নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুর্ঘটনা, হত্যা বা আত্মহত্যা ছাড়া আকস্মিক মৃত্যুর ০.৬% কারণ হোল যৌন মিলনের সময়ের অতিরিক্ত উত্তেজনাজনিত হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোক। আকস্মিক মৃত্যর ঘটনা এমনিতেই খুব বিরল। তার মধ্যে আরও বিরল হোল মিলনের সময় মৃত্যু। তবে এই ধরণের ঘটনা দেশে-বিদেশে, বর্তমানে- অতীতে ঘটে/ঘটেছে। এই ধরণের মৃত্যুকে ‘Dying in the saddle’ বলা হয়। তবে শুধু যৌনমিলনের উত্তেজনার কারণে মৃত্যু কম হয়ে থাকে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যৌন উত্তেজক ড্রাগ (ভায়াগ্রা, কোকেন ইত্যাদি) এবং এলকোহল দায়ী থাকে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক ও হৃদরোগীরা এই ধরণের মৃত্যু বরণ করে থাকেন। এই যুগে এবং অতীতে অনেক অখ্যাত এবং বিখ্যাত ব্যক্তি এইভাবে মারা গিয়েছেন।
যেমন –
১। নেলসন এলদ্রিচ রকফেলার ( আমেরিকার ৪১তম ভাইস প্রেসিডেন্ট)- ১৯৭৯ সালে ৭০ বছর বয়সের নেলসন রকফেলার তার ২৫ বছর বয়সী নারী সহকারীর সাথে যৌন মিলনের কারণে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান।
২। পুলিশ কর্মকর্তা উইলিয়াম মারটিনেজ- ২০০৯ সালে ৩১ বছর বয়সে এই পুলিশ কর্মকর্তা আটলান্টার একটা মোটেলে তার বন্ধু সহ এক নারীর সাথে যৌন মিলনের সময় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়।
৩। খৃস্টান ধর্মগুরু জিয়ান ড্যানিয়েলু - ১৯৭৪ সালে এই খৃস্টান ধর্মগুরু ৬৯ বছর বয়সে একটা পতিতালয়ে যৌন মিলনের সময় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়।
৪। অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদ স্যার বিলি স্নেডেন – ১৯৮৭ সালে এক নারীর সাথে যৌন মিলনের সময় ৬০ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। ১৯ বছর পর তার যোগ্য পুত্র যে সেই সময়ের মধ্যে সেই একই নারীর প্রেমিক হয়ে গেছে (তার পিতার যৌনসঙ্গি), জানায় যে তার পিতা আনন্দের সাথেই মৃত্যু বরণ করেছে এবং যে কোন মানুষ কাজের সময় মৃত্যু বরণ করতে পেরে গর্বিত হয়।
জার্মানিতে গবেষকরা ১৬৪৩৭ টি আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে শুধু পুরুষ না নারীরাও যৌন মিলনের সময় মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারেন যদি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস থাকে কিংবা যৌন উত্তেজক ড্রাগ বা এলকোহল নিয়ে থাকে ( এই কারণগুলি ছাড়া এই ধরণের মৃত্যু খুব বিরল)। এছাড়া অনেক বিকৃত মনের মানুষের ধারণা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমাতে পারলে হস্তমৈথুন বেশী উত্তেজনাকর হয়। এরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমাতে চেষ্টা করে ( যেমন দড়ি, স্কার্ফ, প্লাস্টিক ব্যাগ ইত্যাদি দিয়ে বেঁধে নিজের শ্বাস কিছুক্ষনের জন্য থামিয়ে দেয়া)। এই কারণে অনেক সময় মানুষ শ্বাস বন্ধ হয়ে বা হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। এছাড়া পুরুষের লিঙ্গের ইরেকশন সমস্যার জন্য যে ওষুধ নেয়া হয় কিংবা পার্টি ড্রাগ বলে পরিচিত এমাইল নাইট্রেট যারা নেয় তারাও অনেকক্ষেত্রে মিলনের সময় মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
স্বাস্থ্যগত কারণ ছাড়াও আরও কিছু বিচিত্র কারণে যৌন মিলনের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটার নজির আছে। যেমন
১। ক্যালিফোর্নিয়াতে ১৯৯৬ সালে সান্দ্রা লরেনা অরেল্লানা নামের ২৭ বছরের একটি মেয়ে তার ৩৩ বছর বয়স্ক বসের সাথে যৌন মিলনের সময় শেরাটন হোটেলের ১০ তলা থেকে নীচে পড়ে যায় এবং মারা যায়।
