতো। আপনি আপনার অপরিপক্ক জ্ঞান থেকে বলছেন যে অন্য ধর্মকে ভুল বলা যাবে না। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মকে ভুল বলে। এটা কোন ব্লাশফেমি না। আপনার এই বিষয়ে আরও পড়তে হবে। আর ব্লাশফেমি আইন এই দেশে নাই। আপনারা কত রকমের অশ্লীল ভাষায় ইসলাম আর রসুলকে (সা) নিয়ে লিখছেন অথচ আমাকে দোষ দিচ্ছেন অন্য ধর্মকে ভুল বলার জন্য। ভালো করে আগে জানুন।

আস্তিকতা আর নাস্তিকতার ক্ষেত্রে সকল ধর্মের অনুসারীরা আস্তিকের পক্ষে আর নাস্তিক একা নাস্তিকের পক্ষে। এখানে স্রষ্টায় বিশ্বাসটা মুল ব্যাপার। এটা আস্তিক আর নাস্তিকের মধ্যে বিতর্ক। দুই ধর্মের মধ্যে বিতর্ক না।

ধর্ম অবমাননাকারী কি জিনিস সেটা আপনি বোঝেন না। বুঝলে ইসলামকে যারা গালি দেয় তাদের পক্ষ হয়ে লিখতেন না। যে কোন ধর্মকে গালি দিলে বা ব্যাঙ্গ করলে সেটা ধর্ম অবমাননা। সমালোচনা করা বা ভুল বলা কোন অবমাননা। এটা আপনাকে বুঝতে হবে। অবমাননা প্রকৃতপক্ষে করছে যাদের পক্ষে আপনি লিখছেন তারা।

আপনি আস্তিক না নাস্তিক এটা জানলে আমার পক্ষে আপনার সাথে বিতর্ক করা সহজ হতো। নাস্তিক হোলে এটা স্বীকার করার সৎ সাহস থাকা উচিত। নাস্তিক মানেই ধর্ম অবমাননা না। নাস্তিক যখন ধর্মকে গালি দেয় তখন তাকে ধর্ম অবমাননা বলে। এই সমাজে অনেকে প্রকাশ্যেই নিজেকে নাস্তিক দাবি করছে। তাই নিজের পরিচয় লুকানোর প্রয়োজন দেখি না। আমারও নাস্তিক বন্ধু আছে।

২৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২৭

এভো বলেছেন: অত লম্বা লেকচার না দিয়ে প্রথমে জবাব দেন, আমার মন্তব্যের জবাব দেওয়ার সময় অন্য ধর্ম গুলো ভুল বাতিল বিকৃত ,, এই কথা গুলো লিখার কোন প্রয়োজন ছিল না, তারপর কেন লিখেছেন?
আপনি যেমন অন্য ধর্মকে অপমান করেছেন, ঠিক তেমনি ইসলাম ধর্মকে ও অপমান করেছেন। কোরান যেটা দাবি করেনি আপনি কোরানকে সেটা দাবি করেছেন এবং সেই মিথ্যা দাবি করতে গিয়ে ইসলামকে অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন।
আমি আমার কমেন্টে কোন দিন কোন ধর্মকে অপমান করি নি যেটা আপনি করেছেন, এমন কি ইসলাম কে ও।
আমি ইসলাম নিয়ে আপনার মিথ্যা দাবি কোরানের হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি।
কোরান নিজেকে সমগ্র জাতীর উপদেশ বলে উল্লেখ করেছে, কোরান কখন বলে নি এটা বিজ্ঞানের গ্রন্থ বা আইণের গ্রন্থ, জীবনের বিধান শুধু বলেছে মানব জাতীর জন্য উপদেশ গ্রন্থ।
আপনার এই সব মিথ্যা দাবি যা ইসলাম ধর্মকে অপমান করে সেগুলো খন্ডন করেছি।
আপনি কোরান বাদ দিয়ে ৩০০ বৎসর পরের লিখা হাদিসকে উপরে রেখে কোরান অবমাননা করেছেন।
আপনি অন্য ধর্মকে ভুল বাতিল বিকৃত দাবি করে ইসলামের শান্তি ময় চরিত্রকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন এবং ইসলামকে অপমান করেছেন।

এবার আসি ইসলাম বিরুধি পুস্তক সম্পর্কে, যারা লিখেছে তাদের হয় মেরে ফেলা হয়েছে বা মৃত্যুর পরোয়ানা ঝুলছে। সাটানিক ভার্সেস লিখে সালমান রুসদি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কোন প্রকাশক আসিফ মহিউদ্দিন সহ কোন নাস্তিকের বই ছাপাতে চায় না, অভিজিৎ রায়ের বই ছাপানোর জন্য প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। অভিজিৎ রায় সহ বেশ কয়েক জন ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে। কার্টুন আকার জন্য ফ্রান্সে কাটুনিস্টদের হত্যা করা হয়েছে, কার্টুন প্রদর্শনের জন্য ফ্রান্সে শিক্ষকে হত্যা করা হয়েছে।
এখন বেনামে অনলাইনে ইসলাম বিরুধি লেখকদের হত্যা করার জন্য চাপাতি বাহিনী প্রস্তুত আছে।
আপনারা রেডি আছেন ব্লগে যদি কেঊ ইসলাম বিরুধি কিছু লিখে তার আই ডি বাতিল করার জন্য, এবং তাদের লিখা জংগি আইটি টিমের কাছে পাঠান আইডেনটিফাই করার জন্য যাতে প্রয়োজন হোলে কোপাতে পারেন।
আমি তো মনে করি আপনি নিজেই একজন ইসলাম অবমাননা কারি ( ব্যাখা অলরেডি করা হয়েছে) এবং অন্য ধর্মকে অবমাননা কারি।
তারমানে আপনি কোন ধর্ম না মানা নাস্তিক।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সমালোচনা আর ব্যাঙ্গ বিদ্রূপ, গালি গালাজের পার্থক্য মনে হয় বোঝেন না। যে কোন ধর্মের সমালোচনা করা যায়। কিন্তু ব্যাঙ্গ-বিদ্রূপ করা যায় না। সালমান রুশদি ইসলামকে ব্যাঙ্গ করে লিখেছেন। আসিফ মহিউদ্দিন, অভিজিত রায় ব্যাঙ্গ, বিদ্রূপ, গালাগালি এগুলি করেছেন। তবে তাদের হত্যা আমি সমর্থন করি না। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। বাংলাদেশ না হয়ে অন্য যে কোন দেশ হলেও দেশের সাধারণ আইনেও সে অপরাধি প্রমাণিত হতো।

