নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলোর গতির চেয়েও দ্রুত গতিতে মহাশূন্য প্রসারিত হচ্ছে

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৯


আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯০৫ সালে তার বিশেষ আপেক্ষিকতা থিউরিতে উল্লেখ করেন যে আলোর গতির চেয়ে অধিক গতিশীল কোন বস্তু, শক্তি বা তথ্যবাহী সঙ্কেতের কোন অস্তিত্ব থাকা সম্ভব না। বিজ্ঞানীদের পরিমাপকৃত আলোর গতি হোল প্রায় সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার। অর্থাৎ এই মহাবিশ্বে এই গতির চেয়ে অধিক গতিশীল কোন কিছু নাই।

কিন্তু আমরা জানি যে ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে ঘটা বিগ ব্যাঙের পর থেকে এই মহাবিশ্ব ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। ফলে গালাক্সিগুলি একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন যে গ্যালাক্সিগুলি আলোর গতির চেয়েও দ্রুত গতিতে একে অন্যের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে আলোর গতির চেয়ে অধিক গতিশীল কোন কিছু নাই। তাহলে গ্যালাক্সিগুলির এই দূরে সরে যাওয়াকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে? বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে আসলে গ্যালাক্সিগুলির নিজস্ব গতি আলোর গতির ২% এর বেশী না। তাহলে কেন এরা আলোর গতির চেয়ে অধিক গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে?

বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রমাণ পেয়েছেন যে আসলে এই মহাশূন্যের যে ফাঁকা জায়গা, সেই ফাঁকা জায়গাটাই অনেকটা বেলুনের মতো প্রসারিত হচ্ছে এবং মহাশূন্যের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ফাঁকা জায়গা (space) এতো দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে যে এর মধ্যে অবস্থিত গ্যালাক্সিগুলিকে মনে হচ্ছে যেন এরা আলোর গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে একে অন্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মহাবিশ্বকে যদি একটা বিশাল বেলুনের সাথে তুলনা করা যায় তাহলে বলা যায় যে এই বেলুনটা মুলত বড় হচ্ছে। বেলুনের মধ্যে অবস্থিত গ্যালাক্সিগুলির মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে এই প্রসারনের কারণে। বেলুনের ভিতরে ফাঁকা জায়গার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্যালাক্সিগুলির গতির কারণে কিছুটা দূরত্ব বৃদ্ধি হচ্ছে বটে তবে মূল কারণ বেলুনের সম্প্রসারণ যার দ্বারা বেলুনের ভিতর নতুন স্পেস তৈরি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে গ্যালাক্সিগুলি আলোর গতির চেয়ে অনেক কম গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে কিন্তু গ্যালাক্সিগুলির মধ্যে এতো দ্রুত নতুন স্পেস তৈরি হচ্ছে যে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে যে গ্যালাক্সিগুলি আলোর গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে চলছে। এই স্পেসের গতি আলোর গতির চেয়ে বেশী। এই আবিষ্কারটার ছিল যুগান্তকারী। নচেৎ আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতার থিউরির সাথে এই ঘটনা ( গ্যালাক্সিগুলির দূরে সরে যাওয়ার গতি) সংঘর্ষ তৈরি করতো।

বিগ ব্যাঙের পর থেকেই স্পেসের এই সম্প্রসারণ শুরু হয়েছে এবং এই সম্প্রসারনের গতিও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এখন অনেক দূরবর্তী গ্যালাক্সির আলো কখনও পৃথিবীতে পৌঁছাবে না। কারণ গ্যালাক্সি থেকে আলো পৃথিবীর দিকে আসছে আলোর গতিতে কিন্ত আমাদের গ্যালাক্সি আলোর চেয়েও অধিক গতিতে অন্য দিকে সরে যাচ্ছে। যদিও ঐ গ্যালাক্সির আলো আগে পৃথিবীতে পৌঁছত। কারণ তখন মহাশূন্যের সম্প্রসারণের গতি কম ছিল।

১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে ঘটা বিগ ব্যাঙের পর এক সেকেন্ডের একটি অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ সময় ( একের পরে ৩২ টা শুন্য বসালে যে সংখ্যা পাওয়া যায় সেই সংখ্যা দিয়ে সংখ্যা ১ কে ভাগ করলে যে ভগ্নাংশ সেকেন্ড পাওয়া যায় তার সমান) অতিবাহিত হলে হঠাৎ এই মহাবিশ্ব ক্ষুদ্র অবস্থা থেকে কল্পনাতীত আকৃতিতে প্রসারিত হয়। এই সম্প্রসারণের তুলনা করা যায় এক ন্যানো মিটার ( একের পরে ৯ টা শুন্য দিলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় সেই সংখ্যা দিয়ে সংখ্যা ১ মিটারকে ভাগ করলে যে ভাগফল পাওয়া যায়) দৈর্ঘ্যের একটি লাঠিকে ১০.৬ আলোক বর্ষের (১০.৬ বছরে আলো যে দূরত্ব অতিক্রম করে) সমান লম্বা করার সাথে। এই সম্প্রসারণের সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী ৯.৮ বিলিয়ন বছর পর্যন্ত মহাবিশ্ব অপেক্ষাকৃত ধীর গতিতে প্রসারিত হয়েছে। বিগত ৪ বিলিয়ন বছর ধরে এই সম্প্রসারণের গতি ছিল পূর্বের চেয়ে বেশী এবং ক্রমাগতভাবে সম্প্রসারণের এই গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সম্প্রসারণের গতি আলোর গতির চেয়েও বেশী।

