নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে একটা মজাদার বাঙালি ডিশের রন্ধন পদ্ধতি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। এই ডিশটার নাম হোল অমলেট (Omellete)। নাম না শুনে থাকলে গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।
রান্নার উপকরণঃ
১। ২ টি ডিম
ডিম অনেক রকমের আছে। যেমন হাসের ডিম, মুরগীর ডিম, ডো ডো পাখির ডিম, কোয়েল পাখির ডিম, উটপাখির ডিম, কবুতরের ডিম, পেঙ্গুইনের ডিম, কুমিরের ডিম, কচ্ছপের ডিম, সাপের ডিম, এমু পাখির ডিম ইত্যাদি। আপনার হাতের কাছে যেটা পাবেন সেটাতেই চলবে। তবে খেয়াল করবেন যে কোয়েল বা কবুতর হলে ডিম লাগবে ৬ টা আর যদি উটপাখির ডিম হয় তবে একটাই যথেষ্ট। (অন্যগুলির ক্ষেত্রে ডিমের আকৃতি অনুযায়ী নিতে হবে।)
২। পেয়াজ – ১ টি
পেয়াজের উপরের আবরন ভালো ভাবে ছুড়ি বা বটি দিয়ে তুলে ফেলবেন। তারপর পেয়াজ কুঁচি কুঁচি করে কাটবেন। খেয়াল রাখবেন হাত যেন না কাটে। হাতের কাছে স্যাভলন, ব্যান্ডেজ, গজ, তুলা ইত্যাদি কাছে রাখা ভালো যেন হাত কাটলেও সাথে সাথে ব্যান্ডেজ করা যায়। পেয়াজ কুঁচি করার সময় চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। এই জন্য ঘাবড়াবেন না। কারণ পেয়াজের ঝাঁজে চোখে পানি চলে আসাটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। শোনা যায় যে নাকের বদলে যদি এই সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া যায় তাহলে আপনি অশ্রু নিবারন করতে পারবেন। তবে অভিজ্ঞ বাবুর্চি ছাড়া এই পদ্ধতি অনেকেই সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারে না।
৩। টমেটো – ১ টি
লাল রঙের টমেটো হলে ভালো হয়। কাঁচা টমেটো না দেয়াই ভালো।
৪। সয়াবিন তেল – ২ চা চামচ
সয়াবিনের বদলে সরিষা, নারিকেল বা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। তবে পেট্রোল, মবিল, ডিজেল এগুলি তেল হলেও ব্যবহার করা যাবে না। কারণ অমলেট তাতে সুস্বাদু হবে না।
৫। কাঁচা মরিচ – ১ টি
পেয়াজের মত এটাকেও কায়দা করে কুঁচি করতে হবে। সতর্কতার কথা আগেই বলেছি। তারপর হাত আবার চোখে দিবেন না। তাহলে কিন্তু মরিচ চোখে ঢুকে যেতে পারে। তাই হাত ধুয়ে নেয়া ভালো।
৬। ধনিয়া পাতা – প্রয়োজন মত
ধনিয়া পাতা আগে ভালো করে ধুয়ে নিবেন। তবে পানি শুকিয়ে না নিলে রান্নার সময় তেল ছিটতে পারে।
৭। লবণ – প্রয়োজন মত
রন্ধন প্রনালিঃ
প্রথমেই আপনি যে চ্যালেঞ্জটার সম্মুখীন হবেন সেটা হোল সঠিক উপায়ে ডিম ভাঙ্গা। আমরা জানি ডিম একটা ভঙ্গুর জিনিস। এটা হাত থেকে পড়লেও ভেঙ্গে যায়। কিন্তু এই কাজটা যতটা সহজ ভাবছেন আসলে কিন্তু তত সহজ কাজ এটা না। অনেক বড় বড় বাবুর্চি সঠিকভাবে ডিম ভাঙতে পারে না। ফলে অমলেটের স্বাদ ভালো হয় না। ডিম ভাঙ্গার মধ্যে একটা শৈল্পিক ব্যাপার আছে। ডিম ধরলেন আর খুশি মত ভাঙলেন এমন ভাববেন না। সাধারনত দক্ষ বাবুর্চিরা দুইটা পদ্ধতিতে ডিম ভাঙ্গার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রথম পদ্ধতি হোল রুটি বেলার বেলন বা বা বড় চামচ দিয়ে জায়গা মত সঠিক মাত্রায় আঘাতের মাধ্যমে। তবে আঘাতের