নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক অনেক দিন আগে এক দেশে এক গরীব কিষাণ ছিল। কিষাণ আর কিষাণির ঘরে তেমন কিছু না থাকলেও তাদের ঘরকে আলোকিত করে রেখেছিল তাদের একমাত্র মেয়ে ঊর্মিমালা। তরুণী ঊর্মিমালার যেমন ছিল রূপ তেমন তার গুণ। ঊর্মিমালার রূপ আর গুণে মুগ্ধ হয়ে দেশের কত ধনীর দুলাল যে পাগল হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ঊর্মিমালা গরীব ঘরের মেয়ে হলে কি হবে টাকা-পয়সা, সম্পদের প্রতি তার কোনই লোভ নেই। তার কথা হোল জীবন সঙ্গি হিসাবে আমি শুধু একটা ভালো ছেলে চাই, আর কিছু চাই না। কিন্তু ঊর্মিমালার বাবার কাছে যে প্রস্তাব আসত সেগুলির বেশীর ভাগই ছিল ধনীর বখে যাওয়া দুলাল।
এক কান দুই কান করে ঊর্মিমালার রূপ-গুনের খবর সেই দেশের রাজার কান পর্যন্ত চলে গেল। রাজাটা ছিল খুবই অসৎ চরিত্রের। নিরীহ প্রজাদের সে নির্যাতন আর শোষণ করতো। একজন সুন্দরী রানী থাকা সত্ত্বেও সুন্দরী মেয়ের খবর পেলেই জোর করে তুলে এনে বিয়ে করতো। কয়েকদিন ভোগ বিলাস করার পর ঐ মেয়েগুলিকে সে মেরে ফেলত। ঊর্মিমালার কথা রাজার কানে গেলে সে তৎক্ষণাৎ তার পাইক পেয়াদা পাঠিয়ে দিল ঊর্মিমালার বাবার বাড়িতে। তারা গিয়ে বলল যে রাজা মশাই আপনার মেয়েকে বিয়ে করবেন। দুই দিনের মধ্যে বিয়ের সব বন্দোবস্ত করেন। সব খরচ রাজা মশাই দেবেন।
এই কথা শুনে ঊর্মিমালা আর তার বাবা-মার তো দিশেহারা অবস্থা। ঊর্মিমালা অনেক বুদ্ধিমতি মেয়ে ছিল তাই প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও সে পণ করলো যে, যেভাবেই হোক তাকে এই দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হবে। বাবা-মাকে না জানিয়েই সে কিছু কাপড় চোপড় সাথে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। তাদের বাড়ির কাছেই ছিল একটা গহীন অরণ্য। ঊর্মিমালা মনে মনে ভাবলো এই অত্যাচারী, লম্পট রাজার সাথে বিয়ে হওয়ার চেয়ে জঙ্গলের বাঘের পেটে যাওয়াও অনেক ভালো।
ঊর্মিমালা হাটতে হাটতে ধীরে ধীরে গহীন অরণ্যের মধ্যে ঢুকে গেলো। এদিকে বেলা ডোবার সময় হোল। জঙ্গলে আঁধার নেমে এলো। ঊর্মিমালা ক্লান্তিতে আর ভয়ে একেবারে জড়সড় হয়ে একটা উঁচু গাছের ডালে গিয়ে উঠলো। কোন রকমে সে রাতটা কাটালো অনেকটা জেগে জেগে। ভোর হলে ঊর্মিমালা আবার বনের পথে নিরুদ্দেশভাবে চলা শুরু করলো।
হঠাৎ সে দেখে একটা সুদর্শন ছেলে বনের মধ্য দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে যাচ্ছে। ছেলেটা বেশ লম্বা এবং সুঠাম দেহের অধিকারী। ছেলেটা ঊর্মিমালাকে দেখে ঘোড়া থামাল। ছেলেটা ঘোড়া থেকে নেমে ঊর্মিমালাকে বলল যে তুমি এই গহীন জঙ্গলের মধ্যে একা একা কি করছ। ঊর্মিমালা মনে মনে ভাবলো যে এই প্রশ্ন তো আমিও তোমাকে করতে পারি। কিন্তু সে মনের কথা প্রকাশ না করে বলল যে আসলে আমি একটা বিপদে পড়ে এই জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছি।
তখন ছেলেটা বলল যে, তোমাকে দেখে অনেক ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত দেখাচ্ছে। আমার কাছে কিছু হরিণের মাংসের কাবাব আছে। তুমি এই গাছের নীচে বসে আগে কিছু খাও তারপরে তোমার গল্প শুনবো আবার আমার গল্পোও তোমাকে বলবো। ঊর্মিলার সত্যিই ভীষণ খিদে পেয়েছিল। তাই কোন প্রশ্ন না করে ছেলেটার সাথে একটা বড় গাছের নীচে বসলো। ছেলেটা খুব যত্ন করে ঊর্মিমালাকে খাবার পরিবেশন করলো এবং কাছের একটা ঝর্না থেকে ঊর্মিমালার জন্য পানি নিয়ে এলো।
ঊর্মিমালা খাচ্ছে আর ছেলেটা বলছে যে আমার নাম সাগর। আমি একজন রাজপুত্র। আমি আমার লোকদের নিয়ে বনে এসেছিলাম শিকার করতে। কিন্তু একদল ডাকাত আমার সাথের লোকদের হত্যা করে এবং আমাকে বন্দি করে। আমি অনেক কষ্টে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছি। কিন্তু এখন এই গহীন অরণ্যে দিক ঠিক করতে না পেরে আমার দেশের পথ খুঁজে পাচ্ছি না।
ঊর্মিমালা বলল যে তাহলে তো আমাদের এই জঙ্গলের মধ্যেই মনে হয় বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে হবে। এরপর ঊর্মিমালা তার নিজের জীবনের কাহিনী রাজপুত্র সাগরকে খুলে বলল। সাগর বলল যে চিন্তা করো না আমরা যদি চেষ্টা করি তাহলে নিশ্চয়ই এই জঙ্গল থেকে বের হওয়ার একটা পথ আমরা পাবো। তুমি তো আর তোমার দেশে যেতে পারবে না বরং এক কাজ করো তুমিও আমার সাথে আমার দেশে চল। আমি আমার বাবা মার সাথে তোমার পরিচয় করিয়ে দেবো।