ফ্রান্সের কার্টুনিস্ট ব্যাঙ্গ করে কার্টুন বানিয়েছে। এটা যে কোন ধর্মের অনুসারীদের জন্য অপমান জনক। তারপর এই হত্যার আমি সমর্থন করি না। আইনের আশ্রয় নেয়া উচিত ছিল।

আমি যখনই ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলেছি সুত্র সহই বলেছি। আপনি ভুল ধরিয়ে দেন আমি ঠিক করে দেব। যে কোন ব্যক্তি অন্য ধর্মকে ভুল বলতে পারে। এটা সমালোচনার পর্যায়ে পড়ে। এটা কোন গালি গালাজ বা ব্যাঙ্গ বিদ্রূপ না। এটা বোঝার চেষ্টা করেন।

আপনি আমার বিরুদ্ধে ইসলাম বা অন্য ধর্মকে অবমাননার যে অভিযোগ তুলছেন তা ভিত্তিহীন। আপনি অবমাননা আর সমালোচনার পার্থক্য বোঝেন না। কোরআন আর হাদিসের ব্যাখ্যা আপনি নিজের মনের মত করেন। যার ফলে আপনার কাছে এরকম মনে হচ্ছে।

আপনি আমাকে নাস্তিক বলছেন এটা শুনে আমি শুধু হাসছি। কারণ আপনার মাথা গরম হয়ে যাওয়ার কারণে উল্টাপাল্টা লিখছেন। আপনি ব্লগারদের কাছ থেকে আমার সম্পর্কে মতামত নিয়ে দেখতে পারেন যে কয়জন বলে যে আমি নাস্তিক। আমার লেখায় নাস্তিকতার কি দেখলেন এটাই আমার কাছে বিস্ময়।

২৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৪২

এভো বলেছেন:



আপনি শুধু অন্য ধর্ম অবমাননা কারি নন,  আপনি কোরান অবমাননাকারি বটে।  বাইবেল তোরাহ যদি ভুল বাতিল বিকৃত গ্রন্থ হোত তাহোলে কি আল্লাহ তালা ইহুদি খৃষ্টানদের ঐ কিতাব সমুহকে পরিপূর্ণ ভাবে পালন করতে বোলতেন?  (৫--৬৮)

ওই সময়ে কেহ যদি ঐ কিতাবের দুই এক কপি বিকৃত করে থাকে ও তাতে বাইবেল তোরাহ সম্পুর্ণভাবে বিকৃত হয় না কারন তখন দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঐ কিতাব গুলোর হাজার হাজার কপি ছড়িয়ে ছিল এবং এক সাথে সব কপিকে বিকৃত করা যায় না এবং সেই কিতাব এখন ও ৬০০ সালের মতই একই আছে। 

যেখানে সুরা মায়েদার ৬৮ নং আয়াতে ঐ কিতাব গুলোকে সঠিক বলেছে সেখানে আপনি দাবি করেন ও গুলো ভুল বাতিল এবং বিকৃত। 

এটা সম্পুর্ণ কোরান লংঘন।  কোরান অবমাননা। 



১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ৮৫ )

সুরা মায়িদার আপনার করা ব্যাখ্যা যদি সঠিক হতো তাহলে উপরে দেয়া সুরা আল ইমরানের ৮৫ নং আয়াতের সাথে তা সংঘর্ষ সৃষ্টি করত। কাজেই আপনি আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করছেন।

সুরা মায়িদার আয়াতের ব্যাখ্যা হোল যে, যারা প্রকৃত তউরাত ও ইঞ্জিলের অনুসারী তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিন্তু রসুলের (সা) সময় তাওরাত এবং ইঞ্জিল বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। এগুলির মধ্যে সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণ ছিল। তাই রসুলের (সা) জমানার ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বলা হয়েছে যে তোমরা আসল তাওরাত, ইঞ্জিল এবং কোরআনের অনুসরণ না করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রসুলের ( সা) জমানার ইহুদি আর খ্রিস্টানরা যদি সঠিক পথে থাকতো তাহলে তাদের সাথে এতগুলি যুদ্ধ কেন করতে হল। তাওরাত আর ইঞ্জিল বলতে সব সময় আসল তাওরাত আর ইঞ্জিলকে বুঝায়। ইহুদি আর খ্রিস্টানদের দ্বারা বিকৃত করা তাওরাত আর ইঞ্জিল বুঝায় না। আর উপরের সুরা মায়েদার আয়াতে আরও বলা হয়েছে যে 'এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালন কর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর'। এখানে যে গ্রন্থ মানে কোরআনকে বুঝানো হয়েছে। তাওরাত আর ইঞ্জিল অবিকৃত থাকলে কোরআন নাজিলের প্রয়োজন হতো না। এটা সাধারণ আক্কেলের ব্যাপার। নতুন রসুল বা নবি তখনই পাঠানো হয় যখন মানুষ আগের নবি বা রসুলের দেখানো পথ থেকে দূরে সরে যায়। কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা নিজের মত করলে চলবে না। ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে আরও অনেক আয়াত আছে। আপনি চাইলে আমি দিতে পারবো।

