নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৃষীকেশ মুখারজি। যে চিত্র পরিচালকের ফ্লপ সিনেমা খুঁজে পাওয়া ভার

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৬


বাঙালি বাবু হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় বা মুখারজি (১৯২২ - ২০০৬) হলেন সেই চিত্রপরিচালক যার তৈরি যে কোন হিন্দি সিনেমা আপনি আগে থেকে খবর না নিয়েই দেখতে পারেন। ছবি দেখে যে আপনি বিমলানন্দ পাবেন এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে পারেন। হিন্দি সিনেমার একজন কিংবদন্তি চিত্র পরিচালক হিসাবে ওনাকে গণ্য করা হয়। উনি একাধারে একজন চিত্র পরিচালক, ফিল্ম এডিটর এবং কাহিনী লেখক। উনি মোট ৪২ টি ছবি পরিচালনা করেছেন। শেষ ছবি ছিল ‘ঝুট বোলে কাউয়া কাটে’। ইহাতে :) অভিনয় করেছেন জুহি চাওলা এবং অনিল কাপুর। এই চিত্রপরিচালকের বেশীর ভাগ সিনেমাই রোমান্টিক কমেডি এবং মধ্যবিত্ত পরিবার কেন্দ্রিক। ওনার সম্পর্কে আরও জানতে এই লিঙ্কটি দেখুন


আমার দেখা ওনার পরিচালিত কয়েকটি হিন্দি সিনেমা যেগুলি বহুবার দেখেছি –

১। ঝুট বোলে কাউয়া কাটে ( ১৯৯৮, অনিল কাপুর, জুহি চাওলা। রোমান্টিক কমেডি)

জুহি চাওলার বাবা অমরেশ পুরি একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা যার মধ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক গোঁড়ামি আছে। তিনি চান তার মেয়েও এই পুরনো গোঁড়ামিগুলি মেনে চলবে। ফলে জুহি চাওলা তার প্রেমিক অনিল কাপুরকে তার বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারছে না। ফলে তারা কিছু মজার কৌশল প্রয়োগ করে বাবাকে রাজি করার জন্য। এইসব নিয়েই কিছু মজার ঘটনা আছে এই সিনেমায়।

২। ঝুটি (১৯৮৫, রেখা, রাজ বাব্বর, সুপ্রিয়া পাঠক, অমল পালেকার। সামাজিক এবং রোমান্টিক কমেডি)

রেখার অভ্যাস হোল মানুষের সাথে মিথ্যে কথা বলে মজা করা। এভাবে সে মানুষের উপকার করার চেষ্টাও করতো অনেক সময়। তার ভাই পুলিশ পরিদর্শক অমল পালেকার তাকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে কথা শুনত না। অমল পালেকারের সাথে আবার পাশের বাড়ির মেয়ের প্রেম ছিল। রেখার বোন আল্পনার সাথে রাজ বাব্বরের ( ডঃ অনিল গুপ্তা) বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু আলপনা আবার আরেকজনকে ভালোবাসে। এই বিয়ে ঠেকানোর জন্য রেখা তার মিথ্যা বলার প্রতিভাকে কাজে লাগায়। সে তার মাকে বলে যে রাজ বাব্বর একজন চরিত্রহীন মানুষ। ফলে বিয়ে ভেঙে যায়। কিন্তু ঘটনাচক্রে রেখা রাজ বাব্বরের প্রেমে পড়ে যায়। রেখার এই মিথ্যা বলার প্রতিভা নিয়েই এই মজার সিনেমা। মিথ্যা বলতে গিয়ে অনেক মজার এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

৩। কিসিসে না কেহ না ( ১৯৮৩, দিপ্তি নাভাল, ফারুক শেখ, উৎপল দত্ত)