ঊর্মিমালা বলল তুমি আমাকে মাফ কর। আমি এক রাজার হাত থেকে পালিয়ে এসেছি। এখন আবার আরেক রাজার হাতে পড়তে চাই না। তখন সাগর বলল
- ঊর্মিলা, রাজা মানেই কি খারাপ? তুমি আমার বাবা মাকে দেখলে তোমার ভুল ভাঙ্গবে।
- আমি বলছি না সব রাজাই খারাপ। কিন্তু আমি তো একজন গরীব কিষানের মেয়ে।
- তোমাকে দেখেই আমি বুঝেছি, তুমি একটা ভালো মেয়ে। তোমার বাবা কিসান হয়েছে তো কি হয়েছে।
- ঠিক আছে সবই বুঝলাম। আগে বন থেকে বের হবার পথ তো খোঁজো। তারপর দেখা যাবে।
ঊর্মিমালা বলল আমরা কতদিন এই বনে থাকবো তা তো কেউই আমরা জানি না। আসো আমরা আগে থাকার জন্য একটা ছোট ঘর বানাই। রাজপুত্র বলল যে এটা তুমি একটা ভালো কথা বলেছো। আমি এখনই কাঠ কাটতে যাচ্ছি। ঊর্মিমালা বলল যে তুমি একা যাবে, আমিও তোমাকে সাহায্য করতে চাই। রাজপুত্র বলল যে ঠিক আছে তবে দুজনে মিলেই আমরা একটা ছোট ঘর বানাবো।
অনেক কষ্ট করে ঊর্মিমালা আর সাগর বনের কাঠ, পাতা, লতা এইসব দিয়ে একটা ঘরের মতো বানাল। একটা গাছের উপরে তারা এই ছোট ঘরটা বানালো যেন বাঘ, ভাল্লুক থেকে বাঁচা যায়। দুইজনে এই ছোট ঘরটা বানাতে পেড়েই মহাখুশি। ওদের দুইজনেই তখন ভীষণ ক্লান্ত ছিল। তাই কখন যে তারা ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছে নিজেরাও জানে না।
বেলা পড়লে ওদের ঘুম ভাংলো। রাজপুত্র বলল যে আমি কিছু শিকার করে নিয়ে আসি। তারপর আমরা আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানিয়ে খাব। ঊর্মিমালা বলল যে ঠিক আছে যাও কিন্তু সাবধানে থেকো। সাগর বলল যে তুমিও কিন্তু সাবধানে থেকো। আর আমি না আসা পর্যন্ত নীচে নেম না। রাজপুত্র একটা হরিণ শিকার করে নিয়ে আসল। চকমকি পাথর জ্বেলে ওরা আগুন জ্বালাল। এদিকে রাত হয়ে গেছে। হরিণের মাংসের কাবাব খেয়ে নিলো ওরা। খেয়ে দেয়ে ওরা কিছুক্ষন গল্পগুজব করে ছোট ঘরটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লো।
হঠাৎ কাদের কথায় যেন মাঝরাতে ঊর্মিমালার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। সে কানপেতে শোনার চেষ্টা করলো। আসলে ঐ গাছে এক জোড়া ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমি বাস করতো। ওরাই কথা বলছিল। ঊর্মিমালা রাজপুত্রকে জাগাল। ওরা দুইজনে কানপেতে ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীর কথা শুনতে লাগলো। পাখি দুটি বলছে ;
ব্যাঙ্গমা - দেখেছ রাজপুত্র আর ঊর্মিমালাকে কেমন মানিয়েছে।
ব্যাঙ্গমি – তা তো ঠিক। কিন্তু ওরা তো পথ খুঁজে পাচ্ছে না।
ব্যাঙ্গমা – বন থেকে বের হওয়ার পথ হোল প্রথম উত্তরে গেলে একটা পাহাড় পড়বে। পাহাড় পার হওয়ার পর একটা ঝর্না পড়বে। ঝর্না পার হলেই একটা লাল রঙের মাটির রাস্তা আছে। এই আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে ওরা যদি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে তাহলেই রাজপুত্রের দেশে পৌঁছে যাবে।
ব্যাঙ্গমি – যাক! ওরা নিশ্চয়ই পথ খুঁজে পাবে।
ঊর্মিমালা আর রাজপুত্র সাগর পাখি দুটির কথা শুনে খুব আনন্দিত হোল। মনের আনন্দে গল্প করতে করতে ওরা বাকি রাত পার করে দিল।
ভোরে উঠেই ওরা কোন রকমে কিছু খেয়ে নিয়ে ওদের পথ খুজতে বের হোল। ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমীর কথা মতো দুই দিনের পথ পার হয়ে ওরা বনের একেবারে প্রান্তে চলে এলো। বনের কাছে কিছু ঘর বাড়ি ছিল। সাগরদের প্রজা ওরা। রাজপুত্রকে চিনতে পেরে ওরা ঊর্মিমালা এবং রাজপুত্রকে নিয়ে রাজবাড়িতে পৌঁছে দিল। সাগরকে পেয়ে রাজা আর রানী তো মহা খুশি। ওদেরকে প্রথমে ভালো মতো খাওয়ানো হোল। তারপর বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হোল।
কিন্তু ওদের সুখ অল্প সময় পরেই দুঃখতে রুপান্তরিত হোল। পরের দিন সকালে রাজপুত্র তার বাবা আর মাকে বলল যে সে ঊর্মিমালাকে ভালোবাসে এবং তাকে বিয়ে করে রাজবাড়িতে বউ হিসাবে রাখতে চায়। এই কথা শোনা মাত্র রাজা আর রানীর মুখ কালো হয়ে গেলো। কারণ সাগর তার আগেই ঊর্মিমালার বাবা, মা আর পরিবার সম্পর্কে তাদেরকে বলেছিল।
রাজা মশাই বললেন ;
রাজা - এই বিয়ে কখনই হতে পারে না। আমার ছেলের বিয়ে কি না হবে এক চাষার মেয়ের সাথে। অসম্ভব!