বাইবেলের কত রকমের সংস্করণ আছে এটা আপনি অন্তরজাল থেকে জেনে নেন। অনেক রকমের বাইবেল এখন পাওয়া যায় এবং তাদের অনুসারীও আলাদা আলাদা।

কাজেই আমার বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগগুলির কারণ আপনার ত্রুটিপূর্ণ জ্ঞান। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কোরআন ও হাদিস যদি পড়েন তাহলেই আপনি সত্যি জানতে পারবেন। আগে থেকেই খারাপ ধারণা মনে নিয়ে কোরআন ও হাদিসের বিশ্লেষণ করতে গেলে আপনি ভুল ব্যাখ্যা করবেন।

৩০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

এভো বলেছেন: আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ৮৫ )
তারা তো কোন দিন গ্রহন করছে না , তাদের দিনের ভিতরে আছে । এই আয়াতের অর্থ আপনি জবর ই বুঝেছেন -- মনে করুন একজন খ্রিষ্ঠান দিন পরিবর্তন করে ইহুদি বা বৌদ্ধ হয়ে গেল মুসলমান না , তখন তার দিন গ্রহন করা হবে না । খ্রিষ্ঠান বা ইহুদি রয়ে গেল তাদের জন্য এই আয়াত প্রজোয্য নহে কারন তারা তো তাদের ধর্ম ছেড়ে অন্য কোন ধর্ম গ্রহন করছে না ।

(২--৬২)
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।
(৫--৬৯)

নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।

উপরে দুটি আয়াতে আল্লাহ ইহুদি খ্রিষ্ঠন ছাবেয়ীদের পুরুস্কৃত করার কথা বলেছে যদি তারা গড , কিয়ামতকে বিশ্বাষ করে এবং ভালো কর্ম করে ।

(৫--৬৯) এর আগের আয়াত ( ৫--৬৮ ) তে আল্লাহ ইন্জিল এবং বাইবেলকে সঠিক গ্রন্থ হিসাবে স্বিকৃতি দিয়েছেন ---

বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।


বাইবেল তোরাহ ভুল বিকৃত হলে আল্লাহ কোন দিন ঐ ধর্মের মানুষদের ঐ কিতাব গুলো পরিপুর্নভাবে পালন করতে বলতেন না । আল্লাহ কি কখনো ভুল বিকৃত জিনিস অনুসরন করতে আদেশ দিবেন , সুতরাং বাইবেল তোরাহ ভুল বিকৃত নহে , এটা আল্লাহর বার্তা ।
ওই সময়ে কেহ যদি ঐ কিতাবের দুই এক কপি বিকৃত করে থাকে ও তাতে বাইবেল তোরাহ সম্পুর্ণভাবে বিকৃত হয় না কারন তখন দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঐ কিতাব গুলোর হাজার হাজার কপি ছড়িয়ে ছিল এবং এক সাথে সব কপিকে বিকৃত করা যায় না এবং সেই কিতাব এখন ও ৬০০ সালের মতই একই আছে।

সেখানে আপনি কে বাইবেলকে ভুল বাতিল বিকৃত দাবি করার ।

আপনার এই দাবি খ্রিষ্ঠান ধর্ম অবমাননা , কোরান লংঘণ বা অবমাননা ।
সেই কারনে আপনে আমি বলেছি আপনি মুসলমান ধর্মের মানুষ না , মুসলমান হোলে কোরান লংঘন করতে পারতেন না , যদি ভুল বসত করেও ফেলতেন তাহলে তওবা করে মাপ চাইতেন ।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বোঝার মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। ইহুদি আর খ্রিস্টানদের সাথে অনেক যুদ্ধ আমাদের রসুলকে (সা) করতে হয়েছে। ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম ইসলামের আলোকে গ্রহণযোগ্য না। আপনার দেয়া আয়াতগুলির ব্যাখ্যা আপনি নিজের মত করে করছেন। বাইবেলের কোন সংস্করণ সঠিক এটা নিয়ে খ্রিস্টানদের বিভিন্ন দলের মধ্যে বিরোধ আছে এখনও।

৩১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৪

এভো বলেছেন: ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম ইসলামের আলোকে গ্রহণযোগ্য না।

এটা এখানে আলোচনার বিষয় নহে , এখানে আলোচনার বিষয় বাইবেল তোরাহ কি ভুল এবং বিকৃত এবং কোরান কি বলে ।

। বাইবেলের কোন সংস্করণ সঠিক এটা নিয়ে খ্রিস্টানদের বিভিন্ন দলের মধ্যে বিরোধ আছে এখনও।

থাকলে থাকতে পারে কিন্তু আল্লাহ (৫--৬৮ ) জানিয়ে দিয়েছেন ঐ গ্রন্থ গুলো সঠিক । তাই ঐ গ্রন্থ গুলো পরিপুর্ণভাবে অনুসরন করতে বলেছেন । ভুল বিকৃত হলে আল্লাহ তালা কোন দিন এই কথা বলতেন না ।