মহাবিশ্বের দূরবর্তী গ্যালাক্সিগুলি নিকটবর্তী গ্যালাক্সির চেয়ে অধিক দ্রুত দূরে সরে যাচ্ছে। আইনস্টাইন ১৯১৫ সালে যখন তার সাধারণ আপেক্ষিকতার থিউরি প্রকাশ করেন তখন কেউ জানত না যে মহাবিশ্ব ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। আইনস্টাইনও তার এই থিউরিতে ধরে নেন যে মহাবিশ্ব স্থির অবস্থায় আছে। তৎকালীন এই ভুল ধারনার কারণে তিনি একটা ধ্রুবক তার থিউরিতে ব্যবহার করেন, যার নাম কসমোলজিক্যাল ধ্রুবক। পরবর্তীতে ১৯২৯ সালের দিকে হাবল এবং অন্যান্য বিজ্ঞানীরা যখন নিশ্চিত হন যে মহাবিশ্ব আসলে প্রসারিত হচ্ছে তখন আইনস্টাইন বলেন যে তার এই কসমোলজিক্যাল ধ্রুবকটা তার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল ছিল। কারণ এই সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ধারণা আবিষ্কারের কারণে ঐ ধ্রুবকের আর প্রয়োজন ছিল না। এই অজানা তথ্যের কারণেই তাকে এই ধ্রুবকটি আনতে হয় যেন তার হিসাবের সাথে পর্যবেক্ষণ লব্ধ তথ্যের মিল হয়।

মহাবিশ্বের এই সম্প্রসারণের ধারণা প্রথম যার মাথায় আসে তার নাম ভেসটো স্লিফার। ১৯১২ সালে সর্পিল গ্যালাক্সি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তার কাছে মনে হয় যে এই গ্যালাক্সিগুলি পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তখন তার হাতে কোন প্রমাণ ছিল না। এরপর অ্যালেক্সান্ডার ফ্রিডম্যান ১৯২২ সালে আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা থিউরি নিয়ে কাজ করার সময় ধারনা করেন যে এই মহাবিশ্ব সম্ভবত প্রসারিত হচ্ছে। তিনি কিছু সমীকরণ প্রকাশ করেন যার নাম ‘ফ্রিডম্যান সমীকরন’। ১৯২৭ সালে জর্জ লেমাইত্রিও অনুমান করেন যে মহাবিশ্ব সম্ভবত প্রসারিত হচ্ছে। অবশেষে ১৯২৯ সালে এডউইন হাবল চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করেন যে এই মহাবিশ্ব প্রচণ্ড গতিতে প্রসারিত হচ্ছে এবং এই প্রসারনের গতি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি একটি ল আবিষ্কার করেন যার নাম ‘হাবল’স ল’। এই ল কে ‘হাবল-লেমাইত্রি ল’ ও বলা হয়ে থাকে। এই ‘ল’ তে হাবল ধ্রুবক বলে একটা সংখ্যা আছে। মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের গতি নির্ণয়ের জন্য এই ‘ল’ এবং ধ্রুবক ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে ‘ডার্ক এনার্জি’ নামে এক ধরণের রহস্যময় এনার্জি মহাবিশ্বে আছে যার কারণে মহাবিশ্বের এই প্রসারন ঘটছে। ডার্ক এনার্জি সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও আরও জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মহাকর্ষের কারণে গ্যালাক্সিগুলির এক অন্যের কাছে আসার কথা কিন্তু এই ডার্ক এনার্জি মহাকর্ষের বিপরীতে কাজ করে এবং মহাবিশ্বের এই প্রসারনের জন্য যে প্রচণ্ড শক্তির প্রয়োজন হয় তার জোগান দিয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়। এই ডার্ক এনার্জি এবং মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ নিয়ে এখনও গবেষণা চলমান এবং নতুন নতুন তথ্য বিজ্ঞানীরা পাচ্ছেন গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

ছবি - theexplanation.com, en.wikipedia.org
সুত্র-
forbes.com
Expansion of the universe
Inflation (cosmology)
Hubble's law
Big Bang

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই বিষয়ে ভাসা ভাসা কিছু পড়া ছিলো আগে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে প্রশ্ন হোল যে মহাবিশ্বের কোন সীমানা যদি থাকে তাহলে ঐ সীমানার বাইরে কি আছে। এভাবে প্রসারিত হওয়ার পরিনতি কি এটাও একটা প্রশ্ন।

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঐ সীমানার বাইরে আরো অসংখ্য এমন মহাবিশ্ব থাকতে পারে। আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিসও হতে পারে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি ওখানে একবার যাওয়া দরকার। গেলেই সব জানা যাবে। :)

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

হাবিব বলেছেন:




বিজ্ঞান আমি এমনিতেই কম বুঝি।

আপনার লেখার শিরোনাম দেখে একটা গান মনে পড়লো:
ভেবে দেখেছো কি .......
তারারাও যত আলোক বর্ষ দূরে......
তারও দূরে.....
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে.........