রানী – সাগর, আমাদের রাজকীয় খান্দানে শুধু রাজ পরিবারের মেয়েরাই কনে হিসাবে আসতে পারে।
রাজপুত্র – বাবা এবং মা তোমরা কেন বুঝতে চাচ্ছ না যে ঊর্মিমালা একটা ভালো মেয়ে। ওরা গরীব হতে পারে কিন্তু তাই বলে ওদের এভাবে অবজ্ঞা করা তোমাদের ঠিক হচ্ছে না।
এইভাবে অনেক সময় পর্যন্ত বাক বিতণ্ডা চলার পর রাজপুত্র বলল যে ঠিক আছে তোমরা যেনে রাখ ঊর্মিমালাকে যদি আমি বিয়ে না করতে পারি তাহলে আমি এই দেশে আর থাকবো না। রাজ সিংহাসনেরও আমার দরকার নাই। আমি এখনই ঊর্মিমালাকে নিয়ে চলে যাচ্ছি। ঊর্মিমালা আড়ালে দাড়িয়ে এতক্ষন ওদের কথা শুনছিল। সে আড়াল থেকে বের হয়ে রাজপুত্রকে বলল যে, হে মহামান্য রাজপুত্র আপনি আবেগ প্রবণ না হয়ে আপনার বাবা ও মার কথা মেনে নেন। আমি এখনই এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমার কারণে আপনাদের মধ্যে ঝগড়া- বিবাদ হোক এটা আমি চাই না।
ঊর্মিমালা অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে রাজবাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো। রাজপুত্রও দেরী না করে ঊর্মিমালার পিছু পিছু গেল এবং এক সময় তাকে ধরে ফেলল।
রাজপুত্র – ঊর্মিমালা, তুমি যদি এখন চলে যাও তাহলে কিন্তু আমি আমার তরবারি দিয়ে আঘাত করে নিজেকে শেষ করে দেবো।
ঊর্মিমালা – রাজপুত্র আপনি এভাবে করবেন না। আমি চলে যাচ্ছি। আপনি আপনার বাবা মার পছন্দ মতো একটা রাজকুমারীকে বিয়ে করে নিবেন। জীবন ছেলেখেলা না।
রাজপুত্র – ঊর্মিমালা, তুমি আমাকে এ কি বলছ। তুমি কি মনে কর তোমাকে ছেড়ে আমি অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করে সুখী হতে পারবো?
ঊর্মিমালা – রাজপুত্র, আমি আপনাদের যোগ্য নই। আমি আপনার ভালোর জন্যই বলছি।
রাজপুত্র – যে জীবনে ঊর্মিমালা থাকবে না সেই জীবন কখনই ভালো হতে পারে না। আমি এখনই নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি।
ঊর্মিমালা দ্রুত রাজপুত্রের হাত থেকে তরবারি কেড়ে নিল আর বলল;
- রাজপুত্র আমার মত একটা কিষাণির মেয়ের জন্য আপনি কেন জীবন দিবেন। আমিই বরং জীবন দিয়ে দিচ্ছি।
এই বলে তলোয়ার দিয়ে সে নিজেকে আঘাত করতে উদ্যত হোল। কিন্তু রাজপুত্র নিমিষেই তলোয়ার তার হাত থেকে কেড়ে নিল।
রাজপুত্র বলল – ঊর্মিমালা চল না আমরা আবার আমাদের বনের ঘরটাতে চলে যাই।
ঊর্মিমালা – রাজপুত্র তুমি কি পারবে সেই ছোট্ট ঘরে থাকতে আমার সাথে। তোমার কষ্ট হবে না তো। আমি তো কিষাণির মেয়ে আমার কোন কষ্ট হবে না।
রাজপুত্র – ঊর্মিমালা, তোমাকে পেলে পৃথিবীতে কোন কষ্টই আমার কাছে কষ্ট না।
তাদের দুজনের চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। রাজপুত্র ঊর্মিমালাকে বাহুডোরে আবদ্ধ করলো। রাজবাড়ির দিকে শেষ বারের মত একবার তাকিয়ে ওরা দুজনে দুজনার কাঁধে হাত রেখে বনের পথ ধরলো।
দুজনে যখন একসাথে আছে কোন কষ্টই তাদের কাছে আর কষ্ট না। সুখে থাকুক ওরা।
ছবি - cydaru.wordpress.com
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এইজন্যই তো বর্তমান যুগ বাদ দিয়ে আদি যুগের কাহিনী নিয়ে লিখেছি। এখন ভালোবাসা বলতে বুঝায় সাকি সাকি নাচ। আমি যে যুগের কথা লিখেছি সেই যুগের ভালোবাসা শাহজাদা সেলিমের সাথে আনারকলির ভালোবাসার মত। অনেক ধন্যবাদ ভালো পর্যালোচনার জন্য।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৪
শায়মা বলেছেন: হায়রে এখানেও হরিন!!!!!!!
বুঝেছি সেটা আসলে কি ছিলো? মানে গল্প কবিতার হরিনেরা কি হয় আমি তাহা জানি জানি জানি!!!
ভাইয়া এক ফেইরী টেল ভালোবাসার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো আজকাল অনেক অনেক । তুমি তো এই লেখা পড়িয়ে সেটা আবার মনে করিয়ে দিলে!!!!!!!
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও হরিণ নিয়ে লিখেছেন। মায়া বন বিহারিণী হরিণী .....। আমার সোনার হরিণ চাই .... ইত্যাদি। ফেইরি টেইলের ভালোবাসাই প্রকৃত ভালোবাসা। এখানে কোন খাঁদ নেই। ভালো থাকবেন। আপনার কবিতা ভালো লেগেছিল।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩০
শায়মা বলেছেন: ভালো লেগেছিলো!!!!!!!!
ওকে ওকে আরও আরও লিখবো। এন্টার চাপলেই যদি কবিতারা উড়ে আসে।
ভাইয়া আরও একটা গান আছে আমারফ প্রিয়......
সে কোন বনের হরিন ছিলো আমার মনে????
কে তারে বাঁধলো অকারনে!!!!!!!
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বিনয়ী তাই বলেন যে এনটার চাপেন। একটা কবিতা লেখা অনেক পরিশ্রমের কাজ। আপনি পুরো আবেগ মিশিয়ে কবিতা লেখেন।
কোন হরিণকেই অকারণে বাঁধা উচিত না। দেশের প্রচলিত আইনে তাকে শাস্তি দেয়া উচিত।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৭
শায়মা বলেছেন: সেই হরিনকে কে যে বেঁধে রাখলো!!!!!!