যতই চেষ্ঠা করেন আল্লাহ বার্তাকে বাতিল করে দিয়ে বাইবেল কে ভুল বিকৃত বলা কোরান লংঘন এবং খ্রিষ্ঠান ধর্ম অবমাননা ।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাওরাত আর জবুর বলতে ইহুদি বাইবেল বা খ্রিস্টান বাইবেল বুঝায় না। এটা আপনাকে বুঝতে হবে। তাওরাত যে বিকৃত হয়েছে এটার কথা কোরআনে আছে। আপনি চাইলে দিতে পারবো। আল্লাহ যদি ইহুদি আর খ্রিস্টান ধর্মকে মেনেই নিতেন তাহলে তো আমাদের রসুল (সা) কে এত যুদ্ধ আর সন্ধি ওদের সাথে করতে হতো না। তাই পুরো ব্যাপারটা ঠাণ্ডা মাথায় বোঝার চেষ্টা করেন। কোরআনের অগভির জ্ঞানের জন্য এই রকম বলছেন। কোরআনে বহু জায়গায় ইহুদি আর নাসারাদের বিরুদ্ধে বলা আছে। আপনার কথা মানতে গেলে এগুলি একে অন্যের সাথে সংঘর্ষ তৈরি করবে। কাজেই এটা আপনার বোঝার ভুল। ইহুদি আর নাসারেদের সম্পর্কে নাজিল হওয়া সব আয়াতগুলি পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন।

৩২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

এভো বলেছেন: তাওরাত আর জবুর বলতে ইহুদি বাইবেল বা খ্রিস্টান বাইবেল বুঝায় না। এটা আপনাকে বুঝতে হবে।

তাই নাকি তাদের হিব্রু ভাষার মূল সংস্করন বুঝি আলাদা । এর অনুবাদ বিভিন্ন রকমের হতে পারে কিন্তু আল্লাহ তো বলেছেন এগুলো বিকৃত নহে ।

তাওরাত যে বিকৃত হয়েছে এটার কথা কোরআনে আছে। আপনি চাইলে দিতে পারবো।

তাই নাকি ?? কোরানে (৫--৬৮) আয়াতের সাথে সংঘর্সিক আয়াত আছে নাকি ? হ্যা হ্যা আমি দেখতে চাই , দেখান তো ।

কোরআনে বহু জায়গায় ইহুদি আর নাসারাদের বিরুদ্ধে বলা আছে।

সত্য কথা কথা বলেছেন , সেই কারনে তো আল্লাহ (৫--৬৮ ) আয়াতে পরিপুর্ণ ভাবে কিতাব অনুসরন করতে উপদেশ দিয়েছেন ।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ কোথাও বলেন নি যে এগুলি বিকৃত নহে। কোরআনে তাওরাত আর ইঞ্জিল বলতে অবিকৃত তাওরাত আর ইঞ্জিলকে বুঝায়। হিব্রু বাইবেলের বিভিন্ন সংস্করণ যেগুলি এখন আছে এবং যাকে আপনি মুল সংস্করণ বলছেন এগুলি কোনটাই কোরআনে উল্লেখিত তাওরাত বা বাইবেল না। আসল তাওরাত আর বাইবেল হারিয়ে গেছে রসুলের ( সা) জমানার আগেই। তবে তার মধ্যেও কিছু কিছু শ্লোক হয়তো অবিকৃত ছিল বা আছে। তবে এই বিকৃত হিব্রু বাইবেলের ( ইহুদি এবং খ্রিস্টান উভয়ের) কথা কোরআন বলা হয় নাই।

“Do you (faithful believers) covet that they will believe in your religion in spite of the fact that a party of them (Jewish rabbis) used to hear the Word of Allaah (the Tawraat), then they used to change it knowingly after they understood it?” [al-Baqarah 2:75]

অর্থ-
"(হে মুসলমানগণ!) তোমরা কি আশা কর যে, তারা (ইহুদীরা) তোমাদের কথায় ঈমান আনবে? তাদের মধ্যে একদল ছিল, যারা আল্লাহর বাণী শ্রবণ করত; এরপর বুঝে-শুনে তা বিকৃত করত এবং তারা তা অবগত ছিল।"(২:৭৫)

দেখুন, সুরা আত তাওবা, আয়াত ৩০ -

আর ইয়াহুদীরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র, এবং নাসারারা বলে, মসীহ আল্লাহর পুত্র এটা তাদের মুখের কথা। আগে যারা কুফরী করেছিল তারা তাদের মত কথা বলে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। কোন দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে!

৩৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

এভো বলেছেন: আপনার দেওয়া আয়াত দুটি কখন প্রমান করে না যে কিতাব গুলো বিকৃত।
এখন কোরানের অনেক অপব্যাখা বিকৃত ব্যাখা তফসির আছে, সে কারনে কি মুল কোরানটা বিকৃত হয়েছে?
এই আয়াত গুলো দিয়ে মূল বাইবেল তোরার বিকৃতি বোঝায় নি বুঝিয়েছে এগুলোর ব্যাখা তফসিরের বিকৃতি।

এই আয়াত গুলো কখন মুল কিতাবের বিকৃতি বোঝায় নি, যদি বোঝাত তাহোলে আয়াত ৫--৬৮ সাথে সাংঘর্সিক হয়ে যেত।