২। পেন্সিল্ভেনিয়াতে ২০০৮ সালে এক মহিলা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তিনি তার স্তনে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য কোন বৈদ্যুতিক গ্যাজেট ব্যবহার করছিলেন।
৩। রোমানিয়াতে ১৯৯৯ সালে মারিও বুগেনু নামের একজন ফুটবল খেলোয়াড় এক নারীর সাথে গাড়িতে সেক্স করার সময় কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের বিষক্রিয়ায় উভয়ে মারা যান। গাড়ির ইঞ্জিন চালু ছিল ঐ সময়।
৪। জিম্বাবুয়েতে ২০১৩ সালে শারাই মাওয়েরা নামের একটা মেয়ে জঙ্গলে যৌনকর্মের সময় সিংহের কামড়ে মারা যায়।
৫। সাউথ ক্যারোলিনাতে ২০০৭ সালে একজন পুরুষ ও নারীর নগ্ন দেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের কাপড়চোপড় পাওয়া যায় রাস্তার পাশের একটা দালানের ৫ তলাতে। তারা যৌন মিলনের সময় উপর থেকে পড়ে গিয়েছিলো।
৬। ওয়াশিংটনের ডোনা লাঞ্জি নামের ৫১ বছর বয়সী এক মহিলার স্তনের দ্বারা শ্বাসরোধ হয়ে তার প্রেমিক মারা যায়।
সর্বোপরি বলা যায় যে যৌন মিলন আনন্দদায়ক হলেও স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে সতর্ক থাকতে হবে। যে রুমে বা স্থানে মিলিত হচ্ছে সেই জায়গাটা নিরাপদ কি না সেটা নিশ্চিত করার দরকার আছে। প্রয়োজনে বেড রুমে ইসিজি, ইটিটি, ইকো, ব্লাড প্রেশার মেশিন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখতে হবে আর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর এক রুমে থাকা ঠিক হবে না। অতি উত্তেজনা লাভের আশায় যৌনতা নিয়ে উলটাপালটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে অক্কা পাওয়াটাও মেনে নেয়া যায় না। যৌন উত্তেজক ড্রাগ বা অ্যালকোহলের বাড়াবাড়ি যৌন মিলনের সময় মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। বাংলাদেশে বছরখানেক আগে কম বয়সী একটা ছেলে ও মেয়ে যৌন মিলনের সময় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে মারা যায়। তাই মিলনের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম কানুন, সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।
ছবি - depositphotos.com
সুত্র-
https://en.wikipedia.org/wiki/Death_during_consensual_sex
https://www.mid-day.com/lifestyle/health-and-fitness/article/dying-during-sex-sexual-health-sex-studies-research-post-coital-death-17383179
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো হাসের মাংস বেশী খান। তাই অকারণেই হাসেন। আপনাকে আপনার আত্মীয়, পাড়া প্রতিবেশী সম্ভবত হাসি আপা বলে ডাকে বলেছিলেন। এই রকম দরকারি একটা পোস্ট পড়ে আপনার হাসি আসল কেন আমি বুঝতে পারছি না। মানুষের মৃত্যু নিয়ে মশকরা করা ঠিক না। কর্ম জীবন ছাড়াও জীবনের প্রত্যেকটা কাজের একটা standard operating procedure থাকে। এই পোস্টে একটা দরকারি standard operating procedure নিয়ে আলাপ করেছি। আশা করি সবাই উপকৃত হবে।
তবে জেনে হোক আর না জেনে হোক প্রথম মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই ধরনের সংবাদ আগেও কোথায় যেন পড়ে ছিলাম।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন পর্ণ ম্যাগাজিনে পড়ে থাকতে পারেন। তবে মূল ধারার পত্রিকাতেও এই সংবাদ্গুলি আসে।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:২৯
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমি বুঝেছি এটা দরকারী পোস্ট মানুষের জানা উচিৎ কিন্তু হাসি পেলে কি করবো বলো?