তার শাস্তি চাই চাই চাই!!!!!!!!
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে ব্যক্তি হরিণকে বেঁধে রেখেছে তাকেও অনুরূপভাবে বেঁধে রাখা হউক।
৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একেবারে ঠাকুর মার ঝুলি থেকে বের করা গল্প যেন। শেষটা মিলনের। ভাল হয়েছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মত একজন মেধাবী ছাত্র এবং কবির কাছ থেকে ভালো মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। সেলিম ভাই ভালো থাকবেন।
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কখনও সাকি সাকি নাচ নাচতে ইচ্ছা করে না?
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ছোটবেলায় যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন ক্লাস ফোরের একটা মেয়ের সাথে বল ডান্স করেছিলাম। প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস রিহার্সালের কারণে আমরা প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম ( অনুষ্ঠানটা কোন কারণে পিছিয়ে গিয়েছিলো)। এটা ছিল প্লেটোনিক, প্রেম উভয় পক্ষ থেকেই। কারণ সেক্স তখন আমরা কেউ বুঝতাম না। এখন আমার স্ত্রীও জানে। আমাকে পচায় মাঝে মাঝে। এটা আমার জীবনের একটা মধুর স্মৃতি।
আমার সবচেয়ে পছন্দ ভারতীয় কথ্যক নৃত্য। মাইকেল জ্যাকসন তার 'ব্ল্যাক ওর হোয়াইট' গানে এক ভারতীয় কথ্যক নৃত্য শিল্পীর সাথে কিছুক্ষণ নেচেছিলেন।
সাকি সাকি কনসেপ্টে আসলে আমি বিশ্বাস করি না। প্রেম স্বর্গীয়।
আপনি এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন পশ্চিমের কিছু অসাধারণ ফ্লোর ড্যান্সের জন্য। https://www.youtube.com/watch?v=cTfxennz3xU কষ্ট করে কপি পেসট করে নিবেন ব্রাউসারে।
৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৬
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ভালো, আপনার লেখার বহুমাত্রিক বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে ভালো লাগছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মামুন ভাই অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার লেখাটা পড়ার জন্য। এটাই আমার জীবনের লেখা প্রথম গল্প। আমি তো মুলত পাঠক। তাই লেখালেখির অভ্যাস নাই। তারপরও কেমন পারি তা জানার জন্য ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। ভালো থাকবেন, যেখানেই থাকেন না কেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আমার রুপকথা খুবই পছন্দ।
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এখনও রুপকথা পড়ি। আপনার সাথে আমার একটা মিল পাওয়া গেলো। রুপকথাতে কোন দুঃখ কষ্ট নাই। শুধুই আনন্দ আর আনন্দ। বন জঙ্গলের গল্প আমার খুব ভালো লাগে। তাই বিভূতিভূষণের আরণ্যক বারবার পড়ি।
আমি আপনার শেষ লেখার অনেক কড়া সমালোচনা করেছি, মজা করে। আমি ভেবেছিলাম আপনি বদলা নিবেন। ভালো থাকবেন।
৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৯
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আমি অলরেডি বদলায় আছি। অন্য দিকে বদলাবদলি করে জীবন খোয়াবো নাকি?
রুপকথায় দুঃখ কষ্ট শেষে আনন্দ আর বাস্তবে আনন্দের পরে বেদনা
প্রেমের নাম বেদনা সে কথা বুঝিনি আগে।
দেখেন আগের দিনের লোকও আগে বুঝেছি আমি নাদান বাচ্চা কি বুঝবো?
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রেম তো বোঝার জিনিস না। এটা কবিতার মত। কবিতা বোঝার জিনিস না। কবিতা হোল গোলাপের সুঘ্রাণের মতো। একে বোঝার কিছু নাই। সুঘ্রাণ গ্রহণ করাটাই মুখ্য। সুঘ্রাণ বোঝার জিনিস না বরং উপলব্ধির ব্যাপার।
১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৭
ইন্দ্রনীলা বলেছেন:
এই রিপ্লাই পড়ে আজ সব গুলা ইমোটিকনের উত্তর খুঁজিয়া পাইলাম।
১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাঝে মাঝে আমি দার্শনিকের মতো কথা বলি তাই হয়তো আপনার মধ্যে মিশ্র অনুভুতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে বাল্য প্রেমের উপর কোন প্রেম নাই। এটা একদম খাঁটি। আমারও ছিল। আমার ৬ নং প্রতিমন্তব্য পড়লে কিছুটা ধারণা পাবেন।
১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৩
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
গল্পটি খুব ভালো হয়েছে। বিশেষ করে সমাপ্তি অংশটুকু। রূপকথার গল্প পড়ে যেন বাস্তবিকতা থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে সরে গিয়েছিলাম। জীবনটা যদি রূপকথার মতো হতো, তাহলে হয়তো শেষটা রূপকথার মতোই খুব সুন্দর হত। তবুও বলতে হবে জীবনটা খুব সুন্দর। কেননা জীবন সৃষ্টিকর্তার নেয়ামত।
আর ৬ নম্বর মন্তব্যে আপনার বাল্যপ্রেমের ঘটনাটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। আসলে ঠিকই বলেছেন ভালোবাসা স্বর্গীয়। সেই স্বর্গীয় ভালোবাসায় কিছু চাওয়ার থাকে না, কিছু পাওয়ারও থাকে না শুধুমাত্র একসাথে থাকাটাই বিশাল প্রাপ্তি!
