নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খ্রিষ্টান ধর্মের বাইবেল গ্রন্থ ঈশ্বরের কথা কি না এটা নিয়ে মুসলমান ও খ্রিস্টান পণ্ডিতদের মধ্যে অনেকবার আনুষ্ঠানিক বিতর্ক হয়েছে। এই বিষয়ের উপর প্রখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত আহমেদ দিদাদ অনেক খ্রিস্টান পণ্ডিতের সাথে একাধিকবার বিতর্ক করেছেন। ১৯৮৬ সালে খ্রিস্টান প্যাসটর Stanley Sjoberg এবং আহমাদ দিদাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি বিতর্কে আহমেদ দিদাদ বাইবেলের লেখা থেকেই দেখিয়ে দিয়েছেন যে বাইবেল আল্লাহর কথা না। বিতর্কটি এই লিঙ্কে পাবেন। Is The Bible The Word of God? - Debate - Sheikh Ahmed Deedat VS Pastor Stanley Sjoberg
আহমেদ দিদাদের এই বিষয়ের উপর আরেকটা লেখা আছে। যেটার নাম ইজ দা বাইবেল গডস ওয়ার্ড? IS THE BIBLE GODS WORD? এই বইয়ে উনি যথারীতি প্রমাণ করেছেন যে আসলে বাইবেল আল্লাহর কথা না বরং এটি কয়েকজন খ্রিস্টান পণ্ডিতের জিশু, ঈশ্বর ও খ্রিস্টধর্ম সংক্রান্ত বর্ণনার সমষ্টি। এটা অনেকটা মুসলমানদের হাদিসের মত। মুসলমানরা শুধু সহি হাদিসকে মেনে চলে এবং দুর্বল ও জাল হাদিস পরিহার করে। কিন্তু খ্রিস্টানদের বাইবেলের কোন বর্ণনাগুলি সঠিক এটা নিয়ে খ্রিস্টানদের মধ্যেই বিতর্ক আছে। কারণ এখন পর্যন্ত ইন্টারনেটেই বাইবেলের প্রায় ৬২ রকমের ভারশন পাওয়া যায়। এক ভারশনের সাথে অন্য ভারশনের অনেক ক্ষেত্রে শব্দ ও বাক্যে অমিল পাওয়া যায়।
এছাড়া ব্যাপ্টিস্ট মিনিস্টার এবং লেখক উইলিয়াম গ্রাহাম স্ক্রগির একটা বই আছে যেটার নাম 'ইস দা বাইবেল ওয়ার্ড অব গড'? Solid Christian Books তার বইয়ের ১৭ পৃষ্ঠায় এই ব্যাপ্টিস্ট মিনিস্টার বলেছেন যে
It is Human, yet Divine ( এটি মানুষের রচনা, তারপরও স্বর্গীয়)-
"Yes, the Bible is human, though some, out of zeal which is not according to knowledge, have denied this. Those books have passed through the minds of men, are written in the language of men, were penned by the hands of men, and bear in their style the characteristics of men." অর্থ (“হ্যাঁ, বাইবেল মানুষের রচনা, যদিও অনেকেই জ্ঞান বিবর্জিত আবেগের কারণে এই কথা অস্বীকার করেছেন। বাইবেলের এই বইগুলি মানুষের মনে বিচরণ করেছে, মানুষের ভাষায় লেখা হয়েছে, মানুষের হাতে লেখা হয়েছে এবং এটার স্টাইল মানুষের বৈশিষ্ট্য বহন করে।“)
বাইবেলের ৬২ রকমের ভারশন ইন্টারনেটেই খুঁজে পাওয়া যায় biblegateway। এক ভারশনের সাথে অন্য ভারশনের অনেক ক্ষেত্রেই শব্দ ও বাক্যের ক্ষেত্রে অমিল আছে। একজন খ্রিস্টানের পক্ষে বলা সম্ভব না কোন ভারশনটা সঠিক।
কয়েক ধরণের বাইবেল সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক।
১। ক্যাথলিক বাইবেল-Roman Catholic Version (RCV)
১৫৮২ সালে ফ্রান্সের শহর রেইমসে ক্যাথলিক বাইবেল প্রথম ছাপা হয়। এটি মোট ৭৩ টি বইয়ের সমষ্টি। কিন্তু প্রটেস্টান্টরা বলে থাকে যে এই বাইবেলে ৭ টা অতিরিক্ত বই (অধ্যায়) আছে, যা তারা মানে না। যেমন দা বুক অব জুডিথ, দা বুক অব তবিয়াস ইত্যাদি।
২। প্রটেস্টান্ট বাইবেল Authorized Version (AV) or King James Version (KJV)
এটাকে কিং জেমস ভারশনও বলে। এটা ১৬১১ সালে প্রকাশিত হয়। ক্যাথলিকরা মনে করে যে প্রটেস্টান্টরা এটাকে বিকৃত করেছে। এই বাইবেলে মোট ৬৬ টি বই (অধ্যায়) আছে। এই বাইবেল অনেকবার রিভাইজ করা হয়। যেমন ১৮৮১ সালে এটার নাম হয় Revised Version (RV), ১৯৫২ সালে নাম হয় Revised Standard Version (RSV), ১৯৭১ সালে আবার রিভাইজ করা হয় নাম যদিও থাকে Revised Standard Version.
এছাড়াও বাইবেলের অন্তরজালে পাওয়া ৬২ রকমের ভারশনের মধ্যে আরও কিছু ভারশনের নাম হোল;
১। নিউ ইন্টারন্যাশনাল ভারশন
২। অ্যামেরিকান ষ্ট্যাণ্ডার্ড ভারশন
৩। খ্রিস্টান ষ্ট্যাণ্ডার্ড বাইবেল
৪। ইজি টু রিড ভারশন ইত্যাদি
১৯৭১ সালের Revised Version এর ভুমিকার দুই জায়গাতে আগের ‘কিং জেমস ভারশন’ এর ত্রুটি এভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
"YET THE KING JAMES VERSION HAS GRAVE DEFECTS." এবং
"THAT THESE DEFECTS ARE SO MANY AND SO SERIOUS AS TO CALL FOR REVISION . . ."
অর্থঃ “তথাপি কিং জেমস ভারশনে বড় ত্রুটি আছে।“ এবং
“ এই ত্রুটিগুলির সংখ্যা এত বেশী এবং সেগুলি এত গুরুতর যে কারণে রেভিশন প্রয়োজন হয় ….. “
আহমাদ দিদাদ উপরে উল্লেখিত তার বইয়ে ( ইজ দা বাইবেল ওয়ার্ড অব গড?) লিখেছেন যে খ্রিস্টানদের একটি শাখা ‘জেহোভাস উইটনেস’ রা মনে করে যে কিং জেমস ভারশনে ৫০,০০০ ভুল আছে। প্রমাণ হিসাবে এই সাইটটি দেখতে পারেন। 50,000 Errors and Biblical contradictions
এই সাইটে এই ব্যাপারে অনেক উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। কিছু উদাহরণ আমি উল্লেখ করছি;
তাদের দাবি অনুযায়ী,
১। জেনেসিস ১:৩১ এ বলা হয়েছে God is satisfied with his works।
কিন্তু জেনেসিস ৬:৬ এ বলা হয়েছে God is dissatisfied with his works।
২। Chron 7:12, 16 – God dwells in chosen temples
Act 7:48 – God dwells not in temples
এভাবে আরও অজস্র উদাহরণ তারা দিয়েছে উপরে উল্লেখিত সাইটে।
বাইবেলের ৬২ রকমের ভারশন বর্তমানে অন্তরজালে সহজে পাওয়া যায় (হয়তো আরও আছে)। বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে শব্দের ও বাক্যের পার্থক্য দেখা যায়। যেমন -
জন ৫:৭ এর শ্লোকের উদাহরণ যদি দেখি, তাহলে পাই;
King James Bible
For there are three that bear record in heaven, the Father, the Word, and the Holy Ghost: and these three are one.
একই শ্লোক আরেক জায়গায় আছে;
Revised Standard Version
And the Spirit is the witness, because the Spirit is the truth.
