নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফগানিস্তানে শান্তি সুদূর পরাহত

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৫


গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বোমা হামলা হয়। এই হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত দেড় শতাধিক। হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৩ সেনা নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এই বোমা হামলা থেকে প্রতিয়মান হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের কাবাবের মধ্যে হাড্ডি হয়ে আবির্ভাব হয়েছে আইএস (খোরাসান)। গতকালের এই বোমা হামলা ইঙ্গিত দেয় যে আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে নাই। তালেবানের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ এই আইএস (খোরাসান)। এই বোমা হামলা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। আমেরিকার আফগানিস্তান ত্যাগের প্রক্রিয়া নিয়েও দেশের ভিতরে এবং বাইরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত কয়েকদিন ধরে অনেক সমালোচিত হয়েছেন। গত কয়েকদিনের কাবুল বিমান বন্দরের দৃশ্যই সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিচ্ছে যে আমেরিকার প্রস্থানের অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আফগান জনগণ দিশেহারা। তালেবানের সাথে সমঝোতায় আসার কারণে যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে কোন সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার মতো অবস্থায় নাই। কারণ যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার জন্যই তারা তালেবানের সাথে চুক্তিতে গিয়েছিলো। এখন আবার যুদ্ধংদেহী রূপ গ্রহণ করলে বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ অ্যামেরিকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল বার্তা পেতে পারে।

এতো ঘটা করে আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার সময় নতুন করে আক্রমনের পরিকল্পনা বাইডেন প্রশাসনকে আরও অধিক সমালোচনার মুখে ফেলবে। যদিও বাইডেন বলেছেন যে এই আক্রমনে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরেই বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল প্রতিশোধ মূলক আক্রমনের পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান নেবে। এই মুহূর্তে বাইডেন অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন কারণ পাল্টা অভিযান হবে কি হবে না এই বিষয়ে তাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অভিযান চালানো হলে তার পরিণতি কি হবে সেটাও আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। বাইডেনের সিদ্ধান্তের উপরে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া যেমন নির্ভরশীল তেমনি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের আবেগ এবং মর্যাদার সাথেও এই সিদ্ধান্ত জড়িত। ২০১১ সালের পরে এই বোমা হামলা থেকেই সব চেয়ে বেশী সংখ্যক মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যে রিপাবলিকান দলের সদস্যরা বাইডেনের পদত্যাগ চেয়েছেন। অনেকে অভিশংসন চেয়েছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন তালেবানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনালড ট্রাম্প। সেই ট্রাম্প সাহেবও এই ব্যাপারে বাইডেনকে সমালোচনা করে যাচ্ছেন।

মনে হচ্ছে তালেবানের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হোল এই আইএস বাহিনী। আইএস একটি অবৈধ বাহিনী যার কোন দেশ বা স্বীকৃত ভূখণ্ড নাই। তাই কোন আন্তর্জাতিক আইন-কানুন, শিষ্টাচারের তারা ধার ধারে না। এরা প্রয়োজনে সম্মুখ যুদ্ধ করে আবার প্রয়োজনে গেরিলা যুদ্ধের পথে চলে। যে কোন অনৈতিক যুদ্ধ কৌশল নিতেও তাদের বিন্দু মাত্র দ্বিধা নাই। বিশ্বের রাষ্ট্রগুলি এদের সমর্থন না দিলেও অনেক রাষ্ট্রে এদের প্রচুর সমর্থক আছে। বিশেষত অনেক আরব দেশ, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত সহ এশিয়ার অনেক দেশে এদের শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। এরা আইএসকে অর্থ, অস্ত্র এবং নৈতিক সমর্থন দিয়ে থাকে। গতকালের ঘটনার আগেও গত কয়েক বছরে একাধিক বার আইএস আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছে।

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোলাটে হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন পরিস্থিতি আসলে তালেবান বা যুক্তরাষ্ট্র কারও হাতেই নেই। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য শক্তিশালী ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমুহ, রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। মাঝখান দিয়ে রক্ত ঝরছে আফগানিস্তানের নিরীহ জনগণের। জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি চরম অর্থনৈতিক কষ্টে আছে দেশটির জনগণ। জাতিসংঘ বলে একটা সমিতির মতো আছে। এরা কি করছে সেটাও পরিষ্কার না। এই অঞ্চলে দ্রুত শান্তি ফিরে আসুক এই কামনা করছি।