শুভকামনায়,
- দেয়ালিকা বিপাশা
১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আমার গল্পটি পড়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম। আসলে আমি আপনাদের মত লেখক বা কবি না। মুলত পাঠক। এটাই আমার লেখা প্রথম গল্প বলতে পারেন। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এখনও দেশ-বিদেশের রুপকথা ভালোবাসি। সময় পেলে অনেক সময় পড়ি, নিজেকে হাল্কা করার জন্য। আপনি ঠিক বলেছেন, জীবনটা যদি রুপকথার মত হত! আর জীবন নিয়ে আমাদের ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। কারণ, যেমনটা আপনি বলেছেন, জীবন আল্লাহর একটা নেয়ামত।
আপনি অনেক ভালো গল্প আর কবিতা লেখেন। আপনার শুরুটাও ভালো হয়েছে। এই ব্লগে অনেক ভালো পাঠক পাবেন। খায়রুল আহসান ভাই একজন ভালো মানের লেখক। ওনার মন্তব্যগুলি খেয়াল করবেন। এছাড়াও আছে 'সোনাবীজ বা ধুলোবালি ছাই' ভাই। উনিও অনেক ভালো মানুষ, ভালো লেখক এবং কবি। ওনার অনেকগুলি পোস্ট আছে যেগুলি লেখকদের লেখালেখিতে দক্ষতা অর্জন সংক্রান্ত। আমি আপনাকে লিঙ্কগুলি দেয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া আছেন নীল আকাশ ভাই। উনিও আপনাকে লেখালেখির ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবেন। উনি সম্ভবত প্রকাশক। উনিও ভালো মানুষ। আরও অনেকে আছেন। সবার সম্পর্কে জানি না। সবাই নিয়মিতও না। ব্লগে খুঁজলে আপনি আরও লেখালেখি সংক্রান্ত পোস্ট পাবেন। আমার ৬ নং মন্তব্যে উল্লেখিত বাল্য স্মৃতি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
আপনি অনেক ভালো গল্প আর কবিতা লেখেন। আপনার শুরুটা ভালো হয়েছে।..... ব্লগে খুঁজলে আপনি আরও লেখালেখি সংক্রান্ত পোস্ট পাবেন।- অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পরামর্শ দেবার জন্য। সময় করে লিঙ্ক গুলো দেবেন। ইনশাআল্লাহ সম্মানিত ব্লগারদের পোস্টগুলো সময় করে পড়ে নেব।
আমি কতটা ভালো লিখি সেটা জানি না কিন্তু যা লিখি মন থেকে লিখি। আন্তরিকতা এবং বিবেচনাবোধ থেকে নিরপেক্ষ ভাবে লেখার চেষ্টা করি।
শুভেচ্ছান্তে,
- দেয়ালিকা বিপাশা
১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জী ধন্যবাদ। আমি দুই একদিনের মধ্যে লিঙ্কগুলি দেয়ার চেষ্টা করবো। মন থেকে এবং নিজের মত করে লেখাই উত্তম। স্বকীয়তা অর্জন করার চেষ্টা করেন। আর ব্লগের ধর্মীয় এবং ক্যাচাল পোস্ট এড়িয়ে যাবেন।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য। ভালো থাকবেন।
১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮
মিরোরডডল বলেছেন:
অতঃপর দুজনে সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে থাকিলো
সাচু, গল্পেতো কোনও টুইস্ট নেই ।
স্টোরিও নতুন না , ভেরি কমন ।
কি শিখলাম এ গল্প থেকে, দাও ফিরিয়ে সে অরণ্য, লহ এ নগর !
ভালোবাসার মানুষ সাথে থাকলে জঙ্গলে গিয়েও সুখে থাকা যায়
১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রূপকথার গল্পে তেমন টুইস্ট থাকে না মনে হয়। সাদাসিধা, সহজ সরল হয়। আমি নিতান্তই রুপকথা হিসাবে গল্পটা লিখেছি। তবে শেষের দিকে সেই ধারা ধরে রাখতে পারিনি ( এটাকে গল্পের দুর্বলতা মনে হয়েছে আমার কাছে)। রূপকথার গল্পে কোন দুঃখ থাকে না। এই গল্পে একটাই বাঁক, সেটা হোল রাজপুত্র ও ঊর্মিমালা ভেবেছিল যে তারা রাজপ্রাসাদে পৌঁছুলেই তারা সুখে দিনাতিপাত করতে পারবে। গল্পের শেষে এসে দেখা গেলো যে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। কিন্তু তারা নতুন স্বপ্ন বুকে নিয়ে তাদের আগের জায়গায় চলে গেল, যেখানে তাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল। আরেকটা কথা বলতে চেয়েছি, সেটা হোল প্রেম ভালোবাসা কোন বাঁধা মানে না। একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের সুখী হতে বেশী কিছু লাগে না। আমার প্রিয় '৭০ এর দশকের একটা পুরনো ইংরেজি গানের লাইন মনে এসেছিল। কিন্তু ইউটিউবে খুঁজে পাচ্ছি না। পেলে দিতাম। কয়েকটা লাইন খুব মনে পড়ে। সেটা হোল, ' অল আই নিড ইস ইউ এন্ড মি ফর এ হ্যাপি উইকেনড ...... হোয়েন আই লুক ইনটু ইউর আইস, আই সি ইজ প্যারাডাইজ....। মনের মিল হলে সুখী হতে তেমন কিছু লাগে না। আপনার শেষের লাইনের সাথে গল্পের সারাংশের মিল আছে।
আরেকটা ব্যাপার হোল টুইস্ট দিতে পারতাম, কিন্তু সেই ক্ষেত্রে গল্প বড় হয়ে যাবে। ব্লগে প্রতিষ্ঠিত গল্পকারদের লেখাই কেউ পড়তে চায় না। আমার বড় গল্প কে পড়বে। এই কারণে গল্প ছোট রাখার চেষ্টা করেছি। আর আমি যেহেতু রুপকথা হিসাবে লিখেছি তাই গল্পের কাহিনী কমনই হওয়ার কথা। তবে আমার গল্পটা আসলে রুপকথা আর সাধারণ গল্পের একটা মিশ্রণ হয়েছে। এটাকে আমার কাছে একটা ত্রুটি মনে হয়েছে। তবে সিরিয়াস গল্প হিসাবে এটা লিখিনি। আমি রুপকথা এখনও পছন্দ করি তাই সেইভাবেই লিখতে চেয়েছিলাম। শেষের দিকে অবশ্য একটু বড় বড় ভাব চলে এসেছে।
আপনার গঠনমূলক সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ। কারণ আমার জীবনের প্রথম গল্পে সমালোচনার প্রয়োজন ছিল। আপনার পরামর্শগুলি আমি মাথায় রাখবো।
১৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
ওহ তাই নাকি, জীবনের প্রথম গল্প ?
কংগ্রেচুলেশন্স ম্যান !!!
