নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অখ্যাত স্কুলে পড়ার কারণে হীনমন্যতায় ভোগা ঠিক না

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোন ভাঙ্গাচুরা স্কুলে পড়াশুনা করেও অনেক মানুষই তাদের কর্মজীবনে এখন চরম সফল। আমাদের আশেপাশে খুজলেই আমরা এই রকম অনেক উদাহরণ দেখতে পাই। এই ব্লগেও হয়ত এরকম অনেকে আছেন। কিন্তু বর্তমান যুগের অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে নামকরা স্কুলে দেয়ার জন্য ঘুষ পর্যন্ত দিচ্ছেন। শোনা যায় দেশের নামকরা কয়েকটা স্কুলে মেধার পাশাপাশি ঘুষের বিনিময়ে ভর্তি করা হচ্ছে। দুই একটা ঘটনা আমিও জানি। কিন্তু শুধু জিপিয়ে মানেই কি মেধা আর সফলতা? আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যারা ভালো ফলাফল করে এদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ আসে অখ্যাত স্কুল/ কলেজ থেকে। কর্মক্ষেত্রেও দেখা যায় যে অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনা করে কর্মজীবনে এখন সামনের দিকে আছে। আমি অনেক অজ পাড়াগাঁয়ের ছেলেকে হাইস্কুলে এবং পরবর্তী জীবনে অনেক ভালো করতে দেখেছি। অনেকে এমনকি দেশের বাইরেও অনেক ভালো আছে। বর্তমানে উন্নত দেশগুলিতে আমাদের যারা প্রবাসী আছেন তাদের একটা বড় অংশ আছেন যারা দেশে সাধারণ স্কুল/ কলেজ থেকে পড়ালেখা করেছেন এবং বর্তমানে সফল।

একটা নামকরা স্কুলে অবশ্যই ভালো ফলাফল করার জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা থাকে। এটা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু যারা প্রকৃত মেধাবী তাদেরকে প্রতিকুল পরিবেশও সাধারণত দমিয়ে রাখতে পারে না। লেখাপড়ায় ভালো করতে হলে মেধা, শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায় থাকতে হয়। মেধাটা মুলত আল্লাহপ্রদত্ত। এটাকে ঝালাই করে কিছু বাড়ানো হয়তো যায়। আর অবহেলা করলে মেধাবী মানুষও ব্যর্থ হয়। মানুষ চেষ্টা করলে অধ্যবসায় এবং শৃঙ্খলা অর্জন করতে পারে। এই কারণেই অনেক অখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছেলেমেয়েরা শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে উপরে উঠে যায়। যাদের মেধা কম তারাও শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ভালো ফলাফল করতে পারে।

অখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছেলেমেয়েরাও যদি উদ্যমী ও পরিশ্রমী হয় তাহলে তারাও ভালো করতে পারে। তবে তারা অনেক ক্ষেত্রে ভালো দিকনির্দেশনা, ভালো শিক্ষক, ভালো নোট, ভালো ব্যবহারিক শিক্ষা পায় না। এই কারণগুলির জন্য তাদেরকে ভালো স্কুলের ছেলেমেয়েদের চেয়ে অনেক বেশী প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এই ক্ষেত্রে ভালো স্কুলগুলি সুবিধা ভোগ করে। এটা একটা বড় সমস্যা। আমাদের দেশের নীতি নির্ধারকদের এবং শিক্ষা বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের উচিত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলিতে ভালো শিক্ষক, ভালো পড়াশুনার উপকরণ, লাইব্রেরী ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। আর দেশের প্রাইমারি ও হাইস্কুলের হেডমাস্টারদের বিশেষ ট্রেনিঙের ব্যবস্থা করা উচিত যেন তারা দেশের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মত সুন্দর প্রশাসন ও শৃঙ্খলা তাদের প্রতিষ্ঠানে তৈরি করতে পারে।

একটা নামকরা স্কুল আর অখ্যাত স্কুলের মধ্যে মূল পার্থক্য হোল নামকরা স্কুলগুলিতে শৃঙ্খলা বেশী। অনেক নামকরা স্কুলের শিক্ষক আছেন যারা সাধারণ মানের। কিন্তু স্কুলের কড়া নিয়ম কানুনের কারণে স্কুলের ছেলেরা পড়াশুনা করতে বাধ্য হয় এবং ভালো ফলাফল করে। সাধারণ স্কুলগুলিও যদি নিয়ম শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করে তাহলে এই স্কুলগুলির ছেলেমেয়েরাও ভালো ফলাফল করবে।