ফারুখ শেখের বাবা উৎপল দত্ত একজন বিপত্নীক এবং অবসরপ্রাপ্ত মানুষ। সে সব সময় নতুন প্রজন্মের ইংরেজি প্রীতি এবং আধুনিকতার সমালোচনা করে। সে তার ছেলে ফারুক শেখকে বিয়ে দিতে চায় সাদাসিদা একটা মেয়ের সাথে। কিন্তু ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়ে কয়েকটা মেয়ের পশ্চিমা আচরণ এবং ইংরেজি কথা শুনে সে ধাক্কা খায়। সে ঠিক করে কোন শহুরে মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দেবেন না। বরং গ্রামের একটা সহজ সরল এবং সনাতনী চিন্তা ধারার মেয়ের সাথে বিয়ে দিবেন যে মেয়ে ইংরেজি জানে না। এদিকে ফারুক শেখের সাথে প্রেম চলছে দিপ্তি নাভালের। দিপ্তি নাভাল সুশিক্ষিত এবং একজন ডাক্তার। এই ধরণের ইংরেজি জানা মেয়েকে তার বাবা পছন্দ করবে না। ফলে সে তার বাবার বন্ধু লালাজির পরামর্শ চায়। লালাজি বলেন যে দিপ্তি নাভালকে একটা গ্রামের পণ্ডিতের মেয়ে হিসাবে সাজাতে যাকে অভিনয় করতে হবে একটা সাদাসিদা গ্রাম্য মেয়ের মত। এইভাবে মিথ্যা নাটক করে এবং উৎপল দত্তকে ফাঁকি দিয়ে উভয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে দিপ্তি নাভালের সেবা পেয়ে উৎপল দত্ত ভাবেন যে গ্রামের মেয়ে এনেছি বলেই এই সেবা পাচ্ছি। কিন্তু একদিন শ্বশুর উৎপল দত্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে দিপ্তি নাভাল তাকে চিকিৎসা দিতে বাধ্য হন। ফলে তার পরিচয় প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে উৎপল দত্ত মনে কষ্ট পান এবং দিপ্তি নাভালও বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। বাকি ঘটনা ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
মধ্যবিত্তের প্রেম কাহিনী হিসাবে চমৎকার সিনেমা এটা। হৃষীকেশ মুখারজির কাহিনীগুলি মুলত মদ্ধবিত্ত শ্রেণীকে নিয়ে।
৪। আনারি (১৯৫৯, রাজ কাপুর, নুতন )
কাহিনী সংক্ষেপ – রাজ ( রাজকাপুর) একজন সৎ এবং সুদর্শন তরুণ। পেইন্টিংএর দোকান আছে তার। কিন্তু অর্থ কষ্টে আছেন। একদিন সে একটা মানিব্যাগ পায় এবং পাওয়ার পর এটার মালিক রামনাথকে খুঁজে মানিব্যাগটা তাকে ফেরত দেয়। খুশি হয়ে রামনাথ তাকে তার ব্যবসায় ক্লার্ক হিসাবে চাকরী দেয়। রামনাথ সাহেবের ভাতিজী আরতির (নুতন) সাথে তার পরিচয় এবং প্রেম হয়। প্রেমনাথের তৈরি করা ওষুধ খেয়ে রাজের বাড়িওয়ালী মিসেস ডি’সার মৃত্যু হয়। পুলিশ সন্দেহ করে যে রাজ তাকে বিষ প্রয়োগ করেছে। রাজকে গ্রেফতার করা হয় এবং মামলা চলতে থাকে। বিচারে রামনাথ তার দোষ স্বীকার করে নেয়। আরতি রাজকে জানায় সে মিসেস ডি’সাকে কথা দিয়েছিল যে সে রাজের দেখাশুনা করবে। কারণ মিসেস ডি’সা এবং আরতি মনে করতো যে রাজ হোল এই দুনিয়ার চালাক লোকদের তুলনায় একটু বোকা প্রকৃতির। এই দেখাশুনার দায়িত্ব বলতে ওদের মধুর মিলন বোঝানো হয়েছে।

এই চিত্র পরিচালকের আরও কিছু ছবি আমি এককালে দেখেছি যেমন;