ছবি - aljazeera.com
সূত্র- প্রথম আলো

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: তালেবান নিজেই আফগানদের জন্য মাথাব্যাথা ছিল । আমেরিকা আফগান ত্যাগের আগেই আই এসের মালা তালেবানের গলায় ঝুলিয়ে গেল ।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তালেবান আর আইএস যদি যুদ্ধে জড়ায় সেটা ঐ অঞ্চলের সাধারণ জনগণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। কারণ এই দুই দলের কোনটাই কোন নিয়ম নীতির পরওয়া করে না। আমেরিকাকে মাথা ঠাণ্ডা রেখে শক্তির চেয়ে বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হবে বেশী। সব জায়গায় শক্তি দিয়ে জেতা যায় না।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




জ্বী, পরিস্থিতি ঘোলাটেই বটে। তালেবানরা নিজেরাই একেক সময়ে একেক কথা বলছে। যে হামিদ কারজাইয়ের বাসভবনে বসে আফগান সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছিলো সেই কারজাইকেই তালেবানরা গৃহবন্ধী করে ফেলেছে ইতিমধো্‌ই। বাইরের দেশগুলোও তালেবানদের কথার উপরে বিশ্বাস রাখতে পারছেনা বলেই এখনও আফগান পরিস্থিতি পর্য্যবেক্ষন করে যাচ্ছে। তালেবানের নেতৃত্বে এখন অনেক মুখ দেখা যাচ্ছে , একেকজন একেক রকমের কথা বলছেন।

সুতরাং কথায় ও কাজে তালেবানদের মিল না থাকলে শান্তি সুদূর পরাহত.................

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পর্যবেক্ষণ করতে করতে সময় চলে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণ নিজের দেশে নরক দেখতে পাচ্ছে।
অ্যামেরিকাতো বহু বছর এদের নিয়ে খেলল। আমার মনে হয় এবার জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দরকার। কোন একক দেশের পক্ষে আফগানিস্তানে শান্তি আনা সম্ভব না। জাতিসঙ্ঘের কোন ভুমিকা এখানে আছে কি না আমার জানা নাই। অন্য কেউ ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে কি না সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। ঘর পোড়ার মধ্যে অনেকে আলু পোড়া খায়।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাচু ভাই,

মানতে পারলাম না।হলুদ খবরে এইসব প্রচার হচ্ছে। তালিবানিদের হাত ধরে আফগানিস্তানে শান্তি চলে এসেছে।ওরা সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছে।নিজেরাও একশো ভাগ বদলে গেছে।গোটা আফগানিস্তান জুড়ে এখন শুধু শান্তি আর শান্তি। আপনারা অহেতুক ভয়ে আছেন। আর সামান্য পটকা ফাটানোকে ফলাও করে প্রচার করছেন।ওর চেয়ে চলুন সকলে মিলে আফগানিস্তানে গিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। আজকে সাতক্ষীরার জাহাঙ্গীর আলমকে নাকি পুলিশ ধরেছে। তালিব আনন্দে সামিল হতে আফগানিস্তানের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিল এটাই ওর অপরাধ। পুলিশের ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তালেবানদের উচিত ছিল জাহাঙ্গীর আলমকে আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে দাওয়াত দিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ে যাওয়া। তাহলে বাংলাদেশ সরকার তাকে জামাই আদর করে সেখানে পৌঁছে দিত। এখনও হয়তো জামাই আদরই করছে তবে সেটা ঘরজামাই এর আদর।:)

তালেবান এবং বাইডেন প্রশাসন উভয়েই মাইনকা চিপার মধ্যে পড়েছে। মাঝখান দিয়ে আইএসের পোয়া বারো। সব চেয়ে খুশি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনালড ট্রাম্প। উনি নিজে তালেবানের সাথে গত বছর শান্তি চুক্তি করেছেন এখন বাইডেনকে ধুয়ে ফেলছেন। রিপাবলিকানরা বগল বাজাচ্ছে খুশিতে। আর বেশীর ভাগ মারা যাচ্ছে নিরীহ আফগান জনগণ।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১২