উপরে উল্লেখিত শ্লোকগুলিতে আগের ভারশনে ট্রিনিটির ( পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা) কথা থাকলেও পরের ভারশনে ট্রিনিটির উল্লেখ নেই, শুধু পবিত্র আত্মার কথা বলা হয়েছে। আমাদের কোরআন শরিফে পরিষ্কারভাবে এই ট্রিনিটির উপর আপত্তি স্থাপন করা হয়েছে।
"আর একথা বলো না যে, আল্লাহ্ তিনের এক, একথা পরিহার কর; তোমাদের মঙ্গল হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়।" ( সুরা নিসা, আয়াত ১৭১)
খ্রিস্টানরা তাদের আগের ভারশনের ভুল কথা/ দাবি তাদের পরবর্তী ভারশনে সংশোধন করেছে সমালোচনার কারণে। প্রকারান্তরে কোরআনের কথাই যে সত্যি তা মেনে নিয়ে তারা তাদের নতুন ভারশনে ট্রিনিটিকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। এই ভুল কথা বা মিথ্যা দাবি আল্লাহ ১৪০০ বছরে আগেই বলে দিয়েছেন সুরা নিসার ১৭১ নং আয়াতে ( উপরে উল্লেখ করা হয়েছে)।
জন ৩:৬ শ্লোকটির ক্ষেত্রে আগের সংস্করণে begotten ( বাইওলজিকালি জন্ম হওয়া)শব্দটি থাকলেও পরের ভারশনে এই শব্দটি বাদ দেয়া হয়। কারণ এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। আল্লাহ বায়লজিকালি পুত্রের পিতা এটা অনেকের পক্ষেই আপত্তিকর ছিল।
জন ৩:৬ শ্লোকটি আগের ভারশনে আছে এভাবে ;
For God so loved the world, that he gave his only begotten Son, that whosoever believeth in him should not perish, but have everlasting life.
Begotten son মানে এখানে বুঝানো হয়েছে যে আল্লাহ বায়লজিকালি সন্তানের পিতা হয়েছেন। এই কথার প্রতিবাদ স্বরূপ কোরআনের আয়াতে বলা হয়েছে যে আর তারা বলে, "পরম করুণাময় সন্তান গ্রহণ করেছেন। তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করছ" ( সুরা মারিয়াম, আয়াত ৮৮-৮৯)
এইসব কারণে বাইবেলের নতুন অনেক ভারশনে জন ৩:৬ শ্লোকটিকে অন্যভাবে বর্ণনা করা হয়েছে;
For God so loved the world that he gave his one and only Son, that whoever believes in him shall not perish but have eternal life. (New International Version)
এখানে begotten son বলা হয় নাই। অর্থাৎ জিশুকে আল্লাহর বায়োলজিক্যাল পুত্র বলা হয় নাই। মেরিয়াম ওয়েবেসটার অভিধান অনুযায়ী Son of God বলতে বুঝায়;
১। a superhuman or divine being (such as an angel)
২। MESSIAH (the promised deliverer of the Jewish nation prophesied in the Hebrew Bible)
৩। a person established in the love of God by divine promise
অর্থাৎ আগের ভারশনে জিশুকে আল্লাহর বায়োলজিক্যাল পুত্র বলা হলেও বর্তমান ভারশনে সংশোধন করে বলা হচ্ছে যে জিশু একজন super human বা মেসিয়া। এই ভুলের কথা বা মিথ্যা দাবির কথা আল্লাহতালা ১৪০০ বছর আগেই কোরআনে সুরা মরিয়মে (উপরে দেয়া হয়েছে) উল্লেখ করেছেন। যে ভুল বা মিথ্যা দাবি খ্রিস্টানরা আবিষ্কার করেছে অনেক পরে। তারা এখন সমালোচনা এড়ানোর জন্য তাদের গ্রন্থকে সংশোধন করেছে।
খ্রিস্টান বাইবেলের অসঙ্গতির সংখ্যা অনেক। আমি কিছু উদাহরণ দিয়েছি মাত্র। আল্লাহর কিতাব হোলে একটি অসঙ্গতিও থাকার কথা না। সর্বোপরি বলা যায় যে বর্তমান বাইবেল আসলে আল্লাহর নাজিলকৃৎ ইঞ্জিল কিতাব না। বর্তমান খ্রিস্টান বাইবেল হোল কয়েকজন লেখক কর্তৃক লিখিত খ্রিস্টান ধর্ম, জিশু ও ঈশ্বর সংক্রান্ত বয়ান। অনেকেই মনে করে যে কোরআনে যে ইঞ্জিল কিতাবের কথা বলা হয়েছে সেই কিতাব আর বর্তমান বাইবেল একই কিতাব। আসলে তাদের ধারণা ভুল। যদিও খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারকরা মুসলমানদের আকৃষ্ট করার জন্য তাদের বাইবেলের বাংলা অনুবাদে বাইবেলকে ইঞ্জিল কিতাব বলে থাকে।
সুত্র -
https://d1.islamhouse.com/data/en/i
https://www.ghanaweb.com/GhanaHomePage/NewsArchive/50-000-Errors-and-Biblical-contradictions-190303h_books/single/en_Is_The_Bible_Gods_Word.pdf
https://en.wikipedia.org/wiki/Ellen_G._White
https://d1.islamhouse.com/data/en/ih_books/single/en_Is_The_Bible_Gods_Word.pdf
https://www.biblicaltraining.org/library/william-graham-scroggie?__cf_chl_captcha_tk__=pmd_3f706a541bc98fceb5ee9e7f8f308d2d44b5ecc8-1628135955-0-gqNtZGzNAuKjcnBszQii
https://solidchristianbooks.com/shop/bible-study-books/w-graham-scroggie/
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে পরিষ্কার কিছু জানা যায় না। তবে কোরআনে চারটি আসমানি কিতাবের নাম বলা আছে ( আরও কিতাব ছিল)। যার মধ্যে ইঞ্জিলও একটি। ঈসার (আ) সময় এটা বই আকারে ছিল কি না এটা জানা যায় না। কখন বই আকারে ছিল তা ও জানা যায় না। আদৌ বই আকারে ছিল কি না তা ও জানা যায় না। তওরাত যে লিখিত আকারে ছিল এটা কোরআনে উল্লেখ আছে। এমনও হতে পারে যে ইঞ্জিল লউহে মাহফুজে লিখিত আকারে ছিল বা আছে। হয়তো এই কারণে এটাকেও অন্যান্য আসমানি কিতাবের মত বই বলে। যেহেতু ইঞ্জিলকে বই বলা হয়েছে তাই মানতে হবে যে এটা একটা বই। বইটা কি কাগজে লেখা নাকি আসমানে আল্লাহর রক্ষিত লাউহে মাহফুজে লেখা এটা সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানা যায় না। মুসলমানদের জন্য এটাকে একটা বই হিসাবে মেনে নেয়াটাই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশী বিস্তারিত আল্লাহর দেয়ার প্রয়োজন মনে করেন নাই তাই দেন নাই।
খ্রিস্টানরাও দাবি করে না যে বাইবেলের গসপেলগুলি ঈসা (আ) জীবিত থাকা অবস্থায় লিখিত হয়েছিল।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯
হাবিব বলেছেন: অনেক কিছু অজানা ছিল, জানতে পারলাম
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগেই অনেকে ভেবে থাকেন এবং বিতর্ক করে থাকেন যে বর্তমান বাইবেলকে আল্লাহ কোরআনে ইঞ্জিল হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তারা এটাও মনে করেন যে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা তাদের বর্তমান গ্রন্থগুলি অনুসরণ করলে সঠিক পথ পাবে। বর্তমান ইহুদিদের হিব্রু বাইবেল কিংবা খ্রিস্টানদের নিউ টেস্টামেন্ট এবং ওল্ড টেস্টামেন্টকে আসলে কোরআনে উল্লেখিত তাওরাত এবং ইঞ্জিলের বিকৃতরূপ বলা যেতে পারে। এগুলির মধ্যে অনেক তথ্য সঠিক আবার অনেক তথ্য ভুল আছে। আল্লাহতালা কোরআনে অনেক ক্ষেত্রে কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহতালা তাঁর চূড়ান্ত বাণী হিসাবে কোরআনকে নাজিল করেছেন। আগেরগুলি ঠিক থাকলে আমাদের নবিজিকে (সা) প্রেরন এবং কোরআন নাজিলের প্রয়োজন পড়তো না।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২২
কামাল১৮ বলেছেন: কোরানে বাইবেলের কথা আছে এবং বাইবেল আল্লাহর বানী সেই কথাও লিখা আছে।
৫:৪৭
আর ইনজীলের অনুসারীগন তাতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যেন ফয়সালা করে আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করে না তাঁরাই ফাঁসির। আল- বায়ান
এখান থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় ,নবীর জীবদ্দশায় ইনজীল বিকৃত হয় নাই।
বিকৃত হোক আর নাহোক দুটি গ্রন্থই ভুলে ভরা।কোরানে আল্লাহ তা স্বীকার করেছেন।
৪:৮২
তবে কি তারা কুরআনেকে গভীর ভাবে অনুধাবন করে না?যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে আসতো,তবে তারা এতে অনেক অসঙ্গতি পেত।
এই বক্তব্য থেকে বুঝা যায় অসঙ্গতি আছে তবে কম।তা না হলে বলা হতো কোন অসঙ্গতি নাই।অসঙ্গতি দেখতে চেলে বলবেন?