শিক্ষার্থী নিজে যদি দৃঢ় সংকল্প করে তাহলে সাধারণ স্কুলে থেকেও তার পক্ষে ভালো ফলাফল করা সম্ভব। স্কুলের টেক্সট বই ভালো করে পড়লে এবং শিক্ষক ভালো হলে প্রাইভেট পড়তে হয় না। আমি আমার স্কুল জীবনে একমাস শুধু প্রাইভেট পড়েছিলাম পরীক্ষামূলকভাবে। কিন্তু এখন সমস্যা হোল অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীর মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে কোচিং না করলে আর ভালো স্কুলে না পড়লে ভালো ফলাফল করা যায় না। সংকল্পের দৃঢ়তা থাকলে সাধারন স্কুলে থেকেও ভালো ফলাফল করা সম্ভব। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ৮০% নির্ভর করে শিক্ষার্থীর নিজের যোগ্যতা ও প্রচেষ্টার উপর আর বাকি ২০% নির্ভর করে সে কোন স্কুলে পড়ছে।

তাই সর্বশেষে বলব যে নামকরা স্কুলে ভর্তি হতে পারলে ভালো। কিন্তু যারা সাধারণ স্কুলে পড়ছে তাদের এই কারণে হীনমন্যতায় না ভুগে লেখাপড়ায় মন লাগাতে হবে। চেষ্টা করলে তারাও অনেক ভালো ফলাফল করতে পারে। অনেকে করেও। বাকিরাও চেষ্টা করলে পারবে। ঘুষ দিয়ে ভালো স্কুলে ঢোকা কিংবা কোচিং নির্ভর পড়াশুনা কোন ভালো লক্ষণ না। সামান্য কিছু প্রতিবন্ধকতা ছাড়া ভালো ফলাফলের মূল চাবিকাঠি শিক্ষার্থীর হাতেই থাকে। আর সাধারণ স্কুলের শিক্ষার্থীরাও কর্মজীবনে যে অনেক ভালো করছে এই কথা তারা যেন ভুলে না যায়। আরেকটা কথা হোল কর্মজীবনে শুধু গ্রেড দিয়ে ভালো করা যায় না। গ্রেডের পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের উন্নয়ন, ইন্টার পারসোনাল কমিউনিকেশন স্কিল, নেটওয়ারকিং, প্রতিকুল পরিবেশ মোকাবেলা করার মানসিক সক্ষমতা, কর্মের উপযোগী ব্যবহারিক জ্ঞান, আইসিটি নলেজ ইত্যাদিও জরুরী। এগুলি না থাকলে ভালো গ্রেড থাকা সত্ত্বেও অনেকে কর্মজীবনে ভালো করতে পারে না।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল আলোচনা, শহরে ছেলেমেয়েদের নামকরা স্কুলে ভর্তি করার জন্য এমন কিছু নেই যা বাবা মা করেন না, পড়াশোনা আসলে নিজের কাছে তবে স্কুলে ডিসিপ্লিন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে সব স্কুলে শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা বেশী এবং স্কুল পরিচালনায় ভালো লিডার আছে সেই স্কুলগুলি একসময় ভালো করে। ভালো স্কুলের নিয়ম কারণের প্রভাবে শিক্ষার্থীরাও ভালো করে। তবে পড়াশুনায় শিক্ষার্থীর নিজের আগ্রহ সব চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান অভিভাবকেরা শিক্ষার্থীকে স্বাবলম্বী না করে নিজেরাই বেশী ভুমিকা রাখতে চায়। ফলে অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ভাবে যে অভিভাবক বললে পড়াশুনা করবো। নিজস্ব তাগিদে পড়তে চায় না।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োচিত একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ। তবে আমি মনে করি- ভালো স্কুলের ছাত্রদের অলমোস্ট সবাইর একটা স্টান্ডার্ড থাকে। যেমন, ক্যাডেট কলেজের ছাত্রদের মধ্যে এভারেজ/কমন স্টান্ডার্ড ৮৫%-৯০% এবং বাকীরা এক্সট্রা অর্ডিনারী, ২/১% বিলো স্টান্ডার্ড। অন্যদিকে অখ্যাত কিম্বা মফস্বল এর স্কুলের এক্সট্রা অর্ডিনারী ভালো ছাত্র ২/৪ জন হয়- যাদের বেশীরভাগই গড গিফটেড মেধাবী।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো স্কুলে খারাপ ছাত্র কদাচিৎ ভর্তি হয়। ফলে ভালো স্কুলে শিক্ষকদের পাঠদানে কম বেগ পেতে হয়। অনেক ভালো স্কুলের শিক্ষকদের মান নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। কিন্তু স্কুলের সার্বিক সিস্টেমের প্রভাবে এবং শিক্ষার্থীরা মেধাবী হওয়ার কারণে সমস্যা হয় না। অনেক অখ্যাত স্কুলে অনেক ভালো ভালো শিক্ষক আছে। কিন্তু তারা অবহেলিত।