কমেন্ট এতো সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই ।
আমিতো ফান করে এরকমই বলি ।
গল্প লেখার চেষ্টা হয়েছে এটাই অনেককিছু ।
কিপ ইট আপ ।
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ফান পছন্দ করি। আমিও নিজেও অনেক সময় ফান করি। তাই সমস্যা নাই। সমালোচনাও পছন্দ করি যদি সেটা গঠনমূলক হয়। ভাবছি এরপর সিরিয়াস গল্প লিখবো একটা। আপনার দেয়া গানটা এখন শোনার মত পরিবেশ নেই। তাই ওটার ব্যাপারে পরে মন্তব্য করবো। ভালো থাকবেন।
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দেয়া গানটি বেশ ভালো লাগলো। সম্ভবত শুধু পিয়ানোর সাথে গাওয়া। এই ধরণের প্রায় খালি গলায় গাওয়া গান অনেক ভালো লাগে। কষ্ট করে আমার পোস্টে মন্তব্যের জন্য আমার একটা প্রিয় গান দিলাম। অনেক আগের।
১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২২
জুন বলেছেন: বাহ দারুন তো। রূপকথা আমি খুবই ভালোবাসি এখনো। গল্পের শেষে রাজপুত্র আর উর্মিমালা বনের ভেতর তাদের বানানো কুটিরে ফিরে গেলো। আমিতো ভাবলাম এখনি রানী বাংলা সিনেমার মত বলে উঠবে বাবা তুই ফিরে আয়, যাসনে বাবা, ওকে ফিরে আসতে বলুন জাহাপনা, ওকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা --- তারপরই হয়তো কেউ এসে বলবে "জাহাপনা আপনি ভুল শুনেছেন, উর্মিমালা চাষার মেয়ে নয় সেও অমুক দেশের রাজকন্যা"। তারপর হই,হই,চই, চই, এলাহি ভোজের আয়োজন আর সেখানে রুশ উপকথার মত বলতে হয় সেই ভোজে
আমিও ছিলাম বটে,
মধু তুলেছি ঠোঁটে,
দেখেছি গোপে চেটে,
যায়নি কিছু পেটে
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি উপকথা, রুপকথা পছন্দ করেন এটা আগেই জেনেছি আপনার কাছ থেকে। আপনি প্রচুর বইও পড়েন। তাই আপনার মন্তব্যটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা অনেক বই পড়ে তাদের আমি জ্ঞানী মানুষ মনে করি। আপনার সাহিত্য সংক্রান্ত জ্ঞান আবার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতির জ্ঞান দেখে আমি বিস্মিত হই মাঝে মাঝে। ব্লগে আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে মেয়ে ব্লগাররা খুব কমই কথা বলে। আপনি ব্যতিক্রম। আপনি বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে যেভাবে বিতর্ক করেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
গল্পের সমাপ্তি সম্পর্কে আপনার আইডিয়াটাও আসলে খারাপ ছিল না। তাহলে আরও বেশী মিলনাত্মক একটা সমাপ্তি হতো। আপনি আমার গল্পের একমাত্র লাইক দাতা। তাই এই পোস্টে আমার কাছে আপনার স্থান অনেক উপরে। ভালো থাকবেন। আপনি মনে হয় করোনার কারণে দেশ ভ্রমনে যেতে পারছেন না আগের মত।
১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: উফ, এত সুখ সুখের গল্পও লিখতে পারেন আপনি?
মিরোরডডল যদিও বলেছেন, "গল্পেতো কোনও টুইস্ট নেই, স্টোরিও নতুন না, ভেরি কমন", তবুও আমি বলবো, সব কিছুর ঊর্ধ্বে স্থান পাবে এ গল্পটার সহজ, সরলভাবে গল্প বলার চমৎকার শৈলী, এবং সর্বোপরি "এ্যান্ড হ্যাপিলী দে লিভড এভার আফটার" সমাপ্তিটা। হোক না রূপকথা, কল্পকথা, এসব কথার সুখময় পরিণতি পাঠক হিসেবে আমাকে সুখ দেয়। গহীন অরণ্যে না হলেও, একটা অনতিউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে এক পর্ণ কুটিরে বসবাসের ফ্যান্টাসী আমার বহুদিনের। বহুদিন আগে আমার সিলেট অঞ্চলে এরকম পাহাড়ের কোলে প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা করে কিছুদিন অবস্থানের অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তাও আবার এরকমের বর্ষণমুখর শ্রাবণ মাসে। খুব মনে পড়ে সেসব অপার্থিব সৌন্দর্যে অবগাহন করার কথা।
আপনি হয়তো খেয়াল করে থাকবেন, কোন লেখকের মূল পোস্টে আলোচিত বিষয়ে একটা দুটো মন্তব্য করার পর আমি পাঠকদের মন্তব্য এবং লেখকদের প্রতিমন্তব্য নিয়েও দুই একটা কথা বলি, যদি সেগুলো ভালো লেগে থাকে (এবং প্রায় ক্ষেত্রেই একাধিক মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য ভালো লেগে থাকে)। সেক্ষেত্রে আমার মন্তব্য কোন কোন সময় একনাগাড়ে চার পাঁচটাও হয়ে যায়। বলতে দ্বিধা নেই, আমি আপনার লেখা পোস্ট খুব বেশি পড়িনি। কিন্তু যেগুলো পড়েছি, সবই ভালো লেগেছে। আপনি প্রায় সাড়ে তিন বছরের ব্লগীয় জীবনে মোট ৬১টি পোস্ট লিখেছেন, তবে এই ৬১টি পোস্ট আপনি লিখেছেন মাত্র গত দেড় বছরে। হয়তো কোন কোন পোস্ট ড্রাফটেও নিয়ে থাকবেন, সেক্ষেত্রে আপনার পোস্ট সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে মনে হয়।