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
স্যার আপনার মাথা আসলে ডো ডো পাখির ডিমে ভরা। আপনি মনে হয় প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশনের লোক।
আপনি বলছেন দুইটা গ্রন্থই ভুলে ভর্তি। তাহলে আল্লাহ কেন ভুলে ভরা গ্রন্থ অনুসরণ করতে বলবে? মহান আল্লাহতায়ালা কি কখনও ভুলে ভরা বইকে অনুসরণ করতে বলতে পারেন? পারেন না।
আপনার নিজের যুক্তিতে আপনি নিজেই আটকে গেছেন।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০১
নতুন বলেছেন: বাইবেল সৃস্টিকতার থেকে এসেছে এমনটা কারা দাবি করে?
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার লেখার শুরুতেই একটা ইউটিউব লিংক দিয়েছি যেখানে আহমদ দিদাদ সাহেব খ্রিস্টান পণ্ডিতদের সাথে আনুষ্ঠানিক বিতর্ক করছেন। বিতর্কের বিষয়বস্তু হোল 'ইজ দা বাইবেল ওয়ার্ড অব গড'? এই বিতর্কে খ্রিস্টান পুরোহিতরা বলতে চাচ্ছে যে বাইবেল আল্লাহর কথা। আহমদ দিদাদ সাহেব তার বিপক্ষে বলছেন। বিতর্কটা সম্ভবত ১৯৯০ দশকের। তবে অনেক খ্রিস্টান পণ্ডিত এখন স্বীকার করেন যে বাইবেল আল্লাহর কথা না।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২২
নতুন বলেছেন: তবে অনেক খ্রিস্টান পণ্ডিত এখন স্বীকার করেন যে বাইবেল আল্লাহর কথা না।
এই জন্যই তো তারা বেশি পন্ডিত।
এরা ধর্ম ব্যবসায়ী এরা প্রতি সপ্তায়ে বড় বড় অনুস্ঠান করে কেরামতি দেখায় আর টাকা নেয় ভক্তদের কাছ থেকে।
এরা নাম করা জন্য এমন উল্টাপাল্টা কথা বলে আলোচনায় আসতে চায়।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সম্ভবত এই ব্যাপারে আমার চেয়ে ভালো জানেন। তাই আপনার কথা মেনে নিলাম। ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা মুসলমানদেরও উচিত না। কিন্তু এই দেশে হচ্ছে। ভালো থাকবেন।
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: আল্লাহর বাণী মানুষ কীভাবে বুঝে,কীভাবে কাজে লাগাচ্ছে?
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের আয়াতগুলি আল্লাহর বাণী। হাদিসে কুদসিতে যে বর্ণনাগুলি আছে সেগুলি আল্লাহর বাণী। আল্লাহর বাণী কিভাবে কাজে লাগাতে হবে সেটা আমাদের রসূল (সা) তার সারা জীবনের কাজ, কর্ম, কথা, আচরণ দিয়ে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। আল্লাহতায়ালা এই কারণে রাসুলকে ( সা) অনুসরণের কথা আমাদেরকে বারবার বলেছেন। আল্লাহর বাণী মানুষের জীবনের সকল ক্ষেত্রে কাজে লাগে। ফলে আমরা ইহকাল এবং পরকালে উপকৃত হব। রসূল (সা) আমাদের সহজ পথ দেখিয়ে গেছেন। ওনাকে অনুসরণ করলে সহজেই আমরা আল্লাহর বাণী মতো চলতে পারবো। যারা মুসলমান হওয়ার পরেও আল্লাহর বাণী অনুযায়ী চলে না তাদের অনেককেও জাহান্নামে যেতে হবে। কাজে মুসলমানের খাতায় নাম থাকা ই যথেষ্ট নয়।
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাইবেল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ।
‘আল্লাহর কালাম’ ও ‘অনুপ্রাণিত পুস্তক’ হিসেবে দাবীকৃত বাইবেল রচিত,
সম্পাদিত, সংশোধিত ও সংশোধনযোগ্য- এ কথা প্রায় সকল খ্রিস্টান পণ্ডিতই
বিশ্বাস করেন। বাইবেল সংশোধনের ধারা বাইবেল রচনার পর থেকে আজও
পর্যন্ত অব্যাহত আছে। খ্রিস্টান পণ্ডিতগণ বিভিন্ন সময় বাইবেল সংশোধন করে বলেছেন,
এটি সংশোধিত ও নির্ভরযোগ্য বাইবেল। পরবর্তীতে সেই সংশোধিত বাইবেলেই পাওয়া
গেছে হাজারো ভুল। পুনরায় খ্রিস্টান পণ্ডিতগণ ‘আল্লাহর কালাম’ সংশোধনে রত হয়েছেন!
প্রকাশিত হয়েছে সংশোধিত সংস্করণ। আল্লাহর বানী বা কথা হলে বাইবেল সংশোধিত হতো না।
বাইবেল যদি শুধু পড়ার জন্য, পাঠক হিসেবে যদি কোন মুসলমান ঘরের মধ্যে রাখে
এতে কোনো গুনাহ নেই। তিনি রাখতে পারেন। কিন্তু একে আল্লাহর কথা ভেবে কোরআনের সঙ্গে
সম্মান দেখানোর জন্য রাখা অথবা কোরআনের সমপর্যায়ে সম্মান দেখানো এটা
কুফরি কাজ। এটা যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে তিনি মুসলিম, এই পরিচয় না
দেওয়াটাই উত্তম।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি, আপনি যা বলেছেন তা সঠিক। তবে খ্রিস্টানদের মধ্যে এখনও অনেকের ধারণা যে বাইবেল আল্লাহর কথা। যার কারণে আহমেদ দিদাদ সাহেবকে খ্রিস্টান পণ্ডিতদের সাথে এই ব্যাপারে কয়েকবার বিতর্ক করতে হয়েছিল। অনেকেই কোরআনে উল্লেখিত ইঞ্জিলের সুত্রে, না বুঝে বলে থাকেন যে বর্তমান বাইবেল ও ইঞ্জিল একই জিনিস। ফলে তারা মনে করেন যে খ্রিস্টানরা সঠিক পথে আছে। এই ধারনা দূর করার নিয়তে এই পোস্ট দিয়েছি। ভালো থাকবেন।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২১
আলোর_পথিক বলেছেন: বাইবেল যদি অস্বীকার করা হয় তাহলে তো অটোমেটিক কোরান অস্বীকরা করা হয়!