১। গোলমাল ( অমল পালেকার, উৎপল দত্ত, বিন্দিয়া গোস্বামী)
২। চুপকে চুপকে ( অভিতাভ, ধরমেন্দ্র, শরমিলা ঠাকুর, জয়া ভাদুরি)
৩। আচ্ছা বুরা ( অনিতা রাজ, রাজ বাব্বর )
৪। রাঙ বিরাঙগী ( দিপ্তি নাভাল, ফারুক শেখ, উৎপল দত্ত)
৫। বেমিসাল ( অমিতাভ, রাখি, ভিনোদ মেহরা )
৬। নারাম গারাম ( অমল পালেকার, উৎপল দত্ত, শত্রুঘ্ন সিনহা, সোয়ারূপ সমপাদ)
৭। খুব সুরাত ( রেখা , রাকেশ রশান, অশোক কুমার )
৮। মিলি ( অমিতাভ, জয়া ভাদুরি)
৯। নেমক হারাম ( রাজেশ খান্না, অমিতাভ, রেখা )
১০। অভিমান ( অমিতাভ, জয়া ভাদুরি, আসরানি)
১১। বাবুর্চি ( রাজেশ খান্না, জয়া ভাদুরি)
১২। বুদ্দা মিল গায়া ( দেভেন ভারমা, ওম প্রকাশ, নভিন নিশ্ছল)
১৩। গুড্ডি ( ধরমেন্দ্র, জয়া ভাদুরি, উৎপল দত্ত)
১৪। আনান্দ ( রাজেশ খান্না, অমিতাভ )

ঋষিকেশ মুখারজির প্রত্যেকটা সিনেমাই ভালো (যেগুলি দেখেছি সেগুলির ভিত্তিতে অনুমান করছি )। এগুলি সস্তা হিন্দি বাণিজ্যিক ছবি না। ওনার ছবির মূল কেন্দ্রবিন্দু হোল মধ্যবিত্ত পরিবারের মূল্যবোধ ও সুখ-দুঃখ, রোমান্টিক প্রেম এবং সর্বোপরি পরিবার কেন্দ্রিক কমেডি। ছবিগুলি দেখে অবশ্যই আনন্দ এবং মজা পাবেন। এই ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। বিফলে মূল্য ফেরত। ওনার অধিকাংশ ছবি অনেক পুরস্কার পেয়েছে। যেগুলি দেখিনি এবং উপরে নাম লিখিনি সেগুলিও অনেক ভালো বলে শুনেছি। তাই সময় নষ্ট না করে এখুনি ওনার পরিচালিত সিনেমাগুলি দেখে ফেলুন।

সুত্র – উইকিপিডিয়া

ছবি- Indiatvnews

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: সব গুলো মুভিই আমি দেখেছি। স্বচ্ছ সুন্দর মুভি। সবচেয়ে বড় কথা এই মুভি গুলো দেখলে বোরিং লাগে না।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি একজন ভালো পাঠক এবং একজন ভালো সিনেমা দর্শক।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২১

ইসিয়াক বলেছেন: লিস্টের কয়েকটা ছবি দেখেছি। অভিমান,মিলি ঝুঁটি,আনাড়ি, গোলমাল অন্যতম। আসলেই ছবিগুলো ভালো। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মত ছবি।
সুন্দর পোস্ট।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ভাবছি ওনার যে ছবিগুলি দেখি নাই সেগুলি দেখে ফেলব। যে কোন ভাষা বা সংস্কৃতির মধ্যেই কিছু না কিছু ভালো দিক থাকে। হিন্দি সিনেমা মানেই বাণিজ্যিক, রগরগে সিনেমা না। অনেক ভালো সিনেমা আছে, অনেক ভালো গান আছে।