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রেমের কারণে তো আরও কাছে আসার কথা!! :) সরে সরে যাচ্ছে, তার মানে প্রেমে ভেজাল আছে।:)

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




মহাবিশ্বের সম্প্রসারণে বেলুনের উদাহরণ দিয়েছেন , বলেছেন - বেলুনের মধ্যে অবস্থিত গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যে দুরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মনে হয় , বেলুনের মধ্যে গ্যালাক্সিগুলো থাকলে আর বেলুন ফোলালে গ্যালাক্সিগুলোর একে অন্যের থেকে সরে যাওয়ার কথা নয়। সরবে ঠিকই কিন্তু তা দলবদ্ধ ভাবেও হতে পারে। সঠিক হবে মনে হয়- বেলুনের প্রান্তিয় অঞ্চলে মানে উপরিভাগে গ্যালাক্সিগুলো থাকলে। একটি চোপসানো বেলুনের উপরে কয়েকটি কালির ফোঁটা বা দাগ দিন। এবার বেলুন ফোলালে ঐ ফোঁটাগুলো একটা থেকে আরেকটা দুরে সরে সরেই যাবে যতো ফুলবে বেলুন। এমনটা বললে বোধহয় সহজেই বুঝতে সুবিধে হতো সম্প্রসারণের বিষয়টি।

এটা আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্বের ছবি। কিন্তু যে গ্যালাক্সিগুলো আমাদের দৃষ্টি সীমানা ( টেলিস্কোপিক) ছাড়িয়ে গেছে তাদের দৌঁড়ের ছবিটি কিন্তু আমরা জানিনে। জানবোও না কোনদিন!

ডার্ক এনার্জির ব্যাপারে বলি- যাকে আমরা মহাশূন্য বলে জানি, সেখানেও ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে ব্রহ্মাণ্ডের এই অবিনাশী শক্তি। শূন্য আসলে শূন্য নয়। তার অন্তর-অন্দর ভরা রয়েছে আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা একটি ‘ভুতুড়ে’ শক্তিতে। ব্রহ্মাণ্ড ফুলছে ফাঁপছে বলে যেই না শূন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে, অমনি ঝুপ করে সেই শূন্যতায় ঢুকে পড়ছে এই ‘ভুতুড়ে’ শক্তি। আর সেই শক্তিই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা ব্রহ্মাণ্ড। মহাশূন্যের সর্বত্র! তার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত। আর এই শক্তিই এক দিন ব্রহ্মাণ্ডকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেবে। বেলুন ফোলাতে ফোলাতে যেমন মুখের বাতাসে এক সময় সশব্দে ফেটে যায়! ফলে,
সম্ভবতঃ নিজে অবিনাশী এই শক্তিই এক দিন হয়ে দাঁড়াবে এই ব্রহ্মাণ্ডের বিনাশের কারণ!

সমস্ত ব্যাপারটাকে আপনি ‘ঈশ্বরের মন’ বা ‘মাইন্ড অব গড’ সেটা চাইছে বলেই হচ্ছে, এমনটা ধরে নিতেও পারেন! এই ঈশ্বরের মনকে বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছেন বৈজ্ঞানিক মন নিয়ে। শব্দটি জনপ্রিয় হয় ব্রিটিশ পদার্থবিদ পল ডেভিসের বিখ্যাত বই ‘দ্য মাইন্ড অব গড/ দ্য সায়েন্টিফিক বেসিস ফর এ র‍্যাশনাল ওয়ার্ল্ড’ প্রকাশিত হওয়ার পর।
শুরু থেকে এসময় পর্যন্ত মহাকাশের সামান্য অঞ্চল নিয়ে করা ( কারন এতো বিশাল মহাকাশকে পর্যবেক্ষন করে ম্যাপিং করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।) পর্যবেক্ষনে এই ভুতুড়ে শক্তির প্রমান পাওয়া গেছে।
এই ভুতুড়ে শক্তি যে কী জিনিস, এখন পর্যন্ত সেটাই তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। সবচেয়ে জটিল গোলকধাঁধা!’’

ভালো লাগলো আপনার পোস্ট।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই, আপনি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করতে ভালোবাসেন এটা আমি জানতে পেড়েছি। তাই আপনার বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বেলুনের কথা যেভাবে বলেছেন সেভাবেও বলা যায়। মোট কথা আসলে নতুন স্পেস তৈরি হচ্ছে মহাবিশ্বে। ফলে মহাবিশ্বের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্যালাক্সিগুলির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে অবিশ্বাস্য গতিতে।

ডার্ক এনার্জিকে আপনি ভুতুড়ে শক্তি বলেছেন। আসলেই ভুতুড়ে বলা যায় এই এনার্জিকে কারণ এর সম্পর্কে জানার অনেক কিছু বাকি আছে। এই শক্তির কারণেই হয়ত একদিন বিশ্ব জগতের ধ্বংস সাধিত হবে। আপনি যাকে তুলনা করেছেন বেলুন ফেটে যাওয়ার সাথে। ডার্কএনার্জি কোথা থেকে এবং কিভাবে তৈরি হচ্ছে এটা বিজ্ঞানীদের জানা খুব প্রয়োজন। হয়তো ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীরা জানতে পারবে।

পল ডেভিসের বইটার নাম জানতাম না। চেষ্টা করবো সংগ্রহ করে পড়ার জন্য। ডার্কএনার্জি সত্যিই বিজ্ঞানীদের গোলক ধাঁধাঁয় ফেলে দিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের দ্বারা পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য। আমি বেশ কিছু জিনিস জানলাম যা আমার জানা ছিল না। ভালো থাকবেন।

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাচু ভাই ইইট রাইখ্যা গেলাম। আবার আসছি...