মাত্রা এবং স্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হলে আসলে কোন দক্ষ বাবুর্চির সহকারি হিসাবে কয়েকমাস কাজ করা ভালো। বাবুর্চি না পেলে নিজের স্ত্রী বা গার্ল ফ্রেন্ডের সহকারি হিসাবে কাজ করলেও আপনি মোটামুটি দক্ষ হতে পারবেন। একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে ডিমের এক প্রান্ত চিকন থাকে আর আরেক প্রান্ত মোটা থাকে। কিন্তু আপনি কিন্তু কোন অবস্থাতেই এই দুই প্রান্তে আঘাত করবেন না। ডিম ভাঙতে হবে দুই প্রান্তের মাঝামাঝি বরাবর। আর আঘাতের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে মাঝারি মাত্রায় আঘাত করবেন। চেষ্টা করবেন যেন এক আঘাতেই কাজ হয়। কারণ একাধিক আঘাত করলে ডিমের খোসা ডিমের তরল অংশের সাথে মিশে যেতে পারে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি অনুযায়ী আপনি ডিমটাকে হাতে নিয়ে কোন শক্ত জায়গায় ডিমের মাঝ বরাবর আঘাত করবেন। বেশী জোরে আঘাত করলে ডিম আর ডিমের খোসা মিশে যেতে পারে এবং ডিম আপনার হাত থেকে পড়ে যেতে পারে। এই ডিম ভাঙ্গার পুরো ব্যাপারটাই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। ডিম ভেঙ্গে একটা পাত্রে ফেলবেন। এবার একটা কাঁটা চামচ বা ঘুটনি যন্ত্র ( এটাকে কি বলে আমার জানা নাই) নিয়ে ডিমকে ভালো করে মেশাতে হবে। এই কাজটাকে ডিম ফেটানো বলা হয়। এটা বেশী কঠিন কিছু না। ভালো করে ফেটাতে হবে। তারপর ডিমের মধ্যে তেল ছাড়া উপরের সব কিছু দিবেন এবং পুনরায় ফেটবেন।
এখন আপনাকে চুলা ও সসপেন তৈরি করে রাখতে হবে। সসপেনে তেল দিয়ে গরম করবেন। তেল দেয়ার আগে নিশ্চিত হবেন যেন সসপেনে পানি না থাকে। পানি থাকলে তা মুছে নিবেন বা চুলার তাপের সাহায্যে পানি শুন্য করে নিবেন। অন্যথায় তেল আর পানি মিশলে আপনার গায়ে তেল ছিটে আসতে পারে। তেল একটু গরম হলে আপনার ফেটানো ডিম সসপেনে ঢেলে দিবেন। এখন চুলার আঁচ একটু কমিয়ে দেবেন। তা না হলে ডিম এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয়ে যেতে পারে। ডিমকে দ্রুত পুরো সসপেনের সকল অংশে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কারণ আপনি বেশী সময় হাতে পাবেন না। প্রয়োজনে সসপেন হাতের সাহায্যে উঁচু করে নিবেন। বেশীক্ষণ চুলায় রাখা যাবে না। কারণ ডিম অল্প সময়েই রান্না হয়ে যায়। এবার খুন্তি দিয়ে চেষ্টা করেন ডিমটাকে রোল করাতে। রোল করা হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এখন আপনার অমলেট তৈরি হয়ে গেছে। ডিমের সাথে আপনি পরোটা বা ভাত দিয়ে এবার মজা করে খান।
সংক্ষেপে এই হোল ডিমের অমলেটের রন্ধন প্রণালী। অমলেট বাঙালিদের একটি প্রিয় খাবার। বিশেষ করে যারা ভালো রান্না পারেন না বা মেসে বা হোস্টেলে থাকেন অথবা স্ত্রীর সাথে কোন কারণে ঝগড়া হয়েছে এবং স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছে অথবা ঘরে থাকলেও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাদের জন্য অল্প সময়ে তৈরি করার মত এবং জান বাঁচানোর জন্য একটি আদর্শ খাবার। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হলেও অল্প কিছু দিন পরেই দেখবেন যে আপনি দক্ষ হয়ে গেছেন এবং আপনার আরও অনেক রান্না শেখার আগ্রহ হবে।