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দয়া করে ব্যাখ্যা করেন। আপনার কথা পরিস্কার বুঝতে পারিনি।
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৯
আলোর_পথিক বলেছেন: কুরআন ও বাইবেল উভয় ক্ষেত্রেই সম্মানিত বা উল্লেখ করা কিছু লোকের মধ্যে রয়েছে: হারুন, আবেল, ইব্রাহিম, আদম, কেইন, দাউদ, যীশুর শিষ্য, ইলিয়াস, ইলিশা, হনোক, ইভ, ইজরা, গোলিয়াত, ইসহাক, ইসমাইল, জ্যাকব, যিশু, যোহন যোসেফ, ইউনুস, জোসেফ, লোট, মেরি, মোশি, নোহ, মিশরের ফেরাউন দ্বিতীয় রামসিস, শামুইল, শৌল, সলোমন এবং যাকারিয়া
এর অর্ উক্ত নামগুলো আগে বাইবেলে এসেছে পরে পবিত্র কোরআনে। সুতরাং পবিত্র কোরাআই, বাইবেল/ইঞ্জিল, তাওরাত, যাবুর এগুলো ধারাবাহিকগ গ্রহন্থ। অনেটা ০-৯ সংখ্যার মত। কোন একটা বাদ দিলে চলেনা্
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাইবেল হোল ইঞ্জিলের বিকৃতরূপ। এই কারণে বর্তমান বাইবেলে অনেক ত্রুটি আছে। যেমন রসূলের (সা) সময়ের বাইবেলে হজরত ঈসাকে (আ) আল্লাহর পুত্র বলা হয়েছে। কিন্তু কোরআন তার বিরোধিতা করছে;
"আর ইয়াহুদীরা বলে, উযাইর আল্লাহর পুত্র, এবং নাসারারা বলে, মসীহ আল্লাহর পুত্র এটা তাদের মুখের কথা। আগে যারা কুফরী করেছিল তারা তাদের মত কথা বলে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন। কোন দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে!" - সুরা আত তাওবা, আয়াত ৩০।
তাদের এই দাবি কোরআনের বিপরীত। এই রকম আরও অনেক কিছু বাইবেলে আছে যা কোরআনের আয়াতের পরিপন্থি। খ্রিস্টানদের বাইবেলের ৬২ রকম ভার্শন আছে। কারণ বিকৃতির কারণে আসল বলে কিছু নাই।
এই কারণে বর্তমান বাইবেল আর ইঞ্জিল কিতাব এক জিনিস না। আমরা মূল ইঞ্জিল কিতাবকে সম্মান করবো। কিন্তু খ্রিস্টানদের এই বিকৃত বাইবেলকে পরিত্যাগ করবো।
আমাদেরকে মূল তাওরাত, ইঞ্জিল ও জবুর কিতাবে বিশ্বাস রাখতে হবে। কিন্তু এই কিতাবগুলি বিকৃত হয়ে গেছে। যেগুলিকে খ্রিস্টান, ইহুদীরা দাবি করছে মূল তাওরাত ও ইঞ্জিল হিসাবে।
১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বর্তমানে যে বাইবেল গুলি পাওয়া যায় সেগুলিতে মানুষের কথাও আছে বলে আমার ধারনা।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমানের বাইবেল আমাদের হাদিসের মতো। হাদিসের মধ্যে সহি, দুর্বল, জাল আছে। আমরা সহিগুলিকে মানি। বাইবেল ঈসার (আ) ঊর্ধ্ব আরোহণের অনেক পরে খ্রিষ্টান পণ্ডিতদের দ্বারা লিখিত হয়েছে। ঈসা (আ) যে বাণী আল্লাহর কাছ থেকে পেয়েছিলেন এবং তিনি যে উপদেশ দিয়েছিলেন সেগুলিকে বিভিন্ন গস্পেল লেখকরা নিজেদের মতো করে বর্ণনা করেছেন। ফলে বর্ণনার ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা যায়। কোরআনের মতো ইঞ্জিলকে মুখস্ত করে রাখা হয় নাই। লিখিত বই ছিল কি না তাও নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। ক্যাথোলিক বাইবেলে ৭৩ টি বই (অধ্যায়) আছে। এই অধ্যায়গুলিতে আল্লাহ ও ঈসার (আ) বাণী ছাড়াও আছে ধর্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিনিবদ্ধ, ঐতিহাসিক বিবরণ, স্তব, প্রার্থনা, প্রবাদ-প্রবচন, নীতিগর্ভ রূপক কাহিনী, পত্র, আদিরসাত্মক গল্প, কাব্য এবং ভাববাণী। কালের পরিক্রমায় পরিবর্তন হতে হতে এখন ৬২ বা ততোধিক বাইবেলের ভার্শন আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রেই একটার সাথে অন্যটার শব্দ ও বাক্যে অমিল পাওয়া যায়। কোন ভার্শন সঠিক এটা কোন খ্রিস্টান জানে না। তবে অনেক খ্রিস্টান পণ্ডিতরা এখন স্বীকার করেন যে বাইবেল কোরআনের মতো আল্লাহর কথা না।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৩৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাইবেল, তোরাহ, যাত্রাপুস্তক, আদিপুস্তক ইত্যাদি কোন একক পুস্তক নয়, অনেক ছোটপুস্তকের সমাহার।
সময়ে ঈহুদি ও খ্রিষ্টধর্ম বহুধা বিভক্ত হয়েছে, পুস্তকগুলো একই কারনে পরিবর্তন হতে পারে।
ইসলামও বিভক্ত হয়রছে হজরত মোহম্মদ (স) বেচে থাকতেই। ৭২ ভাবে বিভক্ত হয়েছিল।
বিষপ্রয়গে হত্যা চেষ্টাও হয়েছিল। বিষের দীর্ঘ কৃয়ায় ওনার মৃত্যু, অনেকের ধারনা। মৃত্যুর পরও গোত্র বিরোধে ৩ দিনেও কোন জানাজা দেয়া সম্ভব হয় নি। লাশ ছিনতাই এর ভয়ে বেড রুমেই সংক্ষিপ্ত জানাজা, বিছানার নীচেই মাটিখুড়ে কবর দেয়া।
এত বিশাল ধর্মিয় নেতা, ইসলামের সবচেয়ে বড় নবী। শেষ বিদায়ে মক্কায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বিশাল জানাজা ওনার প্রাপ্য ছিল।
তবে 'পবিত্র কোরান' অন্যান্ন ধর্মগ্রন্থের মত পরিবর্তন না হলেও বিশৃক্ষলা ছিল।
অনান্য ধর্মগ্রন্থের মত কোরান লিখিত আকারে নাজেল হয় নি।
বিচ্ছিন্ন ভাবে সময়ে সময়ে বিভিন্ন স্থানে নাজেল হয়েছে। বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন তরুন মোগস্তবিদ্যায় পারদর্শি কিছু যোদ্ধা সাহাবি তথা 'হাফেজ' এগুলো মনে রাখতো, এরা কেউ কমপ্লিট হাফেজ ছিলনা, খুব অল্প কিছু হাফেজ পুরোনো মাক্কি আয়াত মুগস্ত (ফেফজ) রাখতো, নামাজের জন্য। আর বেশীরভাগ হাফেজ যে আয়াতগুলো বিচারে বা যুদ্ধে বেশীকাজে লাগতো সেগুলাই মুগস্ত (ফেফজ) করতো
কারনটা স্পষ্ট। সবটা কোরান একত্রে নাজেল হয় নি। বহু বছর ব্যাপি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কারনে কোরানের আয়াতগুলো নাজেল হয়েছিল।
আর বিভিন্ন হাদিস ও ইতিহাস বলে হজরত মুহম্মাদ (স) জীবিতকালে সবটা কোরান লিখে নিজে ভেরিফাই করে যেতে পারেন নাই।
বিভিন্ন হাফেজদের মুখে মুখে থাকা আয়াতগুলো একত্র করে কোন আয়াতগুলো আগে পরে হবে সেটাও বলে যেতে পারেন নাই।
জিবরাইল ফেরেস্তা আবার উদয় হয়ে সবটা কোরান রিপিট করে গায়েবি আওয়াজ করে ভেরিফাই করেন নি।