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অসুবিধা নাই আপনার ইটের দায়িত্ব আমি নিলাম। :)

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেলুন বড় হইতে থাকলে তার ভিতরে ফাকা জায়গার পরিমান বাড়তে থাকবে, এইটা তো সাধারন কমনসেন্স! এর জন্য বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে কি?:P

আলোর গতির চেয়েও দ্রুত গতিতে মহাশূন্য প্রসারিত হচ্ছে এইটা কি আইনস্টাইনের থিওরীর সাথে সাংঘর্ষিক না?

এই যে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের গতি দিনে দিনে বাড়ছে, এর কারন কি? মহাবিশ্বের এই চেইতা যাওয়া আসলে কিসের লক্ষণ? আর ডার্ক এনার্জিই বা কি বস্তু? এইসবের সাথে আম্রিকা আর তালেবানের কোন সম্পর্ক নাই তো!!! :-B

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে কি জানেন বিজ্ঞানীদের আন কমনসেন্স বেশী থাকে আর কমন সেন্স কম থাকে।:) এরা একটু বেখেয়ালও হয়। এক বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের চিন্তায় এতো নিমগ্ন ছিল যে সে রাতে ঘুমানোর আগে লাঠিটারে বিছানায় শোয়াইয়া দিয়া নিজে সারা রাত লাঠির মতো দরজার পাশে খারাইয়া আছিল। কমন ব্যাপার এরা কম বুঝে। আমি অবশ্য ব্যতিক্রম। :)

আইনস্টাইন অনেক মান্যগণ্য ব্যক্তি তাই তার মুখের উপর তো আর বলা যায় না আপনার থিউরি ভুল!!!:) আসলে আকল মনদ কে লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যাঁয়। আপনি আকেল মনদ লোক তাই বুঝতে পারসেন।:) কয়জন ব্লগার এই কথা বুঝব কন। অনেকে না বুইঝাই কইব বুঝছি। আপনার মতো সৎ সাহস কয়জনের আছে কন দেহি!!! :)

মহাবিশ্ব যে কিসের ডরে পড়িমরি (পরীমণি ভাইবেন না আবার) কইরা দৌড়াইয়া পালাইতেসে এইটা নিয়ে আমিও চিন্তিত। ভাইবেন না, আমি এই ব্যাপারে একটা থিউরি নিয়া কাজ করতাসি। সময় হইলেই সব জানতে পারবেন। পরবর্তী নোবেল পুরস্কার আমার কারণেই এই দেশে আসবে।:)

আমার তো মনে হয় তালেবানের এতো শক্তির মূল উৎস এই ডার্ক এনার্জি। এইটা যখন অ্যামেরিকা জানতে পাড়ছে সেই দিনই এরা লেজ গুটাইয়া পলাইসে।:)

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। পরিশ্রমী সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফুয়াদের বাপ ভাই পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য। আশা করি ফুয়াদ ভালো আছে। :) আপনি আমার পরিশ্রম বুঝতে পেড়েছেন এই জন্য আবারও ধন্যবাদ।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি মহাবিশ্বের এই সম্প্রসারণ এক রকম ভীতিজনক। সম্প্রসারণ ঠিক কতদিন চলতে থাকবে তার কোন সুর্নিদিষ্ট ধারনা আমাদের নেই। তবে এর অমেঘ পরিণতি ধ্বংস বা বিনাশ সেটা অনিবার্য। বিজ্ঞানীদের ধারনামতে এটা হতে পারে বিগ রিপ, বিগ ফ্রিজ বা বিগ ক্রাঞ্চ। অবশ্য পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে মূলত ডার্ক এনার্জি বা মর্ধাকর্ষণ শক্তির মধ্যে কে শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে তার উপর।

১। যদি মধ্যাকর্ষণ শক্তি জয়ী হয় তবে সবকিছু একটা সময় উল্টো দিকে ফেরত আসতে শুরু করবে বা গ্যালক্সীগুলো আবার সিঙ্গুলারিটির দিকে আসতে আসতে কসমিক ফ্যাক্টর শূণ্য হয়ে যাবে (? ব্যক্তিগতভাবে আমি এই ধারনার সাথে একমত নই কারন আমি মনে করিনা কখনো ০ থেকে বিগ ব্যং হয়েছিলো)। এ ধারনাকে বিগ ক্রাঞ্চ থিওরী বলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম ফিজিক্স একটা বিশাল অবদান রাখতে পারে বলে আমার মনে হয়।