( বি দ্র – যদি স্ত্রী বাসায় থাকে তাহলে তাকে রান্না ঘরের বাইরে রাখাই উত্তম। কারণ সে আপনাকে সাহায্যের নামে বিভিন্নভাবে ব্যাঙ্গ ও বিদ্রুপ করতে পারে অথবা হাসাহাসি করতে পারে। এতে আপনার আগ্রহ হারানোর সম্ভবনা আছে। তাই খুব সুন্দর করে বলবেন যে ডিমের অমলেটের জন্য তোমার সাহায্যের আমার প্রয়োজন নাই ডার্লিং। )
এই পোস্টটা মুলত ছেলেদের রান্না শেখানোর জন্য দেয়া। তবে কোন অকালকুষ্মাণ্ড নারী ব্লগার যদি ডিম ভাজাও না জানেন তারাও উপকৃত হতে পারবেন। আশা করি ব্লগাররা এই পোস্ট থেকে উপকৃত হবেন। কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন নির্দ্বিধায়।
সুত্র – আমার নানী (ওনার কাছ থেকে হাতেকলমে শেখা।)
ছবি- mygorgeousrecipes.com
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডিম সঠিকভাবে ভাঙ্গা একটা শিল্প বলা যেতে পারে। ডিম তো হাতুরি দিয়েও ভাঙ্গা যায়। কিন্তু ঐ ভাঙ্গাতে অমলেট ভালো হবে না।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, একটা চিরপরিচিত (ডিমা বা আন্ডা ) আইটেমের রন্ধনপ্রণালী আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।দেখি সময় সুযোগ পেলে একবার ট্রাই করব আপনার বর্ণিত রন্ধনপ্রণালী অনুসরন করে তা পাক করতে ।
প্রধান আইটেম হিসাবে হাসের ডিম,মুরগীর ডিম,কবুতরের ডিম,কোয়েল পাখির ডিম, উঠের ডিম, পেঙ্গুইনের ডিম দরকার।সবই ঠিক আছে ভাইজান তয় উটের ডিম কোথায় পাব? তা যদি একটু বলতেন ।তার জন্য কি রাজস্থান যেতে হবে নাকি আরবের মরুতে খুজতে হবে? ইডা নিয়ে ব্যাপোক টেনশনে আছি। আর এ সব ডিমের মাঝে আরেকটা ডিমের কথা যেটা আমাদের দেশে সবচেয়ে সহজলভ্য পেঙ্গুইন কিংবা উটের ডিম থেকে, সেটাই বললেন না!!!! না কি ভূলে গেছেন ?
সেটা হল - কুমিরের ডিম । কারন সারা দুনিয়া থেকে এটাই আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশী আছে এবং যে সুযোগ পেলেই বাকীদের ঘপাত করে খেয়ে ফেলে।আর তাই আমাদেরও সকলের উচিত আপনার বর্ণিত রন্ধনপ্রণালী অনুসরন করে সুযোগ পেলেই সকল কুমিরের ডিম কপাত করে খেয়ে ফেলা।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভুলে আসলে উটপাখির জায়গায় উট লিখে ফেলেছি। আমি এখনই সংশোধন করে দিচ্ছি। তবে রাজস্থানের উট ডিম পাড়তেও পারে। ভালোভাবে জানি না। আর কুমিরের ডিমও যোগ করে দিচ্ছি। আরও সুস্বাদু কোন ডিমের নাম জানা থাকলে জানাবেন। সেগুলিও যোগ করে দিব। আসলে এই পোস্টের সাথে একটা ভিডিও দিলে ব্লগারদের বুঝতে সুবিধা হত। ভালো থাকবেন। হে হে হে
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৭
হাবিব বলেছেন: রান্না করতে আমিও ভালোবাসি। একদিন ট্রাই করবো আপনার রেসিপি টি
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি রান্নায় আনাড়ি। তারপরও রান্না শেখার ইচ্ছা আছে। আমার ধারণা চেষ্টা করলে ভালো করতে পারবো।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান,আমিও বুঝেছি ইডা। গলতিছে মিসটেক হো গিয়া। তারপরেও মজা করলাম আর কি!!!