হজরত মুহম্মাদ (স) মৃত্যুর পর গোত্রবিবাদ গৃহযুদ্ধে ব্যাস্ত থাকায় খলিফা আবুবকর আয়াতগুলো একত্র করে লিখিত ভার্শান করার চেষ্টা করেন নি। বা সময় পান নি।
এরপর খলিফা ওমরের সময়কালের শেষদিকে শিক্ষিত লেখক যোগার করে আয়াতগুলো একত্র করে লিখিতকরার চেষ্টা করেও পারেন নি। কোন আয়াত আগেপরে হবে, আয়াতের বাক্য ভুল ইত্যাদি কারনে, হাফেজদের ভেতর মতবিরোধ দেখা দেয়ায় বা অজ্ঞাত কারনে লিখিত করার চেষ্টা সফল হয় নি।
এরপর উচ্চশিক্ষিত হজরত ওসমান খলিফা হয়েই কোরান লিপিবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন।
মসজিদের ভেতর বিশাল এক খাতা নিয়ে দিনের পর দিন আয়াতগুলো সংকোলিত করে যাচ্ছিলেন, আর নামাজ শেষে হাফেজদের সাথে মতবিনিময়।
বছর শেষে অর্ধেকের মত লেখার পর মসজিদের কিছু কুচক্রিদের বিরোধিতা শুরু হয়ে যায়।
অনেক বাকবিতন্ডার পর আবুবকর পুত্রের নেতৃত্বে একদল বিরোধী গোষ্ঠি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মসজিদে ঢুকে হজরত ওসমানকে লেখালেখি করতে বিরত থাকতে বলে, এরপর বিভিন্ন অভিযোগ করে হট্টগোলের ভেতর হজরত ওসমান কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার কোন বিচার হয়েছে বলে যা না যায় না।
এরপর আরবে আর কোরান লেখা সম্ভব হয় নি, শত শত বছর পর আজারবাইজান/তুর্কমেন এলাকায়, আফ্রিকায়, ও মিশরে ভিন্ন ভিন্ন সময়কালে কোরানকে লিখিত করা হয়েছিল। মিশরে সংকলিতটাই বর্তমানে চালু লিখিত কোরান।
এত পরে লেখা কোরান কোন আয়াত বাদ বা ভুলভাল যোগ হয়েছে কি না, পুরোনো হাফেজদের দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে
ভেরিফাই হয়েছিল কি না, কিছুই যানা যায় না। কল্লা হারানোর ভয়ে কেউ জানতেও চায় না।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আমার লেখায় লিখেছি যে ক্যাথোলিক বাইবেলের ৭৩ টি বই আছে এবং প্রটেস্টান্ট বাইবেলের ৬৬ টি বই আছে।
রসূল (সা) জীবিত থাকতে ইসলামে কোন বিভক্তি ছিল না। একমাত্র গোপনে কিছু মুনাফেক ছিল। রসূল ৭২ না ৭৩ দলের কথা বলেছিলেন যেটা হবে পরবর্তীতে। তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করেছিল ইহুদীরা। কোন মুসলমান এই চেষ্টা করেনি। ওনার মৃত্যুর কারণ কি ছিল এটা একমাত্র আল্লাহতালাই জানেন। রসূলের (সা) পরে হজরত আবু বকর (রা) খলিফা নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই কারণে তেমন কোন বিরোধ দেখা যায় না। খলিফা নিয়োগ শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছিল। রসূলের (সা) মৃত্যুর পর সাহাবীরা বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন। এতো বড় একজন মানুষের মৃত্যু সবাইকে হতবিহবল করে তোলে। ওনার গোসল, কাফন, জানাজা, ইমামতি, দাফনের স্থান ইত্যাদির সিদ্ধান্ত নিতেও সময় নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া ওনার জানাজায় কেউ ইমামতি করেনি। লোকেরা দলে দলে হজরত আয়েশার (রা) ঘরে প্রবেশ করে নিজে নিজে জানাজা পড়েছে। এই কারনেও অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। রসূলের (সা) দাফনের আগেই ইমাম নিয়োগ দেয়া হয়।
নবী রসুলদের দেহ পচে না, এই ব্যাপারে সহি হাদিস আছে। সাহাবীরা এটা জানতেন। তাই দেরী হওয়া নিয়ে ওনারা উদ্বিগ্ন ছিলেন না। ওনার লাশ চুরির প্রচেষ্টার ঘটনা সত্যি না। কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। রসূলের (সা) সুত্রে আবু বকর (রা) বলেছেন যে নবিরা যে স্থানে মারা যায় তাকে সেই স্থানেই দাফন করাতে হয়। এই কারণে হজরত আয়েশার (রা) ঘরে নবীজিকে ( সা) দাফন করা হয়।
কোরআনের কোন আয়াত নাজিল হওয়ার পর পরই লিখে রাখা হত। এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ কারো নেই। তবে রসূলের (সা) জমানায় এক জায়গায় লেখা ছিল না। তবে অনেক হাফিজ ছিল। শুধু নামাজের জন্য কেউ হাফিজ হত না। আয়াত নাজিল হওয়ার সাথে সাথেই অনেকে তা মুখস্ত করতো। ফলে পরিবর্তন করার কোন সুযোগ ছিল না। হজরত আবু বকরের (রা) সময় কোরআনকে প্রথম বইয়ের আকৃতি দেয়া হয় এবং ঐ কপিটি রসূলের (সা) একজন স্ত্রীর কাছে রাখা হয়। রসূলের (সা) কাছে প্রতি রমজানে হজরত জিবরাঈল এসে কোরআন শুনে তার শুদ্ধতা নিশ্চিত করতেন। এই ব্যাপারে হাদিস আছে। তাই কোরআনকে আল্লাহর তরফ থেকেই নিরাপত্তা দেয়া হয়ে ছিল। কোরআন সুরক্ষার কথা আল্লাহ কোরআনেও উল্লেখ করেছেন।
সুরার ক্রম নিয়ে মতো বিরোধ থাকলেও আয়াতের ক্রম নিয়ে কোন মতো বিরোধ নাই। পৃথিবীর সকল মুসলমান একই কোরআন পড়ে। আরেক রকমের কোরআন আছে এমন দাবি কেউ করতে পারবে না।
হজরত ওসমানের সময় বহু সংখ্যক কপি আকারে কোরআন কপি করা হয় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোরআন নিয়ে এমনকি শিয়াদেরও কোন আপত্তি নাই।
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কোন সন্দেহ নেই। মানুষের মনে গড়া কিছু বিষয় এড হওয়াতে আল্লাহ তায়াল নতুন নবী পরিপূর্ণ আসমানি কিতাব পাঠিয়েছেন। সব ধর্ম একমাত্র আল্লাহর থেকে। মানুষ সব দূষিত করেছে মন গড়া মন্তব্যে । তাইতো পবিত্র কুরআনের মুজিজা কুরআন অপরিবর্তত থাকবে। কুর আন একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেলিম ভাই আপনি যা বলেছেন সঠিক বলেছেন। আগের নবীর কিতাব ও পথ থেকে যখন মানুষ দূরে চলে গেছে তখনই নতুন আরেকজন নবী বা রসূল পাঠানো হয়েছে। ভালো থাকবেন।
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৩
এভো বলেছেন: বাহ বাহ বাহ -- এই তো আপনি কোরানের আয়াতকে অস্বিকার করছেন , কোন লোক কি বল্লো সেটা বড় না কোরানের আয়াতে কি লিখা আছে সেটা বড় ?