গড গিফটেড মেধা না থাকলেও শুধু পরিশ্রম আর শৃঙ্খলার কারণে অনেক ছাত্র ভালো করতে পারে।

আবার কোন বিভাগ কোন শিক্ষার্থীর জন্য ভালো হবে এটা নির্ণয় করা জরুরী। আমাদের সময় ক্লাস নাইনে ১০ জনকে জোর করে মানবিকে দেয়া হয় কারণ তারা বিজ্ঞানে কয়েক বিষয়ে ফেল করছিল। মানবিকে আসার পর এদের থেকে ২/৩ জন বোর্ডে স্ট্যান্ড করে। এরা বিজ্ঞানে থাকলে খারাপ ফলাফল করতো এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের জন্য আসলে তিন ধরণের মেধা লাগে। অনেক বিজ্ঞানের ছাত্রকে দেখেছি বাণিজ্য বিভাগে ডাব্বা মারতে।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমার জন্ম গ্রামে এবং গ্রামের পাঠশালায় আমি অ আ ক খ পড়া শিখেছি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সম্ভবত ইংল্যান্ডে থাকেন। আমার এক বন্ধুর বাড়ি ছিল সিলেট। সে আমাদেরকে বলত "আমি আমার লেখাপড়া শুরু করেছি গাছের নীচে পাঠশালায়। আমি এত দূর আসতে পারবো এটা আমার ধারণা ছিল না।" এখন সে লন্ডনে একজন পেশাদার একাউনটেনট এবং নিজে একটা একাউনটিং ফার্মের মালিক। তবে সে ছিল প্রচণ্ড পরিশ্রমী এবং দৃঢ়চেতা। মেধার দিক থেকে তাকে গড় মানের বলা যায়।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো স্কুলে খারাপ ছাত্র কদাচিৎ ভর্তি হয়। ফলে ভালো স্কুলে শিক্ষকদের পাঠদানে কম বেগ পেতে হয়। অনেক ভালো স্কুলের শিক্ষকদের মান নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। কিন্তু স্কুলের সার্বিক সিস্টেমের প্রভাবে এবং শিক্ষার্থীরা মেধাবী হওয়ার কারণে সমস্যা হয় না। অনেক অখ্যাত স্কুলে অনেক ভালো ভালো শিক্ষক আছে। কিন্তু তারা অবহেলিত।

গড গিফটেড মেধা না থাকলেও শুধু পরিশ্রম আর শৃঙ্খলার কারণে অনেক ছাত্র ভালো করতে পারে।

আবার কোন বিভাগ কোন শিক্ষার্থীর জন্য ভালো হবে এটা নির্ণয় করা জরুরী। আমাদের সময় ক্লাস নাইনে ১০ জনকে জোর করে মানবিকে দেয়া হয় কারণ তারা বিজ্ঞানে কয়েক বিষয়ে ফেল করছিল। মানবিকে আসার পর এদের থেকে ২/৩ জন বোর্ডে স্ট্যান্ড করে। এরা বিজ্ঞানে থাকলে খারাপ ফলাফল করতো এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের জন্য আসলে তিন ধরণের মেধা লাগে। অনেক বিজ্ঞানের ছাত্রকে দেখেছি বাণিজ্য বিভাগে ডাব্বা মারতে।


একমত।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমার কাছে মাঝে মাঝে মনে হয় লেখাপড়ার পাশাপাশি সব ধরণের মানুষের সাথে মিশতে পারার যোগ্যতা অর্জন করা খুব দরকারি। সামাজিক যোগাযোগে দক্ষতার কারণে অনেক গড়পড়তা মেধাবী মানুষ অনেক সফল হয়।