জুন বলেছেন: আমি অবাক হচ্ছি আমেরিকার আফগানিস্তান ত্যাগের প্রক্রিয়া দেখে। এদের ইন্টিলিজেন্স কি এইটুকুও জানাতে পারেনি যে তালেবানরা কত দ্রুত গতিতে রাজধানী মুখে এগিয়ে আসছে ? এই একটি মাত্র কাজের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বিশ্বের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
আজ বাংলাদেশ প্রতিদিন পেপারে পড়লাম এক ভয়ংকর খবর তাতে লেখা ঃ- বিগত ২০ বছরে আফগানিস্তানে ব্রিটেনকে সেদেশের যেসব নাগরিক সহায়তা করেছে তাদের একটি তালিকা হাতে পেয়েছে তালেবান। এতে ব্রিটিশ সরকারকে সহায়তাকারী ওই সব আফগানদের ফোন নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।
টাইমস ইউকে- এর বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুলের ব্রিটেন দূতাবাস থেকে তালিকাটি জব্দ করেছে তালেবান। গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলে নেওয়ার পর তড়িঘড়ি করে দূতাবাস ছাড়তে গিয়ে বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজ ছাড়া পড়ে। এর মধ্যে ব্রিটেনকে সহায়তাকারীদের আফগানদের তালিকাও রয়েছে, যেগুলো দূতাবাসের মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। তালেবান সেগুলো জব্দ করেছে।
তালেবানের হাতে তালিকা চলে যাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে দেশটির এসব নাগরিকদের মধ্যে। তাদের আশঙ্কা, তালিকা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যেকোনও চরম প্রতিশোধ নিতে পারে তালেবানরা।

পুরোপুরি অপেশাদার একটি আচরন বা কাজ যা তাদের মত প্রফেশনালদের কাছে কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় সাড়ে চুয়াত্তর ।






২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তালেবান এতো দ্রুত কাবুল দখল করে নেবে এটা অ্যামেরিকার বোঝা উচিত ছিল। অ্যামেরিকা তো ২০ বছর ধরে তালেবানকে চেনে। তারপরও ওরা কেন হিসাবে ভুল করলো বুঝলাম না। আমার মনে হয় অ্যামেরিকা ভেবেছিল তারা তো চলেই যাচ্ছে তাই সম্ভাব্য পরিস্থিতি সম্পর্কে ওরা উদাসীন ছিল।

ব্রিটেনেরও উচিত ছিল যাবার আগে সংবেদনশীল তথ্য ধ্বংস করা যেন তাদের কারণে কোন আফগান নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

আমি আশা করছি আপনি আপনার আফগানিস্তান ভ্রমনের উপর একটা পোস্ট দিবেন। তালেবানরা আপনাদেরকে কেমন আপ্যায়ন করেছিল এটা জানতে ইচ্ছে করছে। আমার ধারণা ব্লগের ইবনে বতুতা হিসাবে কোন দেশই আপনার ভ্রমণ তালিকার বাইরে নাই।:)

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৯

স্প্যানকড বলেছেন: এ অঞ্চলে ভেজাল বাড়বে বৈ কমছে না তবে দোয়া করছি আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুন। ভালো থাকবেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে ধনী দেশগুলি এই অঞ্চলকে ওনাদের সামরিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র বানিয়েছেন। সাথে অস্ত্র ব্যবসা আর মাতবরি প্রতিষ্ঠা। এই অঞ্চলে কিছু নির্বোধ লোক আছে যারা এদের ক্রীড়নক। ওনারা এই এলাকায় নাক গলানো বন্ধ করলে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে শান্তি আসতে পারে। তার আগে না।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪১

রাকু হাসান বলেছেন: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে কি তালেবান সরকার?

