নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব জগতের এন্টিম্যাটারগুলি সব হারিয়ে গেল কোথায়?!

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৮


পদার্থ বিজ্ঞানে এখনও সমাধান করা যায় নি এরকম অনেক প্রশ্ন আছে। তার মধ্যে একটা প্রশ্ন হোল, এই মহাবিশ্বে ম্যাটারের তুলনায় এন্টিম্যাটার এত কম কেন। বিজ্ঞান বলছে বিগ ব্যাং এর সময় একই পরিমান ম্যাটার এবং এন্টিম্যাটার তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বজগতে এন্টিম্যাটারের পরিমান অনেক কম। এই এন্টিম্যাটার তবে গেলো কোথায়?

আগে ব্যাখ্যা করছি এন্টিম্যাটার কাকে বলে। একটা পরমানুর মধ্যে অনেক ধরণের কণা থাকে। কোন কোনটাকে ভাংলে আরও ছোট কণা পাওয়া যায়। তবে সাধারনভাবে আমরা জানি যে পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন থাকে। ইলেকট্রন ঋণাত্মক চার্জযুক্ত, প্রোটন ধনাত্মক চার্জ যুক্ত এবং নিউট্রন চার্জ নিরপেক্ষ। ষ্ট্যাণ্ডার্ড মডেলে ১৭ রকমের মৌলিক কণার উল্লেখ আছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে প্রত্যেক প্রকার কণার একটা বিপরীত কণা আছে (জমজ ভাই/ বোনের মত)। তবে কিছু ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে মুল কণা এবং বিপরীত-কণা ( Anti-particle) একই। যেমন ফোটন কণা। ব্যতিক্রম ছাড়া প্রত্যেক কণার বিপরীতে এন্টি-পারটিকেল আছে। এন্টি-পারটিকেলগুলির বৈশিষ্ট্য হোল যে এগুলি তার মুল কণার সমান ভর বিশিষ্ট হলেও এদের চার্জ এবং চৌম্বকীয় মোমেন্ট মুল কণার বিপরীত। তবে এদের কোয়ান্টাম নাম্বার ভিন্ন হয়। যেমন ইলেকট্রনের এন্টি-পারটিকেলের নাম পজিট্রন। মুল কণাগুলি যেমন ম্যাটার তৈরি করে একইভাবে মুল কণার বিপরীত কণাগুলি দ্বারাও ম্যাটার তৈরি করা যায়। এইভাবে তৈরি ম্যাটারকে এন্টিম্যাটার বলে।

পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে প্রতি নিয়ত এন্টি-পারটিকেল তৈরি হচ্ছে আবার রুপান্তর ঘটছে। এন্টি-পারটিকেলের বৈশিষ্ট্য হোল যে এরা নিজের মুল কণার সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে উভয়ে অস্তিত্ব হারায় এবং নতুন কোন শক্তি বা কণা তৈরি করে। যেমন প্রাকৃতিকভাবে ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম ইত্যাদি পদার্থ থেকে নির্গত পজিট্রন (ইলেকট্রনের এন্টি-পারটিকেল) ইলেকট্রনের সংস্পর্শে এসে একধরণের ফোটন তৈরি করে যাকে গামা রশ্মি বলে। এছাড়া মহাকাশ থেকে আগত কসমিক রশ্মির ভিতর পজিট্রন এবং এন্টি-প্রোটন কণার অস্তিত্ব সনাক্ত করা গেছে। আবার প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা থেকে এন্টি-নিউট্রিনো তৈরি হয়। ২০১১ সালে বিজ্ঞানীরা ঝড়ের সময় আকাশে যে মেঘ থাকে তার উপরিভাগে পজিট্রন সনাক্ত করেছেন। পৃথিবীর চারপাশে যে দুটি ভ্যান এলেন বিকিরন বলয় আছে সেখানে বিজ্ঞানীরা এন্টি-প্রোটন সনাক্ত করেছেন।

বিজ্ঞানীরা যে প্রশ্নের উত্তর এখনও খুজছেন সেটা হোল যে বিগ ব্যাং এর সময় যদি ম্যাটারের সমপরিমাণ এন্টিম্যাটার তৈরি হয়ে থাকে তাহলে এখন এন্টিম্যাটার এত দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেল কেন। ঐ সময় ম্যাটার এবং এন্টিম্যাটারের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে উভয়ে বিলীন হয়ে শুধু ফোটন কণার অস্তিত্ব থাকার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে পৃথিবীতে এন্টিম্যাটার অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য অথচ চারিদিকে ম্যাটারের ছড়াছড়ি। তবে এই বিষয়ে গবেষণা অনেক দূর এগিয়েছে এবং আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। ব্লগারদের কারো এই প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে জানাতে পারেন।