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, আমি লন্ডন থাকি।

আমরা কে কী তা নির্ভর করে আমরা নিজের সম্বন্ধে কেমন চিন্তা করি।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় লাইনটা প্রণিধানযোগ্য। মানুষের জীবনের সাফল্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক এই কথার মধ্যে লুকিয়ে আছে। কেউ কথাটা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারলে তার জীবন চলা সহজ হবে।

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

সোবুজ বলেছেন: তুলনা মুলক ভাবে ঢাকা কলেজের ছেলেরাই ভাল করে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকা কলেজ প্রথম সারির কলেজ তাই এই কলেজের ছেলেরা অবশ্যই ভালো করে। কিন্তু ঢাকা কলেজে পড়তে পারি নাই এই রকম আফসোস যেন কারও না থাকে।

৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০০

প্যারাডাইম বলেছেন: কিছু ঝামেলা থেকেই যায়, গ্রামের স্কুলগুলোতেও এখন আর সেই ডেডিকেটেড শিক্ষক আশা করাটা বোকামী, কেননা, সেখানকার শিক্ষকরা যে নিয়োগ পদ্ধতির মাধ্যমে আসে তা হাস্যকর।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গ্রামের স্কুলে এই সমস্যা আছে এটা ঠিক। তবে শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করলে ভালো করতে পারে।

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




আমি বলবো শুধু এটাই একটি কারন না, আরও এমন অনেক কারনে মানুষের মাঝে যে হীনমন্যতা কাজ করে এটা ঠিক না । ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স এবং সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স দুটোই খারাপ।

কি অবস্থায় ছিলো বা কেমন অবস্থা থেকে এসেছে এটা কোনও সাবজেক্ট না, নিজ গুনে কি অর্জন করেছে সেটাই মুখ্য ।
বরং যার চলার পথ যত অমসৃণ ছিলো, সেখান থেকে কষ্ট করে উঠে আসা আরও অনেক বড় ক্রেডিট,
না চাইতেই সব পেয়ে যাওয়ায় সেই তৃপ্তি থাকে না ।
ভালো একটা টপিকে লিখেছে সাচু ।



৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুইটা কমপ্লেক্সই খারাপ। একমত আপনার সাথে।

আপনার পুরো মন্তব্যটাই ভালো লেগেছে। চমৎকার কিছু কথা বলেছেন।

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন:




চমৎকার একটা বিষয় উপস্থাপন করেছেন প্রিয় ব্লগার।
একটু ব্যস্ততা রয়েছে। পরে বিস্তারিত মন্তব্যে আসবো।

আপাতত নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা। ব্যস্ততা কাটলে আবার আসবেন আশা করি।

১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫১

এপোলো বলেছেন: সাম্প্রতিক ট্রেন্ড দেখে মনে হচ্ছে, অনেক অভিভাবক আছে তাদের সন্তানের উপর ভরসা না রেখে স্কুলের উপর বেশি ভরসা রাখে। এই ট্রেন্ড সামগ্রিকভাবে জাতির জন্য ক্ষতিকর। নিজের সন্তানের বিকাশ কোনদিকে হবে সেটা সাধারণত অভিভাবকেরাই সবচেয়ে ভালভাবে নির্ধারন করতে পারে। স্কুলের পরিচালকেরা থাকেন ওভারওল স্ট্যাটিসটিকস নিয়ে। ১০০ জনের মধ্যে ৭৫ জন এ+ পেলেই হয়ত ওরা বাকি ২৫ জনকে বাকির খাতায় ফেলে দেবেন। এতে ওদের দোষের কিছু নাই। এইভাবেই যেকোন সিস্টেম চালাতে হয়। "কিন্তু, আপনার সন্তান যদি ঐ ২৫ জনের মধ্যে পরে, তখন কি করবেন?" এই প্রশ্নটা সব অভিভাবকের মনে মনে ভাবা উচিত। স্কুল যতই ভাল হোক, সন্তানের সঠিক বিকাশে অভিভাবকের ভূমিকা কখনোই বাদ দেয়া যাবে না।
বর্তমান হাল চাল দেখে মনে হচ্ছে, অভিভাবকেরা তাদের দায়িত্ব থেকে সরে আসার ম্যাজিক ফর্মুলা খুজছে। এই ট্রেন্ড থেকে সরে আসা দরকার।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন। আপনার কথার সাথে আমি একমত।