২। যদি ডার্ক এনার্জি জয়ী হয় তবে পরিণতি গ্যালাক্সীগুলো ধীরে ধীরে এত বেশী দূরে সরে যাবে যে মহাবিশ্বের তাপ কমতে কমতে এক সময় তা মারাত্মক রকমের ঠান্ডা হয়ে যাবে আলো বা তাপের অভাবে যাকে বিগ ফ্রিজ বলা হচ্ছে। এটি আরেকটি থিওরী।

৩। তবে এখানে এটাও মনে রাখা জরুরী যদি ডার্ক এনার্জি ক্রমাগত তা গতি বৃদ্ধি করে ইনফিনিটলি চলতে থাকে তবে এক সময় সবকিছু ছিঁড়ে ফুঁড়ে যাবে মূলত গতির কারণে। এই ধারনা কেই মূলত বিগ রিপ থিওরী বলা হচ্ছে।

বোঝা জরুরী যে, এগুলো সবই থিওরী এবং তা মানুষের জ্ঞানলব্ধ জ্ঞানের আলোকে সৃষ্ট ধারনা। এর কোন বাস্তব প্রমাণ নেই বা ঠিক কত সময় পর বা ঠিক কিভাবে এই মহাবিশ্ব ঐ সময়ের পর কোন অবস্থানে থাকবে বা আসলে পরিণতি কি হবে তা জানা সম্ভব নয়। ঠিক যেভাবে বিগ ব্যং-এর পূর্ববর্তী সিঙ্গুলারিটি সম্পর্কে মানুষের কোন ধারনা নেই কারণ সেখানে প্রচলিত পদার্থবিদ্যার ধারনা কাজ করে না। বিষয়গুলো মানুষকে আরো অনেক বেশী গবেষণা করতে হবে এবং খুব সম্ভবত নতুন ধারার বিজ্ঞানের আর্বিভাব হতে হবে যা প্রচলিত ধারনার বাইরের বিষয়ে গবেষণা করবে বা আমাদের জন্য আপাতত অতি প্রাকৃত বিষয়গুলো। যেমন প্রাণ কি, তা কিভাবে মানুষের দেহে প্রথম আসে বা ত্যাগ করে, বিগ ব্যাঙ্গ পূর্ববতী ধারনা ইত্যাদি। লিখার জন্য ধন্যবাদ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র তাই আমার চেয়ে এই ব্যাপারে আপনি ভালো জানবেন। আপনার মন্তব্য থেকে আমি নতুন কিছু জিনিস শিখলাম। বিগ রিপ, বিগ ক্রানচ বা বিগ ফ্রিজ হওয়ার আগেই আমাদের চলে যেতে হবে মনে হয়। তাই সেটা দেখার দুর্ভাগ্য বা সৌভাগ্য আমাদের হবে না। তবে আপনি সংক্ষেপে এই তিনটা সম্পর্কে ভালো ধারণা দিয়েছেন আমাকে।

আমার মনে হয় কোয়ান্টাম বলবিদ্যা থেকে আমাদের আরও অনেক কিছু জানার আছে। এটাকে এখনও শিশু বলা যেতে পারে। কোয়ান্টামের সাথে আইনস্টাইনের থিউরিগুলিকে একই সুতায় বাঁধা যায়নি মনে হয়। এটা বিজ্ঞানীদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কোয়ান্টামের জগত বড়ই রহস্যময়।

আমার জানতে ইচ্ছে করে যে এই ডার্ক এনার্জি কোথা থেকে তৈরি হচ্ছে। এটার উৎস কি। এটা কি শূন্য থেকে তৈরি হচ্ছে। এই মহাবিশ্বের অধিকাংশ স্থান নাকি ডার্ক এনার্জি দিয়ে পূর্ণ হয়ে আছে। এটার পরিমানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনি শেষের প্যারাগ্রাফে কতগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। যেমন প্রচলিত বিজ্ঞানের ধারণা থেকে বের হয়ে নতুন ধারার বিজ্ঞানের হয়তো প্রয়োজন হবে। যে নতুন ধারা অনেক অতিপ্রাকৃত ঘটনা, প্রাণের সৃষ্টি, প্রাণের সমাপ্তি ইত্যাদি বিষয়কে হয়তো ব্যাখ্যা করতে পারবে। বিগ ব্যাঙের আগের কোন বিষয় যে বর্তমান বিজ্ঞানের আওতার বাইরে এটাও আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন। আপনার মন্তব্য আমার পোস্টটাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ডার্ক এনার্জি-র শতভাগ সঠিক কোন ধারনা মানুষের জানা নেই। তবে ধরা হয় এটি এক ধরনের শক্তি যা গ্র্যাভিটির বিপরীতে কাজ করে বা এ্যান্টি-গ্র্যাভিটি। এটি বোঝার জন্য আপনাকে একটু পেছনের দিকে তাকাতে হবে এবং আইনস্টাইনের থিওরী অফ জেনারেল রিলেটিভির সূত্র দেখতে হবে। যা দেখতে এরকম।