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কালকে সকালে হাসবেন। এত রাতে হাসলে মানুষ ভাববে আপনাকে জীনে ধরেছে।
আবার বেশী হাসলেও কিন্তু অনেক সময় মানুষ হার্ট অ্যাটাক করে। তাই সাবধানে হাসবেন। চেষ্টা করবেন হাসলে দাত যেন না দেখা যায়।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪০
শায়মা বলেছেন: যাক বাবা ভেবেছিলাম এইবার আর রক্ষা নাই। হাসি দেখে আমাকে বুঝি ব্লকই করে দেবে। যাইহোক আর এই পোস্টে আসছি না। সবাই পড়ে উপকৃত হোক।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তিনবার আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে কেউ ব্লক করতে পারে নাকি! আপনি একজন আদর্শ ব্লগার। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৩৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পড়া দরকার এবং ভয় দুইটাই লেখায় । কী করি ভেবে আসবো
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভেবে আসেন। তবে হার্ট শক্ত থাকলে আর রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে বেশী চিন্তা ভাবনা না করলেও চলবে।
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:৫৪
ইসিয়াক বলেছেন:
ভাভাগো ভাভা মহা হুলুস্থুল অবস্থা ...... অতি দরকারী পোস্ট। সতর্ক করার জন্য ধইন্যাপাতা সহ শুভেচ্ছা রইলো
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সতর্ক থাকা ভালো।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: গোপন বিষয়ে এমন জরুরী তথ্যবহুল লেখা দিয়ে বছরের শুরু করলেন।
এমন খোলামেলা এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অনেকের হার্ট এ্যাটাক হয়ে যাবে ।
মজার বিষয় হলো এই বিষয় নিয়ে একটা গল্প লিখেছিলাম অনেক আগে। ভুলেই গিয়েছিলাম আপনার লেখা পড়ে মনে পরল।
গত বছর নিষিদ্ধ গন্দম নামে বছর শুরুর একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। সময় পলে পড়ে আসবেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার গল্পটা আমি আজকেই পড়ব ইনশাল্লাহ। পড়ার পরে মন্তব্য করবো।
ব্লগে সবাই প্রাপ্তবয়স্ক তাই কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ বিষয় আছে যেগুলি নিয়ে শালীনতা বজায় রেখে আলাপ করলে সমস্যা হওয়ার কথা না। সব কিছুই নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপরে।
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: পোস্টে উল্লিখিত বিষয় আমিও বেশকিছু তথ্য জানি এবং একদল চিকিৎসক একটা মেডিক্যাল সেমিনারে আমাদেরকে এব্যাপারে ব্রিফিং দিয়েছিলেন।
১৯৮৮ সনে ঢাকায় এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল। ততকালীন সোনালী ব্যাংক এর সদ্য অবসরে যাওয়া ডিএমডি একজন দেহপসারিনীর সাথে উত্তেজক মেডিসিন খেয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে ইন্তেকাল ফরমাইয়া মিডিয়ার শিরোনাম হয়েছিল।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাস্যকর ব্যাপার মনে হলেও এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। যারা বয়স্ক এবং যাদের হৃদরোগ কিংবা অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুকি আছে।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও গবেষণায় দেখা যায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঝুকির পরিমান বেশী। বেশীরভাগ ঘটনাই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে।
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: কত অজানারে!!!