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নো প্রবলেম। ম্যান ইজ মরটাল। মানুষ মাত্রেই ভুল হয়।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৮
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া প্রথম দিন ডিম ভাঁজতে গেলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে অকাল কুষ্মান্ডই হবে।
আমার তো ডিম ভাংতে গিয়েই অবস্থা খারাপ ছিলো। এক চিপ দিয়ে ধরে সারা গায়ে ডিম ...... ইয়াক থু!!!!!!!!!!!!
আর এখন তো ডিম দিয়ে জাগলিং খেতে পারি!
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে ব্যর্থতাই সাফল্যের সোপান। যারা ডিম ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে তাদের দিয়ে কিসসু হবে না। চ্যালেঞ্জ নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আপনারও আমার মত অবস্থা ছিল জেনে শান্তি পেলাম। হে হে হে। ভালো থাকবেন।
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: যাক এবার রান্না বান্নায় আসলেন- সেফ সাইড
মিড ফিল্ডারের দোষ কম।
খাবার আর রান্নার লোভ আমার সব সময়।
ভাল লাগল- ভাল থাকুন
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি রাশিয়ান উর্বশীদের মায়াজালের কাহিনীর পাশাপাশি কিছু রাশিয়ান রান্না দিলে উপকৃত হতাম। রাশিয়ায় তো শুধু লেডি কিল করেন নাই রান্না বান্নাও নিশ্চয়ই করেছেন। অপেক্ষায় থাকলাম। আমি ফুটবল যখন খেলতাম তখন ছোট বেলায় ছিলাম গোলকিপার। আর পরবর্তীতে রক্ষনভাগের নির্ভরযোগ্য প্লেয়ার। আমারে না নিলে ডজন ডজন গোল খেত দল। আমারে ডাইকা ডাইকা দলে নিত। কিছু মনে করবেন নিজের ঢোল বাজালাম বলে। আসলে অন্যকে ঢোল বাজাতে দিলে ফাটিয়ে ফেলতে পারে তাই নিজের ঢোল নিজেরই বাজানো উচিত।
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১২
জুন বলেছেন: আপনি সাপের ডিম আর কচ্ছপের ডিম বাদ দিয়েছেন সাড়ে চুয়াত্তর ।
এই ডিম ছাড়া অমলেট মানিনা মানবো না
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি হোলেন ব্লগের মহিলা ইবনে বতুতা। তাই আপনি শুধু ডিম না সব কিছু সম্পর্কেই বেশী জানবেন। আপনার দাবি মেনে সাপের ডিম আর কচ্ছপের ডিমও আমার পোস্টে জায়গা মত দিয়ে দিলাম। এবার অনশন ভঙ্গ করেন। হে হে হে
৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ডিম ভাঙ্গার কথা
মেজাজটা গরম হই যায়.... যখন ভাঙ্গতে গিয়ে থেতলা বেথলা হয় ডিম আর খোসা যায় গা ডিমের ভিত্রে। এখনকার ডিমের খোসা এত নরম হাতে নিলেই ভাইংগা যায় গা কিত্তাম
ধন্যবাদ রাধুনি।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা ছিল যে ডিম ভাঙ্গার সমস্যা শুধু ছেলেদের। আপনিও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন যেনে মনে শান্তি পেলাম। মুরগির খাবারে কালসিয়াম কম দেয়া হোলে ডিমের খোসা পাতলা হয়ে যায়। অনেক মুরগির ডিমে দুইটা কুসুম থাকে। একসময় কাজি ফার্মের মুরগির ডিমে দুইটা কুসুম থাকতো জনপ্রিয়তার জন্য। তবে এগুলি স্বাভাবিক ডিম না। ভালো থাকবেন।
৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৬
শায়মা বলেছেন: আর ভাইয়া কোনোন সমস্যা কি আমার কাছে সমস্যা হলো???