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাকু হাসান ভাই, অনেক দিন পরে আপনার সাথে কথা হচ্ছে। আশা করি ভালো আছেন।
সব চেয়ে বড় মোড়ল অ্যামেরিকা যখন স্বীকৃতি দিয়েছে তখন বাকিরাও দিবে মনে হয়। তবে তারা তালেবানের পরবর্তী কর্মকাণ্ড গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আফগানিস্তানে তালেবান ছাড়া আর কোন পক্ষের ক্ষমতায় থাকার মতো অবস্থা নাই। কারণ ঐ দেশে সব কিছু চলে অস্ত্রের জোরে। বছরের পর বছর যুদ্ধের কারণে ওরা শুধু অস্ত্রের ভাষা বোঝে। তালেবানকে সরিয়ে দিয়ে অন্য কাউকে আনতে হলে তাদের টিকিয়ে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোন শক্তিশালী দেশের ক্রমাগত সাহায্য লাগবে। এই ধরণের সাহায্য কত বছর দেয়া সম্ভব। এই কারণেই বিশ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র চলে যাচ্ছে।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কষ্ট করে পড়েছেন এতেই আমি অনেক খুশি। বেশী কিছু না বললেও চলবে। আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টগুলি ভালো হচ্ছে। আমি কিছু প্রাথমিক ধারণা পাচ্ছি সেটা থেকে। আপনি ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যান। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে পড়ছে।

৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আফগানিস্তান সামাজিকভাবে ভিন্ন গোত্র ও ডেরাতে বিভক্ত একটি অঞ্চল বলা যেতে পারে। একটি সম্পূর্ণ বা প্রকৃত রাষ্ট্রের মতো অবস্থা এই দেশটির জনগণ কখনই প্রত্যক্ষ করতে সমর্থ হয় নি। পশতুন, হাজরা, তাজিকরা যে যার মতো নিজেদের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেছে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা অনেকটা একতাবদ্ধ হয়েছিল বটে, কিন্তু পরবর্তীতে আবারো যে যার মতো স্বাধীনভাবে চলার পথ অবলম্বন করেছে। অনেকটা আমেরিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই।

পশতুন নেতৃত্বাধীন তালেবানদের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন অনুসরণ করবে না বলেই মনে হয়। একমাত্র সমাধান জাতীয় সরকার ধরণের কিছু একটা গঠন করতে পারলে - তবে সেটিও সহজ কাজ নয়। এই দেশটিতে শান্তি বা স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা সহজ হবে বলে মনে হয় না।

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দেশ যারাই শাসন করুক ( তালেবান, অ্যামেরিকা, আফগান ইত্যাদি) সেটা হতে হবে অস্ত্রের সাহায্যে। ঐ এলাকার লোক শুধু অস্ত্রের ভাষা বোঝে। গণতন্ত্রে যাওয়ার মত পর্যায়ে ওরা এখনও যায় নাই। বাইরের দেশের লোক নাক গলানো বন্ধ না করলে ওখানে শান্তি আসবে না। কারণ এরা ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া খেতে চায়। ভালো নিয়তে ওখানে কেউ যায় না। জাতিসঙ্ঘ কেন ঐ এলাকায় কোন ভুমিকা রাখে না এটা আমার একটা প্রশ্ন।

৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: সহজ সমাধান দেশটা কে ভেঙ্গে দেয়া উচিৎ যে যার অংশ যেমন ইচ্ছা সেইভাবে শাসন শোসন করুক।

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেষ পর্যন্ত হয়তো তাই ই হবে। তবে তার আগে অনেক মানুষ মারা যেতে পারে হানাহানিতে।

১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ওরা নিজেদের মতই কিছুদিন থাক। বহিঃশক্তিরা দূরে থাকুক। নিজেদের মধ্যে দফা রফা হবার পর যে সিস্টেম গড়ে ঊঠবে, সেটাই অন্ততঃ কিছুকাল টেকসই হবে।

তবে আপনার অনুমান সত্য, 'আফগানিস্তানে শান্তি সুদূর পরাহত'!

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাইরের লোকের নাক গলানোর কারণেই আফগানিস্তান কখনই নিজেদের মতো ভাবতে শেখেনি। এই অঞ্চলটার উপর যুগে যুগে বাইরের শক্তিগুলির নজর ছিল, এখনও আছে। আমারও মনে হয় ওদের দেশের সমস্যা যদি ওদেরকে সমাধান করতে দেয়া হয় তাহলে হয়তো একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।

তবে ইতিহাস বলে যে এই জাতি কখনও বাইরের শক্তির কাছে পরাজিত হয়নি। এটার কারণ হতে পারে ওদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য, ভৌগলিক অবস্থান অথবা আরও কোন কারণ থাকতে পারে। বাইরের যারা নাক গলাচ্ছে তাদের কারও নিয়ত ভালো না। সবাই নিজেদের স্বার্থ দেখছে, আফগানদের কথা কেউ ভাবছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.