আয়াত ( ৫--৬৮ ) তে আল্লাহ ইন্জিল এবং বাইবেলকে সঠিক গ্রন্থ হিসাবে স্বিকৃতি দিয়েছেন ---
বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।
বাইবেল তোরাহ ভুল বিকৃত হলে আল্লাহ কোন দিন ঐ ধর্মের মানুষদের ঐ কিতাব গুলো পরিপুর্নভাবে পালন করতে বলতেন না । আল্লাহ কি কখনো ভুল বিকৃত জিনিস অনুসরন করতে আদেশ দিবেন , সুতরাং বাইবেল তোরাহ ভুল বিকৃত নহে , এটা আল্লাহর বার্তা ।
ওই সময়ে কেহ যদি ঐ কিতাবের দুই এক কপি বিকৃত করে থাকে ও তাতে বাইবেল তোরাহ সম্পুর্ণভাবে বিকৃত হয় না কারন তখন দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঐ কিতাব গুলোর হাজার হাজার কপি ছড়িয়ে ছিল এবং এক সাথে সব কপিকে বিকৃত করা যায় না এবং সেই কিতাব এখন ও ৬০০ সালের মতই একই আছে।
সূরা আল আনাআম ৬:৩৪
আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
এই আয়াতে কি বলা হয়েছে ?? এই কথা কি বলা হয় নি ? ' '' আর আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই''
এই বাক্যের অর্থ এই পরিভর্তনকারী পূর্বে ও নেই , বর্তমানেও নেই এবং ভবিষতে ও থাকবে না ।
কোরানে শুধু ইহুদীদের কথা বলা হয়েছে, তাদের এক দল বিকৃত করতো বা করা চেষ্ঠা কোরতো কিন্তু তারা সফল হয় নি বা হতে পারেন কারন তখন গোটা দুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে তাদের কিতাবের হাজার হাজার কপি ছড়িয়ে ছিল , তারা দুই একটাকে পরিবর্তন করতে পারলে ও সব কপিকে পরিবর্তন করতে পারে নি ।
কোরানে খৃষ্ঠানদের কোন দল বিকৃত করেছে বলে বলা নেই , শুধু ইহুদীদের একটা দলের কথা আছে ।
আল্লাহ নিজেই বলেছেন --- আর আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তনকারী নেই।
এবার তো দেখা যাচ্ছে আপনি নিজেই কোরান মানেন না , মামদো ভূতে পাইলে মানুষের অবস্থা এমন ই হয় ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সূরা- আয়াত ৫- ৬৮ নিয়ে আগেও আপনার সাথে আমার বিতর্ক হয়েছে। এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে তোমরা তাওরাত, জবুর, ইঞ্জিল এবং কোরআন এই চারটাকেই মানবে। আবার বলা হয়েছে যারা কোরআন মানবে না তাদের অবাধ্যতা ও কুফরি বৃদ্ধি পাবে। ইহুদি, খ্রিস্টানরা কি কোরআন মানে? আর কোরআনে আল্লাহ বাইবেলের ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। বাইবেলে বলা আছে যে ঈসা (আ) আল্লাহর পুত্র। আল্লাহ এটার নিন্দা করেছেন। এরকম আরও অনেক ক্ষেত্রে ইহুদি বাইবেল ও খ্রিস্টান বাইবেলের ভুল আল্লাহ কোরআনে প্রকাশ করে দিয়েছেন। ঐগুলি ঠিক থাকলে আল্লাহ কোরআনে এগুলির বিরুদ্ধে বলতেন না।
আর ইয়াহুদী ও নাসারারা আপনার প্রতি কখনো সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের মিল্লাতের অনুসরণ করেন। বলুন নিশ্চয় আল্লাহর হেদায়াতই প্রকৃত হেদায়াত। আর যদি আপনি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করেন আপনার কাছে জ্ঞান আসার পরও, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার কোন অভিভাবক থাকবে না এবং থাকবে না কোন সাহায্যকারীও। ( সুরা বাকারা, আয়াত ১২০)
উপরের আয়াতে আল্লাহ কঠোর ভাষায় নবীকে (সা) যে আপনি যদি ইহুদি বা নাসারাদের অনুসরণ করেন তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার কোন অভিভাবক থাকবে না এবং থাকবে না কোন সাহায্যকারী। আল্লাহ পরিষ্কারভাবে এই আয়াতে বলে দিয়েছেন যে ইহুদি ও নাসারারা তাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে । আবার বলেছেন যে আপনার কাছে জ্ঞান আসার পর আপনি কিভাবে তাদের খেয়াল খুশির পথে চলতে পারেন। ইহুদি ও নাসারারা সঠিক পথে থাকলে আল্লাহ কখনও বলতেন না যে তারা খেয়াল-খুশি মতো চলে। ঐ সময়ের বাইবেলের ভুল আল্লাহ কোরআনে বলে দিয়েছেন, যা উপরে বলেছি। তাই ঐ সময়েই সঠিক বাইবেল ছিল না। বিকৃতির কথা আল্লাহ প্রকাশ করে দিয়েছেন। এই যুগে বাইবেলের ৬২ বা ততোধিক ভার্শন আছে। কোন খ্রিস্টানের পক্ষে বলা সম্ভব না কোনটা সঠিক। আপনি বলেছেন ৬০০ সালের মত বাইবেল একই আছে। তাহলে এক বাইবেলের সাথে আরেক বাইবেলের কথা ও বাক্য কেন মেলে না? কোনটা সঠিক সেটা খ্রিস্টানরা পর্যন্ত জানে না আর আপনি বলছেন জানেন।
ইহুদি, নাসারারা সঠিক পথে থাকলে আল্লাহ তাদের কাফের কেন বলেছেন। এই ব্যাপারে সূত্র আপনাকে আগেও দিয়েছি।
আল্লাহর বাণীর পরিবর্তন বলতে আল্লাহর আদেশের কথা বলা হয়েছে ( ডিক্রি)। এই ব্যাপারে আগে আপনাকে আমি বলেছি। আগের গ্রন্থ ঠিক থাকলে আল্লাহ কেন নতুন রসূল ও কিতাব পাঠাবেন? আল্লাহ কেন বলবেন যে আপনি ( রসূল সা) কোরআন আসার পরও ওদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করতে পারেন না। ইহুদি আর খ্রিস্টানরা ঠিক থাকলে কেন বলা হয়েছে যে ওরা ওদের খেয়াল খুশি মতো চলে?
আপনি যে আয়াতগুলির কথা এখানে বলছেন এগুলির জবাব আমি আগেও দিয়েছি। তারপরও সংক্ষেপে আবার দিলাম। একই বিষয় নিয়ে আপনি পানি ঘোলা করার চেষ্টা করেন। কেন আল্লাহ বলছেন যে কোরআন না মানার কারণে ইহুদি আর নাসারাদের কুফরি বৃদ্ধি পাবে। আপনি এটার জবাব দেন। তাদের গ্রন্থ ঠিক থাকলে সেটা কখনই কোরআনের বিপরীত হত না এবং আল্লাহও বলতেন যা কোরআন না মানার কারণে তাদের কুফরি বৃদ্ধি পাবে। বাইবেলের ভুল কেন আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ করেছেন। বাইবেল ঠিক থাকলে আল্লাহ কি বাইবেলের ভুল চিহ্নিত করে দিতেন? আপনি এগুলির জবাব দেন।
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০০
এভো বলেছেন: ইহুদি, নাসারারা সঠিক পথে থাকলে আল্লাহ তাদের কাফের কেন বলেছেন।
আল্লাহর একই ভাবে মুসলমানদের কাফের বোলেছে , তাদের ৭১ দল কুফরি পথে এবং মাত্র ১ টি দল সঠিক পথে থাকবে । একই ভাবে ইহুদী নাসার ১টা দল ছাড়া বাকি সবাই কাফের ।
ইহুদি ও নাসারারা সঠিক পথে থাকলে আল্লাহ কখনও বলতেন না যে তারা খেয়াল-খুশি মতো চলে
একই কথা কত বার বোলবেন ---- ৭১টা মুসলমানের দল কি খেয়াল- খুশি মত চলছে না । যেমন খুশি তেমন ভাবে হাদিস পয়েদা করে কত রকমের পথ কত রকমের মত কত রকমের ফেতনা , মুসলমানরাও কোরছে । একই কথা মুসলমানদের উপর ও প্রজোজ্য কি নহে ?
আপনি যে আয়াতগুলির কথা এখানে বলছেন এগুলির জবাব আমি আগেও দিয়েছি।
ঘোড়ার আন্ডা দিয়েছেন তেনা পেচানো ছাড়া । আপনার কথা হোল, যেহেতু ইহুদী নাসাদের অনেকে কিতাব অনুযায়ি চলে না নিজের খেয়াল খুশি অনুযায়ি চলে তাই তাদের পুস্তক বিকৃত । আরে ভাই একই যুক্তি দিয়ে যদি বলি মুসলমানদের ৩০০০০০০০০০০০০০০ ফেকরার লোক জন নিজের খেয়াল খুশি মত চলে একটা দল ছাড়া --- তাহোলে কি মুসলমানদের ডিভাইনকে বিকৃত বলা যায় ?
এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন যে তোমরা তাওরাত, জবুর, ইঞ্জিল এবং কোরআন এই চারটাকেই মানবে। আবার বলা হয়েছে যারা কোরআন মানবে না তাদের অবাধ্যতা ও কুফরি বৃদ্ধি পাবে।
ভাই সব সবাই দেখেন -- সবাই একবার হাততালি দেন , তার পর মারহাবা মারহাবা বলে নীচের আয়াতটা পড়েন -- ওটার সাথে ওনার দাবি ম্যাচ করে কিনা, দেখে নি ? এই আয়াতে কি বলা হয়েছে একজন কিতাবীকে ৪টা কিতাব মানতে হবে এবং কোরান না মানলে কুফরি করা হবে ? যদি ইহুদীরা বলে হ্যা হ্যা আমরা সব কিতাব মানবো তবে আমাদের কিতাব না মানলে বা সেটা কে উপরে না রাখলে কুফরি করা হবে এবং একই কথা নাসারাও বোলতে পারে , এবার দেখুন আয়াত খানি --
(৫-৬৮)
বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহতায়াল সাধারণভাবেই ইহুদি ও নাসারাদের কাজকে কুফরি বলেছেন। শুধু মদিনার কোন গোত্রের কথা বলেননি। নির্দিষ্টভাবে না বলা হলে কোরআনের কথা সার্বজনীন অর্থ বহন করে। নির্দিষ্ট কোন ইহুদি বা খ্রিস্টান গোত্রকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন এটা আপনি প্রমাণ করতে পারবেন না। আর ইহুদি ও খ্রিস্টান বিরোধী আয়াত অনেকগুলি আছে। কোথাও বলা হয় নাই যে হে মদিনার ইহুদি বা মদিনার নাসারা। অথবা হে বনি কুরাইজা বা হে খাজরাজ গোত্র। এগুলি আপনার মনগড়া ধারণা।
মুসলমানদের অনেকে দোজখে যাবে এটা সবাই জানে। কিন্তু কারও মধ্যে তিল পরিমান ইমান থাকলেও পরবর্তীতে সে দোজখ থেকে জান্নাতে যাবে। মুসলমান মানেই বিনা বিচারে জান্নাতে যাবে এমন না।
বাইবেলের ভুল আল্লাহ কোরআনে ধরিয়ে দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে বাইবেল ঠিক নাই। ঈসাকে (আ) তার আল্লাহর পুত্র বলে। আল্লাহ এটার নিন্দা করেছেন কোরআনে। এটা থেকেই বোঝা যায় বাইবেল ঠিক নাই। খ্রিস্টানরাই জানে যা যে কোন ভার্শনটা সঠিক।খ্রিস্টান ধর্মযাজকরা পর্যন্ত বলছেন যে বাইবেল মানুষের লেখা। আমার পোস্টে ব্যাখ্যা করা আছে এই ব্যাপারে। খ্রিস্টান বিশ্বাসীরা সাধারণত বাইবেলকে ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণার একটি সৃষ্টিকর্ম হিসাবে বিবেচনা করে। অনুপ্রেরণা ঐশ্বরিক কিন্তু এর বাণীগুলি আল্লাহর কথা না এটা এখন অধিকাংশ খ্রিস্টান মানে। ক্যাথোলিক বাইবেলের একাধিক ভার্সনকে ক্যাথোলিক চার্চ অনুমোদন দিয়েছে। অথচ ভার্শনগুলির মধ্যে শব্দ ও বাক্যে অনেক ক্ষেত্রে অমিল আছে। কোরআনের একটি শব্দও ১৪০০ বছরে পরিবর্তন হয় নাই।
একইভাবে তাওরাতের ভুল আল্লাহ কোরআনে ধরিয়ে দিয়েছেন। তাই ইহুদি ও খ্রিস্টানদের বর্তমান বাইবেল সঠিক নাই। আল্লাহ কখনই ত্রুটিপূর্ণ কিতাব অনুসরণ করতে বলবেন না। এ কারণেই আল্লাহ যখন বলেন তাওরাত, জবুর এবং ইঞ্জিল তখন আল্লাহর প্রকৃত অবিকৃত তাওরাত, জবুর ও ইঞ্জিলকে বুঝায়। রসূলের জুগেও এগুলি বিকৃত ছিল বলেই আল্লাহ এগুলির মধ্যে ভুল চিহ্নিত করে দিয়েছেন। আল্লাহ তার রসুলকে (সা) এ কথাও বলেছেন যে আপনি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের খেয়াল খুশিকে কখনও অনুসরণ করবেন না (আগের মন্তব্যে আয়াত উল্লেখ করেছি)।
আপনি জিবরাঈলকে (আ) বলেন মামদো ভুত। এই যদি হয় আপনার ইসলাম সম্পর্কে ধারণা তাহলে আপনার সাথে আলোচনা করা অর্থহীন। কোরআন এই মামদো ভুতের (আপনার ভাষায়) মাধ্যমেই রসূলের (সা) কাছে এসেছিল। তাই আপনার কাছে কোরআন মামদো ভুতের মাধ্যমে প্রাপ্ত একটি বই। কোরআন সম্পর্কে যার এই রকম ধারণা, তার সাথে আলোচনা করা অর্থহীন।
১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: মানূষে কথাই প্রভুর কথা। কোনো প্রভুই অলৌকিক ভাবে কোনো কিতাব মানুষের হাতে দেন নাই। মানুষ কিতাব লিখে লিখে ঈশ্বরের নামে চালাচ্ছে। তবে বাইবেল ভালো। পড়ে আরাম পাওয়া যায়।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যত বেশী ধর্ম সম্পর্কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন তত আপনার জন্য মঙ্গল।
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৫
এভো বলেছেন: বাইবেলের ভুল আল্লাহ কোরআনে ধরিয়ে দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় যে বাইবেল ঠিক নাই।
তাহোলে আল্লাহ কেন বোললেন----- ৫-৬৮ আয়াতে যে ঐ কিতাব গুলো সঠিক এবং ৬-৩৪ আয়াতে যে আল্লাহর বাণী কেহ পরিবর্তন করতে পারে না ।
এ কারণেই আল্লাহ যখন বলেন তাওরাত, জবুর এবং ইঞ্জিল তখন আল্লাহর প্রকৃত অবিকৃত তাওরাত, জবুর ও ইঞ্জিলকে বুঝায়। রসূলের জুগেও এগুলি বিকৃত ছিল বলেই আল্লাহ এগুলির মধ্যে ভুল চিহ্নিত করে দিয়েছেন
তাই নাকি তাহোলে কার যুগে আল্লাহতালা ঐ কিতাব গুলোকে আংশিক ভাবে নহে পরিপূর্ণভাবে অনুসরন করতে বলেছেন । যদি প্রকৃত তাওয়াত যাবুর ইন্জিল অনুসরন করতে বলেন, তাহোলে ঐ সময়তো প্রকৃত ডিভাইন ছিল না , তাহোলে বিকৃত বিধানকেংশু আংশিক ভাবে নহে পরিপূর্ণভাবে পালন করতে বললেন ? আপনি তাহোলে বোলতে চান আল্লাহ ইহুদী নাসাদের বিকৃত কিতাব পরিপূর্ণভাবে পালন করতে বলেছেন ?
খ্রিস্টানরাই জানে যা যে কোন ভার্শনটা সঠিক।
মূল হিব্রু ভার্ষানটা সঠিক , অনুবাদ গুলোতে ভুল ভ্রান্তি থাকতে পারে । যেমন কোরানের অনুবাদ গুলোতে অনেক ভুলে ভরা ।
কয়েক দিন আগে সক্রেটিসের বিচার সঠিক ছিল না বলে ইউরোপের একটা আদালতে রায় দেওয়া হয় । এখন যদি বিশ্ব আদালতে বনু কুরাইজার গণহত্যা নিয়ে ইহুদীরা শালিস বসায়( সেই ক্ষমতা তাদের আছে ) তাহলে জিব্রাইল আ: কাহিণী দিয়ে আদালতকে প্রভাবিত করতে পারবেন ? সুরা আহযাবের ২৬ নং আয়াতের প্রেক্ষাপট মোটেও বনু কুরাইজার ঘটনা নহে , তারা কুরাইশদের কোন পৃষ্ঠপোষকতা করে নি বরং তাদের সাহায্যের আবেদন প্রত্যাখান করেছে। কুরাইশরা ১০০০০ সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ করতে আসার পিছনে বনু কুরাইজার কোন পৃষ্টপোষকতা ছিল না বা এস্পনসার ছিল না -- পৃষ্ঠপোষকতার কোন চিহ্র সেখানে নেই
--
কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।
-- এই আয়াত দিয়ে গণ হত্যাকে জাস্টফাই করতে এই আয়াত ব্যবহার কোরেছেন , এই আয়াত মোটেও বনু কুরাইজার ঘটনা জন্য নহে ।
কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফেরদের পৃষ্টপোষকতা করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দূর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি নিক্ষেপ করলেন। ফলে তোমরা একদলকে হত্যা করছ এবং একদলকে বন্দী করছ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঠিক আছেন। তাই আপনি আপনার বিশ্বাস আর যুক্তি নিয়ে থাকেন।
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
বারবোসা বলেছেন: সুরা আল মায়িদার ৬৮ নং আয়াতের বিশ্লেষণঃ