এ কি বিষয় নিয়ে আসলেন পচাত্তুরের অর্ধেক কম ভাই
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক জিনিস জানা থাকলে ভয় বেশী লাগে। জানা না থাকলে নির্ভয়ে করা যায়। নাপিতের ফোড়া কাটার গল্প নিশ্চয়ই জানেন। না জানলে বলি;
বহু যুগ আগে এক জায়গায় এক নাপিত ছিল যে মানুষের ফোড়া কাটত ক্ষুর দিয়ে। ফোড়ার রোগীর চিকিৎসা তার জন্য কোন ব্যাপারই ছিল না। ঐ জায়গাতে একজন ডাক্তারও ছিলেন। কিন্তু নাপিতের কারণে তার কাছে ফোড়ার রোগী আসত না। ডাক্তার তখন একটা ফন্দি আঁটল। সে নাপিতকে ডেকে বলল যে তুমি তো ভালোই চিকিৎসা কর। তোমাকে আমি মানুষের দেহের এনাটমি শিখিয়ে দিচ্ছি তাহলে তুমি আরও ভালো ফোড়ার চিকিৎসা করতে পারবে। নাপিত খুশি মনে ডাক্তারের কাছে অ্যানাটমি শিখে নিল।
কিন্তু দেখা গেল এনাটমি শেখার পরে নাপিত আর ফোড়ার রোগী ফোড়া কাটতে সাহস পাচ্ছে না। কারণ যখনই সে ফোড়া কাটতে যায় তখনই তার মাথায় আসে যে এখানে কোন নার্ভ বা রক্তনালী আছে। যখন সে অজ্ঞ ছিল তখন নির্ভয়ে ক্ষুর চালাত।
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কি ভয়ানক তথ্য। তথ্য শেয়ারে ধন্যবাদ ভাই।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু কিছু সাবধান বাণী আছে যেগুলি শুনতে ভয় লাগলেও আসলে তেমন ভয়ের না। যেমন প্রতিদিন আমাদের দেশে গড়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। কিন্তু তাই বলে কি আমরা গাড়িতে চড়া বা রাস্তায় চলাচল করা বন্ধ করে দেব। তবে ঝুকি থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। একেবারে বন্ধ করার দরকার নাই।
১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৯
নতুন বলেছেন: কত কিছু জানার আছে
তবে এমন মৃত্যুতে তো কস্ট সব চেয়ে কম হবার কথা
তবে বেশির ভাগ মৃত্যুই সম্ভবত অতিমাত্রায় ওষূধ সেবন বা অন্য কোন তরিকার কারনেই হয়ে থাকে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুইজনে একসাথে মরলে কষ্ট কম হওয়ার কথা।
একজন বেচে গেলে তার জন্য ব্যাপারটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক, বেশীভাগ ক্ষেত্রেই যৌন উত্তেজক ড্রাগ, অতিমাত্রার এলকোহল মৃত্যুর কারণ। তবে হৃদরোগী ও হাই প্রেশারের রোগীরও সতর্ক থাকা উচিত।
১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যু মৃত্যুই। কোন মৃত্যুই আনন্দের বিষয় না, বা কৌতুককর নয়। সবক্ষেত্রেই একিরকম কষ্ট। তবে পোস্ট পড়ে যা বুঝলাম, বুড়া বয়সে সেক্স করার সময় সতর্ক থাকতে হবে
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মৃত্যু কখনই কৌতুককর হতে পারে না।
ব্লাড প্রেশার, ব্লাড সুগার, ইসিজি, ইকো, ইটিটি ইত্যাদি মাপার মেশিন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার বেড রুমে রাখা জরুরী। আগে ও পরে এই মেশিনগুলি দিয়ে টেস্ট করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর এক রুমে ঘুমানও বিপদজনক।
১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: গতবছর পেপার পত্রিকায় পড়ছিলাম একজোরা নর নারী উত্তেজক ওষুধ খেয়ে আকাম-কুকাম করতে গিয়ে অক্কা পেয়েছে!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গত বছর কলেজে পড়ুয়া একজোড়া তরুণ-তরুণী খালি বাসা পেয়ে আনন্দে লিপ্ত হয়। সম্ভবত তারা যৌন উত্তেজক কোন ড্রাগ নিয়েছিলো। মেয়েটা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয় কয়েকদিন। বেশীর ভাগ ঘটনাই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সংক্রান্ত।
১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ যার মৃত্যু যেভাবে লিখে রেখেছেন সেভাবেই হবে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব কিছুই তো লেখা আছে। তারপরও ভালো কাজের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। এটা একটা পাজলের মত। মানুষের মাথায় সৃষ্টি রহস্যের এই ব্যাপারগুলি কখনই ঢুকবে না।
১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২২
আখেনাটেন বলেছেন: কত অদ্ভুত উপায়েই যে মানুষ ধরাধাম ত্যাগ করে খোদা মালুম। তবে ইনারা ভাগ্যবান যে আনন্দের সাথেই পগার পার হলো...