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৭

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: সঠিক বলেছেন ।
ঢাকায় পড়াতে হবে শহরে পড়াতে হবে ক্যাডেটে পড়াতে হবে
জিলা স্কুলে পড়াতে হবে
যারা এই মহান আব্বু আম্মু তাদের অবশ্যই মানসিক রোগী বিবেচনা করে উপযুক্ত চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে হবে ।
টানা দশ বছর নিজেকেই বারো মাইল দুরে শহরে গিয়ে পড়তে হইছে । বাবাকে সেই কথা মনে করিয়ে দেই । উনাকে মনে করিয়ে দেই নিজের বর্তমান অবস্থা ,মনে করিয়ে দেই ...অন্তত আমার শৈশব আরো সুন্দর হতে পারতো ।অন্তত খেলাধুলা করতে পারতাম ।

আশেপাশের বহু মানুষের মনের কথা এইটা । কিন্তু তারাও সব ভুলে যায় ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি জীবনে অনেকবার স্কুল বদল করেছি। এই কারণে আমার পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটেছে বলে আমার কখনও মনে হয়নি। বাবা- মাও স্কুল নিয়ে এত চিন্তা করতো না। ছেলে পরীক্ষায় ফলাফল ভালো করছে কি না শুধু এইটুকু খবর রাখত।

সন্তানের পিছে সব সময় লেগে না থেকে সন্তান যেন নিজে থেকে পড়াশুনায় যত্নবান হয় সেই চেষ্টা করা উচিত।

১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৯

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর টপিকে সমৃদ্ধ পোস্ট। জটিলবাদ রইলো।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জটিল ভাই। পরবর্তী পোস্ট হবে গাধাদের নামীদামী স্কুল নিয়ে। :)

১৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

জ্যাকেল বলেছেন: প্রকৃত সত্য হইতেছে হোম স্কুলিং অনেক ভাল অপশন যদি মা-বাবার মধ্যে সঠিক জ্ঞান থাকে। আজকাল গ্রামের স্কুলের অবস্থা তো চিন্তার বাইরে যেখানে শহরের স্কুলের ছাত্রদেরই যে অবস্থা দেখতেছি।

আপনার বাচ্চাদেরকে শিক্ষাগ্রহণ করার জন্য শুধু স্কুলের ওপর নির্ভর করলে মারাত্মক ভুল করবেন। স্কুলে আজকাল নামমাত্র সিলেবাসের ওপর সবক দেওয়া হই, ইহা কোনক্রমেই শিক্ষা নহে। শিক্ষা অর্জন করতে হয় নিজের চেষ্টা থেকে যেটা মা-বাবা/পরিবাব/প্রতিবেশী থেকে অটোমেটিকেলি হয়। এই প্রক্রিয়ায় সুক্ষ নজর রেখে আপনি যদি বাচ্চার শিক্ষার্জন পরিচালনা করতে পারেন, এর চেয়ে উত্তম রাস্তা আর হয় না।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার হোম স্কুলিং আইডিয়াটা ভালো লেগেছে। শুধু স্কুল নির্ভর শিক্ষা পরিপূর্ণ শিক্ষা নয়। আপনার পরামর্শগুলির জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: একটা ভালো পোষ্ট দিয়েছেন।
আপনার পোষ্টের সাথে সহমত।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি আপনার হাতির বাচ্চার পোস্টটা শুধু শিরোনাম দেখে মন্তব্য করেছিলাম। এটা আপনার মেয়ে সংক্রান্ত এটা আমার জানা ছিল না। এই কারণে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।

১৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৮

শায়মা বলেছেন: ভালো স্কুল আসলেই কি? কিছু নীতিমালা, শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার উপকরণ, সুযোগ সুবিধা অনেক কিছুই হয়ত ভালো বা বড় স্কুলে থাকে। তবুও একজন মানুষের দৃঢ় প্রত্যয়ের কাছে কোনো বাঁধাই বাঁধা না। নিজের ইচ্ছার উপরে শেখার চেষ্টার উপরে আসলেই কিছু নেই।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি গরুর রচনা লিখেছি। আর আপনি সেটার সারাংশ করেছেন। আপনি শিক্ষক হিসাবেও দক্ষ মনে হচ্ছে। আপনার ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো বলতে পারবে অবশ্য।

খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন ' একজন মানুষের দৃঢ় প্রত্যয়ের কাছে কোনও বাঁধাই বাঁধা না। নিজের ইচ্ছার উপরে শেখার চেষ্টার উপরে আসলেই কিছু নেই।'

১৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২০

শায়মা বলেছেন: গরুর রচনা তবুও ভালো। গাধার রচনা স্কুলে শিখিনি এখন শিখেছি। :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আবারও গাধা!!!! :)

১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৫

শায়মা বলেছেন: এই যে ভাইয়ু কেমন আছো???