বলা হয়েছেঃআপনি(নবী সাঃ)বলে দিনঃ হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তাওরাত, ইঞ্জিল এবং যে গ্রন্থ(কুরআন) তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তার উপর আমল কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের সম্প্রদায়ের জন্যে দুঃখ করবেন না।
আচ্ছা, এখানে আহলে কিতাব তথা ইহুদি এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে বলা হয়েছে,তারা যদি তাওরাত,ইঞ্জিল এবং কুরআন না মানে তবে তারা সত্য পথে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।তাওরাত ইঞ্জিলসহ কুরআন পূর্ববর্তী সকল কিতাবে সর্বশেষ নবি মুহাম্মদ(সঃ) এর কথা এবং তার উপর যে সর্বশেষ কিতাব কুরআন নাযিল করা হবে তা বলা হয়েছিল।এ বিষয়ে আমি নবীজির জীবনিতে উল্লেখ করা যাজক,রাবাই,নওফেল এর উদাহরণ আনার প্রয়োজনবোধ করছি না।কাজেই ইহুদি খ্রিষ্টানরা যদি তাদের উপর নাযিল হওয়া তাওরাত এবং ইঞ্জিলের প্রকৃতবাণীতে বিশ্বাস করতো,তবে তাদের কিতাবে উল্লেখ করা সর্বশেষ নবির প্রতি ঈমান আনতে তারা কোনো আপত্তি জানাতো না। তাদের জন্য নবী(সাঃ) এর আনুগত্য-অণুকরণে তাদের ধর্ম পরিবর্তনের আদৌ কোনো প্রশ্ন সৃষ্টি করতো না।অর্থাৎ, তাওরাত ইঞ্জিল মানতে হলে,অবশ্যই কুরআনকে মানতে হবে।কিন্তু ইহুদি খ্রিষ্টান সম্প্রদায় রাসূল(সাঃ) এর প্রতি ঈমান না আনার মাধ্যমে তাওরাত এবং ইঞ্জিল কিতাবকেই অস্বীকার করেছে।তাই আল্লাহ তায়ালা তাদের বলেছেন তারা কোনো পথেই প্রতিষ্ঠিত নয়।অর্থাৎ তারা তাওরাত কিংবা ইঞ্জিল মানার যে দাবি করে,তা আল্লাহ তায়ালা এই কথার মাধ্যমে নাকচ করে দিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালার নাযিল করা কিতাবগুলো সিরিজের মতো।সবগুলোর ভাব,মর্ম কথা এক।কাজেই মানতে হলে সবগুলাকেই মানতে হবে,যেটা শুধু আমরা মুসলমানরাই মেনে থাকি।আমরাদের ঈমান শুধু কুরআনের প্রতি নয়,বরং পূর্ববর্তী সকল আসমানি কিতাবের উপর।ঈমানের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য যে আটটি বিষয়ের প্রতি ঈমান আনতে হয়,তার একটি হল আসমানী কিতাব সমূহের প্রতি বিশ্বাস,মানে সবগুলা,শুধু কুরআন না।
কুরআনে ৬-৩৪ আয়াতে যা বলা আছে,তা হল আল্লাহ তায়ালার বানী পরিবর্তন করার শক্তি কারো নেই। এখন যে কেউ আল্লাহ তায়ালার আয়াতকে বিকৃত করে তার উপর আমল করতেই পারে।এজন্য তো আর আল্লাহ তায়ালার বাণী পরিবর্তিত হয়ে যাবে না,তাইনা!!
আল্লাহ তায়ালার বাণী,তাওরাত-ইঞ্জিল বিকৃতির যুগেও অপরিবর্তনীয় ছিলো।সে যুগেও এমন কিছু পণ্ডিত ছিলেন,যারা প্রকৃত সত্য জানতেন।আর সর্বশেষ গ্রন্থ আলকুরআনের বিকৃতি যাতে না ঘটে এ দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালা নিজেই নিয়েছেন।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসূলের (সা) জমানায় বা এখন যে ইহুদি বা খ্রিস্টান বাইবেল ছিল বা আছে এগুলির মধ্যে সত্য ও মিথ্যার সংমিশ্রণ ঘটেছে। আল্লাহ কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে বাইবেলের ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। কোরআনে তাওরাত ও ইঞ্জিল বলতে মূল তাওরাত ও ইঞ্জিলকে বুঝিয়েছে। এখনকার বাইবেলের ৬২ বা ততোধিক ভার্শন আছে। কোনটা সঠিক এটা কেউ বলতে পারে না। চার্চ থেকে সবগুলিকেই অনুমোদন দেয়া হয়। সূরা মায়েদার ৬৮ নং আয়াতে আল্লাহ ইহুদি, খ্রিস্টানদের বলেছেন যে তোমাদেরকে তাওরাত, ইঞ্জিল এবং কোরআনকে মানতে হবে। ওদের কথিত তাওরাত বা ইঞ্জিল ঠিক থাকলে তা কখনই কোরআনের বিপরীত কিছু বলতো না। তাই একই সাথে ওদের কিতাব আর কোরআন মানা সম্ভব না। কারণ ঐ বইগুলিতে কোরআনের আয়াতের পরিপন্থি কথা আছে। এই কারণেই তাওরাত, ইঞ্জিল বলতে বর্তমান বাইবেলকে বুঝায় না। আল্লাহ বলেছেন যে কোরআন অবাধ্যতার জন্য ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কুফরিতে লিপ্ত হবে। তাদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে তারা কাফের, তাদের জন্য দুঃখিত হবেন না।
৬- ৩৪ এ বলা হয়েছে যে আল্লাহর ফয়সালার কোন পরিবর্তন হয় না। তাওরাত ও ইঞ্জিলে রসূলের (সা) জমানাতেই মিথ্যা ঢুকে গিয়েছিল। ওখানে বলা আছে যে ঈসা (আ) আল্লাহর বায়োলজিক্যাল পুত্র। আল্লাহ কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে তা নাকচ করে দিয়েছেন। এই রকম অনেক ভুল তথ্য ঐ বইগুলিতে ছিল এবং আছে। ফলে এগুলি সঠিক অবস্থায় নাই।
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
বারবোসা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাইকে ধন্যবাদ,বিষয়টিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন এর জন্য।
অফটপিকঃডোডো পাখির ডিম দেখছেন নি??
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাইবেল হোল মানুষের দ্বারা বর্ণিত আল্লাহ ও ঈসার (আ) আদেশ, নিষেধ, উপদেশ। একই ঘটনা গস্পেল লেখকরা নিজেদের মত বর্ণনা করেছেন জিশুর স্বর্গারোহণের অনেক পরে। আমাদের হাদিসের মত। আমরা শুধু সহি হাদিস মানি। খ্রিস্টান অনেক পণ্ডিতও এখন বিশ্বাস করে যে বাইবেল মানুষের লেখা। বাইবেলের মূল বই বলে কিছু নাই।
বাইবেলে ট্রিনিটির ( গড দা ফাদার, গড দা সান, গড দা হলি গোস্ট) কথা বলা আছে। ট্রিনিটি একটা শিরক। কোরআন তীব্র ভাষায় এটার প্রতিবাদ করেছে। আমার পোস্টে বিস্তারিত আছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে যা বাইবেল ঠিক নাই। এতে মিথ্যা অনেক কিছু মিশে গেছে। কারো পক্ষে বাইবেল ও কোরআন এক সাথে মানা সম্ভব না। কারণ বাইবেলের অনেক কথা কোরআনের বিপরীত।
বাইবেলে অনেক অশ্লীল কথা আছে। যেমন;
বাইবেল,পরম গীত - অধ্যায় 1 - 13
"' আমার প্রিয়তম আমার কাছে ভেষজ সুগন্ধির সৌরভের মত- আমার স্তনযুগলের মধ্যে সারাটা রাত্রি ধরে বিরাজিত থাকে|""
বাইবেল, পরম গীত - অধ্যায় 4 - 5
"" তোমার স্তন দুটি শালুক ফুলের মাঝে চরে বেড়ানো যমজ হরিণ শাবকের মত|""
এরকম আরও অনেক শ্লোক পাওয়া যায়।
আল্লাহর কিতাবে কি কোন অশ্লীল কথা থাকতে পারে? কোরআনে বা হাদিসে কোন অশ্লীল কথা পাবেন না। শিক্ষণীয় কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে নারীদের বিষয়ে কিছু বলা হলেও অত্যন্ত শালীন ভাষায় তা বলা হয়েছে বিভিন্ন বিধি বিধান শেখানোর জন্য।
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ডো ডো পাখির ডিম দেখিনি। তবে আমাদের ব্লগের এক বয়স্ক, ঘাড় ত্যাড়া প্রবাসী আছেন। উনি আমেরিকা থেকে আমার জন্য ডো ডো পাখির ডিম পাঠাবেন বলেছেন। পাঠালে আমি ভেজে খাবো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪
রানার ব্লগ বলেছেন: কোরান যেমন নবী বেচে থাকতেই লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়েছিলো তেমনি ইনজিল কি লেখা হয়েছিলো না কি ঈসা এর মুখে যা শুনেছে তাই এরা মনে রেখে পরে লিপিবদ্ধ করেছে?