লক্ষ্য করুন সমীকরণটিতে ল্যামবডা সাইন (Λ) ব্যবহার করা হয়েছে যা দিয়ে মূলত কসমোলজিক্যাল কনসট্যান্টকে বোঝানো হয়েছে। কারন সে সময়ে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের ধারনা ছিলো যে মহাবিশ্ব ক্রমাগত বড়ও হচ্ছে না বা ছোটও হয়ে আসছে না বরং এর আকার এক-ই রয়েছে। আইনস্টাইন এই কনসট্যান্ট ছাড়া কোনভাবেই তার সমীকারণ মেলাতে পারছিলেন না যা তখনকার সমসমায়িক ধারনাকে (মহাবিশ্ব অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে) সমর্থন করে। পরবর্তীতে আমেরিকান বিজ্ঞানী এডউইন হাবল প্রমান করতে পারেন যে মহাবিশ্ব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এবং ১৯৩১ সালে আইনস্টাইন তার এই ধারনা থেকে সরে আসেন যে মহাবিশ্ব স্থিত অবস্থায় রয়েছে।

৯০ দশকের পর থেকে বিজ্ঞানীরে বুঝতে পারেন যে মহাবিশ্বের প্রায় ৬৮ ভাগ জায়গা জুড়েই এই ডার্ক এনার্জি (অদৃশ্য শক্তি যা মানুষ এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারে নি) বিদ্যমান এবং এর কোন সঠিক ব্যাখ্যা দেয়া যাচ্ছিলো না বিধায় আইনস্টাইনের সূত্রের সেই ল্যামবডা (নামহীন ফাংশন) আবারও আলোচনায় উঠে আসে। বর্তমান ধারনায় তাই ল্যামবডাকেই ডার্ক এনার্জির সমার্থক বা সম-ধারনা হিসেবে মনে করা হয়। সেখান থেকেই বর্তমানের স্ট্যান্ডার্ড বা ΛCDM মডেল এর জন্ম। এগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য অনেক বিস্তর পড়াশোনার প্রয়োজন তাই স্বল্প সময়ে সঠিক ব্যখ্যা সম্ভব নয় কারণ বিজ্ঞানীরাও এখনো অলোচনা করছেন।

অভিমতঃ বিগক কয়েক দশকে মানুষের জ্ঞান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে সত্যি, কিন্তু মানুষ এখনো "সব" জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি, আমার বিশ্বাস সেটা কখনোই সম্ভবও নয়। একটা পর্যায়ে গিয়ে মানুষের জ্ঞান তার সীমাবদ্ধতা দেখাতে শুরু করে, যেখানে কোন জ্ঞানই আর লজিক্যালি কাজ করে না আর ঠিক তখনই "সৃষ্টিকর্তা" বা "ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনার" ধারনা দিয়ে মানুষ একটা উত্তর খুঁজে পেতে চায়। এসবের সদুত্তর কবে পাওয়া যাবে বা ততদিন "আমি" বা যিনি জানতে আগ্রহী তিনি বেঁচে থাকবেন কিনা সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ যেহেতু কেউ চলে যাওয়ার পর আজও পর্যন্ত ফিরে আসেনি তাই সেটা তার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃত অর্থে মূল্যহীন জ্ঞান। আবার কেউ যদি পুর্নজন্মগ্রহণও করেন, তবুও আগের জীবনের লব্ধ জ্ঞান তার কাজে আসবে কি না সেটাও পরিষ্কার নয়। তারমানে এও নয় যে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে, সেক্ষেত্রে হয়তো আইনস্টাইন থেকে আজ পর্যন্ত জ্ঞান মানুষ থেকে মানুষে আসতে পারতো না। বিষয়গুলো ভাববার মতো। তাই প্রকৃত জ্ঞানীরা কখনোই "গড" ধারনাকে পুরোপুরি অবশ্বিাস করেন নি। ধন্যবাদ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি আপনি ভালো ভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। আইনস্টাইন যখন পরবর্তীতে জানতে পারেন যে মহাবিশ্ব ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে তখন তিনি বুঝতে পারেন যে এই কসমোলজিক্যাল ধ্রুবকের দরকার ছিল না। উনি এটাকে তার জীবনের সব চেয়ে বড় ভুল হিসাবে অভিহিত করেছেন। পরবর্তীতে আবার যখন ডার্ক এনার্জি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা হয় তখন আবার সেই ল্যামডা চিহ্নটি ডার্ক এনার্জির সমার্থক চিহ্ন হিসাবে পরিচিতি পায়।

আমারও মনে হয় যারা উঁচু পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আছেন তাদের মনে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে চিন্তা আরও বেশী আসা উচিত। কারণ গবেষণার সময় অনেক ব্যাখ্যার অযোগ্য ব্যাপার তারা প্রতিনিয়ত দেখে থাকেন। এই মহাবিশ্বের বিশালতা মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে ভাবতে শেখানোর কথা।

আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনটা প্রণিধান যোগ্য। একজন প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তি গডের ধারনাকে অগ্রাহ্য করতে পারে না। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: অনন্ত নক্ষত্র বীথির কোনো সীমানা নেই!!!