লাস্ট পোস্টে আর ভয়ে ঢুকিনি।

হাসির দায়ে যদি আবার ফাঁসি দাও.......

রেগে মেগে তো কাই মাই হয়ে গেছিলে সেদিন রাতে।

হাসি দেখে গা জ্বলে গেলো মনে হয় যাই হোক তারপর সেই কথা ভেবে আমি আরও হাসতে হাসতে হাঁসের মাংস রান্না করে ফেললাম।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উপর আমি কি রাগ করতে পারি? কখনই না। আমি রাগের ভান করেছিলাম। আশা করি আত্মীয় স্বজনের বিয়েশাদীর ব্যস্ততার পর এখন একটু অবসরে আছেন।

হাসের মাংস আমার খুব প্রিয়।আপনার ভাবির কাছ থেকে খাওয়া শিখেছি। ভালো থাকবেন, হাসিখুশি থাকবেন এই কামনা করছি।

১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩০

গরল বলেছেন: আমাদের দেশের লেখাপড়া কি এখন আর স্কুলে হয় নাকি, হয় তো কোচিং, বাসা আর প্রাইভেট টিউটরের কাছে। স্কুল তো শুধুই শো-অফ। অনেক ভেবেচিন্তে আমি আমার মেয়েকে নালন্দায় ভর্তি করিেছিলাম কারণ তাদের দুইটা নিয়মের কারণে। ১) বাসায় পড়ানো যাবে না আর ২) প্রাইভেট টিউটর রাখা যাবে না বা কোচিং করানো যাবে না। এসব বুঝতে পারলে সন্তানকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে এই মর্মে কাগজে স্বাক্ষর করেছিলাম। নালন্দার মূল্যায়ণপত্র ছিল এরকম, যেমন ধরুন বিজ্ঞান, ১) বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ (A-F), 2) না বুঝলে প্রশ্ন করে কিনা, ৩) অন্যের সাথে বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করে কিনা, ৪) ব্যাবহিরিক কার্য্যে নিজে থেকে অংশগ্রহণ করে কিনা, ৫) ব্যাবহারিক কাজে কারো সাহাজ্য লাগে কিনা বা লাগলে কতভাগ লাগে। ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন কানাডায় এসেও দেখলাম একই পদ্ধতিতে লেখাপড়া। অতএব আমাদের স্কুল ও পড়াশুনা আসলেই অনেক পুরাতন পদ্ধতিতে চলে। জাপানের পড়াশুনার পদ্ধতি আরো উন্নতমানের মনে হয়েছে। ওদের পদ্ধতি নিয়ে লিখেছিলাম। ইচ্ছা হলে পড়ে দেখতে পারেন যদি আগ্রহ থাকে।
জাপানের শিক্ষা ব্যাবস্থা হতে পারে আমাদের জন্য অনুকরনীয় - পর্ব ১ প্রাইমারি
জাপানের শিক্ষা ব্যাবস্থা হতে পারে আমাদের জন্য অনুকরনীয় - পর্ব ২ জাপানিজ স্কুলের বৈশিষ্ট

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে লেখা ১ম পর্বটা পড়েছি এবং মন্তব্য করেছি। ২য় পর্ব পরে পড়বো এবং মন্তব্য করবো ইনশাল্লাহ।

আমাদের দেশের শিক্ষা বিভাগের বড় বড় কর্মকর্তারা তো শুনেছি অনেক উন্নত দেশে প্রশিক্ষণের জন্য যায়। তারা কেন উন্নত দেশের এই পদ্ধতিগুলি আমাদের দেশে প্রয়োগ করার উদ্যোগ নেয় না এটা আমার মাথায় আসে না। আসলে ওনাদের ছেলেমেয়েরা বেশীর ভাগই বিদেশী পাঠ্যক্রমে পড়াশুনা করে তাই ওনাদের এইসব নিয়ে মাথা ব্যথা নাই। বড় চাকরী করে, বড় বেতন নেন। এইসব ভাবার সময় কোথায়।