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাধারণত এইভাবে দুইজনের একজন পগার পাড় হয়। বাকি জনের অবস্থা চিন্তা করেন।
১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৩
আখেনাটেন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সাধারণত এইভাবে দুইজনের একজন পগার পাড় হয়। বাকি জনের অবস্থা চিন্তা করেন। --- থামেন..বাকি জনের কথা চিন্তা করে আমাকেও পগার পার করার ব্যবস্থা করতে চান নাকি.....
তারচেয়ে এই ভালো.......চিন্তামুক্ত থাকি....
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারও সেই কথা, 'এই ভালো .......... চিন্তামুক্ত থাকি'। বেশী চিন্তা ভাবনা করে আসলে জীবন উপভোগ করা যায় না।
১৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিলি স্নেডেন এর সুপুত্র (৪ নং উদাহরণ) বাপের ব্যাটা বটে!
আপনার এ পোস্টকে রম্য না তথ্যমূলক পোস্ট ভাববো, সেটাই ভাবছি!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটাকে একটা তথ্যবহুল রম্য পোস্ট বলা যেতে পারে। তবে আসলে রম্য লেখার উদ্দেশ্য নিয়ে লেখিনি। পরবর্তীতে উপরের অনেক মন্তব্যের চাপে পড়ে পোস্টটা কিছুটা রম্য রূপ ধারণ করেছে। ফলে আমিও প্রতি-মন্তব্যে কিছুটা রম্যের ছোয়া রাখার চেষ্টা করেছি।
বিলি স্নেডেন ও তার পুত্রের কাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে কত সহজভাবে তারা ব্যাপারটাকে নিয়েছে। ভালো থাকবেন।
১৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমার এলাকায় পরিচিত এক ব্যক্তি হার্ট এটাক করে মারা যায় বাসর রাতেই! বড় মর্মান্তিক ঘটনা ছিল সেটা। যদিও মানুষ হাসাহাসি করে এই বিষয়গুলো নিয়ে তবুও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সবার সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এসব বিষয়ে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জী ঠিক বলেছেন। বড়ই মর্মান্তিক ঘটনা শোনালেন। আমি গুরুগম্ভীর কোন বিষয় নিয়ে লিখলেও সবাই হাসে।
১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য।
২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৬
বিটপি বলেছেন: স্তনের মাঝে শ্বাসরোধ হয় কিভাবে মারা যায়? নাক মুখ দুটোই কিভাবে স্তনের মাঝে আটকা পড়ে? এরকম পরিস্থতিতে গায়ের জোর ব্যবহার করে ছুটে যাবার কথা। মহিলা কি তার প্রেমিককে বেঁধে রেখেছিল?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক মেয়ের ব্রেসট অস্বাভাবিক বড় থাকে। ঐ মহিলা মাতাল অবস্থায় ছিল। তার ওজন ছিল ৮৯ কেজি। প্রেমিকের ওজন তার চেয়ে ৬ কেজি কম ছিল। মহিলার উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং তার প্রেমিকের উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। ঐ মহিলা প্রেমিকের পেটের উপর বসে প্রেমের আবেগে প্রেমিককে চেপে ধরেছিল। ঘটনাস্থলে ঐ দুজন ছাড়াও আরেকজন পুরুষ ও ৩ জন নারী ছিল।
https://www.dailymail.co.uk/news/article-2263190/Donna-Lange-51-smothers-boyfriend-death-breasts-drunken-row-caravan.html
একই ধরণের ঘটনা পাবেন নীচের লিঙ্কে। তবে এই ক্ষেত্রে পুরুষটি ভাগ্যক্রমে বেচে যায়।