আমি হলাম একবার না পারিলে দেখো শতবার আর একবার আমি রাগিলে হাসতে হাসতে মানুষ খুন!!!!!!!!
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা রাগলে মানুষ হাসে তাদের রাগাতে খুব ভালো লাগে। আমি এটা পারি। হি হি হি
১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই জিনিস আমি পছন্দ করি।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডিম আমার খুব প্রিয় খাবার। এখন বউকে না জানিয়ে খাই। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বউ আমাকে মাত্র একটা ডিম দেয় প্রতিদিন। এটা এক কথায় অবিচার। হে হে হে
১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৬
শায়মা বলেছেন: আরে না আমি হাসিতে হাসিতে খুনং ......
যেন বেটা টেরই না পায় .... দোযখে গিয়ে দেখে মরে গেছে আর চারপাশে আগুনং!!!!!!!!
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সম্পর্কে একটা ধারণা মোটামুটি অর্জন হয়েছে। আপনাকে বেশী না ঘাঁটানোই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। মৌচাকে শখ করে কে ঢিল মারতে যায় বলেন।
আপনি আপনার মত কাজ করে যান আর জীবন উপভোগ করুন। যারা বেশী কথা বলবে সবগুলি দেখবে আগুনং !!!!!!
১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বউ আমাকে মাত্র একটা ডিম দেয় প্রতিদিন। এটা এক কথায় অবিচার। হে হে হে
অবশ্যই আবিচার। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
হাই প্রেসারে অজুহাতে আমাকেও দিতে চায় না।
শুধু সকালে দুইটা পুস খাই।
আর ইচ্ছে হলে উপরের রেসিপিতে নিজেই রাতের আধারে......
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে কিন্তু ডিম তেমন ক্ষতিকর না। বাংলাদেশের ডাক্তাররা ডিমের বিপক্ষে। তবে ডিমের কুসুমে একটু চর্বি থাকে। আবার দেহের জন্য কিছু চর্বির দরকারও আছে। একটু হিসেব করে খেলেই হয়। কিন্তু কঠোর নিষেধাজ্ঞা ভালো লাগে না।
আপনিও আমার মত করেন জেনে শান্তি পেলাম। অপরাধবোধ একটু কমলো।
১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: কেন কোরেন্টাইন ও ইলিউশন গল্পেতো রাতভর শুধু রান্না-বান্না করেছি
২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি মনে পড়েছে। রাশিয়ান মেয়েদের কাছ থেকে কোন রান্না শিখে থাকলে আমাদের একটু শেখান। ঐ উর্বশীদের দেখা তো পাবো না তাই রাশিয়ান রান্না দিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে চাই।
১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার জন্য দারুন রেসিপি। দারুন কাজের। যা খুশি তাই রাধি শুধু পুষ্টিকর হলেই হলো। আমিই সাধক আমিই বিচারক। খেয়ে খেয়েই করবো বেলা পার। করোনা বিবি ভয় করি না আর।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেলিম ভাই অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। শেষের দুই লাইন কবিতাও ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭
ইসিয়াক বলেছেন: যে কোন রান্না আমি খুব ভালো পারি। বাসায় প্রায়ই রান্না করি। আপনার রেসিপিটাও ভালো। টুকটাক রান্না করতে থাকুন। আস্তে আস্তে দেখবেন সব রান্না সহজ হয়ে যাবে।
শুভ কামনা রইলো।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শেফদের বেশীরভাগই পুরুষ। আসলে রান্না একটা শিল্প। তবে একটা কথা আছে যে ঘ্রানং অর্ধ ভজনং। আসলে কথাটি কিন্তু সত্যি। যে রাঁধে তার ক্ষুধা কমে যায়। ভালো থাকবেন।
১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৪
স্প্যানকড বলেছেন: ডিমের ছবি দেইখা লোভ জাগছে ! আন্ডা আমার প্রিয়। এছাড়া চলে না । বর্তমানে এর দাম ও চড়া ! ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন ।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডিম আমারও প্রিয় খাবার। এটা সহজে ও কম সময়ে তৈরি করা যায়। আপনার আর আমার মধ্যে একটা মিল পাওয়া গেল। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু অমলেট খাবো ।
নিজে বানিয়ে না, সাচু বানাবে আমরা খাবো
০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার ইমু পাখির ডিমের অমলেট খাওয়াবো। ডিম আপনি পাঠাবেন আর অমলেট আমি করে দেব। ইমু পাখির ডিমে তা দেয় পুরুষ ইমু পাখি। বাচ্চা ফোটার পর বাচ্চা পালন করে বড় করে পুরুষ ইমু পাখি। আপনি ভালো জানবেন এগুলি। আপনি শুধু ডিম পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি শুধু ধর্মীয় পোস্ট দেই না। এইটা দেখেন Click This Link
১৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ডিম ভাঙ্গার মধ্যে একটা শৈল্পিক ব্যাপার আছে।
তাই নাকি ?
শুধু লিখলে হবে না ।
ডেমোন্সট্রেশন ভিডিও চাই যেখানে সাচু শৈল্পিক ভাবে ডিম ভাঙবে
০২ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলেই একটা ভিডিও না দিলে পোস্টটা আপনাদের হৃদয়ঙ্গম করতে কষ্ট হচ্ছে। সমস্যা নাই। আপনি ইমু পাখির ডিম পাঠান। আমি ভিডিও সহ আরেকটা পোস্ট দেব। ইমু পাখির ডিম সম্ভবত হাতুড়ি দিয়ে ভাংতে হয়। তাই একটা হাতুড়িও পাঠিয়ে দিয়েন।
১৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কি আশ্চর্য! আপনার ব্যতিক্রমী পোস্ট দেখে আগ্রহ বাড়লো।আর ভিতরে ঢুকে দেখি ডিমের ওমলেট? না না শুধুমাত্র ডিমের ওমলেট খাইয়ে আমাদের আপ্যায়ন মানতে পারলাম না। পোস্টে ডাবল মাইনাস।হেহেহে
১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নিরাশ হবেন না পদাতিক ভাই। সামনে আরও ভালো কিছু নিয়ে আসব আপনার জন্য। তবে ডিম খুব সস্তা কিন্তু পুষ্টিকর একটা খাবার বটে। এটার তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই। একটু হিসেব করে খেলে কোন সমস্যা নাই। একসাথে আমার কয়েকটা পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২০| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:১৮
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের রন্ধন পদ্ধতিতে অমলেট!!! হাহাহা....!!!!! প্রথমে তো ভেবেছিলাম না জানি কি আজগুবি খাবার হবে কিন্তু পরে আমি হাসতে হাসতে শেষ!