১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

শায়মা বলেছেন: না তুমি বড়ই নিরাপদ মানুষ সেটা বুঝাই যায় ভাইয়ু।

না বিয়ে শাদীর পর ব্যাস্ততার চাইতে আমার একটু বিষন্নতার কারণ ঘটেছে।

যদিও এই বিষাদ সম্পূর্নই আবেগীয়।

কিন্তু বিষাদ ভুলতে দেবদাসের মত পথ অবলম্বন করবো কিনা চিন্তায় আছি। :(

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মত যারা শিল্প, সাহিত্য নিয়ে কাজ করে তাদের আবেগ, অনুভুতি একটু বেশী থাকে। ফলে মাঝে মাঝে মন বিষণ্ণ হয়ে যায়।

মন খারাপ লাগলে ব্লগে আমরা তো আছি। আমাদের সাথে গল্প করে মনটাকে আবার চাঙ্গা করে তুলতে পারেন।:)

২০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৪

শায়মা বলেছেন: আমার আবার সবকিছুই বেশি বেশি।

তাই তখন মন খারাপের বেশি বেশিতে কিছুই হয় না ভাইয়া। :(

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাসিখুশি মানুষ বিষণ্ণ হলে ভালো লাগে না। বাকিরাও তার চিন্তায় বিষণ্ণ হয়ে যায় তখন।

২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৭

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন:

সুন্দর আলোচনা। সত্যিই, মেধাকে কখনো বেঁধে রাখা যায়না,1 প্রতিকূল পরিবেশেও তার বিকাশ ঘটবেই।


শুভেচ্ছান্তে,

- দেয়ালিকা বিপাশা

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে লেখাপড়ায় ভালো করার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলির উন্নয়ন প্রয়োজন হয়। স্কুলগুলির উচিত এই বিষয়গুলির প্রতিও নজর দেয়া। একজন ছাত্র বা ছাত্রীরও নিজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করা উচিত।

আপনি নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনি মনে হয় অনেক রাত জেগে পড়াশুনা করেন। আপনার এই পরিশ্রম সার্থক হোক এই দোয়া করছি। আর পরীক্ষার চাপ কমলে আরও বেশী ব্লগে সময় দিবেন এই কামনাও করছি।

২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: ইনশাআল্লাহ। চেষ্টা করব ব্লগে নিয়মিত আসার। আপনার দোয়া এবং যত্নশীলতার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।


- দেয়ালিকা বিপাশা

২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। :)

২৩| ০৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেছেন, ধন্যবাদ।

কোন কিছু নিয়েই হীনমন্যতা থাকা উচিত নয়, এটা মানুষকে দুর্বল করে দেয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানের সাথে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি, যেমন অভিভাবক, ব্যবসায়ী কিংবা রাজনীতিবিদের জড়িত থাকতে দেয়া সমীচীন নয়। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রমে শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা ও স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। ৭ নং মন্তব্যটিতে এর সত্যতা সম্বন্ধে কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়।

ছাত্রদের মনে জ্ঞিজ্ঞাসা সৃষ্টি করে, এমন পাঠ্যক্রম থাকা উচিত, শিক্ষা পদ্ধতিও তেমনই হওয়া উচিত। তাদের শুধু মেধাই নয়, শ্রমেরও স্বীকৃতি দেয়া উচিত এবং মেধা ও শ্রমের সমন্বয়ে তাদের লক্ষ্য অর্জনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করা উচিত।

এপোলো, শায়মা, জ্যাকেল, গড়ল প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে।

পোস্টে অষ্টম প্লাস। + +


১৩ ই মে, ২০২২ রাত ১০:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পুরো মন্তব্যের সাথেই একমত।

আসলেই আমাদের যে কোন ধরণের হীনমন্যতা থেকেই বাঁচতে হবে।

স্কুল পরিচালনায় এমন লোকদেরই নেয়া উচিত যেন স্বার্থের সঙ্ঘাত না হয়।

শিক্ষার্থীরা মেধার সাথে শ্রমও দিয়ে থাকে। অনেকে অনেক শ্রম দেয় কিন্তু মেধা কম থাকার কারণে তেমন ভালো করতে পারে না। এই ব্যাপারগুলি বিবেচনা করা উচিত। পাঠ্যক্রম এমনভাবে তৈরি করা উচিত যেন শিক্ষার্থীদের মনে অনুসন্ধিৎসার সৃষ্টি হয় এবং পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ জন্মে।

অনেক পুরনো পোস্ট পড়া এবং লাইক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.