সুত্র-
List_of_particles
Elementary_particle
newscientist.com
Annihilation
Gamma_ray
arpansa.gov.au

ছবি- sciencenote.org

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌এই বিষয়টা কিছু কিছু জানা ছিলো বলে কঠিন মনে হয় নাই।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যাক শুনে ভালো লাগলো। তবে এন্টিম্যাটারগুলি গেল কোথায় এটা নিয়ে আমি একটু চিন্তায় আছি। হুমায়ুন আহমেদের অনেক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে এন্টিম্যাটার আছে মনে হয়।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ম্যাটার আর এন্টিম্যাটার তো আর ভারত আর বাংলাদেশের মতোন স্বামী-স্ত্রী না যে, পাশাপাশি-কাছাকাছি থাকতে হবে। বিগব্যাঙ এর পরে এন্টিম্যাটার মহাশুন্যে বেশী ছড়িয়ে গিয়েছে। ম্যাটারগুলি একসাথে হয়ে গ্রহ-নক্ষত্র হয়েছে। এটাই আমার থিওরী। বিজ্ঞান এটা এখনও আবিস্কার করতে পারে নাই, তবে অচিরেই করবে। আমার হাইপোথিসিস এর প্রমাণ হিসাবে তখন আপনার এই পোষ্ট দাখিল করা হবে। :-B

সো........যত্ন কইরা রাইখেন। =p~

২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওস্তাদের থিউরির উপর কোন থিউরি থাকবার পারে না। আমি অক্ষনই এই থিউরি যুক্তরাজ্যের রয়াল সোসাইটিতে পাঠাইতাসি। কুরিয়ার চার্জ কিন্তু ওস্তাদে দিব। হে হে হে

আপনারটা হাইপথিসিস না একবারে থিউরি হিসাবে যেন গ্রহণ করা হয় সেই ব্যাপারে আমি রানী এলিজাবেথের কাছে দরখাস্ত লিখতাসি। চিন্তা কইরেন না। চিঠির খসরা আপনারে দিয়া ঠিক করাই নিমু। কারণ এত এত অনুবাদ করলেও ইংরাজি লিখবার পারি না ঠিক মত।

আর আপনি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের সাথে ম্যাটার আর এন্টিম্যাটারের যে চমৎকার মধুর সম্পর্কের তুলনা করছেন এইটা কেন এর আগে কোন বিজ্ঞানীর মাথায় আসলো না সেইটাও আমি রানী মাতারে জানাইয়া দিতে চাই। উনি যেন ঐ সব আহাম্মক বিজ্ঞানীদের
এক্ষনি সোসাইটি থেকে বিতাড়িত করেন সেই সুপারিশও কইরা ফালামু। আপনি কোন চিন্তা কইরেন না। হে হে হে

২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাইদা ওয়ে আপনার 'ভুয়া মফিজের ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!!' পোস্ট পড়িয়া উহাতে কিছু মূল্যবান মন্তব্য করিয়াছিলাম। ব্লগের টেকনিকাল কোন কারণে মনে হয় আপনার কাছে বার্তা যায় নাই। যদি কষ্ট করিয়া দেখিতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতেন তবে বাধিত হইতাম। উল্লেখ আপনি পরামর্শক হিসাবে পোস্টটা পাঠ করিতে উৎসাহিত করিয়াছিলেন।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বিগব্যাং-এর সময় ম্যাটার-এন্টিম্যাটার সমপরিমাণই সৃষ্টি হতে হবে, এই assumptionও ভুল হতে পারে। এই assumption-এর ভিত্তি হচ্ছে শক্তি ভাগ হয়ে ম্যাটার-এন্টিম্যাটার হয়েছে ঠিক যেমন আপনার নিকট কোনো টাকা নেই, অথচ হঠাৎ আপনি ৫টাকার পাওনাদার ও ৫টাকার দেনাদার হয়ে গেলেন। এই ঘটনা বাস্তবে ভুলও হতে পারে।

২৮ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা যুক্তিপূর্ণ এবং আপনি সম্ভবত বিজ্ঞান নিয়ে অনেক দূর পড়াশুনা করেছেন তাই ভালো সমাধান দিতে পারবেন। এই ধারণা ভুল হোলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আশা করি বিজ্ঞানীরা অচিরেই আবিষ্কার করবেন যে বিগ ব্যাং এর সময় ম্যাটার এবং এন্টিম্যাটার সম পরিমানে তৈরি হয় নাই। অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য। ভালো থাকবেন।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ,