আমাদের বাংলাদেশেও এক সময় কিছু ভালো সিনেমা তৈরি হয়েছে। পরিচালক নারায়ণ ঘোষ মিতা এবং আমজাদ হোসেনের তৈরি করা প্রত্যেকটা সিনেমা ভালো ছিল। যেমন মিতার সিনেমা নীল আকাশের নীচে, আলোর মিছিল, চাওয়া পাওয়া, এতটুকু আশা, লাঠিয়াল ইত্যাদি। আমজাদ হোসেনের তৈরি করা সিনেমার মধ্যে নয়নমণি, গোলাপি এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই, দুই পয়সার আলতা, জন্ম থেকে জ্বলছি, ভাত দে ইত্যাদি। এছাড়া অন্যান্য পরিচালক যেমন সুভাষ দত্ত, খান আতা, কাজী জহির, জহির রায়হান, এহতেশাম, চাষি নজরুল ইসলাম প্রমুখ বেশ কিছু ভালো সিনেমা তৈরি করেছেন।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ঝুট বোলে কাউয়া কাটে , গোলমাল, নেমক হারাম , নরম গরম এই চারটা দেখা হয়েছে।

পারিবারিক মূল্যবোধ এবং পরিবার কেন্দ্রীক যেহেতু বলেছেন এবং ভাল লাগার আশ্বাস যেহেতু দিয়েছেন তাহলে ------------------- দেখেই ফেলব ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিফলে মূল্য ফেরত দেয়া হবে। :) পসান্দ আপনা আপনা দেখতে পারেন ( মিথুন আর রতি অগ্নি হত্রির)। এটা অন্য পরিচালকের। কিন্তু খুব ভালো লাগবে।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মেলা পুরানা ব্যাপাসেপার। আমার এন্টেনার বাইরে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো সিনেমা, সাহিত্যের কোন নতুন আর পুরান নাই। এগুলির শিক্ষা ও আবেদন শাশ্বত। সময় পেলে দেখে ফেলবেন। বিফলে মূল্য ফেরত।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৫

শায়মা বলেছেন: সিনেমাগুলো দেখতে হবে।

তাই প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। :)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তো ভাবলাম আপনি আমাকে আরও দুই একটা সিনেমা দেখার পরামর্শ দেবেন। :) প্রিয়তে নেয়াতে নিজেকে সম্মানিত মনে হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার জন্য আরও কয়েকটা ছবির নাম দিলাম। তবে এগুলি অন্য পরিচালকের।
১। আঙ্গুর ( শেক্সপিয়ারের কমেডি অব এররের ছায়া অবলম্বনে দুই জোড়া যমজদের নিয়ে । খুব মজার সিনেমা। সঞ্জীব কুমার, দিপ্তি নাভাল, মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়, দেভেন ভারমা)
২। ছোটি সি বাত ( অমল পালেকার, বিদ্যা সিনহা, অশোক কুমার, আসরানি)
৩। আন্দাজ আপনা আপনা ( আমির খান, সালমান খান, রাভিনা, কারিশমা )
৪। দিল্লাগি ( ধরমেন্দ্র, হেমা )
৫। বম্বে টু গোয়া ( অমিতাভ, অরুনা ইরানি নায়িকা হিসাবে, মেহমুদ, শত্রুঘ্না সিনহা)
৬। পাতি, পাত্নি অর উওহ ( সঞ্জিব কুমার, বিদ্যা সিনহা)
৭। মশাল (দিলিপ কুমার, ওয়াহিদা রহমান, অনিল কাপুর, রতি অগ্নিহোত্রী)
৮। ফির হেরা ফিরি ( অক্ষয় কুমার, সুনিল শেটি, বিপাশা বসু, রিমি সেন)
৯। চামেলি কি শাদি ( অমৃতা সিং, অনিল কাপুর, আমজাদ খান)
১০। মুসকুরাহাট ( রেভতি, জয় মেহতা, অমরেশ পুরি, জাগদিপ)
১১। উওহ সাত দিন ( অনিল কাপুর, পদ্মিনী )

বসু চট্টোপাধ্যায়ের ফিল্মগুলিও ভালো। যেমন;
১১। খাট্টা মিঠা
১২। বাতো বাতোমে
১৩। পসান্দ আপনি আপনি
১৪। কিরায়াদার