আমি আগেই বলেছি কেহ যদি দুই এক কপিকে বিকৃত করে ও ফেলে, তাহোলে মুল কিতাবের কোন ক্ষতি হবে না কারন তখন গোটা দুনিয়ায় হাজার কপি ছিল, সব কপিকে এক সাথে বিকৃত করা যায় না বা সম্ভব না।
সুতরাং ঐ কিতাব গুলোকে বিকৃত বলার জন্য আপনার তোওবা করা উচিৎ কারন এই কথা বলাটা কোরান লংঘন এবং খ্রিস্টান ধর্ম অবমাননা করার জন্য তাদের কাছে মাপ চাওয়া উচিত।

১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কাজেই দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে অতঃপর সামান্য মূল্য পাওয়ার জন্য বলে, “এটা আল্লাহর কাছ থেকে। অতএব, তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য তাদের ধ্বংস এবং যা তারা উপার্জন করেছে তার জন্য তাদের ধ্বংস। ( সুরা বাকারা, আয়াত ৭৯)

উপরের আয়াত ইহুদিদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে।

আর নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে একদল আছে যারা কিতাবকে জিহবা দ্বারা বিকৃত করে যাতে তোমরা সেটাকে আল্লাহর কিতাবের অংশ মনে কর; অথচ সেটা কিতাবের অংশ নয়। আর তারা বলে, সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে; অথচ সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়। আর তারা জেনে-বুঝে আল্লাহর উপর মিথ্যা বলে। ( সুরা আল ইমরান, আয়াত ৭৮) এই আয়াতও তাওরাত সংক্রান্ত, যা ইহুদিরা করত।

আল্লাহতালা ইহুদিদের দুষ্কর্ম সম্পর্কে কোরআনে বলেন -
"ইহুদীদের মধ্যে কিছু লোক মূল অর্থ থেকে তাদের কথার মোড় ঘুরিয়ে নেয় এবং বলে আমরা শুনেছি, কিন্তু অমান্য করছি ৷ তারা মহানবীর উদ্দেশ্যে বেয়াদবী করে আরো বলে, শোন, না শোনার মত। মুখ বাঁকিয়ে ধর্মের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে তারা বলে "রায়িনা" বা আমাদের রাখাল। অথচ তারা যদি বলতো যে, আমরা শুনেছি ও মান্য করেছি এবং যদি বলতো শোন ও আমাদের প্রতি লক্ষ্য কর তবে তা তাদের জন্য ভালো ও সংগত হতো। কিন্তু আল্লাহ তাদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন, তাদের কুফরীর জন্য। তাই তাদের অতি অল্প সংখ্যকই ঈমান আনবে।" (সুরা আন নিয়া , আয়াত ৪৬)

আল্লাহ উপরের আয়াতে পরিষ্কারভাবে বলেছেন ইহুদিদের উদ্দেশ্যে যে আল্লাহ তাদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছেন। তাই ইহুদি ধর্ম যদি ঠিক থাকতো তাহলে আল্লাহ কখনও ইহুদিদের অভিশাপ দিতেন না।

আগের আয়াতগুলি ও এই মন্তব্যে দেয়া আয়াতগুলি পড়ার পর আপনার আর কোন সন্দেহ থাকার কথা না যে আল্লাহ ইহুদি ও নাসারাদের ধর্মকে কিভাবে বাতিল করে দিয়েছেন। আরও বলেছেন যে ইহুদিদের অতি অল্প সংখ্যকই ইমান আনবে। তারা যদি ইমানদার হতো তাহলে আল্লাহ তাদের ইমান আনার কথা বলতেন না। আশা করি বুঝতে পারছেন। আমাদের রসুল তার মদিনা জীবনের পুরো সময় ইহুদি, কাফের আর নাসারেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন ও সন্ধি করেছেন। তারা সঠিক পথে থাকলে তার দরকার পড়তো না। তাই কোরআন কখনই ইহুদি বা খ্রিস্টান ধর্মকে সঠিক বলে নাই। আপনি বুঝতে পারছেন না। এটা আপনার সমস্যা।

৩৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৫

এভো বলেছেন: তাতে ও প্রমাণ করে না যে মুল কিতাব বিকৃত। ইহুদিদের মধ্যে এক দল এই কাজ করে থাকলে ও গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার কপিকে বিকৃত করতে পারবে না।
উপরের ঐ আয়াত গুলো মুসলমানদের ব্যালায় ও কার্যকর। এক দল নহে বহু দল মুসলমান হাদিসকে টুইস্ট করে বহু ফেতনার জন্য দিয়েছে তার কারনে মূল কোরানের কোন ক্ষতি হয় নি।
এক দল ইহুদির কথা বলা হয়েছে খ্রিস্টানদের কথা বলা হয় নি, তাই বাইবেল নিয়ে কোন সংশয় থাকার কথা নহে।
কয়েক দল মুসলমান হাদিস বিকৃত করে কোরানের অপব্যাখা করেছে , সে জন্য কি কোরানের কোন ক্ষতি হয়েছে?