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনন্ত নক্ষত্র বীথি সম্পর্কে হুমায়ুন আহমেদ ভালো জানতেন। এই বইটা মনে হয় আমার পড়া হয় নাই। ভালো থাকবেন।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মহাবিশ্বের এই সম্প্রসারণ অর্থাৎ গ্যালাক্সিগুলোর একে অন্যের থেকে সরে যাওয়া।
বিগব্যাং উদাহরন অনেকটা আতশবাজি বিষ্ফোরনের মতই। যদিও এটা মোটেও সঠিক উদাহরন নয়।
ফায়ারওয়ার্স আতশবাজি বোমাটি বিষ্ফোরনের পর দেখবেন আতশবাজি কনাগুলো প্রথমে খুব স্পিডেই একে অন্যের থেকে সরে যাচ্ছে, একসময় গতি কমে যাচ্ছে।
সকল একাডেমিক বিজ্ঞানীরা একমত যে গ্যালাক্সিগুলো একসময় গতি কমে নিভে কিছু ব্ল্যাক হোলে পরিনত হয়ে আবার কেন্দ্রের দিকে ফিরে আসবে,
বিগব্যাঙ্গে 'নেগেটিভ ইউনিভার্স' (যদিও আইজ্যাক আসিমভের কল্পিত) যদি তৈরি হয়ে থাকে সেটাও ফিরে এসে সুপার জিরোতে ফিরে আসবে। স্পেস টাইম ম্যাটার = ০
এরপর আবার বিষ্ফোরন। এভাবেই চলে আসছে অসীম সময় পুর্ব থেকে।

এসব নিয়ে ব্রেন নষ্ট করে আমাদের লাভ নেই। বরং সময় পেলে বাস্তব মহাকাশ অভিযান নিয়ে আমার একটি পুরাতন পোষ্ট পড়ে দেখতে পারেন।
অসীমের সন্ধানে

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্টটা ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। আমি রাতে সময় করে পড়বো। আমার মনে হয় বিজ্ঞানীরা যে অনুমানগুলি করছেন সেগুলি অনুমানের পর্যায়েই আছে। প্রকৃতপক্ষে কি হবে সেটা বলার মত সময় মনে এখনও আসে নাই। তবে বিজ্ঞানীরদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৫৭

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সারে চুয়াত্তর,




এককথায় চমৎকার বিষয় তুলে ধরেছেন। পোস্ট এবং মন্তব্যে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। +++
এমন আরো পোস্টের আপেক্ষায় রইলাম।

শুভকামনা।
- দেয়ালিকা বিপাশা

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি, আমিও আপনার গল্পের অপেক্ষায় রইলাম (গুনার কাফফারা হিসাবে :))। আমরা আলোর গতিতে ছুটে চলছি কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারছি না। আলোর কণা ফোটনের একটা বৈশিষ্ট্য হোল এটা কখনও গতিহীন হতে পারে না। এটার কোন ভর নাই তারপরও সূর্যের মহাকর্ষের কারণে এটা বেঁকে যায়।

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেক কিছু এখনো বিজ্ঞানের বাহিরে রয়ে গেছে, বিজ্ঞান তা জানতে পারছে ক্রমশ। +++++

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি মাইদুল ভাই, খুব সামান্যই বিজ্ঞান জানতে পেরেছে। না জানার পরিমানই বেশী। ভালো থাকবেন।

১৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

হাসান রাজু বলেছেন: চিন্তার কারন নাই। বেলুন লিক হইলে সব ঠিক হইয়া যাইব। গ্যালাক্সি গুলো আবার কাছাকাছি আইয়া পরব।
মাগার সেই ছিদ্র সময় মত সারাইতে না পারলে বেলুন চুপসাইয়া গিয়া গ্যালাক্সিগুলোকে পরে ঠাসাঠাসি কইরা থাকতে হইব। তখন আবার কইয়েন না, দম বন্ধ হইয়া আসতেছে। প্রাইভেসি রক্ষা হইতাছে না।
আনাড়ি কেউ ছিদ্র করতে গেলে ফাঠাইয়া দিয়া মহাশূন্যের সব গ্যালাক্সি যত্রতত্র ছড়াইয়া ছিটাইয়া যাবে। এটা বিবেচনায় রাখতে হবে।

আসল কথা, বেলুনটা আনাড়ির মত ফুলাইতাছে কে?

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক মজার মন্তব্য করসেন। আমারও তো একই কথা, কে এই বেলুনটা আনাড়ির মত ফুলাইতাসে। বেলুন তো যে কোন সময় ফাইটা যাইবার পারে। পিন নিয়া কেউ বইসা আসে কি না সেইটাই বা কে জানে। সাবধানে থাইকেন।:)

১৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওফ! ধরে বেঁধে বিজ্ঞানের ক্লাস করালেন প্রিয় সাচু ভাই। আসলে অনেকদিন বিজ্ঞানকে ছেড়ে দিয়েছি। এজন্য বোধহয় খটমট রাখলো। কিছু কমেন্ট ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে আদর্শ বিজ্ঞানের ক্লাস।++
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুঝলাম আপনি এক সময় বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। মহাশূন্য বেলুনের মতো ফুলছে। কিন্তু বেলুনে কে যে ফু দিচ্ছে এটা আমার মাথায় আসছে না।:) বিরামহীনভাবে ডার্ক এনার্জি তৈরি হচ্ছে কোথা থেকে সেটাও আমার জানা হোল না। আমি ভেবেছিলাম আপনি বা অন্যান্য ব্লগাররা এটার উত্তর দিবেন। আপনারা যেহেতু উত্তর দিলেন না তখন আমাকেই এই ব্যাপারে একটা বৈজ্ঞানিক থিউরি দাড়া করাতে হবে।:) ভালো থাকবেন পদাতিক ভাই।

১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:০৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সবকিছুই মহাবিশ্ব, তার বাইরে কিছু নেই, আবার তা প্রসারিত হচ্ছে, বড় সহজ নয় এ চিন্তা, কারণ বিজ্ঞানীরা বলেন, মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে, সত্য, কিন্তু কোথায় সম্প্রসারিত হচ্ছে, এ চিন্তা নিষিদ্ধ!