আর পশ্চিম বঙ্গের ছবি 'দাদার কীর্তি দেখবেন'। এটা তাপস পালের প্রথম ছবি। আরও আছে দেবশ্রি রায়, মহুয়া রায় চৌধুরী, সন্ধ্যা রায়। এই ছবিতে অনেকগুলি রবীন্দ্রসঙ্গীত আছে। যেমন ' এই করেছ ভালো নিঠুর হে', 'এসো প্রাণ ভরন দৈন্য হরণ হে', 'বধু কোন আলো লাগলো চোখে', 'চরণ ধরিতে দিও গো আমারে', । সঙ্গীত পরিচালক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।

সাড়ে চুয়াত্তর ছবিটা দেখবেন। :)

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৮

একলব্য২১ বলেছেন: চুয়াত্তর ভাই,

অনেক ধন্যবাদ হৃষীকেশ মুর্খাজির ছবি নিয়ে এই পোস্টটি দেওয়ার জন্য। আমি উনার কয়েকটি ছবি দেখেছি এবং অসম্ভব ভাল লেগেছে। কিন্তু আমি জানতাম তা এগুলো হৃষীকেশ মুর্খাজির ছবি। উনার নাম শুনেছি অনেক কিন্তু উনার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। গুগল লিংকে ক্লিক করে অনেক কিছু জানলাম।

শায়মা আপু তুমি "গোলমাল" ফিলমটি দেখতে পারো। হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাবে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একলব্য২১ ভাই,

হৃষীকেশ মুখারজির ছবি আপনারও পছন্দ জেনে ভালো লাগলো। আসলে ওনার ছবিগুলি ভালো না লাগার কোন কারণ নাই। উনি একজন মেধাবী চিত্রপরিচালক ছিলেন। মুসকুরাহাট সিনেমাটা দেখার চেষ্টা করবেন। খুব মজার সিনেমা। গানগুলিও অনেক সুন্দর। তবে এটা হৃষীকেশের না। অন্য পরিচালকের এবং অনেক পরের সিনেমা। এই সিনেমার নায়িকা রেভতির অভিনয় খুব ভালো লেগেছে। ইউটিউবে সহজেই পাবেন।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৯

শায়মা বলেছেন: হায় হায় চুয়াত্তরভাইয়া আর একলব্যভাইয়ার জন্য তো আমাকে নেক্সট ইয়ার শুধু ম্যুভিই দেখতে হবে মনে হচ্ছে!!!!!!!!!! :||

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি চাইলে আরও ছবির স্টক আছে। একজনমে যেমন সব বই পড়া সম্ভব না, সব গান শোনা সম্ভব না তেমনি সব সিনেমা দেখাও সম্ভব না।

তবে আপনি এক বছর সিনেমা নিয়ে থাকলে ব্লগে আপনার গল্প আর কবিতার পাঠকদের কি অবস্থা হবে!!! :) তাই আপনাকে সব কিছুই রুটিন করে দেখতে এবং শুনতে হবে।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৭

শায়মা বলেছেন: এই যে ভাইয়ারা আমার না এখন একটা এক লাইনের পোস্ট লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে জানো?

পোস্টের শিরোনাম আর ভেতরের বানী একই এক লাইন মানে এক অক্ষরের।

কি সেটা বলোতো?

আচ্ছা আমিই বলে দেই......


লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে "আহারে"
এটা শিরোনাম আর বানী হলো,

বেচারা..... :(

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্টে আমার মন্তব্যও হবে -
আহারে, বেচারা !!!!! :)

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১০

শায়মা বলেছেন: যাইহোক বেচারাকে নিয়ে আহা বাহা না করে বরং আজ ম্যুভিই দেখি।


কোনটা আজ দেখবো বলে দাও ভাইয়ু!!!!!!!!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসকুরাহাট দেখেন। গানগুলিও আমার অনেক ভালো লেগেছে। রেভতির অভিনয় খুব ভালো লেগেছে। হাসির ছবি তবে সামাজিক সমস্যা নিয়ে বাণী আছে।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১২

শায়মা বলেছেন: গল্প আর কবিতা তো লিখি মাঝে মাঝে যখন আমার গল্প আর কবিতার ভূতেরা আমার ঘাড়ে চেপে বসে......