আরো আয়াত দেখুন
সূরা আল আনাআম ৬:৩৪
আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। সূরা আল আনাম ৬:১১৫
তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।

সূরা ইউনুস ১০:৬৪
আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হে রাসূল! আপনাকে যেন তারা চিন্তিত না করে যারা কুফরীর দিকে দ্রুত এগিয়ে যায়---যারা মুখে বলে, ‘ঈমান এনেছি’ অথচ তাদের অন্তর ঈমান আনেনি(১)-এবং যারা ইয়াহুদী(২) তারা মিথ্যা শুনতে অধিক তৎপর(৩), আপনার কাছে আসে নি এমন এক ভিন্ন দলের পক্ষে যারা কান পেতে থাকে(৪)। শব্দগুলো যথাযথ সুবিন্যস্ত থাকার পরও তারা সেগুলোর অর্থ বিকৃত করে।(৫) তারা বলে, এরূপ বিধান দিলে গ্রহণ করো এবং সেরূপ না দিলে বর্জন করো।(৬) আর আল্লাহ যাকে ফিতনায় ফেলতে চান তার জন্য আল্লাহর কাছে আপনার কিছুই করার নেই। এরাই হচ্ছে তারা যাদের হৃদয়কে আল্লাহ বিশুদ্ধ করতে চান না; তাদের জন্য আছে দুনিয়ায় লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য রয়েছে আখেরাতে মহাশাস্তি। ( সুরা মায়িদা, আয়াত ৪১)

অতএব, তারা যে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছিল, তা ছিল তাদেরই অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য এবং অন্যায়ভাবে রাসূলগণকে হত্যার কারণে এবং তাদের এই উক্তির জন্য যে, তারা বলেছিল, আমাদের হৃদয় আচ্ছন্ন। অবশ্য তা নয় বরং কুফরীর কারণে স্বয়ং আল্লাহ তাদের অন্তরের ওপর মোহর এঁটে দিয়েছেন। ফলে অতি অল্পসংখ্যক ছাড়া এদের বেশির ভাগই ঈমান আনে না।" ( সুরা আন নিসা, আয়াত -১৫৫) এই আয়াত ইহুদিদের উদ্দেশ্যে নাজিল হয়েছে।

আর ইয়াহুদী ও নাসারারা আপনার প্রতি কখনো সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের মিল্লাতের অনুসরণ করেন। বলুন নিশ্চয় আল্লাহর হেদায়াতই প্রকৃত হেদায়াত। আর যদি আপনি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করেন আপনার কাছে জ্ঞান আসার পরও, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার কোন অভিভাবক থাকবে না এবং থাকবে না কোন সাহায্যকারীও। ( সুরা বাকারা, আয়াত ১২০)

এরপরও যদি মনে করেন ইহুদি আর খৃস্টান ধর্ম সঠিক পথে আছে তাহলে আপনাকে বুঝানো আমার পক্ষে সম্ভব না। আল্লাহই শুধু আপনাকে হেদায়েত করতে পারেন।

৩৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৩০

এভো বলেছেন: এই আয়াত গুলোতে কোথা ও বলা নাই তাদের গ্রন্থ বিকৃত। ধর্মকে নিয়ে অপকর্ম কি মুসলমানরা করছে না, হাদিস জালিয়াতি সহ কোরানের আয়াতের মন গড়া ব্যাখা কি মুসলমানরা করছে না।
তাতে কোরানের কি ক্ষতি হচ্ছে।
আপনার কথা ইহুদি নাসারা সঠিক পথে নেই, তাহোলে বলুন তো মুসলমানরা কি সঠিক পথে আছে?
ওই সব কিতাব বিকৃত যে নহে তার প্রমাণ ( ৫--৬৮) ।
আপনার দেওয়া আয়াতে কিছু মানুষের বে পথে চলার কথা বলা হয়েছে যারা ধর্মকে বিকৃত করে, এই ধরনের মানুষ মুসলমানদের ভিতর আরো অনেক বেশি।
আপনি কোন ভাবে প্রকাশ্য অন্য ধর্মকে অবমাননা করতে পারেন না কিন্তু সেই নোংরা কাজটা আপনি করেছেন।
আমি যে আরো আয়াত দিলাম সে গুলো আপনি মানেন না বোধ হয়।

সূরা আল আনাআম ৬:৩৪
আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। সূরা আল আনাম ৬:১১৫
তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।

সূরা ইউনুস ১০:৬৪
আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বুঝতে না চাইলে আমার কিছু করার নাই। আমি অনেক প্রমান কোরআন থেকে দিলাম কিন্তু আপনি বুঝতে চাচ্ছেন না। আপনি কোরআনের ব্যাখ্যা করেন নিজের মত। এটাই সমস্যা।

৩৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২২

এভো বলেছেন: সুরা আল আনাম আয়াত ৩৪.
আর আপনার আগেও অনেক রাসূলের উপর মিথ্যারোপ করা হয়েছিল; কিন্তু তাদের উপর মিথ্যারোপ করা ও কষ্ট দেয়ার পরও তার ধৈর্যধারণ করেছিল, যে পর্যন্ত না আমাদের সাহায্য তাদের কাছে এসেছে।(১) আর আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই। আর অবশ্যই রাসূলগণের কিছু সংবাদ আপনার কাছে এসেছে।

এই আয়াতে কি বলা হয়েছে ?? এই কথা কি বলা হয় নি ? ' '' আর আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই''
এই বাক্যের অর্থ এই পরিভর্তনকারী পূর্বে ও নেই , বর্তমানেও নেই এবং ভবিষতে ও থাকবে না ।

কোরানে শুধু ইহুদীদের কথা বলা হয়েছে, তাদের এক দল বিকৃত করতো বা করা চেষ্ঠা কোরতো কিন্তু তারা সফল হয় নি বা হতে পারেন কারন তখন গোটা দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে তাদের কিতাবের হাজার হাজার কপি ছড়িয়ে ছিল , তারা দুই একটাকে পরিবর্তন করতে পারলে ও সব কপিকে পরিবর্তন করতে পারে নি । এই কথা আপনাকে বার বার বলা হয়েছে এবং আল্লাহ নিজেই বলেছেন --- আর আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই।