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও চিন্তা করছিলাম যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে ঠিক আছে কিন্তু কোথায় সম্প্রসারিত হচ্ছে এটা আমার একটা প্রশ্ন। সম্প্রসারণের জন্য জায়গা তো প্রয়োজন। বাইরের সেই জায়গা সম্পর্কে বিজ্ঞান নীরব। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



চমৎকার বিষয় নিয়ে লিখেছেন। মহাকাশ এবং মহাশুন্য নিয়ে আমার কিছু স্টাডি ছিল। কিছু পোস্টও আছে এখানে। এটা আমার খুবই প্রিয় এবং ভালো লাগর একটি বিষয়। এগিয়ে যান ইনশাআল্লাহ। +

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই বিষয়ে আগ্রহ আছে এটা আমার জানা ছিল না। সময় করে আপনার পোস্টগুলি পড়বো ইনশাল্লাহ। ভালো থাকবেন।

১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



কয়েকটি পোস্টের লিঙ্ক দিয়ে রাখছি। সময় পেলে ঘুরে আসবেন ইনশাআল্লাহ। অবশ্য একটিতে দেখলাম আপনার মন্তব্য রয়েছে। বাকিগুলোর কমেন্টস চেক করিনি। যা হোক, শুকরিয়া-

৫০০ তম পোস্টে স্বাগত; পবিত্র কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের আসলে তেমন কোনো বিরোধ নেই; কিছু লোক বেহুদাই দু'টোকে আলাদা করে টক্কর লাগাতে চায়......

অন্তহীন মহাবিস্ময়ের মহাকাশ; চিন্তাশীলদের ভাবনার খোরাকঃ

পৃথিবী এবং অন্তহীন রহস্যে ঘেরা মহাশুণ্য, পর্ব-১

পৃথিবী এবং অন্তহীন রহস্যে ঘেরা মহাশুণ্য, পর্ব-২

পৃথিবী এবং অন্তহীন রহস্যে ঘেরা মহাশুণ্য, পর্ব-৩

জাজাকুমুল্লাহু তাআ'লা খাইরান।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতুন নকিব ভাই অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কগুলি দেয়ার জন্য। আমি সময় করে পড়বো ইনশাল্লাহ।

১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০০

রাকু হাসান বলেছেন:

দারুণ লিখেছেন, কষ্টসাধ্য বটে।পোস্ট ও আহমেদ জী এস স্যারের মন্তব্যে লাইকড।অন্য ব্লগাররাও দারুণ মন্তব্য রেখেছেন।
ডার্ক এনার্জি বিষয়ে আগ্রহটা মিটে গেল।শুভেচ্ছা রইল।

১৩ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাকু হাসান ভাই অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনাকে অনেক দিন পরে ব্লগে দেখলাম। ভালো থাকবেন।

২০| ১১ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এত কঠিন কঠিন সব ভাবনা মাথায় ঢোকাতে ইচ্ছে করে না, জোর করে ঢোকাতে গেলে মাথা সম্প্রসারিত হতে হতে 'স্মল ব্যাং' অর্থাৎ ফেটে যাওয়া র সম্ভাবনা আছে। তাই "এসব নিয়ে ব্রেন নষ্ট করে আমাদের লাভ নেই" - হাসান কালবৈশাখী এর এ কথাটার উপর ভরসা রেখেই আপাততঃ বিদায় নিচ্ছি। তবে অনেক বিজ্ঞানমননস্ক ব্লগার লেখকের এ পোস্টের আলোচনাটাকে বোঝার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করে ব্যাখ্যার আকারে তাদের নিজস্ব ভাবনাগুলোকে শেয়ার করেছেন। তাই বিদায় নেয়ার আগে তাদেরকেও অন্ততঃ ধন্যবাদটুকু না জানিয়ে গেলে শোভন হবে না। তাই তাদের কয়েকজনের নামোল্লেখ করে লেখকসহ তাদের প্রচেষ্টাকেও সাধুবাদ জানাচ্ছিঃ

আহমেদ জী এস,ইফতেখার ভূইয়া, হাসান কালবৈশাখী, এস এম মামুন অর রশীদ, প্রমুখের মন্তব্যগুলো বিশেষ প্রশংসার দাবীদার।

১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টে অনেকে পোস্টের বিষয়ের উপর আরও ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আপনি তাদের নামগুলি উল্লেখ করে ভালো করেছেন। পোস্টে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকলে সবাই পোস্টটা পড়ে উপকৃত হয়।

দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্য দুঃখিত। আসলে পুরনো পোস্টগুলির বার্তা আসে না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.