https://www.cbsnews.com/news/report-man-nearly-killed-by-giant-breasts-i-thought-my-time-had-come/
২১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫১
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর
বহুদিন পর ব্লগে এসে প্রথমে আপনার পোষ্ট পড়তে ঢুকে গেলাম। উপকারী এবং বেশ ইনফরমেটিভ পোস্ট এটা সত্যি কথা কিন্তু পোস্টটি পড়ে হাসি এবং লজ্জা দুটোরই সম্মুখীন হয়েছি
মৃত্যুরও কত রকমফের রয়েছে!! আশা করি বেঁচে থাকারও নিশ্চয় এমনই অনেক রকমফের রয়েছে, বেঁচে থাকার এমনই কিছু নজির যেন আগামীতে পড়ার সুযোগ হয় সে অপেক্ষায় রইলাম। সবশেষে বলতে চাই প্রতিবারের মতোই ভিন্নধর্মী কিছু লিখেছেন।
আশা করি আপনি ভালো আছেন। অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
- দেয়ালিকা বিপাশা
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কোথায় ছিলেন!!!!! আপনি ফিরে এসেছেন জেনে খুব ভালো লাগছে। আপনাকে আমি, শায়মা আপু, মিরোরডডল আপু হারিকেন দিয়ে খুঁজছি। আমরা আপনাকে মিস করছিলাম। আপনাকে ডাকাডাকি করে আপনার পোস্টে মন্তব্যও করেছি। কিন্তু আপনার সাড়া নাই।
আশা করি এখন থেকে নিয়মিত হবেন।
আপনার মত শায়মা আপুও পোস্টটা পড়ে হেসেছে।
এই পোস্টকে কেউ মজার পোস্টও মনে করতে পারে আবার সিরিয়াস পোস্টও মনে করতে পারে।
আপনার জন্যও অনেক দোয়া এবং শুভকামনা। আশা করি আবার হারিয়ে যাবেন না।
২২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৪
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: না না... আর হারাচ্ছি না!!! তবে নতুন কোনো লেখা পোস্ট করতে পারবো কিনা সে সম্পর্কে কিছু বলতে পারছিনা। পড়াশোনার ব্যস্ততায় নতুন কিছু ভাবতেই পারছিনা। আমার অনুপস্থিতিতে আপনারা আমাকে এইভাবে খুঁজছেন জানতে পেরে খুবই আনন্দিত হলাম এখন এক এক করে আপনার, শায়মা আপুও মিরোরডডল আপুর লেখাগুলো পড়ে ফেলব।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করেন এবং ভালো ফলাফল করেন এই কামনা করছি। তবে পড়াশুনার ফাঁকে কিছু লেখার চেষ্টা করবেন এই আশা করছি। লিখতে না পারলেও অন্তত পোস্টে মন্তব্য করবেন আশা করি।
২৩| ০৮ ই মে, ২০২২ সকাল ৭:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ১২ নং প্রতিমন্তব্য প্রসঙ্গে ("ব্লাড প্রেশার, ব্লাড সুগার, ইসিজি, ইকো, ইটিটি ইত্যাদি মাপার মেশিন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার বেড রুমে রাখা জরুরী। আগে ও পরে এই মেশিনগুলি দিয়েে টেস্ট করা উচিত" - এত কিছু মেপে মুপে কেউ কি ওসব কাজে নামে নাকি?
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই মন্তব্যটার বার্তা আমার কাছে আসে নাই তাই উত্তর দিতে দেরী হোল। আসলে এগুলি মজা করার জন্য বললাম আর কি। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৮
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
তুমি আমার প্রিয় ব্লগার এবং সব সময় তোমার পোস্টে কমেন্ট করি তাই পোস্টে ঢুকে পড়েছিলাম। কিন্তু এখন পালানোর পথ খুঁজছি।
যদিও পোস্ট পড়ে আমার হৃদয়ে দুঃখ বা সহানুভূতির চাইতে হাসির উদ্রেক হয়েছে।
এবং এমন সব দূর্দশাগ্রস্ত মানুষের অক্কা পাবার ঘটনা জেনে হাসতে হাসতে ভুলে গেছি কি পড়েছি।