ব্রহ্মান্ড যে পদার্থ দ্বারাই ভরপুর এবং এখনও যে টিকে আছে এটাই তো আশ্চর্য্যের।

এটা ঠিক যে, ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির সময় পদার্থ (Mater) এবং প্রতি-পদার্থের (Antimater) পরিমানে সাম্যতা ছিলো। এবং যেহেতু পদার্থ (Mater) এবং প্রতি-পদার্থ (Antimater) পরষ্পরের সংস্পর্শে এলে ধ্বংস হয়ে যায় তাই হিসেব মতো সৃষ্টির শুরুতেই ব্রহ্মান্ড ফুড়ুৎ করে উবে যাবার কথা ছিলো। তা যখন হয়নি এবং ব্রহ্মান্ডের সব কিছু যখন পদার্থ (Mater) দ্বারা তৈরী তখন বুঝতেই হবে ঘাপলা আছে কোথাও। আপনি যে বলেছেন - বিশ্বজগতে প্রতি-পদার্থ (Antimater) হারিয়ে গেছে, ঘাপলাটা এখানেই ।

কেন হারিয়ে গেছে ? জটিল প্রশ্ন এবং একই সাথে এর উত্তরও সহজে বোধগম্য হবার নয়।

যেহেতু আপনি, এ বিষয়ে ব্লগারদের জানাতে বলেছেন তাই এই আদার ব্যাপারী জাহাজের কোনও খোঁজ জানে কিনা দেখি।

বিজ্ঞানের অবাক করা প্রশ্ন একটাই - হোয়াই ডু উই একজিষ্ট ? আমাদের তো বেঁচে বর্তে থাকার কথা ছিলোনা। আতুড় ঘরেই ফুস হয়ে যাবার কথা ছিলো! তা হয়নি।
ব্রহ্মান্ডের এই টিকে থাকাটাই পার্টিকল ফিজিক্সের হিসাবের বাইরেই মনে হয়। তবে সার্ন (CERN বা Conseil Européen pour la Recherche Nucléaire", অথবা European Council for Nuclear Research,) এর
“ লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার ” এর গবেষণায় এই হিসেবের অংকটা বোঝার শুরু হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়ম মতো "প্রতি-পদার্থ" যে "পদার্থ"র হবহু মিরর ইমেজ হতে হবে এমন কথা নেই। যেমন “মেসন” কণা। এতে আছে একটি “ কোয়ার্ক” ( বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের পদার্থ যে ফান্ডামেন্টাল এলিমেন্ট দিয়ে তৈরী যাকে বলে “ ফার্মিয়ন” তারা দু’ধরনের। একটি হলো কোয়ার্ক যা প্রোটন আর নিউট্রনের তৈরী আর বাকীটা হলো লেপটন যা আবার ইলেকট্রন, মিওন, তাউ এবং নিউট্রিনো দিয়ে তৈরী। )এর একটি প্রতিরূপ “এন্টি কোয়ার্ক”। এই মেসন কণাদের মধ্যে যারা আবার নিউট্রাল তাদের রয়েছে একটি আশ্চর্য্য ক্ষমতা। এরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবেই “ এন্টি মেসন”য়ে রূপান্তরিত হতে পারে আবার তা থেকে পুনরায় মেসন কণায় ফিরে যেতে পারে। একই ভাবে একটি “কোয়ার্ক” একটি “এন্টি কোয়ার্ক”য়ে যেমন রূপান্তরিত হতে পারে আবার একটি “এন্টি কোয়ার্ক” ও পারে “কোয়ার্ক”য়ে রূপান্তরিত হতে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটা একদিকেই চলমান বেশী অর্থাৎ কালে কালে এন্টি ম্যাটার তৈরীর চেয়ে ম্যাটার তৈরীর দিকেই এর ঝোঁক বেশী।