আপনার কর্তব্যপরায়নতা দেখে আমি মুগ্ধ
সবই ঠিক ছিল কিন্তু শেষ অনুচ্ছেদটা যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেবার মত স্ত্রীর সাথে কোন কারণে ঝগড়া হয়েছে এবং স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গেছে অথবা ঘরে থাকলেও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন হাহাহা....!!! আপনার বিশেষ পোষ্ট পড়ে নিজেকে নতুন করে ঝালাই করে নিয়ে আমি বেশ দক্ষতা বোধ করছি। আশাকরছি এমনই গুরুত্বপূর্ণ আরও রেসিপি পাবো যেমন ডিম সিদ্ধ,পানি গরম করা ইত্যাদি।
- দেয়ালিকা বিপাশা
২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সাত সকালে ডিম ভাজতে বসেছেন জেনে ভালো লাগলো। আমার এই পোস্টটাতে ডিম ভাঙ্গা, পিয়াজ-মরিচ কাটা থেকে শুরু করে ডিমের অমলেট হজম হওয়া পর্যন্ত সব কিছু বিস্তারিত বলা আছে।
মিরোরডডল আপু কয়েকদিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া থেকে এমু পাখির ডিম পাঠাবে (১৭ নং মন্তব্য দেখুন)। ওনার অনেক দিনের আবদার আমি যেন ওনার জন্য এমু পাখির ডিম অমলেট করে অস্ট্রেলিয়া পাঠাই।
আমার ধারণা ছিল যে ছেলেরা ডিম ভাঙার ক্ষেত্রে আনাড়ি, কিন্তু এই পোস্টের ৫ এবং ৮ নং মন্তব্য পড়লে বুঝবেন যে অনেক অকাল কুষ্মাণ্ড মেয়ে ব্লগারও প্রথম জীবনে ডিম ভালো করে ভাঙতে পারতেন না। আমার স্ত্রী আমাকে একটার বেশী ডিম খেতে দেয় না স্বাস্থ্যগত কারণে। তাই আমাকেই মাঝেমাঝে লুকিয়ে ডিম ভেজে খেতে হয়, যখন বউ বাড়িতে না থাকে।
২১| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৩৮
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন:
এইতো আমি বলে দেব আপনি লুকিয়ে ডিম ভেজে খাচ্ছেন!! হাহাহা....!
সাত সকালে আমাকে ব্লগে পেয়ে ইতিমধ্যেই চাঁদগাজী সাহেব আমার ব্লগে ঘুরে এসেছেন এবার পালাবো কোথায় বলেন
২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি মেয়েদের কিছু বলেন না। তবে ধর্ম নিয়ে লিখলে খুব ক্ষিপ্ত হন। তাই আপনি পুরাতন না হওয়া পর্যন্ত ধর্ম নিয়ে লিখেন না। আমি মাঝে মধ্যে ধর্ম নিয়ে লিখি। কিন্তু এখন কমিয়ে দিয়েছি। কারণ ব্লগে একদল ভয়ংকর ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক আছে। তাই আপনি ধর্ম ছাড়া আপাতত অন্য বিষয় নিয়ে লেখেন। এটা আমার পরামর্শ।
চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্যে সংক্ষেপে জবাব দেন যেন উনি খুশি হয়। বুড়ো মানুষ মাথার ঠিক নাই ওনার। তবে অনেক রোমান্টিক লোক। মেয়েদের প্রতি খুব দায়িত্ববান। তাই আপনার রোমান্টিক গল্প, কবিতা পড়তে নিয়মিত আসবেন। মাঝে মাঝে ওনার নামে পোস্ট উৎসর্গ করবেন।
২২| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:০৬
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: হাহাহাহাহা.... অসংখ্য ধন্যবাদ।
২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৯
শারলিন বলেছেন: অনেকক্ষণ হাসলাম। ডিম ভাঙ্গার চেয়ে কড়াইতে দেওয়া বেশী চ্যালেঙ্গিং। তবে একটা কথা প্রথমে এক হাত দিয়ে ডিম ভাঙতে আমিও কিছুটা চ্যালেঞ্জ ফেইস করেছিলাম। তবে এখন এ ব্যাপারে আমি যথেষ্ট এক্সপার্ট।
২২ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাসের ডিম বেশী খেলে মানুষ হাসে বেশী।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমার পরবর্তী পোস্ট হবে ডো ডো পাখির ডিমের ভুনা। ভিডিও সহ দেব ইনশাল্লাহ। উৎসর্গ করব আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্লগার চাঁদগাজী ভাইকে। উনি ডো ডো পাখির ডিম খুব পছন্দ করেন। ডিম উনি অ্যামেরিকা থেকে পাঠাবেন।
আমি দুই হাত দিয়ে ডিম ভাংতে হিমশিম খাই আর আপনি এক হাতে ডিম ভাঙ্গেন!!! আপনার হাতের আঙ্গুলের সংখ্যা মনে হয় বেশী??!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ডিম ভাঙ্গা দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজের মধ্যে একটা।