সুরা মায়েদার ৬৮ নং আয়াতে ইহুদী খৃষ্ঠানের ডিভাইন যে বিকৃত নহে সেটার সাক্ষী দিচ্ছে ।

আপনার দেওয়া আয়াত গুলোর উত্তর অলরেডি দেওয়া হয়েছে , যেগুলো প্রমাণ করে না যে তাদের ডিভাইন বিকৃত । যে ভাবে ইহুদীদের এক দল তাদের ধর্মকে বিকৃত করার চেষ্ঠা করেছিল ঠিক একই ভাবে মুসলমানদের মাঝে কয়েক শত দল ধর্মকে বিকৃত করার চেষ্ঠা করছে এবং যার জন্য মুসলমানরা আজ বিভ্রান্ত ।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরা আন'আম আয়াত ৩৪-
Indeed, Messengers have already been cried lies to even before you, but they patiently persevered inspite of their having been rejected and persecuted till Our help came to them. None can alter the decrees of Allâh. There has already come to you some of the news of the Messengers (gone before).

উপরের আয়াতে ডিক্রি অর্থাৎ আল্লাহর ফয়সালা/ নিয়তির কথা বলা হয়েছে। যেটা কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। কেউ চাইলে তাওরাত বা ইঞ্জিলের লেখা পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু তার দ্বারা আল্লাহর নির্দেশের কোন পরিবর্তন হয় না। যারা আগের নবিদেরকে অস্বীকার করেছে তাদের ব্যাপারে আল্লাহর ফয়সালা কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। এটাই বলা হয়েছে এই আয়াতে। আর কোরআনের মুল লেখা আছে লাউহে মাহফুজে। যেটার পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না। শুধু কোরআনের ক্ষেত্রে আল্লাহ বলছেন যে কোরআনকে আল্লাহ সংরক্ষণ করবেন। অন্য কোন কেতাবের ক্ষেত্রে একথা বলা হয়নি। বরং ইহুদিরা যে সেগুলি পরিবর্তন করেছে সেই কথা কোরআনে আছে। যা আমি অনেকবার উল্লেখ করেছি। তবে এই কিতাবগুলিও যদি লাউহে মাহফুযে রক্ষিত থাকে সেটা ভিন্ন বিষয় হতে পারে। যেটার সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। তাওরাত ও ইঞ্জেলের কাগজের কিতাবের কথা আল্লাহ এই আয়াতে বলেন নি। কোরআনের অনেক আয়াতে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের অনেক দাবিকে আল্লাহ মিথ্যা বলে পরিষ্কারভাবে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। যদি জানতে চান সেটাও দিতে পারবো। যেমন খ্রিস্টানরা ইসাকে (আ ) আল্লাহর পুত্র বলে। কোরআনে এই কথাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বইগুলি যদি সঠিক থাকতো তাহলে কোরআনে এইভাবে মিথ্যাগুলিকে সংশোধন করে দেয়া হতো না।

সুতরাং তাদের জন্য দুর্ভোগ (ওয়াইল দোযখ), যারা নিজ হাতে গ্রন্থ রচনা করে এবং অল্প মূল্য পাবার জন্য বলে, ‘এটি আল্লাহর নিকট হতে এসেছে।’ তাদের হাত যা রচনা করেছে, তার জন্য তাদের শাস্তি এবং যা তারা উপার্জন করেছে তার জন্যও তাদের শাস্তি (রয়েছে)। (সুরা বাকারা, আয়াত ৭৯ ) এই আয়াত ইহুদিদের উদ্দেশ্যে। ইহুদি পণ্ডিতরা অর্থের লোভে বিভিন্ন যুগে তাওরাতে পরিবর্তন করত।

‘হে কিতাবীরা, তোমরা কোন ভিত্তির উপর নেই, যতক্ষণ না তোমরা তাওরাত, ইনজীল ও তোমাদের নিকট তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা কায়েম কর’। আর তোমার নিকট তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরী বৃদ্ধি করবে। সুতরাং তুমি কাফির কওমের উপর হতাশ হয়ো না। ( সুরা মায়িদা, আয়াত ৬৮)

এই ব্যাপারে আমি আগেই বলেছি যে তাওরাত আর ইঞ্জিল বলতে রসুলের (সা) জমানার বিকৃত বাইবেল বা তোরাহকে বুঝায় নাই। কারন এগুলি ইহুদিরা নিজ হাতে করেছে, এই কথা কোরআন বলছে। উপরের প্যারাগ্রাফে সুরা বাকারার ৭৯ নং আয়াত দেখুন। আগের কমেন্টগুলিতেও অনেক কোরআনের আয়াতের উল্লেখ করেছি। এছাড়া এই আয়াতে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাফেরও বলা হয়েছে। 'আর তোমার নিকট তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফরী বৃদ্ধি করবে। সুতরাং তুমি কাফির কওমের উপর হতাশ হয়ো না।' ( সুরা মায়িদা, আয়াত ৬৮) কিতাবধারী বলতে খ্রিস্টান ও ইহুদিদের বুঝায়। কোরআনকে না মানার জন্য বলা হয়েছে যে এই কারণে তাদের কুফরি বৃদ্ধি পাবে। কুফরি করার জন্য বলা হয়েছে যে ' সুতরাং তুমি কাফির কওমের উপর হতাশ হইয়ো না'।