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভুতগুলিকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যাচ্ছে না। আপনাকে মনে হয় গোপী আর বাঘার মত ভুতের রাজা বর দিয়েছে গল্প লেখার। :) শুধু গল্প লেখার না, নাচ, গান, ছবি আঁকা আরও কতগুণ পেয়েছেন!!!

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু

আমি আবার একটু ছোট থেকেই পাঁজি বাচ্চা ছিলাম। বেচারার অবস্থা দেখে তাই আমি না মনে মনে হাসছি। :P

বেচারারা মাঝে মাঝে লিমিট ক্রস হয়ে যাচ্ছে সেটা না বুঝলেই আহারে হয়ে যায়..... আহারে :(


:P

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যার নয়ে হয় না তার নব্বইয়েও হবে না। কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। কুকুরের লেজ সোজা হয় না।

আরও অনেক উপমা আহারে বেচারার জন্য দেয়া যায়।

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৩

একলব্য২১ বলেছেন: চুয়াত্তর ভাই,

আমিও প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। সুস্থ বিনোদন এন্ড এন্টারটেইনিং।

শায়মা আপু হৃষীকেশ মুর্খাজির "গোলমাল" দেখতে পারো। "কিসিসে না কেহ না" ও আমার ভাল লেগেছিল।

আমি সময় করে "মুসকুরাহাট" দেখবো অবশ্যই।

Gol Maal

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রিয়তে নেয়াতে সম্মানিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ। মুসকুরাহাট ভালো লাগবেই আশা করি।

১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৪

শায়মা বলেছেন: সবই ভূতেদের কারবার ভাইয়া।
গুন ভাগ যোগ বিয়োগ কিছুই না। হা হা

ভাইয়া এইবারের প্রজেক্ট স্কুটি। দিন যাচ্ছে আর ভীমরতি বাড়ছে মনে হচ্ছে .... :P

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভুতেরা গুণবান আর গুনবতি না হলে যাকে তাকে বর দেয় না।:)

স্কুটি প্রজেক্ট সম্পর্কে সময় মত জানাবে আশা করি। অন্যের ক্ষতি না করে মনের খুশি মত চলতে পারার মধ্যেই স্বাধীনতা আর শান্তি। ভীমরতি থেকে ভালো কিছু পাওয়া গেলে সমস্যা কি। :)

১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি একজন ভালো পাঠক এবং একজন ভালো সিনেমা দর্শক।

ইদানিং পড়ছি কম। কিন্তু মুভি বেশি দেখছি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেছে বেছে মুভি দেখলে সময় অপচয় হবে না, আনন্দ পাবেন এবং জীবন সম্পর্কে ধারণা উন্নত হবে। আপনার জন্য শুভ কামনা।

১৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পুরাতন ছবিই সামাজিক ছবি। দেখেছি বেশ কয়েকটি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সময় পেলে বাকিগুলিও দেখে ফেলেন। ভালো থাকবেন।

১৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২

ইসিয়াক বলেছেন: নীল আকাশের নীচে, আলোর মিছিল, চাওয়া পাওয়া, এতটুকু আশা, লাঠিয়াল, নয়নমণি, গোলাপি এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই, দুই পয়সার আলতা, জন্ম থেকে জ্বলছি, ভাত দে সবগুলোই দেখা্ প্রিয় ব্লগার। এই সমস্ত ছবির গানগুলোও আমার খুব প্রিয়। আগে সেই রকম সিনেমাখোর ছিলাম কি-না ;) । হা হা হা ..।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সিনেমাগুলি সত্যিই ভালো ছিল। এন্দ্রু কিশোর, সৈয়দ আব্দুল হাদি, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা সহ আগের অনেক শিল্পীর ভালো ভালো গান এইসব সিনেমায় ছিল। সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মজাই আলাদা। ভালো থাকবেন।

১৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এক সময় পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মতো ছবিগুলোতে ফারুক শেখ, দীপ্তি নাভাল, উৎপল দত্ত ও অমল পালাকাররা দাপিয়ে বেড়াতেন। এই ধারার এতো পরিচ্ছন্ন ছবি এখন আর তেমন দেখা যায় না।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের একটা ভালো গ্রুপ ছিল নির্দিষ্ট কিছু পরিচালক কেন্দ্রিক। পরিবার নিয়ে একসাথে উপভোগ করার জন্য এই সিনেমাগুলি আদর্শ ছিল। এখন সেই সামাজিক অবস্থাও নেই আর সেইরকম সিনেমাও নেই।

১৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বেছে বেছে মুভি দেখলে সময় অপচয় হবে না, আনন্দ পাবেন এবং জীবন সম্পর্কে ধারণা উন্নত হবে। আপনার জন্য শুভ কামনা।

জীবন সম্পর্ক আমার ধারনা বেশ গভীর।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক ঘোরাফেরা করেন আর মানুষের সাথে মেশেন তাই জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা গভীর হয়েছে।

১৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫১

শায়মা বলেছেন: আহারে বেচারার জন্য আজকেও আহারে। :(

আমার নানী বলতো, স্বভাব যায় না ধুলে, ইল্লত যায় না ম'লে। ইল্লত কি আমি অবশ্য এখনও জানিনা। নানীকেও শোনা হয়নি। :(

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেচারার বোধোদয় হউক এই কামনা করছি।
আপনার নানী যথার্থই বলেছেন। ইল্লত মানে কলঙ্ক বা কলুষ। গায়ে কলঙ্ক লাগলে মরার পরেও দুর্নাম থেকে যায় তাই এইভাবে বলা হয়।

২০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: বলা যায়-সব কটা সিনেমাই দেখেছি। অত্যন্ত সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হৃষীকেশের আরও বেশ কিছু সিনেমা দেখা হয়নি। ভাবছি এবার দেখে ফেলব। উনি ছাড়াও আরও কয়েকজন চিত্রপরিচালকের বেশ কিছু ভালো সিনেমা আছে।

২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: প্লাস।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: গোলমালের প্রসঙ্গে এর একটা চমৎকার গানের কথা মনে পড়লো - বিন্দিয়াকে নিয়ে অমলের গাওয়া " আআনে ওয়ালা পাল জানে ওয়ালা হে"। কি মধুর তার সুর ও কথা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই গানটা আমি এখনও প্রায়ই শুনি। খুবই ভালো একটা গান। ভালো থাকবেন।

২৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৭

মেহবুবা বলেছেন: শিরোনাম এ সহমত।
ওনার অনেক সিনেমা দেখেছি ; মনেও আছে।
দেখে মনে হয় সাধারণ বিষয়, অথচ কি গভীর তার আবেদন!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার সিনেমাগুলি হিন্দি বাণিজ্যিক ছবির মত না। আপনার সাথে একমত, সাধারণ বিষয় নিয়ে গল্প হলেও গভীর আবেদন আছে পুরো কাহিনীতে। আমি ঠিক করেছি সময় পেলে ওনার না দেখা সিনেমাগুলি দেখে ফেলব।

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৪| ১৯ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার তালিকার প্রায় অর্ধেকের মত ছবি দেখেছি। বাকি অর্ধেক দেখা হয়নি। এখন আর ছবি দেখা হয় না।
চমৎকার পোস্টে প্লাস। + +

আপনি বোধহয় ব্লগে একটু অনিয়মিত হয়ে গেছেন। গত কয়েকদিনে আপনার বেশ কিছু পোস্টে মন্তব্য রেখেছি। আশাকরি সময় করে একবার দেখে নেবেন।

১৯ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ৫ নং প্রতিমন্তব্যে আরও কিছু ভালো ছবির নাম আছে। ওগুলিও অনেক ভালো।

ব্লগে একটু অনিয়মিত হয়ে গেছি মনে হয়। ইচ্ছায় না অনিচ্ছায় নিজেই নিশ্চিত না। তবে আপনার করা মন্তব্যগুলির উত্তর আমি শীঘ্রই দিব। দুই একটা কিছুক্ষণ আগে দিয়েছি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পুরনো পোস্টগুলিতে মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.