কিছু কিছু ব্লগারের পোস্ট আমি নিয়মিতভাবে না পড়লেও, তাদের নামটা যখন "সাম্প্রতিক মন্তব্যে" দেখতে পাই, তখন তাদের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলো পড়ে আসি। আপনি হলেন তাদেরই একজন। এরকম আরও বেশ কয়েকজন ব্লগার আছেন, যাদের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলো পড়া আমি পারতপক্ষে মিস করিনা। আপনার এই পোস্টে আজ আমি চমৎকার কিছু মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পড়েছি যা আমার খুবই ভালো লেগেছে। কোন পোস্টে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে 'লাইক' চিহ্ন দেখতে পেলে বুঝে নিতে পারেন সেগুলোর অধিকাংশে আমার মাউস ক্লিক করেছে। মন্তব্যের কলেবর অতি দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে দেখে আজকের পোস্টে মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য প্রসঙ্গে আলাদা মন্তব্যে আসছি।
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, আপনার এমন অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য পেয়ে আমি যার পর নাই খুশি। আমার আর কোন সার্টিফিকেটের দরকার নাই। আমি জানি আপনি একজন সাহিত্য অনুরাগী মানুষ। আপনার লেখা কবিতা বা অন্যান্য লেখা খুবই উঁচু মানের। আপনি তাড়াহুড়া করে কিছু লেখেন না। পোস্ট পড়ার সময়ও তাড়াহুড়া করেন না।
এটা আমার লেখা প্রথম গল্প। তাই এই লেখার ব্যাপারে আমার আত্মবিশ্বাস কম ছিল। তারপরও আপনার মত মানুষের প্রশংসা এবং অনুপ্রেরণা পেয়ে আমি সত্যিই অভিভুত। ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো আরও ভালো কিছু লেখার।
আপনার মন্তব্য এবং প্রতি-মন্তব্য নিয়ে পর্যালোচনা আমার খুব ভালো লাগে। আর কোন ব্লগার সাধারণত এমন করে না। আমার জন্য দোয়া করবেন। আর আপনার আর পরিবারের জন্য শুভ কামনা।
১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ সুলিখিত পোস্টটিতে গত প্রায় দু'সপ্তাহে আমারটা সহ ১৬টি মন্তব্য এবং মাত্র ২ টি 'লাইক' এসেছে। এই পরিসংখ্যান পোস্টের গুণগত মানের প্রতিফলক নয়, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে মাত্র ১৬টি মন্তব্যের মধ্যেও শতকরা হিসেবে এত অধিক সংখ্যক মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য আমার ভালো লেগেছে, এমনটা বোধকরি আগে কখনো হয় নি।
প্রথমেই বলতে চাই এস এম মামুন অর রশীদ এর মন্তব্যটির কথা। উনি ঠিক আমার মনের কথাটিই বলে দিয়েছেন তার ৭ নং মন্তব্যটিতে। আমিও গত কয়েক মাস ধরে আপনার পোস্ট তেমন না পড়লেও, আপনার মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলো পড়ে আপনার ভাবনার "বহুমাত্রিক বিষয়ের সঙ্গে" পরিচিত হচ্ছি, এবং বলা যায়, বেশ আকর্ষিতও হচ্ছি। অন্য লেখকের পোস্টে করা মন্তব্যে আপনি আন্তরিক, নিজের পোস্টে প্রতিমন্তব্যে ততোধিক। এটা ভালো লাগে।
এস এম মামুন অর রশীদ ছাড়াও শায়মা, ইন্দ্রনীলা, দেয়ালিকা বিপাশা, মিরোরডডল এবং জুন এর মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে, সেই সাথে আপনার প্রতিমন্তব্যগুলোও (প্রায় সবই)। তবে ৬ নং প্রতিমন্তব্যটি বেস্ট অভ অল! শৈশবে আমাদের জীবনটা কত বিশুদ্ধ ও পবিত্র থাকে!
সেখানে আপনার দেয়া ইউটিব লিঙ্কটি দেখলাম, ভালো লেগেছে। গানগুলো আমাদের তরুণ বয়সের গান, তাই বোধকরি বেশী ভালো লেগেছে। মনে পড়ে, সেসব দিনের সপ্তাহান্তের সন্ধ্যাগুলোতে বন্ধু ও সতীর্থরা মিলে "বাই দ্য রিভার্স অভ ব্যাবিলন" অনেকটা গণসঙ্গীতের মত গলা ছেড়ে দিয়ে গাইতাম আর হৈ হুল্লোর করতাম।
"তবুও বলতে হবে জীবনটা খুব সুন্দর। কেননা জীবন সৃষ্টিকর্তার নেয়ামত" - জীবন সম্পর্কে এমন চমৎকার একটা পর্যবেক্ষণ শেয়ার করার জন্য দেয়ালিকা বিপাশা কে একটা স্পেশাল থ্যাঙ্কস জানাচ্ছি। আর ওনার মন্তব্যের উত্তরে আপনি কিছু নামোল্লেখের সময় আমার নামটিও নেয়াতে যুগপৎ বিস্মিত, অভিভূত এবং সম্মানিত বোধ করেছি।
"জীবনের প্রথম গল্প লেখায়" বেশ ভালো ভাবেই উৎরে গেছেন, সে কথাটি বলাই বাহুল্য। গল্পে দ্বিতীয় ভাললাগা। + +
"আপনি আমার গল্পের একমাত্র লাইক দাতা" (১৫ নং প্রতিমন্তব্য) - এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় হতে পেরে আমি গর্বিত। সব ভালো, যার শেষ ভালো। এ যাবত পাওয়া মন্তব্যগুলোর মধ্যে শেষের দু'জন এসে কথাটির সারবত্তা প্রমাণ করলেন, এটাও ভালো। +
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি চেষ্টা করেছি আমার পোস্টগুলিতে বৈচিত্র্য আনতে। আমার মনে হয় এই ব্লগে আপনি ছাড়া আর কেউ এতো মনোযোগ দিয়ে পোস্ট, মন্তব্য এবং প্রতি-মন্তব্য পড়ে না। তাই আপনার মন্তব্যকে আমি সব সময় গুরুত্ব দেই। সবার পোস্টে আমি চেষ্টা করি ভদ্র ভাষায় শালীনভাবে মন্তব্য করতে। কারণ এই ব্লগে আমরা কেউ কাউকে চিনি না বললেই চলে। একজন অপরিচিত মানুষকে যতটুকু সৌজন্য দেখানো প্রয়োজন সেটা আমি দেখানোর চেষ্টা করি।