হে রাসূল, তোমাকে যেন তারা চিন্তিত না করে, যারা কুফরে দ্রুত ছুটছে- তাদের থেকে, যারা তাদের মুখে বলে ‘ঈমান এনেছি’ কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী তারা মিথ্যা অধিক শ্রবণকারী, অন্যান্য কওমের প্রতি, যারা তোমার নিকট আসেনি তাদের পক্ষে তারা কান পেতে থাকে। তারা শব্দগুলোকে যথাযথ সুবিন্যস্ত থাকার পরও আপন স্থান থেকে বিকৃত করে। তারা বলে, ‘যদি তোমাদেরকে এটি প্রদান করা হয়, তবে গ্রহণ কর। আর যদি তা তোমাদেরকে প্রদান না করা হয়, তাহলে বর্জন কর’; আর আল্লাহ যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তুমি তার পক্ষে আল্লাহর বিরুদ্ধে কিছুরই ক্ষমতা রাখ না। এরাই হচ্ছে তারা, যাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহা আযাব। (সুরা মায়িদা, আয়াত ৪১)

উপরে ইহুদিদের কথা বলা হয়েছে যে ' তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহা আযাব'।
ইহুদিদের বিরুদ্ধে আরও আয়াত যদি চান আরও মনে হয় দেয়া যাবে। ইহুদি আর খ্রিস্টান ধর্ম যদি ঠিক থাকতো তাহলে তারা আমাদের রসুলকে (সা) মেনে নিত। ইহুদিরা রসুলকে (সা) হত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে। আর আপনি বলছেন যে ইহুদিরা সঠিক রাস্তায় আছে। কোরআনে ইহুদি আর নাসারাদের নিয়ে বহু আয়াত আছে। ওগুলি পড়ে দেখেন। অনেক সহি হাদিস আছে যেখানে ইহুদিদের কু কর্মের অনেক বর্ণনা আছে। তাই ইহুদি আর খ্রিস্টানদের দাবিকৃৎ বইগুলির কোনটাই বিকৃতির হাত থেকে বাচে নাই। তারা সঠিক রাস্তায় থাকলে তারা রসুলকে (সা) মেনে নিত। আর রসুল এবং আল্লাহর কিতাব তখনই আল্লাহ পাঠান যখন কোন কওম নবি/ রসুলের পথে না থাকে।

৩৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৪

এভো বলেছেন: সুরা আনাম আয়াত ৩৪

Sahih International: And certainly were messengers denied before you, but they were patient over [the effects of] denial, and they were harmed until Our victory came to them. And none can alter the words of Allah. And there has certainly come to you some information about the [previous] messengers.

Pickthall: Messengers indeed have been denied before thee, and they were patient under the denial and the persecution till Our succour reached them. There is none to alter the decisions of Allah. Already there hath reached thee (somewhat) of the tidings of the messengers (We sent before).

Yusuf Ali: Rejected were the messengers before thee: with patience and constancy they bore their rejection and their wrongs, until Our aid did reach them: there is none that can alter the words (and decrees) of Allah. Already hast thou received some account of those messengers.

Shakir: And certainly messengers before you were rejected, but they were patient on being rejected and persecuted until Our help came to them; and there is none to change the words of Allah, and certainly there has come to you some information about the messengers.

Muhammad Sarwar: The Messengers who lived before you were also accused of lying, but they exercised patience. They were cruelly persecuted before We gave them victory. No one can change the words of God. You have already received news about the Messengers.

Mohsin Khan: Verily, (many) Messengers were denied before you (O Muhammad SAW), but with patience they bore the denial, and they were hurt, till Our Help reached them, and none can alter the Words (Decisions) of Allah. Surely there has reached you the information (news) about the Messengers (before you).

Arberry: Messengers indeed were cried lies to before thee, yet they endured patiently that they were cried lies to, and were hurt, until Our help came unto them. No man can change the words of God; and there has already come to thee some tiding of the Envoys.
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আচ্ছা সাহেব the words of God মানে কি ? আল্লাহ তালার কথা এই কোথায় পাওয়া যায় -- হাদিসে না কোরানে , অবশ্যই কোরানে , আর কোথায় পাওয়া যায় তাওয়াত, জাবুর, ইন্জিলে , তাই না ,,,, সব অনুবাদক লিখেছে the words of God তারমানে আল্লাহর বাণী --- এই বাণী কেহ পরিবর্তন করতে পারবে না ।

এই ব্যাপারে আমি আগেই বলেছি যে তাওরাত আর ইঞ্জিল বলতে রসুলের (সা) জমানার বিকৃত বাইবেল বা তোরাহকে বুঝায় নাই।

তাই নাকি যদি ওগুলো বিকৃত হয় তাহোলে মূল কিতাব তো নাই , যে কিতাব নাই তাহলে সে কিতাব পরিপুরি ভাবে পালন করতে বোলবেন কেন ( বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর।)

মনে যা আসে তাই বলে দিলেন , গোজামিল মেরে কি সব সময়ে পার পাওয়া যায় ? যদি কিতাব গুলো বিকৃত হয় তাহোলে ঐ বিকৃত কিতাব পরোপুরি ভাবে পালন করতে বল্লেন কেন ।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আপনার মত ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন। ফলে এই আলোচনা অনন্ত কাল চলতে থাকবে। কিন্তু আমি এই নিষ্ফল আলোচনা আর করতে চাই না। আপনার কাছে যেটা সঠিক মনে হয় আপনি পালন করুন। আমি আমার মত পালন করি। আপনার সাথে আর আলাপ আমি করতে চাই না। আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি থাকেন। ধন্যবাদ। দয়া করে আর কিছু লিখবেন না। আমার বিরক্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.