১৮৯৬ সালে আর্থার শুষ্টার এন্টি - ম্যাটার সম্পর্কে প্রথম ধারনা দেন। ১৯২৮ সালে পল ডিরাক এই থিওরীর গোড়াপত্তন করেন। কার্ল এ্যান্ডারসন ১৯৩২ সালে এন্টি- ইলেকট্রন আবিস্কার করেন যা “পজিট্রন” নামে পরিচিতি পায়।
দীর্ঘকাল থেকেই ধারনা করা হচ্ছিলো, ব্রহ্মান্ডের একটি “মিরর ইমেজ” এ পদার্থ এবং প্রতি-পদার্থ একই রকম আচরণ করবে। কিন্তু ১৯৬০ সালে এসে জানা গেল “কোয়ার্ক” এবং এন্টি-কোয়ার্ক বেয়াদপের মতো এই মিরর ইমেজের সাম্যতার শর্ত মানছেনা।
পদার্থ আর প্রতি-পদার্থের যে মিরর সাম্যতা তাকে আমরা বলি charge-conjugation parity-reversal ( বিদ্যুৎ সংহতকরণ বিপরীত সাম্য) বা CP । এই CPর সাম্যতা ভেঙে যাবার করনেই সম্ভবত ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে । ১৯৬৭ সালে আন্দ্রেই শাখারভ ধারনা দিয়েছেন এটা যে, CPর সাম্যতা ভেঙে যাবার কারনেই পদার্থের সমপরিমানে প্রতি- পদার্থ তৈরী হচ্ছেনা এবং ব্রহ্মান্ডে পদার্থের পরিমান “প্রতি- পদার্থ” থেকে কিছু বেশী হওয়ার এটাই যুক্তি সংগত একটি কারন। এই আসাম্যতার মাত্রা প্রতি ১০ বিলিয়ন ফোটন কণার মধ্যে মাত্র কিছু কণা ।
অনেক বিজ্ঞানীরা এই কথাতে মজেন নি। তারা বলছেন, কোয়ার্ক এর মধ্যে এতো স্বল্পমাত্রায় CP র সাম্যতাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর ক্ষমতা আসল কারন নয়। সবটার পেছনে তারা লেপটনিক CP র কোনও কারসাজি আছে কিনা তা খুঁজে দেখছেন। তাদের ধারনা - সৃষ্টির শুরুতে নিউট্রিনোর এই ভারী সাগরেদটি ছড়িয়ে ছিলো বিপুল সংখ্যায়। কালক্রমে তারা সংখ্যায় কমতে থাকলে CP র আসাম্যতা পাকাপোক্ত হয় যার কারনেই “পদার্থ” আর “প্রতি- পদার্থ”র দৃশ্যমান আসাম্যতা আমরা দেখছি।

আর এসবই মনে হয় এন্টিম্যাটারগুলি কোথায়ই বা গেল আর ব্রহ্মান্ড কেন একজিষ্ট করে তার উত্তর।

সূত্রঃ https://www.scientificamerican.com
Click This Link

২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম আপনি একজন চিকিৎসক। তবে আপনি মনে হয় ডাক্তার না বরং বিজ্ঞানুরাগি বা বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ অথবা ডাক্তারির পাশাপাশি বিজ্ঞান চর্চা করেন। কোয়ার্ক এবং এন্টি-কোয়ার্ক বেয়াদবি না করলে মনে হয় বিশ্বজগত বিপদে পড়ে যেত। CP র সাম্যতা ভেঙ্গে যাওয়া হোক কিংবা আপনার উল্লেখিত দ্বিতীয় কারণটাই হোক আমরা মনে হয় এই প্রশ্নের উত্তরের খুব কাছে চলে এসেছি।

আপনার এই মন্তব্যটি আমার পোস্টকে আরও সমৃদ্ধ করলো। আমি বিজ্ঞান তেমন বুঝি না। আপনি সাহায্য করাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা সবাই জানলাম। আহমেদ জী এস ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ,





ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যের জন্যে।

জ্বী, আসলে আমি একজন হাতুড়ে ডাক্তার। কেবল মেডিসিন আর সার্জারীতে ব্যাচেলর। তবে সকল বিজ্ঞান আর এ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে আমার আগ্রহ খুব বেশী। বুঝতে চাই কে কি বলেন , কোথায় কোন জিনিষটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে নতুন করে জানতে চাই তাও। মহাকাশের নতুন নতুন ধারনার সংবাদ খুঁজি। ভালো লাগে ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির আগা মাথা জানতে। কতো যে নতুন নতুন তথ্য আর তত্ত্ব আসে প্রতিদিন!

২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই আপনার বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ দেখে খুব ভালো লাগলো। একজন চিকিৎসকও বিজ্ঞান নিয়েই পড়েন। তাই স্বাভাবিকভাবেই আপনি হয়তো বিজ্ঞান নিয়েও অনেক কিছু ভাবেন। তবে সাধারনত চিকিৎসকরা নিজেদের পেশার বাইরে সময় দিতে চান না অথবা সময় পান না। আপনাকে একটু ব্যতিক্রম মনে হোল। আপনি পদার্থ বিজ্ঞানে পড়লেও অনেক ভালো ফলাফল করতেন এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। ভালো থাকবেন।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: এটুকু জানি মহা বিশ্বে কোন কিছুই সৃষ্টি বা ধ্বংস কোনটাই হয় না,কেবল পরিবর্তন হয়।

২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যা বলেছে তাকে শক্তির নিত্যতা সূত্র বলে। তবে আপনি যা বলেছেন তার সাথে ম্যাটার বা এন্টি ম্যাটারের কোন সম্পর্ক নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.