আপনারা ছিলেন বনি এমের সময়ের তরুণ প্রজন্ম তাই ওদের গানগুলি অবশ্যই নস্টালজিক আপনাদের কাছে। ১৯৮০ সালে প্রথম বনি এমের গান শুনি। আমি তখন ক্লাস টু তে পড়ি। আমাদের বাসায় ক্যাসেট ছিল একটা। সম্ভবত ঐ এ্যালবামটার নাম ছিল ‘নাইট ফ্লাইট টু ভিনাস’। আমরা ছোট থাকলেও বনি এম আমাদের কাছেও নস্টালজিক। আর তাছাড়া ওদের গানের মান আসলেই অনেক ভালো ছিল। আমি দুই একদিন আগেও শুনেছি।
দেয়ালিকা বিপাশা নতুন এবং তরুণ (সম্ভবত) হলেও তার জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি অনেক উন্নত। এটা তার লেখায়ও প্রকাশ পায়। আমি ওনার একজন সাহিত্যানুরাগী হিসাবে আপনার নাম বলেছি। সাথে আরও দুই একজনের নাম বলেছি যারা আপনার মত সাহিত্য বোঝেন এবং চর্চা করেন। আমি মনে করি আপনার মন্তব্য থেকে এবং পোস্ট থেকে উনি উপকৃত হবেন।
আমি সব সময়েই বলি, আমি মুলত একজন পাঠক। চাঁদগাজী ভাই এটা নিয়ে একটু মজাও করেছেন দেয়ালিকার শেষ পোস্টে। তারপরও আমার লেখা প্রথম গল্প পড়ে সবাই, বিশেষ করে আপনি যেভাবে আমাকে অনুপ্রাণিত করছেন তাতে আমি ভীষণভাবে অভিভুত। একজন ভালো মানের লেখকের ইতিবাচক মন্তব্য নতুনদের জন্য নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক। প্রথম লেখাতে আমি বেশ ভালো ভাবে উৎরে গেছি জেনে আমার ভীষণ ভালো লাগছে।
আসলেই সব ভালো যার শেষ ভালো। তবে আমাকে বলতেই হবে আপনি শেষে আসলেও সবচেয়ে আগ্রহ নিয়ে আপনি আমার গল্পটি পড়েছেন। শুধু পড়েন নি, অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ, অনুপ্রেরণা, ভালো লাগা আপনি মন্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। সত্যি কথা বলতে, আমি আমার গল্পটা নিয়ে কিছুটা হতাশ ছিলাম। কারণ প্রথম কয়েকদিন খুব কম মন্তব্য পেয়েছিলাম। শেষের দিকের মন্তব্যগুলি পাওয়ার পর আমি ধীরে ধীরে উজ্জীবিত হই। একজন লেখক হিসাবে আপনি ভালো করেই জানেন যে পাঠক যখন লেখা উপভোগ করে তখন লেখকের কি রকম ভালো লাগে।
আপনার আগের মন্তব্যের দুই-একটি ব্যাপার আমি উত্তর দিতে ভুলে গেছি। আমি আসলে সাড়ে তিন বছর ধরে নিবন্ধিত থাকলেও পোস্ট দেয়া শুরু করেছি গত দেড় বছর ধরে। আপনি আমার অধিকাংশ মন্তব্য, প্রতি মন্তব্য পড়েন জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক সময় হাল্কা মন্তব্য করে ফেলি। এখন থেকে আরও সিরিয়াস হতে হবে মন্তব্য করার সময়, কারণ আপনার মতো পাঠক আছেন যারা আমার মন্তব্য পড়ছেন।
আপনাদের মতো ব্লগারদের মন্তব্য পেলে ব্লগ ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে দূর হয়। ভালো থাকবেন। আর দোয়া করবেন।
১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: সম্ভবত ঐ এ্যালবামটার নাম ছিল ‘নাইট ফ্লাইট টু ভিনাস’ - জ্বী, আপনি ঠিকই বলেছেন নামটা। বনি এম, এ্যাবা, বী জীস, বীটলস- এসব দলের গান তখন তরুণদেরকে প্রাণোদ্দীপনায় উন্মাতাল করে রাখতো।
"ব্লগে আমরা কেউ কাউকে চিনি না বললেই চলে। একজন অপরিচিত মানুষকে যতটুকু সৌজন্য দেখানো প্রয়োজন সেটা আমি দেখানোর চেষ্টা করি" - এটা ঠিক, "ব্লগে আমরা কেউ কাউকে চিনি না বললেই চলে"। তবে, যাদের লেখা পোস্ট, মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য ইত্যাদি আমরা মন দিয়ে পড়ি, পড়তে পড়তে তাদের সম্বন্ধে আমাদের মনে একটা প্রোফাইল তৈরী হয়ে যায়। তাই চাক্ষুষ অচেনা হলেও, অনেক ব্লগারকেই আমাদের কাছে নিকট বন্ধুর চেয়েও কোন কোন সময় বেশি পরিচিত মনে হতে পারে। এবং হয়ও।
১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বনি এম এবং অ্যাবার গানের সাথে ঐ সময়েই পরিচিত ছিলাম। বিটলস এবং বি জিসের গানের সাথে পরিচয় হয় আরও পরে, যখন আমি তরুণ।
আপনার কথা সত্যি যে, যাদের লেখাগুলি আমরা মন দিয়ে পড়ি তাদের একটা ছবি আমাদের মানস পটে আঁকা হয়ে যায়। সামনা সামনি পরিচয় না হলেও আমরা একটা টান তাদের প্রতি অনুভব করি। আসলে এটাই হওয়া উচিত। একারণেই আমাদের মন্তব্যে কেউ যেন কষ্ট না পায় সেটা আমাদের বোঝা উচিত। ভাবের আদান প্রদানের দ্বারা অনেক ব্লগারের সাথে সম্পর্কটা আরও আন্তরিক হয়। আমি চেষ্টা করি এই সম্পর্কগুলির মূল্য রাখতে। আমাদের সবারই এই চেষ্টা করা উচিত। আপনার পুরো মন্তব্যের সাথেই আমি সহমত পোষণ করছি। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৯
স্প্যানকড বলেছেন: এখন কার রাজপুত্ররা পরীমনি আর পিয়াসা নিয়া সাকি সাকি নাচ দেয় ! কেউ সিংহাসন হাতছাড়া করতে চায় না আর চাষার মেয়ের হাল বড়ই করুণ হয়। গল্প ভালো লেগেছে।